পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মনে করে যে, সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সময় সালাত আদায় না করে দু‘আ করাই যথেষ্ট, যখন কোন ব্যক্তি অন্যান্য সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করবে
২৮২৭. আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে সূর্য গ্রহণ হয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন যে যেন তিনি রুকূ‘ই করবেন না। তারপর এতো দীর্ঘক্ষন রুকূ‘ করেন, যেন তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করবেন না। তারপর মাথা উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি আকুতি-মিনতি ও ক্রন্দন করতে থাকেন এবং বলেন, رَبِّ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُم وَأَنَا فِيهِمْ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَنَحْنُ نَسْتَغْفِرُكَ (হে আমার প্রভু, আপনি কি আমাকে প্রতিশ্রুতি দেননি যে, আপনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এমন অবস্থায় যে আমি তাদের মাঝে বিদ্যমান আছি। আপনি কি আমাকে প্রতিশ্রুতি দেননি যে, আপনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এমন অবস্থায় যে, আমরা আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি?)।”
অতঃপর যখন তিনি সালাত আদায় করেন, তখন সূর্য গ্রহণ কেটে যায়। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ-কীর্তন করেন এবং বলেন, “নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর দুটি নিদর্শন। যখন এই দুটি গ্রহণ লাগবে, তখন তোমরা ভীত হয়ে আল্লাহর যিকিরে মনোনিবেশ করবে।”
তারপর তিনি বলেন, “অবশ্যই আমার সামনে জান্নাত পেশ করা হয়, এমনকি যদি আমি চাইতাম, তবে তার কোন আহরণ করতে পারতাম এবং আমার কাছে জাহান্নামের আগুন পেশ করা হয়, এমনকি আমি তা থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করি, এমনকি আমার আশংকা হয় যে, এই আগুন তোমাদেরকে পরিবেষ্টন করে ফেলবে! তখন আমি বলতে থাকি, أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَأَنَا فِيهِمْ رَبِّ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرِونَكَ (আপনি কি আমাকে প্রতিশ্রুতি দেননি যে, আপনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এমন অবস্থায় যে আমি তাদের মাঝে বিদ্যমান আছি। হে আমার প্রভু, আপনি কি আমাকে প্রতিশ্রুতি দেননি যে, আপনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এমন অবস্থায় যে, তারা আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে?)।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তারপর আমি সেখানে হিমইয়ারী গোত্রের কৃষ্ণবর্ণের বিড়ালের মালিক সেই মহিলাকে দেখেছি, যে তার বিড়ালকে আটকে রেখেছিল; সে তাকে খেতেও দেয়নি, পান করায়নি আবার সে তাকে ছেড়েও দেয়নি যে, সেটা জমিনের কীট-পতঙ্গ খাবে। আমি তাকে দেখেছি যে, যখনই সে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে, তখনই তাকে জাহান্নামে কামড়ানো হয়।আমি সেখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুটি উষ্ট্রীর রাখালকে দেখেছি, যে বানূ দা‘দা‘ গোত্রের লোক ছিল। তাকে দুই কোণ বিশিষ্ট্য দুটি ডাল দ্বারা জাহান্নামে তাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি লাঠিওয়ালা এক ব্যক্তিকে দেখেছি। আমি দেখেছি যে, তাকে জাহান্নামের আগুনে তার লাঠিতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।”[1]
ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن عِنْدَ كُسُوفِ الشَّمْسِ أَوِ الْقَمَرِ يُكْتَفى بِالدُّعَاءِ دُونَ الصَّلَاةِ إِذَا صَلَّى كَسَائِرِ الصَّلَوَاتِ
2827 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حدثنا أبو خيثمة قال: حدثنا جرير عن عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي حَتَّى لَمْ يَكَدْ أَنْ يَرْكَعَ ثُمَّ رَكَعَ حَتَّى لَمْ يَكَدْ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَجَعَلَ يَتَضَرَّعُ وَيَبْكِي وَيَقُولُ:
(رَبِّ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُم وَأَنَا فِيهِمْ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَنَحْنُ نَسْتَغْفِرُكَ) فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ: (إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَإِذَا انْكَسَفَا فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ) ثُمَّ قَالَ: (لَقَدْ عُرِضَتْ عَلَيَّ الْجَنَّةُ حَتَّى لَوْ شِئْتُ لَتَعَاطَيْتُ قِطفاً مِنْ قُطُوفها وعُرضت عَلَيَّ النَّارُ حَتَّى جَعَلْتُ أَتَّقِيهَا حَتَّى خَشِيتُ أَنْ تَغْشَاكُمْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ: أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَأَنَا فِيهِمْ رَبِّ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرِونَكَ قَالَ: فَرَأَيْتُ فِيهَا الحِمْيَريَّة السَّوْدَاءَ صَاحِبَةَ الْهِرَّةِ كَانَتْ حَبَسَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَسْقِهَا وَلَمْ تَتْرُكْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الْأَرْضِ فَرَأَيْتُهَا كُلَّمَا أَدْبَرَتْ نُهِشَت فِي النَّارِ وَرَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ بَدَنَتَيْ رسول الله أَخَا دَعْدَعٍ يُدْفَعُ فِي النَّارِ بِقَضِيبَيْنِ ذِي شُعْبَتَيْنِ وَرَأَيْتُ صَاحِبَ الْمِحْجَنِ فَرَأَيْتُهُ فِي النَّارِ على محجنه متوكئاً)
الراوي : أَبُو بَكْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2827 | خلاصة حكم المحدث: صحيح لغيره ـ ((صحيح أبي داود)) (1079)، لكن المحفوظ ركوعان في كل ركعة، وأن (أخا بني دعدع): هو صاحب المحجن.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ লিগাইরিহী বলেছেন। কিন্তু মাহফূয হলো প্রত্যেক রাকা‘আতে দুটি করে রুকূ‘ করা এবং বানূ দা‘দা‘ গোত্রের লোক হলো লাঠিওয়ালা সেই ব্যক্তি। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৭৯)