পরিচ্ছেদঃ যখন কবরকে খনন করে তার (হাড়-হাড্ডি ও) মাটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়, তখন সেখানে সালাত আদায় করা জায়েয, যদিও আগে সেখানে কবর ছিল
২৩২২. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় হিজরত করেন, তখন তিনি মদীনার উপকন্ঠে একটি গোত্রের কাছে যাত্রাবিরতি দেন, যাদেরকে বানূ আমর বিন আওফ বলা হয়। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মাঝে ১৪ রাত অবস্থান করেন। তারপর তিনি বানূ নাজ্জার গোত্রের নেতৃস্থানীয় লোকদের কাছে লোক পাঠান, অতঃপর তারা কাঁধে তরবারী ঝুলিয়ে তাঁর কাছে আগমন করেন।”
আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি যেন এখনো দেখতে পাচ্ছি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনের উপর আছেন, আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিছে আর বানূ নাজ্জার গোত্রের লোকজন তাঁর আশেপাশে রয়েছেন। এভাবে তিনি আবূ আইয়ূব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আঙ্গিনায় আসেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানেই সালাত আদায় করতেন, যেখানে সালাতের সময় হয়ে যেতো। তিনি মেষের খোঁয়াড়ে সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি মাসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন এবং বানূ নাজ্জার গোত্রের লোকদের কাছে লোক পাঠান। তারা আসলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বলেন, “হে বানূ নাজ্জার, আপনারা আপনাদের এই বাগানের দাম বলুন।” তারা বললেন, “না, আল্লাহর কসম! আমরা এর কোন দাম চাই না। এটা আমরা কেবল আল্লাহর জন্যই দিয়ে দিলাম।”
আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ছাত্রদের বলেন, “সেখানে কী ছিল, তা আমি তোমাদের বলছি। সেখানে মুশরিকদের কবর ছিল, এছাড়াও সেখানে খেজুর গাছ ও শষ্য ছিল। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশক্রমে মুশরিকদের কবরগুলো খুড়ে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়, শষ্য সমতল করে দেওয়া হয় আর খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। অতঃপর সাহাবীগণ খেজুর গাছগুলো মাসজিদের কিবলার দিকে স্থাপন করেন এবং তার দুই পাশে পাথর স্থাপন করা হয়।
রাবী বলেন, “সাহাবীগণ সেসব পাথর স্থানান্তর করছিলেন আর কবিতা আবৃতি করছিলেন, এসময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে ছিলেন। তারা বলছিলেন, اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةْ فَاغْفِرْ للأنصار والمهاجره (হে আল্লাহ, আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া নেই কোন কল্যাণ, আনসার ও মুহাজিরদের আপনি ক্ষমা ফরমান)।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْقُبُورَ إِذَا نُبِشَت وأُقلِبَ تُرَابُهَا جَائِزٌ حِينَئِذٍ الصَّلَاةُ عَلَى ذَلِكَ الْمَوْضِعِ وَإِنْ كَانَ فِي الْبِدَايَةِ فِيهِ قُبُورٌ
2322 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مِهْرَانَ السَّبَّاكُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا قدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم الْمَدِينَةَ نَزَلَ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُ: بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ ـ فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى مَلَإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِينَ سُيُوفَهُمْ قَالَ: أَنَسٌ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ ـ وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ وَمَلَأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ ـ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصلِّي حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ ثُمَّ إِنَّهُ أَمَرَ بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاؤُوا فَقَالَ: (يَا بَنِي النَّجَّارِ! ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا) قَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ ـ مَا هُوَ إِلَّا إِلَى اللَّهِ .
قَالَ أَنَسٌ: فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ: كَانَتْ فِيهِ قُبُورُ الْمُشْرِكِينَ وَكَانَ فِيهِ نَخْلٌ وَحَرْثٌ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ فنُبِشَتْ وَبِالْحَرْثِ فسوِّي وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَتْ فَوَضَعُوا النَّخْلَ قِبلةَ الْمَسْجِدِ وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً قَالَ: فَجَعَلُوا يَنْقُلُونَ ذَلِكَ الصَّخْرَ وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ ـ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ ـ وَهُمْ يَقُولُونَ: (اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةْ فَاغْفِرْ للأنصار والمهاجره)
الراوي : أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2322 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((صحيح أبي داود)) (477 ـ 478): ق.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪৭৭)