পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির মুমূর্ষু হলে, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবহিত করা প্রসঙ্গে বর্ণনা
২৯৯৫. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “প্রথম দিকে যখন আমাদের মাঝে কেউ মুমূর্ষু অবস্থায় পৌঁছতো, তখন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তা অবহিত করতাম। তখন তিনি সেখানে উপস্থিত হতেন এবং মৃত্যু অবধি তার জন্য ইস্তিগফার করতেন। যখন মারা যেত, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাথের সাহাবীগণ চলে যেতেন। এজন্য কোন কোন সময় দীর্ঘক্ষন অবস্থান করতে হতো। যখন আমরা আশংকা করলাম যে, এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কষ্ট হয়, তখন সাহাবীদের কেউ কেউ অপরজনকে বললো, “আল্লাহর কসম, যদি আমরা কারো ব্যাপারে মৃত্যু বরণ না করা পর্যন্ত কাউকে অবহিত না করতাম, বরং যখন মারা যাবে, তখন তাঁকে অবহিত করতাম, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দীর্ঘক্ষন অবস্থান করতে হতো না এবং তাঁর কষ্টও হতো না (তবে সেটা কতইনা ভালো হতো)।”
রাবী বলেন, “তারপর আমরা তা-ই করি। অতঃপর কেউ মৃত্যুবরণ না করা পর্যন্ত আমরা তাঁকে অবহিত করতাম না। অতঃপর কেউ মৃত্যুবরণ করার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসতেন, অতঃপর তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করতেন এবং তার জন্য ইস্তিগফার করতেন। তারপর কোন কোন সময় তখনই চলে যেতেন। আবার কখনো দাফন না করা পর্যন্ত অবস্থান করতেন।”
রাবী বলেন, “দীর্ঘ দিন পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে। তারপর আমরা বলি, “আল্লাহর কসম, যদি আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপস্থিত না করিয়ে আমরাই আমাদের মৃত ব্যক্তিদের তাঁর কাছে নিয়ে আসতাম, তাহলে তিনি তাঁর বাড়িতেই জানাযার সালাত আদায় করতেন, তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য আরামদায়ক এবং সহজ হতো। অতঃপর আমরা সেটাই করি। সেখান থেকে অদ্যবধি সেই নিয়মই বহাল রয়েছে।”[1]
ذِكْرُ مَا يُؤْذَنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ حُضُورِ النَّاسِ الْمَوْتَ
2995 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ أَبِي يَحْيَى بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كُنَّا مَقْدَمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حُضِرَ الْمَيِّتُ آذنَّاه فَحَضَرَهُ وَاسْتَغْفَرَ لَهُ حَتَّى يُقْبَضَ فَإِذَا قُبِضَ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ مَعَهُ فَرُبَّمَا طَالَ ذَلِكَ مِنْ حَبْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا خَشِينَا مشقَّة ذَلِكَ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ لِبَعْضٍ: وَاللَّهِ لَوْ كُنَّا لَا نُؤْذِنُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَحَدٍ حَتَّى يُقبض فَإِذَا قُبض آذَنَّاهُ فَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ مشقَّةٌ عَلَيْهِ وَلَا حَبْسٌ قَالَ: فَفَعَلْنَا فَكُنَّا لَا نُؤْذِنُه إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَمُوتَ فَيَأْتِيهِ فيُصَلِّي عَلَيْهِ وَيَسْتَغْفِرُ لَهُ فَرُبَّمَا انْصَرَفَ عِنْدَ ذَلِكَ وَرُبَّمَا مَكَثَ حَتَّى يُدْفَنَ الْمَيِّتُ قَالَ: وَكُنَّا عَلَى ذَلِكَ حِينًا ثُمَّ قُلْنَا: وَاللَّهِ لَوْ أَنَّا لَا نُحْضِرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وحَمَلْنا إِلَيْهِ جَنَائِزَ مَوْتَانَا حَتَّى يُصَلِّيَ عَلَيْهَا عِنْدَ بَيْتِهِ لَكَانَ ذَلِكَ أَرْفَقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَيْسَرَ عَلَيْهِ فَفَعَلْنَا ذَلِكَ فَكَانَ الْأَمْرُ إلى اليوم.
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
হাদীসটির ব্যাপারে আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আহকামুল জানাইয: ৮৭)