পরিচ্ছেদঃ আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার বক্তব্য “তিনি চার রাকা‘আত পড়তেন” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দুই সালামে এবং তাঁর বক্তব্য “তিনি তিন রাকা‘আত পড়েছেন” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দুই সালামে, যাতে বিতর সালাত রাতের সালাতের শেষে এক রাকা‘আত হয়
২৪২২. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইশার সালাতের পর হতে ফজর উদ্ভাসিত হওয়া পর্যন্ত এগার রাকা‘আত সালাত আদায় করতেন; তিনি প্রত্যেক দুই রাকা‘আত পর পর সালাম ফেরাতেন আর শেষে এক রাকা‘আত বিতর পড়তেন। তিনি সাজদা থেকে মাথা উত্তোলন করা পর্যন্ত সেই পরিমাণ অবস্থান করতেন, যেই পরিমাণ সময়ে একজন ব্যক্তি ৫০ আয়াত পাঠ করতে পারে। অতঃপর যখন ফজরের সালাতের আযান শেষ হয়ে যেতো, তখন তিনি দাঁড়িয়ে দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করতেন। তারপর (ফরয আদায় করার জন্য) মুয়ায্যিন তাঁর কাছে না আসা পর্যন্ত তিনি ডান পার্শ্বের উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতেন।”[1]
ذكر البيان بأن قول عائشة: يُصَلِّي أَرْبَعًا أَرَادَتْ بِهِ بِتَسْلِيمَتَيْنِ وَقَوْلُهَا: يُصَلِّي ثَلَاثًا أَرَادَتْ بِهِ بِتَسْلِيمَتَيْنِ لِيَكُونَ الْوِتْرُ رَكْعَةً مِنْ آخِرِ صَلَاةِ اللَّيْلِ
2422 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي عُرْوَةُ قَالَ: حَدَّثَتْنِي عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِيمَا بَيْنَ أَنْ يفرُغَ مِنْ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَنْصَدِعَ الْفَجْرُ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ وَيَمْكُثُ فِي سُجُودِهِ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ الرَّجُلُ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ فَإِذَا سكت الأذان مع صَلَاةِ الْفَجْرِ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ اضْطَجَعَ على شقه الأيمن حتى يأتيه المؤذن.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2422 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صلاة التراويح)) (106): م.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারীর শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সালাতুত তারাবীহ: ১০৬)