পরিচ্ছেদঃ যেই হাদীস অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, সূর্য গ্রহণের সালাতে হয়তো কিরা‘আত জোরে পড়তে হয় না
২৮৪২. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় সূর্য গ্রহণ লাগে। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। অতঃপর তিনি সূরা বাকারার ন্যায় দীর্ঘ কিয়াম করেন। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকূ‘ করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর দীর্ঘ কিয়াম করেন। তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর তিনি সাজদা করেন। তারপর তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। অতঃপর দীর্ঘ কিয়াম করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর সাজদা করেন। তারপর সালাত শেষ করেন এমন অবস্থায় যে সূর্য পরিস্ফুট হয়ে গেছে। তখন তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহ হতে দুটি নিদর্শন, এগুলি কারো জীবিত থাকা বা মৃত্যুবরণ করার কারণে গ্রহণ লাগে না। কাজেই যেখন তোমরা আল্লাহর যিকির করো।”
সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমরা আপনাকে দেখেছি যে, আপনি আপনার এই জায়গা থেকে কিছু গ্রহণ করছেন তারপর আমরা দেখি যে, আপনি পিছু সরে আসছেন!” জবাবে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি জান্নাত দেখেছি। অথবা (রাবীর সন্দেহ তিনি বলেছেন) আমাকে জান্নাত দেখানো হয়েছে- অতঃপর আমি সেখান থেকে একটি থোকা (ফল) নিতে চাই। যদি আমি তা গ্রহণ করতাম, তবে দুনিয়া যতদিন বাকী থাকতো, ততদিন তোমরা তা খেতে পারতে। আর আমি জাহান্নামের আগুন দেখেছি। আমি আজকের মতো দৃশ্য আর কখনই দেখিনি। আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী নারী!”
সাহাবীগণ আরজ করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এর কারণ কী?” তিনি জবাবে বলেন, “তাদের কুফরীর কারণে।” তাঁকে বলা হলো, “তারা কি আল্লাহর সাথে কুফরী করে?” তিনি বলেন, “তারা স্বামীর নাফরমানী করে। তারা অনুগ্রহের অকৃতজ্ঞতা করে। যদি তাদের কারো প্রতি যুগ যুগ ধরে উত্তম আচরণ করো, অতঃপর সে যদি তোমার মাঝে (মন্দ) কিছু দেখতে পায়, তবে বলবে, “আমি তোমার মাঝে কখনোই কোন ভালো কিছু দেখিনি!”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ قَدْ يُوهِمُ عَالِمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّ صَلَاةَ الْكُسُوفِ لَا يُجهر فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ
2842 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ مَعَهُ فَقَامَ طَوِيلًا نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأول ثم ركع طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوْلِ وَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَد تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَقَالَ: (إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ) فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ هَذَا ثُمَّ رَأَيْنَاكَ تَكَعْكَعْتَ فَقَالَ: (إِنِّي رأيت الجنة أو أُريتُ الجنة فتناولت منها عُنْقُودًا وَلَوْ أَخَذْتُهُ لَأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ مَنْظَرًا قط ورأيت أكثر أهلها النساء) قالوا: بما يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: (بِكُفْرهنَّ) قِيلَ: يكفُرن بِاللَّهِ؟ قَالَ: (يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَيَكْفُرْنَ الْإِحْسَانَ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إحداهنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قط ـ)
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2842 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((جزء الكسوف))، ((صحيح أبي داود)) (1075): ق.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنْوَاعُ صَلَاةِ الْكُسُوفِ سَنَذْكُرُهَا فِيمَا بَعْدُ بِالتَّفْصِيلِ فِي الْقِسْمِ الْخَامِسِ فِي نَوْعِ الْأَفْعَالِ الَّتِي هِيَ مِنِ اخْتِلَافِ الْمُبَاحِ إِنَّ شَاءَ اللَّهُ ذَلِكَ ويسره.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৭৫)