অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ তালিকা সর্বমোট হাদিস | হাদিসের ব্যাপ্তি
১/ ওহীর সূচনা (كتاب بدء الوحى) ৬ টি | ১-৬ পর্যন্ত 1/ Revelation
  • ১/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল
  • ২/ ঈমান (كتاب الإيمان) ৫০ টি | ৭-৫৬ পর্যন্ত 2/ Belief
  • ২/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি
  • ৩/ ঈমানের বিষয়সমূহ
  • ৪/ প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে
  • ৫/ ইসলামে কোন কাজটি উত্তম
  • ৬/ খাবার খাওয়ানো ইসলামী গুন
  • ৭/ নিজের জন্য যা পছন্দনীয়, ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করা ঈমানের অংশ
  • ৮/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ
  • ৯/ ঈমানের স্বাদ
  • ১০/ আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের লক্ষণ
  • ১১/ পরিচ্ছদ নেই
  • ১২/ ফিতনা থেকে পলায়ন দ্বীনের অংশ
  • ১৩/ নাবী করীম (ﷺ) এর বাণী, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী। আর মারেফাত (আল্লাহ্‌র পরিচয়) অন্তরের কাজ। যেমন আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেছেনঃ কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্য দায়ী করবেন। (২ঃ ২২৫)
  • ১৪/ কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার ন্যায় অপছন্দ করা ঈমানের অঙ্গ
  • ১৫/ আমলের দিক থেকে ঈমানদারদের শ্রেষ্ঠত্বের স্তরভেদ
  • ১৬/ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ
  • ১৭/ যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে (৯:৫)
  • ১৮/ যে বলে ঈমান আমলেরই নাম
  • ১৯/ ইসলাম গ্রহন যদি খাঁটি না হয় বরং বাহ্যিক আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বা হত্যার ভয়ে হয়।
  • ২০/ সালামের প্রচলন করা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত
  • ২১/ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা আর এক কুফর অন্য কুফর থেকে ছোট।
  • ২২/ পাপ কাজ জাহেলী যুগের স্বভাব
  • ২৩/ যুলুমের প্রকারভেদ
  • ২৪/ মুনাফিকের আলামত
  • ২৫/ লায়লাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ২৬/ জিহাদ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ২৭/ রমযানের রাতে নফল ইবাদত ঈমানের অঙ্গ
  • ২৮/ সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন ঈমানের অঙ্গ
  • ২৯/ দ্বীন সহজ
  • ৩০/ সালাত ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ৩১/ উত্তমরূপে ইসলাম গ্রহন
  • ৩২/ আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে সবচাইতে পছন্দনীয় আমল সেটাই যা নিয়মিত করা হয়
  • ৩৩/ ঈমানের বাড়া-কমা।
  • ৩৪/ যাকাত ইসলামের অঙ্গ।
  • ৩৫/ জানাযার অনুগমন ঈমানের অঙ্গ
  • ৩৬/ অজ্ঞাতসারে মুমিনের আমল নষ্ট হওয়ার আশংকা
  • ৩৭/ জিবরীল (আঃ) কর্তৃক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ঈমান, ইসলাম, ইহসান ও কিয়ামতের জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন
  • ৩৮/ পরিচ্ছদ নেই
  • ৩৯/ দ্বীন রক্ষাকারীর ফজিলত
  • ৪০/ গণীমতের এক পঞ্চমাংশ প্রদান ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ৪১/ আমল নিয়ত ও সওয়াব আশা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী।
  • ৪২/ নাবী (ﷺ) এর বানীঃ দ্বীন হল কল্যাণ কামনা করা, আল্লাহর রেজমন্দির জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলিম নেত্রীবৃন্দের জন্য এবং সকল মুসলিমের জন্য।
  • ৩/ ইলম বা জ্ঞান (كتاب العلم) ৮০ টি | ৫৭-১৩৬ পর্যন্ত 3/ Knowledge
  • ৪৪/ আলোচনায় মশগুল অবস্থায় ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আলোচনা শেষ করার পর প্রশ্নকারীর উত্তর প্রদান
  • ৪৫/ উচ্চস্বরে ইলমের আলচনা
  • ৪৬/ মুহাদ্দিসের উক্তিঃ হাদ্দাসানা, আখবারানা ও আম্বা'আনা
  • ৪৭/ শাগরিদগনের জ্ঞান পরীক্ষার জন্য উস্তাদের কোন বিষয় উত্থাপন করা
  • ৪৮/ হাদিস পড়া ও মুহাদ্দিসের কাছে পেশ করা
  • ৪৯/ শায়খ কর্তৃক ছাত্রকে হাদিসের কিতাব প্রদান এবং আলিম কর্তৃক ইলমের কথা লিখে বিভিন্ন দেশে প্রেরণ।
  • ৫০/ মজলিসের শেষ প্রান্তে বসা এবং মজলিসের ভিতরে ফাক দেখে সেখানে বসা
  • ৫১/ নাবী করীম (ﷺ) এর বানীঃ যাদের কাছে হাদিস পৌঁছানো হয় তাদের মধ্যে অনেকে এমন আছে, যে শ্রোতা (বর্ণনাকারী'র) চাইতে বেশী মুখস্থ রাখতে পারে।
  • ৫৩/ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওয়ায-নসীহতে ও ইলম শিক্ষা দানে উপযুক্ত সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে লোকজন বিরক্ত না হয়ে পড়ে।
  • ৫৪/ ইলম শিক্ষার্থীদের জন্য দিন নির্দিষ্ট করা
  • ৫৫/ আল্লাহ্ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন
  • ৫৬/ ইলমের ক্ষেত্রে সঠিক অনুধাবন
  • ৫৭/ ইলম ও হিকমতের ক্ষেত্রে সমতুল্য হওয়ার আগ্রহ
  • ৫৮/ সমুদ্রে খিযর (আঃ)-এর কাছে মূসা (আঃ)-এর যাওয়া
  • ৫৯/ নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ হে আল্লাহ্! আপনি তাকে কিতাব (কুরআন) শিক্ষা দিন।
  • ৬০/ বালকদের কোন বয়সের শোনা কথা গ্রহণীয়।
  • ৬১/ ইলম হাসিলের জন্য বের হওয়া
  • ৬২/ ইলম শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদাতার ফযীলত।
  • ৬৩/ ইলমের বিলুপ্তি ও মূর্খতার প্রসার
  • ৬৪/ ইলমের ফযীলত
  • ৬৫/ প্রাণী বা অন্য বাহনে আসীন অবস্থায় ফতোয়া দেওয়া।
  • ৬৬/ হাত ও মাথার ইশারায় মাসয়ালার জবাব দান
  • ৬৭/ আবুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে ঈমান এবং ইলমের হিফাজত করা এবং পরবর্তীদেরকে তা অবহিত করার বাপারে নবী (ﷺ) এর উৎসাহ দান।
  • ৬৮/ উদ্ভূত মাসআলার জন্য সফর করা এবং নিজের পরিজনদের শিক্ষা দেওয়া ।
  • ৬৯/ পালাক্রমে ইলম শিক্ষা করা ।
  • ৭০/ অপছন্দনীয় কিছু দেখলে ওয়ায-নাসীহত বা শিক্ষাদানের সময় রাগ করা
  • ৭১। ইমাম বা মুহাদ্দিসের সামনে হাঁটু গেড়ে বসা
  • ৭২। ভালবাবে বুঝবার জন্য কোন কথা তিনবার বলা
  • ৭৩। আপন দাসী ও পরিবারবর্গকে শিক্ষা দান
  • ৭৪। আলিম কর্তৃক মহিলাদের নসীহত করা ও দীনী ইলম শিক্ষা দেওয়া
  • ৭৫। হাদিসের প্রতি আগ্রহ
  • ৭৬। কিভাবে ইলম তুলে নেয়া হবে
  • ৭৭। ইলম শিক্ষার জন্য মহিলাদের ব্যাপারে কি আলাদা দিন নির্ধারণ করা যায়?
  • ৭৮। কোন কথা শুনে না বুঝলে জানার জন্য পুনরায় জিজ্ঞেস করা
  • ৭৯। উপস্থিত ব্যাক্তি অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে ইলম পৌঁছে দেবে
  • ৮০। নবী করীম (ﷺ) এর উপর মিথ্যারোপ করার গুনাহ
  • ৮১। ইলম লিপিবদ্ধ করা
  • ৮২। রাতে ইলম শিক্ষাদান এবং ওয়ায-নসিহত করা
  • ৮৩। রাতে ইলমের আলোচনা করা
  • ৮৪। ইলম মুখস্ত করা
  • ৮৫। আলিমদের কথা শোনার জন্য লোকদের চুপ করানো
  • ৮৬। আলিমদের জন্য মুস্তাহাব এই যে, তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়ঃ সবচাইতে জ্ঞানী কে? তখন তিনি ইহা আল্লাহর উপর ন্যাস্ত করবেন।
  • ৮৭। আলিমের বসা থাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করা
  • ৮৮। কংকর মারার সময় কোন মাসআলা জিজ্জেস করা
  • ৮৯। আল্লাহ্‌ তায়ালার বাণীঃ (وَمَا أُوتِيتُمْ مِنْ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا) তোমাদেরকে ইলম দেওয়া হয়েছে অতি অল্পই।
  • ৯০। কোন কোন মুস্তাহাব কাজ এই আশঙ্কায় ছেড়ে দেওয়া যে,কিছু লোক ভুল বুঝতে পারে এবং তারা এর চাইতে অধিকতর বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে
  • ৯১। বুঝতে না পারার আশংকায় ইল্‌ম শিক্ষায় কোন এক গোত্র ছেড়ে আর এক গোত্র বেছে নেওয়া।
  • ৯২। ‘ইলম শিক্ষা করতে লজ্জাবোধ করা।
  • ৯৩। নিজে লজ্জাবোধ করলে অন্যকে প্রশ্ন করতে বলা
  • ৯৪। মসজিদে ইলম ও মাসআলা-মাসায়েল আলোচনা করা
  • ৯৫। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের চাইতে বেশী উত্তর দেওয়া
  • ৪/ উযূ (كتاب الوضوء) ১০৯ টি | ১৩৭-২৪৫ পর্যন্ত 4/ Ablutions (Wudu)
  • ৯৭। পবিত্রতা ছাড়া সালাত কবুল হয় না
  • ৯৮। উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযুর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে
  • ৯৯। সন্দেহের কারনে উযূ করতে হয় না যতক্ষণ না (উযূ ভঙ্গের) নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মে
  • ১০০। হালকাভাবে উযূ করা
  • ১০১। পূর্ণরূপে উযূ করা।
  • ১০২। এক আঁজলা পানি দিয়ে দু'হাতে মুখমণ্ডল ধোয়া
  • ১০৩। সর্বাবস্থায়, এমনকি সহবাসের সময়েও বিসমিল্লাহ বলা
  • ১০৪। শৌচাগারে কি বলতে হয়?
  • ১০৫। শৌচাগারের কাছে পানি রাখা
  • ১০৬। মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখি হবে না, তবে ঘরের মধ্যে দেয়াল অথবা তেমন কোন আড়াল থাকলে ভিন্ন কথা।
  • ১০৭। দুই ইটের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করা
  • ১০৮। মহিলাদের বাইরে যাওয়া
  • ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
  • ১১০। পানি দ্বারা ইসতিনজা করা
  • ১১১। পবিত্রতা হাসিলের জন্য কারো সাথে পানি নিয়ে যাওয়া।
  • ১১২। ইসতিনজার জন্য পানির সাথে (লৌহ ফলকযুক্ত) লাঠি নিয়ে যাওয়া
  • ১১৩। ডান হাতে ইসতিনজা করার নিষেধাজ্ঞা
  • ১১৪। প্রস্রাব করার সময় ডান হাত দিয়ে পুরূষাঙ্গ ধরবে না
  • ১১৫। পাথর দিয়ে ইসতিনজা করা
  • ১১৬। গোবর দিয়ে ইসতিনজা না করা
  • ১১৭। উযূতে একবার করে ধোয়া
  • ১১৮। উযূতে দু’বার করে ধোয়া
  • ১১৯। উযূতে তিনবার করে ধোয়া
  • ১২০। উযূর মধ্যে নাকে পানি দেয়ে নাক পরিষ্কার করা ‘উসমান (রা), আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রা) ও ইবন ‘আব্বাস (রা) নবী থেকে এ কথা বর্ণনা করেছেনঃ
  • ১২১। (ইসতিনজার জন্য) বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা
  • ১২২। দু’পা ধোয়া এবং মাসেহ না করা
  • ১২৩। উযূতে কুলি করা।
  • ১২৪। পায়ের গোড়ালী ধোয়া।
  • ১২৫। চপ্পল পরা অবস্থায় উভয় পা ধোয়া কিন্তু চপ্পলের উপর মাসেহ না করা
  • ১২৬। উযূ এবং গোসলে ডান দিক থেকে শুরু করা
  • ১২৭। সালাতের সময় নিকটবর্তি বলে উযূর পানি তালাশ করা।
  • ১২৮। যে পানি দেয়ে মানুষের চুল ধোয়া হয়।
  • ১২৯। কুকুর যদি পাত্র থেকে পানি পান করে
  • ১৩০। সম্মুখ এবং পেছনের রাস্তা দিয়ে কিছু নির্গত হওয়া ছাড়া অন্য কারণে যিনি উযূর প্রয়োজন মনে করেন না
  • ১৩১। শ্রদ্ধেয় জনকে কোন ব্যক্তির উযূ করিয়ে দেওয়া
  • ১৩২। বিনা উযূতে কুরআন প্রভৃতি পাঠ করা।
  • ১৩৩। পূর্ণ বেহুশী ছাড়া উযূ না করা
  • ১৩৪। পূর্ণ মাথা মসেহ করা।
  • ১৩৫। উভয় পা গিরা পর্যন্ত ধোয়া
  • ১৩৬। মানুষের উযূর অবশিষ্ট পানি ব্যবহার করা।
  • ১৩৭। পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৩৮। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া
  • ১৩৯। একবার মাথা মসেহ করা
  • ১৪০। নিজ স্ত্রীর সাথে উযূ করা এবং স্ত্রীর উযূর অবশিষ্ট পানি (ব্যবহার করা)।
  • ১৪১। বেহুশ লোকদের ওপর নবী (ﷺ) এর উযূর পানি ছিটিয়ে দেওয়া
  • ১৪২। গামলা, কাঠ ও পাথরের পাত্রে উযূ-গোসল করা
  • ১৪৩। গামলা থেকে উযূ করা
  • ১৪৪। এক মুদ (পানি) দিয়ে উযূ করা
  • ১৪৫। উভয় মোজার ওপর মসেহ করা
  • ১৪৬। পবিত্র অবস্থায় উভয় পা (মোজায়) প্রবেশ করানো
  • ১৪৭। বকরীর গোশত এবং ছাতু খেয়ে উযূ না করা।
  • ১৪৮। ছাতু খেয়ে উযূ না করে কেবল কুলি করা
  • ১৪৯ দুধ পান করলে কি কুলি করতে হবে?
  • ১৫০। ঘুমের পরে উযূ করা এবং দু’একবার ঝিমালে বা মাথা ঝুঁকে পড়লে উযূ না করা
  • ১৫১। হাদস ছাড়া উযূ করা
  • ১৫২। পেশাবের অপবিত্রতা থেকে সতর্ক না থাকা কবীরা গুনাহ
  • ১৫৩। পেশাব ধোয়া সম্বন্ধে যা বর্ণিত হয়েছে।
  • ১৫৪। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ১৫৫। এক বেদুঈনকে মসজিদে পেশাব শেষ করা পর্যন্ত নবী (ﷺ) এবং অন্যান্য লোকের পক্ষ থেকে অবকাশ দেওয়া।
  • ১৫৬। মসজিদে পেশাবের উপর পানি ঢেলে দেওয়া
  • ১৫৭। শিশুদের পেশাব
  • ১৫৮। দাঁড়িয়ে এবং বসে পেশাব করা
  • ১৫৯। সঙ্গীর কাছে বসে পেশাব করা এবং দেয়ালের আড়ালে করা
  • ১৬০। মহল্লার আবর্জনা ফেলার স্থানে পেশাব করা
  • ১৬১। রক্ত দুয়ে ফেলা।
  • ১৬২। বীর্য ধোয়া এবং ঘষে ফেলা এবং স্ত্রীলোক থেকে যা লেগে যায় তা ধুয়ে ফেলা
  • ১৬৩। জানাবাতের নাপাকী বা অন্য কিছু ধোয়ার পর যদি ভিজা দাগ থেকে যায়
  • ১৬৪। উট, চতুস্পদ জন্তু ও বকরীর পেশাব এবং বকরীর খায়াড় প্রসঙ্গে
  • ১৬৫। ঘি এবং পানিতে নাপাকী পড়া।
  • ১৬৬। স্থির পানিতে পেশাব করা
  • ১৬৭। মুসল্লীর পিঠের উপর ময়লা বা মৃত জন্তু ফেললে তার সালাত নষ্ট হবে না।
  • ১৬৮। থুথু, শ্লেষ্মা ইত্যাদি কাপড়ে লেগে গেলে।
  • ১৬৯। নাবীয (খেজুর, কিসমিস, মনাক্কা ইত্যাদি ভিজানো পানি) এবং নেশাকারক পানীয় দ্বারা উযূ করা না-জায়েয।
  • ১৭০। পিতার মুখমণ্ডল থেকে কন্যা কর্তৃক রক্ত ধুয়ে ফেলা।
  • ১৭১। মিসওয়াক করা।
  • ১৭৩। উযূ সহ রাতে ঘুমাবার ফযীলত
  • ৫/ গোসল (كتاب الغسل) ৪৪ টি | ২৪৬-২৮৯ পর্যন্ত 5/ Bathing (Ghusl)
  • ১৭৪। গোসলের পূর্বে উযূ করা
  • ১৭৫। স্বামী-স্ত্রীর একসাথে গোসল
  • ১৭৬। এক সা’ বা অনুরূপ পাত্রের পানিতে গোসল
  • ১৭৭। মাথায় তিনবার পানি ঢালা
  • ১৭৮। একবার পানি ঢেলে গোসল করা
  • ১৭৯। গোসলে হিলাব* বা খুশবু ব্যবহার করা।
  • ১৮০। জানাবাতের গোসলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া
  • ১৮১। পরিচ্ছন্নতার জন্য মাটিতে হাত ঘষা
  • ১৮২। যখন জানাবাত ছাড়া হাতে কোন নাপাকী না থাকে, ফরয গোসলের আগে হাত না ধুয়ে পানির পাত্রে তা প্রবেশ করানো যায় কি?
  • ১৮৩। গোসলের সময় ডান হাত থেকে বাম হাতের উপর পানি ঢালা।
  • ১৮৪। গোসল ও উযূর অঙ্গ পৃথকভাবে ধোয়া।
  • ১৮৫। একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সংগত হওয়ার পর একবার গোসল করা।
  • ১৮৬। মযী বের হলে তা ধুয়ে ফেলা ও উযূ করা।
  • ১৮৭। খুশবু লাগিয়ে গোসল করার পর খুশবুর তাসির থেকে গেলে।
  • ১৮৮। চুল খিলাল করা এবং চামড়া ভিজেছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তাতে পানি ঢালা।
  • ১৮৯। জানাবাত অবস্থায় যে উযূ করে সমস্ত শরীর ধোয় কিন্তু উযূর প্রত্যঙ্গগুলো দ্বিতীয়বার ধোয় না।
  • ১৯০। মসজিদের ভিতরে নিজের জানাবাতের কথা স্মরণ হলে তখনেই বেরিয়ে পড়বে, তায়াম্মুম করতে হবে না
  • ১৯১। জানাবাতের গোসলের পর দু’হাত ঝাড়া
  • ১৯২। মাথার ডান দিক থেকে গোসল শুরু করা।
  • ১৯৩। নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা এবং পর্দা করে গোসল করা। পর্দা করে গোসল করাই উত্তম।
  • ১৯৪। লোকদের সামনে গোসলের সময় পর্দা করা।
  • ১৯৫। মহিলাদের ইহ্তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে।
  • ১৯৬। জুনুবী ব্যক্তির ঘাম, নিশ্চয় মুসলিম অপবিত্র নয়
  • ১৯৭। জানাবাতের সময় বের হওয়া এবং বাজার ইত্যাদিতে চলাফেরা করা।
  • ১৯৮। জুনুবী ব্যক্তির গোসলের আগে উযূ করে ঘরে অবস্থান করা।
  • ১৯৯। জুনুবীর নিদ্রা
  • ২০০. পরিচ্ছেদঃ জুনুবী উযূ করে ঘুমাবে।
  • ২০১। দু’লজ্জাস্থান পরস্পর মিলিত হলে।
  • ২০২। স্ত্রী অঙ্গ থেকে কিছু লাগলে ধুয়ে ফেলা
  • ৬/ হায়য (كتاب الحيض) ৩৭ টি | ২৯০-৩২৬ পর্যন্ত 6/ Menstrual Periods
  • ২০৩। হায়যের ইতিকথা।
  • ২০৪। হায়যের সময় স্বামীর মাথা ধুয়ে দেওয়া ও চুল আঁচড়িয়ে দেওয়া
  • ২০৫। স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তার কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা।
  • ২০৬। নিফাসকে হায়য বলা
  • ২০৭। হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
  • ২০৮। হায়য অবস্থায় সওম ছেড়ে দেওয়া
  • ২০৯। হায়য অবস্থায় কা’বার তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের অন্যান্য কাজ করা যায়।
  • ২১০। ইসতিহাযা
  • ২১১। হায়যের রক্ত ধুয়ে ফেলা
  • ২১২। মুসতাহাযা’র ই’তিকাফ
  • ২১৩। হায়য অবস্থায় পরিহিত পোশাকে সালাত আদায় করা যায় কি?
  • ২১৪। হায়য থেকে পবিত্রতার গোসলে সুগন্ধি ব্যাবহার।
  • ২১৫। হায়য এর পরে পবিত্রতা অর্জনের সময় দেহ ঘষামাজা করা, গোসলের পদ্ধতি এবং মিশকযুক্ত বস্ত্রখন্ড দিয়ে রক্তের চিহ্ন পরিষ্কার করা।
  • ২১৬। হায়যের গোসলের বিবরণ।
  • ২১৭। হায়যের গোসলের সময় চুল আঁচড়ানো
  • ২১৮। হায়যের গোসলে চুল খোলা
  • ২১৯। আল্লাহর বাণী "পূর্ণাকৃতি ও অপূর্ণাকৃতি গোশত পিণ্ড” (২২ঃ:৫) প্রসঙ্গে
  • ২২০। ঋতুবতী কিভাবে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধবে?
  • ২২১। হায়য শুরু ও শেষ হওয়া।
  • ২২২। হায়যকালীন সালাতের কাযা নেই।
  • ২২৩। ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে হায়যের কাপড় পরিহিত অবস্থায় একত্রে শয়ন
  • ২২৪। হায়যের জন্য সতন্ত্র কাপড় পরিধান করা
  • ২২৫। ঋতুবতী মহিলাদের উভয় ঈদ ও মুসলিমদের দু’আর সমাবেশে উপস্থিত হওয়া এবং ঈদগাহ থেকে দূরে অবস্থান করা
  • ২২৬। একই মাসে তিন হায়য হলে সম্ভাব্য হায়য ও গর্ভধারণের ব্যাপারে স্ত্রীলিকোর কথা গ্রহণযোগ্য।
  • ২২৭। হায়াযের দিনগুলো ছাড়া হলুদ এবং মেটে রং দেখা
  • ২২৮। ইস্তিহাযার শিরা
  • ২২৯। তাওয়াফে যিয়ারতের পর স্ত্রীলোকের হায়য শুরু হলে
  • ২৩০। ইস্তিহাযাগ্রস্তা নারীর পবিত্রতা দেখা।
  • ২৩১। নিফাস অবস্থায় মৃত স্ত্রীলকের সালাতে জানাযা ও তাঁর পদ্ধতি
  • ২৩২। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৭/ তায়াম্মুম (كتاب التيمم) ১৫ টি | ৩২৭-৩৪১ পর্যন্ত 7/ Rubbing hands and feet with dust (Tayammum)
  • ২৩৩। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “এবং তোমরা পানি না পেলে পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে এবং তা তোমরা তোমাদের মুখ ও হাতে বুলাবে” (৪ঃ৪৩)
  • ২৩৪। পরিচ্ছেদঃ মাটি ও পানি পাওয়া না গেলে
  • ২৩৫। মুকীম অবস্থায় পানি না পেলে এবং সালাত ছুটে যাওয়ার ভয় থাকলে তায়াম্মুম করা।
  • ২৩৬। তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে হাত মারার পর হস্তদ্বয়ে ফুঁ দেওয়া
  • ২৩৭। মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয়ে তায়াম্মুম করা
  • ২৩৮। পাক মাটি মুসলিমদের উযূর পানির স্থলবর্তী। পবিত্রতার জন্য পানির পরিবর্তে এটাই যথেষ্ট।
  • ২৩৯। জুনুবী ব্যক্তির রোগ বৃদ্ধির, মৃত্যুর বা তৃষ্ণার্ত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা বোধ হলে তায়াম্মুম করা।
  • ২৪০। তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে একবার হাত মারা
  • ২৪১। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮/ সালাত (كتاب الصلاة) ১৫৫ টি | ৩৪২-৪৯৬ পর্যন্ত 8/ Prayers (Salat)
  • ২৪২। মি’রাজে কিভাবে সালাত ফরজ হল?
  • ২৪৩। সালাত আদায়ের সময় কাপড় পরার প্রয়জনীয়তা।
  • ২৪৪। সালাতে কাঁধে তহবন্দ বাঁধা।
  • ২৪৫। এক কাপড় গায়ে জড়িয়ে সালাত আদায় করা করা।
  • ২৪৬। কেউ এক কাপড়ে সালাত আদায় করলে সে যেন উভয় কাঁধের উপর (কিছু অংশ) রাখে
  • ২৪৭। কাপড় যদি সংকীর্ণ হয়
  • ২৪৮। শামী জুব্বা পরে সালাত আদায় করা।
  • ২৪৯। সালাতে ও তার বাইরে বিবস্ত্র হওয়া অপছন্দনীয়
  • ২৫০। জামা, পায়জামা, জাঙ্গিয়া কাবা পরে সালাত আদায় করা
  • ২৫১। লজ্জাস্থান ঢাকা
  • ২৫২। চাদর গায়ে না দিয়ে সালাত আদায় করা
  • ২৫৩। ঊরু সম্পর্কে বর্ণনা।
  • ২৫৪। মহিলারা সালাত আদায় করতে কয়টি কাপড় পরবে।
  • ২৫৫। কারুকার্য খচিত কাপড়ে সালাত আদায় করা এবং ঐ কারুকার্যে দৃষ্টি পড়া
  • ২৫৬। ক্রুশ চিহ্ন অথবা ছবিযুক্ত কাপড়ে সালাত ফাসিদ হবে কিনা এবং এ সম্মন্ধে নিষেধাজ্ঞা
  • ২৫৭। রেশমী জুব্বা পরে সালাত আদায় করা ও পরে তা খুলে ফেলা
  • ২৫৮। লাল কাপড় পরে সালাত আদায় করা
  • ২৫৯। ছাদ, মিম্বর ও কাঠের উপর সালাত আদায় করা।
  • ২৬০। মুসল্লীর কাপড় সিজদা করার সময় স্ত্রীর গায়ে লাগা
  • ২৬১। চাটায়ের উপর সালাত আদায় করা।
  • ২৬২। ছোট চাটায়ের উপর সালাত আদায় করা
  • ২৬৩। বিছানায় সালাত আদায় করা।
  • ২৬৪। প্রচণ্ড গরমের সময় কাপড়ের উপর সিজদা করা।
  • ২৬৫। জুতা পরে সালাত আদায় করা
  • ২৬৬। মোজা পরে সালাত আদায় করা
  • ২৬৭। সিজদা পূর্ণভাবে না করলে
  • ২৬৮। সিজদায় বাহুমূল খোলা রাখা এবং দু’পাশ আলগা রাখা
  • ২৬৯। কিবলামূখী হওয়ার ফযীলত।
  • ২৭০। মদীনা, সিরিয়া ও (মদীনার) পূর্ব দিকের অধিবাসীদের কিবলা পূর্বে বা পশ্চিমে নয়। কারণ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা পায়খানা বা পেশাব করতে কিবলামুখী হবে না, বরং তোমরা (উত্তর অঞ্চলের অধিবাসীরা) পূর্বদিকে কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাবে
  • ২৭১। মহান আল্লাহর বাণীঃ মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান রূপে গ্রহন কর (২:১২৫)
  • ২৭২। যেখানেই হোক (সালাতে) কিবলামুখী হওয়া।
  • ২৭৩। কিবলা সম্পর্কে বর্ণনা।
  • ২৭৪। মসজিদে থুথু হাতের সাহায্যে পরিষ্কার করা
  • ২৭৫। কাঁকর দিয়ে মসজিদ থেকে নাকের শ্লেস্মা পরিষ্কার করা।
  • ২৭৬। সালাতে ডান দিকে থুথু ফেলবে না
  • ২৭৭। থুথু যেন বাঁ দিকে অথবা পায়ের নীচে ফেলে
  • ২৭৮। মসজিদে থুথু ফেলার কাফফারা
  • ২৭৯। মসজিদে কফ পুঁতে ফেলা
  • ২৮০। থুথু ফেলতে বাধ্য হলে তা কাপড়ের কিনারে ফেলবে।
  • ২৮১। সালাত পূর্ণ করার ও কিবলার ব্যাপারে লোকদেরকে ইমামের উপদেশ দান।
  • ২৮২। অমুক গোত্রের মসজিদ বলা যায় কি?
  • ২৮৪। মসজিদে যাকে খয়ার দাওয়াত দেয়া হয়, আর যিনি তা কবুল করেন।
  • ২৮৫। মসজিদে বিচার করা ও নারী-পুরুষের মধ্যে লি’য়ান করা।
  • ২৮৬। কারো ঘরে প্রবেশ করলে যেখানে ইচ্ছা বা যেখানে নির্দেশ করা হয় সেখানেই সালাত আদায় করবে। এ ব্যাপারে বেশী খোঁজাখুঁজি করবে না।
  • ২৮৭। ঘরে মসজিদ তৈরী করা।
  • ২৮৮। মসজিদে প্রবেশ ও অন্যান্য কাজ ডান দিক থেকে আরম্ভ করা।
  • ২৮৯। জাহিলি যুগের মুশরিকদের কবর খুড়ে ফেলে মসজিদ নির্মাণ করা।
  • ২৯০। ছাগল থাকার স্থানে সালাত আদায় করা।
  • ২৯১। উট রাখার স্থানে সালাত আদায় করা।
  • ২৯২। চুলা আগুন বা এমন কোন বস্তু যার উপাসনা করা হয়, তা সামনে রেখে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করারই উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করা।
  • ২৯৩। কবরস্থানে সালাত আদায় করা মাকরূহ।
  • ২৯৪। আল্লাহর গযবে বিধ্বস্ত ও আযাবের স্থানে সালাত আদায় করা।
  • ২৯৫। গির্জায় সালাত আদায় করা।
  • ২৯৬। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ২৯৭। নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ আমার জন্য জমিনকে সালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্র হাসিলের উপায় করা হয়েছে।
  • ২৯৮। মসজিদে মহিলাদের ঘুমানো
  • ২৯৯। মসজিদে পুরুষের ঘুমানো।
  • ৩০০। সফর থেকে ফিরে আসার পর সালাত।
  • ৩০১। তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকাত সালাত আদায় করে নেয়।
  • ৩০২। মসজিদে হাদাস হওয়া (উযূ নষ্ট হওয়া)
  • ৩০৩। মসজিদ নির্মাণ করা।
  • ৩০৪। মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা।
  • ৩০৫। কাঠের মিম্বর তৈরী ও মসজিদ নির্মাণে কাঠমিস্ত্রী ও রাজমিস্ত্রীর সাহায্য গ্রহণ করা।
  • ৩০৬। যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে।
  • ৩০৭। মসজিদ অতিক্রম কালে তীরের ফলক ধরে রাখবে।
  • ৩০৮। মসজিদ অতিক্রম করা।
  • ৩০৯। মসজিদে কবিতা পাঠ
  • ৩১০। বর্শা নিয়ে মসজিদে প্রবেশ
  • ৩১১। মসজিদের মিম্বরে ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা
  • ৩১২। মসজিদে ঋণ পরিশোধের তাগাদা দেওয়া ও চাপ সৃষ্টি করা
  • ৩১৩। মসজিদে ঝাড়ু দেয়া এবং ন্যাকড়া, আবর্জনা ও কাঠ খড়ি কুড়ানো
  • ৩১৪। মসজিদে মদের ব্যবসা হারাম ঘোষণা করা
  • ৩১৫। মসজিদের জন্য খাদিম।
  • ৩১৬। কয়েদী অথবা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে মসজিদে বেঁধে রাখা
  • ৩১৭। ইসলাম গ্রহণের সময় গোসল করা এবং এবং কয়েদীকে মসজিদে বাঁধা।
  • ৩১৮। রোগী ও অন্যদের জন্য মসজিদে তাঁবু স্থাপন
  • ৩১৯। প্রয়োজনে উট নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
  • ৩২০। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৩২১। মসজিদে ছোট দরজা ও পথ বানানো
  • ৩২২। বায়তুল্লাহ ও অন্যান্য মসজিদের দরজা রাখা ও তালা লাগানো।
  • ৩২৩। মসজিদে মুশরিকের প্রবেশ
  • ৩২৪। মসজিদে আওয়াজ উঁচু করা
  • ৩২৫। মসজিদে হাল্কা বাঁধা ও বসা
  • ৩২৬। মসজিদে চিত হয়ে শোয়া
  • ৩২৭। লোকের অসুবিধা না হলে রাস্তায় মসজিদ বানানো বৈধ।
  • ৩২৮। বাজারের মসজিদে সালাত আদায়।
  • ৩২৯। মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুল প্রবেশ করানো
  • ৩৩০। মদীনার রাস্তার মসজিদসমূহ এবং যে সকল স্থানে নবী (ﷺ) সালাত আদায় করেছিলেন
  • ৩৩১। ইমামের সুতরাই মুকতাদীর জন্য যথেষ্ট
  • ৩৩২। মুসল্লী ও সুতরার মাঝখানে কি পরিমাণ দূরত্ব থাকা উচিত
  • ৩৩৩। বর্শা সামনে রেখে সালাত আদায়
  • ৩৩৪। লৌহযুক্ত ছড়ি সামনে রেখে সালাত আদায়
  • ৩৩৫। মক্কা ও অন্যান্য স্থানে সুতরা
  • ৩৩৬। স্তম্ভ (থাম) সামনে রেখে সালাত আদায়।
  • ৩৩৭। জামা’আত ব্যতীত স্তম্ভসমূহের মাঝখানে সালাত আদায় করা
  • ৩৩৮। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৩৩৯। উটনী, উট, গাছ ও হাওদা সামনে রেখে সালাত
  • ৩৪০। চৌকি সামনে রেখে সালাত আদায় করা
  • ৩৪১। সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীকে মুসল্লীর বাধা দেয়া উচিত।
  • ৩৪২। মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে গমন কারীর গুনাহ
  • ৩৪৩। কারো দিকে মুখ করে সালাত আদায়।
  • ৩৪৪। ঘুমন্ত ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায়
  • ৩৪৫। মহিলার পেছন থেকে নফল সালাত আদায়
  • ৩৪৬। কোন কিছু সালাত নষ্ট করে না বলে যিনি মত পোষণ করেন
  • ৩৪৭। সালাতে নিজের ঘাড়ে কোন ছোট মেয়েকে তুলে নেয়া
  • ৩৪৮। এমন বিছানা সামনে রেখে সালাত আদায় করা যাতে ঋতুবতী মহিলা রয়েছে
  • ৩৪৯। সিজদার সুবিধার্থে নিজ স্ত্রীকে সিজদার সময় স্পর্শ করা
  • ৩৫০। মুসল্লীর দেহ থেকে মহিলা কর্তৃক নাপাকী পরিষ্কার করা
  • ৯/ সালাতের ওয়াক্তসমূহ (كتاب مواقيت الصلاة) ৭৯ টি | ৪৯৭-৫৭৫ পর্যন্ত 9/ Time of Prayers
  • ৩৫১। সালাতের সময় ও তার ফযীলত।
  • ৩৫২। আল্লাহ্‌ তায়ালার বাণীঃ আল্লাহর প্রতি নিবিষ্ট চিত্ত হয়ে এবং তোমরা তাঁকে ভয় করো আর সালাত কায়িম করো, এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয় না।
  • ৩৫৩। সালাত কায়েমের বায়'আত গ্রহণ।
  • ৩৫৪। সালাত হল (গুনাহর) কাফফারা।
  • ৩৫৫। যথাসময়ে সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৩৫৬। পাঁচ ওয়াক্তের সালাত (গুনাসমূহের) কাফ্‌ফারা।
  • ৩৫৭। নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে সালাত আদায় করে তার হক নষ্ট করা।
  • ৩৫৮। মুসল্লী সালাতে তার মহান প্রতিপালকের সাথে গোপনে কথা বলে।
  • ৩৫৯। প্রচণ্ড গরমের সময় যুহরের সালাত ঠাণ্ডায় আদায় করা।
  • ৩৬০। সফরকালে গরম কমে গেলে যুহরের সালাত আদায়।
  • ৩৬১। যুহরের ওয়াক্ত হয় সূর্য ঢলে পড়লে।
  • ৩৬২। যুহারের সালাত আসরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত বিলম্ব করা।
  • ৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
  • ৩৬৪। আসরের ওয়াক্ত।
  • ৩৬৫। যে ব্যাক্তির আসরের সালাত ফাউত হল তার গুনাহ।
  • ৩৬৬। যে ব্যাক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দিল তার গুনাহ
  • ৩৬৭। আসরের সালাতের ফযীলত
  • ৩৬৮। সূর্যাস্তের পূর্বে যে ব্যাক্তি আসরের এক রাকআত পায়।
  • ৩৬৯। মাগরিবের ওয়াক্ত। আতা রহঃ বলেন, রুগ্ন ব্যাক্তি মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করতে পারে।
  • ৩৭০। মাগরিবকে ইশা বলা যিনি পছন্দ করেন না।
  • ৩৭১। ইশা ও আতামা এর বর্ণনা এবং যিনি এতে কোন আপত্তি করেন না।
  • ৩৭২। ইশার সালাতের ওয়াক্ত লোকজন জামায়েত হয়ে গেলে বা বিলম্বে এলে
  • ৩৭৩। ইশার সালাতের ফযীলত
  • ৩৭৪। ইশার সালাতের আগে ঘুমানো মাকরূহ।
  • ৩৭৫। ঘুম প্রবল হলে ইশার আগে ঘুমানো।
  • ৩৭৬। রাতের অর্ধাংশ পর্যন্ত ইশার ওয়াক্ত।
  • ৩৭৭। ফজরের সালাতের ফযীলত
  • ৩৭৮। ফজরের ওয়াক্ত
  • ৩৭৯। যে ব্যাক্তি ফজরের এক রাকআত পেল।
  • ৩৮০। যে ব্যাক্তি সালাতের এক রাকআত পেল।
  • ৩৮১। ফজরের পর সূর্য উঠার আগে সালাত আদায়।
  • ৩৮২। সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে সালাত আদায়ের উদ্যোগ নিবে না।
  • ৩৮৩। যিনি আসরের ও ফজরের পর ব্যাতিত অন্য সাময়ে সালাত আদায় মাকরূহ মনে করেন না।
  • ৩৮৪। আসরের পর কাযা বা অনুরূপ কোন সালাত আদায় করা।
  • ৩৮৫। মেঘলা দিনে শীগ্র সালাত আদায় করা
  • ৩৮৬। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর আযান দেওয়া।
  • ৩৮৭। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর লোকদের নিয়ে জামা'আতে সালাত আদায় করা।
  • ৩৮৮। কেউ যদি কোন ওয়াক্তের সালাত আদায় করতে ভুলে যায়, তাহলে যখন স্মরণ হবে, তখন সে তা আদায় করে নিবে। সে সালাত ব্যাতিত অন্য সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না।
  • ৩৮৯। একাধিক সালাতের কাযা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
  • ৩৯০। ইশার সালাতের পর গল্প গুজব করা মাকরূহ।
  • ৩৯১। ইশার পর জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণকর বিষয়ের আলোচনা।
  • ৩৯২। পরিবার-পরিজন ও মেহমানদের সাথে রাতে কথাবার্তা বলা।
  • ১০/ আযান (كتاب الأذان) ২৫৬ টি | ৫৭৬-৮৩১ পর্যন্ত 10/ Call of Prayers (Adhaan)
  • ৩৯৩। আযানের সূচনা।
  • ৩৯৪। দু' দু'বার আযানের শব্দ বলা।
  • ৩৯৫। কাদ কামাতিস - সালাতু ব্যাতিতি ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে বলা।
  • ৩৯৬। আযানের ফযীলত।
  • ৩৯৭। আযানের স্বর উচ্চ করা।
  • ৩৯৮। আযানের কারণে রক্তপাত থেকে নিরাপত্তা পাওয়া।
  • ৩৯৯। মুয়াজ্জিনের আযান শুনলে যা বলতে হয়।
  • ৪০০। আযানের দু'আ
  • ৪০১। আযানের ব্যাপারে কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন।
  • ৪০২। আযানের মধ্যে কথা বলা।
  • ৪০৩। সময় বলে দেওয়ার লোক থাকলে অন্ধ ব্যাক্তি আযান দিতে পারে।
  • ৪০৪। ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আযান দেওয়া।
  • ৪০৫। ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে আযান দেওয়া।
  • ৪০৬। আযান ইকামতের মধ্যে ব্যাবধান কতটুকু।
  • ৪০৭। ইকামতের জন্য অপেক্ষা করা।
  • ৪০৮। কেউ ইচ্ছা করলে আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করতে পারেন।
  • ৪০৯। সফরে এক মুয়াজ্জিন যেন আযান দেয়।
  • ৪১০। মুসাফিরদের জামা'আত হলে আযান ও আকামত দেওয়া; আরাফা ও মুযদালিফার হুকুমও অনুরূপ প্রচণ্ড শীতের রাতে ও বৃষ্টির সময় মুয়াজ্জিনের এ মর্মে ঘোষণা করা যে, আবাসস্থলই সালাত।
  • ৪১১. মুয়ায্‌যিন কি আযানের সময় ডানে বামে মুখ ফিরাবেন এবং এদিক সেদিক তাকাতে পারবেন?
  • ৪১২. আমাদের সালাত ফাওত হয়ে গেছে’ কারো এরুপ বলা অপছন্দনীয়। বরং আমরা সালাত পাইনি’ এরুপ বলা উচিত। তবে এ ব্যাপারে নবী (ﷺ) যা বলেছেন তাই সঠিক।
  • ৪১৩। সালাতের (জামা’আত) দিকে দৌড়ে আসবে না, বরং শান্তি ও ধীরস্থির ভাবে আসবে।
  • ৪১৪। ইকামতের সময় ইমামকে দেখলে লোকেরা কখন দাঁড়াবে।
  • ৪১৫। তাড়াহুড়া করে সালাতের দিকে দৌড়াতে নেই বরং শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে দাঁড়াবে।
  • ৪১৬। কোন কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যায় কি?
  • ৪১৭। ইমাম যদি বলেন আমি ফিরে আসা পর্যন্ত তোমরা অপেক্ষা কর, তাহলে মুক্তাদিগণ তার জন্য অপেক্ষা করবে।
  • ৪১৮। আমরা সালাত আদায় করিনি’ কারোও এরুপ বলা।
  • ৪১৯। ইকামাতের পর ইমামের কোন প্রয়োজন দেখা দিলে।
  • ৪২০। সালাতের ইকামাত হয়ে গেলে কথা বলা।
  • ৪২১। জামা’আতে সালাত আদায় করা ওয়াজিব।
  • ৪২২। জামা’আতে সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৪২৩। জামা’আতে ফজরের সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৪২৪। আউয়াল ওয়াক্তে যোহরের সালাতে যাওয়ার ফযীলত।
  • ৪২৫। (মসজিদে গমনে) প্রতি কদমে সাওয়াবের আশা রাখা।
  • ৪২৬। ইশার সালাত জামা’আতে আদায় করার ফযীলত।
  • ৪২৭। দু’ব্যক্তি বা তার বেশি হলেই জামা’আত।
  • ৪২৮। যিনি সালাতের অপেক্ষায় মসজিদে বসে থাকেন, তাঁর এবং মসজিদের ফযিলত।
  • ৪২৯। সকাল- বিকেল মসজিদে যাওয়ার ফযীলত।
  • ৪৩০। ইকামত হয়ে গেলে ফরয ব্যতীত অন্য কোন সালাত নেই।
  • ৪৩১। কি পরিমাণ রোগ থাকা সত্ত্বেও জামা’আতে শামিল হওয়া উচিত।
  • ৪৩২। বৃষ্টি এবং অন্য কোন ওযর নিজ আবাসে সালাত আদায়ের অনুমতি।
  • ৪৩৩। যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের নিয়েই কি ইমাম সালাত আদায় শুরু করবে এবং বৃষ্টির দিনে কি জুমু’আর খুৎবা দিবে?
  • ৪৩৪। খাবার উপস্থিত, এসময় সালাতের ইকামত হল।
  • ৪৩৫। খাবার হাতে থাকা অবস্থায় ইমামকে সালাতের দিকে আহ্বান করলে।
  • ৪৩৬। গার্হস্থ কর্মে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় ইকামত হলে, সালাতের জন্য বের হওয়া।
  • ৪৩৭। যিনি কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাত ও তাঁর সুন্নাত শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন।
  • ৪৩৮। বিজ্ঞ ও মর্যাদাশীল ব্যক্তিই ইমামতির অধিক হকদার।
  • ৪৩৯। কারণবশত ইমামের পাশে দাঁড়ানো।
  • ৪৪০। কোন ব্যাক্তি লোকদের ইমামতি করার জন্য অগ্রসর হলে যদি পূর্ব নির্ধারিত ইমাম এসে যান তাহলে তিনি পিছে সরে আসুন বা না আসুন উভয় অবস্থায় তাঁর সালাত আদায় হয়ে যাবে। এ মর্মে আয়িশা (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।
  • ৪৪১. একাধিক ব্যক্তি কিরাআতে সমান হলে, তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমাম হবেন।
  • ৪৪২. ইমাম অন্য লোকদের কাছে উপস্থিত হলে, তাদের ইমামতি করতে পারেন।
  • ৪৪৩. ইমাম নির্ধারন করা হয় অনুসরণ করার জন্য।
  • ৪৪৪. মুক্তাদিগন কখন সিজদায় যাবেন? আনাস (রাঃ) বলেন, যখন ইমাম সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে।
  • ৪৪৫. ইমামের আগে মাথা উঠানো গুনাহ।
  • ৪৪৬. গোলাম, আযাদকৃত গোলাম, অবৈধ সন্তান, বেদুঈন ও নাবালিগের ইমামতি।
  • ৪৪৭. যদি ইমাম সালাত সম্পুর্ণ ভাবে আদায় না করেন আর মুক্তাদিগণ তা সম্পুর্ণভাবে আদায় করেন।
  • ৪৪৮. ফিতনাবাজ ও বিদ’আতীর ইমামতি।
  • ৪৪৯. দু’জনে সালাত আদায় করলে, মুক্তাদী ইমামের ডানপাশে সোজাসুজি দাঁড়াবে।
  • ৪৫০. যদি কেউ ইমামের বাম পাশে দাঁড়ায় এবং ইমাম তাকে ডান পাশে নিয়ে আসেন, তবে কারো সালাত নষ্ট হয় না।
  • ৪৫১. যদি ইমাম ইমামতির নিয়ত না করেন এবং পরে কিছু লোক এসে শামিল হয় এবং তিনি তাদের ইমামতি করেন।
  • ৪৫২. যদি ইমাম সালাত দীর্ঘ করেন এবং কেউ প্রয়োজনবশত (জামাআত থেকে) বেরিয়ে এসে (একাকী) সালাত আদায় করে।
  • ৪৫৩. ইমাম কর্তৃক সালাতে কিয়াম সংক্ষিপ্ত করা এবং রুকু ও সেজদা পুর্ণ ভাবে আদায় করা।
  • ৪৫৪. একাকী সালাত আদায় করলে ইচ্ছানুসারে দীর্ঘায়িত করতে পারে।
  • ৪৫৫. ইমাম সালাত দীর্ঘায়িত করলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা। আবু উসাইদ (র.) তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, বেটা! তুমি আমাদের সালাত দীর্ঘায়িত করে ফেলেছ।
  • ৪৫৬. সালাত সংক্ষেপে এবং পুর্ণভাবে আদায় করা।
  • ৪৫৭. শিশুর কান্নাকাটির কারণে সালাত সংক্ষেপ করা।
  • ৪৫৮. নিজের সালাত আদায় করার পর অন্যে লোকের ইমামতি করা।
  • ৪৫৯. লোকদেরকে ইমামের তাকবীর শোনান।
  • ৪৬০. কোন ব্যক্তির ইমামের ইকতিদা করা এবং অন্যদের সেই মুক্তাদির ইকতিদা করা।
  • ৪৬১. ইমামের সন্দেহ হলে মুক্তাদিদের মত গ্রহণ করা।
  • ৪৬২. সালাতে ইমাম কেঁদে ফেললে।
  • ৪৬৩. ইকামতের সময় এবং এর পরে কাতার সোজা করা।
  • ৪৬৪. কাতার সোজা করার সময় মুকতাদির প্রতি ইমামের ফিরে দেখা।
  • ৪৬৫. প্রথম কাতার
  • ৪৬৬. কাতার সোজা করা সালাতের পুর্ণতার অঙ্গ।
  • ৪৬৭. কাতার সোজা না করার গুনাহ।
  • ৪৬৮. কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ ও পায়ের সাথে পা মেলানো।
  • ৪৬৯. কেউ ইমামের বাম পাশে দাঁড়ালে ইমাম তাকে পিছনে ঘুরিয়ে ডানপাশে দাঁড় করালে সালাত আদায় হবে।
  • ৪৭০. মহিলা একজন হলেও ভিন্ন কাতারে দাঁড়াবে।
  • ৪৭১. মসজিদ ও ইমামের ডানদিক।
  • ৪৭২. ইমাম ও মুক্তাদির মধ্যে দেয়াল বা সুতরা থাকলে।
  • ৪৭৩. রাতের সালাত।
  • ৪৭৪. ফরয তাকবীর বলা ও সালাত শুরু করা।
  • ৪৭৫. সালাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো।
  • ৪৭৬. তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু থেকে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো।
  • ৪৭৭. উভয় হাত কতটুকু উঠাবে। আবূ হুমাইদ (র.) তাঁর সাথীদের বলেছেন যে, নবী (সাঃ) কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন।
  • ৪৭৮. দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু’হাত উঠানো।
  • ৪৭৯. সালাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।
  • ৪৮০. সালাতে খুশু’ (বিনয়, নম্রতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও তন্ময়তা)।
  • ৪৮১. তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে।
  • ৪৮২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৪৮৩. সালাতে ইমামের দিকে তাকানো।
  • ৪৮৪. সালাতে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকানো।
  • ৪৮৫. সালাতে এদিক ওদিক তাকান।
  • ৪৮৬. সালাতের মধ্যে কোন কিছু ঘটলে বা কোন কিছু দেখলে বা কিবলার দিকে থুথু দেখলে, সে দিকে তাকান। সাহল (র.) বলেছেন, আবূ বকর (রাঃ) তাকালেন এবং নবী (ﷺ)-কে দেখলেন।
  • ৪৮৭. সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরাআত পড়া যরুরী, মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের সালাত হোক বা নিঃশব্দের, সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরাআত পড়া যরুরী।
  • ৪৮৮. যুহরের সালাতে কিরাআত পড়া।
  • ৪৮৯. আসরের সালাতে কিরাআত।
  • ৪৯০. মাগরিবের সালাতে কিরাআত।
  • ৪৯১. ইশার সালাতে সশব্দে কিরাআত।
  • ৪৯২. ইশার সালাতে সিজদার আয়াত (সম্বলিত সূরা) তিলওয়াত।
  • ৪৯৩. ইশার সালাতে কিরাআত।
  • ৪৯৪. প্রথম দু’রাকাআতে কিরায়াত দীর্ঘ করা ও শেষ দু’রাকায়াতে তা সংক্ষেপ করা।
  • ৪৯৫. ফজরের সালাতে কিরাআত। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, নবী (সাঃ) সূরা তূর পড়েছেন।
  • ৪৯৬. ফজরের সালাতে স্বশব্দে কিরাআত।
  • ৪৯৭. এক রাকাআতে দু’সূরা মিলিয়ে পড়া, সূরার শেষাংশ পড়া, এক সূরার আগে আরেক সূরা পড়া এবং সূরার প্রথমাংশ পড়া।
  • ৪৯৮. শেষ দু’রাকাইতে সূরা ফাতিহাহ্ পড়া।
  • ৪৯৯. যুহরে ও আসরে নিঃশব্দে কিরাআত পড়া।
  • ৫০০. ইমাম আয়াত শুনিয়ে পাঠ করলে।
  • ৫০১. প্রথম রাকাআতে কিরাআতে দীর্ঘ করা।
  • ৫০২. ইমামের সশব্দে ‘আমীন’ বলা।
  • ৫০৩. আমীন বলার ফযীলত
  • ৫০৪. মুকতাদীর সশব্দে ‘আমীন’ বলা।
  • ৫০৫. কাতারে পৌছার আগেই রুকূতে চলে গেলে।
  • ৫০৬. রুকূ’তে তাকবীর পূর্ণভাবে বলা।
  • ৫০৭. সিজদার তাকবীর পূর্ণভাবে বলা।
  • ৫০৮. সিজদা থেকে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলা।
  • ৫০৯. রুকূ’তে হাঁটুর উপর হাত রাখা। আবূ হুমাইদ (রা.) তাঁর সঙ্গীদের সামনে বলেছেন, নবী (ﷺ) (রুকূ’র সময়) দু’হাত দিয়ে উভয় হাঁটুতে ভর দিতেন।
  • ৫১০. যদি কেউ সঠিকভাবে রুকু’ না করে।
  • ৫১২. রুকূ’ পূর্ণ করার সময় সীমা এবং এতে মধ্যম পন্থা ও ধীরস্থিরতা অবলম্বন।
  • ৫১৩. যে ব্যক্তি সঠিক রুকু’ করেনি তাকে পুণরায় সালাত আদায়ের জন্য নবী (ﷺ) এর নির্দেশ।
  • ৫১৪. রুকূ’তে দু’আ।
  • ৫১৫. রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময় ইমাম ও মুকতাদী যা বলবেন।
  • ৫১৬. ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’-এর ফযীলত।
  • ৫১৭. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৫১৮. রুকূ’ থেকে মাথা উঠানের পর স্থির হওয়া। আবূ হুমাইদা (র.) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) উঠে এমনভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যে, মেরুদন্ডের হাড় যথাস্থানে ফিরে আসতো।
  • ৫১৯. সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে নত হওয়। নাফি’ (র.) বলেন, ইবন উমর (রা.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার আগে হাত রাখতেন।
  • ৫২০. সিজদার ফযীলত
  • ৫২১. সিজদার সময় দু’বাহু পার্শ্ব দেশ থেকে পৃথক রাখা।
  • ৫২৩. পূর্ণভাবে সিজদা না করলে।
  • ৫২৪. সাত অঙ্গ দ্বারা সিজদা করা।
  • ৫২৫. নাক দ্বারা সিজদা করা।
  • ৫২৬. নাক দ্বারা কাদামাটির উপর সিজদা করা।
  • ৫২৭. কাপড়ে গিরা লাগানো ও তা বেঁধে নেওয়া এবং সতর প্রকাশ হয়ে পড়ার আশংকায় কাপড় জড়িয়ে নেওয়া।
  • ৫২৮. (সালাতের মধ্যে মাথার) চুল একত্র করবে না।
  • ৫২৯. সালাতের মধ্যে কাপড় টেনে না ধরা।
  • ৫৩০. সিজদায় তাসবীহ ও দু’আ পাঠ।
  • ৫৩১. দু' সিজদার মধ্যে অপেক্ষা করা।
  • ৫৩২. সিজদায় কনুই বিছিয়ে না দেওয়া। আবূ হুমাইদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) সিজদা করেছেন এবং তাঁর দু’হাত রেখেছেন, কিন্তু বিছিয়েও দেননি আবার তা গুটিয়েও রাখেন নি।
  • ৫৩৩. সালাতের বেজোড় রাকাআতে সিজদা থেকে উঠে বসার পড় দাঁড়ানো।
  • ৫৩৪. রাকাআত শেষে কিভাবে জমিতে ভর দিয়ে দাঁড়াবে।
  • ৫৩৫. দু’ সিজদার শেষে উঠার সময় তাকবীর বলবে। ইবন যুবায়র (রা.) উঠার সময় তাকবীর বলতেন।
  • ৫৩৬. তাশাহহুদে বসার পদ্ধতি।
  • ৫৩৭. যারা প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ ওয়াজিব নয় বলে মনে করেন। কেননা, নবী (ﷺ) দু’ রাকাআত শেষে (তাশাহহুদ না পড়ে) দাঁড়ালেন এবং আর (বসার জন্য) ফেরেন নি।
  • ৫৩৮. প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা।
  • ৫৩৯. শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া।
  • ৫৪০. সালামের পূর্বে দু’আ।
  • ৫৪১. তাশাহহুদের পর যে দু’আটি বেছে নেওয়া হয়, অথচ তা ওয়াজিব নয়।
  • ৫৪২. সালাত শেষ হওয়া পযন্ত যিনি কপাল ও নাকের ধুলাবালি মোছেন নি।
  • ৫৪৩. সালাম ফিরান
  • ৫৪৪. ইমামের সালাম ফিরানের সময় মুকতাদীগণও সালাম ফিরাবে।
  • ৫৪৫. যারা ইমামের সালামের জবাব দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন না এবং সালাতের সালামকেই যথেষ্ট মনে করেন।
  • ৫৪৬. সালামের পর যিকর।
  • ৫৪৭. সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদীগণের দিকে ফিরবেন ।
  • ৫৪৮. সালামের পরে ইমামের মুসাল্লায় বসে থাকা।
  • ৫৪৯. মুসল্লীদের নিয়ে সালাত আদায়ের পর কোন প্রয়োজনীয় কথা মনে পড়লে তাদের ডিঙ্গিয়ে যাওয়া।
  • ৫৫০. সালাত শেষে ডান বা বাঁ দিকে ফিরে যাওয়া।
  • ৫৫১. কাচা রসুন, পিয়াজ ও দুর্গন্ধ যুক্ত মশলা বা তরকারী।
  • ৫৫২. শিশুদের উযূ করা, কখন তাদের উপর গোসল ও পবিত্রতা অর্জন ওয়াজিব হয় এবং সালাতের জামা’আতে, দু’ঈদে এবং জানাযায় তাদের হাযির হওয়া এবং কাতারবন্দী হওয়া ।
  • ৫৫৩. রাতে ও অন্ধকারে মহিলাগণের মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হওয়া।
  • ৫৫৪. পুরুষগণের পিছনে মহিলাগণের সালাত।
  • ৫৫৬. মসজিদে যাওয়ার জন্য স্বামীর নিকট মহিলার অনুমতি চাওয়া।
  • ১১/ জুমু'আ (كتاب الجمعة) ৬৩ টি | ৮৩২-৮৯৪ পর্যন্ত 11/ Friday prayer (Jumu'a)
  • ৫৫৭. জুমু’আ ফরয হওয়া।
  • ৫৫৮. জুমু’আর দিন গোসল করার ফযীলত। শিশু কিংবা মহিলাদের জুমু’আর দিনে (সালাতের জন্য) হাযির হওয়া কি প্রয়োজন ?
  • ৫৫৯. জুমু’আর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার ।
  • ৫৬০. জুমু’আর ফযীলত ।
  • ৫৬১. জুমু’আর জন্য তৈল ব্যবহার ।
  • ৫৬২. যা আছে তার মধ্য থেকে উত্তম কাপড় পরিধান করবে ।
  • ৫৬৩. জুমু’আর দিন মিসওয়াক করা।
  • ৫৬৪. অন্যের মিসওয়াক দিয়ে মিসওয়াক করা।
  • ৫৬৫. জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে কী পড়তে হবে?
  • ৫৬৬. গ্রামে ও শহরে জুমু’আর সালাত ।
  • ৫৬৭. মহিলা, বালক-বালিকা এবং অন্য যারা জুমু’আয় হাযির হয় না, তাদের কি গোসল করা প্রয়োজন? ইবন উমর (রাঃ) বলেছেন, যাদের উপর সালাত ওয়াজিব, শুধু তাদের গোসল করা প্রয়োজন ।
  • ৫৬৮. বৃষ্টির কারণে জুমু’আর সালাতে হাযির না হওয়ার অবকাশ ।
  • ৫৬৯. কতদুর থেকে জুমু’আর সালাতে আসবে এবং জুমু’আ কার উপর ওয়াজিব? কেননা, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ জুমু’আর দিন যখন সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, (তখন) আল্লাহ্‌র যিকরের দিকে দৌড়িয়ে যাও।
  • ৫৭০. সূর্য হেলে গেলে জুমু’আর ওয়াক্ত হয়।
  • ৫৭১. জুমু’আর দিন যখন সূর্যের তাপ প্রখর হয় ।
  • ৫৭২. জুমু’আর জন্য পায়ে হেঁটে চলা।
  • ৫৭৩. জুমু’আর দিন সালাতে দু’জনের মধ্যে ফাঁক না করা ।
  • ৫৭৪. জুমু’আর দিন কোন ব্যক্তি তার ভাইকে উঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বসবে না ।
  • ৫৭৫. জুমু’আর দিনের আযান ।
  • ৫৭৬. জুমু’আর দিন এক মুয়াজ্জিনের আযান দেওয়া ।
  • ৫৭৭. ইমাম মিম্বরের উপর বসে জবাব দিবেন, যখন আযানের আওয়ায শুনবেন।
  • ৫৭৮. আযানের সময় মিম্বারের উপর বসা।
  • ৫৭৯. খুতবার সময় আযান।
  • ৫৮০. মিম্বরের উপর খুতবা দেওয়া। আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী করীম (ﷺ) মিম্বর থেকে খুতবা দিতেন।
  • ৫৮১. দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া। আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন।
  • ৫৮২. খুতবার সময় মুসাল্লীগণের ইমামের দিকে আর ইমাম মুসাল্লীগণের দিকে মুখ করা। ইবন উমর ও আনাস (রাঃ) ইমামের দিকে মুখ করতেন।
  • ৫৮৩. খুতবায় আল্লাহ্‌র প্রশংসার পর ‘আম্‌মা বা’দু’ বলা।
  • ৫৮৪. জুমু’আর দিন খুতবার মাঝে বসা।
  • ৫৮৫. মনোযোগসহ খুতবা শোনা ।
  • ৫৮৬. ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কাউকে আসতে দেখলে তাকে দু’ রাকা’আত সালাত আদায়ের আদেশ দেওয়া।
  • ৫৮৭. ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় যিনি মসজিদে আসবেন তার সংক্ষেপে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করা।
  • ৫৮৮. খুতবায় দু’হাত উঠানো ।
  • ৫৮৯. জুমু’আর দিন খুতবায় বৃষ্টির জন্য দু’আ ।
  • ৫৯০. জুমু’আর দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় অন্যকে চুপ করানো। যদি কেউ তার সাথীকে (মুসল্লীকে) বলে চুপ থাক, তাহলে সে একটি অনর্থক কথা বললো।
  • ৫৯১. জুমুআর দিনের সে মুহূর্তটি।
  • ৫৯২. জুমু’আর সালাতে কিছু মুসল্লী যদি ইমামের নিকট থেকে চলে যান তা হলে ইমাম ও অবশিষ্ট মুসল্লীগণের সালাত জায়িয হবে।
  • ৫৯৩. জুমু’আর (ফরয সালাতের) আগে ও পরে সালাত আদায় করা ।
  • ৫৯৪. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “অতঃপর যখন সালাত শেষ হবে তখন তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সন্ধান করবে।
  • ৫৯৫. জুমু’আর পরে কায়লূলা (দুপুরের শয়ন ও হালকা নিদ্রা) ।
  • ১২/ শত্রুভীতি অবস্থায় সালাত (كتاب صلاة الخوف) ৬ টি | ৮৯৫-৯০০ পর্যন্ত 12/ Fear Prayer
  • ৫৯৬. খাওফের সালাত (শত্রুভীতি অবস্থায় সালাত)।
  • ৫৯৭. পদাতিক বা আরোহী অবস্থায় খাওফের সালাত ।
  • ৫৯৮. খাওফের সালাতে মুসল্লীগণের একাংশ অন্য অংশকে পাহারা দিবে।
  • ৫৯৯. দুর্গ অবরোধ ও শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় সালাত।
  • ৬০০. শত্রুর পশ্চাদ্ধাবনকারী ও শত্রুতাড়িত ব্যক্তির আরোহী অবস্থায় ও ইশারায় সালাত আদায় করা।
  • ৬০১. তাকবীর বলা, ফজরের সালাত সময় হওয়া মাত্র আদায় করা এবং শত্রুর উপর অতর্কিত আক্রমন ও যুদ্ধাবস্থায় সালাত।
  • ১৩/ দুই ঈদ (كتاب العيدين) ৩৬ টি | ৯০১-৯৩৬ পর্যন্ত 13/ The Two Festivals (Eids)
  • ৬০২. দুই ঈদ ও এতে সুন্দর পোশাক পরা
  • ৬০৩. ঈদের দিন বর্ষা ও ঢালের খেলা।
  • ৬০৪. মুসলিমগণের প্রতি উভয় ঈদের রীতিনীতি।
  • ৬০৫. ঈদুল ফিতরের দিন বের হওয়ার আগে আহার করা।
  • ৬০৬. কুরবানীর দিন আহার করা।
  • ৬০৭. মিম্বর না নিয়ে ঈদগহে গমন।
  • ৬০৮. পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামাআতে যাওয়া এবং আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করা।
  • ৬০৯. ঈদের সালাতের পর খুতবা।
  • ৬১০. ঈদের জামা’আতে এবং হারাম শরীফে অস্ত্রবহণ নিষিদ্ধ।
  • ৬১১. ঈদের সালাতের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া।
  • ৬১২. তাশরীকের দিনগুলোতে আমলের ফযীলত।
  • ৬১৩. মিনা এর দিনগুলোতে এবং সকালে আরাফায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলা।
  • ৬১৪. ঈদের দিন বর্শা সামনে পুতে সালাত আদায়।
  • ৬১৫. ঈদের দিন ইমামের সামনে বল্লম অথবা বর্শা বহন করা।
  • ৬১৬. মহিলাদের এবং মাসিকচলা মহিলাদের ঈদগাহে গমন।
  • ৬১৭. বালকদের ঈদগাহে গমন।
  • ৬১৮. ঈদের খুতবা দেওয়ার সময় মুসল্লীগণের দিকে ইমামের মুখ করে দাঁড়ানো।
  • ৬১৯. ঈদগাহে চিহ্ন রাখা।
  • ৬২০. ঈদের দিন মহিলাগণের প্রতি ইমামের উপদেশ দেওয়া।
  • ৬২১. ঈদের সালাতে যাওয়ার জন্য মহিলাগনের ওড়না না থাকলে।
  • ৬২২. ঈদগাহে ঋতুমতী মহিলাগনের পৃথক অবস্থান।
  • ৬২৩. কুরবানীর দিন ঈদগাহে নাহর ও যবেহ।
  • ৬২৪. ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট কোন প্রশ্ন করা হলে।
  • ৬২৫. ঈদের দিন ফিরার সময় যে ব্যক্তি ভিন্ন পথে আসে।
  • ৬২৬. কেই ঈদের সালাত না পেলে সে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে।
  • ৬২৭. ঈদের সালাতের পুর্বে ও পরে সালাত আদায় করা।
  • ১৪/ বিতর সালাত (كتاب الوتر) ১৪ টি | ৯৩৭-৯৫০ পর্যন্ত 14/ Witr Prayer
  • ৬২৮. বিতরের বিবরণ।
  • ৬২৯. বিতরের সময়।
  • ৬৩০. বিতরের জন্য নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক তার পরিবারবর্গকে জাগানো।
  • ৬৩১. রাতের সর্বশেষ সালাত যেন বিতর হয়।
  • ৬৩২. সাওয়ারী জন্তুর উপর বিতরের সালাত।
  • ৬৩৩. সফর অবস্থায় বিতর।
  • ৬৩৪. রুকুর আগে ও পরে কুনূত পাঠ করা।
  • ১৫/ বৃষ্টির জন্য দু'আ (كتاب الاستسقاء) ৩২ টি | ৯৫১-৯৮২ পর্যন্ত 15/ Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
  • ৬৩৫. বৃষ্টির জন্য দু'আ এবং দু'আর উদ্দেশ্যে নবী (ﷺ) এর বের হওয়া।
  • ৬৩৬. নবী (ﷺ) এর দু'আ ইউসুফ (আঃ) এর যমানার দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর মত (এদের উপরেও) কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দিন।
  • ৬৩৭. অনাবৃষ্টির সময় লোকদের ইমামের নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আর আবেদন।
  • ৬৩৮. ইসতিসকায় চাদর উল্টানো।
  • ৬৪০. জামে মসজিদে বৃষ্টির জন্য দু’আ।
  • ৬৪১. কিবলার দিকে মুখ না করে জুমু’আর খুতবায় বৃষ্টির জন্য দু’আ করা।
  • ৬৪২. মিম্বারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া।
  • ৬৪৩. বৃষ্টির দু’আর জন্য জুমু’আর সালাতকে যথেষ্ঠ মনে করা।
  • ৬৪৪. অধিক বৃষ্টির কারণে রাস্তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দু’আ করা।
  • ৬৪৫. বলা হয়েছে, জুমু’আর দিন বৃষ্টির জন্য দু’আ করার সময় নবী (ﷺ) তাঁর চাঁদর উল্টান নি।
  • ৬৪৬. বৃষ্টির জন্য ইমামকে দু’আ করার অনুরোধ করা হলে তা প্রত্যাখ্যান না করা।
  • ৬৪৭. দুর্ভিক্ষের সময় মুশরিকরা মুসলিমদের নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আর আবেদন করলে।
  • ৬৪৮. অধিক বর্ষনের সময় এ রূপ দু’আ করা “যেন পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি হয় আমাদের এলাকায় হয়।
  • ৬৪৯. দাঁড়িয়ে ইসতিসকার দু’আ করা।
  • ৬৫০. ইসতিসকায় সশব্দে কিরাআত পাঠ।
  • ৬৫১. নবী (ﷺ) কিভাবে মানুষের দিকে পিঠ ফিরালেন।
  • ৬৫২. ইসতিসকার সালাত দু’রাকাআত।
  • ৬৫৩. ঈদগাহে ইসতিসকা।
  • ৬৫৪. বৃষ্টির জন্য দু’আর সময় কিবলামুখী হওয়া।
  • ৬৫৫. ইসতিসকায় ইমামের সঙ্গে লোকদের হাত উঠানো।
  • ৬৫৬. ইসতিসকায় ইমামের হাত উঠানো।
  • ৬৫৭. বৃষ্টিপাতের সময় কি পড়তে হয়।
  • ৬৫৮. বৃষ্টিতে কেউ এমনভাবে ভিজে যাওয়া যে, দাঁড়ি বেয়ে পানি ঝরালো।
  • ৬৫৯. যখন বায়ু প্রবাহিত হয়।
  • ৬৬০. নবী (ﷺ) এর উক্তি, “আমাকে পূবালী হাওয়া দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে”।
  • ৬৬১. ভুমিকম্প ও কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।
  • ৬৬২. আল্লাহ্‌ তা’লার বাণীঃ وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ এবং তোমরা মিথ্যা আরোপকেই তোমাদের উপজীব্য করেছ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, 'রিযক' দ্বারা এখানে 'কৃতজ্ঞতা' বুঝানো হয়েছে।
  • ৬৬৩. কখন বৃষ্টি হবে তা মহান আল্লাহ্‌ ব্যতীত কেউ জানে না।
  • ১৬/ সূর্যগ্রহন (كتاب الكسوف) ২৩ টি | ৯৮৩-১০০৫ পর্যন্ত 16/ Eclipses
  • ৬৬৪. সুর্যগ্রহণের সময় সালাত।
  • ৬৬৫. সূর্যগ্রহণের সময় সাদাকা করা।
  • ৬৬৬. সালাতুল কুসূফের জন্য ‘আস-সালাতু জামিয়াতুন’ বলে আহ্বান।
  • ৬৬৭. সূর্যগ্রহণের সময় ইমামের খুৎবা।
  • ৬৬৮. ‘কাশাফাতিশ শামসু’ বলবে, না ‘খাসাফাতিশ শামসু’ বলবে? আল্লাহ্‌ তা’লা বলেছে, ওয়া খাসাফাল কামারু’।
  • ৬৬৯. নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ আল্লাহ্‌ তা’লা সূর্যগ্রহণ দিয়ে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন।
  • ৬৭০. সূর্যগ্রহণের সময় কবর আযাব থেকে পানাহ চাওয়া।
  • ৬৭১. সূর্যগ্রহনের সালাতে দীর্ঘ সিজদা করা।
  • ৬৭২. সূর্যগ্রহণের সালাত জামা’আতে আদায় করা।
  • ৬৭৩. সূর্যগ্রহণের সময় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের সালাত।
  • ৬৭৪. সূর্যগ্রহনের সময় গোলাম আযাদ করা পছন্দনীয়।
  • ৬৭৫. মসজিদে সূর্যগ্রহণের সালাত।
  • ৬৭৬. কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ হয় না।
  • ৬৭৭. সূর্যগ্রহণের সময় আল্লাহ্‌র যিকর।
  • ৬৭৮. সূর্যগ্রহনের সময় দু'আ।
  • ৬৮০. চন্দ্রগ্রহণের সালাত।
  • ৬৮১. সূর্যগ্রহনের সালাতে প্রথম রাকা’আত হবে দীর্ঘতর।
  • ৬৮২. সূর্যগ্রহণের সালাতে সশব্দে কিরআত পাঠ।
  • ১৭/ কুরআন তিলওয়াতে সিজদা (كتاب سجود القرآن) ১৩ টি | ১০০৬-১০১৮ পর্যন্ত 17/ Prostration During Recital of Qur'an
  • ৬৮৩. কুরআন তিলাওয়াতের সিজ্দা ও এর পদ্ধতি।
  • ৬৮৪. সূরা তানযীলুস্-সাজদা-এর সিজদা।
  • ৬৮৫. সূরা সোয়াদ- এর সিজ্দা।
  • ৬৮৬. সূরা আন্ নাজ্‌মের- এর সিজদা।
  • ৬৮৭. মুশরিকদের সাথে মুসলিমগণের সিজদা করা আর মুশরিকরা অপবিত্র। তাদের উযু হয় না। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) বিনা উযুতে তিলাওয়াতের সিজদা করেছেন।
  • ৬৮৮. যিনি সিজ্দার আয়াত তিলাওয়াত করলেন। অথচ সিজ্দা করলেন না।
  • ৬৮৯ সূরা ‘ইযাস্ সামাউন্ শাক্কাত’ এর সিজ্দা।
  • ৬৯০. তিলাওয়াতকারীর সিজদার কারণে সিজদা করা।
  • ৬৯১. ইমাম যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করেন তখন লোকের ভীড়।
  • ৬৯২. যাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা তিলাওয়াতের সিজদা ওয়াজিব করেন নি।
  • ৬৯৩. সালাতে সিজ্দার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজ্দা করা।
  • ৬৯৪. ভীড়ের কারণে সিজ্দা দিতে জায়গা না পেলে।
  • ১৮/ সালাতে কসর করা (كتاب التقصير) ৩৫ টি | ১০১৯-১০৫৩ পর্যন্ত 18/ Shortening The Prayer (At-Taqseer)
  • ৬৯৫. কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর চলবে।
  • ৬৯৬. মিনায় সালাত।
  • ৬৯৭. নবী করীম (ﷺ) বিদায় হজ্জে কত দিন অবস্থান করেছিলেন?
  • ৬৯৮. কত দিনের সফরে সালাত কসর করবে।
  • ৬৯৯. যখন নিজ আবাসস্থল থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর করবে। আলী (রা.) বের হওয়ার পরই কসর করলেন। অথচ তাঁকে বলা হল, এ তো কূফা। তিনি বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত কূফায় প্রবেশ না করি।
  • ৭০০. সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাকা’আত আদায় করা।
  • ৭০১. সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।
  • ৭০২. জন্তুর উপর ইশারায় সালাত আদায় করা।
  • ৭০৩. ফরয সালাতের জন্য সাওয়া্রী থেকে অবতরণ করা।
  • ৭০৪. গাধার উপর নফল সালাত আদায় করা।
  • ৭০৫. সফরকালে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।
  • ৭০৬. সফরে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল আদায় করা।
  • ৭০৭. সফরে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করা।
  • ৭০৮. মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলে আযান দিবে, না ইকামাত?
  • ৭০৯. সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে রওয়ানা হলে যুহরের সালাত আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা।
  • ৭১০. সূর্য ঢলে পড়ার পর সফর শুরু করলে যুহরের সালাত আদায় করে সাওয়ারীতে আরোহণ করা।
  • ৭১১. উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।
  • ৭১২. উপবিষ্ট ব্যক্তির ইশারায় সালাত আদায়।
  • ৭১৩. বসে সালাত আদায় করতে না পারলে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করবে।
  • ৭১৪. বসে সালাত আদায় করলে সুস্থ হয়ে গেলে কিংবা একটু হালকাবোধ করলে, বাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করবে।
  • ১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত (كتاب التهجد) ১১১ টি | ১০৫৪-১১৬৪ পর্যন্ত 19/ Prayer At Night (Tahajjud)
  • ৭১৫. তাহজ্জুদ (ঘুম থেকে জেগে) সালাত আদায় করা। মহান আল্লাহর বাণীঃ “ আর আপনি রাতের এক অংশে তাহজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য”।
  • ৭১৬. রাত জেগে ইবাদত করার ফযীলত।
  • ৭১৭. রাতের সালাতে সিজ্দা দীর্ঘ করা।
  • ৭১৮. অসুস্থ ব্যক্তির তাহজ্জুদ আদায় না করা।
  • ৭১৯. তাহজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নবী (ﷺ) এর উৎসাহ প্রদান, অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি।
  • ৭২০. নবী (ﷺ) এর তাহজ্জুদের সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে তাঁর উভয় কদম মুবারক ফুলে যেতো।
  • ৭২১. সাহরীর সময় যে ঘুমিয়ে পড়েন।
  • ৭২২. সাহরীর পর ফজরের সালাত পর্যন্ত জাগ্রত থাকা।
  • ৭২৩. তাহজ্জুদের সালাত দীর্ঘায়িত করা।
  • ৭২৪. নবী (ﷺ) এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাকা’আত সালাত আদায় করতেন?
  • ৭২৫. নবী (ﷺ) এর ইবাদাতে রাত জাগরণ এবং তাঁর ঘুমানো আর রাত জাগার যতটুক রহিত করা হয়েছে।
  • ৭২৬. রাতের বেলা সালাত আদায় না করলে গ্রীবাদেশ শয়তানের গ্রন্থী বেধে দেওয়া।
  • ৭২৭. সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়লে শয়তান তার কানে পেশাব করে দেয়।
  • ৭২৮. রাতের শেষভাগে দু’আ করা ও সালাত আদায় করা। আল্লাহ্পাক ইরশাদ করেছেনঃ রাতের সামান্য পরিমাণ (সময়) তাঁরা নিদ্রারত থাকেন, শেষ রাতে তাঁরা েইসতিগ্ফর করেন। (সূরা আয্-যারিয়াতঃ ১৮)।
  • ৭২৯. যে ব্যক্তি রাতের প্রথমাংশে ঘুমিয়ে থাকে এবং শেষ অংশকে (ইবাদাত দ্বারা) প্রাণবন্ত রাখে।
  • ৭৩০. রামাযানে ও অন্যান্য সময়ে নবী (ﷺ) এর রাত জেগে ইবাদাত।
  • ৭৩১. রাতে ও দিনে তাহারাত (পবিত্রতা) হাসিল করার ফযীলত এবং উযূ করার পর রাতে ও দিনে সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৭৩২. ইবাদতে কঠোরতা অবলম্বন অপছন্দনীয়।
  • ৭৩৩. রাত জেগে ইবাদাতকারীর ঐ ইবাদাত বাদ দেওয়া মাকরূহ।
  • ৭৩৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৭৩৫. যে ব্যক্তি রাত জেগে সালাত আদায় করে তাঁর ফযীলত।
  • ৭৩৬. ফজরের (সুন্নাত) দু’ রাকা’আত নিয়মিত আদায় করা।
  • ৭৩৭. ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাতের পর ডান কাতে শোয়া।
  • ৭৩৮. দু’ রাকা’আত (ফজরের সুন্নাত) এর পর কথাবার্তা বল এবং না শোয়া।
  • ৭৩৯. নফল সালাত দু’রাকা’আত করে আদায় করা।
  • ৭৪০. ফজরের (সুন্নাত) দু’রাকা’আতের পর কথাবার্তা বলা।
  • ৭৪১. ফজরের (সুন্নাত) দু’ রাকা’আতের হিফাযত আর যারা এ দু’ রাকা’আতকে নফল বলেছেন।
  • ৭৪২. ফজরের (সুন্নাত) দু’ রাকা’আতে কতটুকু কিরাআত পড়া হবে।
  • ৭৪৩. ফরয সালাতের পর নফল সালাত ।
  • ৭৪৪. ফরযের পর নফল সালাত আদায় না করা।
  • ৭৪৫. সফরে সালাতুয্‌-যুহা (চাশ্‌ত) আদায় করা।
  • ৭৪৬. যারা চাশ্‌ত-এর সালাত আদায় করেন না, তবে বিষয়টিকে প্রশস্ত মনে করেন (বাধ্যতামূলক মনে করেন না)।
  • ৭৪৭. মুকীম অবস্থায় চাশ্‌ত-এর সালাত আদায় করা। ইতবান ইব্‌ন মালিক (রা.) বিষয়টি নবী করীম (সাঃ) থেকে উল্লেখ করেছেন।
  • ৭৪৮. যুহরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকা’আত সালাত।
  • ৭৪৯. মাগরিবের আগে সালাত ।
  • ৭৫০. নফল সালাত জামা’আতে আদায় করা।
  • ৭৫১. নফল সালাত ঘরে আদায় করা ।
  • ৭৫১. মক্কা ও মদীনার মসজিদে সালাতের ফযীলত।
  • ৭৫২. কুবা মসজিদ
  • ৭৫৩. প্রতি শনিবার যিনি কুবা মসজিদে আসেন।
  • ৭৫৪. পায়ে হেঁটে কিংবা আরোহণ করে কুবা মসজিদে যাওয়া।
  • ৭৫৫. কবর ও (মসজিদে নববীর) মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানের ফযীলত।
  • ৭৫৬. বায়তুল মুকাদ্দাস-এর মসজিদ।
  • ৭৫৭. সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ সালাতের মধ্যে হাতের সাহায্যে করা।
  • ৭৫৮. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া ।
  • ৭৫৯. সালাতে পুরুষদের জন্য যে 'তাসবীহ্‌' ও 'তাহ্‌মীদ' বৈধ ।
  • ৭৬০. সালাতে যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে কারো নাম নিলো অথবা কাউকে সালাম করল অথচ সে তা জানেও না।
  • ৭৬১. সালাতে মহিলাদের 'তাস্‌ফীক' ।
  • ৭৬২. উদ্ভূত কোন কারণে সালাতে থাকা অবস্থায় পিছনে চলে আসা অথবা সামনে এগিয়ে যাওয়া।
  • ৭৬৩. মা তার সালাত রত সন্তানকে ডাকলে ।
  • ৭৬৪. সালাতের মধ্যে কংকর সরানো ।
  • ৭৬৫. সালাতে সিজদার জন্য কাপড় বিছানো ।
  • ৭৬৬. সালাতে যে কাজ জায়িয।
  • ৭৬৭. সালাতে থাকাকালে পশু ছুটে গেলে।
  • ৭৬৮. সালাতে থাকাবস্থায় থু থু ফেলা ও ফুঁ দেওয়া।
  • ৭৭০. মুসল্লিকে আগে বাড়তে অথবা অপেক্ষা করতে বলা হলে সে যদি অপেক্ষা করে তবে এতে দোষ নেই।
  • ৭৭১. সালাতে সালামের জবাব দিবে না ।
  • ৭৭২. কিছু ঘটলে সালাতে হাত তোলা ।
  • ৭৭৩. সালতে কোমরে হাত রাখা ।
  • ৭৭৪. সালাতে মুসল্লীর কোন বিষয় চিন্তা করা। উমর (রা.) বলেছেন, আমি সালাতের মধ্যে আমার সেনাবাহিনী বিন্যাসের চিন্তা করে থাকি।
  • ৭৭৫. ফরয সালাতে দু' রাকা'আতের পর দাঁড়িয়ে পড়লে সিজ্‌দায়ে সাহু প্রসঙ্গে ।
  • ৭৭৬. সালাত পাঁচ রাকা'আত আদায় করলে ।
  • ৭৭৭. দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাকা'আতে সালাম ফিরিয়ে নিলে সালাতের সিজ্‌দার ন্যায় তার চাইতে দীর্ঘ দু'টি সিজ্‌দা করা।
  • ৭৭৮. সিজ্‌দায়ে সাহু'র পর তাশাহ্‌হুদ না পড়লে।
  • ৭৭৯. সিজ্‌দায় সাহুতে তাক্‌বীর বলা ।
  • ৭৮০. সালাত তিন রাকা'আত আদায় করা হল না কি চার রাকা'আত তা মনে করতে না পারলে বসা অবস্থায় দু'টি সিজ্‌দা করা।
  • ৭৮১. ফরয ও নফল সালাতে ভুলে হলে।
  • ৭৮২. সালাতে থাকা অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে কথা বললে এবং তা শুনে যদি সে হাত দিয়ে ইশারা করে।
  • ৭৮৩. সালাতের মধ্যে ইশারা করা।
  • ২০/ জানাযা (كتاب الجنائز) ১৪৮ টি | ১১৬৫-১৩১২ পর্যন্ত 20/ Funerals (Al-Janaa'Iz)
  • ৭৮৪. জানাযা সম্পর্কিত হাদীস এবং যার শেষ কালাম 'লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু'।
  • ৭৮৫. জানাযায় অনুগমনের নির্দেশ ।
  • ৭৮৬. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির কাছে যাওয়া।
  • ৭৮৭. মৃত ব্যক্তির পরিজনের কাছে তার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছান।
  • ৭৮৮. জানাযার সংবাদ দেওয়া।
  • ৭৮৯. সন্তানের মৃত্যুতে সাওয়াবের আশায় সবর করার ফযীলত। আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "আর সবরকারীদের সুসংবাদ প্রদান করুন"।
  • ৭৯০. কবরের কাছে কোন মহিলাকে বলা, সবর কর।
  • ৭৯১. বরই পাতার দ্বারা মৃতকে গোসল ও উযূ করানো।
  • ৭৯২. বেজোড় সংখ্যায় গোসল দেওয়া মুস্‌তাহাব ।
  • ৭৯৩. মৃত ব্যক্তির (গোসল) ডান দিক থেকে শুরু করা ।
  • ৭৯৪. মৃত ব্যক্তির উযূর স্থানসমূহ।
  • ৭৯৫. পুরুষের ইযার দিয়ে মহিলার কাফন দেওয়া যায় কি?
  • ৭৯৬. গোসলে কর্পূর ব্যবহার করবে শেষবারে।
  • ৭৯৭. মহিলাদের চুলকে খুলে দেওয়া।
  • ৭৯৮. মৃতের গায়ে কিভাবে কাপড় জড়ানো হব।
  • ৭৯৯. মহিলাদের চুলকে তিনটি বেণী করা।
  • ৮০০. মহিলার চুল তিনটি বেণী করে তার পিছনে রাখা।
  • ৮০১. কাফনের জন্য সাদা কাপড়।
  • ৮০২. দু' কাপড়ে কাফন দেওয়া ।
  • ৮০৩. মৃত ব্যক্তির জন্য সুগন্ধি ব্যবহার ।
  • ৮০৪. মুহ্‌রিম ব্যক্তিকে কিভাবে কাফন দেওয়া হবে।
  • ৮০৫. সেলাইকৃত বা সেলাইবিহীন কামীস দিয়ে কাফন দেওয়া এবং কামীস ব্যাতীত কাফন দেওয়া।
  • ৮০৬. কামীস ব্যাতীত কাফন।
  • ৮০৭. পাগড়ী ব্যতীত কাফন
  • ৮০৮. মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকে কাফন দেওয়া।
  • ৮০৯. একখানা কাপড় ব্যতীত আর কোন কাপড় পাওয়া না গেলে।
  • ৮১০. মাথা বা পা আবৃত করা যায় এতটুকু ব্যতীত অন্য কোন কাফন না পাওয়াগেলে, তা দিয়ে কেবল মাথা ঢাকা হবে।
  • ৮১১. নবী (ﷺ) এর যামানায় যে নিজের কাফন তৈরী করে রাখল, অথচ তাঁকে এতে নিষেধ করা হয়নি।
  • ৮১২. জানাযার পিছনে মহিলাদের অনুগমণ।
  • ৮১৩. স্বামী ব্যতীত অন্যের জন্য স্ত্রী লোকের শোক প্রকাশ।
  • ৮১৪. কবর যিয়ারত।
  • ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্‌ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
  • ৮১৬. মৃতের জন্য বিলাপ অপচন্দনীয়।
  • ৮১৭. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮১৮. যারা জামার বুক ছিড়েঁ ফেলে তারা আমাদের তরীকাভুক্ত নয়।
  • ৮১৯. সা’দ ইবন খাওলা (রা.)-এর প্রতি নবী (ﷺ) এর শোক প্রকাশ।
  • ৮২১. যারা গাল চাপড়ায় তারা আমাদের তরীকাভূক্ত নয়।
  • ৮২২. বিপদকালে হায়, ধ্বংস বলাও জাহিলীয়াত যুগের মত চিৎকার করা নিষেধ।
  • ৮২৩. যে ব্যক্তি মুসীবত কালে এমনভাবে বসে পড়ে যে, তার মধ্যে দু:খ বোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
  • ৮২৪. মুসীবতের সময় দুঃখ প্রকাশ না করা।
  • ৮২৫. বিপদের প্রথম অবস্থায়ই প্রকৃত সবর।
  • ৮২৬. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমার কারণে আমরা অবশ্যই শোকাভিভূত।
  • ৮২৭. পীড়িত ব্যক্তির কাছে কান্নাকাটি করা।
  • ৮২৮. কান্না ও বিলাপ নিষিদ্ধ হওয়া এবং তাতে বাধা প্রদান করা।
  • ৮২৯. জানাযার জন্য দাঁড়ানো।
  • ৮৩০.জানাযার জন্য দাড়ানো হলে কখন বসবে।
  • ৮৩১. যে ব্যক্তি জানাযার অনুগমণ করবে, সে লোকদের কাঁধ থেকে তা নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত বসবে না আর বসে পড়লে তাকে দাড়াবার আদেশ করা হবে।
  • ৮৩২. যে ব্যক্তি ইয়াহূদীর জানাযা দেখে দাঁড়ায়।
  • ৮৩৩. পুরুষরা জানাযা বহণ করবে মহিলারা নয়।
  • ৮৩৪. জানাযার কাজ দ্রুত সম্পাদন করা।
  • ৮৩৫. খাটিয়ায় থাকাকালে মৃত ব্যক্তির উক্তিঃ আমাকে নিয়ে এগিয়ে চল।
  • ৮৩৬. জানাযার সালাতের ইমামের পিছনে দু’বা তিন কাতারে দাঁড়ানো ।
  • ৮৩৭. জানাযার সালাতের কাতার।
  • ৮৩৮. জানাযার সালাতে পুরুষদের সাথে বালকদের কাতার।
  • ৮৩৯. জানাযার সালাতের নিয়ম।
  • ৮৪০. জানাযার অনুগমণ করার ফযীলত।
  • ৮৪১. মৃতের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
  • ৮৪২. জানাযার সালতে বয়স্কদের সাথে বালকদেরও শরীক হওয়া।
  • ৮৪৩. মুসল্লা (ঈদগাহ বা যানাযার জন্য নির্ধারিত স্থানে) এবং মসজিদে জানাযার সালাত আদায় করা।
  • ৮৪৪. কবরের উপরে মসজিদ বানানো অপছন্দনীয়।
  • ৮৪৫. নিফাস অবস্থায় মারা গেলে তার জানাযার সালাত।
  • ৮৪৬. নারী ও পুরুষের (জানাযার সালাতে) ইমাম কোথায় দাঁড়াবেন?
  • ৮৪৭. জানাযার সালাতে চার তাকবীর বলা
  • ৮৪৮. জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা।
  • ৮৪৯. দাফনের পর কবরকে সামনে রেখে (জানাযার) সালাত আদায়।
  • ৮৫০. মৃত ব্যক্তি (দাফনকারীদের) জুতার শব্দ শুনতে পায়।
  • ৮৫১. যে ব্যক্তি বায়তুল মুকাদ্দাস বা অনুরূপ কোন স্থানে দাফন হওয়া পছন্দ করেন।
  • ৮৫২. রাতের বেলা দাফন করা। আবূ বকর (রা.)-কে রাতে দাফন করা হয়েছিল।
  • ৮৫৩. কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ করা।
  • ৮৫৪. মেয়েলোকের কবরে যে অবতরণ করে।
  • ৮৫৫. শহীদের জন্য জানাযার সালাত।
  • ৮৫৬. একই কবরে দু’ বা তিনজনকে দাফন করা।
  • ৮৫৭. যারা শহীদগণকে গোসল দেওয়ার অভিমত পোষণ করেন না।
  • ৮৫৮. কবরে প্রথম কাকে রাখা হবে।
  • ৮৫৯. কবরের উপরে ইয্খির বা অন্য কোন ঘাস দেওয়া।
  • ৮৬০. কোন কারণে মৃত ব্যক্তিকে (লাশ) কবর বা লাহ্দ থেকে বের করা যাবে কি?
  • ৮৬১. কবরকে লাহ্দ (বগলী) ও শাক্ক (সিন্দুক) বানানো।
  • ৮৬২. বালক (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ইসলাম প্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য জানাযা সালাত আদায় করা হবে কি? বালকের নিকট ইসলামের দাওয়াত পেশ করা যাবে কি?
  • ৮৬৩. মুশরিক ব্যক্তি মৃত্যুকালে (কালিমা-ই-তাওহীদ) লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু উচ্চারণ করলে।
  • ৮৬৪. কবরের উপরে খেজুরের ডাল পূঁতে দেয়া।
  • ৮৬৫. কবরের পাশে কোন মুহাদ্দিস এর ওয়ায করা আর তার সংগীদের তার আশেপাশে বসা।
  • ৮৬৬. আত্মহত্যাকারী প্রসংগে।
  • ৮৬৭. মুনাফিকদের জানাযার সালাত আদায় করা এবং মুশরিকদের জন্য মাগফিরাত কামনা করা মাকরূহ হওয়া।
  • ৮৬৮. মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে লোকদের সদগুণ আলোচনা।
  • ৮৬৯. কবর আযাব প্রসংগে।
  • ৮৭০. কবরে আযাব থেকে পানাহ চাওয়া।
  • ৮৭১. গীবত এবং পেশাবে (অসতর্কতা)- এর কারণে কবর আযাব।
  • ৮৭২. মৃত ব্যক্তির সামনে সকালে ও সন্ধ্যায় (জান্নাত ও জাহান্নামে তার অবস্থানস্থল) উপস্থাপন করা হয়।
  • ৮৭৩. খাটিয়ার উপর থাকাবস্থায় মৃত ব্যক্তির কথা বলা।
  • ৮৭৪. মুসলিমদের (না-বালিগ) সন্তানদের বিষয়ে যা বলা হয়েছে।
  • ৮৭৫. মুশরিকদের শিশু সন্তান প্রসঙ্গে।
  • ৮৭৬. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮৭৭. সোমবারে মৃত্যু।
  • ৮৭৮. আকস্মিক মৃত্যু।
  • ৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর, উমর (রাঃ) এর কবরের বর্ণনা।
  • ৮৮০. মৃতদের গালি দেওয়া নিষিদ্ধ।
  • ৮৮১. দুষ্ট প্রকৃতির মৃতদের আলোচনা।
  • ২১/ যাকাত (كتاب الزكاة) ১১২ টি | ১৩১৩-১৪২৪ পর্যন্ত 21/ Obligatory Charity Tax (Zakat)
  • ৮৮২. যাকাত ওয়াজিব হওয়া।
  • ৮৮৩. যাকাত দেওয়ার বায়‘আত। (মহান আল্লার বাণীঃ) যদি তারা তওবা করে এবং সালাত আদায় করে ও যাকাত প্রদান করে তবে তারা তোমাদের দীনী ভাই। ( ৯ : ১১)
  • ৮৮৪. যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারীর গুনাহ। মহান আল্লার বাণীঃ যারা সোনা-রুপা জমা করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় করেনা…. (জাহান্নামে শাস্তি প্রদানকালে তাদেরকে বলা হবে) এখন সম্পদ জমা করে রাখার প্রতিফল ভোগ কর। (৯:৩৪-৩৫)
  • ৮৮৫. যে সম্পদের যাকাত আদায় করা হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) এর অন্তর্ভুক্ত নয়। নবী (ﷺ) এর এ উক্তির কারণে যে, পাঁচ উকিয়া এর কম পরিমাণ সম্পদে যাকাত নেই।
  • ৮৮৬. সম্পদ যথাস্থানে ব্যয় করা
  • ৮৮৯. হালাল উপার্জন থেকে সাদকা এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বানীঃ আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন ও সাদকা বর্ধিত করেন, অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালবাসেন না। যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (২:২৭৬-২৭৭)
  • ৮৯০. ফেরত দেয়ার পূর্বেই সাদকা করা।
  • ৮৯১. জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর, এক টুকরা খেজুর অথবা সামান্য কিছু সাদকা করে হলেও। আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ও নিজেদের আত্মার দৃঢ়তার জন্যে ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা কোন উচ্চভূমিতে অবস্থিত একটি উদ্যান …… এবং যাতে সর্বপ্রকার ফলমূল আছে। (২:২৬৫-৬৬)
  • ৮৯২. সুস্থ কৃপণের সাদকা দেওয়ার ফযীলত। এ পর্যায়ে আল্লাহর বাণীঃ আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে ….. শেষ পর্যন্ত। (৬৩:১০) আরো ইরশাদ হয়েছেঃ হে মু’মিনগণ! আমি যা তোমাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তোমরা ব্যয় কর সেদিন আসার পূর্বে যেদিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ থাকবেনা….. শেষ পর্যন্ত। (২:২৫৪)
  • ৮৯৩. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮৯৬. সাদকাদাতা অজান্তে (ফকীর মনে করে) কোন ধনী ব্যক্তিকে সাদকা দিলে
  • ৮৯৭. আজান্তে কেউ তার পুত্রকে সাদকা করলে
  • ৮৯৮. সাদকা ডান হাতে প্রদান করা
  • ৮৯৯. যে ব্যক্তি নিজ হাতে সাদকা না দিয়ে খাদেমকে তা দিয়ে দেওয়ার আদেশ করে।
  • ৯০০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সাদকা না করা। যে ব্যক্তি সাদকা করতে চায়; অথচ সে নিজে দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন অভাবগ্রস্হ অথবা সে ঋণগ্রস্হ, এ অবস্হায় তার জন্য সাদকা করা, গোলাম আযাদ করা ও দান করার চেয়ে ঋণ পরিশোধ করা কর্তব্য। এরূপ সাদকা করা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার তার নেই।
  • ৯০২. যে ব্যক্তি যথাশীঘ্র সাদকা দেওয়া পছন্দ করে
  • ৯০৩. সাদকা দেওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান ও সুপারিশ করা
  • ৯০৪. সাধ্যানুসারে সাদকা করা।
  • ৯০৫. সাদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয়।
  • ৯০৬. মুশরিক থাকাকালে সাদকা করার পর যে ইসলাম গ্রহন করে (তার সাদকা কবূল হবে কিনা)
  • ৯০৭. মালিকের আদেশে ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত খাদিমের সাদকা করার সওয়াব
  • ৯০৮. ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত স্ত্রী তার স্বামীর ঘর থেকে কিছু সাদকা করলে বা কাউকে আহার করালে স্ত্রী এর সওয়াব পাবে।
  • ৯০৯. মহান আল্লার বাণীঃ যে ব্যক্তি দান করে এবং তাকওয়া অবলম্বন (আল্লহকে ভয়) করে এবং যা উত্তম তা গ্রহন করে আমি তার জন্য সহজ পথ সুগম করে দেব। আর যে ব্যক্তি কার্পণ্য করে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে … (৯২: ৫-৮)। হে আল্লহ তার দানে উত্তম প্রতিদান দিন।
  • ৯১০. সাদকা দানকারী ও কৃপণের দৃষ্টান্ত
  • ৯১২. প্রত্যেক মুসলিমের সাদকা করা উচিত। কারো নিকট সাদকা দেওয়ার মত কিছু না থাকলে সে যেন সৎকাজ করে।
  • ৯১৩. যাকাত ও সাদ্কা কি পরিমাণ দিতে হবে এবং যে বকরী সাদ্কা করে।
  • ৯১৪. রূপার যাকাত
  • ৯১৫. পণ্যদ্রব্য দ্বারা যাকাত আদায় করা।
  • ৯১৬. পৃথকগুলো একত্রিত করা যাবেনা। আর একত্রিতগুলো পৃথক করা যাবেনা।
  • ৯১৭. দুই অংশীদার (এর একজনের নিকট থেকে সমুদয় মালের যাকাত উসুল করা হলে) একজন অপরজন থেকে তার প্রাপ্য অংশ আদায় করে নিবে। তাউস ও ‘আতা (র) বলেন, প্রত্যেক অংশীদার যদি নিজের মালের পরিচয় করতে সমর্থ হয়, তা হলে (যাকাতের ক্ষেত্রে) তাদের মাল একত্রিত করা হবেনা। সুফিয়ান (সাওরী) (র) বলেন, (দুই অংশীদারের) প্রত্যেকের বকরীর সংখ্যা চল্লিশ পূর্ণ না হলে যাকাত ফরয হবেনা ।
  • ৯১৮. উটের যাকাত।
  • ৯১৯. যার ঊপর বিনতে মাখায যাকাত দেওয়া ওয়াজিব হয়েছে অথচ তার কাছে তা নেই
  • ৯২০. বকরীর যাকাত
  • ৯২১. অধিক বয়সে দাঁত পড়া বৃদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ বকরী এবং পাঁঠা যাকাত হিসাবে গ্রহণ করা হবেনা, তবে উসূলকারী যা ইচ্ছা করেন।
  • ৯২২. বকরীর (চার মাস বয়সের মাদী) বাচ্চা যাকাত হিসাবে গ্রহণ করা।
  • ৯২৩. যাকাতের ক্ষেত্রে মানুষের ঊত্তম মাল নেওয়া হবে না।
  • ৯২৪. পাঁচ উটের কমে যাকাত নেই।
  • ৯২৫. গরুর যাকাত।
  • ৯২৬. নিকটাত্মীয়দেরকে যাকাত দেওয়া।
  • ৯২৭. মুসলিমের উপর তার ঘোড়ার কোন যাকাত নেই
  • ৯২৮. মুসলিমের উপর তার গোলামের কোন যাকাত নেই
  • ৯২৯. ইয়াতীমকে সাদকা দেওয়া
  • ৯৩০. স্বামী ও পোষ্য ইয়াতীমকে যাকাত দেওয়া। এ প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) থেকে আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন।
  • ৯৩১. আল্লহর বাণীঃ দাসমুক্তির জন্য, ঋনভারাক্রান্তদের জন্য ও আল্লহর পথে (৯ : ৬০)।
  • ৯৩২. যাচনা থেকে বিরত থাকা
  • ৯৩৩. যাকে আল্লাহ সাওয়াল ও অন্তরের লোভ ছাড়া কিছু দান করেন। (আল্লাহর বাণী) তাদের (ধনীদের) সম্পদে হক রয়েছে যাচনাকারী ও বঞ্চীতের (৫১:১৯)
  • ৯৩৪. সম্পদ বাড়ানোর জন্য যে মানুষের কাছে সাওয়াল করে
  • ৯৩৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে যাচনা করেনা। (২:২৭৩) আর ধনী হওয়ার পরিমাণ কত? নবী (সাঃ) এর বাণী এবং এতটুকু পরিমাণ সম্পদ তার কাছে নেই, যা তাকে অভাবমুক্ত করতে পারবে। (আল্লাহ বলেন) তা প্রাপ্য অভাবগ্রস্হ লোকদের, যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, দেশময় ঘোরাফেরা করতে পারে না, (তারা) যাচনা না করার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত বলে ধারণা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (২:২৭৩)
  • ৯৩৬. খেজুরের পরিমাণ আন্দাজ করা
  • ৯৩৭. বৃষ্টির পানি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমির উৎপাদিত ফসলের উপর ‘উশর। উমর ইব্ন ‘আবদুল ‘আযীয (র) মধুর ওপর (উশর) ওয়াজিব মনে করেননি।
  • ৯৩৮. পাঁচ ওসাক-এর কম ঊৎপন্ন দ্রব্যের যাকাত নেই
  • ৯৩৯. খেজুর সংগ্রহের সময় যাকাত দিতে হবে এবং শিশুকে যাকাতের খেজুর নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে কি?
  • ৯৪০. এমন ফল বা খেজুর গাছ, অথবা (ফসল) সহ জমি, কিংবা শুধু (জমির) ফসল বিক্রয় করা, যেগুলোর উপর যাকাত বা ‘উশর ফরয হয়েছে, আর ঐ যাকাত বা ‘উশর অন্য ফল বা ফসল দ্বারা আদায় করা বা এমন ফল বিক্রয় করা যেগুলোর উপর সাদকা ফরয হয়নি। নবী (ﷺ)-এর উক্তিঃ ব্যবহারযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত ফল বিক্রয় করবে না, কাজেই ব্যবহারযোগ্য হওয়ার পর কাকেও বিক্রি করতে নিষেধ করেন নি এবং কার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে আর কার উপর ওয়াজিব হবে না, তা নির্দিষ্ট করেন নি।
  • ৯৪১. নিজের সদাকাকৃত বস্তু কেনা যায় কি? অন্যের সদাকাকৃত বস্তু ক্রয় করতে দোষ নেই। কেননা নবী (ﷺ) বিশেষভাবে সাদাকা প্রদানকারীকে তা ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, অন্যকে নিষেধ করেন নি।
  • ৯৪২. নবী (ﷺ) ও তার বংশধরদের সাদকা দেওয়া সম্পর্কে আলোচনা
  • ৯৪৩. নবী (ﷺ) এর সহধর্মীণীদের আযদকৃত দাস-দাসীদের সাদকা দেওয়া
  • ৯৪৪. সাদকার প্রকৃতি পরিবর্তন হলে।
  • ৯৪৫. ধনীদের থেকে সাদকা গ্রহন করা এবং যে কোন স্থানের অভাবগ্রস্থদের মধ্যে বিতরন করা
  • ৯৪৬. সাদকাদাতার জন্য ইমামের কল্যাণ কামনা ও দু'আ এবং মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহন করবেন, এর দ্বারা তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করবেন। আপনি তাদের জন্য দু'আ করবেন, আপনার দু'আ তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর (৯ঃ ১০৩)
  • ৯৪৮. রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। ইমাম মালেক ও ইবন ইদরীস (রহঃ) (ইমাম শাফি'য়ী) বলেন, জাহিলী যুগের ভূগর্ভে প্রেথিত সম্পদই রিকায। তার অল্প ও অধিক পরিমানে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হবে। আর মা'দীন রিকায নয়। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ মা'দীনে (খননের ঘটনায়) নিসাব নেই, রিকাযের এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) মা'দীন এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ গ্রহন করতেন। হাসান (রহঃ) বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অধিকৃত ভূমির রিকাযে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব এবং সন্ধিকৃত ভূমির রিকাযের যাকাত ওয়াজিব। শত্রুর ভূমিতে লুকতা পাওয়া গেলে লোকদের মধ্যে তা ঘোষণা করবে। বস্তুটি শত্রুর হলে তাতে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। জনৈক ব্যক্তি [ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)] বলেন, মা'দিন রিকাযই, (তার প্রকারবিশেষ মাত্র) জাহেলী যুগের প্রেথিত সম্পদের ন্যায়। তার যুক্তি হলঃ أَرْكَزَ الْمَعْدِنُ তখন বলা হয়, যখন খনি থেকে কিছু উত্তোলন করা হয়। তাকে বলা যায়, কাউকে কিছু দান করলে এবং এতে সে এ দিয়ে প্রচুর লাভবান হলে অথবা কারো প্রচুর ফল উৎপাদিত হলে বলা হয় أَرْكَزْتَ এরপর তিনি নিজেই স্ব-বিরোধী কথা বলেন। তিনি বলেন, মা'দিন থেকে উত্তোলিত সম্পদ গোপন রাখায় ও এক পঞ্চমাংশ না দেওয়ায় কোন দোষ নেই।
  • ৯৪৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং যে সব কর্মচারী যাকাত উসুল করে (৯ঃ ৬০) এবং যাকাত উসুলকারীর ইমামের নিকট হিসাব প্রদান।
  • ৯৫০. যাকাতের উট ও তার দুধ মুসাফিরের জন্য ব্যবহার করা
  • ৯৫১. ইমাম নিজ হাতে যাকাতের উটে চিহ্ন দেওয়া।
  • ৯৫২. সাদাকাতুল ফিতর ফরয। আবুল 'আলীয়া' 'আতা' ও ইবন সীরীন (রহঃ) এর অভিমত হলো সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ফরয।
  • ৯৫৩. মুসলিমদের গোলাম ও অন্যান্যদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা।
  • ৯৫৪. সাদাকাতুল ফিতর এক সা' পরিমাণ যব।
  • ৯৫৫. সাদাকাতুল ফিতর এক সা' পরিমাণ খাদ্য।
  • ৯৫৬. সাদাকাতুল ফিতর এক সা পরিমাণ খেজুর।
  • ৯৫৭. (সাদাকাতুল ফিতর) এক সা পরিমাণ কিসমিস।
  • ৯৫৮. ঈদের সালাতের পূর্বেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা।
  • ৯৫৯. আযাদ গোলামের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
  • ৯৬০. অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্কদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
  • ২২/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب الحج) ৩৪৫ টি | ১৪২৫-১৭৬৯ পর্যন্ত 22/ Pilgrimmage
  • ৯৬১. হজ্জ ফরজ হওয়া ও এর ফযীলত। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেই ঘরের হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ্‌ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। (৩ঃ ৯৭)
  • ৯৬২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা তোমার নিকট আসবে পায়ে হেঁটে ও সর্বপ্রকার ক্ষীনকায় উটগুলোর পিঠে, তারা আসবে দূর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে। (২২ঃ ২৭) فِجَاجًا অর্থ হল প্রশস্ত পথ।
  • ৯৬৩. উটের হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন।
  • ৯৬৪. হজ্জে মাবরুর (মাকবুল হজ্জ) এর ফযীলত।
  • ৯৬৫. হজ্জ ও উমরার মীকাত নির্ধারণ।
  • ৯৬৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয় (২ঃ ১৯৭)
  • ৯৬৭. মক্কাবাসীদের জন্য হজ্জ ও উমারার ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৬৮. মদীনাবাসীদের মীকাত ও তার যুল-হুলায়ফা পৌঁছার পূর্বে ইহরাম বাঁধবে না।
  • ৯৬৯. সিরিয়াবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭০. নজদবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭১. মীকাতের ভিতরের অধিবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭২. ইয়ামানবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭৩. যাতু’ইরক ইরাকবাসীদের মীকাত।
  • ৯৭৪. যুলহুলায়ফায় সালাত।
  • ৯৭৫. (হজ্জের সফরে) “শাজারা” এর রাস্তা দিয়ে নবী (ﷺ) এর গমন।
  • ৯৭৬. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ ‘আকীক বরকতময় উপত্যকা।
  • ৯৭৭. (ইহরামের) কাপড়ে খালূক থাকলে তিনবার ধোওয়া।
  • ৯৭৮. ইহরাম বাঁধাকালে সুগন্ধি ব্যবহার ও কি প্রকার কাপড় পরে ইহরাম বাঁধবে এবং চুল দাঁড়ি আঁচড়াবে ও তেল লাগাবে।
  • ৯৭৯. যে চুলে আঠালো দ্রব্য লাগিয়ে ইহরাম বাঁধে।
  • ৯৮০. যুল হুলায়ফার মসজিদের নিকট থেকে ইহরাম বাঁধে।
  • ৯৮১. মুহরীম ব্যক্তি যে প্রকার কাপড় পরবে না।
  • ৯৮২. হজ্জের সফরে বাহনে একাকী আরোহণ করা ও অপরের সাথে আরোহণ করা।
  • ৯৮৩. মুহরীম ব্যক্তি কি প্রকার কাপড়, চাদর ও লুঙ্গী পরবে। আয়িশা (রাঃ) ইহরাম অবস্থায় কুসুমী রঙ্গে রঞ্জিত কাপড় পরেন এবং তিনি বলেন, নারীগন ঠোঁট ও মুখমণ্ডল আবৃত করবে না। ওয়ারস ও জাফরান রঙ্গে রঞ্জিত কাপড়ও পরবে না।
  • ৯৮৪. ভোর পর্যন্ত যুল-হুলায়ফার রাত যাপন করা। ইবন উমর (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে এ বিষয় বর্ণনা করেছেন।
  • ৯৮৫. উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা।
  • ৯৮৬. তালবিয়া এর শব্দসমূহ।
  • ৯৮৭. তালবিয়া পাঠ করার পূর্বে সাওয়ারীতে আরোহণকালে তাহমীদ, তাসবীহ ও তাকবীর পাঠ করা।
  • ৯৮৮. সাওয়ারী আরোহীকে নিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তালবিয়া পাঠ করবে।
  • ৯৮৯. কিবলামুখী হয়ে তালবীয়া পাঠ করা।
  • ৯৯০. নীচু ভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পাঠ করা।
  • ৯৯১. হায়েয ও নিফাস অবস্থায় মহিলাগন কিরূপে ইহরাম বাঁধবে?
  • ৯৯২. নবী (ﷺ) এর জীবনকালে তার ইহরামের অনুরূপ যিনি ইহরাম বেঁধেছেন, ইবন উমর (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে এ সম্পর্কিত বর্ণনা করেছেন।
  • ৯৯৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ "হজ্জ হয় সুবেদিত মাসগুলোতে। তারপর যে কেউ এ মাসগুলোতে হজ্জ করা স্থির করে, তার জন্য হজ্জের সময়ে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরন ও কলহ বিবাদ বিধেয় নয়।" (২ঃ ১৯৭) এবং তার বাণীঃ "নতুন চাঁদ সম্পর্কে লোকেরা আপনাকে প্রশ্ন করে, বলুন তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময় নির্দেশক।" (২ঃ ১৮৯)
  • ৯৯৪. তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ হজ্জ করা এবং যার সাথে কুরবানীর পশু নেই তার জন্য হজ্জের ইহরাম ছেড়ে দেওয়া।
  • ৯৯৫. হজ্জ এর নাম উল্লেখ করে যে তালবিয়া পাঠ করে
  • ৯৯৬. নবী (ﷺ) এর যুগে হজ্জে তামাত্তু
  • ৯৯৮. মক্কা প্রবেশের সময় গোসল করা
  • ৯৯৯. দিনে ও রাতে মক্কায় প্রবেশ করা
  • ১০০০. কোন দিক দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করবে
  • ১০০১. কোন দিক থেকে মক্কা থেকে বের হবে
  • ১০০২. মক্কা ও তার ঘরবাড়ীর ফযীলত এবং মহান আল্লাহর বানীঃ এবং সেই সময়কে স্মরণ করুন যখন কা’বাঘরকে মানব জাতির মিলন কেন্দ্র ও নিরাপত্তার স্থান করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়াবার স্থানকেই সালাতের স্থানরূপে গ্রহন কর এবং ইব্রাহীম ও ইসমাইলকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী, রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে আদেশ দিয়েছিলাম। স্মরণ করুন যখন ইবরাহীম বলেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক! একে নিরাপদ শহর করুন আর এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ্‌ ও পরকালে বিশ্বাসী তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান করুন। তিনি বললেন, যে কেউ কুফরী করবে তাকেও কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগ করতে দিব। তারপর তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব এবং তা কত নিকৃষ্ট পরিনাম! স্মরণ করুন, যখন ইবরাহীম ও ইসমাইল কা’বা ঘরের প্রাচীর তুলেছিলেন তখন তারা বলেছিলেন, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজ গ্রহন করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হতে আপনার এক অনুগত উম্মত করুন। আমাদেরকে ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হন, আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২ঃ ১২৫-১২৮)
  • ১০০৩. হারামের ফযীলত ও মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি তো আদিষ্ট হয়েছি এই নগরীর রব্বের ইবাদত করতে। যিনি একে করেছেন সম্মানিত, সব কিছু তারই। আমি আরো আদিষ্ট হয়েছি, যেন আমি আত্মসমার্পনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। (২৭ঃ ৩৭) এবং তার বানীঃ আমি কি তাদের এক নিরাপদ হারামে প্রতিষ্ঠিত করিনি, যেখানে সব রকম ফলমূল আমদানি হয় আমার দেয়া রিযক স্বরূপ কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (২৬ঃ ৫৭)
  • ১০০৪. কাউকে মক্কায় অবস্থিত বাড়ির (ও যমীনের) উত্তরাধিকার বানান, তার ক্রয়-বিক্রয় এবং বিশেষভাবে মসজিদুল হারামে সকল মানুষের সমঅধিকার ও এ পর্যায়ে আল্লাহর বাণীঃ যারা কুফরী করে এবং মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহর রাস্তা থেকে ও মসজিদুল হারাম থেকে যা আমি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান করেছি। আর যে ইচ্ছা করে সীমালঙ্ঘন করে তাতে পাপ কার্যের, তাকে আমি আস্বাদন করাব মর্মন্তুদ শাস্তির (২২ঃ ২৫) ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, الْبَادِي অর্থ হল الطَّارِي (আগন্তুক) ও مَعْكُوفًا অর্থ হল مَحْبُوسًا (আবদ্ধ)।
  • ১০০৫. নবী (ﷺ) এর মক্কায় অবতরণ, আবু আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেন, (মক্কার কোন কোন) ঘরবাড়ি আকীলের দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে এবং ঘরবাড়িগুলোর উত্তরাধিকার হওয়া যায় আর তা বেচাকেনা করা যায়
  • ১০০৭. মহান আল্লাহর বানীঃ পবিত্র কা'বাঘর ও পবিত্র মাস আল্লাহ্‌ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত করেছেন। ... আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। (৫ঃ৯৭)
  • ১০০৮. কা'বা ঘরের গিলাফ পরানো
  • ১০০৯. কা’বাঘর ধ্বংস করে দেওয়া।
  • ১০১০. হাজরে আসওয়াত সম্পর্কে আলোচনা।
  • ১০১১. কা’বা ঘরের দরজা বন্ধ করা এবং কা’বাঘরের ভিতর যে কোণে ইচ্ছা সালাত আদায় করা
  • ১০১২. কা’বার ভিতর সালাত আদায় করা
  • ১০১৩. কা’বার ভিতরে যে প্রবেশ করেনি।
  • ১০১৪. কা’বা ঘরের ভিতরে চারদিকে তাকবীর বলা
  • ১০১৫. রমলের সূচনা কি ভাবে হয়
  • ১০১৬. মক্কায় উপনীত হয়ে তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াত ইস্তিলাম (চুম্বন ও স্পর্শ) করা এবং তিন চক্কর রমল করা
  • ১০১৭. হজ্জ ও উমরায় (তাওয়াফে) রমল করা
  • ১০১৮. ছড়ির মাধ্যমে হাজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম করা
  • ১০১৯. যে কেবল দুই ইয়ামানী রুকনকে ইস্তিলাম করে।
  • ১০২০. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা
  • ১০২১. হাজরে আসওয়াদের কাছে পৌঁছে তার দিকে ইশারা করা
  • ১০২২. হাজরে আসওয়াদ এর কাছে তাকবীর বলা
  • ১০২৩. মক্কায় উপনীত হয়ে বাড়ি ফিরার পূর্বে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। তারপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করে সাফার দিকে (সা‘য়ী করতে) যাওয়া
  • ১০২৪. পুরুষের সাথে মহিলাদের তাওয়াফ করা।
  • ১০২৫. তাওয়াফ করার সময় কথা বলা
  • ১০২৬. তাওয়াফের সময় রজ্জু দিয়ে কাউকে টানতে দেখলে বা অশোভনীয় কোন কিছু দেখলে তা থেকে বাধা দিবে
  • ১০২৭. বিবস্ত্র হয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে না এবং কোন মুশরিক হজ্জ করবে না
  • ১০২৯. নবী করীম (ﷺ) তাওয়াফের সাত চক্কর পূর্ণ করে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করেছেন। নাফি (রহঃ) বলেন, ইবন ‘উমর (রাঃ) প্রতি সাত চক্কর শেষে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতেন। ইসমা‘ঈল ইবন উমাইয়া (রহঃ) বলেন, আমি যুহরীকে বললাম, ‘আতা (রহঃ) বলেন, তাওয়াফের দু’ রাক‘আতের ক্ষেত্রে ফরয সালাত আদায় করে নিলে তা যথেষ্ঠ হবে। তখন যুহরি (রহঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর তরীকা অবলম্বন করাই উত্তম, যতবার নবী করীম (ﷺ) (তাওয়াফের) সাত চক্কর পূর্ণ করেছেন, ততবার তার পর দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন।
  • ১০৩০. প্রথম তাওয়াফ (তাওয়াফে কুদুম)-পর ‘আরাফায় গিয়ে তথা হতে ফিরে আসার পূর্ব পর্যন্ত বায়তুল্লাহর নিকটবর্তী না হওয়া (তাওয়াফ না করা)
  • ১০৩১. তাওয়াফের দু’ রাক’আত সালাত মাসজিদুল হারামের বাইরে আদায় করা ‘উত্তম [ইবন খাত্তাব (রা)] দু’ রাক’আত সালাত হারাম সীমানার বাইরে আদায় করেছেন
  • ১০৩২. তাওয়াফের দু’ রাক’আত সালাত মাকামে ইবরাহীমের পিছনে আদায় করা
  • ১০৩৩. ফজর ও ‘আসর-এর (সালাতের) পর তাওয়াফ করা।
  • ১০৩৪. অসুস্থ ব্যক্তির সাওয়ার হয়ে তাওয়াফ করা
  • ১০৩৫. হাজীদের পানি পান করানো
  • ১০৩৬. যমযম প্রসঙ্গ।
  • ১০৩৭. হজ্জে কিরানকারীর তাওয়াফ
  • ১০৩৮. উযুসহ তাওয়াফ করা
  • ১০৩৯. সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা ওয়াজিব এবং একে আল্লাহর নিদর্শন বানানো হয়েছে
  • ১০৪০. সাফা ও মারওয়ার মাঝে সা’য়ী করা।
  • ১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
  • ১০৪৩. যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ হাজী কোথায় যুহরের সালাত আদায় করবে?
  • ১০৪৪. মিনায় সালাত আদায় করা
  • ১০৪৫. ‘আরাফার দিনে সাওম
  • ১০৪৬. সকালে মিনা থেকে ‘আরাফা যাওয়ার সময় তালবিয়া ও তাকবীর বলা
  • ১০৪৭. ‘আরাফার দিনে দুপুরে (উকূফের স্থানে) যাওয়া
  • ১০৪৮. ‘আরাফায় সওয়ারীর উপর ওকূফ করা
  • ১০৫০. ‘আরাফায় খুতবা সংক্ষিপ্ত করা
  • ১০৫২. আরাফায় ওকূফ করা
  • ১০৫৩. ‘আরাফা থেকে ফিরার পথে চলার গতি
  • ১০৫৪. ‘আরাফা ও মুযদালিফার মধ্যবর্তী স্থানে অবতরণ
  • ১০৫৫. (‘আরাফা থেকে) প্রত্যাবর্তনের সময় নবী (ﷺ) ধীরে চলার নির্দেশ দিতেন এবং তাঁদের প্রতি চাবুকের সাহায্যে ইশারা করতেন
  • ১০৫৬. মুযদালিফায় দু’ ওয়াক্ত সালাত একসাথে আদায় করা
  • ১০৫৭. দু’ ওয়াক্ত সালাত একসাথে আদায় করা এবং এ দুয়ের মাঝে কোন নফল সালাত আদায় না করা
  • ১০৫৮. মাগরিব এবং ‘ইশা উভয় সালাতের জন্য আযান ও ইকামাত দেওয়া
  • ১০৫৯. যারা পরিবারের দুর্বল লোকদের রাতে আগে পাঠিয়ে দিয়ে মুযদালিফায় ওকূফ করে ও দু’আ করে এবং চাঁদ ডুবে যাওয়ার পর আগে পাঠাবে
  • ১০৬০. মুযদালিফায় ফজরের সালাত কোন সময় আদায় করবে?
  • ১০৬১. মুযদালিফা হতে কখন রওয়ানা হবে?
  • ১০৬২. কুরবানীর দিন সকালে জামরায়ে ‘আকাবাতে কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর ও তালবিয়া বলা এবং চলার পথে কাউকে সওয়ারীতে পেছনে বসানো
  • ১০৬৩. (আল্লাহর বাণীঃ) তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরা দ্বারা লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কুরবানী করবে ... হারামের বাসিন্দা নয় (২ঃ ১৯৬)
  • ১০৬৪. কুরবানীর উটের পিঠে সাওয়ার হওয়া।
  • ১০৬৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে নিয়ে যায়
  • ১০৬৬. রাস্তা থেকে কুরবানীর পশু খরিদ করা
  • ১০৬৭. যে ব্যক্তি যুল-হুলায়ফা থেকে (কুরবানীর পশুকে) ইশ’আর এবং কিলাদা করে পরে ইহরাম বাঁধে।
  • ১০৬৮. উট এবং গরুর জন্য কিলাদা পাকান
  • ১০৬৯. কুরবিনীর পশু ইশ’আর করা।
  • ১০৭০. যে নিজ হাতে কিলাদা বাঁধে
  • ১০৭১. বকরীর গলায় কিলাদা পরানো
  • ১০৭২. পশমের তৈরি কিলাদা
  • ১০৭৩. জুতার কিলাদা ঝুলান
  • ১০৭৪. কুরবানীর উটের পিঠে আবরন পরানো। ইবন ‘উমর (রা) শুধু কুজের স্থানের ঝুল ফেড়ে দিতেন। আর তা নহর করার সময় নষ্ট করে দেওয়ার আশঙ্কায় ঝুলটি খুলে নিতেন এবং পরে তা সাদকা করে দিতেন
  • ১০৭৫. যে ব্যক্তি রাস্তা থেকে কুরবানীর জন্তু খরিদ করে ও তাঁর গলায় কিলাদা বাঁধে
  • ১০৭৬. স্ত্রীদের পক্ষে থেকে তাদের নির্দেশ ছাড়া স্বামী কর্তৃক কুরবানী করা।
  • ১০৭৭. মিনাতে নবী (ﷺ)-এর কুরবানী করার স্থানে কুরবানি করা
  • ১০৭৮. যে ব্যক্তি নিজ হাতে কুরবানী করে
  • ১০৭৯. উট বাঁধা অবস্থায় কুরবানী করা
  • ১০৮০. উট দাঁড় করিয়ে কুরবাণী করা।
  • ১০৮১. কুরবানীর জানোয়ারের কোন কিছুই কসাইকে দেওয়া যাবে না।
  • ১০৮২. কুরবানীর জানোয়ারের চামড়া সাদকা করা।
  • ১০৮৩. কুরবানীর জানোয়ারের পিঠের আবরণ সাদ্‌কা করা।
  • ১০৮৪. (আল্লাহর বাণী): এবং স্মরণ করুন, যখন আমি ইবরাহীমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সে ঘরের স্থান, তখন বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কোন শরীক স্থির করবে না এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে- তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে এবং যারা দাঁড়ায়, রুকূ’ করে ও সিজ্‌দা করে এবং হজ্জের ঘোষনা করে দিন মানুষের নিকট, তারা আপনার নিকট আসবে পায়ে হেঁটে সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটের পিঠে। এরা আসবে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে।... তার রবের নিকট তার জন্য এই-ই উত্তম (২২: ২৬-৩০)।
  • ১০৮৫. মাথা কামানোর আগে কুরবানী করা।
  • ১০৮৬. ইহরামের সময় মাথায় আঁঠালো বস্তু লাগান ও মাথা কামানো।
  • ১০৮৭. হালাল হওয়ার সময় মাথার চুল কামানো ও ছোট করা।
  • ১০৮৮. ‘উমরা আদায়ের পর তামাত্তু’কারীর চুল ছাটা।
  • ১০৮৯. কুরবানীর দিন তাওয়াফে যিয়ারত করা।
  • ১০৯০. ভুলক্রমে বা অজ্ঞতাবশত কেউ যদি সন্ধ্যার পর কংকর মারে অথবা কুরবানী করার আগে মাথা কামিয়ে ফেলে।
  • ১০৯১. জামরার নিকট সাওয়ারীতে আরোহণ অবস্থায় ফাতোয়া দেওয়া।
  • ১০৯২. মিনার দিনগুলোতে খুতবা প্রদান।
  • ১০৯৩. (হাজীদের) পানি পান করানোর ব্যবস্থাকারীদের ও অন্যান্য লোকদের (উযর বশত) মিনার রাতগুলোতে মক্কায় অবস্থান করা।
  • ১০৯৪. কংকর মারা। জাবির (রা) বলেন, নবী (সাঃ) কুরবানীর দিন চাশতের সময় এবং পরবর্তী দিনগুলোতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর কংকর মেরেছেন
  • ১০৯৫. বাতন ওয়াদী (উপত্যকার নীচুস্থান) থেকে কংকর মারা
  • ১০৯৬. জামরায় সাতটি কংকর মারা। এ কথাটি ইব্‌ন ‘উমর (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন।
  • ১০৯৭. বায়তুল্লাহকে বাম দিকে রেখে জামরায়ে ‘আকাবায় কংকর মারা।
  • ১০৯৮. প্রতিটি কংকরের সাথে তাকবীর বলা। নবী (ﷺ) থেকে ইবন উমর (রাঃ) এ কথাটি বর্ণনা করেছেন।
  • ১১০০. অপর দুই জামরায় কংকর মেরে সমতল জায়গায় গিয়ে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ান
  • ১১০১. নিকটবর্তী এবং মধ্যবর্তী জামরার কাছে উভয় হাত তোলা।
  • ১১০২. দুই জামরার কাছে (দাঁড়িয়ে) দু’আ করা
  • ১১০৩. কংকর মারার পর খুশবু লাগান এবং তাওয়াফে যিয়ারতের আগে মাথা কামানো
  • ১১০৪. বিদায়ী তাওয়াফ
  • ১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
  • ১১০৬. (মিনা থেকে) প্রত্যাবর্তনের দিন আবতাহ নামক স্থানে ‘আসরের সালাত আদায় করা।
  • ১১০৭. মুহাসসাব
  • ১১০৮. মক্কায় প্রবেশের আগে যু-তুয়াতে অবতরণ এবং মক্কা থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় যুল-হুলাইফার বাতহাতে অবতরণ
  • ১১১০. (হজ্জের) মৌসুমে ব্যবহার করা এবং জাহিলী যুগের বাজারে বেচা-কেনা
  • ১১১১. মুহাসসাব থেকে শেষ রাতে রওয়ানা হওয়া
  • ১১১২. উমরা ওয়াজিব হওয়া এবং তার ফযীলত।
  • ১১১৩. যে ব্যক্তি হজ্জের আগে ‘উমরা আদায় করল
  • ১১১৪. নবী (ﷺ) কতবার উমরা করেছেন
  • ১১১৫. রমযান মাসে ‘উমরা আদায় করা
  • ১১১৬. মুহাসসাবের রাতে ও অন্য সময়ে ‘উমরা করা
  • ১১১৭. তান’ঈম থেকে ‘উমরা করা।
  • ১১১৮. হজ্জের পর ‘উমরা আদায় করাতে কুরবানী ওয়াজিব হয় না।
  • ১১১৯. কষ্ট অনুপাতে ‘উমরার সাওয়াব
  • ১১২০. ‘উমরা আদায়কারী ‘উমরার তাওয়াফ করে রওয়ানা হলে, তা কি তার জন্য বিদায়ী তাওয়াফের পরিবর্তে যাথেষ্ট হবে?
  • ১১২১. হজ্জে যে কাজ করা হয় ‘উমরাতেও তাই করবে
  • ১১২২. ‘উমরা আদায়কারী কখন হালাল হবে।
  • ১১২৩. হজ্জ, ‘উমরা ও জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করে কি (দু’আ) বলবে
  • ১১২৪. আগমনকারী হাজীদের খোশ-আমদের জানান এবং একই বাহনে তিনজন একত্রে সওয়ার হওয়া
  • ১১২৫. সকালে বাড়ি পৌছা
  • ১১২৬. বিকালে বাড়িতে প্রবেশ করা
  • ১১২৭. শহরে পৌছে রাতের বেলা পরিবারের কাছে প্রবেশ করবে না
  • ১১২৮. মদীনা পৌছে যে ব্যক্তি তার উটনী দ্রুত চালায়
  • ১১২৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমারা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ কর
  • ১১৩০. সফর ‘আযাবের একটি অংশ
  • ১১৩১. মুসাফিরের সফর দ্রুত করা ও করে শীঘ্র বাড়ি ফেরা
  • ১১৩৩. ‘উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি আবরুদ্ধ হয়ে যায়
  • ১১৩৪. হজ্জে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া
  • ১১৩৫. বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা কামানোর আগে কুরবানী করা
  • ১১৩৬. যার মতে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর কাযা ওয়াজিব নয়। রাওহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কাযা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, যে তার হজ্জ স্ত্রী উপভোগ করে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে প্রকৃত ওযর কিংবা অন্য বাধা থাকলে সে হালাল হয়ে যাবে এবং তাকে (কাযার জন্য) ফিরে আসতে হবে না। বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট কুরবাণীর পশু থাকলে সেখানেই কুরবানী দিয়ে (হালাল হয়ে যাবে) যদি পশু কুরবানীর স্থানে পাঠাতে অক্ষম হয়। আর যদি সে তা পাঠাতে পারে তা হলে কুরবানীর জানোয়ারটি তার স্থানে না পৌছা পর্যন্ত হালা হবে না। ইমাম মালিক (রহঃ) ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, সে যে কোন স্থানে কুরবানীর পশুটি যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিতে পারবে। তার উপর কোন কাযা নেই। কেননা, হুদায়বিয়াতে তাওয়াফের আগে এবং কুরবানীর জানোয়ার বায়তুল্লাহয় পৌছার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীগন যবেহ করেছেন, মাথা কামিয়েছেন এবং হালাল হয়ে গিয়েছেন। এর কোন উল্লেখও নেই যে, এরপর নবী করীম (ﷺ) কাউকে কাযা করার বা (পুনরায় হজ্জ আদায় করার জন্য) ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ হুদায়বিয়া হারাম শরীফের বাইরে অবস্থিত।
  • ১১৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয় কিংবা মাথায় ক্লেশ থাকে তবে সিয়াম কিংবা সাদকা অথবা কুরবানীর দ্বারা তার ফিদয়া দিবে। ‘এ ব্যাপারে তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। তবে সিয়াম পালন করলে তিন দিন করবে।
  • ১১৩৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ অথবা সাদকা অর্থাৎ ছয়জন মিসকীনকে খাওয়ানো
  • ১১৩৯. ফিদয়ার দেয় খাদ্য অর্ধ সা’ পরিমাণ
  • ১১৪০. নুসূক হলো বকরী কুরবানী
  • ১১৪১. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্ত্রী সম্ভোগ নেই
  • ১১৪২. মহান আল্লাহর বানীঃ হজ্জের সময়ে অন্যায় আচরন ও ঝগড়া-বিবাদ নেই (২ঃ ১৯৭)
  • ১১৪৪. মুহরিম নয় এমন কোন ব্যক্তি যদি শিকার করে শিকারকৃত জন্তু মুহরিমকে উপহার দেয় তাহলে মুহরিম তা খেতে পারবে। ইবন ‘আব্বাস (রা) ও আনাস (রা) শিকার ছাড়া অন্ন কোন প্রানী যবেহ করাতে মুহরিমের কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। যেমন উট, বকরী, গরু, মুরগী ও ঘোড়া। বলা হয় عَدْل অর্থ مِثْل (অনুরূপ) এবং عِدْلٌ অর্থ زِنَةُ (সমান) قِيَامًا এর অর্থ হল قِوَامًا (কল্যাণ) এবং يَعْدِلُونَ এর অর্থ হল يَجْعَلُونَ له عَدْلاً (সমকক্ষ দাঁড় করানো)
  • ১১৪৫. মুহরিম ব্যক্তিগন শিকার জন্তু দেখে হাসাহাসি করার ফলে যদি ইহরামবিহীন ব্যক্তিরা তা বুঝে ফেলে
  • ১১৪৬. শিকার জন্তু হত্যা করার ব্যাপারে মুহরিম কোন হালাল ব্যক্তিকে সাহায্য করবে না
  • ১১৪৭. ইহরামধারী ব্যক্তি শিকার জন্তুর প্রতি ইশারা করবে না, জার ফলে ইহরামবিহীন ব্যক্তি শিকার করে নেয়
  • ১১৪৮. মুহরিম ব্যক্তিকে জীবিত জংলী গাধা হাদিয়া দিলে সে তা কবূল করবে না
  • ১১৪৯. মুহরিম ইহরাম অবস্থায় কি কি প্রাণী বধ করতে পারে
  • ১১৫০. হারম শরীফের কোন গাছ কাটা যাবে না । ইবন ‘আব্বাস (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, হারম শরীফের কাঁটাও কর্তন করা যাবে না
  • ১১৫১. হারমের কোন শিকার জন্তুকে তাড়ান যাবে না
  • ১১৫২. মক্কাতে লড়াই করা অবৈধ, আবূ শুরায়হ (রাঃ) করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মক্কাতে কোন রক্তপাত করা যাবে না
  • ১১৫৩. মুহরিমের জন্য সিংগা লাগানো। ইবন ‘উমর (রাঃ) তাঁর ছেলেকে ইহরাম অবস্থায় লোহা গরম করে দাগ দিয়েছিলেন। মুহরিম সুগন্ধিবিহীন ঔষধ ব্যবহার করতে পারে
  • ১১৫৪. ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করা
  • ১১৫৫. মুহরিম পুরুষ ও মহিলার জন্য নিষিদ্ধ সুগন্ধি সমূহ। আয়শা (রাঃ) বলেন, মুহরিম নারী ওয়ারস কিংবা জাফরানে রঞ্জিত কাপড় পরিধান করবে না
  • ১১৫৬. মুহরিম ব্যক্তি গোসল করা। ইবন ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, মুহরিম ব্যক্তি গোসলখানায় প্রবেশ করতে পারবে। ইবন ‘উমর এবং আয়িশা (রাঃ) মুহরিম ব্যক্তি কর্তৃক শরীর চুলকানোতে কোন দোষ আছে বলে মনে করেন না
  • ১১৫৭. চপ্পল না থাকা অবস্থায় মুহরিম ব্যক্তির জন্য মোজা পরিধান করা
  • ১১৫৮. লুঙ্গি না পেলে (মুহরিম ব্যক্তি) পায়জামা পরিধান করবে।
  • ১১৫৯. মুহরিম ব্যক্তির অস্ত্র ধারন করা।
  • ১১৬০. মক্কা ও হারম শরীফে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করা। ইবন ‘উমর (রাঃ) ইহরাম ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন। নবী করীম (ﷺ) হজ্জ ও উমরা আদায়েস সংকল্পকারী লোকেদেরই ইহরাম বাঁধার আদেশ করেছিলেন। কাঠ বহনকারী এবং অন্যান্যদের জন্য তিনি ইহরাম বাঁধার কথা উল্লেখ করেন নি
  • ১১৬১. অজ্ঞাতবশতঃ যদি কেউ জামা পরে ইহরাম বাঁধে । ‘আতা (র) বলেন, অজ্ঞাতবশতঃ বা ভুলক্রমে যদি কেউ সুগন্ধি মাখে অথবা জামা পরিধান করে, তাহলে তাঁর উপর কোন কাফফারা নেই
  • ১১৬২. মুহরিম ব্যক্তির ‘আরাফাতে মৃত্যু হলে নবী করীম (ﷺ) তাঁর পক্ষে হতে হজ্জের বাকী রুকুন গুলো আদায় করার জন্য আদেশ প্রদান করেন নি
  • ১১৬৩. ইহরাম অবস্থায় মৃত্যু হলে তাঁর বিধান
  • ১১৬৪. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ বা মানত আদায় করা। মহিলার পক্ষ থেকে পুরুষ হজ্জ আদায় করতে পারে
  • ১১৬৫. যে ব্যক্তি সওয়ারীতে বসে থাকতে সক্ষম নয়, তাঁর পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করা
  • ১১৬৬. পুরুষের পক্ষে মহিলার হজ্জ আদায় করা
  • ১১৬৭. বালকদের হজ্জ আদায় করা
  • ১১৬৮. মহিলাদের হজ্জঃ আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ...’আব্দুর রহমান ইবন’আওফ (রাঃ) হতে বর্নিত, যে বছর তিনি নবী করীম (ﷺ) এর সকল স্ত্রীকে হজ্জ আদায় করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তাঁদের সাথে ‘উসমান ইবন ‘আফফান (রাঃ) এবং কে পাঠিয়েছিলেন
  • ১১৬৯. যে ব্যক্তি পায়ে হেটে কা’বার যিয়ারত করার মানত করে
  • ১১৭০. মদীনা হারম হওয়া
  • ১১৭১. মদীনার ফজীলত। মদীনা (অবাঞ্ছিত) লোকদেরকে বহিষ্কার করে দেয়
  • ১১৭২. মদীনার অপর নাম তাবা
  • ১১৭৩. মদীনার কংকরময় দু’টি এলাকা
  • ১১৭৪. যে ব্যক্তি মদীনা থেকে বিমুখ হয়
  • ১১৭৫. ঈমান মদীনার দিকে ফিরে আসবে
  • ১১৭৬. মদীনাবাসীর সাথে প্রতারনাকারীর পাপ
  • ১১৭৭. মদীনার প্রস্তর নির্মিত দুর্গসমূহ
  • ১১৭৮. দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না
  • ১১৭৯. মদীনা অপবিত্র লোকদেরকে বহিষ্কার করে দেয়
  • ১১৮০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১১৮১. মদীনার কোন এলাকা পরিত্যাগ করা বা জনশুন্য করা নবী করীম (সাঃ) অপছন্দ করতেন
  • ১১৮২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৩/ সাওম বা রোজা (كتاب الصوم) ১১২ টি | ১৭৭০-১৮৮১ পর্যন্ত 23/ Fasting
  • ১১৮৩. রমযানের সাওম ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ হে মু’মিনগন! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হও (২:১৮৩)
  • ১১৮৪. সাওমের ফযীলত
  • ১১৮৫. সাওম (গোনাহের) কাফফারা
  • ১১৮৬. সাওম পালনকারীর জন্য রায়্যান
  • ১১৮৭. রমজান বলা হবে, না রমযান মাস বলা হবে? আর যাদের মতে উভয়টি বলা যায়। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করবে এবং আরো বলেছেনঃ তোমরা রমযানের আগে সিয়াম পালন করবে না
  • ১১৮৮. চাঁদ দেখা
  • ১১৮৯. যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় নিয়তসহ সিয়াম পালন করবে। ‘আয়িশা (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন নিয়ত অনুযায়ী লোকদের উঠানো হবে।
  • ১১৯০. নবী (ﷺ) রমযানে সর্বাধিক দান করতেন
  • ১১৯১. সাওম পালনের সময় মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন না করা
  • ১১৯২. কাউকে গালি দেওয়া হলে সে কি বলবে, আমি তো সাওম পালনকারী?
  • ১১৯৩. অবিবাহিত ব্যক্তি যে নিজের উপর আশংকা করে, তার জন্য সাওম
  • ১১৯৪. নবী করীম (ﷺ) এর বাণীঃ যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন সাওম শুরু করবে আবার যখন চাঁদ দেখবে তখন ইফতার বন্ধ করবে।
  • ১১৯৫. ঈদের দুই মাস কম হয় না
  • ১১৯৬. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমরা লিখি না এবং হিসাবও করি না
  • ১১৯৭. রমযানের একদিন বা দু’দিন আগে সাওম শুরু করবে না
  • ১১৯৮. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ সিয়ামের রাতে তোমাদের স্ত্রীসম্ভোগ বৈধ হয়েছে। তাঁরা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা ও তাঁদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ জানতেন, তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছিলে, তারপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হয়েছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং এখন তোমরা তাঁদের সাথে সঙ্গত হও এবং আল্লাহ যা তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তা কামনা কর। (২ঃ ১৮৭)
  • ১১৯৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা পানাহার কর যতক্ষন না কাল রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্ট রুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। তারপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ন কর। এ বিষয় নবী করীম (ﷺ) থেকে বারা (রাঃ) হাদীস বর্ননা করেছেন
  • ১২০০. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ বিলালের আযান যেন তোমাদের সাহরী থেকে বিরত না রাখে
  • ১২০১. সাহরী খাওয়ায় তাড়াতাড়ি করা
  • ১২০২. সাহরী ও ফজরের সালাতের মাঝে ব্যবধানের পরিমান
  • ১২০৩. সাহরীতে রয়েছে বরকত কিন্তু তা ওয়াজিব নয়। কেননা নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগন একটানা সাওম পালন করেছেন অথচ সেখানে সাহরির কোন উল্লেখ নেই
  • ১২০৪. যদি কেউ দিনের বেলা সাওমের নিয়ত করে।
  • ১২০৫. জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় সাওম পালনকারীর ভোর হওয়া
  • ১২০৬. সায়িম কর্তৃক স্ত্রী স্পর্শ করা।
  • ১২০৭. সায়িমের চুমু খাওয়া।
  • ১২০৮. সাওম পালনকারীর গোসল করা
  • ১২০৯. সাওম পালনকারী যদি ভুলবশতঃ আহার করে বা পানাহার করে ফেলে।
  • ১২১০. সায়িমের জন্য কাঁচা বা শুকনো মিসওয়াক ব্যবহার করা।
  • ১২১২. রমযানে সহবাস করা। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে একটি মারফু হাদিস বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ওযর এবং রোগ ব্যতীত রমযানের একটি সাওম ভেঙ্গে ফেলল, তার সারা জীবনের সাওমের দ্বারাও এ কাযা আদায় হবে না, যদিও সে সারা জীবন সাওম পালন করে। ইবন মাসউদ (রাঃ)ও অনুরূপ কথাই বলেছেন। সা’ঈদ ইবন মুসায়্যাব, শাবী, ইবন যুবায়র, ইবরাহীম, কাতাদা এবং হাম্মাম (রহঃ) বলেছেন, তার স্থলে একদিন কাযা করবে।
  • ১২১৩. যদি রমযানে স্ত্রী সঙ্গম করে এবং তার নিকট কিছু না থাকে এবং তাকে সাদকা দেওয়া হয়, তা হলে সে যেন তা কাফফারা স্বরূপ দিয়ে দেয়
  • ১২১৪. রমযানে রোযাদার অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করেছে সে ব্যক্তি কি কাফফারা থেকে তার অবাবগ্রস্ত পরিবারকে খাওাতে পারবে?
  • ১২১৫. সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।
  • ১২১৬. সফরে সওম পালন করা বা না করা
  • ১২১৭. রমযানের কয়েকদিন সওম করে যদি কেউ সফর আরম্ভ করে
  • ১২১৮. প্রচণ্ড গরমের জন্য যে ব্যক্তির উপর ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁর সম্পর্কে নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ সফরে সওম পালন করায় নেকী নেই
  • ১২১৯. সওম পালন করা ও না করার ব্যাপারে নাবী (ﷺ) এর সাহাবীগণ একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করতেন না
  • ১২২০. সফর অবস্থায় সাওম ভঙ্গ করা, যাতে লোকেরা দেখতে পায়
  • ১২২১. এ (রোযা) যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়া একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করা (২ঃ ১৮৪)
  • ১২২২. রমযানের কাযা কখন আদায় করা হবে?
  • ১২২৩. ঋতুবতী মহিলা সালাত ও সওম উভয়ই ত্যাগ করবে
  • ১২২৪. সাওমের কাযা যিম্মায় রেখে যার মৃত্যু হয়। হাসান (রহঃ) বলেন, তাঁর পক্ষ হতে ত্রিশজন লোক একদিন সওম পালন করলে হবে।
  • ১২২৫. সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা হালাল।
  • ১২২৬. পানি বা সহজলভ্য অন্য কিছু দিয়ে ইফতার করবে
  • ১২২৭. ইফতার ত্বরান্বিত করা
  • ১২২৮. রমযানে ইফতারের পরে যদি সূর্য দেখা যায়
  • ১২২৯. বাচ্চাদের সওম পালন করা।
  • ১২৩০. সওমে বিসাল (বিরতিহীন সওম) আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “রাতের আগমন পর্যন্ত সওম পূর্ণ কর” (আল-বাক্বারা ২:১৮৭)। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে সাওম পালন করা যাবে না বলে যিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন, নাবী(সাঃ) উম্মতের উপর দয়াপরবশ হয়েও তাঁদের স্বাস্থ্য রক্ষার খাতিরে সওমে বিসাল হতে নিষেধ করেছেন এবং কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা নিন্দনীয়।
  • ১২৩১. যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে সাওমে বেসাল পালন করে তাকে শাস্তি প্রদান। আনাস (রাঃ) নবী করীম (সাঃ) হতে এ বর্ণনা করেছেন।
  • ১২৩২. সাহরীর সময় পর্যন্ত সওমে বিসাল পালন করা
  • ১২৩৩. কোন ব্যক্তি তাঁর ভাইয়ের নফল সওম ভাঙ্গার জন্য কসম দিলে এবং তার জন্য এ সাওমের কাযা ওয়াজিব মনে না করলে, যখন সাওম পালন না করা তার জন্য উত্তম হয়।
  • ১২৩৪. শা’বান (মাস) এর সাওম
  • ১২৩৫. নাবী (ﷺ) এর সাওম পালন করা ও না করার বর্ণনা
  • ১২৩৬. (নফল) সাওমের ব্যাপারে মেহমানের হক
  • ১২৩৭. নফল সওমে শরীরের হক
  • ১২৩৮. পুরা বছর সাওম পালন করা
  • ১২৩৯. সাওম পালনের ব্যাপারে পরিবার-পরিজনের অধিকার। আবূ জুহায়ফাহ (রাঃ) নাবী (সাঃ) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
  • ১২৪০. একদিন সাওম পালন করা ও একদিন ছেড়ে দেওয়া
  • ১২৪১. দাঊদ (আঃ) এর সাওম
  • ১২৪২. সিয়ামুল বীয ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ (এর সাওম)
  • ১২৪৩. কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে (নফল) সাওম ভঙ্গ না করা
  • ১২৪৪. মাসের শেষভাগে সাওম পালন করা
  • ১২৪৫. জুমু’আর দিনে সাওম পালন করা। যদি জুমু’আর দিন সাওম পালনরত অবস্থায় ভোর হয় তবে তার উচিত সাওম ছেড়ে দেওয়া। অর্থাৎ যদি এর আগের দিনে সাওম পালন না করে থাকে এবং পরের দিনে সাওম পালনের ইচ্ছা না থাকে।
  • ১২৪৬. সাওম পালনের (উদ্দেশে) কোন দিন কি নির্দিষ্ট করা যায়?
  • ১২৪৭. ‘আরাফাতের দিনে সাওম পালন করা
  • ১২৪৮. ঈদুল ফিতরের দিনে সাওম পালন করা
  • ১২৪৯. কুরবানীর দিন সাওম পালন
  • ১২৫০. আইয়্যামে তাশরীকে সাওম পালন করা
  • ১২৫১. আশুরার দিনে সাওম পালন করা
  • ২৪/ তারাবীহর সালাত (كتاب صلاة التراويح) ১৬ টি | ১৮৮২-১৮৯৭ পর্যন্ত 24/ Praying at Night in Ramadaan (Taraweeh)
  • ১২৫২. কিয়ামে রমযান-এর (রমযানে তারাবীহর সালাতের) ফযীলত
  • ১২৫৩. লাইলাতুল ক্বদর এর ফযীলত। আর মহান আল্লাহর বাণীঃ “নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি এ কুর’আন মহিমান্বিত রাতে। আর আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত কি? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাত শান্তি শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত।“ (আল ক্বাদরঃ ৯৭:১-৫) ইবন উয়াইনা (রহঃ) বলেন, কুরআন মাজীদে যে স্থলে مَا أَدْرَاكَ উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ্‌ তা'আলা সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অবহিত করেছেন। আর যে স্থলে وَمَا يُدْرِيكَ উল্লেখ করা হয়েছে তা তাকে অবহিত করেন নি।
  • ১২৫৪. (রমযানের) শেষের সাত রাতে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করো
  • ১২৫৫. রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বাদর সন্ধান করা; এ প্রসঙ্গে উবাদা (রাঃ) থেকে রেওয়ায়াত রয়েছে।
  • ১২৫৬. মানুষের পারস্পরিক ঝগড়া-বিবাদের কারণে লাইলাতুল ক্বদ্রের সুনির্দিষ্ট জ্ঞান উঠিয়ে নেয়া
  • ১২৫৭. রমযানের শেষ দশকের ‘আমল
  • ২৫/ ই'তিকাফ (كتاب الاعتكاف) ২১ টি | ১৮৯৮-১৯১৮ পর্যন্ত 25/ Retiring to a Mosque for Remembrance of Allah (I'tikaf)
  • ১২৫৮. রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ এবং ই‘তিকাফ সব মসজিদেই হয়। কারণ মহান আল্লাহর বাণীঃ ”আর যতক্ষণ তোমরা ই‘তকাফ অবস্থায় মাসজিদসমূহে অবস্থান কর ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করো না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। অতএব তোমরা এর নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবে আল্লাহ তাঁর নিদর্শনাবলী মানব জাতির জন্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।“ (আল-বাক্বরহঃ ২:১৮৭)
  • ১২৫৯. ঋতুবতী নারী কর্তৃক ই‘তিকাফকারীর চুল আঁচড়িয়ে দেওয়া
  • ১২৬০. (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ছাড়া ই‘তিকাফরত ব্যক্তি (তার) ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না
  • ১২৬১. ই‘তিকাফকারীর (মাথা) ধৌত করা
  • ১২৬২. রাতে ই‘তিকাফ করা
  • ১২৬৩. নারীদের ই‘তিকাফ করা
  • ১২৬৪. মসজিদের অভ্যন্তরে তাঁবু খাটানো
  • ১২৬৫. কোন প্রয়োজনে ই‘তিকাফরত ব্যক্তি কি মসজিদের দরজা পর্যন্ত বের হতে পারেন?
  • ১২৬৬. ই‘তিকাফ এবং নাবী (ﷺ) কর্তৃক (রমযানের) বিশ তারিখ সকালে বেরিয়ে আসা
  • ১২৬৭. মুস্তাহাযা (প্রদর স্রাবযুক্ত) নারীর ই‘তিকাফ করা
  • ১২৬৮. ইতিকাফ অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সাক্ষাৎ করা
  • ১২৬৯. ই‘তিকাফকারীর নিজের উপর সৃষ্ট সন্দেহ অপনোদন করা
  • ১২৭০. ই‘তিকাফ হতে সকাল বেলা বের হওয়া
  • ১২৭১. শাওয়াল মাসে ই‘তিকাফ করা
  • ১২৭২. যিনি ই‘তিকাফকারীর জন্য সওম পালন জরুরী মনে করেন না
  • ১২৭৩. জাহিলিয়্যাতের যুগে ই‘তিকাফ করার মানত করে পরে ইসলাম কবুল করা
  • ১২৭৪. রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফা করা
  • ১২৭৫. ই‘তিকাফ করার ইচ্ছা করে পরে কোন কারণে তা হতে বেরিয়ে যাওয়া ভাল মনে করা
  • ১২৭৬. ই‘তকাফকারী মাথা ধোয়ার উদ্দেশ্যে তার মাথা ঘরে প্রবেশ করানো
  • ২৬/ ক্রয় - বিক্রয় (كتاب البيوع) ১৭৮ টি | ১৯১৯-২০৯৬ পর্যন্ত 26/ Sales and Trade
  • ১২৭৭. মহান আল্লাহ্ তায়ালার এই বাণী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে (ইরশাদ করছেন): সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং মহান আল্লাহ্ তায়ালার অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে অধিক স্মরন করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। যখন তারা দেখল ব্যাবসায় কৌতুক, তখন তারা আপনাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল। বলুন, মহান আল্লাহ্ তায়ালার নিকট যা আছে, তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যাবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। মহান আল্লাহ্ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (৬২:১০-১১)। আর মহান আল্লাহ্ তায়ালার বানী: তোমরা নিজেদের মধ্যে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করোনা। কিন্তু তোমাদের পরস্পর রাযী হয়ে ব্যাবসা করা বৈধ।
  • ১২৭৮. হালাল সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট, উভয়ের মাঝে অস্পষ্ট বিষয় রয়েছে।
  • ১২৭৯. সন্দেহজনক কাজের ব্যাখ্যা। হযরত হাসসান ইবন আবু সিনান (রঃ) বলেন, আমি পরহেযগারী থেকে বেশী সহজ কাজ দেখতে পাইনি। (তা হলো) যা তোমার কাছে সন্দেহযুক্ত মনে হয়, তা পরিত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত কাজ করো।
  • ১২৮০. সন্দেহযুক্ত থেকে বাঁচা
  • ১২৮১. ওয়াসওয়াসা ইত্যাদিকে যে সন্দেহ বলে গন্য করে না
  • ১২৮২. মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার বাণীঃ যখন তারা দেখল ব্যাবসা ও কৌতুক তখন তারা সে দিকে ছুটে গেল। (৬২:১১)
  • ১২৮৩. যে ব্যক্তি কোথা থেকে সম্পদ উপার্জন করল, তার পরোয়া করে না
  • ১২৮৪. কাপড় ও অন্যান্য দ্রব্যের ব্যাবসা।
  • ১২৮৫. ব্যাবসা-বানিজ্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং মহান আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহের সন্ধান করো। (৬২:১০)
  • ১২৮৭. মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ যখন তারা দেখল ব্যাবসা ও কৌতুক তখন তারা আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল। (৬২:১১) এবং মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী: সে সব লোক, যাদেরকে ব্যাবসা-বানিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় মহান আল্লাহ্ তা’আলার যিকির থেকে গাফিল রাখেনা। হযরত কাতাদা (রাঃ) বলেন, সাহাবীগন (রাঃ) ব্যাবসা-বানিজ্য করতেন বটে, কিন্তু যখন তাদের সামনে মহান আল্লাহ্ তা’আলার কোন হক এসে উপস্থিত হতো, যতক্ষন না তাঁরা এ হক মহান আল্লাহ্ তা’আলার সমীপে আদায় করে দিতেন, ততক্ষন ব্যাবসা-বানিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় মহান আল্লাহ্ তা’আলার ‍যিকির থেকে গাফেল করতে পারতনা।
  • ১২৮৮. মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা যা উপার্জন কর, তন্মধ্যে উৎকৃষ্ট থেকে ব্যায় কর। (২:২৬৭)
  • ১২৮৯. যে ব্যক্তি জীবিকায় বৃদ্ধি কামনা করে
  • ১২৯০. রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক বাকীতে খরিদ করা
  • ১২৯১. লোকের উপার্জন এবং নিজ হাতে কাজ করা
  • ১২৯২. ক্রয়-বিক্রয়ে নম্রতা ও সদ্ব্যবহার। আর যে ব্যক্তি তার পাওনার তাগাদা করে সে যেন অন্যায় বর্জন করে তাগাদা করে।
  • ১২৯৩. সচ্ছল ব্যক্তিকে অবকাশ দেওয়া
  • ১২৯৪. অভাবগ্রস্থকে অবকাশ প্রদান করা
  • ১২৯৫. ক্রেতা-বিক্রেতা কর্তৃক কোন কিছু গোপন না করে পন্যের পূর্ন অবস্থা বর্ননা করা এবং একে অন্যের কল্যান কামনা করা। আদ্দা ইবন খালিদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) আমাকে লিখে দেন যে, এটি রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) আদ্দা ইবন খালিদ থেকে ক্রয় করলেন। এ হলো এক মুসলিমের সঙ্গে আর এক মুসলিমের ক্রয়-বিক্রয়। এতে নেই কোন খুঁত, কোন অবৈধতা এবং গায়িলা। কাতাদা (রঃ) বলেন, গায়িলা অর্থ ব্যভিচার, চুরি ও পালানোর অভ্যাস। ইবরাহীম নাখয়ী (রঃ) কে বলা হলো, কোন কোন দালাল খুরাসান ও সিজিস্তান এর খাসবারশি নাম উচ্চারন করে এবং বলে, এটি কালকে এসেছে খুরাসান থেকে, আর এটি আজ এসেছে সিজিস্তান থেকে। তিনি এরুপ বলাকে খুবই গর্হিত মনে করলেন। উকবা ইবন আমির (রঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে কোন পন্য বিক্রি করছে এবং এর দোষ-ত্রুটি জেনেও তা প্রকাশ করেনা।
  • ১২৯৬. মিশ্রিত খেজুর বিক্রি করা
  • ১২৯৭. গোশত বিক্রেতা ও কসাই প্রসঙ্গে
  • ১২৯৮. মিথ্যা বলা ও দোষ গোপন করায় ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত নষ্ট হওয়া
  • ১২৯৯. মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ হে মু’মিনগন, তোমরা চক্র বৃদ্ধি হারে সুদ খেয়োনা এবং মহান আল্লাহ্ তা’আলা-কে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (৩:১৩০)
  • ১৩০০. সুদ গ্রহনকারী, তার সাক্ষী ও লেখক। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী: যারা সুদ খায়, তারা সেই ব্যক্তিরই ন্যায় দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এ জন্য যে, তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতো ..... তারা অগ্নির অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। (২:২৭৫)
  • ১৩০১. সুদদাতা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ হে মু’মিনগন, তোমরা মহান আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে, তা ছেড়ে দাও। ........ কর্মফল পুরোপুরি দেওয়া হবে আর তাদের প্রতি কোনরুপ অন্যায় করা হবেনা। (২:২৭৮-৭৮১) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন। এটিই শেষ আয়াত, যা রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছে।
  • ১৩০২. (মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী) : মহান আল্লাহ্ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলা কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। (২: ২৭৬)
  • ১৩০৩. ক্রয়-বিক্রয়ে কসম খাওয়া নিষিদ্ধ
  • ১৩০৪. স্বর্নকার প্রসঙ্গে। তাউস (রঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, মক্কার কাঁচা ঘাস কাটা যাবেনা। আব্বাস (রাঃ) বললেন, কিন্তু ইযখির ঘাস ব্যতীত। কেননা তা মক্কাবাসীদের কর্মকারদের ও তাদের ঘরের কাজে ব্যাবহৃত হয়। রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, আচ্ছা, ইযখির ঘাস ব্যতীত।
  • ১৩০৫. তীরের ফলক প্রস্তুতকারী ও কর্মকার প্রসঙ্গে
  • ১৩০৬. দরজী প্রসঙ্গে
  • ১৩০৭. তাঁতী প্রসঙ্গে
  • ১৩০৮. সূত্রধর প্রসঙ্গে
  • ১৩০৯. ইমাম কর্তৃক নিজেই প্রয়োজনীয় বস্তু খরিদ করা।
  • ১৩১০. জন্তু ও গাধা খরিদ করা। জন্তু বা উট খরিদ কালে বিক্রেতা যদি তার পিঠে আরোহী অবস্থায় থাকে, তবে তার অবতরনের পূর্বেই কি ক্রেতার হস্তগত হয়েছে বলে গন্য হতে পারে? হযরত ইবন উমর (রাঃ) বর্ননা করেন যে, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, আমার কাছে তা অর্থাৎ অবাধ্য উটটি বিক্রয় করে দাও।
  • ১৩১১. জাহিলী যুগে যে সকল বাজার ছিল এরপর ইসলামী যুগে সেগুলোতে লোকদের বেচাকেনা করা
  • ১৩১২. অতি পিপাসাকাতর অথবা চর্মরোগে আক্রান্ত উট ক্রয় করা। হায়িম অর্থ সকল বিষয়ে মধ্যপন্থা বিরোধী
  • ১৩১৩. ফিতনার সময় বা অন্য সময়ে অস্ত্র বিক্রি করা। ইমরান ইবন হুসাইন (রাঃ) ফিতনার ‍সময় অস্ত্র বিক্রি করাকে ভালো মনে করেন নি।
  • ১৩১৪. আতর বিক্রেতা ও মেশক বিক্রি করা।
  • ১৩১৫. শিংগা লাগানো
  • ১৩১৬. পুরুষ এবং মহিলার জন্য যা পরিধান করা নিষিদ্ধ তার ব্যাবসা করা
  • ১৩১৭. পন্যের মালিক মূল্য বলার অধিক হকদার
  • ১৩১৮. (ক্রেতা-বিক্রেতার) খিয়ার কতক্ষন পর্যন্ত থাকবে?
  • ১৩১৯. খিয়ারের সময়-সীমা নির্ধারন না করলে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি?
  • ১৩২০. ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। ইবন উমর (রাঃ), শুরাইহ্, শা’বী, তাউস ও ইবন আবু মুলায়কা (রঃ) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
  • ১৩২১. ক্রয়-বিক্রয় শেষে এক অপরকে ইখতিয়ার প্রদান করলে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হয়ে যাবে।
  • ১৩২২. বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকলে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি?
  • ১৩২৪. ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতারনা করা দোষনীয়
  • ১৩২৫. বাজার সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়েছে। আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) বলেন, আমরা মদীনায় আগমনের পর জিজ্ঞাসা করলাম, এমন কোন বাজার আছে কি, যেখানে ব্যাবসা বানিজ্য হয়? সে বলল, কায়নুকার বাজার আছে। আনাস (রাঃ) বলেন আবদুর রাহমান (রাঃ) বললেন, আমাকে বাজারের রাস্তা দেখিয়ে দাও। হযরত উমর (রাঃ) বলেন, আমাকে বাজারের ক্রয়-বিক্রয় গাফেল করে রেখেছে।
  • ১৩২৬. বাজারে চীৎকার করা অপছন্দনীয়
  • ১৩২৭. মেপে দেওয়ার দায়িত্ব বিক্রেতা ও দাতার উপর।
  • ১৩২৮. মেপে দেওয়া মুস্তাহাব
  • ১৩২৯. রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) এর সা’ ও মুদ এর বরকত। এ প্রসঙ্গে আয়িশা ছিদ্দিকা (রাঃ) সূত্রে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
  • ১৩৩০. খাদ্য বিক্রি ও মজুতদারী সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়।
  • ১৩৩১. অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রি করা এবং যে পন্য নিজের নিকট নেই তা বিক্রি করা
  • ১৩৩২. অনুমানে পরিমান ঠিক করে খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে নিজের ঘরে না এনে তা বিক্রয় করা যিনি বৈধ মনে করেননা এবং এরুপ করা শাস্তিযোগ্য।
  • ১৩৩৩. যদি কোন ব্যক্তি দ্রব্য সামগ্রী বা জানোয়ার খরিদ করে হস্তগত করার পূর্বে তা বিক্রতার নিকটই রেখে দেয়, এরপর বিক্রেতা সে পন্য বিক্রি করে দেয় বা বিক্রেতা মারা যায়। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, যদি বিক্রয়কালে বিক্রিত পশু জীবিত ও যথাযথ অবস্থায় থাকে (এবং পরে তার কোন ক্ষতি হয়) তবে তা ক্রেতার মাল নষ্ট হয়েছে বলে গন্য হবে।
  • ১৩৩৪. কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে, দর-দাম করার উপর দর-দাম না করে যতক্ষন সে তাকে অনুমতি না দেয় বা ত্যাগ না করে।
  • ১৩৩৫. নিলামের মাধ্যমে বিক্রি। আতা (রঃ) বলেন, আমি লোকদের (সাহাবায়ে কিরামকে) দেখেছি যে, তারা গনীমতের মাল অধিক মূল্য দানকারীর কাছে বিক্রি করাতে দোষ মনে করতেন না।
  • ১৩৩৬. প্রতারনামূলক দালালী এবং এরুপ ক্রয়-বিক্রয় জায়িজ নয় বলে যিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইবন আবু আওফা (রাঃ) বলেন, দালাল হলো সুদখোর, খিয়ানতকারী। আর দালালী হলো প্রতারনা, যা বাতিল ও অবৈধ। রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, প্রতারনার ঠিকানা জাহান্নাম। যে এরুপ আমল করে যা আমাদের শরীআতের পরিপন্থী, তা পরিত্যাজ্য।
  • ১৩৩৭. প্রতারনামূলক বিক্রি এবং গর্ভস্থিত বাচ্চা গর্ভ থেকে খালাস হওয়ার পর তা গর্ভবতী হয়ে বাচ্চা প্রসব করা পর্যন্ত মেয়াদে বিক্রি।
  • ১৩৩৮. স্পর্শের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এরুপ বেচা-কেনা থেকে নিষেধ করেছেন।
  • ১৩৩৯. পারস্পরিক নিক্ষেপের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করা। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এরুপ ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন।
  • ১৩৪০. বিক্রেতার প্রতি নিষেধ যে, উটনী, গাভী ও বকরী এবং প্রত্যেক দুগ্ধবতী জন্তুর দুধ সে যেন জমা করে না রাখে। মুসাররাত সে জন্তুকে বলা হয়, যার দুধ কয়েক দিন দোহন না করে আটকিয়ে এবং জমা করে রাখা হয়। তাসরিয়ার মূল অর্থ: পানি আটকিয়ে রাখা। এ থেকে বলা হয় صَرَّيْتُ الْمَاءَ আমি পানি আটকিয়ে রেখেছি বলবে, যখন তুমি পানি আটকিয়ে রাখবে।
  • ১৩৪১. দুধ আটকিয়ে রাখা পশুর ক্রেতা ইচ্ছা করলে ফেরত দিতে পারে এবং দোহিত দুধের বিনিময়ে এক সা’ পরিমান খেজুর দিবে।
  • ১৩৪২. ব্যভিচারী গোলামের বিক্রয়। (কাযী) শুরায়হ (রঃ) বলেন, ক্রেতা ইচ্ছা করলে ব্যভিচারের দোষের কারনে গোলাম ফেরত দিতে পারে।
  • ১৩৪৩. মহিলার সাথে ক্রয়-বিক্রয়
  • ১৩৪৪. পারিশ্রমিক ছাড়া শহরবাসী কি গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় করতে পারে? সে কি তার সাহায্য এবং উপকার করতে পারে? রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের সাহায্য কামনা করে, তখন সে যেন তার উপকার করে। এ বিষয়ে আতা (রঃ) অনুমতি প্রদান করেছেন।
  • ১৩৪৫. পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসীর বিক্রয় করা, যারা নিষিদ্ধ মনে করেন।
  • ১৩৪৬. দালালীর মাধ্যমে শহরবাসী যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে। ইবন সীরীন ও ইবরাহীম (নাখয়ী) (রঃ) ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য তা নাজায়েজ বলেছেন। ইবরাহীম (রঃ) বলেন, আরববাসী বলে, بِعْ لِي ثَوْبًا তারা এর অর্থ গ্রহন করে খরিদ করার, অর্থাৎ আমাকে একটি কাপড় খরিদ করে দাও
  • ১৩৪৭. (শহরে প্রবেশের পূর্বে কমমূল্যে খরিদের আশায়) বনিক দলের সাথে সাক্ষাৎ করা নিষেধ। এরুপ ক্রয় করা প্রত্যাখ্যাত। কেননা এরুপ ক্রেতা অন্যায়কারী ও অপরাধী হবে, যদি তা জ্ঞাত থাকে। ক্রয়-বিক্রয়ে এ এক রকমের ধোঁকা, আর ধোঁকা জায়িয নয়।
  • ১৩৪৮. (বনিক দলের সাথে) সাক্ষাতের সীমা
  • ১৩৪৯. ক্রয়-বিক্রয়ে এমন শর্ত করা যা অবৈধ
  • ১৩৫০. খেজুরের বিনিময়ে খেজুর বিক্রি করা
  • ১৩৫১. কিসমিসের বিনিময়ে কিসমিস ও খাদ্য দ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
  • ১৩৫২. যবের বিনিময়ে যব বিক্রি করা
  • ১৩৫৩. স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয় করা
  • ১৩৫৪. রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য বিক্রয়
  • ১৩৫৫. দীনারের বিনিময়ে দীনার বাকীতে ক্রয়-বিক্রয় করা।
  • ১৩৫৬. বাকীতে স্বর্নের বিনিময়ে রৌপ্যের ক্রয়-বিক্রয়
  • ১৩৫৭. নগদ-নগদ রৌপের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয়
  • ১৩৫৮. মুযাবানা ক্রয়-বিক্রয়। এর অর্থ হলোঃ তাজা খেজুরের বিনিময়ে শুকনা খেজুর, তাজা আঙ্গুরের বিনিময়ে কিসমিসের ক্রয়-বিক্রয় করা আর আরায়া এর ক্রয়-বিক্রয়। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) মুযাবানা ও মুহাকালা থেকে নিষেধ করেছেন।
  • ১৩৫৯. স্বর্ন ও রৌপ্যের বিনিময়ে গাছের মাথায় ফল বিক্রি করা
  • ১৩৬০. আরিয়্যা এর ব্যাখ্যা। ইমাম মালিক (রঃ) বলেন, আরিয়্যা এর অর্থ-কোন একজন কর্তৃক কাউকে খেজুর গাছ (তার ফল খাওয়ার জন্য) দান করা। পরে ঐ ব্যক্তির বাগানে প্রবেশের কারনে সে বিরক্তিবোধ করে, ফলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয় যে, সে শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছগুলো (এর ফল) ঐ ব্যক্তির নিকট থেকে খরিদ করে নিবে।১ মুহাম্মাদ ইবন ইদরীস (ইমাম শাফিঈ (রঃ) বলেন শুকনো খেজুর এর বিক্রি নগদ নগদ এবং মাপের মাধ্যমে হবে, অনুমানে হবেনা। (ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন) ইমাম শাফিঈ (রঃ) এর মতের সমর্থন পাওয়া যায় সাহল ইবন আবু হাসমা (রাঃ) এর এ উক্তির দ্বারা بِالأَوْسُقِ الْمُوَسَّقَةِ সুনির্দিষ্ট মাপের মাধ্যমে। ইবন ইসহাক (রঃ), নাফি’ (রঃ) এর সুত্রে ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, মালিক কর্তৃক তার বাগান থেকে একটি বা ‍দু’টি খেজুর গাছ দান করাকে আরায়্যা বলা হয়। সুফিয়ান ইবন হুসায়ন (রঃ) ইয়াযীদ (রঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, আরায়্যা হলো কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ, গরীব-মিসকিনদের দান করা হতো, কিন্তু তারা খেজুর পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতনা বিধায় তাদের অনুমতি দেওয়া হতো যে, তারা যে পরিমান খেজুরের ইচ্ছা, তা বিক্রি করে দিবে।
  • ১৩৬১. ফলের উপযোগিত প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে তা বিক্রয় করা। লাইস (রঃ) ... যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর সময়ে লোকেরা (গাছের) ফলের বেচা-কেনা করত। আবার যখন লোকদের ফল পাড়ার এবং তাদের মূল্য দেওয়ার সময় হতো, তখন ক্রেতা ফলে পোকা ধরেছে, নষ্ট হয়ে গিয়েছে, শুকিয়ে গিয়েছে এসব অনিষ্টকারী আপদের কথা উল্লেখ করে ঝগড়া করত। তখন এ ব্যাপারে রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর নিকটে অনেক অভিযোগ পেশ হতে লাগল, তখন তিনি বললেন, তোমরা যদি এ ধরনের বেচা-কেনা বাদ দিতে না চাও, তবে ফলের উপযোগিতা প্রকাশ পাওয়ার পর তার বেচা-কেনা করবে। অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার কারনে তিনি এ কথাটি পরামর্শ স্বরুপ বলেছেন। রাবী বলেন, হযরত খারিজা ইবন যায়দ (রঃ) আমাকে বলেছেন যে, হযরত যায়দ ইবন ছাবিত (রাঃ) সুরাইয়্যা তারকা উদিত হওয়ার পর ফলের হলুদ ও লাল রংয়ের পূর্ন প্রকাশ না হ্ওয়া পর্যন্ত তাঁর বাগানের ফল বিক্রি করতেননা। আবু আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রঃ)] বলেন, আলী ইবন বাহর (রঃ) ... যায়দ (রাঃ) থেকে এ হাদীস বর্ননা করেছেন।
  • ১৩৬২. খেজুর উপযোগী হওয়ার পূর্বে তা বিক্রয় করা
  • ১৩৬৩. ফলের উপযোগিতা প্রকাশ হওয়ার পূর্বে বিক্রি করার পরে যদি তাতে মড়ক দেখা দেয়, তবে তা বিক্রেতার হবে।
  • ১৩৬৪. ‍নির্ধারিত মেয়াদে বাকীতে খাদ্য ক্রয় করা
  • ১৩৬৫. উৎকৃ্ষ্ট খেজুরের বিনিময়ে খেজুর বিক্রি করতে চাইলে
  • ১৩৬৬. তাবীরকৃত খেজুর গাছ অথবা ফসলকৃত জমি বিক্রয় করলে বা ভাড়ায় নিলে।
  • ১৩৬৭. মাপে খাদ্যের বদলে ফসল বিক্রি করা
  • ১৩৬৮. মূল খেজুর গাছ বিক্রি করা
  • ১৩৬৯. কাঁচা ফল ও শস্য বিক্রি করা
  • ১৩৭০. খেজুরের মাথি বিক্রয় করা এবং খাওয়া
  • ১৩৭১. ক্রয়-বিক্রয়, ইজারা, মাপ ও ওজন ইত্যাদির ব্যাপারে বিভিন্ন শহরে প্রচলিত রেওয়াজ ও নিয়ম গ্রহনীয়। এ বিষয়ে তাদের নিয়্যত ও প্রসিদ্ধ পন্থা-ই অবলম্বন করা হবে। শুরাইহ (রঃ) তাঁতী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মাঝে প্রচলিত নিয়ম-নীতি (তোমাদের কাজ-কারবারে) গ্রহনযোগ্য। আবদুল ওহাব (রঃ) আয়্যুব (রঃ) সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রঃ) থেকে বর্ননা করেন, দশ টাকায় ক্রীত বস্তু এগার টাকায় বিক্রি করতে কোন দোষ নেই, খরচের জন্য লাভ গ্রহন করা যায়। রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) [আবু সুফিয়ান (রাঃ) এর স্ত্রী] হিন্দাকে বলেছিলেন, তোমার ও তোমার সন্তানাদির জন্য যা প্রয়োজন, তা বিধিসম্মতভাবে গ্রহন করতে পার। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, যে অভাবগ্রস্থ, সে যেন সংগত পরিমানে ভোগ করে (৪:৬)। একবার হাসান বসরী (রঃ) আবদুল্লাহ ইবন মিরদাস (রঃ) থেকে গাধা ভাড়া করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, ভাড়া কত? ইবন মিরদাস (রঃ) বলেন, দুই দানিক। এরপর তিনি এতে আরোহন করেন। দ্বিতীয় বার এসে তিনি বলেন, গাধাটি আন। এরপর তিনি গাধায় আরোহন করলেন, কিন্তু কোন ভাড়া ঠিক করলেন না। পরে অর্ধ দিরহাম (৩ দানিক) পাঠিয়ে দিলেন (তিনি দয়া করে এক দানিক বেশী দিলেন)।
  • ১৩৭২. এক শরীকের অপর শরীক থেকে ক্রয় করা
  • ১৩৭৩. এজমালী সম্পত্তি, বাড়িঘর ও আসবাবপত্রের বিক্রয়
  • ১৩৭৪. বিনা অনুমতিতে অন্যের জন্য কিছু খরিদ করার পর সে রাযী হলে।
  • ১৩৭৫. মুশরিক ও শত্রুপক্ষের সাথে বেচা-কেনা।
  • ১৩৭৬. শত্রুপক্ষ থেকে গোলাম খরিদ করা, হেবা করা এবং আযাদ করা। রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) সালমান ফারসী (রাঃ) কে বলেন, (তোমার মনিবের সাথে) মুক্তির জন্য চুক্তি কর। সালমান (রাঃ) আসলে স্বাধীন ছিলেন, লোকেরা তাকে অন্যায়ভাবে গোলাম বানিয়ে বিক্রি করে দেয়। আম্মার, সুহাইব ও বিলাল (রাঃ) কে বন্দী করে গোলাম বানানো হয়েছিল। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: মহান আল্লাহ্ তা’আলা জীবনোপকরনে তোমাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে নিজেদের জীবনোপকরন থেকে এমন কিছু দেয়না, যাতে ওরা এ বিষয়ে তাদের সমান হয়ে যায়। তবে কি ওরা মহান আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহ অস্বীকার করে? (১৬:৭১)
  • ১৩৭৭. পাকা করার পূর্বে মৃত জন্তুর চামড়ার ব্যাবহার
  • ১৩৭৮. শুকর হত্যা করাঃ জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) শুকর বিক্রয় হারাম করেছেন।
  • ১৩৭৯. মৃত জন্তুর চর্বি গলানো বৈধ নয় এবং তার তেল বিক্রি করাও বৈধ নয়। জাবির (রাঃ) রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
  • ১৩৮০.প্রাণী ব্যতীত অন্য বস্তুর ছবি বিক্রয় এবং এ সম্পর্কে যা নিষিদ্ধ।
  • ১৩৮১. শরাবের ব্যাবসা হারাম। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) শরাব বিক্রি করা হারাম করেছেন।
  • ১৩৮২. আযাদ মানুষ বিক্রেতার পাপ
  • ১৩৮৩. গোলামের বিনিময়ে গোলাম এবং জানোয়ারের বিনিময়ে জানোয়ার বাকীতে বিক্রয়। ইবন উমর (রাঃ) চারটি উটের বিনিময়ে পাপ্য একটি আরোহনযোগ্য উট এই শর্তে খরিদ করেন যে, মালিক তা ‘রাবাযা’ নামক স্থানে হস্তান্তর করবে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, অনেক সময় একটি উট দুটি উট অপেক্ষা উত্তম হয়। রাফি ইবন খাদীজ (রাঃ) দুটি উটের বিনিময়ে একটি উট খরিদ করে দুটি উটের একটি (তখনই) দিলেন আর বললেন, আর একটি উট ইনশাআল্লাহ্ আগামীকাল যথারীতি দিয়ে দিব। ইবন মুসাইয়্যিব (রঃ) বলেন, জানোয়ারের মধ্যে কোন ‘রিবা’ হয়না। দুই উটের বিনিময়ে এক উট, দুই বকরীর বিনিময়ে এক বকরী বাকীতে বিক্রয় করলে সুদ হয়না। ইবন সীরীন (রঃ) বলেন, দুই উটের বিনিময়ে এক উট এবং এক দিরহামের বিনিময়ে এক দিরহাম বাকী বিক্রি করাতে কোন দোষ নেই।
  • ১৩৮৪. গোলাম বিক্রয় করা
  • ১৩৮৫. মুদাব্বার গোলাম বিক্রয় করা
  • ১৩৮৬. ইসতিবরা অর্থাৎ জরায়ু গর্ভমুক্ত কি-না তা জানার পূর্বে বাঁদীকে নিয়ে সফর করা। হাসান বসরী (রঃ) তাকে চুম্বন করা বা তার সাথে মিলামিশা করায় কোন দোষ মনে করেননা। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, সহবাসকৃত দাসীকে দান বা বিক্রি বা আযাদ করলে এক হায়য পর্যন্ত তার জরায়ু মুক্ত কি-না দেখতে হবে। কুমারীর বেলায় ইসতিবরার প্রয়োজন নেই। আতা (রঃ) বলেন, (অপর কর্তৃক) গর্ভবতী নিজ দাসীকে যৌনাঙ্গ ব্যতীত ভোগ করতে পারবে। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত বাঁদী ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবেনা......। (২৩:৬)
  • ১৩৮৭. মৃত জন্তু ও মূর্তি বিক্রয়
  • ১৩৮৮. কুকুরের মূল্য
  • ২৭/ সলম (كتاب السلم) ১৭ টি | ২০৯৭-২১১৩ পর্যন্ত 27/ Sales In which A Price Is Paid For Goods To Be Delivered Later (As-Salam)
  • ১৩৮৯. নির্দিষ্ট পরিমানে সলম করা
  • ১৩৯০. নির্দিষ্ট ওযনে সলম করা
  • ১৩৯১. যার কাছে মূল বস্তু নেই, তার সঙ্গে সলম করা।
  • ১৩৯২. খেজুরে সলম করা
  • ১৩৯৩. সলম ক্রয়-বিক্রয়ে যামিন ‍নিযুক্ত করা
  • ১৩৯৪. সলম ক্রয়-বিক্রয়ে ব্ন্ধক রাখা
  • ১৩৯৫. নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম (পদ্ধতিতে) ক্রয়-বিক্রয়। ইবন আব্বাস ও সাঈদ (রাঃ) এবং আসওয়াদ ও হাসান বসরী (রঃ) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদে ও নির্দিষ্ট দামের ভিত্তিতে খাদ্য (বাকীতে) বিক্রয় করায় দোষ নেই। অবশ্য যদি তা এমন ফসলে না হয়, যা আহারযোগ্য হয়নি।
  • ১৩৯৬. উটনী বাচ্চা প্রসবের মেয়াদে সলম করা
  • ২৮/ শুফআ (كتاب الشفعة) ৩ টি | ২১১৪-২১১৬ পর্যন্ত 28/ Shufa
  • ১৩৯৭. ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি এমন যমীনে শুফআ এর অধিকার। যখন (ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে) সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায়, তখন আর শুফআ এর অধিকার থাকেনা।
  • ১৩৯৮. বিক্রয়ের পূর্বে শুফআ এর অধিকারীর নিকট (বিক্রয়ের) প্রস্তাব করা। হযরত হাকাম (রঃ) বলেন, বিক্রয়ের পূর্বে যদি অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিক্রয়ের অনুমতি দেয়, তবে তার শুফআ এর অধিকার থাকেনা। শাবী (রঃ) বলেন, যদি কারো উপস্থিতিতে তার শুফআ এর যমীন বিক্রি হয়, আর সে এতে কোন আপত্তি না করে, তবে (বিক্রয়ের পরে) তার শুফআ এর অধিকার থাকে না।
  • ১৩৯৯. কোন প্রতিবেশী অধিকতর নিকটবর্তী
  • ২৯/ ইজারা (كتاب الإجارة) ২৫ টি | ২১১৭-২১৪১ পর্যন্ত 29/ Hiring
  • ১৪০০. সৎ ব্যক্তিকে শ্রমিক নিয়োগ করা। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন: কারন তোমার মজদুর হিসাবে উত্তম হলো সে ব্যক্তি, যে শক্তিশালী, বিশ্বস্থ। (২৮:২৬)। বিশ্বস্থ খাজাঞ্চি নিয়োগ করা এবং কোন পদপ্রার্থীকে উক্ত পদে নিয়োগ না করা।
  • ১৪০১. কয়েক কীরাতের (আরবী মুদ্রা) বিনিময়ে বকরী চরানো
  • ১৪০২. প্রয়োজনে অথবা কোন মুসলিম পাওয়া না গেলে মুশরিকদেরকে মজদুর নিয়োগ করা। নবী (ﷺ) খায়বারের ইয়াহুদীদেরকে চাষাবাদের কাজে নিয়োগ করেন।
  • ১৪০৩. যদি কোন ব্যক্তি এ শর্তে কোন শ্রমিক নিয়োগ করে যে, সে তিন দিন অথবা এক মাস অথবা এক বছর পর কাজ করে দিবে, তবে তা জায়িয। যখন নির্দিষ্ট সময় এসে যাবে, তখন উভয়েই তাদের নির্ধারিত শর্ত সমুহের উপর বহাল থাকবে।
  • ১৪০৪. যুদ্ধে শ্রমিক নিয়োগ।
  • ১৪০৬. পতনোম্মুখ কোন দেয়াল খাড়া করে দেওয়ার জন্য মজদুর নিয়োগ করা বৈধ।
  • ১৪০৭. দুপুর পর্যন্ত সময়ের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা
  • ১৪০৮. আসরের সালাত পর্যন্ত মজদুর নিয়োগ করা
  • ১৪০৯. মজদুরকে পারিশ্রমিক প্রদান না করার গুনাহ।
  • ১৪১০. আসর থেকে রাত পর্যন্ত মজদুর নিয়োগ করা
  • ১৪১১. কোন লোককে মজদুর নিয়োগ করার পর সে মজুরী না নিলে নিয়োগকর্তা সে ব্যক্তির মজুরীর টাকা কাজে খাটাল। ফলে তা বৃদ্ধি পেল এবং যে ব্যক্তি অন্যের সম্পদ কাজে লাগালো এতে তা বৃদ্ধি পেল।
  • ১৪১২. নিজেকে পিঠে বোঝা বহনের কাজে নিয়োজিত করে পাপ্ত মজুরী থেকে সাদকা করা এবং বোঝা বহনকারীর মজুরী
  • ১৪১৩. দালালীর মজুরী। ইব্‌ন সীরীন, আতা, ইবরাহীম ও হাসান (র.) দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেনি। ইব্‌ন আব্বাস (রা.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও। এতো এতো এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইব্‌ন সীরীন (র.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে, তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই। নবী (স) বলেছেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে।
  • ১৪১৪. কোন (মুসলিম) ব্যক্তি নিজেকে দারুল হারবের কোন মুশরিকের মুজদুর বানাতে পারবে কি?
  • ১৪১৫. আরব কবীলায় সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করার বিনিময়ে কিছু দেওয়া হলে। ইব্‌ন আব্বাস (রা.) নবী (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, পারিশ্রমিক গ্রহনের ব্যাপারে অধিক হকদার হল আল্লাহ্‌র কিতাব। শা’বী (র.) বলেন শিক্ষক কোনরূপ (পারিশ্রমিকের) শর্তারোপ করবে না। তবে (বিনা শর্তে) যদি তাকে কিছু দেওয়া হয় তিনি তা গ্রহণ করতে পারেন। হাকাম (র.) বলেন, আমি এমন কারো কথা শুনিনি, যিনি শিক্ষকের পারিশ্রমিক গ্রহণ করাটাকে অপছন্দ মনে করেছেন। হাসান (বাসরী) (র.) শিক্ষকের পারিশ্রমিক বাবত দশ দিরহাম দিয়েছেন। ইব্‌ন সীরীন (র.) বণ্টকারীর পারিশ্রমিক গ্রহণ করাতে কোন দোষ মনে করেন নি। তিনি বলেন, বিচারে ঘুষ গ্রহণকে সুহত বলা হয়। লোকেরা অনুমান করার জন্য অনুমানকারীদের পারিশ্রমিক প্রদান করত।
  • ১৪১৬. গোলামের উপর মাসুল নির্ধারণ এবং বাঁদীর মাসুলের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা
  • ১৪১৭. শিংগা প্রয়োগকারীর উপার্জন।
  • ১৪১৮. কোন ব্যক্তির কোন গোলামের মালিকের সাথে এ মর্মে সুপারিশ করা সে যেন তার উপর ধার্যকৃত মাসুল কমিয়ে দেয়।
  • ১৪১৯. পতিতা বা দাসীর উপার্জন। ইবরাহীম (র.) বিলাপকারিনী ও গায়িকার পারিশ্রমিক গ্রহণ মাকরূহ মনে করেন। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ তোমাদের বাঁদী সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে পার্থিব জীবনের ধন লালশায় তাদেরকে ব্যভিচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করো না- আল্লাহ্‌ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (২৪:৩৩) মুজাহিদ (র.) বলেন فَتَيَاتِكُمْ অর্থ তোমাদের দাসীরা।
  • ১৪২০. পশুকে পাল দেওয়া
  • ১৪২১. যদি কেউ জমি ইজারা নেয় এবং তাদের দু’জনের কেউ মারা যায়।
  • ৩০/ হাওয়ালা (كتاب الحوالات) ৩ টি | ২১৪২-২১৪৪ পর্যন্ত 30/ Transfer Of A Debt From One Person To Another (Al-Hawaala)
  • ১৪২২. হাওয়ালা করা। হাওয়ালা করার পর পুনরায় হাওয়ালাকারীর নিকট দাবী করা যায় কি? হাসান এবং কাতাদা (র.) বলেন, যে দিন হাওয়ালা করা হল, সে দিন যদি সে মালদার হয় তাহলে হাওয়ালা জায়িয হবে। ইব্‌ন আব্বাস (রা.) বলেন, দু’জন অংশীদার অথবা উত্তরাধিকারী পরস্পরের মধ্যে এভাবে বণ্টন করল যে একজন নগদ সম্পদ নিল, অন্যজন সে ব্যক্তির অপরের নিকট পাওনা সম্পদ নিল। এমতাবস্থায় যদি কারো সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়, তবে অন্যজনের নিকট তা আবার দাবী করা যাবে না।
  • ১৪২৩. যখন (ঋণ) কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন (তা মেনে নেওয়ার পর) তার পক্ষে প্রত্যাখ্যান করার ইখতিয়ার নেই। যখন কাউকে কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয় সে যেন তা মেনে নেয় এর অর্থ হোল যদি কারোর তোমার কাছে কোনকিছু পাওনা থাকে আর তুমি তা কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করে থাক এবং সে তোমার পক্ষ থেকে তার দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে তারপর যদি তুমি নিঃস্ব হয়ে যাও তবে প্রাপক হাওয়ালা গ্রহণকারী ব্যক্তির অনুসরণ করবে এবং তার থেকে পাওনা উশুল করবে।
  • ৩১/ যামিন হওয়া (كتاب الكفالة) ৭ টি | ২১৪৫-২১৫১ পর্যন্ত 31/ Kafalah
  • ১৪২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ তাদের অংশ দিয়ে দিবে (৪:৩৩)।
  • ১৪২৭. যদি কোন ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ঋণের যামানত গ্রহণ করে, তবে তার এ দায়িত্ব প্রত্তাহারের ইখতিয়ার নেই। হাসান (র.) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
  • ১৪২৮. নবী (ﷺ)-এর যুগে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) কর্তৃক (মুশরিকদের) নিরাপত্তা দান এবং তার চুক্তি সম্পাদন।
  • ৩২/ ওয়াকালাত (كتاب الوكالة) ১৭ টি | ২১৫২-২১৬৮ পর্যন্ত 32/ Representation, Authorization, Business By Proxy
  • ১৪২৯. বণ্টন ইত্যাদির ক্ষেত্রে এক শরীক অন্য শরীকের ওয়াকীল হওয়া। নবী (ﷺ) তাঁর হজ্জের কুরবানীর পশুতে আলী (রা.)-কে শরীক করেন। পরে তা বণ্টন করে দেওয়ার আদেশ দেন।
  • ১৪৩০. দারুল হার্‌ব বা দারুল ইসলামে কোন মুসলিম কর্তৃক দারুল হারবে বসবাসকারী অমুসলিমকে ওয়াকিল বানানো বৈধ।
  • ১৪৩১. সোনা-রূপার ক্রয়-বিক্রয়ে ও ওযনে বিক্রয়যোগ্য বস্তুসমূহের ওয়াকীল নিয়োগ। উমর ও ইব্‌ন উমর (রা.) সোনা-রূপার ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে ওয়াকিল নিয়োগ করেছিলেন।
  • ১৪৩২. যখন রাখাল অথবা ওয়াকিল দেখে যে, কোন বকরী মারা যাচ্ছে অথবা কোন জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন সে তা যবেহ্‌ করে দিবে এবং যে জিনিসটা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, সে জিনিসটাকে ঠিক করে দেবে।
  • ১৪৩৩. উপস্থিত ও অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ওয়াকীল নিয়োগ করা জায়িয। আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন আমর (রা.) তাঁর পরিবারের ওয়াকীলকে লিখে পাঠান, যেন সে তাঁর ছোট-বড় সকলের তরফ থেকে সাদকায়ে ফিত্‌র আদায় করে দেয়, অথচ সে অনুপস্থিত ছিল।
  • ১৪৩৪. ঋণ পরিশোধ করার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
  • ১৪৩৫. কোন ওয়াকীলকে অথবা কোন সম্প্রদায়ের সুপারিশকারীকে কোন বস্তু হিবা কড়া জায়িয। কেননা নবী (ﷺ) হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দলকে যখন তারা গনীমতের মাল ফেরত চেয়েছিল বলেছিলেন, আমি আমার অংশটা তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
  • ১৪৩৬. যদি কোন ব্যক্তি কোন লোককে কিছু প্রদানের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ করে, কিন্তু কত দিবে তা উল্লেখ করেনি, তবে সে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দিবে।
  • ১৪৩৭. মহিলা কর্তৃক বিয়ের ব্যাপারে ইমামকে ওয়াকীল নিয়োগ করা।
  • ১৪৩৯. যদি ওয়াকীল কোন দ্রব্য এভাবে বিক্রি করে যে, তা বিক্রি শরীআতের দৃষ্টিতে ফাসিদ, তবে তার বিক্রি গ্রহণযোগ্য নয়
  • ১৪৪০. ওয়াক্‌ফকৃত সম্পদে ওয়াকীল নিয়োগ, ও তার ব্যয়ভার বহন এবং তার বন্ধু- বান্ধবকে খাওয়ানো, আর নিজেও শরী’আত সম্মতভাবে খাওয়া।
  • ১৪৪১. (শরীআত নির্ধারিত) দণ্ড প্রয়োগের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
  • ১৪৪২. কুরবানীর উট ও তার দেখাশোনার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
  • ১৪৪৩. যখন কোন লোক তার ওয়াকীলকে বলল, এ মাল আপনি যেখানে ভালো মনে করেন, খরচ করুন, এবং ওয়াকীল বলল, আপনি যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।
  • ৩৩/ বর্গাচাষ (كتاب المزارعة) ২৮ টি | ২১৬৯-২১৯৬ পর্যন্ত 33/ Agriculture
  • ১৪৪৫. আহারের জন্য ফসল ফলানো এবং ফলবান বৃক্ষ রোপণের ফযীলত।
  • ১৪৪৬. কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরিনতি সম্পর্কে সতর্কীকরণ ও নির্দেশিত সীমা অতিক্রম করা প্রসঙ্গে।
  • ১৪৪৭. খেত-খামার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কুকুর পোষা
  • ১৪৪৮. হাল-চাষের কাজে গরু ব্যবহার করা
  • ১৪৪৯. যখন কোন ব্যক্তি বলে যে, তুমি খেজুর ইত্যাদির বাগানে কাজ কর, আর তুমি উৎপাদিত ফলে আমার অংশীদার হও।
  • ১৪৫০. খেজুর গাছ ও অন্যান্য গাছ কেটে ফেলা। আনাস (রা.) বলেন, নবী (সঃ) খেজুর গাছ কেটে ফেলার আদেশ দেন এবং টা কেটে ফেলা হয়।
  • ১৪৫১. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৫২. অর্ধেক বা এর কাছাকাছি পরিমান ফসলের শর্তে ভাগে চাষাবাদ করা এবং কাইস ইব্‌ন মুসলিম (র.) আবূ জা’ফর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মদীনাতে মুহাজিরদের এমন কোন পরিবার ছিল না, যারা এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশ ফসলের শর্তে ভাগে চাষ করতেন না। আলী, সা’দ ইব্‌ন মালিক, আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ (রা.) উমর ইব্‌ন আবদুল আযীয, কাসিম, উরওয়াহ (র.) এবং আবূ বকর, উমর ও আলী (রা.)-এর বংশধর এবং ইব্‌ন সীরীন (র.) ও ভাগে চাষ করেছেন। আবদুর রহমান ইব্‌ন আসওয়াদ (রা.) বলেন, আমি আবদুর রাহমান ইব্‌ন ইয়াযীদের ক্ষেতে শরীক ছিলাম। উমর (রা.) লোকদের সাথে এ শর্তে জমি বর্গা দিয়েছেন যে, উমর (রা.) বীজ দিলে তিনি ফসলের অর্ধেক পাবেন। আর যদি তারা বীজ দেয় তবে তাদের জন্য এই পরিমাণ হবে। হাসান (র.) বলেন, যদি ক্ষেত তাদের মধ্যে কোন একজনের হয়, আর দু’জনেই তাতে খরচ করে, তা হলে উৎপন্ন ফসল সমান হারে ভাগ করে নেয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। যুহরী (র.) ও এ মত পোষণ করেন। হাসান (র.) বলেন, আধা-আধি শর্তে তুলা চাষ করতে কোন দোষ নেই। ইবরাহীম, ইব্‌ন সীরীন, ‘আতা, হাকাম, যুহরী ও কাতাদা (র.) বলেন, তাঁতীকে এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশের শর্তে কাপড় বুনতে দেয়ায় কোন দোষ নেই। মা’মার (র.) বলেন, (উপার্জিত অর্থের) এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশের শর্তে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গবাদী পশু ভাড়া দেয়াতে কোন দোষ নেই।
  • ১৪৫৩. বর্গাচাষে যদি বছর নির্দিষ্ট না করে
  • ১৪৫৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৫৫. ইয়াহুদীদেরকে জমি বর্গা দেওয়া
  • ১৪৫৬. পরিচ্ছেদঃ বর্গাচাষে যেসব শর্ত করা অপছন্দনীয়
  • ১৪৫৭. যদি কেউ অন্যদের মাল দিয়ে তাদের অনুমতি ছাড়া কৃষি কাজ করে এবং তাতে তাদের কল্যাণ নিহিত থাকে।
  • ১৪৫৮. নবী (ﷺ)-এর সাহাবীগণের ওয়াক্‌ফ ও খাজনার জমি এবং তাঁদের বর্গাচাষ ও চুক্তি ব্যবস্থা। নবী (ﷺ) উমর (রা.)-কে বললেন, তুমি মূল জমিটা এ শর্তে সাদকা করো যে, তা আর বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু তার উৎপাদন ব্যয় করা হবে। তখন তিনি এভাবেই সাদকা করলেন।
  • ১৪৫৯. অনাবাদী জমি আবাদ করা। কূফার অনাবাদ জমি সম্পর্কে আলী (রা.)-এর এ মত ছিল (আবাদকারী তার মালিক হবে)। উমর (রা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন অনাবাদ জমি আবাদ করবে সে তার মালিক হবে। আমর ইব্‌ন আউফ (রা.) সূত্রে নবী (সঃ) থেকে এরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি বলেছেন, তা হবে যে ক্ষেত্রে কোন মুসলিমের হক নাই, আর জালিম ব্যক্তির তাতে হক নাই। জাবির (রা.) কর্তৃক নবী (ﷺ) থেকে এ সম্পর্কিত রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে।
  • ১৪৬০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৬১. যদি জমির মালিক বলে যে, আমি তোমাকে ততদিন থাকতে দিব যত দিন আল্লাহ্‌ তোমাকে রাখেন এবং কোন নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করল না। তখন তারা উভয়ে যত দিন রাজী থাকে ততদিন এ চুক্তি কার্যকর থাকবে।
  • ১৪৬২. নবী (ﷺ)-এর সাহাবীগণ (রা.) কৃষিকাজ ও ফল-ফসল উৎপাদনে একে অপরকে সহযোগিতা করতেন।
  • ১৪৬৩. সোনা-রূপার বিনিময়ে জমি ইজারা দেওয়া।
  • ১৪৬৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৬৫. বৃক্ষ রোপণ প্রসঙ্গে
  • ৩৪/ পানি সিঞ্চন (كتاب المساقاة) ৩০ টি | ২১৯৭-২২২৬ পর্যন্ত 34/ Distribution Of Water
  • ১৪৬৬. পানি বণ্টনের হুকুম।
  • ১৪৬৭. যিনি বলেন, পানির মালিক পানি ব্যাবহারের বেশী হকদার, তার জমি পরিসিঞ্চিত না হওয়া পর্যন্ত। কেননা রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেন, অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করতে যেন কাউকে নিষেধ করা না হয়
  • ১৪৬৮. কেউ যদি নিজের জায়গায় কুপ খনন করে (এবং তাতে যদি কেউ পড়ে মারা যায়) তা হলে মালিক তার জন্য দায়ী নয়
  • ১৪৬৯. কূপ নিয়ে বিবাদ এবং এ ব্যাপারে ফয়সালা।
  • ১৪৭০. যে ব্যক্তি মুসাফিরকে পানি দিতে অস্বীকার করে, তার পাপ
  • ১৪৭১. নদী-নালায় বাঁধ দেওয়া
  • ১৪৭২. নীচু জমির আগে উঁচু জমিতে সিঞ্চন
  • ১৪৭৩. উঁচু জমির মালিক পায়ে টাখনু পর্যন্ত পানি ভরে নিবে
  • ১৪৭৪. পানি পান করানোর ফযীলত
  • ১৪৭৫. যাদের মতে হাউজ ও মশ্‌কের মালিক, সে পানির অধিক হক্‌দার
  • ১৪৭৬. সংরক্ষিত চারণভূমি রাখা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) ছাড়া আর কারো অধিকার নেই
  • ১৪৭৭. নহর থেকে মানুষ ও চতুস্পদ জন্তুর পানি পান করা
  • ১৪৭৮. শুকনো লাকড়ী ও ঘাস বিক্রি করা
  • ১৪৭৯. জায়গীর
  • ১৪৮১. পানির কাছের উটের দুধ দোহন করা
  • ১৪৮২. খেজুরের বা অন্য কিছুর বাগানে কোন লোকের চলার পথ কিংবা পানির কূপ থাকা। রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি খেজুর গাছের তাবীর (স্ত্রী পুষ্পরেণু সংমিশ্রনের পর) করার পর ও তা বিক্রি করে, তা হরে তার ফল বিক্রেতার, চলার পথও পানির কূপ বিক্রেতার, যতক্ষণ ফল তুলে নেওয়া না হয়। আরিয়্যার মালিকেরও এই হুকুম।
  • ৩৫/ ঋন গ্রহন (كتاب فى الاستقراض) ২৩ টি | ২২২৭-২২৪৯ পর্যন্ত 35/ Loans
  • ১৪৮৩. যে ধারে খরিদ করে অথচ তার কাছে তার মূল্য নেই কিংবা তার সঙ্গে নেই
  • ১৪৮৪. যে ব্যক্তি মানুষের সম্পদ গ্রহণ করে পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে অথবা বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে
  • ১৪৮৫. ঋণ পরিশোধ করা। আর আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আমানত তার হকদারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ্‌ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার পরিচালনা করবে, তখন ন্যায় পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যে উপদেশ দেন তা কত উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সব শুনেন, সব দেখেন (৪:৫৮)।
  • ১৪৮৬. উট ধার নেওয়া
  • ১৪৮৭. সুন্দরভাবে (প্রাপ্য) তাগাদা করা
  • ১৪৮৮. কম বয়সের উটের বদলে বেশী বয়সের উট দেয়া যায় কি?
  • ১৪৮৯. উত্তমরূপে ঋন পরিশোধ করা
  • ১৪৯০. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি পাওনাদারে প্রাপ্য থেকে কম পরিশোধ করে অথবা পাওনাদার তার প্রাপ্য মাফ করে দেয় তবে তা বৈধ
  • ১৪৯১. ঋণদাতার সঙ্গে কথা বলা এবং ঋণ খেজুর অথবা অন্য কিছুর বিনিময়ে অনুমান করে আদায় করা জায়িয
  • ১৪৯২. ঋণ থেকে পানাহ চাওয়া
  • ১৪৯৩. ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির উপর সালাতে জানাযা
  • ১৪৯৪. ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) টালবাহানা করা জুলুম
  • ১৪৯৫. হকদারের বলার অধিকার রয়েছে।
  • ১৪৯৬. ক্রয়- বিক্রয়, ঋণ ও আমানত এর ব্যাপারে কেউ যদি তার মাল নিঃসম্বলের নিকট পায়, তবে সে-ই অধিক হকদার।
  • ১৪৯৮. গরীব বা অভাবী ব্যক্তির মাল বিক্রি করে তা পাওনাদারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া অথবা তার নিজের খরচের জন্য দিয়ে দেওয়া
  • ১৫০০. ঋণ থেকে কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ
  • ১৫০১. ধন-সম্পত্তি বিনষ্ট করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না (২:২০৫) আল্লাহ্‌ অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কর্ম সার্থক করেন না (১০:৮১)। তারা বলেনঃ হে শুআয়ব! তোমার সালাত কি তোমাকে নির্দেশ দেয় যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা যার ইবাদত করত, আমাদের তা বর্জন করতে হবে এবং আমরা ধন-সম্পদ সম্পর্কে যা করি তাও না? (১১:৮৭) আল্লাহ্‌ তা’আলা আরো বলেছেনঃ এবং তোমরা তোমাদের সম্পদ নির্বোধদের হাতে অর্পণ করো না (৪:৫)। এই প্রেক্ষিতে অপব্যয় ও প্রতারণা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে।
  • ১৫০২. গোলাম তার মালিকের সম্পদের রক্ষক। সে তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত তা ব্যয় করবে না।
  • ৩৬/ কলহ- বিবাদ (كتاب الخصومات) ১৫ টি | ২২৫০-২২৬৪ পর্যন্ত 36/ Khusoomat
  • ১৫০৩. ঋণগ্রস্তকে স্থানান্তরিত করা এবং মুসলিম ও ইয়াহুদীর মধ্যে কলহ-বিবাদ
  • ১৫০৪. যিনি বোকা ও নির্বোধ ব্যক্তির লেন-দেন করা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও ইমাম (কাযী) তার লেন-দেনে বাধা আরোপ করেননি। জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, সাদকা দানকারীকে নিষেধ করার পূর্বে সে যে সাদকা করছিল, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তাকে তা ফেরত দিয়েছেন। এরপর (অনুরূপ অবস্থায়) তাকে সাদকা করা থেকে নিষেধ করেছেন। ইমাম মালি (র) বলেন, কারো উপর যদি ঋণ থাকে এবং তার কাছে একটি গোলাম ছাড়া আর কিছুই না থাকে, আর সে যদি গোলামটি আযাদ করে তবে তার এ আযাদ করা জায়িয নয়। যে ব্যক্তি কোন নির্বোধ বা এ ধরনের কোন লোকের সম্পত্তি বিক্রি করে এবং বিক্রি মূল্য তাকে দিয়ে দেয় ও তাকে তার অবস্থার উন্নতি ও অর্থকে যথাযথ ব্যবহার করতে নির্দেশ দেয়। এরপর যদি সে তার অর্থ নষ্ট করে দেয় তাহলে সে তাকে অর্থ ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) সম্পদ বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। যে লোককে ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকা দেওয়া হত, তাকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে তখন বলে দিবে, ধোঁকা দিবে না। আর রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তার মাল গ্রহণ করেন নি।
  • ১৫০৫. বিবাদমানদের পরস্পরের কথাবর্তা
  • ১৫০৭. মৃত ব্যক্তির ওসী হওয়ার দাবী
  • ১৫০৮. কারো দ্বারা অনিষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে তাকে বন্দী করা। কুরআন, সুন্নাহ্‌ ও ফরযসমূহ শিখাবার উদ্দেশ্যে ইব্‌ন আব্বাস (রা) ইকরিমাকে পায়ে বেড়ী দিয়ে আটকিয়ে রাখতেন
  • ১৫০৯. হারাম শরীফে (কাউকে) বেঁধে রাখা এবং বন্দী করা। নাফি ইব্‌ন আবদুল হারিস (রা) কয়েদখানা বানাবার উদ্দেশ্যে মক্কায় সাফওয়ান ইব্‌ন উমাইয়ার কাছ থেকে এই শর্তে একটি ঘর ক্রয় করেছিলেন যে, যদি উমর (রা) রাযী হন তবে ক্রয় পূর্ণ হবে। আর যদি তিনি রাযী না হন তা হলে সাফওয়ান চারশত দিনার পাবে। ইব্‌ন যবায়র (রা) মক্কায় বন্দী করেছেন
  • ১৫১০. (ঋণদাতা ঋণী ব্যক্তির) পিছনে লেগে থাকা
  • ১৫১১. ঋণের তাগাদা করা
  • ৩৭/ পড়ে থাকা বস্তু উঠান (كتاب فى اللقطة) ১৩ টি | ২২৬৫-২২৭৭ পর্যন্ত 37/ Lost Things Picked Up By Someone (Luqaata)
  • ১৫১২. পড়ে থাকা বস্তুর মালিক আলামতের বিবরণ দিলে মালিককে ফিরিয়ে দিবে
  • ১৫১৩. হারিয়ে যাওয়া উট
  • ১৫১৪. হারিয়ে যাওয়া বকরী
  • ১৫১৫. এক বছরের পরেও যদি পড়েথাকা বস্তুর মালিক পাওয়া না যায় তা হলে সেটা যে পেয়েছে তারই হবে
  • ১৫১৭. পথে খেজুর পাওয়া গেলে
  • ১৫১৮. মক্কাবাসীদের পড়ে থাকা জিনিসের কিভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। তাউস (র) ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, মককায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে, যে তার ঘোষণা দিবে। খালিদ (র), ইকরিমা (রা) এর মাধ্যমে ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে যে তার ঘোষনা দিবে। আহমদ ইব্‌ন সাঈদ (র).... ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, সেখানকার গাছ কাটা যাবে না, সেখানকার শিকার কাড়ানো যাবে না এবং সেখানকার পড়েথাকা জিনিস যে ঘোষণা দিবে, সে ব্যতীত অন্য কারো জন্য তুলে নেওয়া হালাল হবে না, সেখানকার ঘাস কাটা যাবে না। তখন আব্বাস (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! ইযখির (এক প্রকার ঘাস) ব্যতীত। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ ইযখির ঘাস কাটা যাবে)।
  • ১৫১৯. অনুমতি ব্যতীত কারো পশু দোহন করা যাবে না
  • ১৫২০. পড়ে থাকা জিনিসের মালিক এক বছর পড়ে আসলে তার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দিবে। কারণ সেটা ঠিল তার কাছে আমানত স্বরূপ
  • ১৫২১. পড়ে থাকা বস্তু যাতে নষ্ট না হয় এবং কোন অনুপযুক্ত ব্যক্তি যাতে তুলে না নেয় সে জন্য তা তুলে নিবে কি?
  • ১৫২২. যে ব্যক্তি পড়ে থাকা জিনিসের ঘোষনা দিয়েছে, কিন্তা তা সরকারের কাছে জমা দেয় নি
  • ১৫২৩. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৩৮/ যুলম ও কিসাস (كتاب المظالم) ৪৩ টি | ২২৭৮-২৩২০ পর্যন্ত 38/ Oppressions
  • ১৫২৫. অপরাধের দন্ড
  • ১৫২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ সাবধান! জালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত (১১:১৮)।
  • ১৫২৭. মুসলিম মুসলিমের প্রতি জুলুম করবে না এবং তাকে অপমানিতও করবে না
  • ১৫২৮. তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালিম হোক বা মাযলুম
  • ১৫২৯. মাজলুমকে সাহায্য করা
  • ১৫৩২. জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারন করবে
  • ১৫৩৩. মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করা এবং তা থেকে বেঁচে থাকা
  • ১৫৩৪. মাযলুম জালিমকে মাফ করে দিল; এমতাবস্থায় সে জালিমের জুলুমের কথা প্রকাশ করতে পারবে কি?
  • ১৫৩৫. যদি কেউ কারো জুলুম মাফ করে দেয়, তবে সে জুলুমের জন্য পুনরায় তাকে দায়ী করা চলবে না
  • ১৫৩৬. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তাকে মাফ করে, কিন্তু কি পরিমাণ মাফ করল তা ব্যক্ত করেনি
  • ১৫৩৭. যে ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ যুল্‌ম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ
  • ১৫৩৮. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তবে তা জায়িয
  • ১৫৩৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণী- প্রকৃত পক্ষে সে কিন্তু অতি ঝগড়াটে (২:২০৪)
  • ১৫৪০. যে ব্যক্তি জেনে শুনে না হক বিষয়ে ঝগড়া করে, তার অপরাধ
  • ১৫৪১. ঝগড়া করার সময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার
  • ১৫৪২. জালিমের মাল যদি মাজলুমের হস্তগত হয়, তবে তা থেকে সে নিজের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে। ইব্‌ন সীরীন (র) বলেন, তার প্রাপ্য যতটুকু, ততটুকু গ্রহণ করতে পারে এবং তিনি (কুরআনুল কারীমের এ আয়াত) পাঠ করেনঃ যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক যতখানি করবে, যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে (১৬:২৬)
  • ১৫৪৩. ছায়া-ছাউনী প্রসঙ্গে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ বণূ সাঈদার ছায়া ছাউনীতে বসেছিলেন
  • ১৫৪৪. কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীকে তার দেয়ালে খুঁটি পুঁততে বাঁধা না দেয়
  • ১৫৪৫. রাস্তায় মদ ঢেলে দেওয়া
  • ১৫৪৬. ঘরের আঙ্গিনা ও তাতে বসা এবং রাস্তার উপর বসা।
  • ১৫৪৭. রাস্তায় কূপ খনন করা, যদি তাতে কারো কষ্ট না হয়
  • ১৫৪৯. ছাদ ইত্যাদির উপর উঁচু বা নীচু চিলেকোঠা ও কক্ষ নির্মাণ করা
  • ১৫৫০. যে তার উট মসজিদের আঙ্গিনায় কিংবা মসজিদের দরজায় বেঁধে রাখে
  • ১৫৫১. লোকজনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে দাঁড়ানো ও পেশাব করা
  • ১৫৫২. যে ব্যক্তি ডালপালা এবং মানুষকে কষ্ট দেয় এমন বস্তু রাস্তা থেকে তুলে তা অন্যত্র ফেলে দেয়
  • ১৫৫৩. লোকজনের চলাচলের প্রশস্ত রাস্তায় মালিকরা কোন কিছু নির্মাণ করতে চাইলে এবং এতে মতানৈক্য করলে রাস্তার জন্য সাত হাত জায়গা ছেড়ে দিবে
  • ১৫৫৪. মালিকের অনুমতি ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া। উবাদা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাঃ) এর কাছে এ মর্মে বায়আত করেছি যে, আমরা লুটপাট করব না
  • ১৫৫৫. ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলা ও শূকর হত্যা করা
  • ১৫৫৬. যে মটকায় মদ রয়েছে, তা কি ভেঙ্গে ফেলা হবে অথবা মশকে ছিদ্র করা হবে কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দিয়ে মূর্তি কিংবা ক্রুশ বা তান্বুরা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে। শুরাইহ (রহঃ) এর কাছে তান্বুরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য মামলা দায়ের করা হলে তিনি এর জন্য কোন জরিমানার ফয়সালা দেন নি।
  • ১৫৫৭. মাল রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়
  • ১৫৫৮. যদি কেউ অন্য কারুর পিয়ালা বা কোন জিনিস ভেঙ্গে ফেলে
  • ১৫৫৯. যদি কেউ (কারো) দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে, তা হলে সে অনুরূপ দেয়াল তৈরি করে দিবে
  • ৩৯/ অংশীদারিত্ব (كتاب الشركة) ২২ টি | ২৩২১-২৩৪২ পর্যন্ত 39/ Partnership
  • ১৫৬০. আহার্য, পাথেয় এবং দ্রব্য সামগ্রীতে শরীক হওয়া। মাপ ও ওজনের জিনিসপত্র কিভাবে বিতরন করা হবে? অনুমানের ভিত্তিতে না কি মুটো মুটো করে। যেহেতু মুসলিমগণ পাথেয়তে এটা দোষের মনে করে না যে, কিছু ইনি খাবেন আর কিছু উনি খাবেন (অর্থাৎ যার যা ইচ্ছা সে সেটা খাবে) তেমনিভাবে সোনা ও রূপা অনুমানের ভিত্তিতে বণ্টন করা এবং এক সঙ্গে জোড়া জোড়া খেজুর খাওয়া
  • ১৫৬১. যেখানে দু'জন অংশীদার থাকে যাকাতের ক্ষেত্রে তারা উভয়ে নিজ নিজ অংশ হিসাবে নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করে নিবে
  • ১৫৬২. বকরী বণ্টন
  • ১৫৬৩. এক সঙ্গে খেতে বসলে সাথীদের অনুমতি ব্যতীত এক সঙ্গে দুটো করে খেজুর খাওয়া
  • ১৫৬৪. কয়েক শরীকের ইজমালী বস্তুর ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ
  • ১৫৬৫. কুরআর মাধ্যমে বণ্টন ও অংশ নির্ধারণ করা যাবে কি?
  • ১৫৬৬. ইয়াতীম ও ওয়ারীসদের অংশীদারিত্ব
  • ১৫৬৭. জমি ইত্যাদিতে অংশীদারিত্ব
  • ১৫৬৮. শরীকগণ বাড়ীঘর বা অন্যান্য সম্পত্তি বণ্টন করে নেওয়ার পর তাদের তা প্রত্যাহারের বা শুফ'আর অধিকার থাকে না
  • ১৫৬৯. সোনা ও রূপা বিনিময় যোগ্য মুদ্রার অংশীদার হওয়া
  • ১৫৭০. কৃষিকাজে যিম্মী ও মুশরীকদের অংশীদার করা
  • ১৫৭১. ছাগল বণ্টন করা ও তাতে ইনসাফ করা
  • ১৫৭২. খাদ্য-দ্রব্য ইত্যাদিতে অংশীদারিত্ব।
  • ১৫৭৩. গোলাম বাঁদিতে অংশীদারিত্ব
  • ১৫৭৪. কুরবানীর পশু ও উট শরীক হওয়া এবং হাদী রওয়ানা করার পর কেউ কাউকে শরীক করলে তার বিধান
  • ১৫৭৫. যে ব্যক্তি বণ্টনকালে দশটি বকরীকে একটা উটের সমান মনে করে
  • ৪০/ বন্ধক (كتاب الرهن) ৮ টি | ২৩৪৩-২৩৫০ পর্যন্ত 40/ Mortgagging
  • ১৫৭৬. আবাসে থাকা অবস্থায় বন্ধক রাখা। মহান আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোন লেখক না পাও, তবে বন্ধক রাখা বৈধ (২ঃ ২৮৩)
  • ১৫৭৭. নিজ বর্ম বন্ধক রাখা
  • ১৫৭৮. অস্র বন্ধক রাখা
  • ১৫৭৯. বন্ধক রাখা প্রানীর উপর আরোহণ করা যায় এবং দুধ দোহন করা যায়।
  • ১৫৮০. ইয়াহুদী ও অন্যান্যদের (অমুসলিমদের) কাছে বন্ধক রাখা
  • ১৫৮১. বন্ধকদাতা ও বন্ধক গ্রহীতার মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে বা অনুরূপ কোন কিছু হলে বাদীর দায়িত্ব সাক্ষী পেশ করা আর বিবাদীর দায়িত্ব কসম করা
  • ৪১/ গোলাম আযাদ করা (كتاب العتق) ৪০ টি | ২৩৫১-২৩৯০ পর্যন্ত 41/ Manumission Of Slaves
  • ১৫৮২. গোলাম আযাদ করা ও তার ফযীলত এবং আল্লাহ তা’আলার এ বাণী: গোলাম আযাদ কিংবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান ইয়াতীম আত্মীয়কে ।( ৯০:১৩-১৫)।
  • ১৫৮৩. কোন ধরণের গোলাম আযাদ করা উত্তম?
  • ১৫৮৪. সূর্যগ্রহণ ও (আল্লাহর কুদরতের) বিভিন্ন নিদর্শন প্রকাশকালে গোলাম আযাদ করা মুস্তাহাব
  • ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
  • ১৫৮৬. কেউ গোলামের নিজের অংশ আযাদ করে দিলে এবং তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকলে চুক্তিবদ্ধ গোলামের মত তাকে অতিরিক্ত কষ্ট না দিয়ে উপার্জন করতে বলা হবে।
  • ১৫৮৭. ভুলবশত অথবা অনিচ্ছায় গোলাম আযাদ করা ও স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে গোলাম আযাদ করা যায় না। নবী (সা) বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে, যা যে নিয়্যত করে। এবং যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বা ভুল বশত কিছু বলে, তার কোন নিয়্যত থাকে না।
  • ১৫৮৮. আযাদ করার নিয়্যতে কোন ব্যক্তি নিজের গোলাম সম্পর্কে সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বলা এবং আযাদ করার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
  • ১৫৮৯. উম্মু ওয়ালাদ প্রসঙ্গ। আবূ হুরায়রা (রা.) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের একটি আলামতের একটি আলামত এই যে, বাঁদী তার মুনিবকে প্রসব করবে।
  • ১৫৯০. মুদাববার বিক্রি করা।
  • ১৫৯১. গোলামের অভিভাবকত্ব বিক্রি বা দান করা।
  • ১৫৯২. কারো মুশরিক ভাই বা চাচা বন্দী হলে কি তাদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে ? আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, আব্বাস (রা.) নবী (ﷺ)-কে বলেছিলেন, আমি নিজের ও আকীলে মুক্তিপণ আদায় করচি। এদিকে আলী ইবন আবী তালিব (রা.) তার ভাই আকীল ও চাচা আব্বাসের মুক্তিপণ বাবদ প্রাপ্ত গনীমাতের অংশ পেয়েছিলেন।
  • ১৫৯৩. মুশরিক কর্তৃক গোলাম আযাদ করা।
  • ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
  • ১৫৯৫. আপন বাঁদীকে জ্ঞান ও শিষ্টাচার শিখানোর ফযীলত।
  • ১৫৯৬. নবী (ﷺ)-এর ইরশাদ, তোমাদের গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। কাজেই তোমরা যা খাবে তা থেকে তাদেরকেও খাওয়াবে। (এ সম্পর্কে) আল্লাহ তা’আলার বাণী: আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তার শরীক করবে না এবং পিতা-মাতা,আত্মীয়-স্বজন,ইয়াতীম,অভাবগ্রস্থ,নিকট প্রতিবেশী, দূরপ্রতিবেশী, সংগী-সাথী,পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। দাম্ভিক,আত্মগর্বীকে। (৪ঃ ৩৬)
  • ১৫৯৭. গোলাম যদি উত্তমরূপে তার প্রতিপালকের ইবাদত করে আর তার মালিকের হিতাকাংক্ষী হয়
  • ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপছন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ ২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন, তোমাদের ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
  • ১৫৯৯. খাদিম যখন খাবার পরিবেশন করে।
  • ১৬০০. গোলাম আপন মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। নবী (ﷺ) সম্পদকে মনিবের সাথে সম্পর্কিত করেছেন।
  • ১৬০১. গোলামের মুখমণ্ডল ে আঘাত করবে না।
  • ৪২/ মুকাতাব (كتاب المكاتب) ৫ টি | ২৩৯১-২৩৯৫ পর্যন্ত 42/ Makttib
  • ১৬০৩. মুকাতাবের উপরে যে সব শর্ত আরোপ করা জায়িজ এবং আল্লাহর কিতাবে নেই এমন শর্ত আরোপ করা। এ বিষয়ে ইবন উমর (রা.) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে
  • ১৬০৪. মানুষের কাছে মুকাতাবের সাহায্য চাওয়া ও যাচনা করা।
  • ১৬০৫. মুকাতাবের সম্মতি সাপেক্ষে তাকে বিক্রি করা।
  • ১৬০৬. মুকাতাব যদি (কাউকে) বলে, আমাকে ক্রয় করে আযাদ করে দিন, আর সে যদি ঐ উদ্দেশ্যে তাকে ক্রয় করে।
  • ৪৩/ হিবা (উপহার) প্রদান (كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها) ৬৫ টি | ২৩৯৬-২৪৬০ পর্যন্ত 43/ Gifts
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৬০৭. সামান্য পরিমাণ হিবা করা।
  • ১৬০৮. কেউ যদি তার সাথীদের কাছে কোন কিছু চায়। আবূ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (ﷺ) বললেন, তোমাদের সাথে আমার জন্য এক অংশ রেখো।
  • ১৬০৯. পানি চাওয়া। সাহল (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) আমাকে বললেন, আমাকে পান করাও।
  • ১৬১০. শিকারের গোশত হাদিয়াস্বরূপ গ্রহন কর। আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে নবী (ﷺ) শিকারকৃত পশুর একটি বাহু গ্রহন করে ছিলেন।
  • ১৬১১. হাদিয়া গ্রহন করা
  • ১৬১২. সঙ্গীদের হাদিয়া দিতে গিয়ে তার কোন স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দিনে অপেক্ষা করা
  • ১৬১৩. যে সব হাদিয়া ফিরিয়ে দিতে চাই
  • ১৬১৪. যে বস্তু কাছে নেই, তা হিবা করা যিনি জাইয মনে করেন
  • ১৬১৫. হিবার প্রতিদান দেওয়া
  • ১৬১৬. সন্তানকে কোন কিছু দান করা। কোন এক সন্তানকে দান করা বৈধ হবে না, যতক্ষন না ইনসাফের সাথে অন্য সন্তানদের সমভাবে দান করা হয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে উক্ত পিতার বিরুদ্ধে কারো সাক্ষী দেওয়া চলবে না। নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, সন্তানদেরকে কিছু দেওয়ার ব্যাপারে তোমরা ইনসাফপূর্ণ আচরণ করো। কিছু দান করে পিতার পক্ষে ফেরত নেওয়া বৈধ কি? পুত্রের সম্পদ থেকে ন্যায় সঙ্গতভাবে পিতা খেতে পারবে, তবে সীমা লঙ্ঘন করবে না। নবী (সাঃ) একবার উমর (রাঃ) এর কাছ থেকে একটি উট খরিদ করলেন, পরে ইবন উমরকে তা দান করে বললেন, এটা যে কোন কাজে লাগাতে পারো।
  • ১৬১৭. হিবার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা
  • ১৬১৮. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এবং স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দান করা।
  • ১৬১৯. মহিলার জন্য স্বামী থাকা অবস্থায় স্বামী ছাড়া অন্য কাউকে দান করা বা গোলাম আযাদ করা; যদি সে নির্বোধ না হয় তবে জাইয, আর নির্বোধ হলে জাইয নয়। আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেনঃ নির্বোধদের হাতে তোমরা নিজেদের সম্পদ তুলে দিও না। (৪ঃ ৫)
  • ১৬২০. হাদিয়া দানের ক্ষেত্রে কাকে প্রথমে দিবে?
  • ১৬২১. কোন কারণে হাদিয়া গ্রহন না করা।
  • ১৬২২. হাদিয়া পাঠিয়ে কিংবা পাঠানোর ওয়াদা করে তা পৌঁছানোর আগেই মারা গেলে।
  • ১৬২৩. গোলাম বা অন্যান্য সামগ্রী কিভাবে অধিকারে আনা যায়। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, আমি এক অবাধ্য উটের উপর সাওয়ার ছিলাম। নবী (ﷺ) সেটি খরিদ করে বললেন, হে আবদুল্লাহ! এটি তোমার।
  • ১৬২৪. হাদিয়া পাঠালে অপরজন গ্রহন করলাম (একথা) না বলেই যদি তা নিজ অধিকারে নিয়ে নেয়
  • ১৬২৫. এক ব্যক্তির কাছে প্রাপ্য ঋণ অন্য কে দান করে দেওয়া। শু'বা (রহঃ) হাকাম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, তা জায়িয। হাসান ইবন আলী (রাঃ) তার পাওনা টাকা এক ব্যক্তিকে দান করেছিলেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, কারো যিম্মায় কোন হক থাকলে তার কর্তব্য সেটা পরিশোধ করে দেওয়া, কিংবা হকদারের নিকট থেকে মাফ করিয়ে নেয়া। জাবির (রাঃ) বলেন, আমার পিতা ঋণগ্রস্ত অবস্থায় শহীদ হলেন। তখন নবী (সাঃ) আমার বাগানের খেজুরের বিনিময়ে তার পিতাকে ঋণ থেকে অব্যাহতি দিতে পাওনাদারদেরকে বললেন
  • ১৬২৬. একজন কর্তৃক এক দলকে দান করা। আসমা কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ এবং ইবনু আবূ আতীক (র) কে বলেছেন, আমি আমার বোন আয়িশাহ এর নিকট হতে উত্তরাধিকারসূত্রে গানাহ নামক স্থানে কিছু সম্পত্তি পেয়েছি। আর মু‘আবিয়াহ আমাকে (এর বিনিময়ে) এক লাখ দিরহাম দিয়েছিলেন। এগুলো তোমাদের দু’জনের।
  • ১৬২৭. দখলকৃত বা দখল করা হয় নি এবং বন্টিনকৃত বা বন্টন করা হয় নি এমন সম্পদ দান করা। নবী (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ হাওয়াযিন গোত্রের নিকট থেকে যে গণিমত লাভ করেছিলেন, তা বণ্টনকৃত না হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে তা দান করে দিয়েছিলেন। সাবিত (রাঃ) ...... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ) এর কাছে মসজিদে উপস্থিত হলাম, তিনি আমাকে (পূর্বের মূল্য) পরিশোধ করলেন এবং আরো অতিরিক্ত দিলেন ।
  • ১৬২৮. একদল অপর দলকে অথবা এক ব্যক্তি এক দলকে দান করলে তা জায়িয
  • ১৬২৯. সঙ্গীদের মাঝে কাউকে হাদিয়া করা হলে সেই তার হকদার। ইবনু আববাস হতে উল্লেখ করা হয়েছে, সঙ্গীরাও শরীক থাকবে, কিন্তু তা সহীহ নয়।
  • ১৬৩১. এমন কিছু হাদিয়া করা, যা পরিধান করা অপছন্দনীয়
  • ১৬৩২. মুশরিকদের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা।
  • ১৬৩৩. মুশরিকদেরকে হাদিয়া দেওয়া। আল্লাহ তাআলার ইরশাদঃ (মুশরিকদের মধ্যে) দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদের কে স্বদেশ থেকে বের করে নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়নদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা আল-মুমতাহিনাঃ ৬০:৮)
  • ১৬৩৪. দান বা সদাকাহ করার পর তা ফিরিয়ে নেয়া কারো জন্য বৈধ নয়
  • ১৬৩৫. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৬৩৬. উমরা ও রুকবা عُمْرَى رقْبَى সম্পর্কে যা বলা হয়েছে أَعْمَرْتُهُ الدَّارَ অর্থাৎ বাড়ীটি তাকে (তার জীবনকাল পর্যন্ত) দান করে দিলাম। আল্লাহর বাণীঃ তোমাদেরকে তিনি তাতে বসবাস করিয়েছেন। (সূরা হৃদঃ ১১ঃ ৬১)
  • ১৬৩৭. কারো কাছ থেকে যে ব্যক্তি ঘোড়া, চতুস্পদ জন্তু বা অন্য কিছু ধার নেওয়া
  • ১৬৩৮. বাসর সজ্জার সময় নব দম্পতির কিছু ধার করা
  • ১৬৩৯. মানীহা অর্থাৎ দুধ পানের জন্য উট বা বকরি দেওয়ার ফাযীলত
  • ১৬৪০. প্রচলিত অর্থে কেউ যদি কাউকে বলে এই বাঁদিটি তোমার সেবার জন্য দান করছি, তা হলে তা জায়িয। কোন কোন ফিকাহ্ বিশারদ বলেন, এটা আরিয়ত হবে। তবে কেউ যদি বলে, এ কাপড়টি তোমাকে পরিধান করতে দিলাম, তবে তা হিবা হবে।
  • ১৬৪১. কেউ কাউকে আরোহণের জন্য ঘোড়া দান করলে তা উমরা (عُمْرَى) ও সাদকা বলেই গণ্য হবে। আর কোন কোন ফিকাহ বিশারদ বলেন, দাতা তা ফিরিয়ে নিতে পারে।
  • ৪৪/ শাহাদাত (كتاب الشهادات) ৫০ টি | ২৪৬১-২৫১০ পর্যন্ত 44/ Witnesses
  • ১৬৪৩. কেউ যদি কারো সততা প্রমানের উদ্দেশ্যে বলে, একে তো ভাল বলেই জানি অথবা বলে যে, এর সম্পর্কে তো ভালো ছাড়া কিছু জানি না।
  • ১৬৪৪. অন্তরালে অবস্থানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্যদান। আমর ইবনু হওরায়স (র) এ ধরনের সাক্ষ্য বৈধ বলে মত প্রকাশ করেছেন; তিনি বলেন, পাপাচারী মিথ্যুক লোকের বিরুদ্ধে এরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করা যেতে পারে। ইমাম শাবী, ইবনু সীরীন, আতা ও ক্বাতাদাহ (র) বলেন, শুনতে পেলেই সাক্ষী হওয়া যায়। হাসান বসরী (র) বলেন, (এরূপ ক্ষেত্রে সে বলবে) আমাকে এরা সাক্ষী বানায় নি, তবে আমি এরূপ এরূপ শুনেছি।
  • ১৬৪৫. এক বা একাধিক ব্যক্তি কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে আর অন্যরা বলে যে, আমরা এ বিষয়ে জানি না সেক্ষেত্রে সাক্ষ্যদাতার বক্তব্য মুতাবিক ফায়সালা করা হবে। হুমায়দী (র) বলেন, এটা ঠিক। যেমন বিলাল খবর দিয়েছিলেন যে, (মক্কা বিজয়ের দিন) নাবী (সাঃ) কাবার অভ্যন্তরে সালাত আদায় করেছেন। পক্ষান্তরে ফযল বলেছেন, তিনি (কা‘বা অভ্যন্তরে) সালাত আদায় করেননি। বিলালের সাক্ষ্যকেই লোকেরা গ্রহণ করেছে। তদ্রুপ দু‘জন সাক্ষী যদি অমুক অমুকের নিকট এক হাজার দিরহাম পাবে বলে সাক্ষ্য দেয় আর অন্য দু‘জন দেড় হাজার পাবে বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে অধিক পরিমাণের পক্ষেই ফায়সালা দেয়া হবে।
  • ১৬৪৬. ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী প্রসঙ্গেঃ আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ তোমরা তোমাদের ন্যায়পরায়ণ দুজন ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখবে। (সূরা আত্-ত্বালাক্ব্বঃ ৬৫:২) (আল্লাহর বাণী) সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাযী তাদের মধ্যে। (সূরা আল-বাক্বারাঃ ২:২৮২)
  • ১৬৪৭. কারো সততা প্রমাণের ক্ষেত্রে ক’জনের সাক্ষ্য প্রয়োজন
  • ১৬৪৮. বংশধররা, সর্ব অবহিত দুধপান ও পূর্বের মৃত্যু সম্পর্কে সাক্ষ্য দান; নাবী (সাঃ) বলেছেন, সুওয়াইবাহ আমাকে এবং আবূ সালামাহকে দুধপান করিয়েছেন এবং এর উপর দৃঢ় থাকা
  • ১৬৪৯. ব্যাভিচারের অপবাদ দাতা, চোর ও ব্যাভিচারীর সাক্ষ্য। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তাদের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করবে না। তারাই তো সত্যত্যাগী, তবে যদি অতঃপর তারা তাওবা করে। (সূরা আন নূরঃ ২৪:৪)
  • ১৬৫০. অন্যায়ের পক্ষে সাক্ষী করা হলেও সাক্ষ্য দিবে না
  • ১৬৫১. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া প্রসঙ্গে। আল্লাহু তাআলার বাণীঃ আর (আল্লাহর খাঁটি বান্দা তারাই) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না- (সূরা আল ফুরকানঃ ২৫:৭২) এবং সাক্ষ্য গোপন করা প্রসংগে। আল্লাহ তাআলার বানীঃ তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যারা তা গোপন করবে তাদের অন্তর অপরাধী আর তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা সব জানেন- (সূরা আল-বাক্বারাঃ ২:২৮৩)। তোমরা সাক্ষ্য প্রদানে কথা ঘুরিয়ে বল।
  • ১৬৫২. অন্ধের সাক্ষ্যদান, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দান, নিজে বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেওয়া, ক্রয়-বিক্রয় করা, আযান দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে তাকে গ্রহন করা আওয়াজে পরিচয় করা। কাসিম, হাসান, ইবনু সীরীন, যুহরী ও আত্বা (র) অন্ধের সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন। ইমাম শাবী (র) বলেন, বুদ্ধিমান হলে তার সাক্ষ্যদান বৈধ। হাকাম (র) বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেখানে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। ইমাম যুহরী (র) বলেন, তুমি কি মনে কর যে, ইবনু আববাস কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তা প্রত্যাখান করতে পারবে? ইবনু আববাস (দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাওয়ায়) জনৈক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে সূর্য ডুবেছে কিনা জেনে নিয়ে ইফতার করতেন। অনুরূপভাবে ফজরের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। ফজর হয়েছে বলা হলে তিনি দু‘রাকাআত সলাম আদায় করতেন। সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (র) বলেন, একবার আমি আয়িশাহ এর নিকট সাক্ষাতের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমার আওয়াজ চিনতে পেরে বললেন, সুলাইমান না কি, এসো! তোমার সঙ্গে পর্দার প্রয়োজন নেই। (কেননা) যতক্ষণ (মুকাতাবাতের দেয় অর্থের) সামান্য পরিমাণও বাকি থাকবে ততক্ষণ তুমি গোলাম। সামূরাহ ইবনু জুনদুব মুখমণ্ডল আচ্ছাদিতা নারীর সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন।
  • ১৬৫৩. মহিলাদের সাক্ষ্যদান। আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ যদি দুজন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক (সাক্ষী হিসেবে নিয়োগ কর)। (সূরা আল-বাক্বারাঃ ২:২৮২)
  • ১৬৫৪. গোলাম ও বাঁদির সাক্ষ্য। আনাস বলেন, গোলাম নির্ভরযোগ্য হলে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। শুরাইহ্ ও যুরারা ইবনু আওফাও তা অনুমোদন করেছেন। ইবনু সীরীন (র) বলেন, গোলামের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে, তবে মনিবের ক্ষেত্রে নয়। অপরদিকে হাসান (বসরী) (র) ও ইবরাহীম (নাখঈ) (র) সাধারণ বিষয়ে তা অনুমোদন করেছেন, আর শুরুইহ (র) বলেন, তোমরা সকলেই (আল্লাহর) দাস ও দাসীরই সন্তান।
  • ১৬৫৫. দুগ্ধদায়িনীর সাক্ষ্য
  • ১৬৫৬. এক মহিলা অপর মহিলার সততা সম্পর্কে সাক্ষ্য দান
  • ১৬৫৭. কারো নির্দোষ প্রমাণের জন্য একজনের সাক্ষীই যথেষ্ট। আবূ জামীলা (র) বলেন, আমি একটা ছেলে কুড়িয়ে পেলাম। উমার (রাঃ) আমাকে দেখে বললেন, ছেলেটির হয়ত অনিষ্ট হতে পারে। মনে হয় তিনি আমাকে সন্দেহ করছিলেন। আমার এক পরিচিত ব্যক্তি বলল, তিনি একজন সৎ ব্যক্তি। উমার (রাঃ) বললেন, এমনই হয়ে থাকে। নিয়ে যাও এবং এর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব আমার (বায়তুল মালের)।
  • ১৬৫৮. প্রশংসার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন অপছন্দনীয়। যা জানে সে যেন তাই বলে।
  • ১৬৫৯. বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া এবং তাদের সাক্ষ্যদান। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমাদের সন্তন-সন্ততি বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন অনুমতি চায়- (সূরা আন্ নূরঃ ২৪:৫৯)।
  • ১৬৬০. শপথ করানোর পূর্বে বিচারক কর্তৃক বাদীকে জিজ্ঞেস করা যে, তোমার কি কোন প্রমাণ আছে?
  • ১৬৬১. অর্থ-সম্পদ ও হদ্দ এর (শরীয়ত নির্ধারিত দান্ড সমূহ) এর বেলায় বিবাদীর কসম করা। নাবী (সাঃ) বলেছেন, দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে কিংবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে। কুতায়বা (র) বলেন, সুফইয়ান ইবনু শুবরুমা (র) হতে বর্ণনা করেছেন, আবূ যিনাদ (র) সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং বাদীর কসমের ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন : “...সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাজী, তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ সাক্ষী রাখবে, যদি দু’জন পুরুষ না থাকে, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক, স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:২৮২)। আমি বললাম, একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য আর বাদীর কসম যথেষ্ঠ হলে এক মহিলা অপর মহিলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কী প্রয়োজন আছে? এই অপর মহিলাটির স্মরণ করাতে কী কাজ হবে?
  • ১৬৬২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৬৬৩. কেউ কোন দাবী করলে কিংবা (কারো প্রতি) কোন মিথ্যা আরোপ করলে তাকেই প্রামাণ করতে হবে এবং প্রমাণ সন্ধানের জন্য বের হতে হবে
  • ১৬৬৪. আসরের পর কসম করা
  • ১৬৬৫. যে স্থানে বিবাদীর হলফ ওয়াজিব হয়েছে, সেখানেই তাকে শপথ করানো হবে। একস্থান হতে অন্যস্থানে নেয়া হবে না। মারওয়ান (র) যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-কে মিম্বারে গিয়ে হলফ করার নির্দেশ দিলে তিনি বললেন, আমি আমার জায়গায় থেকেই হলফ করব। অত:পর তিনি হলফ করলেন কিন্তু মিম্বারে গিয়ে হলফ করতে অস্বীকার করলেন। মারওয়ান তার এ আচরণে বিস্ময়বোধ করলেন। নাবী (ﷺ) (বাদীকে) বলেছেন, তোমাকে দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে। নতুবা বিবাদী হলফ করবে। এক্ষেত্রে কোন জায়গা নির্ধাণ করা হয়নি।
  • ১৬৬৬. কতিপয় লোকজন কে কার আগে হলফ করবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা
  • ১৬৬৭. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে
  • ১৬৬৮. কিভাবে হলফ নেয়া হবে? মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের সামনে আল্লাহর কসম খায় যাতে তোমাদের রাজী করতে পারে...” (সূরা তাওবাহ : ৯:৬২)। “অত:পর তারা আপনার কাছে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে খেয়ে ফিরে আসবে যে, মঙ্গল ও সম্প্রীতি ছাড়া আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না” (সূরা আন-নিসা : ৪:৬২)। “তারা আল্লাহর নামে হলফ করে বলে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত...” (সূরা আত-তাওবাহ : ৯:৫৬)। “...অত:পর আল্লাহর নামে কসম খাবে যে, অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের সাক্ষ্যর চাইতে অধিক সত্য...”(সূরা আল-মায়িদাহ : ৫:১০৭)। কসম করার জন্য ব্যবহৃত হয়: বিল্লাহে, তাল্লাহে, ওয়াল্লাহে। নাবী (ﷺ) বলেন, আর এক ব্যক্তি আসরের পর আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করেছে। আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নামে শপথ করা যাবে না।
  • ১৬৬৯. (বিবাদী) হলফ করার পর বাদী সাক্ষী উপস্থিত করলে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত প্রমাণ উপস্থিত করার ব্যাপারে অপরের চেয়ে অধিক বাকপটু। তাউস, ইবরাহীম ও শুরাইহ (র) বলেন, মিথ্যা হলফের চেয়ে সত্য সাক্ষ্য অগ্রাধিকারযোগ্য।
  • ১৬৭০. ওয়াদা পূরণ করার নির্দেশ দান।
  • ১৬৭১. সাক্ষী ইত্যাদির ক্ষেত্রে মুশরিকদের কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। ইমাম শা’বী (র) বলেন, এক ধর্মাবলম্বীর সাক্ষ্য অন্য ধর্মাবলম্বীর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “...তাই আমি তাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক করেছি...” (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫:১৪)। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমরা আহলে কিতাবদের সত্যবাদীও মনে কর না আবার মিথ্যাবাদীও মনে কর না। আল্লাহ তা’আলার বাণী : “বরং তোমরা বলবে, আমরা আল্লাহতে ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:১৩৬)।
  • ১৬৭২. জটিল ব্যাপারে কুর’আর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা। মহান আল্লাহর বাণী : “... যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল যে, কে প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে...?” (সূরা আলে-ইমরান : ৪৪) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তারা (কলম নিক্ষেপের মাধ্যমে) কুর’আর [লটারীর] ব্যবস্থা করল, তখন তাদের সবার কলম স্রোতের সাথে ভেসে গেল। শুধু যাকারিয়ার কলম স্রোতের মুখেও ভেসে রইল। তাই তাকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখে দিলেন। [ইউনুস (আঃ) সম্পর্কে] আল্লাহ তা’আলার বাণী : (فَسَاهَمَ)-এর অর্থ أقْرَع কুর’আ নিক্ষেপ করল। فَكاَنَ مِنَ الْمُدْحَضِنَ অত:পর তিনি পরাভূত হলেন- (সূরা আস-সফফাত : ১৪১) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (ﷺ) একদল লোককে হলফ করার নির্দেশ দিলেন। তারা কে আগে হলফ করবে তাই নিয়ে হুড়াহুড়ি শুরু করল। তখন কুর’আর মাধ্যমে কে হলফ করবে তা নির্ধারণের নির্দেশ দিলেন।
  • ৪৫/ সন্ধি (كتاب الصلح) ১৯ টি | ২৫১১-২৫২৯ পর্যন্ত 45/ Peacemaking
  • ১৬৭৩. মানুষের মধ্যে আপস মিমাংসা করে দেওয়া। মহান আল্লাহর বাণীঃ তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই। তবে কল্যাণ আছে যে খয়রাত, সৎকার্য ও মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের নির্দেশ দেয় তার পরামর্শে ... শেষ পর্যন্ত। (৪ঃ ১১৪) মানুষের মধ্যে আপস করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সঙ্গীদের নিয়ে ইমামের স্থানে যাওয়া।
  • ১৬৭৪. সেই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়
  • ১৬৭৫. চলো আমরা মীমাংসা করে দেই, সঙ্গীদের প্রতি ইমামের এ উক্তি
  • ১৬৭৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা উভয়ে আপস নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই এবং আপস নিষ্পত্তিই শ্রেয় (নিসাঃ ৪ : ১২৮)
  • ১৬৭৭. অন্যায়ের উপর লোকেরা সন্ধিবদ্ধ হলে তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য
  • ১৬৭৮. কিভাবে সন্ধিপত্র লেখা হবে? অমুকের পুত্র অমুক এবং অমুকের পুত্র অমুক লিখাতে হবে। গোত্র বা বংশের দিকে সম্বোধন না করলেও ক্ষতি নেই।
  • ১৬৭৯. মুশরিকেরদের সাথে সন্ধি।
  • ১৬৮০. ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সন্ধি
  • ১৬৮১. হাসান ইব্‌ন আলী (রাঃ) সম্পর্কে নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ আমার এ সন্তনটি নেতৃস্থানীয় । সম্ভবত আল্লাহ্‌ এর মাধ্যমে দু’টি বড় দলের মাঝে সন্ধি স্থাপন করাবেন। আর আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তোমরা তাদের উভয় দলের মাঝে মীমাংসা করে দাও। (৪৯ঃ ৯)
  • ১৬৮২. আপস মীমাংসার ব্যাপারে ইমাম পরামর্শ দিবেন কি?
  • ১৬৮৩. মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার এবং তাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করার ফযীলত
  • ১৬৮৪. ইমাম মীমাংসা নির্দশ দেওয়ার পর তা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফয়সালা দিতে হবে
  • ১৬৮৫. পাওনাদারদের মধ্যে এবং মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মধ্যে আপস মীমাংসা করে দেওয়া। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, দুই অংশীদার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, একজন বাকী আর একজন নগদ নিবে, তাতে কোন দোষ নেই। আর কারো মাল বিনষ্ট হয়ে গেলে সে তার সাথীর নিকট দাবী করতে পারবে না।
  • ১৬৮৬. ঋণ ও নগদ মালের বিনিময়ে আপস করা
  • ৪৬/ শর্তাবলী (كتاب الشروط) ২১ টি | ২৫৩০-২৫৫০ পর্যন্ত 46/ Conditions
  • ১৬৮৭. ইসলাম গ্রহন, আহকাম ও ক্রয়-বিক্রয় যে সব শর্ত জায়িয
  • ১৬৮৮. তাবীর করার পর খেজুর গাছ বিক্রি করা
  • ১৬৮৯. বিক্রয়ে শর্তারোপে করা
  • ১৬৯০. নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত সওয়ারীর পিঠে চড়ে যাওয়ার শর্তে পশু বিক্রি করা জায়িয
  • ১৬৯১. বার্গাচাষ ইত্যাদির বিষয়ে শর্তাবলী
  • ১৬৯২. বিবাহ বন্ধনের সময় মাহরের ব্যাপারে শর্তাবলী।
  • ১৬৯৩. চাষাবাদের শর্তবলী
  • ১৬৯৪. বিয়েতে যে সব শর্ত বৈধ নয়
  • ১৬৯৫. দন্ডবিধানে যে সব শর্ত বৈধ নয়
  • ১৬৯৬. মু্ক্তি দেওয়া হবে এ শর্তে মুকাতাব বিক্রিত হতে রাযী হলে তার জন্য কি কি শর্ত জায়িয
  • ১৬৯৭. ত্বালাক্বের ব্যাপারে শর্তাবলী। ইবন মুসাইয়িব, হাসান ও আতা (রহঃ) বলেন, তালাক প্রথমে বলুক বা শেষে বলুক, তা শর্তানুযায়ী প্রযোজ্য
  • ১৬৯৮. লোকদের সাথে মৌখিক শর্তারোপ
  • ১৬৯৯. ওয়ালা এর অধিকার লাভের শর্তারোপ
  • ১৭০০. বর্গাচার্ষের ক্ষেত্রে এ শর্ত আরোপ করা যে, যখন ইচ্ছা আমি তোমাকে বের করে দিব
  • ১৭০১. যুদ্ধরত কাফিরদের সাথে জিহাদ ও সন্ধির ব্যাপারে শর্তারোপ এবং লোকদের সাথে কৃত মৌখিক শর্ত লিপিবদ্ধ করা
  • ১৭০৩. মুকাতব প্রসঙ্গে এবং যে সব শর্ত কিতাবুল্লাহ পরিপন্থী তা বৈধ নয়। জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) মুকাতব সম্পর্কে বলেন, গোলাম ও মালিকের মধ্যে সম্পাদিত শর্তই ধর্তব্য। ইবন উমর অথবা উমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কিতাবের (কুরআনের) বিরোধী যে কোন শর্তই বাতিল তা শত শর্ত হলেও
  • ১৭০৪. শর্ত আরোপ করা ও স্বীকারোক্তির মধ্যে থেকে কিছু বাদ দেওয়ার বৈধ তা এবং লোকদের মধ্যে প্রচলিত শর্তবলী প্রসঙ্গে যখন কেউ বলে যে, এক বা দু’ ব্যতীত একশ? (তবে হুকুম কি হবে)। ইবন আওন ইবন সীরিন (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি তার (সাওয়ারীর) কেরায়াদারকে বলল, তুমি তোমার সাওয়ারী রাখ আমি যদি অমুক দিন তোমার সঙ্গে না যাই তাহলে তুমি একশ দিরহাম পাবে, কিন্তু সে গেল না। কাযী শুরাইহ (রহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সেচ্ছায় বিনা চাপে নিজের উপর কোন শর্ত আরোপ করে তাহলে তা তার উপর বার্তায়। ইবন সিরিন (রহঃ) থেকে আইয়ুব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি কিছু খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করল এবং (ক্রেতা) তাঁকে বলল, আমি যদি বুধবার তোমার কাছে না আসি তবে তোমার আমার মধ্যে কোন বেচা-কেনা নেই। তারপ সে এল না। তাতে কাযী শুরায়হ (রহঃ) ক্রেতাকে বললেন, তুমি ওয়াদা খেলাপ করেছ। তাই তিনি ক্রেতার বিরুদ্ধে রায় দিলেন।
  • ১৭০৫. ওয়াক্‌ফের ব্যাপারে শর্তাবলী
  • ৪৭/ অসিয়াত (كتاب الوصايا) ৪০ টি | ২৫৫১-২৫৯০ পর্যন্ত 47/ Wills And Testaments (Wasaayaa)
  • ১৭০৬. ওয়াসিয়াত প্রসঙ্গে এবং নাবী (ﷺ)-এর বাণী, মানুষের অসীয়াত তার নিকট লিখিত থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে তা ন্যায্য পন্থায় তার পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের জন্য ওয়াসীয়াত করার বিধান.... পক্ষপাতিত্ব পর্যন্ত”। (আল-বাক্বারা : ২:১৮০-১৮২) جَنَفًا অর্থ- ঝুঁকে যাওয়া, পক্ষপাতিত্ব করা مُتَجَانِفٌ ঐ ব্যক্তি, যে ঝুঁকে পড়ে, পক্ষপাতিত্ব করে।
  • ১৭০৭. ওয়ারিসদেরকে অন্যের নিকট হাত পাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে মালদার রেখে যাওয়া শ্রেয়
  • ১৭০৮. এক তৃতীয়াংশ অসীয়াত করা প্রসঙ্গে। হাসান বাসরী (র) বলেন, যিম্মির জন্য এক তৃতীয়াংশের বেশী অসীয়াত করা বৈধ নয়। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তিনি যেন আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী যিম্মিদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন : “ তাদের মধ্যে ফয়সালা কর, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী”। (আল-মায়িদাহ : ৫:৪৯)
  • ১৭০৯. অসীর প্রতি অসীয়তকারীর উক্তিঃ তুমি আমার সন্তানাদির প্রতি খেয়াল রাখবে, আর অসীর জন্য কেমন দাবী জায়িয
  • ১৭১০. কোন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি মাথা দিয়ে স্পষ্টভাবে ইশারা করলে তা গ্রহণযোগ্য
  • ১৭১১. ওয়ারিসের জন্য অসীয়াত নেই
  • ১৭১২. মৃত্যুর সময় দান খায়রাত করা
  • ১৭১৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ “ঋণ আদায় ও অসীয়াত পূর্ণ করার পর... (মৃতের সম্পত্তি ভাগ হবে)” (আন-নিসা : ৪:১২)।
  • ১৭১৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ “ঋণ আদায় ও অসীয়াত পূর্ণ করার পর... (মৃতের সম্পত্তি ভাগ হবে)” (আন-নিসা : ৪:১২) এর ব্যাখ্যা।
  • ১৭১৫. যখন আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াকফ বা অসীয়াত করা হয় এবং আত্মীয় কারা? সাবিত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী (সাঃ) আবূ ত্বালহাকে বলেন, তুমি তোমার গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। অত:পর তিনি বাগনটি হাসসান ও উবাই ইবনু কা’বকে দিয়ে দেন। আনসারী (র) বলেন, আমার পিতা সুমামা এর মাধ্যমে আনাস (রাঃ) থেকে সাবিত এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন, বাগানটি তোমার গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। আনাস (রাঃ) বলেন, আবু ত্বালহা (রাঃ) বাগনটি হাসসান ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) কে দিলেন আর তারা উভয়েই আমার চেয়ে তার নিকটাত্মীয় ছিলেন। আবু ত্বালহা (রাঃ)-এর সঙ্গে হাসসান এবং উবাই (রাঃ)এর সম্পর্ক ছিল এরূপ: আবূ ত্বালহা (রাঃ) নাম- যায়দ ইবনু সাহল ইবনু আসওয়াদ ইবনু হারাম ইবনু আমর ইবনু যায়দ যিনি ছিলেন মানাত ইবনু আদী ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। (হাসসানের বংশ পরিচয় হলো:) হাসসান ইবনু সাবিত ইবনু মুনযির ইবনু হারাম। কাজেই হারাম নামক পুরুষে মিলিত হন। যিনি তৃতীয় পিতৃপুরুষ ছিলেন এবং হারাম ইবনু আমর ইবনু যায়দ যিনি মানাত ইবনু আদী ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। অতএব হাসসান, আবু ত্বালহা ও উবাই (রাঃ) ষষ্ট পুরুষে এসে আমর ইবনু মালিকের সঙ্গে মিলিত হন। আর উবাই হলেন উবাই ইবনু কা’ব ইবনু কায়স ইবনু উবাইদ ইবনু যায়দ ইবনু মুআবিয়াহ ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। কাজেই আমর ইবনু মালিক এসে হাসসান আবূ ত্বালহা ও উবাই একত্র হয়ে যায়। কারো কারো মতে নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য অসীয়াত করলে তা তার মুসলিম পিতা-পিতামহের জন্য প্রযোজ্য হবে।
  • ১৭১৬. স্ত্রীলোক ও সন্তান-সন্ততি (অসীয়তের ক্ষেত্রে) আত্মীয় স্বজনের অন্তর্ভুক্ত হবে কি?
  • ১৭১৭. ওয়াকফকারী তার কৃত ওয়াকফ দ্বারা উপকার হাসিল করতে পারে কি? উমার (রাঃ) শর্তারোপ করেছিলেন, যে ব্যক্তি ওয়াকফের মুতাওয়াল্লী হবে, তার জন্য তা থেকে কিছু খাওয়াতে কোন দোষ নেই। ওয়াকফকারী নিজেও মুতাওয়াল্লী হতে পারে, আর অন্য কেউ ও হতে পারে। অনুরূপ যে ব্যক্তি উট বা অন্য কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার জন্যও তা থেকে নিজে উপকৃত হওয়া বৈধ, যেমন অন্যদের জন্য তা থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ, শর্তারোপ না করলেও।
  • ১৭২০. যদি কেউ বলে যে, আমার এই জমিটি কিংবা বাগানটি আমার মায়ের পক্ষ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে সদাকাহ তবে তা জাইয, যদিও তা কার জন্য তা ব্যক্ত না করে
  • ১৭২১. কেউ যদি তার আংশিক সম্পদ কিংবা কতিপয় গোলাম অথবা কিছু জন্তু জানোয়ার সাদকা করে বা ওয়াকফ করে তবে তা জায়িয
  • ১৭২৩. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ মীরাসের মাল ভাগাভাগির সময় যদি কোন আত্মীয়, ইয়াতীম ও মিসকীন হাজির থাকে, তাহলে তা থেকে তাদেরও কিছু দান করেব। (৪ঃ ৮)
  • ১৭২৪. হঠাৎ কেউ মারা গেলে তারপক্ষ থেকে দান-সাদকা করা মুস্তাহাব আর মৃতের পক্ষ থেকে তার মান্নত আদায় করা
  • ১৭২৫. ওয়াকফ, সাদকা ও অসীয়তে সাক্ষী রাখা
  • ১৭২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ দিয়ে দিবে এবং ভালোর সঙ্গে মন্দ বদল করবে না। তোমাদের সঙ্গে তাদের সম্পদ মিশিয়ে গ্রাস করবে না, তা মহাপাপ। তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে, যাকে তোমাদের ভাল লাগে। (৪ঃ ২-৩)
  • ১৭২৭. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তোমরা ইয়াতীমদের যাচাই করবে, যে পর্যন্ত না তারা বিবাহযোগ্য হয় এবং তাদের মধ্যে ভাল-মন্দ বিচারের জ্ঞান দেখলে তাদের সম্পদ তাদের ফিরিয়ে দেবে। তারা বড় হয়ে যাবে বলে অন্যায়ভাবে ঐ সম্পদ হতে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যে অভাবমুক্ত সে যেন তাদের সম্পদ হতে নিবৃত্ত থাকে এবং যে অভাবগ্রস্ত সে যেন সঙ্গত পরিমাণে ভোগ করে। ... এক নির্ধারিত অংশ পর্যন্ত। (৪ঃ ৬-৭) حسيبا অর্থ যথেষ্ট আর অসী ইয়াতীমের মাল কিভাবে ব্যবহার করবে এবং তার শ্রমের অনুপাতে কী পরিমাণ সে ভোগ করতে পারবে
  • ১৭২৮. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যারা ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা তাদের উদরে অগ্নি ভক্ষন করে, তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। (৪ঃ ১০)
  • ১৭৩০. আবাসে কিংবা প্রবাসে ইয়াতীমদের থেকে খেদমত গ্রহন করা, যখন তা তাদের জন্য কল্যাণকর হয় এবং মা ও মায়ের স্বামী কর্তৃক ইয়াতীমের প্রতি স্নেহদৃষ্টি রাখা
  • ১৭৩১. যখন কোন জমি ওয়াকফ করে এবং সীমা নির্ধারণ না করে তা বৈধ। অনুরুপ সাদ্‌কাও
  • ১৭৩২. একদল লোক যদি তাদের কোন শরীকী জমি ওয়াক্‌ফ করে তা হলে তা জায়িয
  • ১৭৩৩. ওয়াক্‌ফ কিভাবে লেখা হবে?
  • ১৭৩৪. অভাবগ্রস্ত, ধনী ও মেহমানদের জন্য ওয়াক্‌ফ করা
  • ১৭৩৫. মসজিদের জন্য জমি ওয়াক্‌ফ করা
  • ১৭৩৬. জন্তু জানোয়ার, ঘোড়া, আসবাবপত্র ও সোনারূপা ওয়াকফ করা।
  • ১৭৩৭. ওয়াক্‌ফের তত্ত্বাবধায়কের খরচ
  • ১৭৩৯. ওয়াক্‌ফকারী যদি বলে, আমি একমাত্র আল্লাহ‌র কাছে এর মূল্যের আশা করি, তবে তা জায়িয
  • ১৭৪১. অসীয়াতকারী কৃর্তক মৃতের ওয়ারিসদের অনুপস্থিতিতে মৃতের ঋণ পরিশোধ করা
  • ৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) ৩৭৩ টি | ২৫৯১-২৯৬৩ পর্যন্ত 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)
  • ১৭৪২. জিহাদ ও যুদ্ধের ফযীলত। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন এর বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। তারা তওবাকারী, এবাদতকারী, শোকরগোযার, (দুনিয়ার সাথে) সম্পর্কচ্ছেদকারী, রুকু ও সিজদা্ আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাযতকারী। বস্তুতঃ সুসংবাদ দাও ঈমানদারদেরকে। (আত তাওবাহ : ৯:১১১-১১২)
  • ১৭৪৩. মানুষের মধ্যে সে মুমিন মুজাহিদ, উত্তম, যে স্বীয় জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। আল্লাহ বলেনঃ হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে ... এ-ই মহাসাফল্য। (আস-সফ : ৬১:১০-১২)
  • ১৭৪৪. পুরুষের এবং নারীর জন্য জিহাদ ও শাহাদাতের দু'আ। উমর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ আমাকে আপনার রাসুলের শহরে শাহাদাত নসীব করুন।
  • ১৭৪৫. আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের মর্যাদা। বলা হয় هَذِهِ سَبِيلِي স্ত্রীলিঙ্গ ও هَذَا سَبِيلِي পুংলিঙ্গ অর্থাৎ উভই ব্যবহার হয়, আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, غزي এর একবচন হল غاز এবং هم دَرَجَاتِ এর অর্থ لهم دَرَجَاتِ অর্থাৎ তাদের জন্য রয়েছে মর্যাদা
  • ১৭৪৬. আল্লাহ‌র রাস্তায় সকাল ও সন্ধা অতিবাহিত করা জান্নাতে তোমাদের কারোর একটি ধনুক পরিমান স্থান
  • ১৭৪৭. ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট হুর ও তাদের গুণাবলী। তাদের দর্শনে দৃষ্টি স্থির থাকে না এবং তাদের চোখের মনি অতীব কালো ও চোখের সাদা অংশ অতীব শুভ্র। (এ জন্যই তাদের হুরে'ঈন বলা হয়) وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُورٍ عِينٍ অর্থ - জান্নাতীদের আমি হুরে'ঈনের সাথে বিয়ে করিয়ে দিব।
  • ১৭৪৮. শাহাদাতের আকাঙক্ষা করা
  • ১৭৪৯. যে আল্লাহ‌র রাস্তায় সওয়ারী থেকে পড়ে মারা যায়, সে জিহাদকারীদের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ وَمَنْ يَخْرُجْ مِنْ بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের পথে হিজরতের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় এবং (পথিমধ্যে) তার মৃত্যু ঘটে তাকে পুরস্কৃত করা আল্লাহর কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় (৪ঃ ১০০)
  • ১৭৫০. যে আল্লাহ‌র রাস্তায় আহত হলো কিংবা বর্শা বিদ্ধ হল
  • ১৭৫১. যে মহান আল্লাহ‌র পথে আহত হয়
  • ১৭৫২. আল্লাহ‌র তা আলার বাণীঃ হে নবী, আপনি বলে দিন, তোমরা কি আমাদের ব্যাপারে দুটি কল্যাণের যে কোন একটি অপেক্ষা করছ? যুদ্ধ হচ্ছে বড় অয়ানি পাত্রের ন্যায়
  • ১৭৫৩. মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সংগে তাদের কৃত অঙ্গীরকার পূর্ণ করে দেখিয়েছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের অঙ্গীকারে কোন পরিবর্তন করেনি। (৩৩ঃ ২০)
  • ১৭৫৪. যুদ্ধের আগে নেক আমল। আবু দারাদা (রাঃ) বলেন, আমল অনুসারে তোমরা জিহাদ করে থাকো। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ হে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা কেন এমন কথা বল, যা তোমরা কর না? তা আল্লাহর দৃষ্টিতে অত্যান্ত অসন্তোষজনক। ... সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়। (৬১ঃ ২-৩)
  • ১৭৫৫. অজ্ঞাত তীর এসে যাকে হত্যা করে
  • ১৭৫৬. যে ব্যক্তি আল্লাহ‌র কালিমা (দীন) বুলন্দ থাকার উদ্দেশ্যে জিহাদ করে
  • ১৭৫৭. যার দু’পা আল্লাহর পথে ধুলি ধুসরিত হয়, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ মদীনাবাসী ও তাদের পার্শ্ববর্তী মরুবাসীদের জন্য সঙ্গত নয়, তারা আল্লাহর রাসুলের সহগামী না হয়ে পেছনে থেকে যাওয়া ...... আল্লাহ সৎকর্মশীলদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (৯ঃ ১২০)
  • ১৭৫৮. আল্লাহর পথে মাথায় লাগা ধুলি মুছে ফেলা
  • ১৭৫৯. যুদ্ধের পর ও ধূলিবালি লাগার পর গোসল করা
  • ১৭৬০. আল্লাহ তা’আলার এ বাণী যাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, তাদের মর্যাদাঃ যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদের কখনো মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত .... আল্লাহ মুমিনগণের শ্রমফল নষ্ট করে দেন না। (আলে 'ইমরান : ৩:১৬৯ - ১৭১)
  • ১৭৬১. শহীদের উপর ফিরিশতাদের ছায়াদান
  • ১৭৬২. মুজাহিদের দুনিয়ায় ফিয়ে আসার আকাঙ্ক্ষা
  • ১৭৬৩. তরবারীর ঝলকের নীচ জান্নাত।
  • ১৭৬৫. যুদ্ধে বীরত্ব ও ভীরুতা
  • ১৭৬৬. কাপুরুষতা থেকে পানাহ চাওয়া
  • ১৭৬৭. যে ব্যক্তি যুদ্ধকালীন তার নিজের ঘটনাবলী বর্ণনা করে। আবু উসমান (রহঃ) তা সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • ১৭৬৯. কোন কাফির যদি কোন মুসলিমকে হত্যা করার পর ইসলাম গ্রহন করে ও দ্বীনের উপর অবিচল থেকে আল্লাহ‌র রাস্তায় নিহত হয়
  • ১৭৭০. যে ব্যক্তি জিহাদকে সওমরে উপর অগ্রাধিকার দেয়
  • ১৭৭১. নিহত হওয়া ছাড়াও সাত প্রকারের শাহাদত রয়েছে
  • ১৭৭২. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয়; অথচ ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে, তারা সমান নয় ....আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (আন-নিসা ৪:৯৫-৯৬)
  • ১৭৭৩. যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণ
  • ১৭৭৪. জিহাদে উদ্ধুদ্ধকরণ, আল্লাহ‌র তা আলার বাণীঃ মু মিনদের জিহাদের জন্য উদ্ধুদ্ধ করুণ। (আল-আনফাল : ৮:৬৫)
  • ১৭৭৫. পরিখা খনন
  • ১৭৭৬. ওযর যাকে জিহাদে যেতে বাধা দেয়
  • ১৭৭৭. আল্লাহ‌র পথে জিহাদের অবস্থায় সওম পালনের ফযীলত
  • ১৭৭৮. আল্লাহ‌র পথে খরচ করার ফযীলত
  • ১৭৭৯. যে ব্যক্তি কোন সৈনিককে সাজ আসবাবপত্র দিয়ে অথবা যুদ্ধে গমনকারী সৈনিকের পরিবার-পরিজনকে সাহায্য করে তার ফযীলত
  • ১৭৮০. যুদ্ধের সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা
  • ১৭৮১. শত্রুদের তথ্য সংগ্রহকারী দলের ফযীলত
  • ১৭৮২. একজন তথ্য সংগ্রহকারী পাঠানো যায় কি?
  • ১৭৮৩. দু' জনের ভ্রমণ
  • ১৭৮৪. ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে কল্যাণ নিবদ্ধ রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত
  • ১৭৮৫. জিহাদ অব্যাহত থাকবে নেতৃত্বদানকারী সৎ হোক অথবা সীমালংকারী। কেননা নবী (সাঃ) বলেছেন, ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে কল্যাণ নিবদ্ধ রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত।
  • ১৭৮৬. যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে ঘোড়া প্রস্তুত রাখে। মহান আল্লাহর বাণীঃ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ যে জিহাদের উদ্দেশ্যে ঘোড়া পালন করে
  • ১৭৮৭. ঘোড়া ও গাধার নামকরণ
  • ১৭৮৮. ঘোড়ার অকল্যাণ সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়
  • ১৭৮৯. ঘোড়া তিন প্রকার লোকের জন্য। আর আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমাদের আরোহণের জন্য ও শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা। (১৬ঃ ৮)
  • ১৭৯০. জিহাদে যে ব্যক্তি অপরের জানোয়ারকে চাবুক মারে
  • ১৭৯১. অবাধ্য পশু ও তেজস্বী অশ্ব আরোহণ করা। রাশীদ ইবন সা’দ (রহঃ) বলেন, সালফ সালেহীন তেজস্বী অশ্বে আরোহণ করতে পছন্দ করতেন। কেননা এ (শ্রেনীর) ঘোড়া অতি দ্রুতগামী ও খুব সাহসী
  • ১৭৯২. গনীমাতে ঘোড়ার অংশ। মালিক (রহঃ) বলেন, ঘোড়া ও বিশেষ করে তুর্কী ঘোড়ার গনীমতে অংশ দেওয়া হবে। আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের আরোহণের জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা। (১৬ঃ ৮) একটি ঘোড়ার অধিক হলে এর কোন অংশ দেওয়া হবে না
  • ১৭৯৩. জিহাদে যে ব্যক্তি অন্যের বাহন পরিচালনা করে
  • ১৭৯৪. সাওয়ারীর রিকার ও পা-দানী প্রসঙ্গে
  • ১৭৯৫. গাদিবিহীন ঘোড়ার পিঠে আরোহন
  • ১৭৯৬. ধীরগতিসম্পন্ন ঘোড়া
  • ১৭৯৭. ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা
  • ১৭৯৮. প্রতিযোগিতার জন্য অশ্বের প্রশিক্ষন দান
  • ১৭৯৯. প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অশ্বের দৌড় প্রতিযোগিতার সীমা
  • ১৮০০. নাবী (সাঃ)-এর উষ্ট্রী প্রসঙ্গে। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) উসামাকে কাসওয়া নামক উষ্ট্রীর পিঠে তার পেছনে বসান। মিসওয়ার (রহঃ) বলেব, নবী (সাঃ) বলেছেন তার উষ্ট্রী কাসওয়া কখনো অবাধ্যতা প্রকাশ করেনি।
  • ১৮০১. নাবী (সাঃ)-এর সাদা খচ্চর। আনাস (রাঃ) তা বর্ণনা করেছেন। আবু হুমাইদ (রহঃ) বলেন, আয়লার শাসক নবী (সাঃ) কে একটি সাদা খচ্চর উপহার দিয়েছিলেন
  • ১৮০২. মহিলাদের জিহাদ
  • ১৮০৩. সামুদ্রিক যুদ্ধে মহিলাদের অংশগ্রহন
  • ১৮০৪. কয়েক স্ত্রীর মধ্যে একজনকে নিয়ে জিহাদে যাওয়া
  • ১৮০৫. মহিলাদের যুদ্ধে গমন এবং পুরুষদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহন
  • ১৮০৬. যুদ্ধে মহিলাদের মশক নিয়ে লোকদের নিকট যাওয়া
  • ১৮০৭. মহিলা কতৃক যুদ্ধাহতদের পরিচর্যা
  • ১৮০৮. মহিলা কর্তৃক আহত ও নিহতদের ফেরত পাঠান
  • ১৮০৯. শরীর থেকে তীর বের করা
  • ১৮১০. মহান আল্লাহর পথে যুদ্ধে পাহারাদারি করা
  • ১৮১১. যুদ্ধে খিদমতের ফযীলত
  • ১৮১২. সফর-সঙ্গির আসবাবপত্র বহনকারীর ফাযীলত
  • ১৮১৩. আল্লাহর রাস্তায় একদিন প্রহরারত থাকার ফযীলাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে ইমানদারগন! তোমরা ধৈর্যধারন কর, অপরকেও ধৈর্যে উৎসাহিত কর। এবং (প্রতিরক্ষায়) সদা প্রস্তুত থাক ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ২০০)
  • ১৮১৪. যুদ্ধে যে ব্যক্তি খিদমতের জন্য কিশোর নিয়ে যায়
  • ১৮১৫. সমুদ্র সফর
  • ১৮১৬. দুর্বল ও সৎ লোকদের (দু‘আয়) উসিলায় যুদ্ধে সাহায্য চাওয়া।
  • ১৮১৭. অমুক লোক শহীদ এ কথা বলবে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর পথে কে জিহাদ করেছে, তা তিনিই ভাল জানেন এবং কে তার পথে আহত হয়েছে আল্লাহই সমাধিক অবগত আছেন
  • ১৮১৮. তীরন্দাজীর প্রতি উৎসাহিত করা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা তাদের মোকাবিলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, এ দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে এবং তোমাদের শত্রুকে। (৮ঃ ৬০)
  • ১৮১৯. বর্শা বা তদ্রুপ কিছু নিয়ে খেলা করা
  • ১৮২০. ঢালের বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি তার সঙ্গির ঢাল ব্যবহার করে
  • ১৮২১. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৮২২. চামড়ার ঢাল প্রসঙ্গে
  • ১৮২৩. খাপ এবং কাঁধে তরবারী ঝুলান
  • ১৮২৪. তলোয়ারে সোনা রুপার কাজ
  • ১৮২৫. সফরে দ্বিপ্রহরের বিশ্রামের সময় তলোয়ার গাছে ঝুলিয়ে রাখা
  • ১৮২৬. শিরস্ত্রান পরিধান করা
  • ১৮২৭. কারো মৃত্যকালে তার অস্ত্র ধ্বংস করা যারা পছন্দ করে না
  • ১৮২৮. দুপুরের বিশ্রামের সময় ইমাম থেকে পৃথক হওয়া এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণ করা
  • ১৮২৯. তীর নিক্ষেপ প্রসঙ্গে ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উল্লেখ রয়েছে যে, তীরের ছায়াতলে আমার রিযিক রাখা হয়েছে। যে ব্যক্তি আমার নির্দেশের বিরোধিতা করে, তার জন্য অপমান ও লাঞ্ছনা নির্ধারিত।
  • ১৮৩০. নাবী (ﷺ)-এর বর্ম এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত তাঁর জামা সম্পর্কিত। নবী (সাঃ) বলেন, খালিদ (ইবন ওয়ালীদ) তো তার বর্মগুলো আল্লাহর পথে (জিহাদের জন্য) ওয়াকফ করে দিয়েছেন
  • ১৮৩১. সফরে এবং যুদ্ধে জোব্বা পরিধান করা
  • ১৮৩২. যুদ্ধে রেশমী কাপড় পরিধান করা
  • ১৮৩৩. ছুরি সম্পর্কে বর্ণনা
  • ১৮৩৪. রোমকদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে
  • ১৮৩৫. ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
  • ১৮৩৬. তুর্কদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
  • ১৮৩৭. পশমের জুতা পরিধানকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
  • ১৮৩৮. পরাজয়ের সময় সঙ্গীদের সারিবদ্ধ করা, নিজের সওয়ারী থেকে নামা ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করা
  • ১৮৩৯. মুশরিকদের পরাজয় ও পর্যুদস্ত করার দু’আ
  • ১৮৪০. মুসলিম কি আহলে কিতাবকে পথপ্রদর্শন করবে কিংবা তাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিবে?
  • ১৮৪১. মুশরিকদের জন্য হিদায়াতের দু'আ, যাতে তাদের মন আকৃষ্ট হয়
  • ১৮৪২. ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রতি ইসলামের দাওয়াত এবং কোন অবস্থায় তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা যায়? নবী (ﷺ) কায়সার ও কিসরা এর কাছে যা লিখিয়েছেন এবং যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া
  • ১৮৪৩. ইসলাম এ নবুওয়াতের দিকে নাবী (ﷺ) এর আহবান আর মানুষ যেন আল্লাহ ব্যতীত তারে পরস্পরকে রব হিসেবে গ্রহন না করে। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ কিতাব, হিকমত ও নবুয়াত দান করার পর সে মানুষকে বলবে যে, আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা আমার বান্দা হয়ে যাও। তা তার জন্য শোভনীয় নয়। আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ৭৯)
  • ১৮৪৪. যে ব্যক্তি যুদ্ধ করার ইচ্ছা করে ও অন্যদিকে আকর্ষনের মাধ্যমে তা গোপন রাখে আর যে বৃহস্পতিবারে সফরে বের হতে পছন্দ করে
  • ১৮৪৫. যুহরের পর সফরে বের হওয়া
  • ১৮৪৬. মাসের শেষ ভাগে সফরে বের হওয়া। কুরাইব (রহঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাঃ) যুল কা'দার পাঁচ দিন থাকতে মদীনা থেকে রওনা হন এবং যুল হিজ্জার ৪ তারিখে মক্কায় পৌঁছেন
  • ১৮৪৭. রমাযান মাসে সফর করা
  • ১৮৪৯. ইমামের কথা শুনা ও আনুগত্য করা যতক্ষন সে গুনাহর কাজের নির্দেশ না দেয়
  • ১৮৫০. ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধ করা ও তাঁর মাধ্যমে নিরাপত্তা লাভ করা
  • ১৮৫১. যুদ্ধ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার ব্যাপারে বায়’আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা আপনার নিকট বৃক্ষতলে বায়আত গ্রহন করেছিলেন (৪৮ঃ ১৮)
  • ১৮৫২. জনসাধারণের জন্য যথাসাধ্য ইমামের নির্দেশ পালন
  • ১৮৫৩. নাবী (ﷺ) যদি দিনের শুরুতে যুদ্ধ আরম্ভ না করতেন, তবে সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ আরম্ভ বিলম্ব করতেন।
  • ১৮৫৪. কোন ব্যক্তির ইমামের অনুমতি গ্রহন। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তারাই প্রকৃত মুমিন যারা আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসুল (সাঃ) এর উপর ঈমান এনেছে, আর যখন তারা তার সঙ্গে কোন সমষ্টিগত বিষয়ে একত্রিত হয়, তখন তারা তার অনুমতি ব্যতিরেকে চলে যায় না (২৪ঃ ৬২)
  • ১৮৫৭. ভয়-ভীতির সময় ইমামের (সকলের আগে) অগ্রসর হওয়া
  • ১৮৫৮. ভয়-ভীতির সময় ত্বরা করা ও দ্রুত ঘোড়া চালনা করা
  • ১৮৬০. কাউকে পারিশ্রমিক দানপূর্বক নিজের পক্ষ হতে যুদ্ধ করানো এবং আল্লাহর রাহে সাওয়ারী দান করা। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ) কে বললাম, আমি জিহাদে যেতে চাই। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চাই। আমি বললাম, আমি আল্লাহ তা’আলা আমাকে আর্থিক সচ্ছলতা দান করেছেন। তিনি [ইবন উমর (রাঃ)] বললেন, তোমার সচ্ছলতা তোমার জন্য। আমি চাই আমার কিছু সম্পদ এ পথে ব্যয় হোক। উমর (রাঃ) বলেন, এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা জিহাদ করার জন্য (বায়তুল মাল হতে) অর্থ গ্রহন করে, পরে জিহাদ করে না। যারা এরূপ করে, আমরা তার সম্পদে অধিক হকদার এবং আমরা তা ফিরত নিয়ে নিব, যা সে গ্রহন করেছে। তাউস ও মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, যখন আল্লাহর রাহে বের হওয়ার জন্য তোমাকে কিছু দান করা হয়, তা দিয়ে তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পার আর তোমার পরিবার-পরিজনের কাছেও রেখে দিতে পার।
  • ১৮৬১. মজুরী গ্রহণ করে জিহাদে অংশ গ্রহন করা।
  • ১৮৬২. নবী (ﷺ) এর পতাকা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
  • ১৮৬৩. রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর উক্তিঃ এক মাসের পথের দুরত্ব থেকে (শত্রুর মনে) ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আমি কাফিরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব। যেহেতু তারা আল্লাহর শরীক করেছে। (৩ঃ ১৫১) (এ প্রসঙ্গে) জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে হাদীস উদ্ধৃত করেছেন
  • ১৮৬৪. যুদ্ধে পাথেয় বহন করা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (২ঃ ১৯৭)
  • ১৮৬৫. কাঁধে পাথেয় বহন করা
  • ১৮৬৬. উটের পিঠে আপন ভাইয়ের পেছনে মহিলাকে বসানো
  • ১৮৬৭. যুদ্ধ ও হজ্জে একই সাওয়ারীতে একে অপরের পেছনে বসা
  • ১৮৬৮. গাধার পিঠে একে অপরের পেছনে বসা
  • ১৮৬৯. রিকাব বা অন্য কিছু ধরে আরোহণে সাহায্য করা
  • ১৮৭০. কুরআন মাজিদ সহ শত্রু ভূখণ্ডে সফর করা অপছন্দনীয়। অনুরূপ মুহাম্মাদ ইবন বিশর (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। উবায়দুল্লাহ (রহঃ) এর অনুসরণকারী ইবন ইসহাকও ... ইবন উমর (রাঃ) এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। অবশ্য রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীগন (রাঃ) শত্রুর ভূখন্ডে সফর করেছেন এবং তারা কুরআনুল কারীম জানতেন।
  • ১৮৭১. যুদ্ধের সময় তাকবীর বলা
  • ১৮৭২. তাকবীর জোরে জোরে বলা অপছন্দীয়
  • ১৮৭৩. কোন উপত্যকায় আক্রমণ করাকালে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ্‌) পড়া
  • ১৮৭৪. উঁচু স্থানে আরোহণকালে তাকবীর বলা
  • ১৮৭৫. মুসাফিরের জন্য তা-ই লিখিত হবে, যা সে আমল করত ইকামত (আবাস) অবস্থায়
  • ১৮৭৬. একাকী ভ্রমণ করা
  • ১৮৭৭. ভ্রমনকালে তাড়াতাড়ি করা।
  • ১৮৭৮. আরোহণের জন্য ঘোড়া দান করার পর তা বিক্রয় হতে দেখলে
  • ১৮৭৯. পিতামাতার অনুমতি নিয়ে জিহাদে যাওয়া
  • ১৮৮০. উটের গলায় ঘন্টা ইত্যাদি বাঁধা প্রসঙ্গে
  • ১৮৮১. যার নাম জিহাদে জাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আর তার স্ত্রী হজ্জে বের হওয়ার ইচ্ছা করলে অথবা তার কোন ওজর দেখা দিলে, তবে তাকে (তবে তাকে জিহাদ থেকে বিরত থাকার) অনুমতি দেওয়া হবে কি?
  • ১৮৮২. গোয়েন্দগিরী করা। তাজাসসুস শব্দের অর্থ হচ্ছে খোঁজ খবর নেওয়া। আর আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না (৬০ঃ ১)
  • ১৮৮৩. বন্দীদের পোশাক প্রদান
  • ১৮৮৪. যার হাতে কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছ, তার ফযীলত
  • ১৮৮৫. শৃংখলে আবদ্ধ কয়েদী
  • ১৮৮৬. ইয়াহুদী ও নাসারাদের থেকে যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছে তার মর্যাদা
  • ১৮৮৭. রাত্রীকালীন আক্রমণে মুশরিকদের মহিলা ও শিশু নিহত হলে। পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত بَيَاتًا لَنُبَيِّتَنَّهُ بَيِّتُ এ শব্দগুলোর অর্থের মধ্যে রাতের সময় বুঝানো হয়েছে
  • ১৮৮৮. যুদ্ধে শিশুদের হত্যা করা
  • ১৮৮৯. যুদ্ধে মহিলাদের হত্যা করা
  • ১৮৯০. আল্লাহ‌ তা আলার শাস্তি দ্বারা কাউকে শাস্তি দেয়া যাবে না
  • ১৮৯৩. মুশরিক যদি কোন মুসলিমকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় তবে তাকে কি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে?
  • ১৮৯৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৮৯৫. ঘরবাড়ী ও খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেওয়া
  • ১৮৯৬. ঘুমন্ত মুশরিককে হত্যা করা
  • ১৮৯৭. তোমার শত্রুর মুখোমুখী হওয়ায় আকাঙ্ক্ষা পোষণ করো না
  • ১৮৯৮. যুদ্ধ হল কৌশল
  • ১৮৯৯. যুদ্ধে কথা ঘুরিয়ে বলা
  • ১৯০০. হারবীকে গোপনে হত্যা করা
  • ১৯০২. যুদ্ধক্ষেত্রে কবিতা আবৃত্তি করা ও পরিখা খননকালে স্বর উঁচু করা। এ প্রসঙ্গে সাহল ও আনাস (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে, আর ইয়াযীদ সালামা (রাঃ) থেকেও বর্ণিত আছে
  • ১৯০৩. যে ব্যক্তি ঘোড়ার পিঠে স্থির থাকতে পারে না
  • ১৯০৪. চাটাই পুড়ে যখমের চিকিৎসা করা এবং মহিলা কর্তৃক নিজ পিতার মুখমণ্ডল ের রক্ত ধৌত করা, ঢাল ভর্তি করে পানি বহন করে আনা
  • ১৯০৫. যুদ্ধক্ষেত্রে ঝগড়া ও মতবিরোধ করা অপছন্দনীয়। কেউ যদি ইমামের আবাধ্যতা করে তার শাস্তি। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আর তোমরা ঝগড়া-বিবাদ করবে না, করলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। (৮ঃ ৪৬) الرِّيحُ অর্থ যুদ্ধ
  • ১৯০৬. রাতে যখন (শত্রুর) ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়
  • ১৯০৭. যে ব্যক্তি শত্রু দেখে উচ্ছস্বরে বলে, “বিপদ আসন্ন!” যাতে লোকদেরকে তা শুনাতে পারে
  • ১৯০৮. তীর নিক্ষেপ কালে যে বলেছে, এটা লও (পালিও না) আমি অমুকের পুত্র। আর সালামা (ইবন আকওয়া (রাঃ) তীর নিক্ষেপকালে) বলেছেন, এটা লও (পালিও না) আমি আকওয়ার পুত্র
  • ১৯০৯. শত্রুপক্ষ কারো মীমাংসা মেনে (দুর্গ থেকে) বেরিয়ে আসলে
  • ১৯১০. বন্দীকে হত্যা করা এবং হাত পা বেঁধে হত্যা করা
  • ১৯১১. স্বেচ্ছায় বন্দীত্ব বরণ করবে কি? এবং যে বন্দীত্ব বরণ করেনি আর যে ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় দু' রাক'আত (সালাত) আদায় করল
  • ১৯১২. বন্দীকে মুক্ত করা। এ বিষয়ে আবু মুসা (রাঃ) কর্তৃক নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত রয়েছে
  • ১৯১৩. মুশরিকদের মুক্তিপণ
  • ১৯১৪. হারবী (দারুল হারনের অধিবাসী) যদি নিরাপত্তা ব্যতীত দারুল ইসলামে প্রবেশ করে
  • ১৯১৫. জিম্মীদের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধ করা হবে এবং তাদেরকে গোলাম বানানো যাবে না
  • ১৯১৭. প্রতিনিধি দলকে উপঢৌকন প্রদান
  • ১৯১৮. প্রতিনিধিদলের আগমন উপলক্ষে সুসজ্জিত হওয়া
  • ১৯১৯. কিভাবে শিশু-কিশোরদের নিকট ইসলাম পেশ করা হবে?
  • ১৯২১. যদি কোন সম্প্রদায় দারুল হারবে ইসলাম গ্রহন করে, আর তাদের ধন-সম্পদ ও জমিজামা থাকলে তা তাদেরই থাকবে
  • ১৯২২. ইমাম কর্তৃক লোকদের নাম তালিকাভুক্ত করা
  • ১৯২৩. আল্লাহ‌ তা’আলা মন্দ লোকের দ্বারা কখনো দ্বীনের সাহায্য করেন
  • ১৯২৪. শত্রুর আশংকা দেখা দিলে আমীরের অনুমতি ব্যতীত নিজেই সেনাদলেরে অধিনায়কত্ব গ্রহণ করা
  • ১৯২৫. সাহায্যকারী দল প্রেরণ করা
  • ১৯২৬. শত্রুর উপর বিজয় লাভ করে তাদের বহিরাঙ্গনের তিন দিন অবস্থান করা
  • ১৯২৭. সফর ও যুদ্ধক্ষেত্রে গনীমতের মাল বন্টন করা। রাফে (রাঃ) বলেন, আমরা যুল-হুলাইফা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম । তখন আমরা (গনীমত স্বরূপ) উট ও বকরী লাভ করলাম । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দশটি বকরীকে একটি উটের সমান গন্য করেন।
  • ১৯২৮. যদি মুশরিকরা মুসলিমের মাল লুট করে নেয় তারপর মুসলিমগণ (বিজয় লাভের) মাধ্যমে তা প্রাপ্ত হয়।
  • ১৯২৯. যে ব্যক্তি ফার্সি অথবা অন্য কোন অনারবী ভাষায় কথা বলে। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আর তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতার মধ্যে (৩০ঃ ২২) এবং তিনি আরো বলেছেনঃ আর আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি (১৪ঃ ৪)
  • ১৯৩০. গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আর যে ব্যক্তি গনীমতের মাল আত্মসাৎ করে, সে কিয়ামতের দিন সেই মালসহ উপস্থিত হবে। (৩ঃ ১৬১)
  • ১৯৩১. গনীমতের সামান্য পরিমান মাল আত্মসাৎ করা। আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে এ বর্ণনায় তিনি আত্মসাৎকারীর মালপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছেন" কথাটি উল্লেখ করেন নি। আর এটাই বিশুদ্ধ।
  • ১৯৩২. গনীমতের উট ও বকরী (বন্টনের পূর্বে) যবেহ করা মাকরুহ
  • ১৯৩৩. বিজয়ের সুসংবাদ দান করা
  • ১৯৩৫. (মক্কা) বিজয়ের পর হিজরতের প্রয়োজন নেই
  • ১৯৩৬. প্রয়োজনবোধে জিম্মী অথবা মুসলিম মহিলার চুল দেখা এবং তাদের বিবস্ত্র করা, যখন তারা আল্লাহ‌ তা’আলার নাফরমানী করে
  • ১৯৩৭. বিজয়ী যোদ্ধাগণকে অভ্যর্থনা জানানো
  • ১৯৩৮. জিহাদ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় যা বলবে
  • ১৯৩৯. সফর থেকে পত্যাবর্তনের পর সালাত আদায় করা
  • ১৯৪০. সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করে আহার করা, আর আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নে উমর (রাঃ) আগত মেহমানের সম্মানে সওম পালন করতেন না
  • ১৯৪১. খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) নির্ধারিত হওয়া
  • ১৯৪২. খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) আদায় করা দ্বীনের অংশ
  • ১৯৪৩. রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের পর তাঁর সহধর্মিণীগণের ভরণ-পোষণ
  • ১৯৪৪. নবী (সাঃ)-এর সহধর্মিণীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সাথে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান কর। (৩৩ঃ ৩৩) (হে মুসলিমগন) তোমরা নবী (সাঃ) এর ঘরে অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করবে না। (৩৩ঃ ৫৩)
  • ১৯৪৫. নবী (ﷺ)-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মোহর এবং তার পরবর্তী খলিফাগন সে সব থেকে যা ব্যবহার করেছেন, আর তা যার বণ্টনের উল্লেখ করা হয়নি এবং তার চুল, পাদুকা ও পাত্র নবী (সাঃ) এর ওফাতের পর তার সাহাবীগন ও অন্যরা (বরকত হাসিলে) শরীক ছিলেন।
  • ১৯৪৬. রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর সময়ে আকস্মিক প্রয়োজনাদি ও অভাবগ্রস্তদের জন্য গণীমতের এ-পঞ্চমাংশ। যখন ফাতিমা (রাঃ) তার নিকট আটা পিষার কষ্টের কথা জানিয়ে বন্দীদের থেকে তার খেদমতের জন্য দাসী চাইলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আহলে সুফফা ও বিধবাদের অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি তাকে আল্লাহর সোপর্দ করেন
  • ১৯৪৭. আল্লাহ‌ তা’আলার বাণীঃ নিশ্চয় এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ‌র ও রাসূলের (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমি বণ্টনকারী ও হেফাজতকারী আর আল্লাহ তা'আলাই দিয়ে থাকেন
  • ১৯৪৮. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমাদের জন্য গনীমতের মাল হালাল করা হয়েছে। আর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুদ্ধে লভ্য বিপুল সম্পদের, যার অধিকারী হবে তোমরা। তিনি তা তোমাদের জন্য ত্বরান্বিত করেছিলেন (সূরা ফাতহঃ ২০) [আয়াতের শেষ পর্যন্ত] গনীমত সাধারণ মুসলিমের জন্য ছিল কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তা ব্যাখ্যা করে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন (যোদ্ধাদের জন্য)
  • ১৯৪৯. গনীমত তাদের জন্য, যারা অভিযানে হাযির হয়েছে
  • ১৯৫০. যে ব্যক্তি গনীমতের উদ্দেশে জিহাদ করে তার সাওয়াব কি কম হবে?
  • ১৯৫১. ইমামের নিকট যা আসে, তা বন্টন করা এবং যে ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয় নি কিংবা যে দূরে আছে তার জন্য রেখে দেওয়া
  • ১৯৫২. নবী (ﷺ) কিরূপে কুরায়যা ও নাযীরের ধন-সম্পদ বন্টন করেছেন এবং প্রয়োজনে কিভাবে ব্যয় করেছেন
  • ১৯৫৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ইসলামী শাসকদের সঙ্গী হয়ে যুদ্ধ অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের সম্পদ, জীবনে ও মৃত্যুর পরে যে বরকত সৃষ্টি হয়েছে
  • ১৯৫৪. ইমাম যদি কোন দূতকে কোন কাজে পাঠান কিংবা তাকে অবস্থান করার নির্দেশ দেন; তবে তার জন্য অংশ নির্ধারিত হবে কিনা?
  • ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন
  • ১৯৫৬. খুমুস পৃথক না করেই বন্দীদের প্রতি নবী (ﷺ)-এর অনুগ্রহ
  • ১৯৫৭. খুমুস ইমামের জন্য, তাঁর ইখতিয়ার রয়েছে আত্মীয়গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দিবেন, যাকে ইচ্ছা দিবেন না। এর দলীল এই যে, নবী (ﷺ) খায়বারে খুমুস থেকে বানূ হাশিম ও বানূ মুত্তালিবকেই দিয়েছেন। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সাধারণভাবে সকল কুরায়শকে দেননি এবং যে ব্যক্তি অধিক অভাবগ্রস্থ তার উপর কোন আত্মীয়কে অগ্রাধিকার দেননি। যদিও তিনি তাদের দিয়েছেন তা এ হিসেবে যে, তারা তার নিকট তার অভাবের কথা তাকে জানিয়েছেন আর এ হিসেবে যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ অবলম্বন করায় তারা স্বগোত্র ও স্বজনদের দ্বারা অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন।
  • ১৯৫৮. নিহত ব্যক্তি থেকে প্রাপ্ত মাল সামানের খুমুস বের না করা; যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল, সেক্ষেত্রে নিহত ব্যক্তি থেকে প্রাপ্ত মাল সামানের খুমুস বের না করেই তা তারই প্রাপ্য আর ইমাম কর্তৃক এরূপ আদেশ দান করা
  • ১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
  • ১৯৬০. দারুল হরবে যে সব খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায়
  • ১৯৬১. যিম্মীদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ এবং হারবীদের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি। আর আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, এবং শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে না, আর আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম বলে মানে না, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (৯ঃ ২৯) আয়াতে উল্লেখিত مسكين শব্দের মুল হল مسكنة অর্থ হল অভাবগ্রস্ত اسكن من فلان এর অর্থ সে অমুক থেকে অধিক অভাবগ্রস্থ। এ শব্দটি سكون থেকে নিশপন্ন নয়। صاغرون এর অর্থ লাঞ্চিত। ইয়াহুদি, খ্রিস্টান, অগ্নিপুজক ও আজমীদের থেকে জিযিয়া গ্রহন। ইবন উয়াইনা (রহঃ) (আবদুল্লাহ) ইবন নাজীহ (রহঃ) থেকে বলেন, আমি মুজাহিদ (রহঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারন কি যে, সিরিয়া বাসীদের উপর চার দীনার এবং ইয়ামান বাসীদের উপর এক দীনার করে জিযিয়া গ্রহন করা হয়। তিনি বললেন, তা স্বচ্ছলতার প্রেক্ষিতে ধার্য করা হয়েছে।
  • ১৯৬২. ইমাম যদি কোন জনপদের প্রশাসকের সাথে সন্ধি করে তবে কি তা অবশিষ্ট লোকদের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে?
  • ১৯৬৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যাদের অঙ্গীকার আছে তাদের সম্পর্কে ওয়াসিয়াত। ذِمَّةُ শব্দের অর্থ অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি, আর ال শব্দের অর্থ আত্মীয়তার সম্পর্ক
  • ১৯৬৪. নবী (ﷺ) বাহরাইনের ভূমি থেকে যা বন্দোবস্ত দেন ও সম্পদ ও জিযিয়া থেকে যা দেওয়ার ওয়াদা করেন। আর ফায় ও জিযিয়া কাদের মধ্যে বন্টিত হবে?
  • ১৯৬৫. বিনা অপরাধে জিম্মীকে যে হত্যা করে, তার পাপ
  • ১৯৬৬. ইয়াহুদিদের আরব উপদ্বীপ থেকে বহিস্কার করা। উমর (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যতদিন আল্লাহ তা'আলা তোমাদের (ইয়াহুদিদের) এখানে রাখেন, ততদিন আমি তোমাদের এখানে রাখব
  • ১৯৬৭. মুসলিমদের সঙ্গে যদি মুশরিকরা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে তাদের কি তা ক্ষমা করা যায়?
  • ১৯৬৮. চুক্তি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ইমামের দু’আ
  • ১৯৬৯. মহিলাদের পক্ষ থেকে কাউকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান
  • ১৯৭০. মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান একই পর্যায়ের। কোন সাধারণ মুসলিম নিরাপত্তা দিলে সকলকে তা রক্ষা রক্ষা করতে হবে
  • ১৯৭২. মুশরিকদের সাথে পণ্য-সামগ্রী ইত্যাদির বিনিময়ে সন্ধিচুক্তি এবং যে অঙ্গীকার পূরণ করে না তার গুনাহ। আর (আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ) "তারা (কাফির) যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে তবে আপনিও সন্ধির দিকে ঝুঁকবেন এবং মহান আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন, তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ (আনফালঃ ৬১)
  • ১৯৭৩. অঙ্গীকার পূর্ণ করার ফযীলত
  • ১৯৭৪. যদি কোন যিম্মী যাদু করে, তবে কি তাকে ক্ষমা করা হবে? ইবন ওহাব (রহঃ) ... ইবন শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যদি কোন যিম্মী যাদু করে, তবে কি তাকে হত্যা করা হবে? তিনি বলেন, আমার নিকট এই হাদিস পৌঁছেছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে যাদু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাদুকরকে হত্যা করেন নি। সে আহলে কিতাব ছিল।
  • ১৯৭৫. বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে সর্তকবাণী। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যদি তারা আপনাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে আপনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি আপনাকে স্বীয় সাহায্য ও মুসলিমদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন ...... (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) (৮ঃ ৬২)
  • ১৯৭৬. চুক্তিবদ্ধ সম্প্রদায়ের চুক্তি বিভাবে বাতিল করা হবে? আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যদি আপনি কোন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ভঙ্গের আশংকা করেন, তবে আপনার চুক্তিও যথাযথ বাতিল করবেন। (৮ঃ ৫৮)
  • ১৯৭৭. যারা অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে তাদের গুনাহ এবং আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আপনি যাদের সাথে অঙ্গীকার করেছেন, তারপর তারা প্রতিবার তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ... (শেষ পর্যন্ত) (সুরা আনফালঃ ৫৬)
  • ১৯৭৮. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৯৭৯. তিন দিন কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সন্ধি করা
  • ১৯৮১. মুশরিকদের লাশ কূপে নিক্ষেপ করা এবং তাদের বিনিময়ে মূল্য গ্রহণ না করা
  • ১৯৮২. নেক বা বদ যে কোন লোকের সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গীকারীর পাপ
  • ১৭৬৮. জিহাদে বের হওয়া ওয়াজিব এবং জিহাদ ও তার নিয়্যাতের আবশ্যকতা। আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ অভিযানে বের হয়ে পড় হালকা অবস্থায় হউক অথবা ভারি অবস্থায় এবং জিহাদ কর আল্লাহ্‌র পথে তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা। এই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানতে। আশু লাভের সম্ভাবনা থাকলে এবং সফর সহজ হলে ...... তারা যে মিথ্যাচারী তা তো আল্লাহ্‌ জানেন (৪১ঃ ৪২) আল্লাহ্‌ তা’আলা আরো বলেনঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের কি হল যে, যখন তোমাদের আল্লাহ্‌র পথে অভিযানে বের হতে বলা হয়, তখন তোমরা ভরাক্রান্ত হয়ে ভূতলে ঝুঁকে পড়? তোমরা কি পরকালের পরিবর্তে পার্থিব জীবনে পরিতুষ্ট হয়েছ? পরকালের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগের উপকরণ তো অতিকিঞ্চিৎকর। (৯ঃ ৩৮) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে উল্লেখ রয়েছে, فانفروا ثبات অর্থ হলো- বিভিন্ন ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তোমরা জিহাদের জন্য বেরিয়ে পড়। ثبات শব্দটির একবচন ثبة অর্থ ছোট দল।
  • ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) ১২৭ টি | ২৯৬৪-৩০৯০ পর্যন্ত 49/ Beginning Of Creation
  • ১৯৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তিনিই সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, আবার তিনিই তা সৃষ্টি করবেন পুনর্বার; আর তা তার জন্য অতি সহজ, (সুরা রুম ২৭) রাবী ইবন খুসাইম এবং হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, সব কিছুই তার জন্য সহজ। আর هَيِّنٌ ও هَيْنٌ যার অর্থ সহজ, উচ্চারনের দিক দিয়ে যথাক্রমে لَيِّنٍ ও لَيْنٍ مَيِّتٍ ও مَيْتٍ এবং ضَيِّقٍ ও ضَيْقٍ এর অনুরূপ। أَفَعَيِينَا এর অর্থ আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সুচনা করেছেন। لُغُوبٌ ক্লান্তি أَطْوَارًا কখনও এ অবস্থায়, আবার কখনও অন্য অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।
  • ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ আকাশ। سَمْكَهَا এর ভিত্তি। الْحُبُكُ তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের স্থান
  • ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে না। حُسْبَانٌ হল حِسَابٍ শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
  • ১৯৮৭. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তিনিই আপন অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদবাহী রূপে বায়ূ প্রেরন করেন (২৫ঃ ৪৮) قَاصِفًا অর্থ যা সব কিছু ভেঙ্গে দেয়। لَوَاقِحَ مَلاَقِحَ শব্দদ্বয় مُلْقِحَةً শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বর্ষণকারী। إِعْصَارٌ ঝঞ্চা বায়ূ যা যমীন থেকে আকাশের দিকে স্তম্ভাকারে প্রবাহিত হতে থাকে, যাতে আগুন বিরাজ করে। صِرٌّ অর্থ শীতল। نُشُرًا অর্থ বিস্তৃত।
  • ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল (আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
  • ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ "আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
  • ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। قُطُوفُهَا তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ -পানীয়। التَّسْنِيمُ জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ জীবিকা। الْمَنْضُودُ কলা। الْمَخْضُودُ কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
  • ১৯৯১. জান্নাতের দরজাসমূহের বিবরণ। নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন জিনিস জোড়া জোড়া দান করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে আহবান জানানো হবে। এ কথাটি উবাদা (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা غَسْلِ শব্দ থেকে فِعْلِينَ এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা বলেছেন, حَاصِبًا অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا পিপাসার্ত। غَيًّا ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
  • ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٍ এর বহুবচন صَحْبٍ আর تَاجِرٍ এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
  • ১৯৯৪. জিন্ন জাতি এবং তাদের সাওয়াব ও আযাবের বর্ণনা। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে জিন্ন ও মানব জাতি! তমাদেরই মধ্য থেকে রাসুলগণ কি তোমাদের কাছে আসেন নি? তারা কি তোমাদের সামনে আমার নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন নি? (সুরা আন’আমঃ ১৩০) بَخْسًا ক্ষতি। وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا (৩৭ঃ ১৫৮ আয়াতের তাফসীরে) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, কুরাইশ কাফিররা ফিরিশতাগণকে আল্লাহর কন্যা এবং তাদের মাতাদেরকে জিন্নের নেতাদের কন্যা বলে আখ্যায়িত করত। মহান আল্লাহ বলেনঃ জিন্নগন অবশ্যই জানে যে, তাদের হিসাবের সময় উপস্থিত করা হবে।
  • ১৯৯৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ তথায় (যমীনে) প্রত্যেক প্রকারের প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, الثُّعْبَانُ হলো পুরুষ সাপ। বলা হয় সাপ বিভিন্ন প্রকারের হয়, শ্বেত সাপ, মাদী সাপ আর কাল সাপ, آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا অর্থ আল্লাহ তার রাজত্ব ও কর্তৃত্বে সকল জীবকে রেখেছেন, صَافَّاتٍ তাদের ডানাগুলো সম্প্রসারিত অবস্থায়। يَقْبِضْنَ তারা তাদের ডানাগুলো সংকুচিত করে।
  • ১৯৯৭. মুসলিমের সর্বোত্তম সম্পদ ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের চুড়ায় চলে যায়
  • ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
  • ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
  • ৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) ৫৭৩ টি | ৩০৯১-৩৬৬৩ পর্যন্ত 50/ Prophets
  • ২০০০. আদম (আঃ) ও তাঁর সন্তানদের সৃষ্টি।
  • ২০০২. মহান আল্লাহর বানীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’-(হূদ : ১১:২৫) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِي তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّورُ পানি সবেগে উৎসারিত হল। আর ইকরিমা (রহঃ) বলেন, تنور অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الْجُودِيُّ জাযিয়ার একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি নূহকে তার জাতির কাছে প্রেরণ করেছিলাম’ … সুরার শেষ পর্যন্ত-(নুহঃ ১)
  • ২০০৪. ইদ্রিস (আঃ) - মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি তাকে (ইদ্রিস) উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছি। (১৯ঃ৫৭)
  • ২০০৫. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আর আমি আদ জাতির নিকট তাদেরই ভাই হুদকে পাঠিয়েছিলাম ... (সুরা হুদঃ ৫০) এবং আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর (হুদের কথা) যখন তিনি আহকাফ অঞ্চলে নিজ জাতিকে সতর্ক করেছিলেন ... এভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়ে থাকি। (সুরা আহকাফঃ ২১-২৫) এ প্রসঙ্গে আতা ও সুলায়মান (রহঃ) আয়শা (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত আছে। আরো মহান আল্লাহর বাণীঃ আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে একটি প্রচণ্ড ঝাঞ্চা বায়ুর দ্বারা। ইবন উয়াইনাহ (রহঃ) বলেন, প্রবাহিত করেছিলেন তিনি যা নিয়ন্ত্রনকারীর নিয়ন্ত্রন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বিধায় হীনভাবে সাত রাত ও আট দিন পর্যন্ত। (সেখানে তুমি থাকলে) দেখতে পেতে যে, তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে সারশূন্য বিক্ষিপ্ত খেজুর গাছের কাণ্ডের ন্যায়। এরপর তাদের কাউকে তুমি বিদ্যমান দেখতে পাও কি? (সুরা হাক্‌কাঃ ৫-৮)
  • ২০০৬. ইয়াজুজ ও মাজুজের ঘটনা। মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইয়াজুজ মাজুজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টিকারী (১৮ঃ ৯৪)
  • ২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ) কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহর অনুগত (২৬ঃ ১২০) মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইব্রাহীম কোমল হৃদয় ও সহনশীল (৯ঃ ১১৪)। আর আবু মাইসারাহ (রহঃ) বলেন, হাবশী ভাষায় اواه শব্দটি الرَّحِيمُ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
  • ২০০৯. يَزِفُّونَ অর্থ দ্রুত চলা।
  • ২০১০. মহান আল্লাহর বাণীঃ (হে মুহাম্মাদ) আপনি তাদেরকে ইবরাহীম (‘আ.)-এর মেহমানগণের ঘটনা জানিয়ে দিন। যখন তারা তাঁর নিকট এসেছিলেন (১৫ঃ ৫১-৫২) لَا تَوْجَلْ ভয় পাবেন না। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) স্মরণ করুন যখন ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, হে আমার রব! আমাকে দেখিয়ে দিন আপনি কিভাবে মৃতকে জীবন দান করেন। (২ঃ ২৬০)
  • ২০১১. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং স্মরণ করুন এই কিতাবে (কুরআনে) ইসমাঈলের কথা, অবশ্যই তিনি ছিলেন ওয়াদা পালনে সত্যনিষ্ঠ (১৯ঃ ৫৪)
  • ২০১৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ যখন ইয়াকূব (‘আ.)-এর মৃত্যুকাল এসে হাযির হয়েছিল, তোমরা কি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলে? যখন তিনি তাঁর সন্তানদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন। (২ঃ ১৩৩)
  • ২০১৪. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন; তোমরা কি অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকবে? … এই সতর্ককৃত লোকদের উপর বর্ষিত বৃষ্টি কতইনা নিকৃষ্ট ছিল। (২৭ঃ ৫৪-৫৮)
  • ২০১৫. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এরপর যখন আল্লাহর ফিরিশতাগণ লুত পরিবারের নিকট আসলেন, তখন তিনি বললেন, তোমরা তো অপরিচিত লোক। (১৫ঃ ৬১-৬২) أَنْكَرَهُمْ وَنَكِرَهُمْ وَاسْتَنْكَرَ একই অর্থে ব্যবহৃত يُهْرَعُونَ অর্থ দ্রুত চলল। دَابِرٌ অর্থ শেষ صَيْحَةٌ অর্থ ধ্বংস لِلْمُتَوَسِّمِينَ অর্থ প্রত্যক্ষকারীদের জন্য لَبِسَبِيلٍ অর্থ রাস্তার بِرُكْنِهِ অর্থ সঙ্গীদেরসহ কেননা তারাই তাঁর শক্তি। تَرْكَنُوا অর্থ আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল।
  • ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
  • ২০১৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ যখন ইয়াকুব এর নিকট মৃত্যু এসেছিল, তখন কি তোমরা উপস্থিত ছিলে? (২ঃ ১৩৩)
  • ২০১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইউসুফ এবং তাঁর ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসাকারীদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে (১২ঃ ৭)
  • ২০১৯. আল্লাহর বাণীঃ (আর স্মরণ কর) আইয়ুবের কথা। যখন তিনি তাঁর রবকে ডাকলেন … (২১ঃ ৮৩) ارْكُضْ অর্থ আঘাত কর। يَرْكُضُونَ অর্থ দ্রুত বলে।
  • ২০২০. (আল্লাহ তা’আলার বাণী): আর স্মরণ কর কিতাবে মূসার কথা। নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন, বিশেষ মনোনীত অন্তরঙ্গ আলাপে (১৯ঃ ৫১-৫২) এই تلقف تلقم একবচন দ্বিবচন ও বহুবচনের ক্ষেত্রেও نَجِيٌّ বলা হয়। خَلَصُوا نَجِيًّا অর্থ অন্তরঙ্গ আলাপে নির্জনতা অবলম্বন করা। এর বহুবচন أَنْجِيَةٌ ব্যবহৃত হয়। يَتَنَاجَوْنَ পরস্পর অন্তরঙ্গ আলাপ করে। تلقف অর্থ গ্রাস করে।
  • ২০২১. মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনা নিকট কি মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে? তিনি যখন আগুন দেখলেন...... তুমি তুয়া নামক এক পবিত্র ময়দানে রয়েছ। (২০ঃ ৯-১৩) انست نارا অর্থ আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবত আমি তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু জলন্ত আঙ্গার আনতে পারব ... (২০ঃ১০) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, الْمُقَدَّسُ অর্থ বরকতময়। طُوًى একটি উপত্যকার নাম। سِيرَتَهَا অর্থ তাঁর অবস্থায়। النُّهَى অর্থ সাবধানতা অবলম্বন। بِمَلْكِنَا অর্থ আমদের ইচ্ছামত هَوَى অর্থ ভাগ্যাহত হয়েছে। فَارِغًا অর্থ মুসার স্মরণ ব্যতীত সব কিছু থেকে শুনা হয়ে গেল। رِدْءًا يُصَدِّقَنِي সাহায্যকারী রূপে যেন সে আমাকে সমরথন করে। এর অর্থ আরো বলা হয় আর্তনাদে সাড়াদানকারী বা সাহায্যকারী। يَبْطُشُ وَيَبْطِشُ একই অর্থ উভয় কিরাত। يَأْتَمِرُونَ অর্থ পরস্পর পরামর্শ করা। دراً অর্থ সাহায্য করা। বলা হয় ارداته على صنعته অর্থাৎ আমি তার কাজে সাহায্য করেছি। جذوة কাঠের বড় টুকরার আঙ্গার যাতে কোন শিখা। سَنَشُدُّ অর্থ অচিরেই আমি তোমার সাহায্য করব। বলা হয়, যখন তুমি কারো সাহায্য করবে তখন তুমি যেন তার পার্শ্বদেশ হয়ে গেলে। এবং অন্যান্যগণ বলেন যে কোন অক্ষর উচ্চারন করতে পারে না অথবা তার মুখ থেকে তা তা ফা ফা উচ্চারিত হয় তাকেই তোতলামী বলে। أَزْرِي অর্থ আমার পিঠ। فَيُسْحِتَكُمْ অর্থ সে আমাদের ধ্বংস করে দিবে। الْمُثْلَى শব্দটি أَمْثَلِ শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ। আয়াতে উল্লেখিত بطر يقتكم অর্থ তোমাদের দীন। বলা হয় خُذِ الْمُثْلَى، خُذِ الأَمْثَلَ অর্থ উত্তমটি গ্রহন কর। ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا অর্থ তোমরা সারিবদ্ধ হয়ে আস। বলা হয় তুমি কি আজ ছফফে উপস্থিত হয়েছিলে অর্থাৎ যেখানে নামায পড়া হয় সেখানে? فَأَوْجَسَ অর্থ সে অন্তরে ভয় পোষণ করেছে। خِيفَةً মুলে خَوْفًا خاء অক্ষরে যের হওয়ার কারনে واو - ياء তে পরিবর্তিত হয়েছে। فِي جُذُوعِ النَّخْلِ এখানে فِي - عَلَى অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। خَطْبُكَ অর্থ তোমার অবস্থা। مِسَاسَ শব্দটি مَاسَّهُ مِسَاسًا এর মাসদার ; لَنَنْسِفَنَّهُ অর্থ আমি অবশই তাকে উড়িয়ে দিব। -الضَّحَاءُ অর্থ পূর্বাহ্ণ, যখন সূর্যের তাপ বেড়ে যায়। قُصِّيهِ তুমি তার পিছনে পিছনে যাও। কখনো এ অর্থেও ব্যবহৃত হয় যে, তুমি তোমার কথা বলো যেমন نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ এর মধ্যে এ অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে। عَنْ جُنُبٍ অর্থ দূর থেকে। جَنَابَةٍ اجْتِنَابٍ একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। আর মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, عَلَى قَدَرٍ অর্থ নির্ধারিত সময়ে। لاَ تَنِيَا অর্থ দুর্বল হয়োনা। مكاناً سوى অর্থ তাদের মধ্যবর্তী স্থান। يَبَسًا অর্থ শুকনা। مِنْ زِينَةِ الْقَوْمِ অর্থ যে সব অলংকার তারা ফিরাউনের লোকদের থেকে ধার নিয়েছিল। فَقَذَفْتُهَا অর্থ আমি তা নিক্ষেপ করলাম। أَلْقَى অর্থ বানালো। لنسى موسى অর্থ তারা বলতে লাগলো, মুসা রবের তালাশে ভুল পথে গিয়েছে। أَنْ لاَ يَرْجِعَ إِلَيْهِمْ قَوْلاً অর্থ তাদের কোন কথার প্রতি উত্তর সে দেয় না – এ আয়াতাংশে সামেরীর বাছুর সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।
  • ২০২২. মহান আল্লাহর বাণীঃ (হে মুহাম্মাদ) ! আপনার কাছে কি মুসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে? (২০ঃ ৯) আর আল্লাহ মুসার সাথে কথাবার্তা বলেছেন। (সুরা নিসা ১৬৪)। মহান আল্লাহর বাণীঃ ফিরাউন বংশের এক ব্যক্তি যে মুমিন ছিল এবং নিজ ঈমান গোপন রাখত ... সীমালঙ্ঘনকারী ও মিথ্যাবাদী। (৪০ঃ ২৮)
  • ২০২৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি ওয়াদা করেছিলাম মুসার সাথে ত্রিশ রাতের ... আর আমিই মু’মিনদের মধ্যে সর্বপ্রথম। (৭ঃ ১৪২-৪৩) বলা হয়, دكة অর্থ ভুকম্পন। আয়াতে উল্লেখিত فَدُكَّتَا দ্বিবচন বহুবচন অর্থে ব্যবহৃত। এখানে الْجِبَالَ শব্দটিকে এক ধরে নিয়ে الأَرْضَ সহ দ্বিবচনরূপে دُكَّتَا বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ كَانَتَا رَتْقًا এর মধ্যে سمَوَاتِ এক ধরে দ্বিবচনে উল্লেখ করা হয়েছে। كُنَّ رَتقا বহুবচন বলা হয়নি। رَتْقًا অর্থ পরস্পর মিলিত। أُشْرِبُوا অর্থাৎ তাদের হৃদয়ে গোবৎস প্রীতি নিশ্চিত করেছিল। বলা হয় ثَوْبٌ مُشَرَّبٌ অর্থ রঞ্জিত কাপড়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, انْبَجَسَتْ অর্থ প্রবাহিত হয়েছিল। نَتَقْنَا الْجَبَلَ অর্থ আমি পাহাড়কে তাদের উপর উপচিয়ে ছিলাম।
  • ২০২৫. খাযির (আঃ) ও মুসা (আঃ) এর সম্পর্কিত ঘটনা
  • ২০২৬. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ২০২৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা প্রতিমা পুজায় রত এক জাতির নিকট উপস্থিত হয়। (৭ঃ ১৩৮) مُتَبَّرٌ অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ। وَلِيُتَبِّرُوا অর্থ যেন তারা ধ্বংস হয়। مَا عَلَوْا যা অধিকারে এনেছিল।
  • ২০২৯. মুসা (আঃ) এর ওফাত ও পরবর্তী অবস্থার বর্ণনা
  • ২০৩০. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য আল্লাহ ফিরআউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। আর মুলতঃ সে অনুগত লোকদেরই একজন ছিল। (৬৬ঃ ১১-১২)
  • ২০৩২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর নিশ্চয়ই ইউনুস রাসুলগনের অন্তর্গত ছিলেন। ... তখন তিন নিজকে ধিক্কার দিতে লাগলেন। (৩৭ঃ ১৩৯-১৪২) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مليم অর্থ অপরাধী المشحرون অরহ বোঝাই নৌযান। (আল্লাহর বাণীঃ) যদি তিনি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করতেন ...। (৩৭ঃ ১৪৩) তারপতকে ইউনুসকে আমি নিক্ষেপ করলাম একত তৃনহীন প্রান্তরে এবং তিনি তখন রুগ্ন ছিলেন। পরে আমি তার উপর এক লাউ গাছ উদ্গত করলাম। (৩৭ঃ ১৪৫- ১৪৬) العراء অর্থ যমিনের উপরিভাগ। يقطين অর্থ কান্ডবিহীন তৃনলতা, যেমন লাউগাছ ও তার সদৃশ। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) তাকে আমি এক লাখ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরন করেছিলাম এবং তারা ঈমান এনেছিল। ফলে আমি তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবন উপভোগ করতে দিলাম। (৩৭ঃ ১৪৭-৪৮) (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আপনি মাছের সাথীর ন্যায় অধৈর্য হবেন না। তিনি বিষদাচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর-প্রারথনা করেছিলেন। (৬৮ঃ ৪৮) كظيم অর্থ বিষাদাচ্ছন্ন।
  • ২০৩৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি দাউদকে ‘যাবুর’ দিয়েছি। (১৭ঃ ৫৫) الزُّبُرُ কিতাবসমূহ। তার একবচনে زَبُورٌ আর زَبَرْتُ আমি লিখেছি। আর আমি আমার পক্ষ থেকে দাউদকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলাম। হে পর্বত! তার সাথে মিলে আমার তাসবীহ পাঠ কর। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, তার সাথে তাসবীহ পাঠ কর। سَابِغَاتٍ লৌহবর্মসমূহ। আর এ নির্দেশ আমি পাখিকেও দিয়েছিলাম। আমি তার জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছিলাম। তুমু লৌহবর্ম তৈরি করতে সঠিক পরিমাপের প্রতি লক্ষ রেখো। السَّرْدِ পেরেক ও কড়াসমূহ। পেরেক এমন ছোট করে তৈরি করানো যাতে তা ঢিল হয়ে যায়। আর এত বড় করানো। যাতে বর্ম ভেঙ্গে যায়। افرغ অর্থ অবতীর্ণ করা। بسطة বেশীও সমৃদ্ধ। (সুরা সাবাঃ ১০-১১)
  • ২০৩৫. দাউদ (আঃ) এর পদ্ধতিতে সালাত আদায় এবং তার পদ্ধতিতে সাওম পালন আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়। তিনি রাতের প্রথমার্ধে ঘুমাতেন, আর এক ত্তৃতীয়াংশ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন এবং বাকী ষষ্টাংশ আবার ঘুমাতেন । তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন বিরতি দিতেন। আলী (ইবন মাদীনী) (রহঃ) বলেন, এটাই আয়শা (রাঃ) এর কথা যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বদা সাহরীর সময় আমার কাছে নিদ্রায় থাকতেন।
  • ২০৩৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং স্মরণ কর আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদ এর কথা, নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী ছিলেন ... ফায়সালাকারী বাগ্মিতা (৩৮ঃ ১৭-২০)।
  • ২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলায়মান দান করলাম (পুত্র হিসেবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ আভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গোনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়। মহানা আল্লাহর বাণীঃ “(সুলায়মান) (আঃ) দু’আ করলেন) হে আল্লাহ ! আমাকে দান করুন এমন রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। (৩৮ঃ ৩৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ আর ইয়াহুদীরা তারই অনুসরণ করত যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানেরা আবৃত্ত করতো (২ঃ ১০২) মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি বায়ুকে সুলায়মানের অধীন করে দিলাম। যা সকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত এবং বিকেলে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য বিগলিত তামার এক প্রসবন প্রবাহিত করেছিলাম। أَسَلْنَا অর্থ বিগলিত করে দিলাম عَيْنَ الْقِطْرِ অর্থ লোহার প্রসবন – আর কতক জিন তার রবের নির্দেশে তার সামনে কাজ করত। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করে, তাকে জলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব। জ্বিনেরা সুলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ তৈরি করত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مَحَارِيبَ অর্থ বড় বড় দালানের তুলনায় ছোট ইমারত ভাস্কর্য শিল্প প্রস্তুত করতো, আর হাউস সদৃশ বৃহদাকার রান্না করার পাত্র তৈরি করত। যেমন উটের জন্য হাওয থাকে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যেমন যমিনে গর্ত থাকে। আর তৈরি করত বিশাল বিশাল ডেকচি যা সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত। হে দাউদের পরিবার আমার কৃতজ্ঞতার সাথে তোমরা কাজ কর। আর আমার বান্দাগণের অল্পই শুকুর গুযারী করে (৩৪ঃ ১২-১৩) إِلاَّ دَابَّةُ الأَرْضِ কেবল মাটির পোকা অর্থাৎ উই পোকা যা তার (সুলায়মানের) লাঠি খেতেছিল। مِنْسَأَتَهُ তার লাঠি। যখন সে (সুলায়মান) পড়ে গেল ... লাঞ্চনাদায়ক শাস্তিতে (৩৪ঃ ১৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ সম্পদের মোহে আমার রবের স্মরণ থেকে – আয়াতাংশে عَنْ অর্থ مِن - فَطَفِقَ مَسْحًا অর্থ তিনি (সুলায়মান) ঘোড়াগুলোর গর্দানসমূহ ও তাদের হাঁটুর নলাসমূহ কাটতে লাগলেন। الأَصْفَادُ অর্থ শৃঙ্খলসমূহ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الصَّافِنَاتُ অর্থ দৌড়ের জন্য প্রস্তুত ঘোড়াসমূহ। এ অর্থ صَفَنَ الْفَرَسُ থেকে গৃহীত। ঘোড়া যখন দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এক পা উঠিয়ে অন্য পায়ের খুরার উপর দাঁড়িয়ে যায়, তখন এ বাক্য বলা হয়। الْجِيَادُ অর্থ দ্রুতগামী, جَسَدًا শয়তান, رُخَاءً উত্তম, حَيْثُ أَصَابَ যেখানে ইচ্ছা فَامْنُنْ দান করা بِغَيْرِ حِسَابٍ দ্বিধাহীনভাবে (৩৮ঃ ৩১-৩৮)
  • ২০৩৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিকমত দান করেছি। আর আমি তাকে বলেছি। শিরক এক মহা যুলন। (৩১ঃ ১২-১৩) (মহান আল্লাহর বাণীঃ) হে আমার প্রিয় ছেলে? উহা (পাপ) যদি সরিষার দানা পরিমান ছোটও হয় ... দাম্ভিককে (৩১ঃ ১৬-১৮)। চেহারা ফিরায়ে অবজ্ঞা করো না।
  • ২০৪০. আল্লাহর বাণীঃ এ বর্ণনা হল তার বিশেষ বান্দা যাকারিয়ার প্রতি তোমার রবের রহমত দানের। পূর্বে আমি এ নামে কারো নামকরন করিনি (১৯ঃ ২-৭) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, سَمِيًّا অর্থ সমতুল্য। যেমন বলা হয়, رَضِيًّا অর্থ مَرْضِيًّا পছন্দনীয়। عُتِيًّا অর্থ عَصِيًّا অর্থাৎ অবাধ্য عات يَعْتُو থেকে গৃহীত। যাকারিয়া বললেন, হে আমার প্রতিপালক কেমন করে আমার ছেলে হবে? আমার স্ত্রী তো বন্ধা! আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছেছি। তিনি বললেন, তোমার নিদর্শন হল, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন কারো সাথে বাক্যালাপ করবে না। তারপর তিনি মিহরাব থেকে বের হয়ে তার কওমের কাছে আসলেন, আর তাদের ইশারা করে সকাল-সন্ধায় আল্লাহর তাসবীহ পড়তে বললেন। فَأَوْحَى অর্থ তারপর তিনি ইশারা করে বললেন। (আল্লাহ বললেন) হে ইয়াহইয়া ! এ কিতাব দৃঢ়তার সহিত গ্রহন কর। যে দিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন (১৯ঃ ২-১৫) حَفِيًّا - لَطِيفًا অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ অতিশয় অনুগ্রহশীল। عَاقِرً (বন্ধ্যা) শব্দটি পুং ও স্ত্রী উভয় লিঙ্গেই ব্যবহার হয়।
  • ২০৪১. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর, কিতাবে মারিয়ামের ঘটনা। যখন তিনি আপন পরিজন থেকে পৃথক হলেন ... (সুরা মারইয়ামঃ ১৬) মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ করুন! যখন ফিরিশতাগণ মারিয়ামকে বললেন, হে মারিয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার পক্ষ থেকে দেওয়া কালিমার দ্বারা সন্তানের সুখবর দিচ্ছেন। (সুরা আলে ইমরান ৩ঃ ৪৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ আদম (আঃ), নূহ (আঃ) ও ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর এবং ইমরানের বংশধরদের বিশ্বজগতে মনোনীত করেছেন ... বে-হেসাব দিয়ে থাকেন। (৩ঃ ৩৩-৩৭) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আলে ইমরান অর্থাৎ মুমিনগণ। যেমন, আলে ইব্রাহীম, আলে ইয়াসিন, এবং আলে মুহাম্মাদ (সাঃ)। আল্লাহ তা’আলা বলেন, সমগ্র মানুষের মধ্যে ইব্রাহীমের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হলো তারা, যারা তার অনুসরণ করে। আর তারা হলেন মুমিনগণ। آلَ এর মুল أَهْلُ আর أَهْلُ কে ক্ষুদ্রকরণ করা হলে তা أُهَيْلٌ এ পরিনত হয়।
  • ২০৪২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর, যখন ফিরিশতা বলল, হে মারিয়াম! নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন। মারিয়ামের লালন-পালনের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কে গ্রহন করবে। (৩ঃ ৪২-৪৪) বলা হয় يَكْفُلُ অর্থ يَضُمُّ অর্থাৎ নিজ তত্বাবধানে নেওয়া। كَفَلَهَا অর্থ নিজ তত্বাবধানে নিল। লালন পালনের দায়িত্ব গ্রহন করা, ঋন-করযের দায়িত্ব গ্রহনও এ ধরনের কিছু নয়।
  • ২০৪৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর, যখন ফিরিশতাগণ বলল, হে মারিয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার পক্ষ থেকে একটি কালিমা দ্বারা (সন্তানের) সুসংবাদ দান করেছেন। যা নাম হবে মাসীহ ঈসা ইবন মারিয়াম ... হএ অমনি তা হয়ে যায়। (৩ঃ ৪৫) يُبَشِّرُكِ আর يَبْشُرُكِ উভয়ের একই অর্থ। وَجِيهًا অর্থ সম্মানিত আর ইব্রাহীম (রহঃ) বলেন, মাসীহ শব্দের অর্থ সিদ্দীক। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন الْكَهْلُ অর্থ الْحَلِيمُ অর্থ সহনশীল আর الأَكْمَهُ অর্থ হল, রাতকানা যে দিনে দেখে আর রাতে দেখতে পায় না। অন্যেরা বলেন, যে অন্ধ হয়ে জন্মলাভ করেছে (সে হল الأَكْمَهُ)
  • ২০৪৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ “হে আহলে কিতাব তোমরা তোমাদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করো না ...... অভিভাবক হিসাবে। (৪ঃ ১৭১) আবু উবায়দা (রহঃ) বলেন, আল্লাহর كَلِمَهُ হচ্ছে “হও” অমনি তা হয়ে যায়। আর অন্যরা বলেন, رُوحٌ مِنْهُ অর্থ তাকে হায়াত দান করলেন তাই তাকে رُوحٌ নাম দিলেন। لاَ تَقُولُوا ثَلاَثَةٌ তোমরা (আল্লাহ, ঈসা ও তার মাতাকে) তিন ইলাহ বলো না।
  • ২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারিয়ামের কথা। যখকন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল। (১৯ঃ ১৬) شَرْقِيًّا শব্দটি شرْقَ শব্দ থেকে, যার অর্থ পূর্বদিকে। فَأَجَاءَهَا শব্দটি جِئْتُ হতে فعل এর রূপে হয়েছে। -أَجَأَهَا এর স্থলে أَلْجَأَهَا ও বলা হয়েছে যার অর্থ হবে তাকে অস্থির করে তুললো। تَسَّاقَطْ শব্দটি تَسْقُطْ এর অর্থ দিবে। قَصِيًّا শব্দটি قَاصِيًا এর অর্থে ব্যবহৃত। فَرِيًّا অর্থ বিরাট। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন نِسْيًا অর্থ আমি যেনি কিছুই না থাকি। অন্যেরা বলেছেন, النِّسْيُ অর্থ তুচ্ছ, ঘৃণিত। আবু ওয়ায়েল (রহঃ) বলেছেন, মারিয়ামের উক্তি إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا এর অর্থ যদি তুমি জ্ঞানবান হও। ওকী (রহঃ) ... বলেন, বারআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, سَرِيًّا শব্দটির অর্থ সুরইয়ানী ভাষায় ছোট নদী।
  • ২০৪৬. ঈসা ইবন মারিয়াম (আঃ) এর অবতরণের বর্ণনা
  • ২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
  • একজন শ্বেতীরোগী ও অন্ধের বিবরণ সম্বলিত হাদীস
  • ২০৪৯. গুহার ঘটনা
  • ২০৫০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৫১. মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ কে মানুষ! আমি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে। এরপর তোমাদিগকে বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত করেছি। (৪৯ঃ ৩) আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাঞ্চা করে থাক এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতি বন্ধন সম্পর্কে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (৪ঃ১) এবং জাহেলী যুগের কথাবার্তা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে। الشُّعُوبُ পূর্বতন বড় বংশ এবং الْقَبَائِلُ এর চেয়ে ছোট বংশ।
  • ২০৫২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৫৩. কুরাইশ গোত্রের মর্যাদা
  • ২০৫৪. কুরআনে কারীম কুরাইশদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে
  • ২০৫৫. ইয়ামানবাসীর সম্পর্কে ইসমাইল (আঃ) এর সঙ্গে; তন্মধ্যে আসলাম ইবন আফসা হারিসা ইবন আমর ইবন আমির ও খুযা'আ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত
  • ২০৫৬. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৫৭. আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না ও আশাজ গোত্রের আলোচনা
  • ২০৫৮. যমযম কূপের কাহিনী
  • ২০৫৯. কাতহান গোত্রের আলোচনা
  • ২০৬০. জাহেলী যুগের মত সাহায্য প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ
  • ২০৬১. খুযা'আ গোত্রের কাহিনী
  • ২০৬২. আরবের মূর্খতা
  • ২০৬৩. যে ব্যক্তি ইসলাম ও জাহেলী যুগে পিতৃপরুষের প্রতি সম্পর্ক আরোপ করল। ইবন উমর ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, সম্ভ্রান্ত বংশ-ধারায় সন্তান হলে ইউসুফ (আঃ) ইবন ইয়াকুব (আঃ) ইবন ইসহাক (আঃ) ইবন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আঃ)। বারা'আ (আঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন আমি আবদুল মুত্তালিবের বংশধর
  • ২০৬৫. হাবশীদের ঘটনা এবং নবী (ﷺ) এর উক্তি হে বনু আরফিদা
  • ২০৬৬. যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার বংশকে গালমন্দ দেয়া না হউক
  • ২০৬৭. নবী (ﷺ) এর নামসমূহ। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নহে; মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল ও তার সাথে যারা আছেন তারা কুফরের বিষয়ে অত্যান্ত কঠোর আর তার বাণীঃ আমার পর যিনি আসবেন তার নাম আহমাদ
  • ২০৬৮. খাতামুন-নাবীয়্যীন
  • ২০৬৯. নবী (ﷺ) এর ওফাত
  • ২০৭০. নবী (ﷺ) এর উপনামসমূহ
  • ২০৭১. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৭২. মোহরে নবুওয়্যাত
  • ২০৭৩. নবী করীম (ﷺ) সম্পর্কে বর্ণনা
  • ২০৭৪. নবী (ﷺ) এর চোখ বন্ধ থাকত কিন্তু তার অন্তর থাকত বিনিদ্র। সা'ঈদ ইবন মীনাআ (রহঃ) জাবির (রাঃ) সুত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন
  • ২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুয়্যতের নিদর্শনসমূহ
  • ২০৭৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ কাফিরগণ নবী করীম (ﷺ) কে সেরূপ চিনে যেরুপ তারা তাদের সন্তানদের চিনে, এবং তাদের এক দল জেনে শুনেই সত্য গোপন করে থাকে। (২ঃ ১৪৬)
  • ২০৭৭. মুশরিকরা মুজিযা দেখানোর জন্য নবী করীম (ﷺ) এর নিকট আহবান জানালে তিনি চাঁদ দু'টুকরা করে দেখালেন
  • ২০৭৮. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৭৯. নবী করীম (ﷺ) এর সাহাবা কেরামের ফযীলত। মুসলিমদের মধ্য থেকে নবী (ﷺ) এর সহচর্য পেয়েছেন অথবা তাকে যিনি দেখেছেন তিনি তার সাহাবী
  • ২০৮০. মুহাজিরগণের মর্যাদা ও ফযীলত তাদের মধ্য থেকে আবু বকর আবদুল্লাহ ইবন আবু কুহাফা তায়মী (রাঃ)। মহান আল্লাহর বাণীঃ এ সম্পদ অভাবগ্রস্থ মুহাজিরদের জন্য ...... (৫৯ঃ ৮) এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন (৯ঃ ৪০) আয়শা, আবু সাঈদ ও ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবু বকর (রাঃ) নবী (সাঃ) এর সাথে সাওর পর্বতের গুহায় ছিলেন
  • ২০৮১. নবী করীম (ﷺ) এর উক্তিঃ আবু বকর (রাঃ) এর দরজা ব্যতীত সব দরজা বন্ধ করে দাও। এ বিষয়ে ইবন আব্বাস (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
  • ২০৮২. নবী করীম (সাঃ) এর পরেই আবু বকরের মর্যাদা
  • ২০৮৩. নবী করীম (সাঃ) এর উক্তিঃ আমি যদি কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহন করতাম। আবু সাঈদ (রাঃ) এটা বর্ণনা করেছেন
  • ২০৮৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৮৫. উমর ইবন খাত্তাব আবু হাফস কুরায়শী-আদাবী (রাঃ) এর ফযিলত ও মর্যাদা
  • ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
  • ২০৮৭. উসমান ইবন আফফান (রাঃ) এর প্রতি বায়'আত ও তার উপর (জনগনের) ঐক্যমত হওয়ার ঘটনা এবং এতে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এর শাহাদাতের বর্ণনা
  • ২০৮৮. আবু হাসান আলী ইবন আবু তালিব কুরায়শী হাশিমী (রাঃ) এর মর্যাদা নবী করীম (সাঃ) আলী (রাঃ) কে বলেছেন, তুমি আমার ঘনিষ্ঠ আপনজন আমি তোমার একান্ত শ্রদ্ধাভাজন। উমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ওফাত পর্যন্ত তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন
  • ২০৮৯. জাফর ইবন আবু তালিব হাশিমী (রাঃ) এর মর্যাদা। নবী (সাঃ) তাকে বলেছিলেন। তুমি আকৃতি ও চরিত্রে আমার সদৃশ
  • ২০৯০. আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) এর আলোচনা
  • ২০৯১. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট আত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা (রাঃ) বিনতে নবী (সাঃ) এর মর্যাদা। নবী (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসী মহিলাগণের সরদার
  • ২০৯২. যুবাইর ইবন আওয়াম (রাঃ) এর মর্যাদা। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, তিনি নবী (সাঃ) এর হাওয়ারী ছিলেন। (বিশেষ সাহায্যকারী) (কুরআন মাজীদে উল্লেখিত) হাওয়ারীকে তাদের কাপড় সাদা হওয়ার কারনে এই নামকরণ করা হয়েছে
  • ২০৯৩. তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) এর মর্যাদা। উমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) আমৃত্যু তার প্রতি সন্তুষ্টি ছিলেন
  • ২০৯৪. সা'দ ইবন আবু ওক্কাস যুহরীর (রাঃ) মর্যাদা। বনু যুহরা নবী (সাঃ) এর মামার বংশে। তিনি হলেন সা'দ ইবন মালিক
  • ২০৯৫. নবী করীম (সাঃ) এর জামাতা সম্পর্কে বর্ণনা। আবুল আস ইবন রাবী তাদের একজন
  • ২০৯৬. নবী করীম (সাঃ) এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) যায়েদ ইবন হারিসা (রাঃ) এর মর্যাদা। বারা (রাঃ) বলেন নবী (সাঃ) তাকে বলেছেন, তুমি আমাদের ভাই ও আমাদের বন্ধু
  • ২০৯৭. উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) এর আলোচনা
  • ২০৯৮. আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২০৯৯. আম্মার ও ইয়াসার (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১০০. আবু উবাদা ইবন জাররাহ (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১০২. হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) এর মর্যাদা। নাফি ইবন জুবায়র (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাঃ) হাসান (রাঃ) এর সাথে আলিঙ্গন করেছেন
  • ২১০৩. আবু বকর (রাঃ) এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) বিলাল ইবন রাবাহ (রাঃ) এর মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, (হে বিলাল) জান্নাতে আমি তোমার জুতার শব্দ আমার আগে আগে শুনেছি
  • ২১০৪. (আবদুল্লাহ) ইবন আব্বাস (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১০৫. খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১০৬. আবু হুযায়ফা (রাঃ) এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) সালিম (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১০৭. আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১০৮. মু'আবিয়া (রাঃ) এর আলোচনা
  • ২১০৯. ফাতিমা (রাঃ) এর মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসী মহিলাদের নেত্রী
  • ২১১০. আয়শা (রাঃ) এর ফযীলত
  • ২১১১. আনসারগণের মর্যাদা। (আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ) আর যারা মুহাজিরগণের আগমনের পূর্ব হতেই এ নগরীতে (মদীনাতে) বসবাস করেছে ও ঈমান এনেছে এবং মুহাজিরগণকে ভালবাসে আর মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না। (৫৯ঃ ৯)
  • ২১১২. নাবী (ﷺ) এর উক্তিঃ যদি হিজরাত না হত তাবে আমি একজন আনসার-ই হতাম। আবদুল্লাহ ইবন যায়েদ (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে একথা বর্ণনা করেছেন
  • ২১১৩. নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন
  • ২১১৪. আনসারদের প্রতি ভালবাসা
  • ২১১৫. আনসারদের লক্ষ্য করে নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ মানুষের মাঝে তোমরা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়
  • ২১১৬. আনসারদের অনুসারিগণ
  • ২১১৭. আনসার গোত্রগুলোর মর্যাদা
  • ২১১৮. আনসারদের সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ) এর উক্তিঃ তোমরা ধৈর্যধারণ করবে অবশেষে আমার সঙ্গে হাওযে কাউসারের নিকট সাক্ষাত করবে। এ হাদিসটি আবদুল্লাহ ইবন যায়েদ (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন
  • ২১১৯. নবী করীম (ﷺ) এর দু'আ (হে আল্লাহ!) আনসার ও মুহাজিরদের মঙ্গল করুন
  • ২১২০. (আল্লাহর বাণীঃ) আর তারা (আনসারগন) নিজেরা অভাবগ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও অন্যদের নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয় (৫৯ঃ ৯)
  • ২১২১. নবী করীম (ﷺ) এর উক্তিঃ তাদের (আনসারদের) নেকারদের পক্ষ হতে (উত্তম কার্য) কবুল কর, এবং তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতিকারীদের ক্ষমা করে দাও
  • ২১২২. সা'দ ইবন মু'আয (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১২৩. উসায়দ ইবন হুযায়র ও আব্বাদ ইবন বিশর (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১২৪. মু'আয ইবন জাবাল (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১২৫. সা'দ ইবন উবাদা (রাঃ) এর মর্যাদা। আয়শা (রাঃ) বলেন, তিনি এর পূর্বে নেক লোক ছিলেন
  • ২১২৬. উবাই ইবন কা'ব (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১২৭. যায়েদ ইবন সাবিত (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১২৮. আবু তালহা (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১২৯. আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) এর মর্যাদা
  • ২১৩০. নবী করীম (ﷺ) এর সাথে খাদীজাহ (রাঃ) এর বিবাহ এবং তার ফযীলত
  • ২১৩১. জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালী (রাঃ) এর আলোচনা
  • ২১৩২. হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান আব্বাসী (রাঃ) এর আলোচনা
  • ২১৩৪. যায়েদ ইবন আমর ইবন নুফায়ল (রাঃ) এর ঘটনা
  • ২১৩৫. কা'বা গৃহের নির্মাণ
  • ২১৩৬. জাহিলিয়্যাতের (ইসলাম পূর্ব) যুগ
  • জাহেলী যুগের কাসামা (হত্যাকারীর গোত্রের পঞ্চাশ জনের শপথ গ্রহন)
  • ২১৩৭. নাবী (ﷺ) এর নবুয়্যাত লাভ। মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ্, ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব ইবনু হাশিম ইবনু আবদ মানাফ ইবনু কুসা’ঈ ইবনু কিলাব ইবনু মুর্রা ইবনু কা’ব ইবনু লুআই ইবনু গালিব ইবনু ফিহর ইবনু মালিক ইবনু নাযর ইবনু কিনানাহ ইবনু খুযাইমাহ্ ইবনু মুদরিকাহ ইবনু ইলিয়াস ইবনু মুযার ইবনু নাযার ইবনু মা’দ্দ ইবনু ‘আদনান।
  • ২১৩৮. নাবী (ﷺ) ও সাহাবীগণ মক্কার মুশরিকদের দ্বারা যে সব নির্যাতন ভোগ করেছেন তার বিবরণ
  • ২১৩৯. আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
  • ২১৪০. সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
  • ২১৪১. জ্বিন্দের আলোচনা এবং আল্লাহর বাণীঃ (হে রাসুল) বলুন আমার নিকট ওহী এসেছে যে, একদল জ্বিন মনোযোগ সহকারে (কুরআন) শ্রবন করছে ...
  • ২১৪২. আবু যার (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহন
  • ২১৪৩. সা’ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
  • ২১৪৪. ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
  • ২১৪৫. চন্দ্র দ্বি-খন্ডিত হওয়া
  • ২১৪৬. হাবশায় হিজরত। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের হিজরাতের স্থান আমাকে (স্বপ্নে) দেখান হয়েছে। যেখানে রয়েছে অনেক বৃক্ষ আর সে স্থানটি ছিল দুই পাহাড়ের মাঝখানে। তখন হিজরাতকারীগণ মদিনায় হিজরাত করলেন এবং যারা এর আগে হাবশাহ্য় হিজরাত করেছিলেন তারাও মদিনায় ফিরে আসলেন। এ সম্পর্কে আবূ মূসা ও আসমা (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে।
  • ২১৪৭. বাদশাহ নাজাশীর মৃত্যু
  • ২১৪৮. নাবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে মুশরিকদের শপথ গ্রহণ
  • ২১৪৯. আবূ ত্বলিবের ঘটনা
  • ২১৫০. ইসরার ঘটনা। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম হতে মসজিদে আকসা পর্যন্ত।
  • ২১৫১. মি'রাজের ঘটনা
  • ২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নাবী (ﷺ) এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়’আত
  • ২১৫৩. ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সঙ্গে নাবী (ﷺ) এর বিবাহ, তাঁর মদীনা আগমন ও আয়শা (রাঃ) এর সঙ্গে তাঁর বাসর যাপন
  • ২১৫৪. নাবী (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদিনায় হিজরাত। নবী (ﷺ) এবং সাহাবীদের মদীনা হিজরত। আবদুল্লাহ ইবনু যায়েদ ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, যদি হিজরতের ফযীলত না হত তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম। আবূ মূসা (আঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মক্কা থেকে মদীনা হিজরত করছি এমনস্থানে যেখানে খেজুর বাগান রয়েছে। আমার ধারণা হল যে, তা হবে ইয়ামামা কিংবা হাজর। পরে প্রকাশ পেল যে, তা মদীনা-ইয়াসরিব।
  • ২১৫৫. নাবী (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদিনায় শুভাগমন
  • ২১৫৬. হজ্জ আদায়ের পর মুহাজিরগণের মক্কায় অবস্থান
  • ২১৫৭. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২১৫৮. নবী করীম (ﷺ) এর উক্তি, হে আল্লাহ! আমার সহাবাদের হিজরাতকে বহাল রাখুন এবং মক্কায় মৃত সাহাবীদের উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ
  • ২১৫৯. নাবী (ﷺ) কিভাবে তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন। ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আউফ (রাঃ) বলেন, আমরা যখন মদীনাহ এলাম তখন আমার ও সা‘দ ইবনু রাবী‘র মধ্যে নাবী (সাঃ) ভ্রাতৃত্ব বন্ধন জুড়ে দেন এবং আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) বলেন, সালমান ও আবূদ দারদা (রাঃ) এর মধ্যে নাবী (সাঃ) ভ্রাতৃত্ব বন্ধন জুড়ে দিয়েছিলেন।
  • ২১৬০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২১৬১. নাবী (ﷺ) এর মদিনায় আগমনে তাঁর নিকট ইয়াহুদীদের উপস্থিতি। هَادُوا অর্থ ইয়াহুদি হয়ে গেছে। هُدْنَا অর্থ আমরা তওবা করেছি। هَائِدٌ অর্থ তাওবাকারী।
  • ২১৬২. সালমান ফারসী (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
  • ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) ৪৫৮ টি | ৩৬৬৪-৪১২১ পর্যন্ত 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
  • ২১৬৩. উশায়রা বা উসায়রার যুদ্ধ। ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) প্রথমতঃ আবওয়ার যুদ্ধ করেন, তারপর তিনি বুওয়াত তারপর উশায়রার যুদ্ধ করেন
  • ২১৬৪. বদর যুদ্ধে নিহতদের ব্যাপারে নবী (ﷺ) এর ভবিষ্যৎ বাণী
  • ২১৬৫. বদর যুদ্ধের ঘটনা। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে আল্লাহ তো তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। স্মরণ করুন, যখন আপনি মু’মিনদেরকে বলতেছিলেন, এ-কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের প্রতিপালক প্রেরিত তিন হাজার ফিরিশতা দ্বারা তোমাদেরকে সহায়তা করবেন? হাঁ, নিশ্চয়িই, যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং সাবধান হয়ে চল তবে তারা (কাহফির বাহিনী) দ্রুতগতিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করলে আল্লাহপাঁচ হাজার চিহ্নিত ফিরিশতা দ্বারা তোমাদের সাহায্য করবেন। এ তো কেবল তোমাদের জন্য সু-সংবাদো তোমাদের চিত্ত প্রশান্তির হেতু আল্লাহকরছেন এবং সাহায্য শুধু পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট থেকেই হয়, কাফিরদের এক অংশকে নিশ্চিহ্ন করার অথবা লাঞ্ছিত করার জন্য; ফলে তারা নিরাশ হয়ে ফিরে যায়। (ইমরানঃ ৩: ১২৩-১২৭) আলে ইমরান) ওয়াহশী(র) বলেন, বদর যুদ্ধের দিন হামযা (রাঃ) তু’আয়মা ইবনু আদী ইবনু খিয়ারকে হত্যা করেছিলেন। আল্লাহর বানীঃ স্মরণ করুন, আল্লাহ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, দু’দলের একদল তোমাদের আয়ত্তাধীন হবে। (আনফালঃ ৭)
  • ২১৬৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ করো! তোমরা তোমাদের প্রভুর সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তিনি তা কবুল করেছিলেন এবং বলেছিলেন -- ''আমি তোমাদের সাহায্য করবো এক হাজার ফিরিশ্‌তা দ্বারা যারা একের পর এক আসবে। ’’আর আল্লাহ এটি করেন নি সুসংবাদ দান ছাড়া আর যেন এর দ্বারা তোমাদের হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে, আর সাহায্য তো আসে না আল্লাহ‌র কাছ থেকে ছাড়া। নিঃসন্দেহ আল্লাহ হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী। স্মরণ করো! তিনি তোমাদের উপরে প্রশান্তি এনেছিলেন তাঁর তরফ থকে স্বস্তিরূপে, আর তিনি তোমাদের উপরে আকাশ থেকে বর্ষণ করলেন বৃষ্টি, যেন তিনি এর দ্বারা তোমাদের পরিস্কার করতে পারেন, আর যেন তোমাদের থেকে দূর করতে পারেন শায়ত্বনের নোংরামি, আর যেন তিনি তোমাদের অন্তরে বলসঞ্চার করতে পারেন, আর যেন এর দ্বারা পদক্ষেপ দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। স্মরণ করো! তোমার প্রভু ফিরিশ্‌তাদের কাছে প্রেরণা দিলেন -- ''আমি নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে আছি, কাজেই যারা ঈমান এনেছে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত করো। আমি অচিরেই তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করবো যারা অবিশ্বাস পোষণ করে, অতএব ঘাড়ের উপরে আঘাত করো আর তাদের থেকে সমস্ত প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলো।’’এটি এইজন্য যে তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরোধিতা করে, আর যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় -- আল্লাহ তবে নিশ্চয়ই শাস্তিদানে কঠোর। ( সূরা আনফাল: ৯-১৩)
  • ২১৬৭. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২১৬৮. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা
  • ২১৬৯. কুরাইশ কাফির তথা শায়বা, উতবা, ওয়ালীদ ও আবূ জাহল ইবনু হিশামের বিরুদ্ধে নাবী (ﷺ) এর দু’আ এবং এদের ধ্বংস হওয়া
  • ২১৭০. আবূ জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
  • ২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীর মর্যাদা
  • ২১৭২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহন
  • ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
  • ২১৭৭. কা’ব ইবনু আশরাফের হত্যা
  • ২১৭৮. আবূ রাফি‘ আবদুল্লাহ ইবনু আবুল হুকায়কের হত্যা। তাকে সাল্লাম ইবনু আবুল হুকায়কও বলা হত। সে খায়বারের অধিবাসী ছিল। কেউ কেউ বলেছেন, হিজায ভূমিতে তার একটি দুর্গ ছিল ( সে দুর্গেই সে অবস্থান করত।) যুহরী (র) বর্ণনা করেছেন যে, তার হত্যা কা‘ব ইবনু আশরাফের হত্যার পর সংঘটিত হয়েছিল।
  • ২১৭৯. উহুদ যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ [হে রাসুল!] স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মু’মিনদেরকে ঘাঁটিতে স্থাপন করেছিলেন। এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ঃ ১২১) আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী, যদি তোমরা মু’মিন হও। যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও তো (বদর যুদ্ধে) লেগেছে। মানুষের মধ্যে এ দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদেরকে জানতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কতককে শহীদরূপে গ্রহন করতে পারেন এবং আল্লাহ্‌ জালিমদের পছন্দ করেন না। আর যাতে আল্লাহ্‌ মু’মিনদের পরিশোধন করতে পারেন এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন। তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না? মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা স্বচক্ষে দেখলে! (৩ঃ ১৩৯-১৪৩) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন যখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং [রাসুল (সাঃ) এর] নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল চেয়েছিল এবং কতক পরকাল চেয়েছিল। এরপর তিনি পরিক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল (৩ঃ ১৫২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত (৩ঃ ১৬৯)
  • ২১৮০. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যখন তোমাদের মধ্যে দু'দলের সাহস হারাবার উপক্রম হয়েছিল এবং আল্লাহ উভয়ের সহায়ক ছিলেন। আল্লাহর প্রতিই যেন মুমিনগণ নির্ভর করে। (৩ঃ ১২২)
  • ২১৮১. মহান আল্লাহর বাণীঃ যেদিন দু'দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল সেদিন তোমাদের মধ্য হতে যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল, তাদের কোন কৃতকর্মের জন্য শয়তানই তাদের পদস্খলন ঘটিয়েছিল। অবশ্য আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ ও পরম সহনশীল (৩ঃ ১৫৫)
  • ২১৮২. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর, তোমরা যখন উপরের দিকে ছুটেছিলে এবং পেছন দিকে ফিরে কারো প্রতি লক্ষ করেছিলে না আর রাসুল (সাঃ) তোমাদেরকে পেছন দিক থেকে আহবান করেছিলেন ফলে তিনি (আল্লাহ তা'আলা) তোমাদের বিপদের উপর বিপদ দিলেন যাতে তোমরা যা হারিয়েছ অথবা যে বিপদ তোমাদের উপর এসেছে তার জন্য তোমরা দুঃখিত না হও। তোমরা যা কর আল্লাহ তা বিশেষভাবে অবহিত। (৩ঃ১৫৩)
  • ২১৮৪. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন, এ বিষয়ে আপনার করনীয় কিছুই নেই। কারন তারা যালিম। (৩ঃ ১২৮) হুমায়দ এবং সাবিত (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিন নবী (সাঃ) কে আঘাত করে যখম করে দেয়া হয়েছিল। তখন তিনি বললেন, যারা তোমাদের নবীকে আঘাত করে যখম করে দিয়েছে তারা কি করে উন্নতি ও সফলতা লাভ করবে। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে ‏لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ‏
  • ২১৮৫. উম্মু সালীতের আলোচনা
  • ২১৮৬. হামযাহ (রাঃ) এর শাহাদাত
  • ২১৮৭. উহূদের দিন রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার বর্ণনা
  • ২১৮৮. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২১৮৯. যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন
  • ২১৯০. যে সব মুসলিম উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন হামযা ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব (হুযায়ফার পিতা), ইয়ামান, আনাস ইব্‌ন নাসর এবং মুসআব ইব্‌ন উমায়র (রা)।
  • ২১৯১. উহুদ পাহাড় আমাদের কে ভালোবাসে। আব্বাস ইব্‌ন সাহ্‌ল (র) আবূ হুমায়দ (রা)-এর মাধ্যমে নবী (সা) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
  • ২১৯২. রাজী, রিল, যাক্‌ওয়ান, বিরে মাউনার যুদ্ধ এবং আযাল, কারাহ, আসিম ইব্‌ন সাবিত, খুবায়ব (রা) ও তার সংগীদের ঘটনা। ইব্‌ন ইসহাক (র) বলেন, আসিম ইব্‌ন উমর (রা) বর্ণনা করেছেন যে, রাজীর যুদ্ধ উহুদের যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়েছিল
  • ২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়্‌ মুসা ইব্‌ন উকবা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল
  • ২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী (সা)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনূ কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
  • ২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ। গাতফানের শাখা গোত্র বনূ সালাবার অন্তর্গত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) নাখল নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেননা আবূ মুসা (রা) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে ) এসেছিলেন। আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন রাজা (র) ...... জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) সপ্তম যুদ্ধ তথা যাতুর রিকার যুদ্ধে তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্‌ন আব্বাস (র) বলেছেন, নবী (সা) যূকারাদের যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আডায় করেছেন। বকর ইব্‌ন সাওয়াদা (র) ......জাবির ইবন আবদুল্লাহ্‌ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাবির ও সালাবা গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নবী (সা) সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইব্‌ন ইসহাক (র) ......... জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) নাখল নামক স্থান থেকে যাতুর রিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গাতফান গোত্রের একটি দলের সম্মুখীন হন। কিন্তু সেখানে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। উভয় পক্ষ পরষ্পর ভীতি প্রদর্শন করেছিল মাত্র। তখন নবী (সা) দু’রাকাত সালাতুল খাওফ আদায় করেন। ইয়াযীদ (র) সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সা)-এর সংগে যুকারাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
  • ২১৯৬. বনূ মুসতালিকের যুদ্ধ। বনূ মুসতালিক খুযা’আর একটি শাখা গোত্র। এ যুদ্ধ কে মুরায়সীর যুদ্ধ ও বলা হয়। ইব্‌ন ইসহাক (র) বলেছেন, এ যুদ্ধ ৬ষ্ঠ হিজরী সনে সংঘটিত হয়েছে। মুসা ইবন উকবা (র) বলেছেন, ৪র্থ হিজরী সনে। নুমান ইবন রাশিদ (র) যুহরী (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইফকের ঘটনা মুরায়সীর যুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিল।
  • ২১৯৭. আনমারের যুদ্ধ
  • ২১৯৮. ইফ্‌কের ঘটনা [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন] إِفْك শব্দটি نِجْس ও نَجَس এর মত إِفْك ও أَفك উভয়ভাবেই ব্যবহৃত হয়। তাই আরবীয় লোকেরা বলেন, إِفْكُهُمْ أَفْكُهُمْ وَأَفَكُهُمْ
  • ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)
  • ২২০০. উকল ও উরায়না গোত্রের ঘটনা
  • ২২০১. যাতুল কারাদের যুদ্ধ। খায়বার যুদ্ধের তিনদিন পূর্বে মুশরিকরা নবী (সাঃ) এর দুগ্ধবতী উটগুলো লুট করে নেয়ার সময়ে এ যুদ্ধটি সংগঠিত হয়েছে
  • ২২০২. খায়বারের যুদ্ধ
  • ২২০৩. খায়বার অদিবাসীদের জন্য নবী (সাঃ) কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ
  • ২২০৪. নবী (সাঃ) কর্তৃক খায়বারবাসীদের কৃষি ভূমির বন্দোবস্ত প্রদান
  • ২২০৫. খায়বারে অবস্থানকালে নবী (সাঃ) এর জন্য বিষ মেশানো বকরীর (হাদিয়া পাঠানোর) বর্ণনা। উরওয়া আয়শা (রাঃ) এর মাধ্যমে নবী (সাঃ) থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন
  • ২২০৬. যায়দ ইবন হারিসা (রাঃ) এর অভিযান
  • ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন
  • ২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
  • ২২০৯. জুহাইনাহ গোত্রের শাখা 'হুরুকাত' উপগোত্রের বিরুদ্ধে নাবী (সাঃ) এর ইবনু যায়িদ (রাঃ) কে প্রেরণ করা
  • ২২১০. মক্কা বিজয়ের অভিযান এবং নবী (সাঃ) এর অভিযান প্রস্তুতির সংবাদ ফাঁস করে মক্কাবাসীদের নিকট হাতিব ইবন আবু বালতা'আর লোক প্রেরণ
  • ২২১১. মক্কা বিজয়ের যুদ্ধ- এ যুদ্ধটি রমযান মাসে সংঘটিত হয়েছে
  • ২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নাবী (সাঃ) কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন
  • ২২১৩. মক্কা নগরীর উচু এলাকার দিক দিয়ে নবী (সাঃ) এর প্রবেশের বর্ণনা। লায়স (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার সাওয়ারিতে আরোহন করে উসামা ইবন যায়িদকে নিজের পিছনে বসিয়ে মক্কা নগরীর উঁচু এলাকার দিক দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেছেন। তার সঙ্গে ছিল বিলাল এবং বায়তুল্লাহর চাবি রক্ষক উসমান ইবন তালিহা। অবশেষে তিনি [নবী (সাঃ)] মসজিদে হারামের সামনে সাওয়ারী থামালেন এবং উসমান ইবন তালহাকে চাবি এনে (দরজা খোলার) আদেশ করলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (কা’বার অভ্যন্তরে) প্রবেশ করলেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন উসামা ইবন যায়দ, বিলাল এবং উসমান ইবন তালহা (রাঃ)। সেখানে তিনি দিবসের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অবস্থান করে (নামায তাকবীর ও অন্যান্য দুয়া করার পর) বের হয়ে এলেন। তখন অন্যান্য লোক (কা’বার ভিতরে প্রবেশের জন্য) দ্রুত ছুটে এলো। তন্মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) প্রথমেই প্রবেশ করলেন এবং বেলাল (রাঃ) কে দরজার পাশে দাঁড়ানো পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোন জায়গায় নামায আদায় করেছেন? তখন বিলাল (রাঃ) তাকে নামাযের জায়গাটি ইশারা করে দেখিয়ে দিলেন। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কত রাকাত আদায় করেছিলেন বিলাল (রাঃ) কে আমি একথা জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
  • ২২১৪. মক্কা বিজয়ের দিন নাবী (সাঃ) এর অবস্থানস্থল
  • ২২১৫. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২২১৬. মক্কা বিজয়ের সময়ে নবী (সাঃ) এর মক্কা নগরীতে অবস্থান
  • ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন
  • ২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলিমদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিল। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবাহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)
  • ২২১৯. আওতাসের যুদ্ধ
  • ২২২০. তায়েফের যুদ্ধ- মুসা ইবন উকবা (রাঃ) এর মতে এ যুদ্ধ অষ্টম হিজরীর শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছে
  • ২২২১. নাজদের দিকে প্রেরিত অভিযান
  • ২২২২. নবী (সাঃ) কর্তৃক খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) কে জাযিমার দিকে প্রেরণ
  • ২২২৩. আবদুল্লাহ ইবন হুযাফা সাহমী এবং আলকামা ইবন মুজাযযিল মুদাল্লিজীর সৈন্যবাহিনী, যাকে আনসারদের সৈন্যবাহিনীও বলা হয়
  • ২২২৪. বিদায় হজ্জের পূর্বে আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) এবং মু'আয ইবনু জাবল (রাঃ) কে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে প্রেরণ
  • ২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা এর পূর্বে আলী ইবনু আবূ তালিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) কে ইয়ামানে প্রেরণ
  • ২২২৬. যুল খালাসার যুদ্ধ
  • ২২২৭. যাতুস সালাসিল যুদ্ধ। ইসমাইল ইবন আবু খালিদ (রহঃ) এর মতে একটি লাখম ও জুযাম গোত্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধ। ইবন ইসহাক (রহঃ) ইয়াযীদ (রহঃ) এর মাধ্যমে উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যাতুস সালাসিল হল বালী, উযরা এবং বনিল কায়ন গোত্রসমুহের স্থাপিত শহর
  • ২২২৮. জারীর (রাঃ) এর ইয়ামান গমন
  • ২২২৯. সীফুল বাহরের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে মুসলিমগণ কুরায়শের একটি কাফেলার প্রতীক্ষায় ছিল এবং তাদের সেনাপতি ছিলেন আবু উবায়দা (রাঃ)
  • ২২৩০. হিজরাতের নবম বছর লোকজন সহ আবূ বাকর (রাঃ) এর হজ্জ পালন
  • ২২৩১. বানী তামীমের প্রতিনিধি দল
  • ২২৩২. বনী তামীমের উপগোত্র বনী আম্বারের বিরুদ্ধে উয়াইনা ইবন হুসন ইবন হুযায়ফাহ ইবন বদরের যুদ্ধ। ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেন, নবী (সাঃ) উয়াইনা (রাঃ) কে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পাঠিয়েছেন। তারপর তিনি রাতের শেষ ভাগে তাদের উপর আক্রমন চালিয়ে কিছু লোককে হত্যা করেন এবং তাদের মহীলাদের বন্দী করেন
  • ২২৩৩. আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল
  • ২২৩৪. বানু হানীফার প্রতিনিদি দল এবং সুমামাহ ইবনু উসাল (রাঃ) এর ঘটনা
  • ২২৩৫. আসওয়াদ 'আনসীর ঘটনা
  • ২২৩৬. নাজরান অধিবাসীদের ঘটনা
  • ২২৩৭. ওমান ও বাহরাইনের ঘটনা
  • ২২৩৮. আশআরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন। নবী (সাঃ) থেকে আবু মুসা আশ'আরী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আশ'আরীগন আমার আর আমিও তাদের
  • ২২৩৯. দাউস গোত্র এবং তুফায়েল ইবন আমর দাউসীর ঘটনা
  • ২২৪০. তায়ী গোত্রের প্রতিনিধি দল এবং 'আদি ইবনু হাতিমের কাহিনী
  • ২২৪১. বিদায় হজ্জ
  • ২২৪২. গাযওয়ায়ে তাবুক- আর তা কষ্টের যুদ্ধ
  • ২২৪৩. কাব ইবনু মালিকের ঘটনা এবং আল্লাহর বানী: এবং তিনি ক্ষমা করলেন অপর তিন জনকেও যাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল (৯ঃ ১১৮ )
  • ২২৪৪. নবী (সাঃ) এর হিজর বস্তিতে অবতরণ
  • ২২৪৫. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২২৪৬. পারস্যের অধিপতি কিসরা ও রোম অধিপতি কায়সারের কাছে নাবী (সাঃ) এর পত্র প্রেরণ
  • ২২৪৭. নাবী (সাঃ) এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনিতো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করবে (৩৯ঃ ৩০,৩১) ইউনুস (রহঃ) যুহরী ও উরওয়া (রহঃ) সুত্রে বলেন, আয়শা (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়শা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষন করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রনা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়ার আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে
  • ২২৪৮. নবী (সাঃ) সবশেষে যে কথা বলেছেন
  • ২২৪৯. নবী (সাঃ) এর ওফাত
  • ২২৫০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২২৫১. নবী (সাঃ) এর মৃত্যু রোগে আক্রান্ত অবস্থায় উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) কে যুদ্ধাভিযানে প্রেরণ
  • ২২৫২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২২৫৩. নবী (সাঃ) কতটি যুদ্ধ করেছেন
  • ৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) ৪৯৬ টি | ৪১২২-৪৬১৩ পর্যন্ত 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
  • ২২৫৪. সূরাতুল ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে। সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মুল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরাহ ফাতিহা লেখা দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লিখা শুরু হয়েছে। আর সূরাহ ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে স্বলাত আরম্ভ করা হয়। “দীন” অর্থ – ভাল ও মন্দের প্রতিফল । যেমন বলা হয়ে থাকে [وَالشَّرِّ كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ] “যেমন কর্ম তেমন ফল” । আর মুজাহিদ (র) বলেন, بِالدِّيْنِ - হিসাব –নিকাশ । مَدِيْنِيْنَ যার হিসাব নেওয়া হবে।
  • ২২৫৫. যারা ক্রোধে নিপতিত নয়
  • ২২৫৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ কাজেই জেনেশুনে কাউকে তোমরা আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করবে না (২ঃ ২২)
  • ২২৫৮. মহান আল্লহর বাণীঃ “আর আমি মেঘমালা দিয়ে তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি মান্না ও সালওয়া । তোমরা খাও সেসব পবিত্র বস্তু যা আমি তোমাদেরকে দান করেছি । তারা আমার প্রতি কোন জুলুম করেনি বরং তারা নিজেদের উপরই জুলুম করেছিল । (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ৫৭) মুজাহিদ (র) বলেন, মান্না শিশির জাতীয় সুস্বাদু খাদ্য (যা পাথর ও গাছের উপর অবতীর্ণ হত পরে জমে গিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত হত) আর সাল্ওয়া-পাখি।
  • ২২৫৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরন করুন, যখন আমি বললাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেখানে ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে খাও, অবনত মস্তকে প্রবেশ কর দার দিয়ে এবং বল حِطَّةٌ ‘ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব”- (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/৫৮)। رَغَدَّا প্রভূত স্বাচ্ছন্দ্য।
  • ২২৬০. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা বিস্মৃতি হতে দিলে। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/১০৬)
  • ২২৬১. মহান আল্লাহর বানীঃ আর তাঁরা বলেঃ ‘আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি অতি পবিত্র। (সূরাহ আল –বাক্বারা ২/১১৬)
  • ২২৬২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান নির্ধারণ কর। (২ঃ ১২৫) مثابة প্রত্যাবর্তন স্থল। يثوبون অর্থ লোকজন প্রত্যাবর্তন করে।
  • ২২৬৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরন করুন যখন ইব্রাহীম ও ইসমাইল কা‘বা ঘরের প্রাচীর তুলছিলেন তখন তারা বলছিলেনঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এই কাজ গ্রহন করুন, নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা ।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১২৭)। القواعد অর্থ ভিত্তি, একবচনে قاعدة আল-কাওয়ায়িদ মহিলাদের সম্পর্কে বলা হলে এর অর্থ বৃদ্ধা নারী, তখন এর একবচন (قاعد) হবে।
  • ২২৬৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা বল, আমরা আল্লাহতে ঈমান এনেছি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতিও। (২ঃ১৩৬)
  • ২২৬৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ নির্বোধ লোকেরা অচিরেই বলবে যে, তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিল তা থেকে তাদেরকে কিসে ফিরিয়ে দিল! বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করেন।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৪২)
  • ২২৬৬. আল্লাহর বাণীঃ “আর এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধমপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবে এবং রাসুল (সাঃ) তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবেন (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৪৩)
  • ২২৬৭. আল্লাহর বাণীঃ আপনি এ যাবৎ যে কিবলার অনুসরণ করেছিলেন তাকে আমি এইজন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি কে রসূলের অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়? আল্লাহ যাদের সৎপথ প্রদর্শন করেছেন তাদের ব্যতীত অন্যদের কাছে এটা নিশ্চিত কঠিন বিষয়। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু। (সূরাহ-আল বাক্বারা্ ২ঃ ১৪৩)
  • ২২৬৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ “আকাশের দিকে বার বার আপনার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করেছি। তারা যা করে সে সম্বন্ধে আল্লাহ অনবহিত নন (সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৪)
  • ২২৬৯. আল্লাহর বাণীঃ “যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের কাছে আপনি সকল দলীল পেশ করেন তবুও তারা আপনার কিবলার অনুসরণ করবে না, আর আপনিও তাদের কিবলার অনুসারী নন। এবং তারা একে অন্যের অনুসরণ করে না। আপনি যদি আপনার কাছে জ্ঞান আসার পর তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, তবে নিশ্চয় আপনি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।”(সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৫)
  • ২২৭০. আল্লাহর বাণীঃ “ যাদের আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেইরূপে জানে, যেরূপ তারা তাদের পুত্রদের জানে। এবং একদল জেনেশুনে সত্য গোপন করে থাকে। আর সত্য আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে। সুতরাং আপনি যেন সন্দেহ ও সংশয় পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হন।” (সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৬-১৪৭)
  • ২২৭১. আল্লাহর বাণীঃ আর তাদের প্রত্যেকেরেই রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে মুখ করে । সুতরাং তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে একত্র করবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান (২ঃ ১৪৮)
  • ২২৭২. আল্লাহর বাণীঃ “যেখান হতেই তুমি বের হও না কেন, মাসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও । নিশ্চয় এটা তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে প্রেরিত সত্য। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর নন। (সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৯) । شَطْرُهُ অর্থ সেই দিকে।
  • ২২৭৩. আল্লাহর বাণীঃ এবং তুমি যেখান হতেই বের হও না কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই তাহনা কেন তার দিকে মুখ ফিরাবে, যাতে তোমরা সৎ পথে পরিচালিত হতে পার। (২ঃ ১৫০)
  • ২২৭৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত । অতএব যে কেউ কা‘বা ঘরে হজ্জ বা ‘উমরাহ সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সায়ী (যাতায়াত) করলে কোন পাপ নেই । আর কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন নেক কাজ করলে আল্লাহ তার পুরস্কার দেবেন, তিনি সর্বজ্ঞ । (সূরাহ-আল বাক্বারা ২/১৫৮)। শা’আয়ির (شَعَائِرِ) শারাতুনের বহু বচন। অর্থ নিদর্শন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, সাফওয়ান অর্থ পাথর; বলা হতো এমন পাথর যা কোন কিছু উৎপন্ন করে না। একবচনে صفوانة হয়ে থাকে। ব্যবহৃত হয় صفا বহুবচনে।
  • ২২৭৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ তথাপি কেউ কেউ আল্লাহ ছাড়া অপরকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহন করে (২ঃ ১৬৫) এখানে أندادا শব্দের অর্থ সমকক্ষ ও বরাবর। এর একবচন ند
  • ২২৭৬. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য নিহতদের ব্যপারে কিসাসের বিধান দেয়া হল, স্বাধীন ব্যক্তির বদলে স্বাধীন ব্যক্তি, ক্রীতদাসের বদলে ক্রীতদাস এবং নারীর বদলে নারী। তবে তার ভাইয়ের তরফ থেকে কাউকে কিছু ক্ষমা করে দেয়া হলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করতে হবে এবং সততার সঙ্গে তা তাকে প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে ভার লাঘব ও বিশেষ রাহমাত। এরপরও যে কেউ বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি । (সূরাহ-আল বাক্বারা ২/১৭৮) উফিয়ার (عفى) অর্থ পরিত্যাগ করে।
  • ২২৭৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার (২ঃ ১৮৩)
  • ২২৭৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ (রোযা ফরয করা হয়েছে তা) নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময়ে সওমের সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আর সওম যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক, তারা এর পরিবর্তে ফিদয়া দিবে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করে। কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। যদি তোমার উপলব্ধি করতে তবে বুঝতে যে রোযা পালন করাই তোমাদের জন্য অধিক ফলপ্রসু (২ঃ ১৮৪)
  • ২২৭৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সওম পালন করে।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/১৮৫)
  • ২২৮০. মহান আল্লাহর বাণীঃ রোযার রাত্রে তোমাদের জন্য স্ত্রীসম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানতেন যে, তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করছিলে। এরপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হলেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করলেন। সুতরাং, এখন তোমরা তাদের সাথে সঙ্গত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু বিধিবদ্ধ করেছেন তা কামনা কর। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৮৭)
  • ২২৮১. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। তারপর সওম পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর তোমরা যখন মসজিদে ই’তিকাফ করবে তখন স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করবে না। এগুলো আল্লাহর বেঁধে দেয়া সীমারেখা। সুতরাং এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে আল্লাহ তাঁর নিদর্শনাবলী মানুষের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৮৭)। আল-আকিফু (العاكف) অর্থ (المقيم) অবস্থানকারী
  • ২২৮২. মহান আল্লাহর বাণীঃ পশ্চাতদিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করাতে কোন পুণ্য নেই, কিন্তু পুণ্য আছে কেউ তাকওয়া অবলম্বন করলে। সুতরাং তোমরা সামনের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৮৯)
  • ২২৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যাবত ফিতনা দূরিভুত না হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয়। যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তবে জালিমদের ব্যতীত আর কাউকে আক্রমণ করা চলবে না।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৯৩)
  • ২২৮৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং নিজেদের হাতে নিজদেরকে তোমরা ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না। আর তোমরা সৎকাজ কর। নিশ্চয় আল্লাহ সতকর্মশীলদের ভালবাসেন” – (সূরা আল-বাক্বারা ২/১৯৫)। আয়াতে উল্লাখিত التَّهْلُكَةِ ও الْهَلأَك একই অর্থে ব্যবহৃত।
  • ২২৮৫. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয় কিংবা মাথায় ক্লেশ থাকে তবে সওম কিংবা সদাকাহ অথবা কুরবানীর দ্বারা তার ফিদয়া দিবে (বাক্বারা ২ঃ ১৯৬)
  • ২২৮৬. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরা দ্বারা লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কুরবানী করবে (২ঃ ১৯৬)
  • ২২৮৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। (সূরা আল-বাক্বারা ২ঃ ১৯৮)
  • ২২৮৮. আল্লাহর বাণীঃ এরপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সে স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করবে (২ঃ ১৯৯)
  • ২২৮৯. আল্লাহর বাণীঃ এবং তাদের মধ্যে যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদের জাহান্নামের অগ্নি যন্ত্রনা হতে রক্ষা করুন।’’ (বাকারাঃ ২: ২০১)
  • ২২৯০. আল্লাহর বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে সে কিন্তু ঘোর বিরোধী। (সূরা আল-বাক্বারা ২ঃ ২০৪) النسل অর্থ হল الحيوان জানোয়ার।
  • ২২৯১. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, যদিও এখনও তোমরা তাদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে? তাদের উপর পতিত হয়েছিল অর্থ-সংকট ও দুঃখ-ক্লেশ। তারা এমনভাবে ভীত-শিহরিত হয়েছিল যে, রসূল এবং তাঁর সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদের বলতে হয়েছিলঃ কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য? হাঁ, আল্লাহর সাহায্য নিকটেই। (সূরা আল-বাক্বারা ২/২১৪)
  • ২২৯২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার। পূর্বাহ্ণে তোমরা তোমাদের জন্য কিছু করো এবং আল্লাহকে ভয় কর। আর জেনে রাখ যে, তোমরা আল্লাহর সম্মুখীন হতে যাচ্ছ এবং মুমিনগণকে সুসংবাদ দাও। (২ঃ ২৩৩)
  • ২২৯৩. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের ত্বালাক্ব দিয়ে দাও এবং তারা তাদের ইদ্দত্’কাল পূর্ণ করে তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদেরকে বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিও না (যদি তারা পরস্পর সম্মত হয়) (২ঃ ২৩২)
  • ২২৯৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
  • ২২৯৫. তোমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হবে বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ২৩৮)
  • ২২৯৬. আল্লাহর বাণীঃ এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ২৩৮) قانتين অর্থ مطيعين অনুগত, বিনীত
  • ২২৯৭. আল্লাহর বাণীঃ তবে যদি তোমরা আশঙ্কা কর তবে পদচারী অথবা আরোহী অবস্থায়; যখন তোমরা নিরাপদ বোধ কর তখন আল্লাহকে স্মরণ করবে, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যা তোমরা জানতে না। ইবন যুবায়র বলেন, كرسيه আল্লাহর কুরসীর অর্থ হলঃ علمه তার জ্ঞান। আর بسطة অর্থ হল অতিরিক্ত ও বেশী। أفرغ অর্থ নাযিল কর। ولا يئوده অর্থ ভারী ও বোঝা বোধ হয় না তার। যেমন آدني অর্থ أثقلني শক্ত ও ভারী করেছে আমাকে। الآد والأيد শব্দের অর্থ হলঃ القوة শক্ত ও শক্তি। فبهت শব্দের অর্থ হলঃ তার দলীল-প্রমান শেষ হয়ে গেছে।
  • ২২৯৮. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের সপতীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদের গৃহ হতে বহিস্কার না করে তাদের ভরন পোষণের ওসীয়ত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময় (২ঃ ২৪০)
  • ২২৯৯. আল্লাহর বাণীঃ আর যখন ইবরাহীম (আঃ) বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা! কীভাবে তুমি মৃতকে জীবিত কর তা আমাকে দেখাও । (বাক্বারা ২ঃ ২৬০)
  • ২৩০০. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের কেউ কি চায় যে, তার একটি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান থাকবে, যার পাদদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হবে এবং যাতে সর্বপ্রকার ফলমূল বিরাজ করে। যখন সে ব্যক্তি বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং তার সন্তান-সন্তুতি দুর্বল, তারপর উক্ত বাগানের উপর এক অগ্নিক্ষরা ঘূর্ণিঝড় আপতিত হয় এবং তা জলে পুড়ে যায়। এভাবে আল্লাহ তা’আলা তার নিদর্শন তোমাদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার। (২ঃ ২৬৬)
  • ২৩০১. আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের নিকট নাছোড় হয়ে যাঞ্চা করে না। ألحف علي وألح علي এবং أحفاني بالمسألة সবই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। فيحفكم অর্থ জোর প্রচেষ্টা চালায়।
  • ২৩০২. আল্লাহর বাণীঃ অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে বৈধ এবং সুদকে অবৈধ করেছেন- (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ২৭৩) المس অর্থ পাগলামী।
  • ২৩০৩. আল্লাহর বাণী: আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ২৭৬) ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, বিদূরিত করেন।
  • ২৩০৪. আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা না ছাড় তবে জেনে রাখ যে, এটা আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধ। (২ঃ ২৭৯) [ইমাম বুঝারী (রহঃ) বলেন] فَأْذَنُوا অর্থ জেনে রাখ
  • ২৩০৫. আল্লাহর বাণীঃ যদি খাতক অভবগ্রস্থ হয়, তবে সচ্ছলতা পর্যন্ত তাকে অবকাশ দেয়া বিধেয়। আর যদি তোমরা ছেড়ে দাও তবে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে (২ঃ ২৮০)
  • ২৩০৬. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা সেদিনকে ভয় কর, যেদিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ২৮১)
  • ২৩০৭. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মনে যা আছে তা তোমরা প্রকাশ কর কিংবা গোপন রাখ আল্লাহ তোমাদের নিকট হতে তার হিসাব নেবেন। এরপর যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান (২ঃ ২৮৪)
  • ২৩০৮. আল্লাহর বাণীঃ রাসুল তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতারিত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছেন এবং মু’মিনগনও (২ঃ ২৮৫) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, غفرانك অর্থ مغفرتك আর مغفرتك অর্থ فاغفر لنا আমাদের মার্জনা করুন (২ঃ ২৮৫)
  • ২৩০৯. আল্লাহর বাণীঃ مِنْهُ ا”يَاتٌ مُحْكَمَاتٌ যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন। ইমাম মুজাহিদ (রহ.) বলেন যে, সেটি হচ্ছে হালাল আর হারাম সম্পর্কিত। وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ আর অন্যগুলো রূপক, একটি অন্যটির সত্যতা প্রমাণ করে। যেমনঃ আল্লাহর বাণীঃ وَمَا يُضِلُّ بِهٰٓ إِلَّا الْفَاسِقِيْنَ -‘‘তিনি পথ পরিত্যাগকারী ব্যতীত বস্তুত কাউকে বিভ্রান্ত করেন না।’’ আবার- وَيَجْعَلُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِيْنَ لَا يَعْقِلُوْنَ যারা অনুধাবন করে না আল্লাহ তাদের কলুষলিপ্ত করেন। (সূরাহ ইউনুস ১০/১০০) তদুপরি আল্লাহর বাণীঃ وَالَّذِيْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًى وَّاٰتَاهُمْ تَقْوٰهُمْ ‘‘যারা সৎপথ অবলম্বন করেছে, আল্লাহ্ তাদেরকে আরও অধিক হিদায়াত দান করেন এবং তাদেরকে তাকওয়ার তাওফীক দেন’’- (সূরাহ মুহাম্মাদ ৪৭/১৭)। زَيْغٌ -সন্দেহ, ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ -ফিতনা শব্দের অর্থ রূপক। والراسخون في العلم যাঁরা জ্ঞানে সু-গভীর তারা জানে এবং বলে আমরা তা বিশ্বাস করি।
  • ২৩১০. আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মুল্যে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কোন অংশ নেই (৩ঃ ৭৭) لا خلاق কোন কল্যাণ নেই। أليم শব্দটি مفعل এর আকৃতিতে ألم থেকে গঠিত। অর্থাৎ জ্বালাময়ী।
  • ২৩১১. আল্লাহর বাণীঃ তুমি বলঃ হে আহলে কিতাব! এসো সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা আল্লাহ ব্যতীত কারো ইবাদাত না করি। (ইমরান ৩ঃ ৬৪) سَوَاءِ সঠিক ও ন্যায়।
  • ২৩১২. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত কখনো পুণ্য লাভ করতে পারবে না। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষে অবহিত। (৩ঃ ৯২)
  • ২৩১৩. বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (সূরাহ আলে-'ইমরান ৩ঃ ৯৩)
  • ২৩১৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মাত, মানব জাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে (৩ঃ ১১০)
  • ২৩১৫. আল্লাহর বাণীঃ যখন তোমাদের মধ্যের দু'দলের সাহস হারানোর উপক্রম হয়েছিল এবং আল্লাহ তাদের অভিভাবক (৩ঃ ১২২)
  • ২৩১৬. আল্লাহর বাণীঃ এই বিষয়ে আপনার করণীয় কিছুই নেই।(সূরাহ আলে-'ইমরান ৩ঃ ১২৮)
  • ২৩১৭. আল্লাহর বাণীঃ রসূল (সাঃ) তোমাদের পেছনের দিক থেকে আহবান করছিলেন। آخركم এর স্ত্রীলিঙ্গ أخراكم ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, দু’কল্যাণের একটি এর অর্থ হল বিজয় অথবা শহীদ হওয়া
  • ২৩১৮. আল্লাহর বাণীঃ প্রশান্তি তন্দ্রারূপে
  • ২৩২০. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে (৩ঃ ১৭৩)
  • ২৩২১. আল্লাহর বাণীঃ এবং আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন। سَؤُطَوَّقُوْنَ এটা আরবী বাক্য طوقته بطوق (তাকে বেড়ি লাগিয়ে দিয়েছি) এর ন্যায়।
  • ২৩২২. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের এবং মুশরীকদের কাছ থেকে তোমরা অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে (৩ঃ ১৮৬)
  • ২৩২৩. আল্লাহর বাণীঃ যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং নিজেরা যা করেনি এমন কার্যের জন্যে প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে, এরূপ আপনি কখনো মনে করবেন না। তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে (৩ঃ ১৮৮)
  • ২৩২৪. আল্লাহর বাণীঃ আকশমন্ডল এবং পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকের জন্য (৩ঃ ১৯০)
  • ২৩২৫. আল্লাহর বাণীঃ যারা দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে (৩ঃ ১৯১)
  • ২৩২৬. আল্লাহর বাণীঃ হে আমাদের রব! কাউকে আপনি অগ্নিতে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয় হেয় করলেন এবং জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই (৩ঃ ১৯২)
  • ২৩২৭. আল্লাহর বাণীঃ হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে শুনেছি, ‘তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনয়ন কর’ অতএব আমরা ঈমান এনেছি (৩ঃ ১৯৩)
  • ২৩২৮. আল্লাহর বাণীঃ আর যদি আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে (নিসা ৪ঃ ৩)
  • ২৩২৯. আল্লাহর বাণীঃ এবং যে বিত্তহীন সে যেন সঙ্গত পরিমাণে ভোগ করে। তোমরা যখন তাদেরকে তাদের সম্পদ সমর্পণ করবে তখন সাক্ষী রাখবে (৪ঃ ৬) بِدَارًا অর্থ مبادرة তাড়াতাড়ি। أعددنا অর্থ أعتدنا অর্থাৎ প্রস্তুত করে রেখেছি। আর أعددنا – عتاد থেকে أفعلنا এর ওযনে।
  • ২৩৩০. আল্লাহর বাণীঃ সম্পত্তি বণ্টনকালে আত্মীয়, ইয়াতীম এবং অভাবগ্রস্থ লোক উপস্থিত থাকলে তাদেরকে তা হতে কিছু দেবে এবং তাদের সাথে সদালাপ করবে (৪ঃ ৮)
  • ২৩৩১. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তোমাদের জন্য (৪ঃ ১২)
  • ২৩৩২. আল্লাহর বাণীঃ হে ঈমানদারগণ! নারীদেরকে যবরদস্তি তোমাদের উত্তরাধিকারী গণ্য করা বৈধ নহে (৪ঃ ১৯) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত لَا تَعْضُلُوْهُنَّ তাদের উপর বল প্রয়োগ করো না। حُوْبًا -গুনাহ, تَعُوْلُوْا ঝুঁকে পড়। نِحْلَةً মোহর।
  • ২৩৩৩. আল্লাহর বাণীঃ পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির প্রত্যেকটির জন্য আমি উত্তরাধিকারী করেছি এবং যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারবদ্ধ তাদেরকে তাদের অংশ দেবে। আল্লাহ সর্ববিষয়ের দ্রষ্টা (৪ঃ ৩৩)
  • ২৩৩৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ অণু পরিমাণও জুলুম করেন না। مثقال ذرة এর অর্থ অনু পরিমান
  • ২৩৩৫. আল্লাহর বাণীঃ যখন প্রত্যেক উম্মত হতে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব তখন কী অবস্থা হবে (৪ ঃ ৪১) الْخَتَّالُ الْمُخْتَالُ একই অর্থে ব্যবহৃত, দাম্ভিক। نَطْمِسَ সমান করে দেব। শেষ পর্যন্ত তাদের গর্দানের পশ্চাৎদিকের মতো হয়ে যাবে। طَمَسَ الْكِتَابَ কিতাবের লেখা মুছে ফেলা। سَعِيْرًا জ্বলন্ত।
  • ২৩৩৬. আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসুলের এবং তাদের, যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী। কোন বিষয়ে তোমাদের মতভেদ থাকলে তা উপস্থিত কর, আল্লাহ ও রাসুলের কাছে তা-ই উত্তম এবং পরিনামে প্রকৃষ্টতর (৪ঃ ৫৯) وَأُولِي الأَمْرِ – দায়িত্বশীল।
  • ২৩৩৭. আল্লাহর বাণীঃ কিন্তু না, আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারাভার আপনার উপর অর্পণ না করে; এরপর আপনার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরনে তা মেনে না নেয় (৪ঃ ৬৫)
  • ২৩৩৮. আল্লাহর বাণীঃ কেউ আল্লাহএবং রসূলের আনুগত্য করে ......... যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন। (সূরাহ আন-নিসা ৪ঃ ৬৯)
  • ২৩৩৯. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করবে না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুগণের জন্য … যার অধিবাসী জালিম (৪ঃ ৭৫)
  • ২৩৪০. আল্লাহর বাণীঃ "তোমাদের কী হল যে, তোমরা মুনাফিকদের সম্বন্ধে দু'দল হয়ে গেলে! যখন আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন (৪ঃ ৮৮) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, بَدَّدَهُمْ-তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করেছেন, فِئَةٌ-দল।
  • ২৩৪২. আল্লাহর বাণীঃ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনগণকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম (৪ঃ ৯৩)
  • ২৩৪৩. আল্লাহর বাণীঃ কেউ তোমাদেরকে সালাম করলে তাকে বলো না ‘তুমি মু’মিন নও’ (৪ঃ ৯৪)
  • ২৩৪৪. আল্লাহর বাণীঃ মু’মিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয় (৪ঃ ৯৫)
  • ২৩৪৫. আল্লাহর বাণীঃ যারা নিজেদের উপর জুলুম করে তাদের প্রাণ গ্রহণের সময় ফেরেশতাগণ বলে, তোমরা কী অবস্থায় ছিলে? তারা বলে, দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম; তারা বলে, দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না যেথায় তোমরা হিজরত করতে? (৪ঃ ৯৭)
  • ২৩৪৬. আল্লাহর বাণীঃ তবে সেসব অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশু কোন উপায় অবলম্বন করতে পারে না এবং কোন পথও পায় না (৪ঃ ৯৮)
  • ২৩৪৭. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ অচিরেই তাদের পাপ মোচন করব্রেন, আল্লাহ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল (৪ঃ ৯৯)
  • ২৩৪৮. আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা বৃষ্টির কারণে কষ্ট পাও অথবা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নেই (৪ঃ ১০২)
  • ২৩৪৯. আল্লাহর বাণীঃ লোকে আপনার কাছে নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায় আপনি বলুন আল্লাহই তাদের সম্বন্ধে তোমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছেন, এবং ইয়াতীম নারীদের সম্পর্কে (যাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান কর না অথচ তোমরা তাদেরকে বিয়ে করতে চাও, অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে এবং ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ন্যায় বিচার সম্পর্কে) যা কিতাবে শোনানো হয় (৪ঃ ১২৭)
  • ২৩৫০. কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশংকা করে (৪ঃ ১২৮) ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেছেন, شِقَاقٌ পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ, وَأُحْضِرَتْ الْأَنْفُسُ الشُّحَّ কোন বস্তুর প্রতি অত্যধিক আশঙ্কা বা লোভ করা, كَالْمُعَلَّقَةِ সধবাও নয়, বিধবাও নয়। نُشُوْزًا হিংসা।
  • ২৩৫১. আল্লাহর বাণীঃ মুনাফিকগণ তো জাহান্নামের নিন্মতম স্তরে থাকবে (৪ঃ ১৪৫) ইবনু ‘আববাস (রাঃ) أَسْفَلَ النَّارِ সম্বন্ধে পদের সঙ্গে পড়েছেন। نَفَقًا ভূগর্ভ, সুড়ঙ্গ।
  • ২৩৫২. আল্লাহর বাণীঃ তোমার নিকট ওহী প্রেরণ করেছি যেমন ইউনুস, হারুন এবং সুলাইমান (আঃ) এর নিকট ওয়াহী প্রেরণ করেছিলাম। (নিসা ৪ঃ ১৬৩)
  • ২৩৫৩. আল্লাহর বাণীঃ লোকে তোমার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়। বল, পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্বন্ধে তোমাদেরকে আল্লাহ ব্যবস্থা জানাচ্ছেন – কোন পুরুষ মারা গেলে সে যদি সন্তানহীন হয় এবং তার এক ভগ্নি থাকে তবে তার জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ, এবং সে যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে (৪ঃ ১৭৬) كَلَالَةِ যার পিতা কিংবা পুত্র উত্তরাধিকারী না থাকে مُكَلَّةُ النَّسَبِ বাক্য থেকে এটা ক্রিয়াপদ।
  • ২৩৫৪. আল্লাহর বাণীঃ আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। (৫ঃ ৩)
  • ২৩৫৫. আল্লাহর বাণীঃ এবং যদি পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করবে (৫ঃ ৬)
  • ২৩৫৬. আল্লাহর বাণীঃ সুতরাং তুমি ও তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর, আমরা এখানে বসে থাকব (৫ঃ ২৪)
  • ২৩৫৭. আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্য করে বেড়ায় তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক হতে তাদের হাত পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে (দুনিয়ায় এটাই তাদের লাঞ্চনা ও আখিরাতে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে) (৫ঃ ৩৩) [ الْمُحَارَبَتُ لِلَّهِ الْكُفْرُبِهِ ]-আল্লাহর সাথে কুফরী করা।
  • ২৩৫৮. আল্লাহর বাণীঃ এবং যখমের বদল অনুরূপ যখম (৫ঃ ৪৫)
  • ২৩৫৯. আল্লাহর বাণীঃ হে রাসুল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর (৫ঃ ৬৭)
  • ২৩৬০. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না (৫ঃ ৮৯)
  • ২৩৬১. আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ ! আল্লাহ তোমাদের জন্যে উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন সেগুলোকে তোমরা হারাম করো না। (এবং সীমালঙ্ঘন করে না। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না) (৫ঃ ৮৭)
  • ২৩৬২. আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজা, বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কার্য (সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার) (৫ঃ ৯০) ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেছেন, الْأَزْلَامُ সে সকল তীর যেগুলো দ্বারা তারা কর্মসমূহের ভাগ্য পরীক্ষা করে। النُّصُبُ বেদী, সেগুলো তারা প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখানে পশু যবহ করে। অন্য কেউ বলেছেন الزَّلَمُ তীর, الْأَزْلَامُ এর একবচন, ভাগ্য পরীক্ষার পদ্ধতি এই যে, তীরটাকে ঘুরাতে থাকবে। তীর যদি নিষেধ করে তো বিরত থাকবে আর যদি তাকে কর্মের নির্দেশ দেয় তাহলে সে নির্দেশিত কাজ করে যাবে। তীরগুলোকে বিভিন্ন প্রকার চিহ্ন দ্বারা চি‎‎হ্নত করা হয় এবং তা দ্বারা তথাকথিত ভাগ্য পরীক্ষা করা হয়। এতদসম্পর্কে فَعَلْتُ-এর কাঠামোতে قَسَمْتُ ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ আমি ভাগ্য যাচাই করেছি, এর ক্রিয়া হচ্ছে الْقُسُوْمُ
  • ২৩৬৩. আল্লাহর বাণীঃ যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা ভক্ষন করেছে তজ্জন্য তাদের কোন পাপ নেই, যদি তারা সাবধান হয় এবং ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে, পুনরায় সাবধান হয় এবং সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের ভালবাসেন (৫ঃ ৯৩)
  • ২৩৬৪. আল্লাহর বাণীঃ হে মু'মিনগণ ! তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)
  • ২৩৬৫. আল্লাহর বাণীঃ বাহীরা, সাইবা, ওয়াসীলা ও হাম আল্লাহ স্থির করেন নি (৫ঃ ১০১)
  • ২৩৬৬. আল্লাহর বাণীঃ যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী; কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমি তো ছিলে তাদের কর্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই সর্ববিষয়ে সাক্ষী (৫ঃ ১১৭)
  • وعلم ادم الاسماء كلها এবং তিনি আদম (আঃ) কে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন (২ঃ ৩১)
  • ২৩৬৭. আল্লাহর বাণীঃ তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তো তবে তারা তো তোমারই বান্দা, আর যদি তাদেরকে মাফ কর, তবে তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫ঃ ১১৮)
  • ২৩৬৮. আল্লাহর বাণীঃ অদৃশ্যের কুঞ্জি তারই কাছে রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না (৬ঃ ৫৯)
  • ২৩৬৯. আল্লাহর বাণীঃ বল, তোমাদের ঊর্ধ্বদেশ থেকে শাস্তি প্রেরণ করতে কিংবা তলদেশ থেকে (তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করতে এবং একদল অপর দলের সংঘর্ষের আস্বাদ গ্রহন করাতে তিনি সক্ষম। দেখ, কী রূপ বিভিন্ন প্রকারের আয়াত বিবৃত করি যাতে তারা অনুধাবন করে (৬ঃ ৬৫) )
  • ২৩৭০. আল্লাহর বাণীঃ এবং তাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করে নি (৬ঃ ৮২)
  • ২৩৭১. আল্লাহর বাণীঃ ইউনুস ও লুতকে এবং শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম বিশ্বজগতের উপর প্রত্যেককে (৬ঃ ৮৬)
  • ২৩৭২. আল্লাহর বাণীঃ তাদেরকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেছেন সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর (৬ঃ ৯০)
  • ২৩৭৩. আল্লাহর বাণীঃ ইহুদীদিগের জন্নে নখরযুক্ত সমস্ত পশু নিষিদ্ধ করেছিলাম এবং গরু ও ছাগলের চর্বিও তাদের জন্নে নিষিদ্ধ করেছিলাম। তবে এগুলোর পৃষ্ঠের অথবা অস্রের কিংবা অগ্নিসংলগ্ন চর্বি ব্যতীত, তাদের অবাধ্যতার দরুন তাদেরকে এই প্রতিফল দিয়েছিলাম, আমি তো সত্যবাদী (৬ঃ ১৪৬)
  • ২৩৭৪. আল্লাহর বাণীঃ প্রকাশ্য হোক কিংবা গোপন হোক অশ্লীল আচরণের নিকটও যাবে না (৬ঃ ১৫১)
  • ২৩৭৬. আল্লাহর বাণীঃ যেদিন তোমর প্রতিপালকের কোন নির্দেশ আসবে সেদিন তার ঈমান কাজে আসবে না (যে ব্যক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি কিংবা যে ব্যক্তি ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি) (৬ঃ ১৫৮)
  • ২৩৭৭. আল্লাহর বাণীঃ বল, আমার প্রতিপালক নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা (৭ঃ ৩৩)
  • ২৩৭৮. আল্লাহর বাণীঃ মুসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হল এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও, আমি তোমাকে দেখব, তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনোই দেখতে পাবে না। তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি লক্ষ কর, তা যদি স্ব-স্থানে স্থির থাকে তবে তুমি আমাকে দেখবে, যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করল আর মুসা (আঃ) সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। যখকন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেন, মহিমময় তুমি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমাতেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম (৭ঃ ১৪৩) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, أَرِنِيْ আমাকে দেখা দাও।
  • ২৩৭৯. আল্লাহর বাণীঃ মান্না এবং সালওয়া (৭ঃ ১৬০)
  • ২৩৮০. আল্লাহর বাণীঃ বল, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্যে আল্লাহর রাসুল। যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান, সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি ও তার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তার বাণীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তার অনুসরণ কর যাতে তোমরা পথ পাও। (৭ঃ ১৫৮)
  • ২৩৮২. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা বল ক্ষমা চাই (৭ঃ ১৬১)
  • ২৩৮৩. আল্লাহর বাণীঃ তুমি ক্ষমাপরায়নতা অবলম্বন কর, সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদের উপেক্ষা কর (৭ঃ ১৯৯)
  • আল্লাহর বাণীঃ লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে, বল, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ এবং রাসুলের, সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজদিগের মধ্যে সদভাব স্থাপন কর (৮ঃ ১) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, الْأَنْفَالُ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, কাতাদাহ বলেন, رِيْحُكُمْ যুদ্ধ, نَافِلَةٌ দান।
  • ২৩৮৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম জীব সেই বধির ও মূক যারা কিছুই বুঝে না (৮ঃ ২২) قال هم نفر من بني عبد الدار ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন তারা বনী আবদুদ দার গোষ্ঠীর একদল লোক।
  • ২৩৮৫. আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদেরকে প্রানবন্ত করে, তখন আল্লাহ ও রাসুলের আহবানে সাড়া দেবে এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের অন্তরালে থাকেন এবং তারই কাছে তোমাদের একত্র করা হবে (৮ঃ ২৪) اسْتَجِيْبُوْا তোমরা সাড়া দাও, لِمَا يُحْيِيْكُمْ তোমাদেরকে সংশোধন করার জন্যে।
  • ২৩৮৬. আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর, তারা বলেছিল, হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার পক্ষ থেকে সত্য হয়, তবে আমাদের উপর আকাশ হতে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দাও (৮ঃ ৩২)
  • ২৩৮৭. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ এমন নহেন যে, তুমি তাদের মধ্যে থাকবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন এবং আল্লাহ এমনও নহেন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন (৮ঃ ৩৩)
  • ২৩৮৮. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষন না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা (৮ঃ ৩৯)
  • ২৩৮৯. আল্লাহর বাণীঃ হে নবী ! মুমিনদের জিহাদের জন্যে উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে বিশজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দু'শ জনের উপর বিজয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে একশ'জন থাকলে এক সহস্র কাফেরের উপর বিজয়ী হবে। কারন তারা এমন এক সম্প্রদায় যার বোধশক্তি নেই (৮ঃ ৬৫)
  • ২৩৯০. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন। তিনি অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে ... আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন (৮ঃ ৬৬)
  • ২৩৯১. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা মুশরিকদের সাথে যেসব চুক্তি করেছিলে আল্লাহ ও তার রাসুলের তরফ থেকে সেসব বিচ্ছেদ করা হল (৯ঃ ১) ইব্ন ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, أَذَنٌ কারো কথা শুনে তা সত্য বলে ধারণা করা। تُطَهِّرُهُمْ এবং تُزَكِّيْهِمْ এর একই অর্থ, এ ব্যবহার পদ্ধতি অধিক। সে পবিত্র করে। زَكْوَةٌ ‘ইবাদাত ও নিষ্ঠা لَا يُؤْتُوْنَ الزَّكَاةَ (তারা যাকাত প্রদান করে না) (এবং) তারা এ সাক্ষ্যও প্রদান করে না যে, আর কোন উপাস্য নেই এক আল্লাহ ব্যতীত। يُضَاهُوْنَ তারা তুলনা দিচ্ছে।
  • ২৩৯২. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ (হে মুশরিকদল) তোমরা তারপর দেশে চার মাস কাল পরিভ্রমন কর ও জেনে রাখ যে, তোমরা আল্লাহকে হীনবল করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের লাঞ্চিত করে থাকেন (৯ঃ ২) سيحوا سيروا পরিভ্রমন করা।
  • ২৩৯৩. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে হজ্জে আকবরের দিনে আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের প্রতি এটা এক ঘোষণা যে, আল্লাহর সাথে মশরিকদের কোন সম্পর্ক রইল না এবং তার রাসুলেরও নয়। যদি তোমরা তওবা কর তাহলে তা (তোমাদের জন্য) মঙ্গলকর। আর যদি বিমুখ হও, তবে জেনে রাখ যে, তোমরা আল্লাহকে হীনবল করতে পারবে না। আর হে নবী! কাফেরদের যন্ত্রনাময় শাস্তির সংবাদ দিন (৯ঃ ৩)
  • ২৩৯৪. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তবে মুশরীকদের মধ্যে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছ (৯ঃ৪)
  • ২৩৯৫. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তবে কাফের নেতৃবৃন্দের সাথে যুদ্ধ করবে। এরা এমন লোক যাদের প্রতিশ্রুতিই নয় (৯ঃ ১২)
  • ২৩৯৬. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যারা স্বর্ণ, রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় করে বা, তাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন (৯ঃ ৩৪)
  • ২৩৯৮. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ নিশ্চয় আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গননায়, মাস বারোটি। তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান (৯ঃ ৩৬) القيم শব্দটি قائم (প্রতিষ্ঠিত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।
  • ২৩৯৯. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন দু’জনের একজন (৯ঃ ৪০) معنا অর্থ আল্লাহ আমাদের সাহায্যকারী, فعيلة السكينة এর সম ওযনে سكون থেকে, অর্থ প্রশান্তি
  • ২৪০০. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এবং যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য (৯ঃ ৬০) মুজাহিদ বলেছেন, তাদেরকে দানের মাধ্যমে আকৃষ্ট করতেন।
  • ২৪০১. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ মু’মিনদের মধ্যে যারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাদকা প্রদান করে এবং যারা নিজ শ্রম ব্যতীরেকে কিছুই পায় না, তাদেরকে যারা দোষারূপ করে ও বিদ্রুপ করে আল্লাহ তাদের বিদ্রুপ করেন; তাদের জন্য রয়েছে অতি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (৯ঃ ৭৯) يلمزون يعيبون و جهدهم وجهدهم طاقتهم - তাদের সাধ্যমত। অর্থ তাদের পরিশ্রমে ত্রুটি ধরে, جهد অর্থ শক্তি (৯ঃ ৭৯)
  • ২৪০২. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ (হে রাসুল) আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করুন, একই কথা, আপনি তাদের জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদের কখনই ক্ষমা করবেন না (এর কারন, তারা আল্লাহ ও তার রাসুলকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না) (৯ঃ ৮০)
  • ২৪০৩. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যদি তাদের (মুনাফিকদের) কেউ মারা যায় আপনি কখনো তাদের জানাযার নামায আদায় করবেন না এবং তাদের কবরের কাছেও দাঁড়াবেন না (৯ঃ ৮৪)
  • ২৪০৪. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা আল্লাহর শপথ করবে, যাতে তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর, সুতরাং তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা করবে। তারা অপবিত্র, তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ জাহান্নাম তাদের আবাসস্থল (৯ঃ ৯৫)
  • ২৪০৬. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ এবং অপর কতক লোক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা সৎকর্মের সাথে অপর অসৎকর্মের মিশ্রন ঘটিয়েছে। সম্ভবত, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ১০২)
  • ২৪০৭. মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নাবী এবং মু’মিনদের জন্য সঙ্গত নয় (৯ঃ ১১৩)
  • ২৪০৮. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ অবশ্যই আল্লাহ অনুগ্রহপরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি, যারা সংকটকালে তার অনুগমন করেছিল। এমনকি তাদের একদলের অন্তর বাঁকা হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, পরে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করলেন, নিশ্চয়ই তিনি তাদের প্রতি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু (৯ঃ ১১৭)
  • ২৪০৯. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ এবং তিনি সে তিনজনকে ক্ষমা করলেন যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত মুলতবী রাখা হয়েছিল, যে পর্যন্ত না পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য অতি সংকুচিত হয়েছিল এবং তাদের জীবন তাদের জন্য দুর্বিষহ হয়েছিল এবং তারা উপলব্ধি করতে পেরেছিল যে, আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নেই, পরে তিনি তাদের প্রতি মেহেরবান হলেন, যাতে তারা তাওবা করে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ১১৮)
  • ২৪১০. আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও (৯ঃ ১১৯)
  • ২৪১১. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের কাছে এক রাসুল এসেছেন। তোমাদের যা বিপন্ন করে, তা তার জন্য অতি কষ্টদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু (৯ঃ ১২৮)
  • ২৪১২. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আমি বনী ইসরাইলকে সমুদ্র পার করলাম ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী ঔদ্ধত্য সহকারে সীমালঙ্ঘন করে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল। পরিশেষে যখন সে নিমজ্জিত হল তখন সে বলল, আমি বিশ্বাস করলাম, যার প্রতি বনী ইসরাইল বিশ্বাস করেছে। এবং আমি আত্মসমার্পনকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (১০ঃ ৯০) نُنَجِّيْكَ আমি তোমাকে যমীনের উঁচু স্থানে ফেলে রাখব। نَجْوَةٍ উচ্চ স্থান।
  • ২৪১৩. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ সাবধান! ওরা তার কাছে গোপন রাখার জন্য ওদের দ্বিভাজ (সংকুচিত) করে। সাবধান! ওরা যখন নিজেদেরকে বস্রে আচ্ছাদিত করে, তখন ওরা যা কিছু গোপন করে ও প্রকাশ করে, তিনি তা জানেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের অন্তরের বিষয় অবগত আছে। ( ১১ঃ ৫) অন্যজন বলেন, حَاقَ অবতীর্ণ হল। يَحِيْقُ অবতীর্ণ হয়। فَعُوْلٌ-يَئُوْسٌ এর ওযন يَئِسْتُ থেকে (নিরাশ হওয়ার অর্থে)। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, تَبْتَئِسْ দুঃখ করা।يَثْنُوْنَ صُدُوْرَهُمْ হকের মধ্যে সন্দেহ করা। لِيَسْتَخْفُوْا مِنْهُ আল্লাহ থেকে, গোপন রাখে যদি তারা সক্ষম হয়।
  • ২৪১৪. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এবং তাঁর ‘আরশ ছিল পানির ওপরে
  • ২৪১৫. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ সাক্ষীগণ বলবেঃ এরাই হলো সেসব লোক যারা তাদের প্রতিপালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করেছিল। সাবধান! আল্লাহর লা'নত জালিমদের ওপর (১১ঃ ১৮) أَشْهَادُ-এর একবচন হল, شَاهِدٌ যেমন, أَصْحَابٌ -এর এক বচন صَاحِبٌ
  • ২৪১৬. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ এবং এরূপই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি। তিনি শাস্তি দান করেন জনপদসমূহকে, যখন তারা জুলুম করে থাকে। তার শাস্তি মর্মন্তুদ কঠিন (১১ঃ ১০২) الرِّفْدُ الْمَرْفُوْدُ অর্থাৎ সাহায্য, যে সাহায্য করা হয় (বলা হয়) رَفَدْتُهُ আমি তাকে সাহায্য করলাম। تَرْكَنُوْا ঝুঁকে পড়। فَلَوْلَا كَانَ কেন হয়নি। أُتْرِفُوْا তাদের ধ্বংস করে দেয়া হল। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, زَفِيْرٌ وَشَهِيْقٌ বিকট আওয়াজ এবং ক্ষীণ আওয়াজ।
  • ২৪১৭. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ নামায কায়েম করবে দিবসের দু'প্রান্তভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। নেক কাজ অবশ্যই পাপ মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহন করে এটি তাদের জন্য এক উপদেশ (১১ঃ ১১৪) زُلَفًا সময়ের পর সময় এবং এসব থেকেই مُزْدَلِفَةُ এর নামকরণ করা হয়েছে। মনযিলের পর মনযিল এবং زُلْفَى মাসদার অর্থ নিকটবর্তী হওয়া। ازْدَلَفُوْا একত্রিত হয়েছে। أَزْلَفْنَا আমরা একত্রিত হয়েছি।
  • আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ ويتم نعمته عليك وعلى آل يعقوب كما أتمها على أبويك من قبل إبراهيم وإسحاق আর আল্লাহ তোমার প্রতি এবং ইয়াকুব পরিবার-পরিজনের প্রতি তার অনুগ্রহ পূর্ণ করবেন, যেভাবে তিন তা করেছিলেন তোমার পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম ও ইসহাকের প্রতি।
  • আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ لقد كان في يوسف وإخوته آيات للسائلين “ইউসুফ ও তার ভাইদের ঘটনায় জিজ্ঞাসুদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।“ (১২:৭)।
  • আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “সে (ইয়াকুব (আঃ) বলল, না, তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী সাজিয়ে দিয়েছে।“ (১২ঃ ১৮)। سولت সুন্দর করে সাজিয়ে শোভনীয় করে দেখান।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ সে (ইউসুফ (আঃ) যে স্ত্রী লোকের ঘরে ছিল সে তার থেকে অসৎ কর্ম কামনা করল এবং দরজা গুলো বন্ধ করে দিল ও বলল, এসো। ইকরিমা বলেন, هيت আইস হুরানের ভাষা, ইবন জুবায়র বলেন, تعاله এসো।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ فَلَمَّا جَاءَهُ الرَّسُولُ قَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ “যখন দূত ইয়ুসুফ (আ) এর নিকট উপস্থিত হল তখন সে বলল, তুমি তোমার প্রভুর নিকট ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, যে সকল নারী হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কি! আমার প্রতিপালক তো তাদের অবস্থা সম্যক অবগত। বাদশাহ নারীদের বলল, যখন তোমরা ইয়ুসুফ থেকে অসৎ কর্ম কামনা করেছিলে তখন তোমাদের কি অবস্থা হয়েছিল? তারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! আমাদের ও তার মধ্যে কোন দোষ দেখিনি। حاش وحاشى এটা تنزيه এবং استثناء এর জন্য। حصحص অর্থ প্রকাশ হয়ে গেল।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ حتى إذا استيأس الرسل “এমনকি যখন রাসুলগন নিরাশ হয়ে গেলেন”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ الله يعلم ما تحمل كل أنثى প্রত্যেক নারী যা গর্ভে ধারন করে এবং জরায়ু তে যা কিছু কমে ও বাড়ে আল্লাহ তা জানেন। غيض হ্রাস পেল ।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, كشجرة طيبة أصلها “সে উৎকৃষ্ট বৃক্ষের ন্যায় যার মূল সুদৃঢ় ও যার শাখা প্রশাখা ঊর্ধ্বাকাশে বিস্তৃত , যা প্রতি মৌসুমে ফল দান করে”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, يثبت الله الذين آمنوا بالقول الثابت “যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী , তাদের আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ألم تر إلى الذين بدلوا نعمة الله كفرا “আপনি কি তাদের লক্ষ্য করেন না যারা আল্লাহর অনুগ্রহের বদলে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ألم تر আপনি কি জানেন না ألم تعلم এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ألم تر كيف অথবা ألم تر إلى الذين خرجوا আয়াতে এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। البوار ধ্বংস । এটা بار يبور بورا থেকে গঠিত । قوما بورا অর্থ ধ্বংসশীল সম্প্রদায় ।
  • আল্লাহ তা’আলার বানী, إلا من استرق السمع فأتبعه شهاب مبين “আর কেউ চুপিসারে সংবাদ শুনতে চাইলে তার পশ্চাৎ ধাবন করে প্রদীপ্ত শিখা”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, ولقد كذب أصحاب الحجر المرسلين নিশ্চয়ই হিজর বাসীগন রাসুলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ولقد آتيناك سبعا من المثاني والقرآن العظيم “আমি তো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুনঃপুন আবৃত্ত হয় এবং দিয়েছি মহা কুরআন।
  • আল্লাহ তা”আলার বাণী, الذين جعلوا القرآن عضين যারা কুরআনকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছে। المقتسمين যারা শপথ করেছিল এবং এ অর্থে لا أقسم অর্থাৎ أقسم আমি শপথ করছি এবং لأقسم ও পড়া হয় قاسمهما (ইবলিস) শপথ করেছিল দুজনার কাছে। তারা দুজন (আদম য় হাওয়া ) তার জন্য শপথ করেনি। মুজাহিদ (র) বলেন, تقاسموا তারা শপথ করেছিল।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, ومنكم من يرد إلى أرذل العمر “এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে উপনীত করা হবে নিকৃষ্ট বয়সে”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, أسرى بعبده ليلا من المسجد الحرام তিনি তার বান্দাকে রজনীতে ভ্রমন করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, وإذا أردنا أن نهلك قرية أمرنا مترفيها “আমি যখন কোন জনপদ ধ্বংস করতে চাই তখন তার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে আদেশ করি”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, ذرية من حملنا مع نوح إنه كان عبدا شكورا “যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম, এরা হচ্ছে তাদের বংশধর। তারা ছিল পরম কৃতজ্ঞ বান্দা”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وآتينا داود زبورا আর আমি দাউদকে যাবুর দান করেছি”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ قل ادعوا الذين زعمتم من دونه فلا يملكون كشف الضر عنكم ولا تحويلا “বল, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর যাদের ইলাহ মনে কর, তাদের আহবান কর; তমদের দুঃখ দৈন্য দূর করার অথবা পরিবর্তন করার শক্তি ওদের নেই”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ أولئك الذين يدعون يبتغون إلى ربهم الوسيلة “তারা যাদের আহবান করে, তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وما جعلنا الرؤيا التي أريناك إلا فتنة للناس (হে রাসুল!) “আমি যে দৃশ্য আপনাকে দেখিয়েছি, তা কেবলমাত্র মানুষের পরীক্ষার জন্য”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণী, إن قرآن الفجر كان مشهودا “ফজরের সালাতে কুরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয় বিশেষ ভাবে”। মুজাহিদ (র) বলেন, الفجر দ্বারা এখানে সালাতে ফজর বুঝানো হয়েছে।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ عسى أن يبعثك ربك مقاما محمودا “আশা করা যায় তমার রব তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে” ।
  • আল্লাহ তা’আলার বানীঃ وقل جاء الحق وزهق الباطل إن الباطل كان زهوقا “এবং বল, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা ত বিলুপ্ত হওয়ারই”। يزهق ধ্বংস হবে।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ويسألونك عن الروح “তোমাকে তারা রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করছে”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ولا تجهر بصلاتك ولا تخافت بها “সালাতে স্বর উঁচু করবেনা এবং অতিশয় ক্ষীণ ও করবেনা”। (১৭ঃ ১১০)।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وكان الإنسان أكثر شيء جدلا মানুষ অধিকাংশ ব্যপারেই বিতর্ক প্রিয়।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وإذ قال موسى لفتاه لا أبرح حتى أبلغ مجمع البحرين أو أمضي حقبا স্মরণ কর যখন মুসা তার খাদেমকে বলেছিলেন, দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে না পৌঁছে আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব। حقبا অর্থ যুগ, তার বহুবচন أحقاب
  • আল্লাহর বাণীঃ “যখন তারা দুজন দুসমুদ্রের সঙ্গমস্থলে পৌঁছলেন , তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেলেন। আর মাছটি সুড়ঙ্গের মত পথ করে সমুদ্রে নেমে গেল। سربا চলার পথ يسرب সে চলছে। এর থেকেই বলা হয়েছে سارب بالنهار দিনে পথ অতিক্রমকারী” ।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ‘যখন তারা আরও অগ্রসর হল, মুসা তার সাথীকে বললেন, আমাদের নাস্তা আন, আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। (বলল আপনি কি লক্ষ করেছেন, আমরা যখন শিলা খণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তান এ কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল।) মাছটি আশ্চর্যজনক ভাবে নিজের পথ করে সমুদ্রে নেমে গেল। صنعا কাজ, حولا ঘুরে যাওয়া, পরিবর্তন হওয়া । قال ذلك ما كنا نبغ فارتدا على آثارهما قصصا মুসা বললেন, আমরা তো সে স্থানটি অনুসন্ধান করছিলাম। এরপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল। إمرا و نكرا উভয়ের একি অর্থ, অন্যায় কাজ ينقض শব্দের অর্থ নিপতিত হবে। لتخذت واتخذت উভয়ের একই অর্থ। رحما শব্দটি رحم থেকে গঠিত। অত্যধিক দয়া ও করুনা। কারও মতে এটা رحيم থেকে গঠিত। মক্কাকে বলা হয় أم رحم যেহেতু সেখানে রহমত নাযিল হয়।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ বল, আমি কি তোমাদের সংবাদ দিব কর্মে ক্ষতিগ্রস্তদের?
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তারা এমন যারা অস্বীকার করে নিজেদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী এবং তার সাথে তাদের সাক্ষাতের বিষয়। ফলে তাদের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যায়।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তাদেরকে সতর্ক করে দাও পরিতাপের দিন সম্বন্ধে”............
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “আমরা আপনার প্রতিপালকের আদেশ ব্যতীত অবতরণ করবনা (যা রয়েছে আমাদের সম্মুখে ও পেছনে)”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তুমি লক্ষ্য করেছ তাকে, যে আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করে এবং বলে, আমাকে ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দেওয়া হবেই”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ‘সেকি অদৃশ্য সম্বন্ধে অবহিত হয়েছে অথবা দয়াময়ের নিকট হতে প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে? عهد অর্থ দৃঢ় প্রতিশ্রুতি।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “ কখনওই নয়, তারা যা বলে, আমি তা অনতিবলম্বে লিখে রাখব এবং তাদের শাস্তি বৃদ্ধি করতে থাকব”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ সে যে বিষয়ের কথা বলে তা থাকবে আমার অধিকারে এবং সে আমার নিকট আসবে একা। ইবন আব্বাস (রা) বলেন, الجبال هدا এর অর্থ পাহাড় গুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য প্রস্তুত করে দিয়েছি”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “আমি অবশ্যই মুসার প্রতি ওহী নাযিল করেচ্ছিলেম এ মর্মে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রজনীতে বের হও এবং তাদের জন্য সমুদ্রের মধ্য দিয়ে এক শুকনো পথ বের করে নাও। পশ্চাৎ থেকে এসে তোমাকে ধরে ফেলা হবে এ আশংকা করোনা। এবং ভয় করোনা। তারপর ফিরাউন তাঁর সেনাবাহিনী সহ তাদের পিছনে ধাওয়া করল। আর সমুদ্র তাদের সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত করল। আর ফিরাউন তাঁর সম্প্রদায়কে পথভ্রষ্ট করেছিল এবং সৎপথ দেখায়নি”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ فلا يخرجنكما من الجنة فتشقى “সে যেন কিছুতেই তোমাদের জান্নাত থেকে বের করে না দেয়, যাতে তোমরা কষ্টে পতিত হও”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ كما بدأنا أول خلق “যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وترى الناس سكارى “এবং মানুষকে দেখবে মাতাল”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ومن الناس من يعبد الله على حرف “মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর ইবাদত করে দ্বিধার সাথে”। حرف অর্থ দ্বিধা। فإن أصابه خير اطمأن به وإن أصابته فتنة انقلب على وجهه خسر الدنيا والآخرة إلى قوله ذلك هو الضلال البعيد “যখন তার কল্যাণ হয় তখন তার চিত্ত প্রশান্ত হয় এবং যখন কোন বিপর্যয় ঘটে তখন সে তার পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুনিয়া ও আখিরাতে”.................. এ হল চরম বিভ্রান্তি বাক্য পর্যন্ত। أترفناهم অর্থ আমি তাদের প্রশস্ততা দান করলাম।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ هذان خصمان اختصموا في ربهم “এরা দুটি বিবাদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালকের ব্যপারে বিতর্ক করছে”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ والذين يرمون أزواجهم ولم يكن لهم شهداء إلا أنفسهم فشهادة أحدهم أربع شهادات بالله إنه لمن الصادقين “এবং যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ এ হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ والخامسة أن لعنة الله عليه إن كان من الكاذبين “এবং পঞ্চম বারে বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লানত”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ويدرأ عنها العذاب أن تشهد أربع شهادات بالله إنه لمن الكاذبين তবে স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ والخامسة أن غضب الله عليها إن كان من الصادقين “এবং পঞ্চম বারে বলে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ إن الذين جاءوا بالإفك عصبة منكم لا تحسبوه شرا لكم بل هو خير لكم لكل امرئ منهم ما اكتسب من الإثم والذي تولى كبره منهم له عذاب عظيم “যারা এ অপবাদ রচনা করেছে , তারা তো তোমাদেরই একটি দল; একে তোমরা তোমাদের জন্য অনিষ্টকর মনে করোনা; বরং এ তো তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তাদের প্রত্যেকের জন্য আছে তাদের কৃত পাপকর্মের ফল এবং তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে, তার জন্য আছে কঠিন শাস্তি”। أفاك অর্থ অতি মিথ্যাবাদী।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে , তোমরা যাতে লিপ্ত ছিলে তার কারনে কঠিন শাস্তি তোমাদেরকে স্পর্শ করত”। মুজাহিদ (র) বলেন, تلقونه এর অর্থ একে অপরের থেকে বর্ণনা করতে লাগল। تفيضون তোমরা বলাবলি করতে লাগলে।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “যখন তোমরা মুখে মুখে এ ঘটনা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন বিষয় মুখে উচ্চারন করছিলে যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিলনা এবং তোমরা একে তুচ্ছ মনে করেছিলে, যদিও আল্লাহর নিকট এটা ছিল গুরুতর বিষয়”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ‘আল্লাহ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন (তোমরা যদি মুমিন হও তবে) কখনও অনুরূপ আচরনের পুনরাবৃত্তি করোনা”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “আল্লাহ তমদের জন্য আয়াত সমূহ সুস্পষ্ট ভাবে বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وليضربن بخمرهن على جيوبهن “তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “যাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায় জাহান্নামে একত্র করা হবে, তাদেরই স্থান অতি নিকৃষ্ট এবং তারাই পথভ্রষ্ট”।
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর তারা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহ কে ডাকেনা। আল্লাহই যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারন ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করেনা এবং ব্যভিচার করেনা। যে এগুলো করে সে শাস্তি ভোগ করবে’। الثام মানে শাস্তি।
  • আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায়।”
  • আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “তারা নহে, যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ্ তাদের পাপ পরিবর্তন করে দিবেন পুণ্যের দ্বারা। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
  • আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “অচিরেই নেমে আসবে অপরিহার্য ধ্বংস।” لزاما অর্থ ধ্বংস
  • অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘আমাকে লাঞ্ছিত করো না পুনরুত্থান দিবসে।’ ইব্রাহীম ইব্ন তহমান (র)………. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন ইব্রাহীম (আ) তাঁর পিতাকে ধূলি-ময়লা অবস্থায় দেখতে পাবেন। এর অর্থ ধূলি-ময়লা।
  • আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “তোমার নিকটের আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও এবং (মু’মিনদের প্রতি) বিনয়ী হও। (اخفض جناحك ) “তোমার পার্শ্ব নম্র রাখ।”
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "তুমি যাকে ভালবাস ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না, তবে আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন"
  • আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “যিনি তোমার জন্য কুরআনকে করেছেন বিধান।”
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনই পরিবর্তন নেই" خلق الله আল্লাহর সৃষ্টি এর অর্থ আল্লাহর দ্বীন। যেমন خلق الأولين অর্থাৎ دين الأولين পূর্ববর্তীদের দ্বীন। الفطرة ইসলাম
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ لا تشرك بالله إن الشرك لظلم عظيم "আল্লাহর কোন শরীক করো না, নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম"
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌, তারই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান (অর্থাৎ কখন ঘটবে)
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ فلا تعلم نفس ما أخفي لهم "কেউ ই জানে না, তাদের জন্য কি লুকায়িত রয়েছে।"
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ ادعوهم لآبائهم "তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক"
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ فمنهم من قضى نحبه ومنهم من ينتظر وما بدلوا تبديلا "তাদের কেউ কেউ তার অঙ্গীকার পূরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে তারা তাতে কোন পরিবর্তন করেনি"। نحبه তার অঙ্গীকার أقطارها তার পার্শ্বসমূহ الفتنة لآتوها তারা তা গ্রহন করত
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ قل لأزواجك إن كنتن تردن الحياة الدنيا وزينتها فتعالين أمتعكن وأسرحكن سراحا جميلا "হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলুনঃ তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর তবে আস আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় দেই।" التبرج আপন সৌন্দর্য প্রকাশ করা। سنة الله যে নীতি আল্লাহ্‌ নির্ধারণ করেছেন।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ وتخفي في نفسك ما الله مبديه وتخشى الناس والله أحق أن تخشاه তুমি তোমার অন্তরে যা গোপন কর, আল্লাহ্‌ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন। তুমি লোকভয় করছিলে অথচ আল্লাহকেই ভয় করা তোমার পক্ষে অধিকতর সঙ্গত।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ ترجئ من تشاء منهن وتؤوي إليك من تشاء ومن ابتغيت ممن عزلت فلا جناح عليك "তুমি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার কাছ থেকে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছে স্থান দিতে পার। আর তুমি যাকে দূরে রেখেছ, তাকে কামনা করলে তোমার কোন অপরাধ নেই। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন ترجئ দূরে রাখতে পার। أرجئه তাকে দূরে সরিয়ে দাও, অবকাশ দাও।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما হে মু’মিনগণ! তোমরা খাওয়ার জন্য খাবার প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নাবীর ঘরে তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত প্রবেশ করবে না; তবে তোমাদেরকে ডাকা হলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং খাওয়া শেষ হলে নিজেরাই চলে যাবে, কথাবার্তায় মাশগুল হয়ে পড়বে না। তোমাদের এ আচরণ অবশ্যই নাবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু আল্লাহ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা যখন তাঁর পত্নীদের নিকট হতে কোন কিছু চাইবে, তখন পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র উপায়। আল্লাহর রসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পত্নীদেরকে বিবাহ করা তোমাদের কারও পক্ষে কখনও বৈধ নয়। এটা আল্লাহর কাছে সাংঘাতিক অপরাধ। বলা হয় إِنَاهُ খাদ্য পরিপাক হওয়া। এটা أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةًথেকে গঠিত। لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا সম্ভবত ক্বিয়ামাত অতি নিকটবর্তী। যদি তুমি স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবে ব্যবহার কর, তবে قَرِيْبَةً বলবে। আর যদি الصِّفَةَ না ধর ظَرْفًا বা بَدَلًا হিসেবে ব্যবহার কর তবে ‘তা’ নিয়ে যুক্ত করবে না। তেমনি এ শব্দটি একবচন, দ্বি-বচন, বহুবচন এবং নারী-পুরুষ সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ তোমরা কোন বিষয় প্রকাশ কর অথবা গোপন রাখ, আল্লাহ্‌ সকল বিষয়ে জ্ঞাত। নবী (সাঃ) এর পত্নীদের জন্য কোন গুনাহ নেই, তাদের পিতা, পুত্র, ভাই ভাতিজা, ভাগিনা, সাধারণ মহিলা এবং দাসীদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সবকিছু দেখেন।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ এবং তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দুরুদ পাঠ করেন। হে মুমিনগণ (তোমরাও) তার প্রতি দুরুদ ও সালাম পাঠ কর। আবুল ‘আলীয়া (রহ.) বলেন, আল্লাহর সালাতের অর্থ নাবীর প্রতি ফেরেশতাদের সামনে আল্লাহর প্রশংসা। ফেরেশতার সালাতের অর্থ- দু‘আ। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, يُصَلُّوْنَ -এর অর্থ-বারকাতের দু‘আ করছেন। لَنُغْرِيَنَّكَ আমি তোমাকে বিজয়ী করব।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ 'এমনকি যখন তাদের মন থেকে আতংক দূরীভূত হয়, তখন তারা বলে তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? তারা বলবে সত্যই। আর তিনি উচ্চ ও মহান।
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "সে তো আমাদের সম্মুখে এক আসন্ন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ককারী মাত্র।"
  • আল্লাহর বাণীঃ والشمس تجري لمستقر لها ذلك تقدير العزيز العليم "এবং সূর্য ভ্রমন করে তার নির্দৃিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এ পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রন।"
  • আল্লাহর বাণীঃ وإن يونس لمن المرسلين ইউনুস ছিলেন রাসুলদের একজন।
  • আল্লাহর বাণীঃ هب لي ملكا لا ينبغي لأحد من بعدي إنك أنت الوهاب "হে আমার রব! আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য, যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। আপনি তো পরম দাতা (৩৮ঃ ৩৫)
  • আল্লাহর বাণীঃ "আমি বানোয়াটকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই"
  • আল্লাহর বাণীঃ يا عبادي الذين أسرفوا على أنفسهم لا تقنطوا من رحمة الله إن الله يغفر الذنوب جميعا إنه هو الغفور الرحيم "বল হে আমার বান্দাগন! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ্‌ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (৩৯ঃ ৫৩)
  • আল্লাহর বাণীঃ "তারা আল্লাহ্‌র যথোচিত সম্মান করে না"
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ونفخ في الصور فصعق من في السموات ومن في الأرض إلا من شاء الله ثم نفخ فيه أخرى فإذا هم قيام ينظرون "এবং শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে, ফলে যাদের আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করেন তারা ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সকলে মুর্ছিত হয়ে পড়বে। এরপর আবার শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وما كنتم تستترون أن يشهد عليكم سمعكم ولا أبصاركم ولا جلودكم ولكن ظننتم أن الله لا يعلم كثيرا مما تعملون "তোমাদের চক্ষু, কান এবং তোমাদের চামড়া তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে, এ থেকে তোমরা কখনো নিজেদের লূকাতে পারবে না। কিন্তু তোমরা মনে করতে তোমরা যা কিছু করেছ তার অনেক কিছুই আল্লাহ্‌ জানেন না (৪১ঃ ২২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ তা তোমাদের ধারনা ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "এখন তারা ধৈর্য ধারণ করলেও জাহান্নামই হবে তাদের আবাস এবং তারা ক্ষমা চাইলেও তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে না" (৪১ঃ ২৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إلا المودة في القربى আত্মীয়ের সৌহার্দ ব্যতীত
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ونادوا يا مالك ليقض علينا ربك "তারা চিৎকার করে বলবে, হে মালিক! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের নিঃশেষ করে দেন।"
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فارتقب يوم تأتي السماء بدخان مبين "অতএব তুমি অপেক্ষা কর সেদিনের, যেদিন ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ।" (৪৪ঃ ১) فارتقب অপেক্ষা কর
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ يغشى الناس هذا عذاب أليم "তা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে, এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি।" (৪৪ঃ ১১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ربنا اكشف عنا العذاب إنا مؤمنون "তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ শাস্তি থেকে মুক্তি দান কর, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনব।" (৪৪ঃ ১২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ أنى لهم الذكرى وقد جاءهم رسول مبين তারা কি করে উপদেশ গ্রহন করবে? তাদের নিকট তো এসেছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দানকারী এক রাসুল। (৪৪ঃ ১৩) الذكر এবং الذكرى একার্থবোধক শব্দ।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ثم تولوا عنه وقالوا معلم مجنون এরপর তারা তাকে অমান্য করে বলে সে তো শিখানো বুলি বলছে, সে তো এক পাগল (৪৪ঃ ১৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ يوم نبطش البطشة الكبرى إنا منتقمون "যেদিন আমি তোমাদেরকে প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদের শাস্তি দেবই।" (৪৪ঃ ১৬)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ والذي قال لوالديه أف لكما أتعدانني أن أخرج وقد خلت القرون من قبلي وهما يستغيثان الله ويلك آمن إن وعد الله حق فيقول ما هذا إلا أساطير الأولين "আর এমন লোক আছে যে, তার পিতামাতাকে বলে, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে এই ভয় দেখাতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব, যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হয়েছে। তখন তার পিতা মাতা আল্লাহ্‌র কাছে ফরিয়াদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমাদের জন্য! ঈমান আন- আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। কিন্তু সে বলে, এ তো অতীতকালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়" পর্যন্ত (৪৬ঃ ১৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فلما رأوه عارضا مستقبل أوديتهم قالوا هذا عارض ممطرنا بل هو ما استعجلتم به ريح فيها عذاب أليم "এরপর যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন তারা বলতে লাগল, এ তো মেঘ, আমাদের বৃষ্টি দান করবে (হুদ বলল) এ তো যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছ, এতে রয়েছে এ ঝড়- মর্মন্তুদ শাস্তি বহনকারী।" (৪৬ঃ ২৪) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, عارض অর্থ মেঘ।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وتقطعوا أرحامكم "এবং আত্মীয়ের বন্ধন ছিন্ন করবে।"
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إنا فتحنا لك فتحا مبينا "নিশ্চয়ই আমি তোমাদের দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়।"
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ليغفر لك الله ما تقدم من ذنبك وما تأخر ويتم نعمته عليك ويهديك صراطا مستقيما "যেন আল্লাহ্‌ তোমার অতীত ও ভবিষ্যৎ ত্রুটিসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমার প্রতি তার অনুগ্রহ পূর্ণ করেন ও তোমাকে সরল পথে পরিচালিত করেন (৪৮ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إنا أرسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে (৪৮ঃ ৮)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ هو الذي أنزل السكينة في قلوب المؤمنين তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি প্রদান করেন। (৪৮ঃ ৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إذ يبايعونك تحت الشجرة যখন বৃক্ষতলে তারা তোমার কাছে বায়আত গ্রহন করল। (৪৮ঃ ১৮)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي (হে মুমিনগণ) তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করোনা (৪৯ঃ২) تشعرون মানে তোমরা জ্ঞাত আছ। الشاعر শব্দটি এ ধাতু থেকেই নির্গত হয়েছে।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "যারা ঘরের পেছন থেকে আপনাকে উচ্চ স্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই নির্বোধ" (৪৯ঃ ৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وتقول هل من مزيد "এবং জাহান্নাম বলবে আরো আছে কি?"
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وسبح بحمد ربك قبل طلوع الشمس وقبل الغروب "এবং তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা-পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে" (৫০ঃ ৩৯)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فكان قاب قوسين أو أدنى "ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের ছিলার ব্যবধান রইল অথবা তারও কম।" (৫৩ঃ ৯) অর্থাৎ ধনুকের দুই ছিলার সমান ব্যবধান রইল মাত্র।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فأوحى إلى عبده ما أوحى "তখন আল্লাহ্‌ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন (৫৩ঃ ১০)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ لقد رأى من آيات ربه الكبرى "সে তো তার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিল।" (৫৩ঃ ১৮)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ أفرأيتم اللات والعزى "তোমরা কি ভেবে দেখেছ 'লাত' ও 'উযযা' সম্বন্ধে (৫৩ঃ ১৯)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ومناة الثالثة الأخرى "এবং তৃতীয় আরেকটি মানত সম্বন্ধে?" (৫৩ঃ ২০)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فاسجدوا لله واعبدوا "অতএব, আল্লাহকে সিজদা কর এবং তার ইবাদত কর" (৫৩ঃ ৬২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তার হাতের মুষ্ঠিতে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে তার করায়ত্ত। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যার শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে, তারা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় (৫৪ঃ ১-২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "যা চলত আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ-ই পুরস্কার তাঁর জন্য, যে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। আমি একে রেখে দিয়েছি এক নিদর্শনরূপে; অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি?" (৫৪ঃ ১৫-১৫) কাতাদা (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্‌ তা'আলা নুহ (আঃ) এর নৌকাটি রেখে দিয়েছেন। ফলে এ উম্মতের প্রথম যুগের লোকেরাও তা পেয়েছে।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "আমি কুরআন সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহনের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি? মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يسرنا আমি এর পঠন পদ্ধতি সহজ করে দিয়েছি।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "উন্মুলিত খেজুর কান্ডের ন্যায়, কী কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী" (৫৪ঃ ২০-২১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "ফলে তারা হয়ে গেল খোঁয়াড় প্রস্তুতকারী দ্বিখন্ডিত শুস্ক, শাখা-প্রশাখার ন্যায়। আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহনের জন্য সহজ করে দিয়েছি; অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি? (৫৪ঃ ৩১-৩২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ প্রত্যুষে বিরামহীন শাস্তি তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি বললাম, আস্বাদন কর আমার শাস্তি ও সতর্কবাণীর পরিনাম।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ولقد أهلكنا أشياعكم فهل من مدكر "আমি ধ্বংস করেছি তোমাদের মত দলগুলোকে, অতএব, তা থেকে উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি?" (৫৪ঃ ৫১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ سيهزم الجمع ويولون الدبر "এ দল তো শীঘ্র পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে (৫৪ঃ ৫৫)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهٰى وَأَمَرُّ "অধিকন্তু কিয়ামতে তাদের শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর" (৫৪ঃ ৪৬) مرارة শব্দ থেকে أَمَرُّ শব্দটির উৎপত্তি- যার মানে তিক্ততা।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ومن دونهما جنتان "এবং এ উদ্যানদ্বয় ব্যতীত আরো দু'টি উদ্যান রয়েছে" (৫৫ঃ ৬২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ حور مقصورات في الخيام "তারা তাবুতে সুরক্ষতি হুর" (৫৫ঃ ৭২) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حور অর্থ কালো মনি যুক্ত চক্ষু। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مقصورات অর্থ مقصورات মানে তাদের দৃষ্টি এবং তাদের স্বত্বা তাদের স্বামীদের জন্য সুরক্ষিত থাকবে। قاصرات তারা তাদের জন্যই নির্ধারিত থাকবে। তারা তাদের ব্যতীত অন্য কাউকে স্বামী হিসাবে গ্রহন করার আকাঙ্ক্ষাও করবে না।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وظل ممدود "সম্প্রসারিত ছায়া" (৫৫ঃ ৩০)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ ما قطعتم من لينة أو تركتموها قائمة على أصولها فبإذن الله وليخزي الفاسقين "তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলো কর্তন করেছ বা যেগুলোর কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ, তা তো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে; এ তো এ জন্য যে, আল্লাহ্‌ পাপাচারিদের লাঞ্ছিত করবেন" (৫৯ঃ৫) لينة এবং برنية ব্যতীত সকল খেজুরকেই لينة বলা হয়।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ما أفاء الله على رسوله "আল্লাহ্‌ এই জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসুল (সাঃ) কে যা কিছু দিয়েছে" (৫৯ঃ ৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ما آتاكم الرسول فخذوه "রাসুল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহন কর (এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক)" (৫৯ঃ ৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ والذين تبوءوا الدار والإيمان "মুহাজীরদের যারা এ নগরীতে বসবাস করে আসছে ও ঈমান এনেছে, (তারা মুহাজিরদের ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে, তাঁর জন্য তারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না)" (৫৯ঃ ৯)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ويؤثرون على أنفسهم "এবং তারা তাদের নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয় (নিজেদের অভাবগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও) ... শেষ পর্যন্ত (৫৯ঃ ৯) الخصاصة অর্থ ক্ষুধা। المفلحون অর্থ যারা (জান্নাতে) চিরকাল থাকার সফলতা অর্জন করেছেন। الفلاح অর্থ স্থায়িত্ব। حي على الفلاح অর্থ সফলতা ও চিরস্থায়ী জীবনের দিকে তাড়াতাড়ি আস। হাসান (রহঃ) বলেন, حاجة অর্থ হিংসা।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ لا تتخذوا عدوي "(হে মু'মিনগণ) আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না" (৬০ঃ১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إذا جاءكم المؤمنات مهاجرات "(হে মু'মিনগণ!) যখন তোমাদের কাছে মু'মিন নারীরা দেশত্যাগী হয়ে আসেঃ (৬০ঃ ১০)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إذا جاءك المؤمنات يبايعنك "(হে নবী!) মু'মিন নারীগণ যখন তোমার কাছে এ মর্মে বায়'আত করতে আসে" (৬০ঃ ১২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ من بعدي اسمه أحمد "যিনি আমার পরে আসবেন এবং যার নাম হবে আহমাদ" (৬১ঃ ৬)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وآخرين منهم لما يلحقوا بهم "এবং তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয় নি" (৬২ঃ৩) উমর (রাঃ) فاسعوا إلى ذكر الله এর স্থলে امضوا إلى ذكر الله (ধাবিত হও আল্লাহ্‌র দিকে) পড়তেন।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وإذا رأوا تجارة "এবং যখন তারা ব্যবসা (পণ্য দ্রব্য) দেখল (৬২ঃ ১১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إذا جاءك المنافقون قالوا نشهد إنك لرسول الله إلى لكاذبون "যখন মুনাফিকগণ তাদের কাছে আসে, তারা বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহ্‌র রাসুল। আল্লাহ্‌ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁর রাসুল এবং আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী" (৬৩ঃ ১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ اتخذوا أيمانهم جنة يجتنون بها "তারা তাদের শপথগুলোকে ঢালরূপে ব্যবহার করে" (৬৩ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "এটা এই জন্য যে, তারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে, ফলে তাদের হৃদয় মোহর করে দেয়া হয়েছে, পরিনামে তারা বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে" (৬৩ঃ ৩)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وإذا رأيتهم تعجبك أجسامهم الخ "এবং তুমি যখন তাদের দিকে তাকাও তখন তাদের দেহাকৃতি তোমাদের কাছে প্রীতিকর মনে হয় এবং তারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে তাদের কথা শ্রবন কর, যেন তারা দেয়ালে ঠেকানো স্তম্ভ সদৃশ। তারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে তাদেরই বিরুদ্ধে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হও। আল্লাহ্‌ তাদেরকে ধ্বংস করুন। বিভ্রান্ত হয়ে তারা কোথায় চলেছে" (৬৩ঃ ৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وإذا قيل لهم تعالوا يستغفر لكم رسول الله لووا رءوسهم ورأيتهم يصدون وهم مستكبرون "যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা এস, আল্লাহ্‌র রাসুল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। তখন তারা মাথা ফিরিয়ে নেয় এবং তুমি তাদেরকে দেখতে পাচ্ছ, তারা দম্ভ ভরে ফিরে যায়" (৬৩ঃ ৫)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃهم الذين يقولون لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ينفضوا يتفرقوا ولله خزائن السموات والأرض ولكن المنافقين لا يفقهون "তারাই বলে, আল্লাহ্‌র রাসুলের সহচরদের জন্য ব্যয় করবে না, যতক্ষন না তারা সরে পড়ে। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর ধনভান্ডার তো আল্লাহরই! কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝে না" (৬৩ঃ ৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ يقولون لئن رجعنا إلى المدينة ليخرجن الأعز منها الأذل ولله العزة ولرسوله وللمؤمنين ولكن المنافقين لا يعلمون "তারা বলে, আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথা প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিস্কৃত করবেই। কিন্তু শক্তি তো আল্লাহরই, আর তার রাসুল ও মু'মিনদের, তবে মুনাফকরা তা জানে না" (৬৩ঃ ৮)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "এবং গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আল্লাহকে যে ভয় করে, আল্লাহ্‌ তার সমস্যা সহজে সমাধান করে দিবেন" (৬৫ঃ ৪) وأولات الأحمال এর একবচন ذات حمل
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ يا أيها النبي لم تحرم ما أحل الله لك تبتغي مرضاة أزواجك والله غفور رحيم "হে নবী! আল্লাহ্‌ তোমার জন্য যা বৈধ করেছেন তুমি তা নিষিদ্ধ করছ কেন? তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাচ্ছ; আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু" (৬৬ঃ ১)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ قد فرض الله لكم تحلة أيمانكم والله مولاكم وهو العليم الحكيم "আল্লাহ্‌ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ্‌ তোমাদের সহায়, তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়" (৬৬ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وإذ أسر النبي إلى بعض أزواجه حديثا فلما نبأت به وأظهره الله عليه عرف بعضه وأعرض عن بعض فلما نبأها به قالت من أنبأك هذا قال نبأني العليم الخبير "স্মরণ কর, নবী তার সহধর্মিণীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। যখন সে তা অন্যকে বলে দিল এবং আল্লাহ্‌ নবী (সাঃ) কে তা জানিয়ে দিলেন। তখন নবী (সাঃ) এ বিষয়ে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী (সাঃ) তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে এ বিষয়ে অবহিত করল? নবী (সাঃ) বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত" (৬৬ঃ ৩) এ বিষয়ে আয়শা (রাঃ)-ও এক হাদীস নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وَإِنْ تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيْلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ ظَهِيْرٌ কিন্তু যদি তোমরা নাবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে পোষকতা কর তবে জেনে রাখ, আল্লাহ্ই তাঁর বন্ধু এবং জিবরীল ও সৎকর্মপরায়ণ মু’মিনগণও, উপরন্তু অন্যান্য ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী (৬৬ঃ ৪) ظَهِيْرٌ অর্থ সাহায্যকারী تَظَاهَرُوْنَ পরস্পর তোমরা একে অপরকে সাহায্য করছ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন,قُوْآ أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَأَدِّبُوْهُمْ ‘‘তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য ওসীয়াত কর এবং তাদেরকে আদব শিক্ষা দাও।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ عسى ربه إن طلقكن أن يبدله أزواجا خيرا منكن مسلمات مؤمنات قانتات تائبات عابدات سائحات ثيبات وأبكارا “যদি নাবী তোমাদের সবাইকে পরিত্যাগ করেন, তবে তাঁর প্রতিপালক সম্ভবত তাকে দেবেন তোমাদের অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্ত্রী তাঁকে দিবেন, যারা হবে আত্মসমার্পনকারী, বিশ্বাসী, অনুগত, তাওবাহ্কারিণী, ইবাদাতকারিণী, সওম পালনকারীণী, অকুমারী ও কুমারী।“ (৬৬ঃ ৫)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ عتل بعد ذلك زنيم "রুঢ় স্বভাব এবং তদপুরি কুখ্যাত" (৬৮ঃ ১৩)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ يوم يكشف عن ساق "স্মরণ কর, সে চরম সংকট দিনের কথা" (৬৮ঃ ৪২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ودا ولا سواعا ولا يغوث ويعوق "তোমরা পরিত্যাগ করবে না ওয়াদ, সুওয়'আ, ইয়াগুস, ইয়াউক ও নাসরকে (৭১ঃ ২৩)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ قم فأنذر "উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর" (৭৪ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وربك فكبر "এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর (৭৪ঃ ৩)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وثيابك فطهر "তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ" (৭৪ঃ ৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ والرجز فاهجر "এবং অপবিত্রতা হতে দূরে থাক। (৭৪ঃ ৫) কেউ কেউ বলেন, الرجز এবং والرجس অর্থ আযাব
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ لا تحرك به لسانك لتعجل به "তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা সঞ্চালন করবে না। (৭৫ঃ ১৬) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, سدى অর্থ নিরর্থক ও উদ্দেশ্যহীন, ليفجر أمامه অর্থ শীঘ্রই তওবা করব, শীঘ্রই তওবা করব। لا وزر অর্থ কোন আশ্রয়স্থল নেই।
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إن علينا جمعه وقرآنه "এ কুরআন সংরক্ষণ ও পাঠ করিয়ে দেবার দায়িত্ব আমারই" (৭৫ঃ ১৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فإذا قرأناه فاتبع قرآنه قال ابن عباس قرأناه "সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি তুমি সে পাথের অনুসরণ কর" (৭৫ঃ ১৮) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, قرأناه অর্থ আমি যখন তা বর্ণনা করি فاتبع অর্থ এ অনুযায়ী আমল কর।
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ إنها ترمي بشرر كالقصر "তা উৎক্ষেপ করবে বৃহৎ স্ফুলিঙ্গ অট্রালিকা তুল্য।" (৭৭ঃ ৩২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ كأنه جمالات صفر "তা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেনী সদৃশ" (৭৭ঃ ৩৩)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ "এ সেই দিন যেদিন তারা কিছুই বলবে না" (৭৭ঃ ৩৫)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ يوم ينفخ في الصور فتأتون أفواجا "সেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং তোমরা দলে দলে সমাগত হবে" (৭৮ঃ ১৮)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ لتركبن طبقا عن طبق "নিশ্চয়ই তোমরা ধাপে ধাপে আরোহণ করবে" (৮৪ঃ ১৯)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ والنهار إذا تجلى "কসম শপথ দিবসের, যখন তা আবির্ভূত হয়" (৯২ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وما خلق الذكر والأنثى "এবং শপথ তার যিনি নর নারী সৃষ্টি করেছেন" (৯৩ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فأما من أعطى واتقى "সুতরাং কেউ দান করলে এবং মুত্তাকী হলে" (৯২ঃ ৫)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وصدق بلحسنى "এবং যা উত্তম তা গ্রহন করলে" (৯২ঃ ৬)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فسنيسره لليسرى "আমি তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ" (৯২ঃ ৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وأما من بخل واستغنى "এবং কেউ কার্পণ্য করলে ও নিজকে স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে করলে" (৯২ঃ ৮)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وكذب بالحسنى "এবং যা উত্তম তা বর্জন করলে" (৯২ঃ ৯)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلٰى "তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেন নি এবং তোমার প্রতি বিরূপও হননি (৯৩ঃ ৩৩) مَا وَدَّعَكَ শব্দটি তাশদীদ ও তাখফীফ অর্থাৎ وَدَّعَكَ وَدَعَكَ উভয় ভাবেই পড়া যায়। উভয় অবস্থাতে অর্থ একই। তোমাকে রব পরিত্যাগ করেননি। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, তোমাকে তোমার রব পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরূপও হয় নি।
  • পরিছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ خلق الإنسان من علق "তিনি মানুষকে আলাক হতে সৃষ্টি করেছেন" (৯৬ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহা মহিমান্বিত"
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ الذي علم بالقلم যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন (৯৬ঃ ৪)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ كلا لئن لم ينته لنسفعن بالناصية ناصية كاذبة خاطئة "সাবধান, সে যদি বিরত না হয় তবে আমি তাকে অবশ্যই হেচড়িয়ে নিয়ে যাব, মস্তকের সম্মুখ ভাগের কেশগুচ্ছ ধরে, মিথ্যাচারী, পাপিষ্ঠের কেশগুচ্চছ। (৯৬ঃ ১৫-১৬)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فمن يعمل مثقال ذرة خيرا يره "কেউ অনু পরিমাণ সৎকর্ম করলে, সে তা দেখবে" (৯৯ঃ ৭)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ومن يعمل مثقال ذرة شرا يره "কেউ অনু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে সে তাও দেখবে" (৯৯ঃ ৭-৮)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ ورأيت الناس يدخلون في دين الله أفواجا "এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্‌র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে" (১১০ঃ ২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ فسبح بحمد ربك واستغفره إنه كان توابا "অতঃপর তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি তো তওবা কবুলকারী (১১০ঃ ৩)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ وتب ما أغنى عنه ماله وما كسب এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ ও উপার্জন কোন কাজে আসেনি (১১১ঃ ১-২)
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ سيصلى نارا ذات لهب "অচিরে সে দগ্ধ হবে লেলিহান অগ্নিতে।" (১১১ঃ ৩)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • আল্লাহ্‌র বাণীঃ الله الصمد "আল্লাহ্‌ কারো মুখপেক্ষী নন" (১১২ঃ ২) আরবীয় লোকেরা তাদের নেতাদেরকে صمد বলে থাকেন। আবু ওয়াইল (রহঃ) বলেন, এমন নেতাকে বলা হয় যার নেতৃত্ব চুড়ান্ত বা যার উপর নেতৃত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে।
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • ৫৩/ ফাজায়ীলুল কুরআন (كتاب فضائل القرآن) ৭৯ টি | ৪৬১৪-৪৬৯২ পর্যন্ত 53/ Virtues Of The Qur'An
  • ওহী কিভাবে নাযিল হয় এবং সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল। ইবন আব্বাস (রা) বলেন, الْمُهَيْمِنُ মানে- আমীন। কুরআন পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী গ্রন্থের জন্য আমীন স্বরূপ।
  • ২৩৯৭. কুরআন কুরায়শ এবং আরবদের ভাষায় নাযিল হয়েছে। যেমন- আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ “সরল ও সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি”।
  • কুরআন সংকলন
  • ২৩৯৮. নবী (সাঃ) এর কাতিব
  • ২৩৯৯. কুরআন সাত উপ (আঞ্চলিক) ভাষায় নাযিল হয়েছে।
  • ২৪০০. কুরআন সংকলন।
  • ২৪০১. জিবরীল (আ) রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) এর সাথে কুরআন শরীফ দাওর করতেন। মাসরূক (র) আয়েশা (রা) এর মাধ্যমে ফাতেমা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) আমাকে গোপনে বলেছেন, প্রতি বছর জিবরাঈল (আ) আমার সাথে একবার কুরআন শরীফ দাওর করতেন; কিন্তু এ বছর তিনি আমার সাথে দু’বার দাওর করেছেন। আমার মানে হচ্ছে আমার মৃত্য আসন্ন।
  • ২৪০২. নবী (সাঃ) (সা) এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন
  • ২৪০৩. সূরা ফাতিহার ফযীলত
  • সুরা বাকারার ফযীলত
  • সুরা কাহফের ফযীলত
  • সুরা আল-ফাতহর ফযীলত
  • কুল্‌হু আল্লাহু আহাদ (সূরা ইখলাস) এর ফযীলত
  • মু’আবিযাত (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) এর ফযীলত
  • ২৪০৫. যারা বলে, দুই মলাটের মধ্যে (কুরআন) যা কিছু আছে তাছাড়া নবী (সা) কিছু রেখে যাননি
  • ২৪০৬. সব কালামের উপর কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব
  • ২৪০৭. কিতাবুল্লাহর ওসীরত
  • ২৪০৮. যার জন্য কুরআন যথেষ্ট নয়। আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার নিকট কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের নিকট পাঠ করা হয়
  • ২৪০৯. কুরআন তিলাওয়াতকারী হবার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা
  • ২৪১০. তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম, যে নিজে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়
  • ২৪১১. মুখস্থ কুরআন পাঠ করা
  • ২৪১২. কুরআন শরীফ বারবার তিলাওয়াত করা ও স্মরণ রাখা
  • ২৪১৩. জন্তুর পিঠে বসে কুরআন পাঠ করা
  • ২৪১৪. শিশুদের কুরআন শিক্ষাদান
  • ২৪১৫. কুরআন মুখস্থ করে ভুলে যাওয়া এবং কেউ কি বলতে পারে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি? এবং আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই আমি তোমাকে পাঠ করাবো, ফলে তুমি বিস্মৃত হবে না, অবশ্য আল্লাহ্‌ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত......।
  • ২৪১৬. যারা সূরা বাকারা বা অমুক অমুক সূরা বলাতে দোষ মনে করেন না
  • ২৪১৭. সুস্পষ্ট ও ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা। এ সম্পর্কে আল্লাহর বাণীঃ কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ আমি কুরআন নাযিল করেছি যাতে তুমি তা মানুষের নিকট পাঠ করতে পার ক্রমে ক্রমে। কবিতা পাঠের মতো দ্রুতগতিতে কুরআন পাঠ করা অপছন্দনীয়।
  • ২৪১৮. মদ অক্ষরকে দীর্ঘ করে পড়া
  • ২৪১৯. আত্‌তারজী
  • ২৪২০. সুললিত কন্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করা
  • ২৪২১. যে ব্যক্তি অন্যের নিকট থেকে কুরআন পাঠ শুনতে ভালবাসে
  • ২৪২২. তিলাওয়াতকারীর তিলাওয়াত শোনার পর শ্রোতার মন্তব্য “তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট”
  • ২৪২৩. কতটুকু সময় কুরআর পাঠ করা যায়? এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলার কালামঃ “যতটা কুরআন তুমি সহজে পাঠ করতে পার, ততটাই পড়”
  • ২৪২৪. কুরআন পাঠ করা অবস্থায় ক্রন্দন করা
  • ২৪২৫. যে ব্যক্তি দেখানো বা দুনিয়ার লোভে অথবা গর্বের জন্য কুরআন পাঠ করে
  • ২৪২৬. যতক্ষন মন চায় কুরআন তিলাওয়াত করা
  • ৫৪/ বিয়ে-শাদী (كتاب النكاح) ১৭৮ টি | ৪৬৯৩-৪৮৭০ পর্যন্ত 54/ Wedlock, Marriage (Nikaah)
  • শাদী করতে উৎসাহ দান। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ‘তোমরা শাদী করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে’
  • ২৪২৭. রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর বাণী “ তোমাদের মধ্যে যাদের শাদীর সামর্থ্য আছে, সে যেন শাদী করে। কেননা, শাদী তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখতে সাহায্য করবে এবং তার লজ্জাস্থান রক্ষা করবে”। এবং যার দরকার নেই সে শাদী করবে কি না?
  • ২৪২৮. যে শাদী করার সামর্থ্য রাখে না, সে সওম পালন করবে
  • ২৪২৯. বহুবিবাহ
  • ২৪৩০. যদি কেউ কোন নারীকে শাদী করার উদ্দেশ্যে হিজরত করে অথবা কোন সৎ কাজ করে তবে তার নিয়্যত অনুসারে (ফল) পাবে।
  • ২৪৩১. এমন দরিদ্র ব্যক্তির সাথে শাদী যিনি কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে অবহিত। সাহল ইব্ন সা’দ নবী (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
  • ২৪৩২. যদি কেউ তার (মুসলিম) ভাইকে বলে, আমার স্ত্রীগণের মধ্যে যাকে তুমি চাও, আমি তোমার জন্য তাকে তালাক দেব। এ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান ইব্ন আউফ (রা) একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।
  • ২৪৩৩. শাদী না করা এবং খাসি হয়ে যাওয়া অপছন্দনীয়।
  • ২৪৩৪. কুমারী মেয়ের শাদী সম্পর্কে। ইবন আবী মুলায়কা (র) বলেন, ইবন আব্বাস (রা) আয়েশা (রা)-কে বললেন, আপনাকে ছাড়া নবী (সা) আর কোন কুমারী মেয়ে শাদী করেননি।
  • ২৪৩৫. তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা রমণীকে শাদী করা (প্রসঙ্গে)। উম্মে হাবীবা (রা) বলেন, নবী (সা) আমাকে বললেন, আমাকে তোমাদের কন্যা বা বোনকে আমার সঙ্গে প্রস্তাব দিও না।
  • ২৪৩৬. বয়স্ক পুরুষের সাথে অল্প বয়স্কা মেয়ের শাদী
  • ২৪৩৭. কোন্ প্রকৃতির মেয়ে শাদী করা উচিত এবং কোন্ ধরনের মেয়ে উত্তম এবং নিজের ঔরসের জন্য কোন্ ধরনের মেয়ে পছন্দ করা মুস্তাহাব।
  • ২৪৩৮. দাসী গ্রহণ এবং আপন দাসীকে মুক্ত করে শাদী করা
  • ২৪৩৯. ক্রীতদাসীকে আযাদ করাকে মোহর হিসাবে গণ্য করা
  • ২৪৪০. দরিদ্র ব্যক্তির শাদী করা বৈধ। যেহেতু আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেন, যদি তারা দরিদ্র হয়, আল্লাহ্ তার মেহেরবানীতে সম্পদশালী করে দেবেন।
  • ২৪৪১. স্বামী এবং স্ত্রীর একই দীনভুক্ত হওয়া। আল্লাহ্‌র বাণী, ‘‘এবং তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।’’
  • ২৪৪২. শাদীর ব্যাপারে ধন-সম্পদের সামঞ্জস্য প্রসঙ্গে এবং ধনী মহিলার সাথে গরীব পুরুষের শাদী
  • ২৪৪৩. অশুভ স্ত্রীলোকদের থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের স্ত্রীগণ এবং সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে তোমাদের শত্রু রয়েছে
  • ২৪৪৪. ক্রীতদাসের সঙ্গে মুক্ত মহিলার শাদী
  • ২৪৪৫. চারের অধিক শাদী না করা সম্পর্কে। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা শাদী কর দু’জন, তিনজন অথবা চারজন। আলী ইব্ন হুসায়ন (র) বলেন, এর অর্থ হচ্ছে দু’জন অথবা তিনজন অথবা চারজন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, (ফেরেশতাদের) দু’ অথবা তিন অথবা চারখানা পাখা আছে-এর অর্থ দু’ দু’খানা, তিন তিনখানা এবং চার চারখানা।
  • ২৪৪৬. আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেন, তোমাদের জন্য দুধমাতাকে হারাম করা হয়েছে। রক্তের সম্পর্কের কারণে যাদের সাথে শাদী হারাম, দুধের সম্পর্কের কারণেও তাদের সাথে শাদী হারাম
  • ২৪৪৭. যারা বলে দু’বছরের পরে দুধপান করালে দুধের সম্পর্ক স্থাপন হবে না। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, ‘‘পিতামাতা যারা সন্তানের দুধ পান করানো পুরা করতে চায়, তাদের সময়সীমা পূর্ণ দু’বছর।’’ কম-বেশি যে পরিমাণ দুধ পান করুক না কেন, তাতে সম্পর্ক হারাম হবে না।
  • ২৪৪৮. যে সন্তান যে মহিলার দুধ পান করে, সে সন্তান ঐ মহিলার স্বামীর দুধ-সন্তান হিসাবে গণ্য হবে
  • ২৪৪৯. দুধমাতার সাক্ষ্য গ্রহণ
  • ২৪৫১. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ‘‘এবং (তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে) তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে।’’ এ প্রসঙ্গে হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন যে, ‘দুখুল’ ‘মাসীস’ ও ‘লিমাস’ শব্দত্রয়ের অর্থ হচ্ছে, যৌন মিলন। যে ব্যক্তি বলে যে, স্ত্রীর কন্যা কিংবা তার সমত্মানের কন্যা হারামের ব্যাপারে নিজ কন্যার সমান, সে দলীল হিসাবে নবী (সা)-এর হাদীসখানা পেশ করে। আর তা হচ্ছেঃ নবী (সা) উম্মে হাবীবা (রা)-কে বলেন, তোমরা তোমাদের কন্যাদের ও বোনদের আমার সঙ্গে শাদীর প্রস্তাব করো না। একইভাবে নাতবৌ এবং পুত্রবধু শাদী করা হারাম। যদি কোন সৎ-কন্যা কারো অভিভাবকের আওতাধীন না থাকে তবে তাকে কি সৎ-কন্যা বলা যাবে? নবী (সা) তার একটি সৎ কন্যাকে কারো অভিভাবকত্বে দিয়ে দিলেন। নবী (সা) স্বীয় দৌহিত্রকে পুত্র সম্বোধন করেছেন।
  • ২৪৫২. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ দুই বোনকে একত্রে শাদী করা (হালাল নয়) তবে অতীতে যা হয়ে গেছে
  • ২৪৫৩. আপন ফুফু যদি কোন পুরুষের স্ত্রী হয়, তবে যেন কোন মহিলা উক্ত পুরুষকে শাদী না করে
  • ২৪৫৪. আশ্-শিগার বা বদল বিবাহ
  • ২৪৫৫. কোন মহিলা কোন পুরুষের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে পারে কিনা ?
  • ২৪৫৬. ইহরামকারীর বিবাহ
  • ২৪৫৭. অবশেষে রাসূল (সা) মুতা’আ বিবাহ নিষেধ করেছেন
  • ২৪৫৮. স্ত্রীলোকের সৎ পুরুষের কাছে নিজকে (বিবাহের জন্য) পেশ করা
  • ২৪৫৯. নিজের কন্যা অথবা বোনকে শাদীর জন্য কোন নেক্কার পরহেজগার ব্যক্তির সামনে পেশ করা
  • ২৪৬১. শাদী করার পূর্বে মেয়ে দেখে নেয়া
  • ২৪৬২. যারা বলে, ওলী বা অভিভাবক ব্যতীত শাদী শুদ্ধ হয় না, তারা আল্লাহ্ তা’আলার কালাম দলীল হিসাবে পেশ করেঃ ‘‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও তাদের নির্দিষ্ট ইদ্দত পূর্ণ করে তখন তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বামীর সাথে বিবাহে বাধা দিও না‘‘-এ নির্দেশের আওতায় বয়স্কা বিবাহিতা মহিলারা যেমন, তদ্রূপ কুমারী মেয়েরাও এসে গেছে। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, "তোমরা মুশরিক মহিলাদেরকে কখনও বিবাহ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান না আনবে।" আল্লাহ্ তা’আলা আরও বলেন, "তোমাদের ভিতরে যারা অবিবাহিতা আছে তাদের শাদী দিয়ে দাও"
  • ২৪৬৩. ওলী বা অভিভাবক নিজেই যদি শাদীর প্রার্থী হয়। মুগীরা ইব্ন শু’বা (রা) এমন এক মহিলার সাথে শাদীর প্রসত্মাব দেন, যার নিকটতম অভিভাবক তিনিই ছিলেন। সুতরাং তিনি অন্য একজনকে তার সাথে শাদী বন্ধনে আদেশ দিলে সে ব্যক্তি তার সঙ্গে শাদী করিয়ে দিলেন। আবদুর রহমান ইব্ন আউফ (রা) উম্মে হাকীম বিন্তে কারিয (রা)-কে বললেন, তুমি কি তোমার শাদীর ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আবদুর রহমান (রা) বললেন, আমি তোমাকে শাদী করলাম। আতা (রা) বলেন, অভিভাবক লোকদেরকে সাক্ষী রেখে বলবে, আমি তোমাকে শাদী করলাম, অথবা ঐ মহিলার নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে তার কাছে তাকে শাদী দেয়ার জন্য বলবে। সাহল (রা) বলেন, একজন মহিলা এসে নবী (সা)-এর কাছে বলল, আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করলাম। এরপর একজন লোক বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! এই মহিলাকে যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন।
  • ২৪৬৪. কার জন্য ছোট শিশুদের শাদী দেয়া বৈধ। আল্লাহ্ তা’আলার কালাম ‘‘এবং যারা ঋতুমতী হয়নি’’ -এই আয়াতকে দলীল হিসাবে ধরে নাবালেগার ইদ্দত তিন মাস নির্ধারণ করা হয়েছে
  • ২৪৬৫. আপন পিতা কর্তৃক কন্যাকে কোন ইমামের সঙ্গে শাদী দেয়া। উমর (রা) বলেন, নবী (সা) আমার কন্যা-হাফসার সাথে শাদীর প্রস্তাব দিলে আমি তাকে তাঁর সাথে শাদী দেই
  • ২৪৬৬. সুলতানই ওলী বা অভিভাবক (যার কোন ওলী নেই)। এর প্রমাণ নবী (সা)-এর হাদীসঃ আমি তাকে তোমার কাছে জানা কুরআনের বিনিময়ে শাদী দিলাম।
  • ২৪৬৭. পিতা বা অভিভাবক কুমারী অথবা বিবাহিতা মেয়েকে তাদের সম্মতি ব্যতীত শাদী দিতে পারে না
  • ২৪৬৮. যদি কোন ব্যক্তি তার কন্যার অনুমতি ব্যতীত তাকে শাদী দেয়, সে শাদী বাতিল বলে গণ্য হবে
  • ২৪৬৯. ইয়াতীম বালিকার শাদী দেয়া। আল্লাহ্ তা’আলার বাণী’’ ‘‘যদি তোমরা ভয় কর যে ইয়াতীম বালিকাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমার পছন্দ মতো অন্য কাউকে শাদী কর।’’ কেউ কোন অভিভাবককে যদি বলে, অমুক মহিলাকে আমার সঙ্গে শাদী দিন এবং সে যদি চুপ থাকে অথবা তাকে বলে তোমার কাছে কি আছে? সে উত্তরে বলে, আমার কাছে এই এই আছে অথবা নীরব থাকে। এরপর অভিভাবক বলেন, আমি তাকে তোমার কাছে শাদী দিলাম, তাহলে তা বৈধ। এ ব্যাপারে সাহল (রা) নবী (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
  • ২৪৭০. যদি কোন শাদী প্রার্থী পুরুষ অভিভাবককে বলে, অমুক মেয়েকে আমার কাছে শাদী দিন এবং মেয়ের অভিভাবক বলে, তাকে এত মোহরানার বিনিময়ে তোমার সাথে শাদী দিলাম, তাহলে এই শাদী বৈধ হবে যদিও সে জিজ্ঞেস না করে, তুমি কি রাযী আছ? তুমি কি কবুল করেছ
  • ২৪৭১. কোন ব্যক্তির প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার শাদী হবে অথবা আপন প্রস্তাব উঠিয়ে নেবে
  • ২৪৭২. শাদীর প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা
  • ২৪৭৩. শাদীর খুতবা
  • ২৪৭৪. বিবাহ অনুষ্ঠানে এবং বিবাহ ভোজে দফ বাজানো
  • ২৪৭৫. আল্লাহ্‌র বাণীঃ ‘‘এবং তোমরা তোমাদের স্ত্রীদিগকে সন্তুষ্টচিত্তে মোহরানা পরিশোধ কর।’’ আর অধিক মোহরানা এবং সর্বনিমণ মোহরানা কত এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, ‘‘এবং তোমরা যদি তাদের একজনকে অগাধ অর্থও দিয়ে থাক, তবুও তা থেকে কিছুই প্রতিগ্রহণ করো না।’’ এবং আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন, ‘‘অথবা তোমরা তাদের মোহরানার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দাও।’’ সাহ্ল (রা) বলেছেন, নবী (সা) এক ব্যক্তিকে বললেন, যদি একটি লোহার আংটিও হয়, তবে মোহরানা হিসাবে যোগাড় করে দাও।
  • ২৪৭৬. কুরআন শিক্ষা দেয়ার বিনিময় এবং কোন মোহরানা ব্যতীত বিবাহ প্রদান
  • ২৪৭৭. মোহরানা হিসাবে দ্রব্যসামগ্রী এবং লোহার আংটি
  • ২৪৭৮. শাদীতে শর্ত আরোপ করা। হযরত উমর (রা) বলেছেন, কোন চুক্তির শর্ত নির্ধারণ করলেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। মিস্ওয়ার (রা) বলেন, নবী (সা) তাঁর এক জামাতার প্রশংসা করে বলেছেন যে, যখন সে আমার সাথে কথা বলেছে, সত্য বলেছে। যখন সে ওয়াদা করেছে, তখন ওয়াদা রক্ষা করেছে।
  • ২৪৭৯. শাদীর সময় মেয়েদের জন্য যেসব শর্ত আরোপ করা বৈধ নয়। ইবন মাসউদ (রা) বলেন, একজন নারীর জন্য তার হবু স্বামীর কাছে এরূপ শর্ত আরোপ করা বৈধ নয় যে, সে তার (মুসলিম) বোনকে (অর্থাৎ হবু স্বামীর আগের স্ত্রীকে) তালাক দেয়ার কথা বলে
  • ২৪৮০. বরের জন্য সুফরা (হলুদ রঙের সুগন্ধি) ব্যবহার করা। আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
  • ২৪৮১. বরের জন্য কিভাবে দোয়া করতে হবে
  • ২৪৮২. ঐ নারীদের দোয়া যারা কনেকে সাজায় এবং বরকে উপহার দেয়
  • ২৪৮৩. জিহাদে যাওয়ার পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন প্রত্যাশী
  • ২৪৮৪. যে ব্যক্তি নয় বছরের মেয়ের সাথে বাস রাত্রি অতিবাহিত করে
  • ২৪৮৫. সফরে স্ত্রীর মিলন সম্পর্কে
  • ২৪৮৬. দিনের বেলায় শাদীবন্ধনের পর বাস করা এবং আগুন জ্বালানো ও সওয়ারী ব্যতীত
  • ২৪৮৭. মহিলাদের জন্য বিছানার চাদর ও বালিশের ওয়ার ব্যবহার করা
  • ২৪৮৮. যেসব নারী কনেকে বরের কাছে সাজিয়ে পাঠায় তাদের প্রসঙ্গ
  • ২৪৯০. দুলহীনের জন্যে কাপড়-চোপড় পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি ধার করা
  • ২৪৯১. স্ত্রীর কাছে গমনকালে কি বলতে হবে?
  • ২৪৯২. ওয়ালীমা একটি অধিকার। আবদুর রহমান ইব্ন আউফ (রা) বলেছেন, নবী (সা) আমাকে বললেন, ওয়ালীমার ব্যবস্থা কর, যদি একটি মাত্র বকরীর দ্বারাও হয়।
  • ২৪৯৩. ওয়ালীমা বা বিবাহ-ভোজের ব্যবস্থা করা উচিত, যদিও তা একটি বকরীর দ্বারা হয়
  • ২৪৯৪. কোন ব্যক্তি কোন স্ত্রীর শাদীর সময় অন্যদের শাদীর সময়কাল ওয়ালীমার চেয়ে বড় ধরণের ওয়ালীমার ব্যবস্থা করা
  • ২৪৯৫. একটি ছাগলের চেয়ে কম কিছুর দ্বারা ওয়ালীমা করা
  • ২৪৯৬. ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা কর্তব্য। যদি কেউ একাধারে সাত দিন অথবা অনুরূপ বেশি দিন ওয়ালীমার ব্যবস্থা করে, কেননা নবী (সা) ওয়ালীমার সময় এক বা দুই দিন ধার্য করেননি
  • ২৪৯৭. যে দাওয়াত কবূল করে না, সে যেন আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সা)-কে নাফরমানী করল
  • ২৪৯৮. বকরীর পায়া খাওয়ানোর জন্যও যদি দাওয়াত করা হয়
  • ২৪৯৯. শাদী বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে দাওয়াত গ্রহণ করা
  • ২৫০০. বরযাত্রীদের সাথে মহিলা ও শিশুদের অংশগ্রহণ
  • ২৫০১. যদি কোন অনুষ্ঠানে দীনের খেলাফ বা অপছন্দনীয় কোন কিছু নজরে আসে, তাহলে ফিরে আসবে কি ? ইব'ন মাস ঊদ (রা) কোন এক বাড়ীতে (প্রাণীর) ছবি দেখে ফিরে এলেন। ইব'ন উমর (রা) আবু আইয়ুব (রা)-কে দাওয়াত করে বাড়িতে আনলেন। তিনি এসে ঘরের দেয়ালের পর্দায় ছবি দেখতে পেলেন। এরপর হযরত ইব'ন উম র (রা) এ ব্যাপারে বললেন, মহিলারা আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। হযরত আবু আইয়ূব (রা) বললেন, আমি যাদের সম্পর্কে আশংকা করেছিলাম, আপনি তাদের মধ্যে হবেন না বলেই মনে করেছিলাম। আল্লাহ'র কসম, আমি আপনার ঘরে কোন খাদ্য গ্রহ ণ করব না । এরপর তিনি চলে গেলেন।
  • ২৫০২. নববধু কর্তৃক শাদী অনুষ্ঠনে খেদমত করা
  • ২৫০৩. আন্-নাকী বা অন্যান্য শরবত বা পানীয়, যার মধ্যে মাদক তা নেই। এই রকম শরবত ওয়ালীমাতে পান করানো
  • ২৫০৪. নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার, আর এই সম্পর্কে নবী (সাঃ) বলেন, নারীরা পাঁজরের হাড়ের মত
  • ২৫০৫. নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করার ওসীয়ত
  • ২৫০৬. আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা নিজ়েকে এবং তোমাদের পরিবারকে দোযখের আগুন থেকে বাঁচাও
  • ২৫০৭. পরিবার-পরিজনের সাথে উত্তম ব্যবহার
  • ২৫০৮. কোন ব্যক্তির নিজ কন্যাকে তার স্বামী সম্পর্কে উপদেশ দান করা
  • ২৫০৯. স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীদের নফল রোযা রাখা
  • ২৫১০. যদি কোন মহিলা তার স্বামীর বিছানা বাদ দিয়ে আলাদা বিছানায় রাত কাটায়
  • ২৫১১. স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে স্বামীগৃহে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত নয়
  • ২৫১২. ‘আল-আশীর’ অর্থাৎ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হওয়া । ‘আল-আশীর’ বলতে সাথী-সঙ্গী বা বন্ধুকে বোঝায় । এ শব্দ মু’আশারা থেকে গৃহীত । এ প্রসঙ্গে আবু সাঈদ (রা) রাসূলুল্লাহ্‌ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন
  • ২৫১৩. তোমার স্ত্রীর তোমার ওপর অধিকার আছে । হযরত আবু হুযায়ফা (রা) এ প্রসঙ্গে নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
  • ২৫১৪. স্ত্রী স্বামীগৃহের রক্ষক
  • ২৫১৫. পুরুষ মহিলাদের ওপর কর্তৃত্বকারী এবং দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ্‌ তা’আলা একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন ..... নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ মহান ও শ্রেষ্ঠ
  • ২৫১৬. নবী (সাঃ) এর আপন স্ত্রীদের সাথে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত এবং তাদের কক্ষের বাইরে অন্য কক্ষে অবস্থানের ঘটনা
  • ২৫১৭. স্ত্রীদের প্রহার করা নিন্দনীয় কাজ এবং আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ (প্রয়োজনে) তাদেরকে মৃদু প্রহার কর
  • ২৫১৮. অবৈধ কাজে স্ত্রী স্বামীর অনুগত্য করবে না
  • ২৫১৯. আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেন, কোন স্ত্রীলোক যখন তার স্বামীর পক্ষ থেকে অশোভন ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে
  • ২৫২০. আযল প্রসঙ্গে
  • ২৫২২. যে স্ত্রী স্বামীকে নিজের পালার দিন সতীনকে দিয়ে দেয় এবং এটা কিভাবে ভাগ করতে হবে
  • ২৫২৪. যদি বিধবা বিবাহিতা স্ত্রী’র উপস্থিতিতে কুমারী মেয়ে শাদী করে
  • ২৫২৫. যদি কেউ কুমারী স্ত্রী থাকা অবস্থায় শাদী করে কোন বিধবাকে
  • ২৫২৬. যে ব্যক্তি একই গোসলে একাধিক স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়
  • ২৫২৭. দিবাভাগে স্ত্রীদের নিকট গমন করা
  • ২৫২৮. কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থতার সময় স্ত্রীদের অনুমতি নিয়ে এক স্ত্রীর কাছে সেবা-শুশ্রূষার জন্য থাকে এবং তাকে যদি সবাই অনুমতি দেয়
  • ২৫২৯. এক স্ত্রীকে অন্য স্ত্রীর চেয়ে বেশি ভালবাসা
  • ২৫৩০. কোন নারী কর্তৃক কৃত্রিম সাজ-সজ্জা করা এবং সতীনের মুকাবিলায় আত্মগরিমা প্রকাশ করা নিষেধ
  • ২৫৩১. আত্মমর্যাদাবোধ । হযরত সা’দ ইব্‌ন উবাদা (রা) বললেন, আমি যদি অন্য কোন পুরুষকে আমার স্ত্রীর সাথে দেখতে পাই; তাহলে আমি তাকে তরবারির ধারালো দিক দিয়ে আঘাত করব অর্থাৎ হত্যা করব । নবী (সাঃ) তাঁর সাহাবিগণকে বললেন, তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ ? (আল্লাহ্‌র কসম!) আমার আত্মমর্যাদাবোধ তাঁর চেয়েও অনেক বেশি এবং আল্লাহ্‌র আত্মমর্যাদাবোধ আমার চেয়েও অনেক বেশি
  • ২৫৩২. মহিলাদের বিরোধিতা এবং তাদের ক্রোধ
  • ২৫৩৩. কন্যার মধ্যে ঈর্ষা সৃষ্টি হওয়া থেকে বাধা প্রদান এবং ইনসাফমূলক কথা
  • ২৫৩৪. পুরুষের সংখ্যা কম হবে এবং নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে । আবু মূসা (রা) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, (এমন একটা সময় আসবে যখন) একজন পুরুষ দেখতে পাবে, তাঁর পেছনে চল্লিশজন নারী অনুসরণ করছে আশ্রয়ের জন্য । কেননা, তখন পুরুষের সংখ্যা অনেক কমে যাবে আর নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে
  • ২৫৩৫. ‘মাহ্‌রাম’ অর্থাৎ যার সাথে শাদী হারাম সে ব্যতীত অন্য কোন পুরুষের সাথে কোন নারী নির্জনে দেখা করবে না এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর কাছে কোন পুরুষ গমন (হারাম)
  • ২৫৩৬. লোকজনের উপস্থিতিতে স্ত্রীলকের সাথে পুরুষের কথা বলা বৈধ
  • ২৫৩৭. যে পুরুষ মহিলার মত সাজ-গোজ করে, তার সাথে কোন নারীর চলাফেরা নিষেধ
  • ২৫৩৮. হাব্‌শী বা অনুরূপ লোকদের প্রতি মহিলাদের সন্দেহজনক না হলে দৃষ্টি দেয়া যায়
  • ২৫৩৯. প্রয়োজনে মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়া
  • ২৫৪০. মসজিদে অথবা অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য মহিলাদের স্বামীর অনুমতি গ্রহন
  • ২৫৪১. যে সমস্ত মহিলার সাথে দুধ পান করার কারণে দুধ সম্পর্কীয় আত্মীয়তা হয়েছে তাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য গমন করা এবং তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়
  • ২৫৪২. এক মহিলা আর এক মহিলার সঙ্গে দেখা করে তার বর্ণনা যেন নিজের স্বামীর কাছে না দেয়
  • ২৫৪৩. কোন ব্যক্তির এ কথা বলা যে, নিশ্চয়ই আজ রাতে আমি আমার সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হব
  • ২৫৪৪. যদি কোন লোক দূরে থাকে অথবা পরিবার থেকে অনেকদিন অনুপস্থিত থাকে, তাহলে বাড়ি আসার পর সঙ্গে সঙ্গেই রাতে ঘরে প্রবেশ করা উচিত নয়, যাতে করে সে এমন কিছু পায় যা তাকে আপন পরিবার সম্পর্কে সন্দিহান করে তোলে, অথবা তাদের কোন ত্রুটি আবিষ্কার করে ।
  • ২৫৪৫. সন্তান কামনা করা
  • ২৫৪৬. স্বামীর অবিদ্যমান স্ত্রী ক্ষুর ব্যবহার করবে এবং রুক্ষকেশী নারী (মাথায়) চিরুনি করে নেবে
  • ২৫৪৭. “তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, যৌন কামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারও নিকট তাদের আভরন প্রকাশ না করে ।” (২৪ : ৩১)
  • ২৫৪৮. যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি
  • ২৫৪৯. কোন ব্যক্তির তার সাথীকে এ কথা বলা যে, তোমরা কি গত রাতে সহবাস করেছ ? এবং ধমক দেয়া কালে কোন ব্যক্তি তার কন্যার কোমরে আঘাত করা
  • ৫৫/ তালাক (كتاب الطلاق) ৮৫ টি | ৪৮৭৫-৪৯৫৯ পর্যন্ত 55/ Divorce
  • মহান আল্লাহর বাণীঃ হে নবী ! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তখন ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের তালাক দিবে। وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ অর্থ ইদ্দতের হিসাব أَحْصَيْنَاهُ অর্থাৎ حَفِظْنَاهُ ও আমরা তার হিফাযত করেছি عَدَدْنَاهُ ও তার হিসাব রেখেছি। সুন্নাত তালাক হল, পবিত্রকালীন সময়ে সহবাস না করে স্ত্রী তালাক দেওয়া এবিং দুজন সাক্ষী রাখা।
  • ২০৪১. হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে তা তালাক হিসাবে পরিগণিত হবে
  • ২০৪২. তালাক দেওয়ার সময় স্বামী কি তার স্ত্রীর সামনাসামনি হয়ে তালাক দেবে ?
  • ২০৪৩. যারা তিন তালাককে জায়েয মনে করেন। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ এই তালাক দু’বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। (২ঃ২২৯) ইব্ন যুবায়র (র) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না। শা’বী (র) বলেন ওয়ারিস হবে। ইব্ন শুবরুমা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইদ্দত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি ? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। ইব্ন শুবরুমা পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায় তা হলে? (অর্থাৎ আপনার মানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় ওয়ারিস হওয়া জরুরী হয়) এরপ শা’বী তাঁর পূর্ব মত প্রত্যাহার করেন।
  • ২০৪৪. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে ইখ্তিয়ার দিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে নবী ! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলুন, ‘তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদেরকে বিদায় করে দেই।
  • ২০৪৬. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল- ‘‘তুমি আমার জন্য হারাম।’’ হাসান (র) বলেন, তবে তা তার নিয়্যাত অনুযায়ী হবে। ‘আলিমগণ বলেন, যদি কেউ স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়, তবে স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাঁরা এটাকে হারাম আখ্যায়িত করেছেন, যা তালাক বা বিচ্ছেদ দ্বারা সম্পন্ন হয়। তবে এ হারাম করাটা তেমন নয়, যেমন কেউ খাদ্যকে হারাম ঘোষনা করল; কেননা হালাল খাদ্যকে হারাম বলা যায় না। কিন্তু তালাকপ্রাপ্তাকে হারাম বলা যায়। আবার তিন তালাকপ্রাপ্তা সমবন্ধে বলেছেন, সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছাড়া প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হবে না। লায়স (র) নাফি‘ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইব্ন ‘উমর (রা)- কে তিন তালাক প্রদানকারী সমবন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেনঃ যদি তুমি এক বা দুই দিতে ! কেননা নবী (সাঃ) আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কেউ স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তার জন্য সে হারাম হয়ে যাবে, যতক্ষণ না সে (স্ত্রী) অন্যত্র বিবাহ করে।
  • ২০৪৭. (মহান আল্লাহর বাণী) এমন বস্তুকে আপনি কেন হারাম করছেন যা আল্লাহ্ আপনার জন্য হালাল করে দিয়েছেন ?
  • ২০৫০. বাধ্য হয়ে, মাতাল ও পাগল অবস্থায় তালাক দেওয়া এবং এতদুভয়ের বিধান সম্বন্ধে। ভুলবশতঃ তালাক দেওয়া এবং শিরক্ ইত্যাদি সম্বন্ধে। (এসব নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল)। কেননা নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ প্রতিটি কাজ নিয়্যাত অনুসারে বিবেচিত হয়। প্রত্যেকে তা-ই পায়, যার সে নিয়্যাত করে। শা’বী (র) পাঠ করেনঃ لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا (হে আমাদের প্রতিপালক) আমরা যদি ভুল ভ্রান্তি বশতঃ কোন কাজ করে ফেলি, তবে সে জন্য আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। ওয়াসাওয়াসা সম্পন্ন ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে যা দুরস্ত হয়না। স্বীয় যিনার কথা স্বীকারকারী জনৈক ব্যক্তিকে নবী (সাঃ) বলেছিলেনঃ তুমি কি পাগল হয়েছ ? ‘আলী (রা) বলেন, হামযা (রা) আমার দু’টি উনীর পার্শ্বদেশ ফেঁড়ে ফেললে, নবী (সাঃ) হামযাকে তিরস্কার করতে থাকেন। হঠাৎ দেখা গেল নেশায় হামযার চক্ষুযুগল রক্তিম হয়ে গেছে। এরপর হামযা বললেন, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম বৈ নও। তখন নবী (সাঃ) বুঝতে পারলেন, তিনি নেশাগ্রস্থ হয়েছেন। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন আমরাও তাঁর সাথে বেরিয়ে এলাম। ‘উসমান (রা) বলেনঃ পাগল ও নেশাগ্রস্থ ব্যক্তির তালাক প্রযোজ্য হয় না। ইবন আব্বাস (রা) বলেন, ওয়াসাওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্থ) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। ‘আতা (র) বলেনঃ তালাক শর্তযুক্ত করে তালাক দিলে শর্ত পাওয়ার পরই তালাক হবে। নাফি’ (র) জিজ্ঞেস করলেন, ঘর থেকে বের হওয়ার শর্তে স্বীয় স্ত্রীকে জনৈক ব্যহিক্ত তিন তালাক দিল- (এর হুকুম কি?)। ইবন ‘উমর (র) বললেনঃ যদি সে মহিলা ঘর থেকে বের হয়, তাহলে সে তিন তালাকপ্রাপ্তা হবে। আর যদি বের না হয়, তাহলে কিছুই হবে না। যুহরী (র) বলেন, যে ব্যক্তি বললঃ যদি আমি এরূপ না করি, তবে আমার স্ত্রীর প্রতি তিন তালাক প্রযোজ্য হবে। তার সমবন্ধে যুহ্রী (র) বলেন, উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হবে, শপথকালে তার ইচ্ছা কি ছিল ? যদি সে ইচ্ছাকৃত সময়সীমা নির্ধারণ করে থাকে এবং শপথকালে তার এ ধরনের নিয়্যাত থাকে তাহলে এ বিষয়কে তার দীন ও আমানতের উপর ন্যস্ত করা হবে। ইবরাহীম (র) বলেন, যদি সে বলে, ‘‘তোমাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই’’; তবে তার নিয়্যাত অনুসারে কাজ হবে। আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব ভাষায় তালাক দিতে পারে। কাতাদা (র) বলেনঃ যদি কেউ বলে তুমি গর্ভবতী হলে, তোমার প্রতি তিন, তালাক। তাহলে সে প্রত্যেক তুহরে স্ত্রীর সাথে একবার সংগম করবে। যখন গর্ভ প্রকাশ পাবে, তৎক্ষণাৎ সে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। হাসান (র) বলেন, যদি কেউ বলে, ‘‘ তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও’’, তবে তার নিয়্যাত অনুযায়ী কাজ হবে। ইবন ‘আব্বাস (রা) বলেনঃ প্রয়োজনের তাগিদে তালাক দেওয়া যায়। আর দাসমুক্তি আল্লাহর সুন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে থাকলেই করা যায়। যুহরী (র) বলেন, যদি কেউ বলেঃ তুমি আমার স্ত্রী নও, তবে তালাক হওয়া বা না হওয়া নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে। যদি সে তালাকের নিয়্যাত করে থাকে, তবে তাই হবে। ‘আলী (রা) (উমর (রা) কে সম্বোধন করে) বলেনঃ আপনি কি অবগত নন যে, তিন ধরনের লোক থেকে কসম তুলে নেয়া হয়েছে। এক পাগল ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুশ ফিরে পায়; দুই, শিশু যতক্ষণ না সে বালেগ হয়, তিন, ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। ‘আলী (রা) (আরও) বলেনঃ পাগল লোক ব্যতীত অন্য সকলের তালাক কার্যকর হয়।
  • ২০৫১. খোলার বর্ণনা এবং তালাক হওয়ার নিয়ম। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তোমরা নারীদের যা দিয়েছ তা থেকে কিছু গ্রহণ করা তোমাদের জন্য হালাল হবে না ....... অত্যাচারী পর্যন্ত।’’ উমার (রা) কাযীর অনুমতি ছাড়া খুলা’কে বৈধ বলেছেন। ‘উসমান (রা) মাথার বেনী ছাড়া অন্য সব কিছুর পরিবর্তে খুলা’ করার অনুমতি দিয়েছেন। তাউস (র) বলেন, যদি তারা উভয় আল্লাহর সীমা ঠিক না রাখতে পারার আশংকা করে অর্থাৎ সংসার জীবনে তাদের প্রত্যেকের উপর যে দায়িত্ব আল্লাহ্ অর্পণ করেছেন সে ব্যপারে তিনি বোকাদের মাঝে একথা বলেননি যে, খুলা ততক্ষণ বৈধ হবে না, যতক্ষণ না মহিলা তাকে সহবাস থেকে বাধা দিবে।
  • ২০৫২. স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ ক্ষতির আশংকায় খুলা’র প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে কি ? মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘ যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশংকা কর, তবে উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে একজন করে সালিশ নিযুক্ত কর। যদি তারা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ে সংশোধন হতে চায়, তবে আল্লাহ তাদের জন্য সে উপায় বের করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে অবহিত এবং তিনি সব কিছুর খবর রাখেন।’’ (৪ঃ৩৫)
  • ২০৫৩. বিক্রয়ের কারণে দাসী তালাক হয় না
  • ২০৫৪. দাসী স্ত্রী আযাদ হওয়ার পরে গোলাম স্বামীর সাথে থাকা বা না থাকার ইখ্তিয়ার
  • ২০৫৫. বারীরার স্বামীর ব্যাপারে নবী (সাঃ) এর সুপারিশ
  • ২০৫৬. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৫৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা মুশরিক মহিলাদেরকে বিয়ে করো না যে পর্যন্ত তারা ঈমান না আনে। নিঃসন্দেহে একজন ঈমানদার দাসী একজন মুশরিক মহিলা অপেক্ষা উত্তম। যদি সে তোমাদের কাছে ভালও মনে হয়।
  • ২০৫৮. মুশরিক নারী মুসলিম হলে তার বিবাহ ও ইদ্দত
  • ২০৫৯. যিম্মি বা হরবীর কোন মুশরিক বা খৃস্টান স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে। ‘আবদুল ওয়ারি (র).... ইব্ন ‘আববাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি কোন খৃস্টান নারী তার স্বামীর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করে, তবে উক্ত মহিলা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। দাউদ (র) ইব্রাহীম সায়েগ (র) থেকে বর্ণনা করেন, আতা (র) কে জিজ্ঞাসা করা হল, চুক্তিবদ্ধ কোন হরবীর স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইদ্দতের মধ্যেই তার স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে, তবে কি মহিলা তার স্ত্রী থাকবে ? তিনি উত্তর দিলেন, না তবে সে মহিলা যদি নতুনভাবে বিবাহ ও মোহ্রে সম্মত হয়। মুজাহিদ (র) বলেন, মহিলার ইদ্দতের মধ্যে স্বামী মুসলিম হলে সে তাকে বিবাহ করে নিবে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেনঃ না তারা কাফিরদের জন্য হালাল, আর না কাফিরেরা তাদের জন্য হালাল। অগ্নি উপাসক স্বামী-স্ত্রী মুসলিম হলে কাতাদা ও হাসান তাদের সমবন্ধে বলেন, তাদের পূর্ব বিবাহ বলবৎ থাকবে। আর যদি তাদের কেউ আগে ইসলাম কবূল করে, আর অন্যজন অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে মহিলা তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। স্বামীর জন্য তাকে গ্রহণ করার কোন পথই থাকবে না। ইব্ন জুরায়জ (র) বলেন, আমি ‘আতা’ (র) কে জিজ্ঞসা করলামঃ মুশরিকদের কোন মহিলা যদি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিমদের নিকট চলে আসে, তাহলে তার স্বামী কি তার নিকট থেকে বিনিময় গ্রহণ করতে পারবে ? আল্লাহ্ তা’আলা তো বলেছেনঃ ‘‘তারা যা ব্যয় করেছে তোমরা তাদেরকে তা দিয়ে দাও।’’ তিনি উত্তর দিলেনঃ না। এ আদেশ কেবল নবী (সাঃ) ও জিম্মীদের মধ্যে ছিল। (মুশরিকদের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়)। মুজাহিদ (র) বলেনঃ এ সব ছিল সে সন্ধির ক্ষেত্রে যা নবী (সাঃ) ও কুরায়শদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
  • ২০৬০. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘যারা স্বীয় স্ত্রীদের সাথে ‘সংগত না হওয়ার শপথ’ করে, তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। এরপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর যদি তারা তালাক দেওয়ার সংকল্প করে, তবেও আল্লাহ্ সব কিছু শুনেন ও জানেন। فَاءُوا শব্দের অর্থ رَجَعُوا প্রত্যাবর্তন করে (২ঃ২৬৬ ও ২৭৭)
  • ২০৬১. নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির পরিবার ও তার সম্পদের বিধান। ইব্ন মুসাইয়্যাব (র) বলেন, যুদ্ধের ব্যূহ থেকে কোন ব্যক্তি নিখোঁজ হলে এক বছর অপেক্ষা করবে। ইব্ন মাসউদ (রা) একটি দাসী ক্রয় করে এক পর্যন্ত তার মালিককে খুঁজলেন (মূল পরিশোধ করার জন্য)। তিনি তাকে পেলেন না, সে নিখোঁজ হয়ে যায়। অবশেষে তিনি এক দিরহাম, দুই দিরহাম করে দান করতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ্ ! এটা অমুকের পক্ষ থেকে দিচ্ছি। যদি মালিক এসে যায়, তবে এর সাওয়াব আমি পাব, আর তার টাকা পরিশোধ করার দায়িত্ব হবে আমার। তিনি বলেনঃ হারনো প্রাপ্তির ব্যাপারেও তোমরা এরূপ কাজ করবে। ইব্ন মাসউদ (রা)-ও এরূপ মত ব্যক্ত করেছেন। ঠিকানা জানা আছে এরূপ কয়েদী সমবন্ধে যুহ্রী (র) বলেনঃ তার স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে না এবং তার সম্পদও বন্টন করা হবে না। তবে তার খবরাখবর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলে, তাঁর ব্যাপারে নিখোঁজ ব্যক্তির বিধান কার্যকর হবে।
  • ২০৬৩. ইশারার মাধ্যমে তালাক ও অন্যান্য কাজ। ইব্ন ‘উমর (রা) বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ চোখের পানির জন্য শাস্তি দিবেন না; তবে শাস্তি দিবেন এটার জন্য এই বলে তিনি মুখের প্রতি ইংগিত করলেন। কা’ব ইব্ন মালিক (রা) বলেন, নাবী (সাঃ) আমার প্রতি ইশারা করে বললেনঃ অর্ধেক লও। আসমা (রা) বলেন, নবী (সাঃ) সূর্যগ্রহণের সালাত আদায় করেন। ‘আয়েশা (রা) সালাত আদায় করছিলেন, এমতাবস্থায় আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কি? তিনি তাঁর মাথা দ্বারা সূর্যের প্রতি ইশারা করলেন। আমি বললামঃ কোন নিদর্শন নাকি ? তিনি মাথা নেড়ে বললেনঃ জি হাঁ। আনাস (রা) বলেন, নবী (সাঃ) তাঁর হাত দ্বারা আবূ বকর (রাঃ)-এর প্রতি ইশারা করে সামনে যেতে বললেন। ইবন ‘আব্বাস (রা) বলেন, নবী (সাঃ) হাত দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ কোন দোষ নেই। আবূ কাতাদা (রা) নবী (সাঃ) মুহরিম-এর (এহরামকারী) শিকার সম্বন্ধে বললেন, তোমদেরকে কেউ কি তাকে (মুহরিমকে) এ কাজে লিপ্ত হবার আদেশ করেছিল বা শিকারের প্রতি ইশারা করেছিলে ? লোকেরা বললঃ না। তিনি বললেন, তবে খাও।
  • ২০৬৪. লি’আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘যারা তাদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ আরোপ করবে, আবারো নিজেরা ছাড়া অন্য কোন সাক্ষীও থাকবে না .... থেকে যদি সে সত্যবাদী’’ পর্যন্ত। যদি কোন বোবা (মূক) লোক লিখিতভাবে বা ইশারায় কিংবা কোন পরিচিত ইঙ্গিতের মাধ্যমে নিজ স্ত্রীকে অপবাদ দেয়, তাহলে তার হুকুম বাকশক্তি সম্পন্ন মানুষের মতই। কেননা নবী (সাঃ) ফরয বিষয়গুলিতে ইশারা করার অনুমতি দিয়েছেন। হিজাজ ও অন্যান্য স্থানের কিছু সংখ্যক আলিমেরও এ মত। আল্লাহ্ বলেছেনঃ ‘‘সে (মরিয়ম) সন্তানের প্রতি ইশারা করলো, লোকেরা বলল, দোলনার শিশুর সাথে আমরা কিভাবে কথোপকথন করবো? যাহ্হাক বলেনঃ ইঙ্গিত এবং ইশারার মাধ্যমে। কিছু লোকের মন্তব্য হলোঃ ইশারার মাধ্যমে কোন হদ্ (শরয়ী’ দন্ড) বা লি’আন নেই, আবার তাদেরই মত হলো লিখিতভাবে কিংবা ইশারা ইঙ্গিতে তালাক দেয়া জায়েয আছে। অথচ তালাক এবং অপবাদের মধ্যে কোন ব্যবধান নেই। যদি তারা বলেঃ কথা বলা ছাড়া তো অপবাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তাহলে তো তালাক দেওয়া, অপবাদ দেওয়া এমনিভাবে গোলাম আযাদ করা, কোনটাই ইশারার মাধ্যমে জায়েয হতে পারে না। অথচ আমরা দেখি বধির ব্যক্তিরও লি’আন করতে পারে। শা’বীও কাতাদা (র) বলেনঃ যদি কেউ আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে তার স্ত্রীকে বলে, তুমি তালাকপ্রাপ্তা, তাহলে ইশারার দ্বারা স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ইব্রাহীম বলেনঃ বোবা ব্যক্তি স্বহস্তে তালাকপ্রাপ্ত লিপিবদ্ধ করলে অবশ্যই তালাক হবে। হাম্মাদ বলেনঃ বোবা এবং বধির মাথার ইংগিতে বললেও জায়েয হবে।
  • ২০৬৫. ইঙ্গিতে সন্তান অস্বীকার করা।
  • ২০৬৬. লি’আনকারীকে শপথ করানো
  • ২০৬৭. পুরুষকে প্রথমে লি’আন করানো হবে।
  • ২০৬৮. লি’আন এবং লি’আনের পর তালাক দেওয়া
  • ২০৬৯. মসজিদে লি’আন করা
  • ২০৭০. নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ আমি যদি প্রমাণ ছাড়া রজম করতাম।
  • ২০৭১. লি’আনকারিণীর মোহর
  • ২০৭২. লি‘আনকারীদ্বয়কে ইমামের একথা বলা যে, নিশ্চয় তোমাদের কোন একজন মিথ্যাবাদী, তাই তোমদের কেউ তাওলা করতে প্রস্তুত আছ কি ?
  • ২০৭৩. লি‘আনকারীদ্বয়কে পৃথক করে দেওয়া।
  • ২০৭৪. লি‘আনকারিণীকে সন্তান অর্পন করা হবে।
  • ২০৭৫. ইমামের উক্তিঃ হে আল্লাহ্! সত্য প্রকাশ করে দিন।
  • ২০৭৬. যদি মহিলাকে তিন তালাক দেয় এবং ইদ্দত শেষে সে অন্য স্বামীর কাছে বিয়ে বসে, কিন্তু সে তাকে স্পর্শ (সংগম) না করে থাকে।
  • ২০৭৮. গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দতের সময়সীমা সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।
  • ২০৮০. ফাতিমা বিনত কায়েসের ঘটনা এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্কে ভয় কর, তোমরা তাদের বাসগৃহ থেকে বহিষ্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে। এসব আল্লাহর বিধান; যে আল্লাহর বিধান লংঘন করে, সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে। তুমি জাননা, হয়ত আল্লাহ্ এরপর উপায় করে দেবেন ...... আর তোমরা নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যে স্থানে বাস কর, তাদেরকে সে স্থানে বাস করতে দাও ..... আল্লাহ্ কষ্টের পর শান্তি দিবেন। (সুরা তালাকঃ ১-৭)
  • ২০৮১. স্বামীর গৃহে অবস্থান করায় যদি তালাকপ্রাপ্তা নারী তার স্বামীর পরিবারের লোকজনদের গালমন্দ দেয়ার বা তার ঘরে চোর প্রবেশ করা ইত্যাদির আশংকা করে।
  • ২০৮২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তাদের জন্য গোপন করা বৈধ হবে না যা আল্লাহ্ তাদের জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন, হায়েয হোক বা গর্ভ সঞ্চার হোক।
  • ২০৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তাদের স্বামীরা (ইদ্দতের মধ্যে) তাদের ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার রাখে এবং এক বা দু’তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি সম্পর্কে।
  • ২০৮৪. ঋতুমতীকে ফিরিয়ে আনা
  • ২০৮৫. বিধবা নারী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। যুহরী (র) বলেন, বিধবা কিশোরীর জন্য খোশবু ব্যবহার করা উচিত হবে না। কেননা, তাকেও ইদ্দত পালন করতে হবে।
  • ২০৮৬. শোক পালনকারিণীর জন্য সুরমা ব্যবহার করা।
  • ২০৮৭. তুহুর (পবিত্রতা) এর সময় শোক পালনকারিণীর জন্য কুস্ত (চন্দন কাঠ) খোশবু ব্যবহার করা।
  • ২০৮৮. শোক পালনকারিণী রং করা সুতার কাপড় ব্যবহার করতে পারে।
  • ২০৮৯. (মহান আল্লাহর বাণী) তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই। তোমরা যা কর সে সমবন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।
  • ২০৯০. বেশ্যার উপার্জন ও অবৈধ বিবাহ। হাসান (র) বলেছেন, যদি কেউ অজান্তে কোন মুহাররাম মহিলাকে বিয়ে করে ফেলে, তবে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। মহিলা নির্দিষ্ট মোহর ছাড়া অন্য কিছু পাবে না। তিনি পরবর্তীতে বলেছেন, সে মোহরে মিসাল পাবে।
  • ২০৯১. নির্জনবাসের পরে মোহরের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে স্ত্রীর মোহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে।
  • ২০৯২. তালাকপ্রাপ্তা নারীর যদি মোহর নির্ণিত না হয় তাহলে সে মুত‘আ পাবে। কারণ মহান আল্লাহ্ বলেছেনঃ তোমরা নিজেদের স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করা কিংবা তাদের জন্য মোহর ধার্য করার পূর্বে তালাক দিলে তোমাদের কোন পাপ নেই। তোমরা তাদের সংস্থানের ব্যবস্থা করো। বিত্তবান তার সাধ্যমত এবং বিত্তহীন তার সামর্থ্যানুযায়ী ..... তোমরা যা কর আল্লাহ্ সে সব দেখেন। আল্লাহ্ আরও বলেছেনঃ তালাকপ্রাপ্তা নারীদেরকে প্রথমত কিছু দেওয়া মুত্তাকীদের কর্তব্য। আর লি’আনকারিণীকে তার স্বামী তালাক দেওয়ার সময় নবী (সাঃ) তার জন্য মুত‘আর কিছু দিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেননি।
  • ৫৬/ ভরণ পোষণ (كتاب النفقات) ২২ টি | ৪৯৬০-৪৯৮১ পর্যন্ত 56/ Supporting The Family
  • পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করার ফযীলত। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে তারা কি খরচ করবে? বলঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত..... পৃথিবী ও পরকালে। হাসান (র) বলেন, العفو অর্থ অতিরিক্ত।
  • ২০৯৩. পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব
  • ২০৯৪. পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা এবং তাদের জন্য খরচ করার পদ্ধতি
  • ২০৯৬. স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী ও সন্তানের খরচ
  • ২০৯৭. স্বামীর গৃহে স্ত্রীর কাজ কর্ম করা
  • ২০৯৮. স্ত্রীর জন্য খাদিম
  • ২০৯৯. নিজ পরিবার গৃহকর্তার কাজকর্ম
  • ২১০০. স্বামী যদি (ঠিকভাবে) খরচ না করে, তাহলে তার অজান্তে স্ত্রী তার ও সন্তানের প্রয়োজনানুপাতে যথাবিহিত খরচ করতে পারে।
  • ২১০১. স্বামীর সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও তার জন্য খরচ করা
  • ২১০২. মহিলাদের যথাযোগ্য পরিচ্ছদ দান
  • ২১০৩. সন্তান লালন-পালনে স্বামীকে সাহায্য করা
  • ২১০৪. নিজ পরিবারের জন্য অসচ্ছল ব্যক্তির খরচ
  • ২১০৫. ওয়ারিসের উপরেও অনুরূপ দায়িত্ব আছে। মহিলার উপরেও কি এমন কোন দায়িত্ব আছে ? আর আল্লাহ্ তা’আলা এমন দু’ব্যক্তির দৃষ্টান্ত দিয়েছেন, যাদের একজন বোবা, কিছুই করতে সমর্থ নয়। সে তার অভিভাবকের ওপর বোঝা স্বরূপ।
  • ২১০৬. দাসী ও অন্যান্য মহিলা কর্তৃক দুধ পান করানো
  • ৫৭/ আহার সংক্রান্ত (كتاب الأطعمة) ৮৯ টি | ৪৯৮২-৫০৭০ পর্যন্ত 57/ Food, Meals
  • আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আমি যে রিযিক তোমাদের দিয়েছি তা থেকে পবিত্রগুলো আহার কর। তিনি আরও বলেনঃ তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর। তিনি আরও বলেনঃ পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎ কর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি।
  • ২১০৭. আহারের পূর্বে বিসমিল্লাহ্ বলা এবং ডান হাত দিয়ে আহার করা
  • ২১০৮. সাথীর কাছ থেকে কোন অসন্তুষ্টির আলামত না দেখলে সঙ্গের পাত্রের সবদিক থেকে খুঁজে খুঁজে খাওয়া।
  • ২১০৯. আহার ও অন্যান্য কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা।
  • ২১১০. পরিতৃপ্ত হওয়া পর্যন্ত আহার করা।
  • ২১১১. মহান আল্লাহর বাণীঃ অন্ধের জন্য দোষ নেই, খোঁড়ার জন্য দোষ নেই ...... যাতে তোমরা বুঝতে পার।
  • ২১১২. নরম রুটি আহার করা এবং টেবিল ও দস্তরখানে আহার করা।
  • ২১১৩. ছাতু
  • ২১১৪. যতক্ষণ পর্যন্ত কোন খাবারের নাম বলা না হতো এবং সে খাদ্য কি তা জান্তে না পারতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নবী (সাঃ) আহার করতেন না।
  • ২১১৫. একজনের খাবার দু‘জনের জন্য যথেষ্ট
  • ২১১৬. মু'মিন ব্যক্তি এক পেটে খায়
  • ২১১৭. হেলান দিয়ে আহার করা
  • ২১১৮. ভুনা গোশত সম্বন্ধে। আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: সে এক কাবার করা গো- বৎস নিয়ে আসলো
  • ২১১৯. খাযীরা সম্পর্কে। নযর বলেছেন: খাযীরা ময়দা দিয়ে এবং হারীরা দুধ দিয়ে তৈরী করা হয়
  • ২১২০. পনির প্রসঙ্গে। হুমায়ন (র) বলেন, আমি আনাস (রা) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাফিয়্যার সাথে বাসর যাপন করলেন। তারপর তিনি (দস্তরখানে) খেজুর, পনির এবং ঘি রাখলেন। আমর ইবন আবূ আমর আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (উক্ত তিনি বস্তুর সংযোগে) “হায়স” তৈরী করেন।
  • ২১২১. সিলক ও যব প্রসঙ্গে
  • ২১২২. গোশত দাঁত দিয়ে ছিড়ে এবং তুলে নিয়ে খাওয়া
  • ২১২৩. বাহুর গোশত খাওয়া
  • ২১২৪. চাকু দিয়ে গোশত কাটা
  • ২১২৫. নবী (সাঃ) কখনো কোন খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না
  • ২১২৬. যবের আটায় ফুঁক দেওয়া
  • ২১২৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ যা খেতেন
  • ২১২৮. “তালবীনা” প্রসঙ্গে
  • ২১২৯. সারীদ প্রসঙ্গে
  • ২১৩০. ভূনা বক্‌রী এবং স্কন্ধ ও পার্শ্বদেশ
  • ২১৩১. পূর্ববর্তী মনীষীগণ তাঁদের বাড়ীতে ও সফরে গোশত এবং অন্যান্য যেসব খাদ্য সঞ্চিত রাখতেন। আবূ বকর তনয়া “আয়েশা ও আসমা (রা) বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) ও আবূ বকরের জন্য (মদীনায় হিজরতের সময়) পথের খাবার প্রস্তুত করে দিয়েছিলাম।
  • ২১৩২. হায়স প্রসঙ্গে
  • ২১৩৩. রৌপ্য খচিত পাত্রে আহার করা
  • ২১৩৪. খাদ্যদ্রব্যের আলোচনা
  • ২১৩৫. সালন প্রসঙ্গে
  • ২১৩৬. হালুয়া ও মধু
  • ২১৩৭. কদূ প্রসঙ্গে
  • ২১৩৮. ভাইদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করা
  • ২১৩৯. কাউকে খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে নিজে অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া
  • ২১৪০. শুরুয়া প্রসঙ্গে
  • ২১৪১. শুকনা গোশত প্রসঙ্গে
  • ২১৪২. একই দস্তরখানে সাথীকে কিছু এগিয়ে দেওয়া বা তার কাছ থেকে কিছু নেওয়া। ইব্‌ন মুবারক বলেনঃ একজন অপরজনকে কিছু দেওয়ায় কোন দোষ নেই। তবে এক দস্তরখান থেকে অন্য দস্তরখানে দিবে না
  • ২১৪৩. তাজা খেজুর ও কাঁকুড় প্রসঙ্গে
  • ২১৪৪. রদ্দি খেজুর প্রসঙ্গে
  • ২১৪৫. তাজা ও শুকনা খেজুর প্রসঙ্গে। আর মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তুমি তোমার দিকে খেজুন বৃক্ষের কান্ডে নাড়া দাও, তা তোমার জন্য সুপক্ক তাজা খেজুর ঝরাবে। মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র)... আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) ইন্তিকাল করেন, তখন আমরা দুই কালো বস্তু দ্বারা পরিতৃপ্ত হতাম- খেজুর এবং পানি দ্বারা।
  • ২১৪৬. খেজুর গাছের মাথী খাওয়া প্রসঙ্গে
  • ২১৪৭. আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে
  • ২১৪৮. একসঙ্গে মিলিয়ে একাধিক খেজুর খাওয়া
  • ২১৪৯. কাঁকুড় প্রসঙ্গে
  • ২১৫০. খেজুর বৃক্ষের বরকত
  • ২১৫১. একই সঙ্গে দু’রকম খাদ্য বা সু-স্বাদের খাদ্য খাওয়া
  • ২১৫২. দশজন দশজন করে মেহমান ভিতরে ডাকা এবং দশজন দশজন করে আহারে বসা
  • ২১৫৩. রসূন ও (দুর্গন্ধ যুক্ত) তরকারী মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে। এ ব্যাপারে ইব্‌ন উমার (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এর হাদীস বর্ণিত হয়েছে
  • ২১৫৪. কাবাছ-পিলু গাছের পাতা প্রসঙ্গে
  • ২১৫৫. আহারের পর কুলি করা
  • ২১৫৬. রুমাল দিয়ে মুছে ফেলার আগে আঙ্গুল চেটে ও চুষে খাওয়া
  • ২১৫৭. রুমাল প্রসঙ্গে
  • ২১৫৮. আহারের পর কি পড়বে?
  • ২১৫৯. খাদেমের সাথে আহার করা
  • ২১৬১. কাউকে আহারের দাওয়াত দিলে একথা বলা যে, এ ব্যক্তি আমার সঙ্গের। আনাস (রাঃ) বলেন, তুমি কোন মুসলিমের কাছে গেলে তার আহার থেকে খাও এবং তার পানীয় থেকে পান কর।
  • ২১৬২. রাতের খাবার পরিবেশন করা হলে তা রেখে অন্য কাজে ত্বরা করবে না
  • ২১৬৩. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ খাওয়া শেষ হলে তোমরা চলে যাবে
  • ৫৮/ আকীকা (كتاب العقيقة) ৯ টি | ৫০৭১-৫০৭৯ পর্যন্ত 58/ Sacrifice On Occasion Of Birth (Aquqa)
  • ২১৬৪. যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্‌নীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)
  • ২১৬৫. আকীকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা
  • ২১৬৬. ফারা’ প্রসঙ্গে
  • ২১৬৭. আতীরা
  • ৫৯/ যবাহ করা, শিকার করা (كتاب الذبائح والصيد) ৬৭ টি | ৫০৮০-৫১৪৬ পর্যন্ত 59/ Hunting, Slaughtering
  • মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত.... সুতরাং তোমরা তাদের ভয় করো না; বরং শুধু আমাকেই ভয় করো (মায়িদাহঃ ৩) পর্যন্ত এবং আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তোমাদিগেকে পরীক্ষা করবেন কিছু শিকার সম্বন্ধে...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (মায়িদাহঃ ৯৪) ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেন, الْعُقُودُ অঙ্গীকারসমূহ যা কিছু হালাল করা হয় বা হারা করা হয়। إِلاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ শুকুর। يَجْرِمَنَّكُمْ তোমাদেরকে যেন প্ররোচিত করে। شَنَآنُ শত্রুতা। الْمُنْخَنِقَةُ যে প্রাণীটি শ্বাসরুদ্ধ করার কারণে মারা গিয়েছে। الْمَوْقُوذَةُ যে প্রাণীকে লাঠির দ্বারা আঘাত করার দরুন তার দেহ থেতলিয়ে গিয়ে মারা যায়। الْمُتَرَدِّيَةُ যে প্রাণী পাহাড়ের উপর থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। النَّطِيحَةُ যে বকরী শিং এর গুতায় মারা গিয়েছে। ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেন, এর মধ্যে জন্তুটির তুমি লেজ বা চোখ নড়াচড়া করা অবস্থায় পাবে। সেটাকে যবাহ করবে এবং আহার করবে।
  • ২১৬৮. তীর লব্ধ শিকার। বন্দুকের গুলিতে শিকার সম্বন্ধে ইব্‌ন উমর (রা) বলেছেনঃ এটি মাওকুযাহ বা থেতলিয়ে যাওয়া শিকারের অন্তর্ভূক্ত। সালিম, কাসিম, মুজাহিদ, ইব্‌রাহীম, আতা ও হাসান বসীর (র) একে মাকরূহ মনে করেন। হাসানের মতে গ্রাম এলাকা ও শহর এলাকায় বন্দুক দিয়ে শিকার করা মাকরূহ। থবে অন্যত্র শিকার করতে কোন দোষ নেই।
  • ২১৬৯. তীরের ফলকে আঘাত প্রাপ্ত শিকার
  • ২১৭০. ধনুকের সাহায্যে শিকার করা। হাসান ও ইব্‌রাহীম (র) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি শিকারকে আঘাত করে, ফলে তার হাত কিম্বা পা পৃথক হয়ে যায়, তাহলে পৃথক অংশটি খাওয়া যাবে না, অবশিষ্ট অংশটি খাওয়া যাবে। ইব্‌রাহীম (র) বলেছেনঃ তুমি যদি শিকারের ঘাড়ে কিম্বা মধ্যভাগে আঘাত কর, তা হলে তা খাও। যায়েদের সূত্রে আ’মাশ (র) বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাস’উদের গোত্রে একটি গাধা নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। তখন তিনি আদেশ দিয়েছিলেনঃ তার দেহের যে অংশই সম্ভব হয় সেখানেই আঘাত কর। তারপর যে অংশটি ছিঁড়ে যাবে তা ফেলে দাও, আর অবশিষ্ট অংশ খাও।
  • ২১৭১. ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করা ও বন্দুক মারা
  • ২১৭২. যে ব্যক্তি শিকার বা পশু-রক্ষার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালন করে
  • ২১৭৩. শিকারী কুকুর যদি শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে এবং মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ লোকেরা আপনাকে প্রশ্ন করে থাকে যে, তাদের জন্য কী হালাল করা হয়েছে? .... নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর- পর্যন্ত (মায়িদাহঃ ৫:৪)। اجْتَرَحُوا তারা যা উপার্জন করেছে। ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেছেনঃ যদি কুকুর শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে, তবে সে শিকার নস্ট করে ফেলল। কেননা, সে তো তখন নিজের জন্য ধরেছে বলে গণ্য হবে। অথচ আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেনঃ যেগুলোকে তোমরা শিকার শিক্ষা দিয়েছ যে ভাবে আল্লাহ্‌ তোমাদিগকে শিক্ষা দান করেছেন। কাজেই কুকুরকে প্রহার করতে হবে এবং শিক্ষা দিতে হবে, যাতে সে শিকার খাওয়া বর্জন করে। ইবন উমর (রা) এটিকে মাকরূহ বলতেন। আতা (রহঃ) বলেছেন, কুকুর যদি রক্ত পান করে আর গোশত না খায় তাহলে (সেই শিকার) খেতে পারে।
  • ২১৭৪. শিকার যদি দুই বা তিনদিন শিকারী থেকে অদৃশ্য থাকে
  • ২১৭৫. শিকারের সাথে যদি অন্য কুকুর পাওয়া যায়
  • ২১৭৬. শিকারে অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে
  • ২১৭৭. পাহাড়ে শিকার করা
  • ২১৭৮. মহান আল্লাহ্‌র এরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে..... (৫:৯৬)। উমর (রা) বছেলেনঃ صَيْدُهُ যা শিকার করা হয়, আর طَعَامُهُ সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে। আবূ বক্‌র (রা) বলেছেনঃ মরে যা ভেসে উঠে তা হালাল। ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেছেনঃ طَعَامُهُ সমুদ্রে প্রাপ্ত মৃত জানোয়ার খাদ্য, তবে তন্মধ্যে যেটি ঘৃণিত সেটি ছাড়া। বাইন জাতীয় মাছ ইয়াহুদীরা খায় না, আমরা খাই। রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) এর সাহাবী আবূ শুরায়হ (রা) বলেছেনঃ সমুদ্রের সব জিনিসই যবাহকৃত বলে গণ্য। আতা (র) বলেছেনঃ (সমুদ্রের) পাখি সম্পর্কে আমার মত সেটিকে যবাহ করতে হবে। ইব্‌ন জুরায়জ (র) বলেনঃ আমি আতা (র) কে খাল, বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এগুলো কি সমুদ্রের শিকার অন্তর্ভূক্ত? তিনি উত্তর দিলেনঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَائِغٌ شَرَابُهُ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُونَ لَحْمًا طَرِيًّا এর পানি সুস্বাদু ও তৃপ্তিদায়ক (যা পান করার উপযোগী) আর অপরটির পানি লোনা ও বিস্বাদ। আর এর প্রত্যেকটি থেকেই তোমরা খাও তাজা গোশ্‌ত। হাসান সমুদ্রের কুকুরের চামগায় নির্মিত ঘোড়ার গদির উপর আরোহণ করেছেন। শা’বি (র) বলেছেনঃ আমার পরিবারের লোকেরা যদি ব্যঙ খেত, তা হলে আমি তাদের তা খাওয়াতাম। হাসান (র) কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের মনে করতেন না। ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেনঃ সমুদ্রের সব ধরনের শিকার খেতে পার, যদিও তা কোন ইয়াহুদী কিংবা খৃষ্টান কিংবা অগ্নিপূজক শিকার করে থাকে। আবুদ্‌ দারদা (রা) বলেনঃ মাছ ও সূর্যের তাপ শরাবকে পাক করে।
  • ২১৭৯. ফড়িং খাওয়া
  • ২১৮০. অগ্নি পুজকদের বাসনপত্র ও মৃত জানোয়ার
  • ২১৮১. যবাহের বস্তুর উপর বিস্‌মিল্লাহ্‌ বলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যে বিসমিল্লাহ তরক করে। ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেছেনঃ কেউ বিসমিল্লাহ্‌ বলতে ভুলে গেলে তাতে কোন দোষ নেই। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ যে সব প্রাণীর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারন করা হয়নি, তা থেকে আহার করো না। তা অবশ্যই গুনাহের কাজ। আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলেতে ভুলে যায়, তাতে গুনাহগার বলা যায় না। আল্লাহ আরো ইরশাদ করেনঃ শয়তানরা তাদের বন্ধুদের প্ররোচনা দেয় ...... (শেষ পর্যন্ত
  • ২১৮২. যে জন্তুকে দেব-দেবী ও মূর্তির নামে যবাহ করা হয়
  • ২১৮৩. নবী (সাঃ) এর ইরশাদঃ আল্লাহর নামে যবাহ্‌ করবে
  • ২১৮৪. যে জিনিস রক্ত প্রবাহিত করে অর্থাৎ বাঁশ, পাথর ও লোহা
  • ২১৮৫. দাসী ও মহিলার যবাহকৃত জন্তু
  • ২১৮৬. দাঁত, হাড় ও নখের সাহায্যে যবাহ্‌ করা যাবে না
  • ২১৮৭. বেদুঈন ও তাদের মত লোকের যবাহকৃত জন্তু
  • ২১৮৮. আহলে কিতাবের যবাহকৃত জন্তু ও এর চর্বি। তারা দারুল হারবের হোক কিংবা না হোক। মহান আল্লাহর ইরশাদঃ আজ তোমাদের জন্য পবিত্র জিনিসসমূহ হালাল করে দেওয়া হল। আহলে কিতাবের খাবার তোমাদের জন্য হালাল, তোমাদের খাবারও তাদের জন্য হালাল (মায়িদাহ: ৫) যুহরী (র) বলেছেনঃ আরব এলাকার খৃস্টানদের যবাহকৃত পশুতে কোন দোষ নেই। তবে তুমি যদি তাকে গায়রুল্লাহর নাম পড়তে শোন, তাহলে খেয়ো না। আর যদি না শুনে থাক, তাহলে মনে রেখ যে, আল্লাহ তাদের কুফরীকে জেনে নেওয়া সত্ত্বেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। হাসান ও হবরাহীম বলেছেনঃ খাতনা বিহীন লোকের যবাহকৃত পশুতে কোন দোষ নেই।
  • ২১৮৯. যে জন্তু পালিয়ে যায় তার হুকুম বন্য জন্তুর মত। ইবন মাসঊদ (রা) ও এ ফতোয়া দিয়েছেন। ইবন আব্বাস (রা) বলেছেনঃ তোমার অধীনস্থ যে জন্তু তোমাকে অক্ষম করে দেয়, সে শিকারের ন্যায়। যে উট কুয়ায় পড়ে যায়। তার যে স্থানে তোমার পক্ষে সম্ভব হয়, আঘাত (যবাহ) কর। আলী ইবন উমর এবং আয়েশা (রাঃ)ও এইমত পোষন করেন।
  • ২১৯০. নহর ও যবাহ করা। আতা (র) এর উদ্ধৃতি দিয়ে উবন জুবায়জ বলেছেন, গলা বা সিনা ব্যতীত যবাহ কিংবা নহর করা যায় না। (আতা (র) বলেন) আমি বললামঃ যে জন্তুকে যবাহ করা হয় সেটিকে আমি যদি নহর করি, তাহলে যথেষ্ট হবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। কেননা, আল্লাহ তা’আলা গরুকে যবাহ করার কথা উল্লেখ করেছেন। কাজেই যে জন্তুকে নহর করা হয়, তা যদি তুমি যবাহ কর, তবে তা জায়িয। অবশ্য আমার নিকট নহর করাই অধিক পছন্দনীয়। যবাহ অর্থ হচ্ছে রগগুলোকে কেটে দেওয়া। তিনি বললেনঃ আমি তা মনে করি না। তিনি বললেনঃ নাফি (র) আমাকে অবহিত করেছেন যে, ইবন উমর (রা) ‘নাখ’ থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেনঃ ‘নাখ’ হল হাড়ের ভিতরের সাদা রগ কেটে দেওয়া এবং তারপর ছেড়ে দেওয়া, যাতে জন্তুটি মারা যায়। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ স্মরণ কর, মূসা যখন তার সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ আল্লাহ তোমাদের গরু যবাহ করতে আদেশ দিচ্ছেন ...... যদিও তারা যবাহ করতে উদ্যত ছিল না তবুএ তারা সেটিকে যবাহ করল”। (বাকারঃ ৬৭-৭১) পর্যন্ত। সাঈদ (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেনঃ গলা ও সিনার মধ্যে জবাহ করাকে জবাহ বলে। ইবন উমর, ইবন ‌আব্বাস ও আনাস (রা) বলেনঃ যদি মাথা কেটে ফেলে তাতে দোষ নেই।
  • ২১৯১. পশুর অংগহানি করা, বেঁধে তীর দ্বারা হত্যা করা ও চাঁদমারী করা মাকরূহ
  • ২১৯২. মুরগীর গোশত
  • ২১৯৩. ঘোড়ার গোশত
  • ২১৯৪. গৃহপালিত গাধার গোশত। এ ব্যাপারে নবী (সাঃ) থেকে সালামা (রা) বর্ণিত হাদীস আছে
  • ২১৯৫. মাংসভোজী সর্বপ্রকার হিংস্র জন্তু খাওয়া
  • ২১৯৬. মৃত জন্তুর চামড়া
  • ২১৯৭. কস্তুরী
  • ২১৯৮. খরগোশ
  • ২১৯৯. গুঁই সাপ
  • ২২০০. যদি জমাট কিংবা তরল ঘিয়ের মধ্যে ইঁদুর পড়ে
  • ২২০১. পশুর মুখে চিহ্ন লাগানো ও দাগানো
  • ২২০২. কোন দল মালে গণীমত লাভ করার পর যদি তাদের কেউ সাথীদের অনুমতি ছাড়া কোন বকরী কিংবা উট যবাহ করে ফেলে তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণিত রাফি (রা) এর হাদীস অনুসারে সেই গোশত খাওয়া যাবে না। চোরের যবাহকৃত পশুর ব্যাপারে তাউস ও ইকরিমা (র) বলেছেন, তা ফেলে দাও।
  • ২২০৩. কোন দলের উট ছুটে গেলে তাদের কেউ যদি সেটিকে তাদের উপকারের উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ করে এবং হত্যা করে, তাহলে রাফি (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী তা জায়েয
  • ৬০/ কুরবানী (كتاب الأضاحي) ২৮ টি | ৫১৪৭-৫১৭৪ পর্যন্ত 60/ Al-Adha Festival Sacrifice (Adaahi)
  • ২২০৫. কুরবানীর বিধান। ইবন উমর (রাঃ) বলেছেনঃ কুরবানী সুন্নাত এবং স্বীকৃত প্রথা
  • ২২০৬. ইমাম কর্তৃক জনগণের মধ্যে কুরবাণীর পশু বন্টন
  • ২২০৭. মুসাফির ও মহিলাদের কুরবানী করা
  • ২২০৮. কুরবানীর দিন গোশত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা
  • ২২০৯. যারা বলে যে, ইয়াওমুননাহারই কুরবানীর দিন
  • ২২১০. ঈদগাহে নহর ও কুরবানী করা
  • ২২১১. নবী (সাঃ) এর দুটি শিংবিশিষ্ট মেষ কুরবানী করা। সে দুটি মোটাতাজা ছিল বলেও উল্লেখিত হয়েছে। ইয়াহ্‌ইয়া ইবন সাঈদ (র) বলেছেন: আমি আবূ উমামা ইবন সাহল থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, মদিনায় আমরা কুরবানীর পশুগুলোকে মোটাতাজা করতাজ এবং অন্য মুসলিমরাও (তাদের কুরবানীর পশু) মোটাতাজা করতেন।
  • ২২১২. আবু বুরদাহকে সম্বোধন করে নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ তুমি বকরীর বাচ্চাটি কুরবানী করে নাও। তোমার পরে অন্য কারোর জন্য এ অনুমতি থাকবে না
  • ২২১৩. কুরবানীর পশু নিজ হাতে যবাহ করা
  • ২২১৪. অন্যের কুরবানীর পশু যবাহ করা। জনৈক ব্যক্তি ইবন উমর (রাঃ) কে কুরবানীর পশুর (উটের) ব্যাপারে সহযোগীতা করেছিল। আবূ মূসা (রহঃ) তার কন্যাদের আদেশ করেছিলেন, তারা যেন নিজেদের হাতে কুরবানী করে।
  • ২২১৫. সালাত (ঈদের) আদায়ের পরে যবাহ করা
  • ২২১৬. যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পূর্বে যবাহ করে সে যেন পুনরায় যবাহ করে
  • ২২১৭. যবাহের পশুর পার্শ্বদেশ পা দিয়ে চেপে ধরা
  • ২২১৮. যবাহ করার সময় “আল্লাহু আকবার” বলা
  • ২২১৯. যবাহ করার জন্য কেউ যদি হারামে কুরবানীর পশু পঠিয়ে দেয়, তাহলে তার উপর ইহরামের বিধান থাকে না
  • ২২২০. কুরবানীর গোশত থেকে কতটুকু পরিমাণ আহার করা যাবে, আর কতটুকু পরিমান সঞ্চিত রাখা যাবে
  • ৬১/ পানীয় দ্রব্যসমূহ (كتاب الأشربة) ৬৩ টি | ৫১৭৫-৫২৩৭ পর্যন্ত 61/ Drinks
  • মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তিপুজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত জিনিস, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যেন তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা মায়িদাঃ ৯০)
  • ২২২১. আঙ্গুর থেকে তৈরী মদ
  • ২২২২. মদ হারাম হওয়ার আয়াত নাযিল হয়েছে এবং তা তৈরী হত কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে
  • ২২২৩. মধু তৈরী মদ। এটিকে পরিভাষায় ‘বিতা’ বলে। মা’ন (র) বলেন, আমি মারিক ইব্‌ন আনাসকে ‘ফুককা’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেনঃ যদি তা নেশাগ্রস্ত না করে তাহলে কোন ক্ষতি নেই। ইবন দারাওয়ারদী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে অনেককে জিজ্ঞাসা করেছি, তখন তারা বলেছেন, নেশাগ্রস্ত না করলে তাতে আপত্তি নেই।
  • ২২২৪. মদ এমন পানীয় দ্রব্য যা বিবেক বিলোপ করে দেয়
  • ২২২৫. যে ব্যক্তি মদকে ভিন্ন নামে নামকরণ করে হালাল মনে করে
  • ২২২৬. বড় ও ছোট পাত্রে “নাবীয” তৈরী করা
  • ২২২৭. বিভিন্ন ধরনের বরতন ও পাত্র ব্যবহার নিষেধ করার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পক্ষ থেকে পুনঃঅনুমতি প্রদান।
  • ২২২৮. শুকনো খেজুরের রস যতক্ষণ না তা নেশার সৃষ্টি করে
  • ২২২৯. ‘বাযাক’ (অর্থাৎ আঙ্গুরের সামান্য পাকানো রস)-এর বর্ণনা এবং যারা উদ্রেককারী যাবতীয় পানীয় নিষিদ্ধ বলেন তা বর্ণন। উমর, আবূ উবায়দা ও মুৱআয (রাঃ) ’তিলা’ অর্থাৎ আঙ্গুরের যে রসকে পাকিয়ে এক-তৃতীয়াংশ করা হয়েছে, তা পান করার জায়েয মনে করেন। বার ও আবূ জুহায়ফা (রাঃ) পাকিয়ে অর্ধেক থাকাবস্থায় রস পান করছেন। ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেছেন : আমি তাজা অবস্থায় থাকা পর্যন্ত আঙ্গুরের রস পান করেছি। উমর (রা) বলেছেনঃ আমি উবায়দুল্লাহ্‌র মূখ থেকে শরাবের ঘ্রাণ পেয়েছি এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাও করেছি। যদি তা নেশার সৃষ্টি করত, তাহেল আমি বেত্রাঘাত করতাম।
  • ২২৩০. যারা মনে করে নেশাদারা হওয়ার পর কাঁচা ও পাকা খেজুর একত্রে মিলানো উচিতৎ নয় এবং উভয়ের রসকে একত্রিত করা উচিত নয়
  • ২২৩১. দুধ পান করা। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ ওদের উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ, যা পানকারীদের জন্য অত্যান্ত সুস্বাদু (সুরা নাহলঃ ৬৬)
  • ২২৩২. সুপেয় পানি তালাশ করা
  • ২২৩৩. পানি মিশ্রিত দুধ পান করা
  • ২২৩৪. মিষ্টি দ্রব্য ও মধু পান করা। যুহরী (র) বলেছেন, ভীষণ মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হলেও মানুষের পেশাব নাপাক। কেননা পেশাব অপবিত্র। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদঃ “তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সকল পবিত্র জিনিস।” ইবন মাসউদ (রাঃ) নেশাদ্রব্য সম্পর্কে বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর যে সকল জিনিস হারাম করেছেন তাতে তোমাদের জন্য কোন নিরাময় রাখেন নি।
  • ২২৩৫. দাঁড়ানো অবস্থায় পান করা
  • ২২৩৬. উটের পিঠে আরোহী অবস্থায় পান করা
  • ২২৩৭. পান করার ক্ষেত্রে প্রথমে ডানের ব্যক্তি, তারপর ক্রমান্বয়ে ডানের ব্যক্তির অগ্রাধিকার
  • ২২৩৮. পান করতে দেয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক (বয়োজ্যেষ্ঠ) লোকদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য তার ডানে অবস্থিত লোক থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে কি?
  • ২২৩৯. অঞ্জলি দ্বারা হাউজের পানি পান করা
  • ২২৪০. ছোটরা বড়দের খিদমত করবে
  • ২২৪১. পাত্রগুলো ঢেকে রাখা
  • ২২৪২. মশ্‌কের মুখ খুলে তাতে মুখ লাগিয়ে পান করা
  • ২২৪৩. মশ্‌কের মুখ থেকে পানি পান করা
  • ২২৪৪. পান পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা
  • ২২৪৫. দুই কিংবা তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করা
  • ২২৪৬. সোনার পাত্রে পানি পান করা
  • ২২৪৭. সোনা-রূপার পাত্রে পানি পান করা
  • ২২৪৮. পেয়ালায় পান করা
  • ২২৪৯. নাবী (সাঃ) এর ব্যবহৃত পেয়ালায় পান করা এবং তাঁর পাত্রসমূহের বর্ণনা। আবূ বুরদাহ (র) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে সেই পাত্রে পান করতে দেব না যে পাত্রে নাবী (সাঃ) পান করেছেন?
  • ২২৫০. বরকত পান করা ও বরকতযুক্ত পানির বর্ণনা
  • ৬২/ রোগীদের বর্ণনা (كتاب المرضى) ৩৮ টি | ৫২৩৮-৫২৭৫ পর্যন্ত 62/ Patients
  • রোগের কাফ্‌ফারা ও ক্ষতিপূরণ এবং মহান আল্লাহ‌র বাণীঃ যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে তাকে সেই কাজের প্রতিফল দেয়া হবে।
  • ২২৫১. রোগের তীব্রতা
  • ২২৫২. মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন নবীগণ। এর পরে ক্রমান্বয়ে প্রথম ব্যক্তি এবং পরবর্তী প্রথম ব্যক্তি
  • ২২৫৩. রোগীর সেবা করা ওয়াজিব
  • ২২৫৪. সংজ্ঞাহীন ব্যক্তির সেবা করা
  • ২২৫৫. মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগীর ফযীলাত
  • ২২৫৬. যে ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তিচলে গেছে তার ফযীলাত
  • ২২৫৭. মহিলাদের পুরুষ রোগীর সেবা করা। উম্মু দারাদা (রাঃ) মসজিদে অবস্থানকারী জনৈক আনসার ব্যক্তির সেবা করেছিলেন
  • ২২৫৮. অসুস্থ শিশুদের সেবা করা
  • ২২৫৯. অসুস্থ বেদুঈনদের সেবা করা
  • ২২৬০. মুশরিক রোগীর দেখাশুনা করা
  • ২২৬১. কোন রোগীকে দেখতে গিয়ে সালাতের সময় হলে সেখানেই উপস্থিত লোকদের নিয়ে জামা'আতবদ্ধভাবে সালাত আদায় ক
  • ২২৬২. রোগীর দেহে হাত রাখা
  • ২২৬৩. রোগীর সামনে কী বলতে হবে এবং তাকে কী জবাব দিতে হবে
  • ২২৬৪. রোগীর দেখাশুনা করা, আরোহী অবস্থায়, পায়ে চলা অবস্থায়, এবং গাধার পিঠে সাওয়ারী অবস্থায়
  • ২২৬৫. রোগীর উক্তি "আমি যাতনা গ্রস্থ" কিংবা আমার মাথা গেল, কিংবা আমার যন্ত্রণা প্রচন্ড আকার ধারণ করেছে এর বর্ণনা। আর আইয়ুব (আঃ) এর উক্তিঃ হে আমার রব। আমাকে কষ্ট-যাতনা স্পর্শ করেছে অথচ তুমি তো পরম দয়ালু
  • ২২৬৬. তোমারা উঠে যাও, রোগীর এ কথা বলা
  • ২২৬৭. দু'আর উদ্দেশ্যে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে যাওয়া
  • ২২৬৮. রোগীর মৃত্যু কামনা করা
  • ২২৬৯. রোগীর জন্য পরিচর্যাকারীর দু'আ করা। আয়শা বিনত সা'দ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ হে আল্লাহ্‌! সা'দকে নিরাময় কর
  • ২২৭০. রোগীর পরিচর্যাকারীর অযু করা
  • ২২৭১. জ্বর, প্লেগ ও মহামারী দূর হবার জন্য কোন ব্যক্তির দু'আ করা
  • ৬৩/ চিকিৎসা (كتاب الطب) ৯১ টি | ৫২৭৬-৫৩৬৬ পর্যন্ত 63/ Medicine
  • ২২৭২. আল্লাহ এমন কোন ব্যাধি অবতীর্ণ করেন নি যার নিরাময়ের কোন উপকরণ সৃষ্টি করেন নি
  • ২২৭৩. পুরুষ নারীর এবং নারী পুরুষের চিকিৎসা করতে পারে কি?
  • ২২৭৪. তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় আছে
  • ২২৭৫. মধুর সাহায্যে চিকিৎসা। মহান আল্লাহর বানীঃ এর মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য নিরাময়
  • ২২৭৬. উটের দুধের সাহায্যে চিকিৎসা
  • ২২৭৭. উটের পেশাব ব্যবহার করে চিকিৎসা
  • ২২৭৮. কালোজিরা
  • ২২৭৯. রোগীর জন্য তালবীনা বা তরল লঘুপাক খাদ্য
  • ২২৮০. নাসিকায় ঔষধ ব্যবহার
  • ২২৮১. ভারতীয় ও সামুদ্রিক এলাকার চন্দন কাঠের (ধোঁয়ার) সাহায্যে নাকে ঔষধ টেনে নেওয়া। قُسْطِ কে كُسْتُ ও বলা হয়। যেমন كَافُورِ কে قَافُورِ ও বলা যায়। অনুরূপভাবে كُشِطَتْ কে قُشِطَتْ পড়া যায়। كُشِطَتْ এর অর্থ হল نُزِعَتْ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ قُشِطَتْ পড়েছেন।
  • ২২৮২. কোন সময় শিঙ্গা লাগাতে হয়। আবু মুসা (রাঃ) রাতে শিঙ্গা লাগাতেন
  • ২২৮৩. সফর ও ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো। ইবন বুজায়না (রাঃ) এ ব্যাপারে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • ২২৮৪. রোগ নিরাময়ের জন্য শিংগা লাগানো
  • ২২৮৫. মাথায় শিংগা লাগানো
  • ২২৮৬. অর্ধেক মাথা কিংবা পুরো মাথা ব্যথার কারণে শিংগা লাগানো
  • ২২৮৭. কষ্টের কারনে মাথা মুড়িয়ে ফেলা
  • ২২৮৮. যে ব্যক্তি আগুনের দ্বারা দাগ দেয় কিংবা অন্যকে দাগ লাগিয়ে দেয় এবং যে ব্যক্তি এভাবে দাগ দেয়নি তার ফযীলত
  • ২২৮৯. চোখের রোগের কারনে সুরমা ব্যবহার করা। উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকেও বর্ণনা রয়েছে
  • ২২৯১. জমাট শিশির চোখের জন্য শেফা
  • ২২৯২. রোগীর মুখের ভিতর ঔষধ ঢেলে দেয়া
  • ২২৯৩. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২২৯৪. উযরা-আলা-জিহবা যন্ত্রণা রোগের বর্ণনা
  • ২২৯৫. পেটের পীড়ার চিকিৎসা
  • ২২৯৬. ‘সফর’ পেটের পীড়া ছাড়া কিছুই নয়
  • ২২৯৭. পাঁজরের ব্যথা
  • ২২৯৮. রক্ত বন্ধ করার জন্য চাটাই পুড়িয়ে ছাই লাগানো
  • ২২৯৯. জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়
  • ২৩০০. অনুকূল নয় এমন এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়া
  • ২৩০১. প্লেগ রোগের বর্ণনা
  • ২৩০২. প্লেগ রোগে ধৈর্যধারণকারীর সাওয়াব
  • ২৩০৩. কুরআন পড়ে এবং সূরা নাস ও ফালাক (মু’আব্বিযাত) পড়ে ফুঁক দেওয়ার বর্ণনা
  • ২৩০৪. সূরাহ ফাতিহার দ্বারা ফুঁক দেয়া। ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে নবী (সাঃ) সুত্রে এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে
  • ২৩০৫. ঝাড়-ফুঁক দেওয়ার বিনিময়ে একপাল বকরীর শর্ত
  • ২৩০৬. বদ নযরের জন্য ঝাড়ফুঁক করা
  • ২৩০৭. বদ নযর লাগা সত্য
  • ২৩০৮. সাপ কিংবা বিচ্ছুর দংশনে ঝাড়-ফুঁক দেয়া
  • ২৩০৯. নাবী (সাঃ) এর ঝাড়-ফুঁক
  • ২৩১০. ঝাড়-ফুঁকে থুথু দেয়া
  • ২৩১১. ঝাড়-ফুঁককারীর ডান হাত দিয়ে ব্যথিত স্থান মাসাহ করা
  • ২৩১২. মেয়েলোকের দ্বারা পুরুষকে ঝাড়-ফুঁক করা
  • ২৩১৩. যে ব্যক্তি ঝাড়-ফুঁক করে না
  • ২৩১৪. পশু-পাখি তাড়িয়ে শুভ-অশুভ নির্ণয়
  • ২৩১৫. শুভ-অশুভ লক্ষন
  • ২৩১৬. পেচাঁয় কুলক্ষন নেই
  • ২৩১৭. গণনা বিদ্যা
  • ২৩১৮. যাদু সম্পর্কে। মহান আল্লাহর বাণীঃ শায়তানরাই কুফুরী করেছিল, তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত এবং যা বাবিল শহরে হারুত ও মারুত ফেরেশতাদ্বয়ের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল ………… পরকালে তার কোন অংশ নেই পর্যন্ত(বাকারাঃ ১০২) মহান আল্লাহর বাণীঃ যাদুকর যে যেথায়ই আসুক, সফল হবে না- (ত্বহাঃ৬-৯)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কি দেখে শুনে যাদুর কবলে পড়বে? (আম্বিয়াঃ ৩)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাদের যাদুর কারনে মূসার মনে হল যে, তাদের রশি আর লাঠিগুলো ছুটাছুটি করছে (ত্বহাঃ ৬৬)। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং সে সব নারীর অনিষ্ট থেকে যারা গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দেয় (ফালাকঃ ৪) النَّفَّاثَاتُ অর্থ যাদুকর নারী, যারা যাদু করে চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।
  • ২৩১৯. শিরক ও যাদু ধ্বংসাত্মক
  • ২৩২১. যাদু
  • ২৩২২. কোন কোন ভাষণ যাদু
  • ২৩২৩. আজওয়া খেজুর দিয়ে যাদুর চিকিৎসা
  • ২৩২৪. পেঁচার মধ্যে কোন অশুভ লক্ষন নেই
  • ২৩২৫. কোন সংক্রামক নেই
  • ২৩২৬. নাবী (সাঃ) কে বিষ পান করানো প্রসঙ্গে উরওয়া (রহঃ) বর্ণনা করেছেন আয়শা (রাঃ) থেকে, তিনি নবী (সাঃ) থেকে
  • ২৩২৭. বিষ পান করা, বিষের সাহায্যে চিকিৎসা করা, মারাত্মক কিছু দ্বারা চিকিৎসা করা যাতে মারা যাবার আশংকা আছে এবং হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা
  • ২৩২৮. গাধীর দুধ
  • ২৩২৯. কোন পাত্রে যখন মাছি পড়ে
  • ২৩২০. যাদুর চিকিৎসা করা যাবে কি না? ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, আমি সাঈদ ইবনু মুসায়্যিব (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলামঃ জনৈক ব্যক্তিকে যাদু করা হয়েছে অথবা (যাদু করে) তার ও তার স্ত্রীর মধ্যে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে, এমন ব্যক্তিকে যাদু মুক্ত করা যায় কি না অথবা তার থেকে যাদুর বন্ধন খুলে দেয়া বৈধ কি না? সাঈদ(রহঃ) বলেনঃ এতে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, তারা এর দ্বারা তাকে ভাল করতে চাইছে। আর যা কল্যানকর তা নিষিদ্ধ নয়।
  • ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس) ১৭৮ টি | ৫৩৬৭-৫৫৪৪ পর্যন্ত 64/ Dress
  • ২৩৩০. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ বল, আল্লাহ্‌ স্বীয় বান্দাদিগের জন্য যে সব শোভার বস্তু সৃষ্টি করেছেন তা নিষেধ করেছেন কে? নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা খাও, পান কর, পরিধান কর এবং দান কর, তবে অপচয় ও অহংকার পরিহার করো। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, যা ইচ্ছা খাও, যা ইচ্ছা পরিধান কর, যতক্ষন না দু’টো জিনিস তোমাকে বিভ্রান্ত করে- অপব্যয় ও অহংকার।
  • ২৩৩১. যে ব্যক্তি বিনা অহংকারে তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলে
  • ২৩৩২. কাপড়ের মধ্যে জড়িয়ে থাকা
  • ২৩৩৩. টাখনুর নীচে যা থাকবে তা যাবে জাহান্নামে যাবে
  • ২৩৩৪. যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরে
  • ২৩৩৫. ঝালরযুক্ত ইযার। যুহরী, আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ, হামযা ইবন আবু উসায়দ ও মুয়াবিয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন জা'ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা ঝালরযুক্ত পোশাক পরিধান করেছেন
  • ২৩৩৬. চাদর পরিধান করা। আনাস (রাঃ) বলেনঃ এক বেদুঈন নবী (সাঃ) এর চাদর টেনে ধরেছেন
  • ২৩৩৭. জামা পরিধান করা। মহান আল্লাহর বানীঃ ইউসুফ (আঃ) এর ঘটনাঃ তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও আর তা আমার পিতার মুখমণ্ডল ে রাখ, তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন
  • ২৩৩৮. মাথা বের করার জন্য জামা ও অন্য পোশাকের বুকের অংশ ফাক রাখা
  • ২৩৩৯. যিনি সফরে সংকীর্ণ আস্তিন বিশিষ্ট জোব্বা পরিধান করেন
  • ২৩৪০. যুদ্ধের সময় পশমী জামা পরিধান করা
  • ২৩৪১. কাবা ও রেশমী ফাররূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পিচনের দিকে ফাঁক থাকে
  • ২৩৪২. টুপি, মুসাদ্দাদ (র) আমাকে বলেছেন যে, মু‘তামার বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আনাস (রাঃ) এর (মাথার) উপর জাফরান রেশমী টুপি দেখেছেন।
  • ২৩৪৩. পায়জামা
  • ২৩৪৪. পাগড়ী
  • ২৩৪৫. চাদর বা অন্য কিছু দ্বারা মাথা ও মুখের অধিকাংশ অঙ্গ ঢেকে রাখা। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) একদা বাইরে আসলেন, তখন তাঁর (মাথার) উপর রুমাল ছিল । আনাস (রাঃ) নাবী (সাঃ) নিজ মাথা চাদরের এক পাশ দ্বারা বেঁধে রেখেছিলেন ।
  • ২৩৪৬. লৌহ শিরস্ত্রাণ
  • ২৩৪৭. ডোরাওয়ালা চাদর, কারুকার্যময় ইয়ামনী চাদর ও চাদরের আঁচলের বিবরণ। খাব্বাব (রাঃ) বলেন, আমরা নাবী (সাঃ) এর নিকট অভিযোগ করেছিলাম, তখন তিনি ডোরাওয়ালা চাদরে হেলান দিয়ে বসেছিলেন
  • ২৩৪৮. কম্বল ও কারুকার্যপূর্ণ চাদর পরিধান করা
  • ২৩৪৯. কাপড় মুড়ি দিয়ে বসা
  • ২৩৫০. এক কাপড়ে পেঁচিয়ে বসা
  • ২৩৫১. নকশীদার কালো চাদর
  • ২৩৫২. সবুজ পোশাক
  • ২৩৫৩. সাদা পোশাক
  • ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
  • ২৩৫৫. পরিধান না করে রেশমী কাপড় স্পর্শ করা। এ সম্পর্কে যুবায়দীর সুত্রে আনাস (রাঃ) থেকে নবী (সাঃ) এর হাদিস বর্ণিত আছে
  • ২৩৫৬. রেশমী কাপড় বিছানো। আবীদা বলেন, এটা পরিধানের তুল্য
  • ২৩৫৭. কাসসী পরিধান করা। আসিম আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কাসসী’ কী? তিনি বললেন, এক প্রকার কাপড় –যা শাম (সিরিয়া) অথবা মিশর থেকে আমাদের দেশে আমদানী হয়ে থাকে। চওড়া দিক থেকে নকশা করা হয়, তাতে রেশম থাকে এবং উৎরুনজের মত তা কারুকার্যখচিত হয়। আর মীসারা এমন বস্র, যা স্ত্রী লোকেরা তাদের স্বামীদের জন্য প্রস্তুত করে, মখমলের চাদরের মত তা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। জারীর ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর বর্ণনায় আছে- কাসসী হল নকশীওয়ালা কাপড় যা মিশর থেকে আমদানী হয়, তাতে রেশম থাকে। আর মীছারা হলো হিংস্র জন্তুর চামড়া
  • ২৩৫৮. চর্মরোগের কারণে পুরুষের জন্য রেশমী কাপড়ের অনুমতি
  • ২৩৫৯. মহিলাদের রেশমী কাপড় পরিধান করা
  • ২৩৬০. নাবী (সাঃ) কী ধরনের পোশাক ও বিছানা গ্রহণ করতেন
  • ২৩৬১. যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরবে তার জন্য কী দু’আ করা হবে?
  • ২৩৬২. পুরুষের জন্যে জাফরানী রং এর কাপড় পরিধান করা
  • ২৩৬৩. জাফরানী রং এর রঙ্গিন কাপড়
  • ২৩৬৪. লাল কাপড়
  • ২৩৬৫. লাল ‘মীছারা’
  • ২৩৬৬. পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা
  • ২৩৬৭. ডান দিক থেকে জুতা পরা আরম্ভ করা
  • ২৩৬৮. বাঁ পায়ের জুতা খোলা হবে
  • ২৩৬৯. এক পায়ে জুতা পরে হাঁটবে না
  • ২৩৭০. এক চপ্পলে দু' ফিতা লাগান, কারও মতে এক ফিতা লাগানও বৈধ
  • ২৩৭১. লাল চামড়ার তাঁবু
  • ২৩৭২. চাটাই বা অনুরূপ কোন জিনিসের উপর বসা
  • ২৩৭৪. স্বর্ণের আংটি
  • ২৩৭৫. রূপার আংটি
  • ২৩৭৬. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৩৭৭. আংটির মোহর
  • ২৩৭৮. লোহার আংটি
  • ২৩৭৯. আংটিতে নকশা করা
  • ২৩৮০. কনিষ্ট আঙ্গুলে আংটি পরা
  • ২৩৮১. কোন কিছুর উপর সীলমোহর দেওয়ার জন্য অথবা আহলে কিতাব বা অন্য কারো নিকট পত্র লেখার জন্যে আংটি তৈরি করা
  • ২৩৮২. যে লোক আংটির নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখে
  • ২৩৮৩. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ তার আংটির নকশার ন্যায় কেউ নকশা বানাতে পারবে না
  • ২৩৮৪. আংটির নক্‌শা কি তিন লাইনে করা যায়?
  • ২৩৮৫. মহিলাদের আংটি পরিধান করা। ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) এর স্বর্ণের কয়েকটি আংটি ছিল ।
  • ২৩৮৬. মহিলাদের হার পরিধান করা, সুগন্ধি ও ফুলের মালা পরা
  • ২৩৮৭. হার ধার নেওয়া
  • ২৩৮৮. মহিলাদের কানের দুল। ইব্‌ন ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) (একবার) মহিলাদের সদাকাহ করার নির্দেশ দেন। তখন আমি দেখলাম, তারা তাদের নিজ নিজ কান ও গলার দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
  • ২৩৮৯. শিশুদের মালা পরানো
  • ২৩৯০. পুরুষের নারীর বেশ ধারণ করা এবং নারীর পুরুষের বেশ ধারণ করা
  • ২৩৯১. নারীর বেশধারী পুরুষদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া
  • ২৩৯২. গোঁফ ছাটা। ইব্‌নু ‘উমার (র) গোঁফ এতো ছোট করতেন যে, চামড়ার শুভ্রতা দেখা যেত এবং তিনি গোঁফ ও দাঁড়ির মাঝের পশম কেটে ফেলতেন।
  • ২৩৯৩. নখ কাটা
  • ২৩৯৪. দাঁড়ি বড় রাখা
  • ২৩৯৫. বার্ধক্যকালে (খিযাব লাগান সম্পর্কে) বর্ণনা
  • ২৩৯৬. খিযাব
  • ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
  • ২৩৯৮. মাথার চুল জট করা
  • ২৩৯৯. মাথার চুল মাথার মাঝখানে দুইভাগে বিভক্ত করা
  • ২৪০০. চুলের ঝুটি
  • ২৪০১. 'কাযা' অর্থাৎ মাথার কিছু চুল মুড়ে ফেলা ও কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া
  • ২৪০২. স্ত্রী কর্তৃক নিজ হাতে স্বামীকে খুশবু লাগিয়ে দেওয়া
  • ২৪০৩. মাথায় ও দাঁড়িতে খুশবু লাগানো
  • ২৪০৪. চিরুনি করা
  • ২৪০৫. হায়েয অবস্থায় স্বামীর মাথা আঁচড়ে দেওয়া
  • ২৪০৬. চিরুনী দ্বারা মাথা আঁচড়ানো
  • ২৪০৭. মিস্‌কের বর্ণনা
  • ২৪০৮. খুশবু লাগান মুস্তাহাব
  • ২৪০৯. খুশবু প্রত্যাখান না করা
  • ২৪১০. যারীরা নামক সুগন্ধি
  • ২৪১১. সৌন্দর্যের জন্য সামনের দাঁত কেটে সরু করা ও দাঁতের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করা
  • ২৪১২. পরচুলা লাগানো
  • ২৪১৩. ভ্রু উপড়ে ফেলা
  • ২৪১৪. পরচুলা লাগানো
  • ২৪১৫. উল্কি উৎকীর্ণকারী নারী
  • ২৪১৬. যে নারী অঙ্গ প্রতঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করায়
  • ২৪১৭. ছবি
  • ২৪১৮. ক্বিয়ামতের দিন ছবি নির্মাতাদের শাস্তি প্রসঙ্গে
  • ২৪১৯. ছবি ভেঙ্গে ফেলা
  • ২৪২০. ছবিযুক্ত কাপড় দিয়ে বসার আসন তৈরী করা
  • ২৫২১. ছবির উপর বসা অপছন্দনীয়
  • ২৪২২. ছবিযুক্ত কাপড়ে নামায পড়া মাকরূহ
  • ২৪২৩. যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
  • ২৪২৪. যে ঘরে ছবি রয়েছে তাতে যিনি প্রবেশ করেন না
  • ২৪২৫. ছবি নির্মানকারীকে যিনি লা'নত করেছেন
  • ২৪২৬. যে ব্যক্তি ছবি নির্মাণ করে তাকে কিয়ামতের দিন তাতে রূহ দানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে কিন্তু সে সক্ষম হবে না
  • ২৪২৭. সাওয়ারীর উপর কারও পশ্চাতে বসা
  • ২৪২৮. এক সাওয়ারীর উপর তিনজন বসা
  • ২৪২৯. সাওয়ারী জানোয়ারের মালিক অন্যকে সামনে বসাতে পারে কি না? কেউ কেউ বলেছেন, জানোয়ারের মালিক সামনে বসার বেশী হকদার, তবে যদি কাউকে সে অনুমতি দেয়, তবে তা ভিন্ন কথা।
  • ২৪৩০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৪৩১. সওয়ারীর উপর পুরুষের পিছনে মহিলার বসা
  • ২৪৩২. চিৎ হয়ে শয়ন করা এবং এক পা অন্য পায়ের উপর রাখা
  • ৬৫/ আচার ব্যবহার (كتاب الأدب) ২৪৯ টি | ৫৫৪৫-৫৭৯৩ পর্যন্ত 65/ Good Manner And From (Al- Adab)
  • ২৪৩৩. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি
  • ২৪৩৪. উত্তম ব্যবহার পাওয়ার কে বেশী হকদার?
  • ২৪৩৫. পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদে যাবে না
  • ২৪৩৬. কোন লোক পিতা-মাতাকে গালি দেবে না
  • ২৪৩৭. পিতা-মাতার প্রতি উত্তম ব্যবহারকারীর দু'আ কবুল হওয়া
  • ২৪৩৮. পিতা-মাতার নাফরমানী করা কবিরা গুনাহ
  • ২৪৩৯. মুশরিক পিতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা
  • ২৪৪০. যে স্ত্রীর স্বামী আছে, ঐ স্ত্রীর পক্ষে তার নিজের মায়ের সঙ্গে ভাল ব্যবহার অক্ষুণ্ন রাখা। লায়স (র) ...... ‘আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ কুরাইশরা যে সময়ে নবী (সাঃ) এর সঙ্গে সন্ধি চুক্তি করেছিল, ঐ চুক্তি কালীন সময়ে আমার মা তাঁর পিতার সঙ্গে এলেন। আমি নবী (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমার মা এসেছেন, তবে সে অমুসলিম। আমি কি তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করব? তিনি বললেনঃ হাঁ। তোমার মায়ের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো।
  • ২৪৪১. মুশরিক ভাইয়ের সঙ্গে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করা
  • ২৪৪২. রক্ত সম্পর্ক রক্ষা করার ফযীলত
  • ২৪৪৩. আত্মীয়তার সম্পর্কে ছিন্নকারীর পাপ
  • ২৪৪৪. রক্ত সম্পর্ক রক্ষা করলে রিযক বৃদ্ধি হয়
  • ২৪৪৫. যে ব্যক্তি আত্মীয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবে, আল্লাহ তার সাথে সুসম্পর্ক রাখবেন
  • ২৪৪৬. রক্ত সম্পর্ক সঞ্জীবিত হয়, যদি সুসম্পর্কের মাধ্যমে তাতে পানি সিঞ্চন করা হয়
  • ২৪৪৭. প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক আদায়কারী নয়
  • ২৪৪৮. যে লোক মুশরিক অবস্থায় আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে, তারপর ইসলাম গ্রহণ করে
  • ২৪৪৯. অন্যের শিশু কন্যাকে নিজের সাথে খেলাধুলা করতে বাধা না দেওয়া অথবা তাকে চুম্বন দেয়া, তার সাথে হাসি-ঠাট্রা করা
  • ২৪৫০. সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, চুমু দেয়া ও আলিঙ্গন করা। সাবিত (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) (তাঁর পুত্র) ইবরাহীমকে চুমু দিয়েছেন ও তার ঘ্রান নিয়েছেন
  • ২৪৫১. আল্লাহ দয়া-মায়াকে একশ ভাগে ভাগ করেছেন
  • ২৪৫২. সন্তান খাবে, এ ভয়ে তাকে হত্যা করা
  • ২৪৫৩. শিশুকে কোলে নেওয়া
  • ২৪৫৪. শিশুকে রানের উপর রাখা
  • ২৪৫৫. সম্মানিত ব্যক্তির সাথে সৌজন্যমূলক আচরন করা ঈমানের অংশ
  • ২৪৫৬. ইয়াতীমের তত্ত্বাবধানকারীর ফযীলত
  • ২৪৫৭. বিধবার ভরণ-পোষণের চেষ্টাকারী
  • ২৪৫৮. মিসকীনদের অভাব দূরীকরণের চেষ্টারত ব্যক্তি সম্পর্কে
  • ২৪৫৯. মানুষ ও পশুর প্রতি দয়া
  • ২৪৬০. প্রতিবেশীর জন্য অসীয়ত। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না, মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার কর, এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের আয়ত্তাধীন দাস-দাসীদের সথেও, আল্লাহ গর্বিত অহংকারী লোককে কখনো ভালবাসেন না।
  • ২৪৬১. যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না, তার গুনাহ্
  • ২৪৬২. কোন প্রতিবেশী নারী তার প্রতিবেশী নারীকে তুচ্ছ মনে করবে না
  • ২৪৬৩. যে ব্যক্তি আল্লাহও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়
  • ২৪৬৪. প্রতিবেশীদের অধিকার নির্ধারিত হবে দরজার নিকটবর্তীতার দ্বারা
  • ২৪৬৫. প্রত্যেক সৎ কাজই সদাকা
  • ২৪৬৬. মধুর ভাষা সাদাকা। আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মধুর ভাষা হল সাদাকা।
  • ২৪৬৭. সকল কাজে নম্রতা
  • ২৪৬৮. মু’মিনদের পারস্পরিক সহযোগিতা
  • ২৪৬৯. আল্লাহ তা’আলার বানীঃ যে ব্যক্তি ভাল কাজের সুপারিশ করবে, সে ঐ কাজের সাওয়াবের একটা অংশ পাবে ...... ক্ষমতাবান পর্যন্ত। كِفْلٌ অর্থ অংশ। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, কিফলাইন শব্দের অর্থ হলো, দিগুন সাওয়াব।
  • ২৪৭০. নাবী (সাঃ) অশালীন ছিলেন না, আর ইচ্ছে করে অশালীন উক্তি করতেন না
  • ২৪৭১. সচ্চরিত্রতা, দানশীলতা সম্পর্কে ও কৃপনতা ঘৃণ্য হওয়া সম্পর্কে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, নাবী (সাঃ) মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন। আর রমযান মাসে তিনি আরও অধিক দানশীল হতেন। আবু যার (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন তাঁর নিকট নাবী (সাঃ) এর আবির্ভাবের খবর আসল তখন তিনি তাঁর ভাইকে বললেনঃ তুমি এই মক্কা উপত্যকার দিকে সফর কর এবং তাঁর কথা শুনে এসো। তাঁর ভাই ফিরে এসে বললেনঃ আমি তাঁকে উত্তম চরিত্রে ভূষিত হওয়ার নির্দেশ দিতে দেখেছি।
  • ২৪৭২. মানুষ নিজ পরিবারে কী ভাবে চলবে
  • ২৪৭৩. ভালবাসা আল্লাহ তা‘আলার তরফ থেকে আসে
  • ২৪৭৪. আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশ্যে ভালবাসা
  • ২৪৭৫. আল্লাহ তা'আলার বানীঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা একদল অপর দলের প্রতি উপহাস করবে না। সম্ভবতঃ উপহাস্য দল, উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে ...... আর তারাই যালিম।
  • ২৪৭৬. গালি ও অভিশাপ দেয়া নিষিদ্ধ
  • ২৪৭৭. মানুষের গুনাগুন উল্লেখ করা জায়িয। যেমন লোকে কাউকে বলে ‘লম্বা’ অথবা ‘খাটো’। আর নাবী (সাঃ) কাউকে ‘যুল্ইয়াদাইন’ (লম্বা হাত বিশিষ্ট) বলেছেন। তবে কারো বদনাম অথবা অপমান করার উদ্দেশ্যে (জায়িয) নয়
  • ২৪৭৮. গীবত করা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণীঃ তমাদের কেউ যেন অন্যের গীবত না করে ...... অতি দয়ালু পর্যন্ত।
  • ২৪৭৯. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ আনসারদের ঘরগুলো উত্তম
  • ২৪৮০. ফাসাদ ও সন্দেহ সৃষ্টিকারীদের গীবত করা জায়েয
  • ২৪৮১. চোগলখোরী কবীরা গুনাহ্
  • ২৪৮২. চোগলখোরী নিন্দনীয় গুনাহ্। আল্লাহর বাণীঃ অধিক কসমকারী, লাঞ্চিত ব্যক্তি পশ্চাতে নিন্দাকারী এবং চোগলখোরী করে বেড়ায় এমন ব্যক্তি। প্রত্যেক চোগলখোর ও প্রত্যেক পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ নিন্দাকারীদের ধ্বংস অনিবার্য
  • ২৪৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা মিথ্যা কথা পরিহার কর।
  • ২৪৮৪. দু’মুখো ব্যক্তি সম্পর্কে
  • ২৪৮৫. আপন সঙ্গীকে তার সম্পর্কে অপরের উক্তি অবহিত করা
  • ২৪৮৬. অপছন্দনীয় প্রশংসা
  • ২৪৮৭. নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কারো প্রশংসা করা। সা’দ (রাঃ) বলেন, আমি নাবী (সাঃ) কে যমিনের উপর বিচরণকারী কোন লোকের ব্যাপারে এ কথা বলতে শুনিনি যে, সে জান্নাতী এক ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু সালাম (রাঃ) ব্যতীত
  • ২৪৮৮. মহান আল্লাহর বানীঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার ও সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দান করেন ... গ্রহন পর্যন্ত। এবং আল্লাহর বানীঃ তোমাদের সীমা অতিক্রম করার পরিনতি তোমাদেরই উপর বার্তাবে “যার উপর জুলুম করা হয় নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন” আর মুসলিম অথবা কাফিরের কু-কর্ম প্রচার থেকে বিরত থাকা
  • ২৪৮৯. একে অন্যকে হিংসা করা এবং পরস্পর বিরোধিতা করা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি
  • ২৪৯০. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! তোমরা বেশী অনুমান করা থেকে বিরত থাক।। আয়াতের শেষ পর্যন্ত
  • ২৪৯১. কি ধরনের ধারণা করা যেতে পারে
  • ২৪৯২. মু'মিনের নিজের দোষ গোপন রাখা
  • ২৪৯৩. অহংকার। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, (আল্লাহর বানী) عطفه অর্থাৎ তার ঘাড়। ثَانِيَ عطفه অর্থাৎ নিজে নিজে মনে অহমিকা পোষণকারী
  • ২৪৯৪. সম্পর্ক ত্যাগ এবং এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর বাণীঃ কোন লোকের জন্য তার ভাইয়ের সাথে তিনদিনের বেশি কথাবার্তা পরিত্যাগ করা জায়িয নহে
  • ২৪৯৫. যে আল্লাহর নাফরমানী করে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েয। কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) যখন (তাবুক যুদ্ধের সময়) নাবী (সাঃ) এর পেছনে থেকে গিয়েছিলেন, তখনকার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, নাবী (সাঃ) মুসলিমদেরকে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলা নিষেধ করে দিয়েছিলেন। তিনি পঞ্চাশ দিনের কথাও উল্লেখ করেন।
  • ২৪৯৬. আপন লোকের সাথে প্রতিদিন সাক্ষাৎ করবে অথবা সকালে-বিকালে
  • ২৪৯৮. প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ উপলক্ষে সুন্দর পোশাক পরিধান করা
  • ২৪৯৯. ভ্রাতৃত্বের ও প্রতিশ্রুতির বন্ধন স্থাপন। আবু জুহাই.ফা.হ্ (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) সালমান ও আবু দারদার মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেন। ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) বলেনঃ আমরা মদিনায় আসলে নাবী (সাঃ) আমার ও সা’দ ইবনু রাবী-এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে দেন
  • ২৫০০. মুচকি হাসি ও হাসি প্রসঙ্গে। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, একবার নাবী (সাঃ) আমাকে গোপনে একটি কথা বললেন, আমি হাসলাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ হাসানো ও কাঁদানোর একমাত্র মালিক
  • ২৫০১. আল্লাহ তা'আলার বানীঃ "হে ইমানদারগন তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো" মিথ্যা কথা বলা নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে
  • ২৫০২. উত্তম চরিত্র
  • ২৫০৩. ধৈর্যধারণ ও কষ্ট দেয়া। আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদের অগণিত পুরস্কার দেওয়া হবে
  • ২৫০৪. কারো মুখোমুখী তিরস্কার না করা
  • ২৫০৫. কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে বিনা কারণে কাফির বললে তা তার নিজের উপরই বার্তাবে
  • ২৫০৬. কেউ যদি কাউকে না জেনে কিংবা নিজ ধারণ অনুযায়ী (কাফির বা মুনাফিক) সম্বোধন করে, তাকে কাফির বলা যাবে না। উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হাতিব ইবনু বাল্তা’আ (রাঃ) কে বলেছিলেন, ইনি মুনাফিক। তখন নাবী (সাঃ) বললেনঃ তা তুমি কী করে জানলে? অথচ আল্লাহ বদর যুদ্ধে যোগদানকারীদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেনঃ আমি তোমাদের গুনাহ মাফ করে দিলাম।
  • ২৫০৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়িয। আল্লাহ বলেছেনঃ কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর, তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর।
  • ২৫০৯. ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকা। মহান আল্লাহর বানীঃ যারা গুরতর পাপ ও অশালীন কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন ক্রধান্নিত হয় তখন তারা (তাদের) মাফ করে দেয়। (এবং আল্লাহর বানীঃ) যারা সচ্চল ও অসচ্চল অবস্থায় ব্য্য করে, আর যারা ক্রোধ সংবরণকারী ও মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ সতকর্ম পরায়ণদের ভালবাসেন।
  • ২৫১০. লজ্জাশীলতা
  • ২৫১১. যখন তুমি লজ্জা ত্যাগ করবে, তখন তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে
  • ২৫১২. দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার উদ্দেশ্যে সত্য বলতে লজ্জাবোধ করতে নেই
  • ২৫১৩. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। নাবী (সাঃ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন
  • ২৫১৪. মানুষের সাথে হাসিমুখে মেলামেশা করা। ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলেন, মানুষের সাথে এমনভাবে মেলামেশা করবে, যেন তাতে তোমার দ্বীনে আঘাত না লাগে। আর পরিবারের সঙ্গে হাসি তামাশা করা।
  • ২৫১৫. মানুষের সঙ্গে শিষ্টাচার করা। আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আমরা কোন কোন কাওমের সঙ্গে বাহ্যত হাসি-খুশি মেলামেশা করি। কিন্তু আমাদের অন্তরগুলো তাদের উপর লা’নাত বর্ষণ করে।
  • ২৫১৬. মু’মিন এক গর্ত থেকে দু’বার দংশিত হয় না। মু’আবিয়া (রাঃ) বলেছেনঃ অভিজ্ঞতা ব্যতীত সহনশীলতা সম্ভব নয়
  • ২৫১৭. মেহমানের হক
  • ২৫১৮. মেহমানের সম্মান করা ও নিজেই মেহমানের খিদমত করা। আল্লাহর বানীঃ তোমার নিকট ইবরাহীম এর সম্মানিত মেহমানদের ......
  • ২৫১৯. খাবার তৈরি করা ও মেহমানের জন্য কষ্ট স্বীকার করা
  • ২৫২০. মেহমানের সামনে কারো উপর রাগ করা, আর অসহনশীল হওয়া অনুচিত
  • ২৫২১. মেহমানকে মেজবানের (এ কথা) বলা যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না। এ সম্পর্কে নবী (সাঃ) থেকে আবু জুহায়ফার হাদীস রয়েছে
  • ২৫২২. বড়কে সম্মান করা। বয়সে যিনি বড় তিনিই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি আরম্ভ করবেন
  • ২৫২০. কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও উট চালানোর সঙ্গীতের মধ্যে যা জায়িয ও যা না-জায়িয। আল্লাহ তা'আলার বানীঃ এবং বিপথগামী লোকেরাই কবিদের অনুসরন করে থাকে ...... তারা কোন পথে ফিরে বেড়াচ্ছে
  • ২৫২৩. কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের নিন্দা করা
  • ২৫২৪. যে কবিতা মানুষকে এতটা প্রভাবিত করে, যা তাকে আল্লাহর স্মরণ, জ্ঞান অর্জন ও কুরআন থেকে বাধা দেয়, তা নিষিদ্ধ
  • ২৫২৫. নাবী (ﷺ)এর উক্তিঃ তোমার ডান হাত ধূলি ধূসরিত হোক। তোমার হাত-পা ধ্বংস হোক এবং তোমার কন্ঠদেশ ঘায়েল হোক
  • ২৫২৬. ‘যা‘আমু’ (তারা ধারণা করেন) সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
  • ২৫২৭. কাউকে ‘ওয়ালাইকা’ বলা
  • ২৫২৮. মহামহিম আল্লাহর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ (আপনি বলে দিন) যদি তোমরা আল্লাহকে সত্যই ভালবেসে থাকো, তা’হলে তোমরা আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহও তোমাদের ভালবাসবেন
  • ২৫২৯. কেউ কাউকে ‘দূর হও’ বলা
  • ২৫৩০. কাউকে মারহাবা বলা। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) ফাতেমা (রাঃ) কে বলেছেনঃ আমার মেয়ের জন্য ‘মারহাবা’। উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, আমি একবার নাবী (সাঃ) এর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ উম্মু হানী ‘মারহাবা’।
  • ২৫৩১. ক্বিয়ামাতের দিন মানুষকে তাদের পিতার নামে ডাকা হবে
  • ২৫৩২. কেউ যেন না বলে, আমার আত্মা ‘খবীস’ হয়ে গেছে
  • ২৫৩৩. যামানাকে গালি দেবে না
  • ২৫৩৪. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ প্রকৃত ‘কারম’ হলো মু’মিনের কলব। তিনি বলেছেনঃ প্রকৃত সম্বলহীন হলো সে, যে লোক ক্বিয়ামাতের দিন সম্বলহীন। যেমন (অন্যত্র) তাঁরই বাণীঃ প্রকৃত বাহাদুর হলো সে লোক, যে রাগের সময় নিজেকে সামলিয়ে রাখতে পারে। আরও যেমন তাঁরই বাণীঃ আল্লাহ একমাত্র বাদশাহ্। আবার তিনিই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই সার্বভৌমত্বের মালিক। এরপর বাদশাহদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহর বাণীঃ “বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তারা তা ধ্বংস করে দেয়”
  • ২৫৩৫. কোন ব্যক্তির এ রকম কথা বলা আমার বাপ-মা আপনার প্রতি কুরবান। এ সম্পর্কে নবী (সাঃ) থেকে যুবায়র (রাঃ) এর একটি হাদিস আছে
  • ২৫৩৬. কোন ব্যক্তির এ কথা বলা যে, আল্লাহ আমাকে তোমার প্রতি কুরবান করুন। আবু বকর (রাঃ) নবী (সাঃ) কে বললেনঃ আমরা আমাদের পিতা ও মাতাদের আপনার প্রতি কুরবান করলাম
  • ২৫৩৭. আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম
  • ২৫৩৮. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার নামে নাম রাখতে পার, তবে আমার কুনিয়াত দিয়ে কারো কুনিয়াত (ডাক নাম) রেখো না। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন
  • ২৫৩৯. ‘হাযন’ নাম
  • ২৫৪০. নাম বদলিয়ে পূর্বের নামের চাইতে উত্তম নাম রাখা
  • ২৫৪১. নাবীদের (আঃ) নামে যারা নাম রাখেন। আনাস (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) ইব্রাহীম (রাঃ) কে চুমু দিয়েছেন অর্থাৎ তাঁর পুত্রকে।
  • ২৫৪২. ওয়ালীদ নাম রাখা
  • ২৫৪৩. কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু অক্ষর কমিয়ে ডাকা। আবু হাযিম (রহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী (সাঃ) আমাকে "ইয়া আবা হিরিরিন" বলে ডাক দেন
  • ২৫৪৪. কোন ব্যক্তির সন্তান জন্মানোর পূর্বেই সে শিশুর নাম দিয়ে তার ডাকনাম রাখা
  • ২৫৪৫. কারো অন্য কুনিয়াত থাকা সত্ত্বেও তার কুনিয়াত "আবু তুরাব" রাখা
  • ২৫৪৬. আল্লাহ তা'আলার নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত নাম
  • ২৫৪৭. মুশরিকের কুনিয়াত। মিসওয়ার (রাঃ) বলেন যে, আমি নাবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, কিন্তু যদি ইবনু আবূ ত্বালিব চায়
  • ২৫৪৮. পরোক্ষ কথা বলে মিথ্যা এড়ানোর উপায়। ইসহাক বর্ণনা করেছেন, আমি আনাস (রাঃ) থেকে শুনেছি। আবু তালহার একটি শিশুপুত্র মারা যায়। তিনি এসে (তার স্ত্রী কে) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ছেলেটি কেমন আছে? উম্মে সুলায়ম (রাঃ) বললেনঃ সে শান্ত। আমি আশা করছি, সে আরামেই আছে। তিনি ধারনা করলেন যে, অবশ্য তিনি সত্য বলেছেন।
  • ২৫৪৯. কোন কিছু সম্পর্কে, তা অবাস্তব মনে করে বলা যে, এটা কোন কিছুই নয়
  • ২৫৫০. আসমানের দিকে চোখ তোলা। মহান আল্লাহর বানীঃ "লোকেরা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তারা কি আসমানের দিকে তাকায় না যে, তা কিভাবে এত উচু করে রাখা হয়েছে” আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদিন নবী (সাঃ) আসমানের দিকে মাথা তোলেন
  • ২৫৫১. (কোন কিছু তালাশ করার উদ্দেশ্যে) পানি ও কাদার মধ্যে লাঠি দিয়ে ঠোকা দেওয়া
  • ২৫৫২. কারো হাতের কোন কিছু দিয়ে যমীনে ঠোকা মারা
  • ২৫৫৩. বিস্ময়বোধে "আল্লাহু আকবার" অথবা "সুবহানাল্লাহ" বলা
  • ২৫৫৪. ঢিল ছোঁড়া
  • ২৫৫৫. হাঁচিদাতার 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা
  • ২৫৫৬. হাঁচিদাতা 'আলহামদুলিল্লাহরর জবাব দেয়া
  • ২৫৫৭. কিভাবে হাঁচির দু'আ মুস্তাহাব, আর কিভাবে হাই তোলা মাকরূহ
  • ২৫৫৮. কেউ হাঁচি দিলে, কীভাবে জওয়াব দিতে হবে?
  • ২৫৫৯. হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' না বললে তার জবাব দেওয়া যাবে না
  • ২৫৬০. যদি কেউ হাই তুলে, সে যেন নিজের হাত মুখে রাখে
  • ৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) ৭২ টি | ৫৭৯৪-৫৮৬৫ পর্যন্ত 66/ Asking Permission
  • ২৫৬১. সালামের সূচনা
  • ২৫৬২. আল্লাহ তা’আলার বানীঃ হে ঈমানদারগন! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য কারো ঘরে, যে পর্যন্ত সে ঘরের লোকেরা অনুমতি না দেবে এবং তোমরা গৃহবাসীকে সালাম না করবে, প্রবেশ করো না। এ ব্যবস্থা তোমাদের জন্য অতি কল্যাণকর, যাতে তোমরা নসীহত গ্রহন কর। যদি তোমরা সে ঘরে কাউকে জবাবদাতা না পাও, তবে তোমাদের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তাতে প্রবেশ করবে না। যদি তোমাদের বলা হয় ফিরে যাও তবে তোমরা ফিরে যাবে, এই তোমাদের জন্য পবিত্রতম কাজ। আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষ অবহিত। অবশ্য যে সব ঘরে কেউ বসবাস করে না, আর তাতে যদি তোমাদের মাল আসবাব থাকে, সে সব ঘরে প্রবেশ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না। তোমরা প্রকাশ্যে অথবা গোপনে যা কিছুই কর না কেন, তা সবই আল্লাহ জানেন। সাঈদ ইবন আবুল হাসান হাসান (রাঃ) কে বললেনঃ অনারব মহিলারা তাদের মাথা ও বক্ষ খোলা রাখে। তিনি বললেনঃ তোমার চোখ ফিরিয়ে রেখো। আল্লাহ তা’আলার বানীঃ হে নবী! আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি অবনত করে চলে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষন করে। কাতাদা (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ যারা তাদের জন্য হালাল নয়, তাদের থেকে। হে নবী! আপনি ঈমানদার মহিলাদেরকেও বলে দিন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান হিফাযত করে। আর আল্লাহ তা’আলার বানীঃ خَائِنَةَ الأَعْيُنِ (অর্থাৎ খেয়ানতকারী চোখ) অর্থাৎ নিষিদ্ধ স্থানের দিকে তাকানো সম্পর্কে। আর ঋতুমতী হয়নি, এমন মেয়েদের দিকে তাকানো সম্পর্কে। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কা হলেও এসব মেয়েদের এমন কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দিকে তাকানো নাজায়েয, যা দেখলে লোভ সৃষ্টি হতে পারে আতা ইবন রাবাহ ঐসব কুমারীদের দিকে তাকানোও মাকরূহ বলতেন, যাদের মক্কার বাজারে বিক্রির জন্য আনা হতো। তবে কেনার উদ্দেশ্যে তা হল সতন্ত্র করা।
  • ২৫৬৩. আল্লাহ তা'আলার নামের মধ্যে 'সালাম একটি নাম। আল্লাহ তা'আলার বানীঃ আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হয়, তখন তোমরা এর চেয়ে উত্তমভাবে জবাব দিবে, না হয় তার অনুরূপ উত্তর দিবে
  • ২৫৬৪. অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোকদের সালাম করবে
  • ২৫৬৫. আরাহী ব্যক্তি পদচারীকে সালাম করবে
  • ২৫৬৬. পদচারী উপবিষ্ট লোককে সালাম করবে
  • ২৫৬৮. সালাম প্রসারিত করা
  • ২৫৬৯. পরিচিত ও অপরিচিত সকলকে সালাম করা
  • ২৫৭০. পর্দার আয়াত
  • ২৫৭১. তাকানোর অনুমতি
  • ২৫৭২. যৌনাঙ্গ ব্যতীত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যভিচার
  • ২৫৭৩. তিনবার সালাম দেওয়া ও অনুমতি চাওয়া
  • ২৫৭৪. যখন কোন ব্যক্তিকে ডাকা হয় আর সে আসে, সেও কি প্রবেশের অনুমতি নিবে? আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত । নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ এ ডাকাই তার জন্য অনুমতি।
  • ২৫৭৫. শিশুদের সালাম দেয়া
  • ২৫৭৬. মহিলাকে পুরুষেদের এবং পুরুষকে মহিলাদের সালাম দেয়া
  • ২৫৭৭. যদি কেউ কারো সম্পরকে জিজ্ঞেস করেন যে, ইনি কে? আর তিনি বলেন, আমি
  • ২৫৭৮. যে সালামের জবাব দিল এবং বললঃ 'ওয়ালাইকাস সালাম'। [জিবরীল (আঃ) এর সালামের জবাবে আয়শা (রাঃ)] 'ওয়া আলাইহিস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু' বলেছেন। আর নবী (সাঃ) বলেনঃ আদম (আঃ) এর সালামের জবাবে ফিরিশতাগণ বলেনঃ আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ
  • ২৫৭৯. যদি কেউ বলে যে, অমুক তোমাকে সালাম করেছে
  • ২৫৮০. মুসলিম ও মুশরিকদের মিশ্রিত মাজলিসে সালাম দেয়া
  • ২৫৮১. গুনাহগার ব্যক্তির তাওবাহ করার আলামাত প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত যিনি তাকে সালাম করেননি এবং তার সালামের জবাবও দেননি। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেনঃ শারাবখোরদের সালাম দিবে না।
  • ২৫৮২. অমুসলিমদের সালামের জবাব কিভাবে দিতে হয়
  • ২৫৮৩. কারো এমন পত্রের বিষয়ে স্পষ্টরূপে জানার জন্য তদন্ত করে দেখা, যা মুসলিমদের জন্য আশংকাজনক
  • ২৫৮৪. কিতাবী সম্প্রদায়ের নিকট কিভাবে পত্র লিখতে হয়?
  • ২৫৮৫. চিঠিপত্র কার নাম দিয়ে আরম্ভ করা হবে
  • ২৫৮৬. নাবী (সাঃ) এর বানীঃ তোমরা তোমাদের সরদারের জন্য দাঁড়াও
  • ২৫৮৭. মুসাফাহা করা। ইবনু মাস’উদ (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) যখন আমাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দেন তখন আমার হাত তাঁর দু’ হাতের মাঝে ছিল। কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, একবার আমি মসজিদে ডুকেই রসূলুল্লাহ (সাঃ) কে পেয়ে গেলাম। তখন ত্বলহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) আমার দিকে দৌড়ে এসে আমার সঙ্গে মুসাফাহা করলেন এবং আমাকে মুবারকবাদ জানালেন।
  • ২৫৮৮. দুই হাত ধরে মুসাফাহা করা। হাম্মাদ ইবন যায়দ (রহঃ) ইবন মুবারকের সঙ্গে দু'হাতে মুসাফাহা করেছেন
  • ২৫৮৯. আলিঙ্গন করা এবং কাউকে বলা কিভাবে তোমার ভোর হয়েছে?
  • ২৫৯০. যে ব্যক্তি কারো ডাকে লাব্বাইকা এবং 'সা'দাইকা' বলে জবাব দিল
  • ২৫৯১. কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে তার বসার স্থান থেকে উঠাবে না
  • ২৫৯২. (আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ) যদি তোমাদের বলা হয় যে, তোমরা মজলিসে বসার জায়গা করে দাও। তখন তোমরা বসার জায়গা করে দিবে, তা হলে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্থান প্রশস্ত করে দিবেন ...... (৫৮ঃ ১১)
  • ২৫৯৩. কারো তার সাথীদের থেকে অনুমতি না নিয়ে মজলিস কিংবা ঘর থেকে উঠে যাওয়া, কিংবা নিজে উঠে যাবার প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাতে অন্যরা উঠে যায়
  • ২৫৯৪. দু' হাটুকে খাড়া করে দু' হাতে বেড় দিয়ে পাছার উপর বসা
  • ২৫৯৫. যিনি তার সাথীদের সামনে হেলান দিয়ে বসেন। খাব্বাব (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি একবার নবী (সাঃ) এর কাছে আসলাম। তখন তিনি একখানা চাদর দিয়ে বালিশ বানিয়ে তাতে হেলান দিচ্ছিলেন। আমি বললামঃ আপনি কি (আমার মুক্তির জন্য) আল্লাহর কাছে দু'আ করছেন না? তখন তিনি সোজা হয়ে বসলেন।
  • ২৫৯৬. যিনি কোন বিশেষ প্রয়োজনে অথবা যে কোন উদ্দেশ্যে তাড়াতাড়ি চলেন
  • ২৫৯৭. পালঙ্ক ব্যবহার করা
  • ২৫৯৮. যার হেলান দেয়ার উদ্দেশ্যে একটা বালিশ পেশ করা হয়
  • ২৫৯৯. জুমু'আর সালাত শেষে কায়লুলা (দুপুরের বিশ্রাম গ্রহন)
  • ২৬০০. মসজিদে কাইলুলা করা
  • ২৬০১. যিনি কোন কাওমের সাথে দেখা করতে যান এবং সেখানে 'কাইলুলা' করেন
  • ২৬০২. যার জন্য যেভাবে সহজ হয়, সেভাবেই বসা
  • ২৬০৩. যিনি মানুষের সামনে কারো সঙ্গে কানে কানে কথা বলেন। আর যিনি আপন বন্ধুর গোপনীয় কথা কারো কাছে প্রকাশ করেন নি। অবশ্য তার মৃত্যুর পর তা প্রকাশ করেন
  • ২৬০৪. চিত হয়ে শোয়া
  • ২৬০৫. তৃতীয় ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে দু'জনে কানে-কানে বলবে না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বানীঃ হে মুমিনগন! যখন গোপন পরামর্শ কর, সে পরামর্শ যেন পাপাচার, সীমালঙ্গন ... মুমিনদের কর্তব্য আল্লাহর উপর নির্ভর করবে” (৫৮ঃ ৯-১০)। আরও আল্লাহর বানীঃ হে মুমিনগন! তোমরা রসূলের সঙ্গে চুপিচুপি কথা বলতে চাইলে তাঁর পূর্বে সদাকা প্রদান করবে ... তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্যক অবগত(৫৮ঃ ১২-১৩)।
  • ২৬০৬. গোপনীয়তা রক্ষা করা
  • ২৬০৭. কোথাও তিনজনের বেশী লোক হলে গোপনে কথা বলা, আর কানে-কানে কথা বলা দূষনীয় নয়
  • ২৬০৮. দীর্ঘ সময় কারো সাথে কানে-কানে কথা বলা
  • ২৬০৯. ঘুমানোর সময় ঘরে আগুন রাখবে না
  • ২৬১০. রাত্রিকালে (ঘরের) দরজাগুলো বন্ধ করা
  • ২৬১১. বয়োঃপ্রাপ্তির পর খাতনা করা এবং বগলের পশম উপড়ানো
  • ২৬১২. যেসব খেলাধুলা আল্লাহর আনুগত্য হতে বিরত রাখে সেগুলো বাতিল (হারাম)। আর ঐ ব্যক্তির ব্যপারে, যে তার বন্ধুকে বলল, চলো, আমি তোমার সাথে জুয়া খেলবো। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ “মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশতঃ অসার বাক্য ক্রয় করে নেয়”। (৩১ঃ ৬)
  • ২৬১৩. পাকা ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কিয়ামতের অন্যতম আলামত হলো, তখন পশুর রাখালেরা পাকা বাড়ি-ঘর নির্মাণে পরস্পর প্রতিযোগিতা করবে
  • ৬৭/ দু’আ (كتاب الدعوات) ১০৪ টি | ৫৮৬৬-৫৯৬৯ পর্যন্ত 67/ Invocations
  • ২৬১৫. শ্রেষ্টতম ইস্তেগফার। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তোমরা তোমাদের নিজ প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি তো মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিতি করবেন নদী-নালা। (৭১ঃ ১০-১২) আর আল্লাহর বাণীঃ আর যারা অশালীন কাজ করে ফেলে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ...... (৩ঃ ১৩৫)
  • ২৬১৬. দিনে ও রাতে নাবী (সাঃ) এর ইস্তিগফার
  • ২৬১৭. তাওবা করা। কাতাদা (রহঃ) বলেন। মহান আল্লাহর বাণীঃ "তোমরা সবাই আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর কাছে তাওবা কর"।
  • ২৬১৮. ডান পাশে শয়ন করা
  • ২৬১৯. পবিত্র অবস্থায় রাত কাটানো এবং তার ফযীলত
  • ২৬২০. ঘুমাবার সময় কি দু'আ পড়বে
  • ২৬২১. ডান গালের নীচে ডান হাত রেখে ঘুমানো
  • ২৬২২. ডান পাশের উপর ঘুমানো
  • ২৬২৩. রাতে ঘুম থেকে জাগার পর দু'আ
  • ২৬২৪. ঘুমানোর সময়ের তাসবীহ ও তাকবীর বলা
  • ২৬২৫. ঘুমাবার সময় আল্লাহর পানাহ চাওয়া এবং কুরআন পাঠ করা
  • ২৬২৬. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৬২৭. মধ্যরাতের দু'আ
  • ২৬২৮. পায়খানায় প্রবেশ করার সময় দু'আ
  • ২৬২৯. ভোর হলে কি দু'আ পড়বে
  • ২৬৩০. সালাতের মধ্যে দু'আ পড়া
  • ২৬৩১. সালাতের পরের দু'আ
  • ২৬৩২. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তুমি দু'আ করবে .... (৯ঃ ১০৩) আর যিনি নিজেকে বাদ দিয়ে কেবল নিজের ভাই এর জন্য দু'আ করেন। আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) দু‘আ করেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি ‘উবায়দ আবূ আমিরকে মাফ করুন। হে আল্লাহ! আপনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়সের গুনাহ মাফ করে দিন।
  • ২৬৩৩. দু'আর মধ্যে ছন্দ যুক্ত শব্দ ব্যবহার করা মাকরূহ
  • ২৬৩৪. কবূল হবার দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দু'আ করবে। কারণ কবূল করতে আল্লাহকে বাধাদানকারী কেউ নেই
  • ২৬৩৫. (কবুলের জন্য) তাড়াহুড়া না করলে (দেরীতে হলেও) বান্দার দু'আ কবূল হয়ে থাকে
  • ২৬৩৭. কিবলামুখী না হয়ে দু'আ করা
  • ২৬৩৮. কিবলামুখী হয়ে দু'আ করা
  • ২৬৩৯. আপন খাদিমের দীর্ঘজীবী হওয়া এবং অধিক মালদার হবার জন্য নাবী (সাঃ) এর দু'আ
  • ২৬৪০. বিপদের সময় দু'আ করা
  • ২৬৪১. কঠিন বিপদের কষ্ট থেকে পানাহ চাওয়া
  • ২৬৪২. নাবী (সাঃ) এর দু'আ আল্লাহুম্মা রাফীকাল 'আলা
  • ২৬৪৩. মুত্যু এবং জীবনের জন্য দু'আ করা
  • ২৬৪৪. শিশুদের জন্য বরকতের দু'আ করা এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমার এক ছেলে হলে নবী (সাঃ) তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন
  • ২৬৪৫. নাবী (সাঃ) এর উপর দুরুদ পড়া
  • ২৬৪৬. নাবী (সাঃ) ছাড়া অন্য কারো উপর দরূদ পড়া যায় কিনা? আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আপনি তাদের জন্য দু’আ করুন। নিশ্চয়ই আপনার দু’আ তাদের জন্য চিত্তস্বস্তিকর (৯ঃ ১০৩)
  • ২৬৪৭. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ ইয়া আল্লাহ! আমি যাকে কষ্ট দিয়েছি, সে কষ্ট তার পরিশুদ্ধির উপায় এবং তার জন্য রহমাত করে দিন
  • ২৬৪৮. ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৪৯. মানুষের আধিপত্য থেকে পানাহ (আল্লাহর আশ্রয়) চাওয়া
  • ২৬৫০. কবরের আযাব হতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫১. জীবন মৃত্যুর ফিতনা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫২. গুনাহ ও ঋণ হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫৩. কাপুরুষতা ও অলসতা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা
  • ২৬৫৪. কৃপনতা হতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫৫. দুঃসহ দীর্ঘায়ু আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫৬. মহামারী ও রোগ যন্ত্রনা দূর হওয়ার দু'আ করা
  • ২৬৫৭. বার্ধক্যের অসহায়ত্ব এবং দুনিয়ার ফিতনা আর জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫৮. প্রাচুর্যের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৫৯. দারিদ্রের সংকট হতে পানাহ চাওয়া
  • ২৬৬০. বরকতসহ মালের প্রাচুর্যের জন্য দু'আ করা
  • ২৬৬১. ইস্তিখারার সময়ের দু'আ
  • ২৬৬২. 'উযু করার সময় দু'আ করা
  • ২৬৬৩. উঁচু জায়গায় চড়ার সময়ের দু'আ
  • ২৬৬৫. সফরের ইচ্ছা করলে কিংবা সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর দু'আ
  • ২৬৬৬. বরের জন্য দু’আ করা
  • ২৬৬৭. নিজ স্ত্রীর নিকট আসলে যে দু'আ পড়তে হয়
  • ২৬৬৮. নাবী (সাঃ) এর দু'আঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ইহকালে কল্যাণ দাও
  • ২৬৬৯. দুনিয়ার ফিতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া
  • ২৬৭০. বারবার দু’আ করা
  • ২৬৭১. মুশরিকদের উপর বদ দু'আ করা। ইবন মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাকে তাদের মুকাবিলায় সাহায্য করুন। যেমন দুর্ভিক্ষগ্রস্থ সাত বছর দিয়ে ইউসুফ (আঃ) কে সাহায্য করেছেন। ইয়া আল্লাহ! আপনি আবু জেহেলকে শাস্তি দিন। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) সালাতে বদ দু’আ করলেন। ইয়া আল্লাহ! অমুককে লা’নত করুন ও অমুককে লা’নত করুন। তখন ওহী নাযিল হলঃ তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদের শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে আপনার করনীয় কিছুই নেই। (৩ঃ ১২৮)
  • ২৬৭২. মুশরিকদের জন্য দু’আ
  • ২৬৭৩. নাবী (সাঃ) এর দু'আঃ হে আল্লাহ! আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ মাফ করে দিন
  • ২৬৭৪. জুমুআর দিনে কবুলিয়াতের সময় দু'আ করা
  • ২৬৭৫. নাবী (সাঃ) এর বানী : ইয়াহুদীদের ব্যাপারে আমাদের বদ দু'আ কবূল হবে। কিন্তু আমাদের প্রতি তাদের বদ দু'আ কবূল হবে না
  • ২৬৭৬. আমীন বলা
  • ২৬৭৭. 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' এর (যিকির করার) ফযীলত
  • ২৬৭৮. সুবহানাল্লাহ পড়ার ফযীলত
  • ২৬৭৯. আল্লাহ তা’আলার যিকর এর ফযীলত
  • ২৬৮০. “লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” বলা
  • ২৬৮১. আল্লাহ ত’লাআর এক কম একশ’ নাম রয়েছে
  • ২৬৮২. সময়ের বিরিতি দিয়ে দিয়ে নসীহত করা
  • প্রত্যেক নবীর একটি মাককূল দুআ রয়েছে
  • ৬৮/ কোমল হওয়া (كتاب الرقاق) ১৫৭ টি | ৫৯৭০-৬১২৬ পর্যন্ত 68/ To Make The Heart Tender (Ar-Riqaq)
  • ২৬৮৩. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন
  • ২৬৮৪. আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তোমরা জেনে রেখো, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া কৌতুক ... ছলনাময়য় ভোগ (৫৭ঃ ২০)
  • ২৬৮৫. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ দুনিয়াতে তুমি একজন মুসাফির অথবা পথযাত্রীর মত থাক
  • ২৬৮৬. আশা এবং ধৈর্য। মহান আল্লাহর বাণীঃ যাকে আগুন থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হবে, সে-ই সফল হলো, আর পার্থিব জীবন তো ছলনাময়য় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয় (৩ঃ ১৮) এদের ছেড়ে দাও- খেতে থাকুক, ভোগ করতে থাকুক এবং আশা এদের মোহাচ্ছন্ন রাখুক, অচিরেই তারা বুঝবে (১৬ঃ ৩) ‘আলী (রাঃ) বলেন, এ দুনিয়া পেছনের দিকে যাচ্ছে, আর আখিরাত সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। এ দু’টির প্রতিটির আছে সন্তানাদি। অতএব তোমরা আখিরাতের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হও। দুনিয়ার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। কারণ, আজ ‘আমলের দিন, অতএব হিসাব নেই। আর আগামীকাল হিসাব, কোন ‘আমল নেই
  • ২৬৮৭. যে ব্যক্তি ষাট বছর বয়সে পৌঁছে গেল, আল্লাহ তা’আলা তার বয়সের ওযর পেশ করার সুযোগ রাখেননি। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আমি কি তোমাদের এত দীর্ঘ জীবন দান করিনি যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারত, অথচ তোমাদের কাছে সতর্ককারীরাও এসেছিল ... (৩৫ঃ ৩৭)
  • ২৬৮৮. যে ‘আমলের দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চাওয়া হয়। এ বিষয়ে সা’দ (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদিস আছে
  • ২৬৮৯. দুনিয়ার জাঁকজমক ও দুনিয়ার প্রতি আসক্তি থেকে সতর্কতা
  • ২৬৯০. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য, কাজেই পার্থিব জীবন যেন তোমাদের কিছুতেই যেন প্রতারিত না করে ... যেন জাহান্নামী হয় পর্যন্ত (৩৫ঃ ৫-৬) ইমাম বুখারী বলেন, السَّعِيرِ এর বহুবচন سُعُرٌ আর মুজাহিদ বলেন, الْغَرُورُ এর মানে শয়তান।
  • ২৬৯১. নেককার লোকদের বিদায় গ্রহন
  • ২৬৯২. ধন-সম্পদের পরীক্ষা থেকে বেঁচে থাকা সম্পর্কে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ‌ তা'আলার বাণীঃ “তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পরীক্ষা (৮ঃ ২৮)
  • ২৬৯৩. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ এ সম্পদ শ্যামল ও মনোমুগ্ধকর। মহান আল্লাহর বাণীঃ মানুষের জন্য (দুনিয়াতে) মনোহর করে দেওয়া হয়েছে কাঙ্ক্ষিত জিনিসগুলোর মায়া মহব্বতকে অর্থাৎ নারীকুল ও সন্তান-সন্ততি ... এসব ইহজীবনের ভোগ্য বস্তু (৩ঃ ১৪) উমার (র) বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য যেসব জিনিস মনোহর করে দিয়েছেন, তজ্জন্য খুশি না হয়ে পারি না। হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি, যেন আমি এগুলোকে যথাযথ খরচ করতে পারি।
  • ২৬৯৪. মালের যা অগ্রিম পাঠাবে তা-ই তার হবে
  • ২৬৯৫. প্রাচুর্যের অধিকারীরাই সল্পাধিকারী। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণীঃ যদি কেউ পার্থিব জীবন ও তার চাকচিক্য কামনা করে ... এবং তারা যা করে থাকে (১১ঃ ১৫-১৬)
  • ২৬৯৬. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার জন্য উহুদ সোনা হোক; আমি তা কামনা করি না
  • ২৬৯৭. প্রকৃত ঐশ্বর্য হলো অন্তরের ঐশ্বর্য। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তারা কি ধারনা করছে যে, আমি তাদেরকে যেসব ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি দান করেছি ... করে যাচ্ছে, পর্যন্ত
  • ২৬৯৮. দরিদ্রতার ফযীলত
  • ২৬৯৯. নাবী (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণের জীবন যাপন কিরূপ ছিল এবং তাঁরা দুনিয়া থেকে কী অবস্থায় বিদায় নিলেন
  • ২৭০০. আমলে মধ্যমপন্থা এবং নিয়মিত করা
  • ২৭০১. ভয়ের সাথে সাথে আশা রাখা। সুফ্ইয়ান (রহ) বলেন, কুরআনের মধ্যে আমার কাছে এই আয়াত থেকে কঠিন আয়াত দ্বিতীয়টি নাই। তাওরাত, ইঞ্জিল ও যা তোমাদের প্রতিপালকের কাছ হতে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে (কুরআন) তোমরা তা বাস্তবায়িত না করা পর্যন্ত তোমরা কোন ভিতের উপর নেই।
  • ২৭০২. আল্লাহ তা’আলার নিষেধাজ্ঞাসমূহ থেকে সবর করা। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) ধৈর্যশীলদের তো অপরিমিত প্রতিদান দেওয়া হবে। উমর (রাঃ) বলেন, আমরা শ্রেষ্ঠ জীবন লাভ করেছিলাম একমাত্র ধৈর্য ধারণ করার মাধ্যমেই।
  • ২৭০৩. (আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ) আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখবে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।
  • ২৭০৪. অনর্থক কথাবার্তা অপছন্দনীয়
  • ২৭০৫. যবান সাবধান রাখা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা চুপ থাকে। আল্লাহর বাণীঃ যে কথাই মানুষ উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তার নিকটে একজন সদা তৎপর প্রহরী রয়েছে।
  • ২৭০৬. আল্লাহ তা’আলার ভয়ে কাঁদা
  • ২৭০৭. আল্লাহর ভয়
  • ২৭০৮. সব গুনাহ থেকে বিরত থাকা
  • ২৭০৯. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা অবশ্যই কম হাসতে
  • ২৭১০. প্রবৃত্তি দ্বারা জাহান্নামকে বেষ্টন করা হয়েছে
  • ২৭১১. জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চেয়েও বেশী নিকটবর্তী আর জাহান্নামও তদ্রূপ
  • ২৭১২. মানুষ যেন নিজের চেয়ে নিন্মস্তর ব্যক্তির দিকে তাকায় আর নিজের চেয়ে উচ্চস্তর ব্যক্তির দিকে যেন না তাকায়
  • ২৭১৩. যে ব্যক্তি ইচ্ছা করল ভাল কাজের কিংবা মন্দ কাজের
  • ২৭১৪. সগীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা
  • ২৭১৫. আমল পরিনামের উপর নির্ভরশীল, আর পরিণামের ব্যাপারে ভীত থাকা
  • ২৭১৬. অসৎ লোকের সাথে মেলামেশা থেকে নির্জনে থাকা শান্তিদায়ক
  • ২৭১৭. আমানতদারী উঠে যাওয়া
  • ২৭১৮. লোকদেখানো ও শোনানো ইবাদত
  • ২৭১৯. যে ব্যক্তি সাধনা করবে প্রবৃত্তির সাথে আল্লাহর ইবাদতের ব্যাপারে আল্লাহর আনুগত্যের জন্য নিজের নফসের সাথে
  • ২৭২০. তাওয়াজু (বিনয়)
  • ২৭২১. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ "আমাকে পাঠানো হয়েছে কিয়ামতের সাথে এ দুটি আঙ্গুলের ন্যায়।" (আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ) আর কিয়ামতের ব্যাপার তো চোখের পলকের ন্যায় বরং তা অপেক্ষাও সত্ত্বর। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান (১৬ঃ ৭৭)
  • ২৭২২. যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করা পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন
  • ২৭২৩. মৃত্যুযন্ত্রনা
  • ২৭২৪. শিঙ্গায় ফুৎকার। মুজাহিদ বলেছেন, শিঙ্গা হচ্ছে ডংকা আকৃতির, 'যাযরাহ' মানে চিৎকার, এবং ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নাকুর মানে শিঙ্গা, 'রাযিফা' প্রথম ফুঁৎকার, 'রাদিফা' দ্বিতীয় ফুঁৎকার।
  • ২৭২৫. আল্লাহ তা'আলা যমিনকে মুষ্টিতে ধারণ করবেন। এ কথা নাফী (রহঃ) ইবন উমর (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
  • ২৭২৬. হাশরের অবস্থা
  • ২৭২৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার (২২ঃ ১)। কিয়ামত আসন্ন (৫৩ঃ ৫৭)। কিয়ামত আসন্ন (৫৪ঃ ১)
  • ২৭২৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে মহাদিবসে, যেদিন দাঁড়াবে সমস্ত মানুষ জগতসমুহের প্রতিপালকের সম্মুখে। (৮৩ঃ ৪, ৫, ৬) وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, সেদিন দুনিয়ার সমস্ত যোগসূত্র ছিন্ন হয়ে যাবে।
  • ২৭২৯. কিয়ামতের দিন কিসাস গ্রহণ। কিয়ামতের আরেক নাম الحَاقَّةُ যেহেতু সেই দিন বিনিময় পাওয়া যাবে এবং সমস্ত কাজের বদলা পাওয়া যাবে الحَقَّةُ এবং الحَاقَّةُ এর একই অর্থ। অনুরূপভাবে الْقَارِعَةُ، وَالْغَاشِيَةُ، وَالصَّاخَّةُ কিয়ামতের নাম। التَّغَابُنُ এর অর্থ জান্নাতবাসীরা জাহান্নামবাসীদের বিস্মিত করে দেবে।
  • ২৭৩০. যার চুলচেরা হিসাব হবে তাকে আযাব দেয়া হবে
  • ২৭৩১. সত্তর হাজার লোকের বিনা হিসাবে জান্নাত প্রবেশ করবে
  • ২৭৩২. জান্নাত ও জাহান্নাম এর বর্ণনা। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ জান্নাতবাসীরা সর্বপ্রথম যে খাবার খাবে তা হল মাছের কলিজা সংলগ্ন অতিরিক্ত অংশ গুর্দা। عَدْنٌ অর্থ সর্বদা থাকা, عَدَنْتُ بِأَرْضٍ অর্থ আমি অবস্থান করছি। এরই থেকে مَعْدِن এসেছে। فِي مَعْدِنِ صِدْقٍ যেখান থেকে সততা বের হয়।
  • ২৭৩৩. সিরাত হল জাহান্নামের পুল
  • ৬৯/ হাউয (كتاب الحوض) ১৫ টি | ৬১২৭-৬১৪১ পর্যন্ত 69/ Haudge
  • ২৭৩৪. আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাউসার দান করেছি। আবদুল্লাহ ইবন যায়িদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা হাউযের কাছে আমার সঙ্গে মিলিত হওয়া পর্যন্ত সবর করতে থাকবে।
  • ৭০/ তাকদির (كتاب القدر) ২৬ টি | ৬১৪২-৬১৬৭ পর্যন্ত 70/ Divine Will (Al-Qadar)
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৭৩৫. আল্লাহ তা'আলার ইলম এর উপর (মুতাবিক) কলম শুকিয়ে গিয়েছে। আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ জানেন বিধায় তাকে ভ্রষ্ট করে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে বলেছেনঃ যার সম্মুখীন তুমি হবে (তোমার যা ঘটবে) তা লিপিবদ্ধ করার পর কলম শুকিয়ে গেছে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, لَهَا سَابِقُونَ - তাদের উপর নেকবখ্‌তি প্রবল হয়ে গেছে।
  • ২৭৩৬. মানুষ যা করবে এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা সর্বাধিক অবহিত
  • ২৭৩৭. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আল্লাহ তা'আলার বিধান নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত
  • ২৭৩৮. আ‘মালের ভাল-মন্দ শেষ অবস্থার ওপর নির্ভর করে
  • ২৭৩৯. বান্দার মানতকে তাকদীরে হাওালা করে দেওয়া
  • ২৭৪০. 'লা হাওলা ওয়ালা-কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' প্রসঙ্গে
  • ২৭৪১. নিষ্পাপ সে-ই আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন। عَاصِمٌ অর্থ প্রতিরোধকারী। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, سُدًا عَنِ الْحَقِّ গোমরাহীতে বিমত্ত হওয়া, دَسَّاهَا তাকে গোমরাহ করেছে।
  • ২৭৪২. আল্লাহর বাণীঃ যে জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি তার সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তার অধিবাসীবৃন্দ ফিরে আসবে না (২১ঃ ৯৫)। আল্লাহর বাণীঃ যারা ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের অন্য কেউ কখনও ঈমান আনবে না (১১ঃ ৩৬)। আল্লাহর বাণীঃ তারা জন্ম দিতে থাকবে কেবল দুষ্কৃতিকারী ও কাফের (৭১ঃ ২৭)। মানসুর ইবন নো’মান ... ইবন আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাবশী ভাষায় حرم অর্থ জরুরী হওয়া
  • ২৭৪৩. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখাচ্ছি তা কেবল মানুষের পরিক্ষার জন্য (১৭ঃ ৬০)
  • ২৭৪৪. আদাম (রাঃ) ও মূসা (রাঃ) আল্লাহ তা'আলার সামনে কথা কাটাকাটি করেন
  • ২৭৪৫. আল্লাহ তা'আলা যা দান করেন তা রোধ করার কেউ নেই
  • ২৭৪৬. যে ব্যক্তি হতভাগ্যের গহীন গর্ত ও মন্দ তাকদীর থেকে আল্লাহ তা’আলার কাছে আশ্রয় চায়। এবং (মহান আল্লাহর) বাণীঃ বল, আমি শরণ লইতেছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।
  • ২৭৪৭. (আল্লাহ তা'আলা) মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান
  • ২৭৪৮. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) বল, আমাদের জন্য আল্লাহ যা নির্দিষ্ট করেছেন তা ছাড়া আমাদের কিছুই হবে না। كَتَبَ নির্দিষ্ট করেছেন। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, بِفَاتِنِينَ যারা পথভ্রষ্ট হয়, হ্যাঁ যার সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা লিখে দিয়েছেন যে, সে জাহান্নামে যাবে। قَدَّرَ فَهَدَى বদবখ্‌তি এবং নেকবখ্‌তি নির্দিষ্ট করেছেন। জন্তুকে চারণভূমি পর্যন্ত পৌঁছানো।
  • ২৭৪৯. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আল্লাহ আমাদের পথ না দেখালে আমরা কখনও পথ পেতাম না (৭ঃ ৪৩) (আরও ইরশাদ হল) আল্লাহ আমাকে পথ প্রদর্শন করলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম (৪৯ঃ ৫৭)
  • ৭১/ শপথ ও মানত (كتاب الأيمان والنذور) ৮৩ টি | ৬১৬৮-৬২৫০ পর্যন্ত 71/ Oaths and Vows
  • আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না, কিন্তু যে সব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে দৃঢ় কর ... তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা পর্যন্ত
  • ২৭৫০. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আল্লাহর কসম
  • ২৭৫১. নাবী (সাঃ) এর শপথ কিরূপ ছিল? সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ ‘কসম ঐ সত্ত্বার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ’! আবূ ক্বাতাদাহ বলেন, আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) নাবী (সাঃ) এর নিকট لاَهَا اللَّهِ বলেছেন; যেখানে وَاللَّهِ وَبِاللَّهِ বা تَاللَّهِ বলা যায়।
  • ২৭৫২. তোমরা পিতা-পিতামহের কসম করবে না
  • ২৭৫৩. লাত, উযযা ও প্রতিমাসমূহের নামে কসম করা যায় না
  • ২৭৫৪. কেউ যদি কোন বস্তুর কসম করে অথচ তাকে কসম দেয়া হয়নি
  • ২৭৫৫. কেউ যদি ইসলাম ধর্ম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের কসম করে। নাবী (সাঃ) বলেছেন ”কেউ যদি লাত ও উযযার কসম করে তবে সে যেন বলে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ এতে কুফরীর দিকে তার সম্পর্ক বোঝায় না
  • ২৭৫৬. "যা আল্লাহ চান ও তুমি চাও" বলবে না। "আমি আল্লাহর সাথে এরপর তোমার সাথে" এরূপ বলা যাবে কি?
  • ২৭৫৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা আল্লাহ তা’আলার নামে সুদৃঢ় কসম করছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু বাকর (রাঃ) বলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ ! আমি সপ্নের তাবীর করতে যে ভুল করেছি তা আপনি অবশ্যই আমাকে বলে দিন। তিনি বললেন তুমি কসম করো না।
  • ২৭৫৯. আল্লাহ তা'আলার নামে অঙ্গীকার করা
  • ২৭৬০. আল্লাহর ইযযত, গুনাবলী ও কালেমা সমুহের কসম করা
  • ২৭৬১. কোন ব্যক্তির لَعَمْرُ اللَّهِ বলা। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, لَعَمْرُكَ মানে لَعَيْشُكَ অর্থাৎ তোমার জীবনের কসম
  • ২৭৬২. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না, কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্য দায়ী করবেন। আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ, ধৈর্যশীল (২ঃ ২২৫)
  • ২৭৬৩. কসম করে ভুলবশত যখন কসম ভঙ্গ করে। এবং আল্লাহর বাণীঃ এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (৩৩ঃ ৫) এবং আল্লাহর বাণীঃ আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না (১৮ঃ ৭৩)
  • ২৭৬৪. মিথ্যা কসম। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) পরস্পর প্রবঞ্চনা করার জন্য তোমরা তোমাদের শপথকে ব্যবহার করো না। করলে পা স্থির হওয়ার পর পিছলিয়ে যাবে। আর তোমাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি (১৬ঃ ৯৪) পর্যন্ত। دخلا দ্বারা প্রবঞ্চনা ও খিয়ানত উদ্দেশ্য।
  • ২৭৬৫. আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মুল্যে বিক্রি করে আর তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি ... পর্যন্ত (৩ঃ ৭৭)। এবং আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তোমাদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে অযুহাত করো না ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (২ঃ ২২৪) এবং আল্লাহর বাণীঃ তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার তুচ্ছ মুল্যে বিক্রি করো না ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (১৬ঃ ৯৫)। এবং আল্লাহর বাণীঃ তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং তোমরা শপথ দৃঢ় করার পর তা ভঙ্গ করো না (১৬ঃ ৯১) আয়াতের শেষ পর্যন্ত
  • ২৭৬৬. এমন কিছুতে কসম করা যার উপর কসমকারীর মালিকানা নেই এবং গুনাহের কাজের জন্য কসম ও রাগের বশর্বতী হয়ে কসম করা
  • ২৭৬৭. কোন ব্যক্তি যখন বলে, আল্লাহর কসম! আজ আমি কথা বলব না। এরপর সে নামায আদায় করল অথবা কুরআন পাঠ করল অথবা সুবহানাল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আলহামদুলিল্লাহ অথবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল। তবে তার কসম তার নিয়ত হিসেবেই আরোপিত হবে। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ সর্বোত্তম কথা চারতিঃ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং ওয়াল্লাহু আকবার। আবু সুফইয়ান (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) বাদশাহ হিরাক্লিয়াসের কাছে এ মর্মে লিখেছিলেনঃ হে কিতাবীগণ! এসো সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, كَلِمَةُ التَّقْوَى ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
  • ২৭৬৮. যে ব্যাক্তি এ মর্মে কসম করে যে, স্বীয় স্ত্রীর কাছে একমাস গমন করবে না আর মাস যদি হয় উনত্রিশ দিনে
  • ২৭৬৯. যদি কোন ব্যক্তি নাবীয পান করবে না বলে কসম করে। অতঃপর তেল, চিনি বা আসীর পান করে ফেলে তবে কারো কারো মতে কসম ভঙ্গ হবে না, যেহেতু তাদের নিকট এগুলো নাবীযের অন্তর্ভুক্ত নয়
  • ২৭৭০. যখন কোন ব্যক্তি তরকারী খাবে না বলে কসম করে, এরপর রুটির সাথে খেজুর মিশ্রিত করে খায়। আর কোন জিনিস তরকারীর অর্ন্তভুক্ত
  • ২৭৭১. কসমের মধ্যে নিয়ত করা
  • ২৭৭২. যখন কোন ব্যাক্তি তার মাল মানত ও তওবার লক্ষ্যে দান করে
  • ২৭৭৩. যখন কোন ব্যক্তি কোন খাদ্যকে হারাম করে নেয় এবং আল্লাহর বাণীঃ হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টির জন্য কেন তা হারাম করেছেন ? (৬৬ঃ ১) এবং আল্লাহর বাণীঃ ঐ সমস্ত পবিত্র বস্তুকে হারাম করো না, যা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
  • ২৭৭৪. মানত পুরা করা এবং আল্লাহর বাণীঃ তাদের দ্বারা মানত পুরা করা হয়ে থাকে
  • ২৭৭৫. মানত করে তা পূর্ণ না করা গুনাহর কাজ
  • ২৭৭৬. ইবাদতের ক্ষেত্রে মানত করা। (এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ) যা কিছু তোমরা ব্যয় কর অথবা যা কিছু তোমরা মানত কর আয়াতের শেষ পর্যন্ত (২ঃ ২৭০)
  • ২৭৭৭. কোন ব্যাক্তি জাহিলী যুগে মানত করল বা কসম করল যে, সে মানুষের সঙ্গে কথা বলবে না, অতঃপর সে ইসলাম গ্রহন করেছে
  • ২৭৭৮. মানত আদায় না করে কোন ব্যক্তি যদি মারা যায়। ইবনু উমর (রাঃ) এক মহিলাকে নির্দেশ দিয়েছেন যার মাতা কুবার মসজিদে নামায আদায় করবে বলে মানত করেছিল। তখন তিনি তাকে বলেছিলেন, তার পক্ষ থেকে নামায আদায় করে নিতে। ইবনু আব্বাস (রাঃ)-ও এরূপ বর্ণনা করেছেন।
  • ২৭৭৯. গুনাহর কাজের এবং ঐ বস্তুর মানত করা যার উপর অধিকার নেই
  • ২৭৮০. কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কয়েক দিন রোযা পালনের মানত করে আর তার মাঝে কুরবানীর দিনসমূহ বা ঈদুল ফিতরের দিন পড়ে যায়
  • ২৭৮১. কসম ও মানতের মধ্যে ভূমি, বকরী, কৃষি ও আসবাবপত্র শামিল হয় কি ? এবং ইবনু উমর (রাঃ) এর হাদীস। তিনি বলেন নবী (সাঃ) এর কাছে একদা উমর (রাঃ) আরয করলেন যে, আমি এরূপ একখন্ড ভূমি লাভ করেছি যার চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন মাল কখনও আমি পাইনি। তিনি বললেনঃ তুমি যদি চাও তবে মূল মালটিকে রেখে দিয়ে (তার তার থেকে অর্জিত লাভটুকু) দান করে দিতে পার। আবূ ত্বলহা (রাঃ) নবী (সাঃ) এর কাছে আরয করলেন যে, আমার নিকট বায়রুহা নামক আমার বাগানটি সবচেয়ে প্রিয় তার দেয়ালটি হচ্ছে মসজিদে নববীর সম্মুখে।
  • ৭২/ শপথের কাফফারা (كتاب كفارات الأيمان) ১৭ টি | ৬২৫১-৬২৬৭ পর্যন্ত 72/ Expiation For Unfulfilled Oaths
  • আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এরপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে (মধ্যম ধরনের) আহার্য দান (৫ঃ ৮৯) যখন এ আয়াত নাযিল হল, তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে হুকুম দিয়েছিলেন তা হচ্ছেঃ ফিদইয়া এর মধ্যে সাওম, সাদকা অথবা কুরবানী করা। ইবন আব্বাস, আতা ও ইকরামা থেকে বর্ণিত আছে যে, কুরআন মাজীদ যেখানে أَوْ أَوْ (অথবা অথবা) শব্দ আছে কুরআনের অনুসারীদের জন্য সেখানে ইখতিয়ার রয়েছে। নবী (সাঃ) কা’ব (রাঃ) কে ফিদইয়া আদায়ের ব্যাপারে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন।
  • ২৭৮২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ তোমাদের সহায় আর তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (৬৬ঃ ২) আর ধনী ও দরিদ্র কখন কার উপর কাফফারা ওয়াজিব হয়
  • ২৭৮৩. যে ব্যক্তি কাফফারা আদায়ে দরিদ্রকে সাহায্য করে
  • ২৭৮৪. দশজন মিসকিন কে কাফফারা প্রদান করা; চাই তারা নিকটাত্মীয় হোক বা দূরের হোক
  • ২৭৮৫. মদীনার সা' ও নাবী (সাঃ) এর মুদ্দ এবং এর বরকত। আর মদীনাহবাসীগণ এর থেকে যুগযুগান্তর ধরে উত্তরাধিকারসুত্রে যা পেয়েছেন
  • ২৭৮৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ অথবা গোলাম আযাদ করা। এবং কোন প্রকারের গোলাম আযাদ করা উত্তম
  • ২৭৮৭. কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে মুদাব্বার, উম্মু ওয়ালাদ, মুতাকাব এবং যিনার সন্তান আযাদ করা। এবং তাউস বলেছেন, উম্মে ওয়ালাদ এবং মুদাব্বার আদায় করা চলবে।
  • ২৭৮৮. যখন কেউ দুজনের মধ্যে শরীকানা কোন গোলাম আযাদ করে অথবা কাফফারার ক্ষেত্রে গোলাম আযাদ করে তখন তার ওয়ালাতে (স্বত্বাধিকারী) কে পাবে?
  • ২৭৮৯. কসমের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলা
  • ২৭৯০. কসম ভঙ্গ করার পূর্বে এবং পরে কাফফারা আদায় করা
  • ৭৩/ উত্তরাধিকার (كتاب الفرائض) ৪৭ টি | ৬২৬৮-৬৩১৪ পর্যন্ত 73/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)
  • মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন ... দুই আয়াত পর্যন্ত
  • ২৭৯১. উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া। উকবা ইবন আমির (রাঃ) বলেন, যারা ধারনাপ্রসূত কথা বলে তাদের এ ধরনের কথা বলার পূর্বেই তোমরা (উত্তরাধিকার বিদ্যা) শিখে নাও
  • ১৭৯২. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমাদের কোন উত্তরাধিকার হবে না, আর যা কিছু আমরা রেখে যাই সবই হবে সদাকাসরূপ
  • ২৭৯৩. নাবী (সাঃ) এর বাণীঃ যে ব্যক্তি মাল রেখে যায় তা তার পরিবার-পরিজনের হবে
  • ২৭৯৪. পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সন্তানের উত্তরাধিকার। যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, কোন পুরুষ বা নারী যদি কন্যা সন্তান রেখে যায় তাহলে সে অর্ধাংশ পাবে। আর যদি তাদের সংখ্যা দুই বা ততোধিক হয় তারা পাবে দুই-তৃতীযাংশ। আর যদি উক্ত কন্যা বা কন্যা সমূহের সঙ্গে পুরুষ থাকে তাহলে প্রথমে অংশীদারদেরকে তাদের প্রাপ্ত দেয়ার পর বাকি অংশ দুই নারী সমান এক পুরুষ ভিত্তিতে বণ্টন করা হবে।
  • ২৭৯৫. কন্যা সন্তানের উত্তরাধিকার
  • ২৭৯৬. পুত্রের অবর্তমানে নাতির উত্তরাধিকার। যায়িদ (রাঃ) বলেন, পুত্রের সন্তানাদি পুত্রের মতই, যখন তাকে ছাড়া আর কোন সন্তান না থাকে। নাতিগণ পুত্রদের মত আর নাতনীগণ কন্যাদের মত। পুত্রদের মত নাতনীগণও উত্তরাধিকার হয়, আবার পুত্রগণ যেরূপ অন্যদেরকে মাহরুম করে নাতিগণও সেরূপ অন্যদেরকে মাহরুম করে। আর নাতিগণ পুত্রদের বর্তমানে উত্তরাধিকারী হয় না।
  • ২৭৯৭. কন্যার বর্তমানে পুত্র তরফের নাতনীর উত্তরাধিকার
  • ২৭৯৮. পিতা ও ভ্রাতৃবৃন্দের বর্তমানে দাদার উত্তরাধিকার। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ), ইবনু আব্বাস (রাঃ) এবং ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন যে, দাদা পিতার মতই। ইবনু আব্বাস (রাঃ) এরূপ পড়েছেন يَا بَنِي آدَمَ، وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ آبَائِي إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ বস্তুত এরকম কেউ ই বলেননি যে, আবূ বকর (রাঃ)এর যামানায় কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। অথচ সে সময়ে নবী করীম (সাঃ) এর অনেক সাহাবী বিদ্যমান ছিল। আর ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমার নাতি আমার উত্তরাধিকারী হবে, আমার ভাই নয়। তবে আমি আমার নাতির উত্তরাধিকারী হব না। তবে উমর আলী ইবনু্ মাসঊদ এবং যায়িদ (রাঃ) থেকে এ সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়।
  • ২৭৯৯. সন্তানাদির বর্তমানে স্বামীর উত্তরাধিকার
  • ২৮০০. সন্তানাদির বর্তমানে স্বামী ও স্ত্রীর উত্তরাধিকার
  • ২৮০১. কন্যাদের বর্তমানে ভগ্নি আসাবা হিসাবে উত্তরাধিকারিণী হয়
  • ২৮০২. ভগ্নিগণ ও ভ্রাতৃগণের উত্তরাধিকার
  • ২৮০৩. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) লোকেরা আপনার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়। বলুন, পিতা মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্বন্ধে তোমাদেরকে আল্লাহ ব্যবস্থা জানাচ্ছেন ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত
  • ২৮০৪. (কোন মেয়েলোকের) দু’জন চাচাতো ভাই, তন্মধ্যে একজন যদি মা শরীক ভাই আর অপরজন যদি স্বামী হয়। আলী (রাঃ) বলেন, স্বামীর জন্য অংশ হচ্ছে অর্ধেক আর মা শরীক ভাই-এর অংশ এক ষষ্ঠাংশ। এরপর অবশিষ্টাংশ দু' এর মাঝে আধাআধি হারে দিতে হবে।
  • ২৮০৫. যাবিল আরহাম
  • ২৮০৬. লি’আনকারীদের উত্তরাধিকার
  • ২৮০৭. শয্যাসঙ্গিনী আযাদ হোক বা বাঁদী, সন্তান শয্যাধিপতির
  • ২৮০৮. অভিভাকত্ব ঐ ব্যক্তির জন্য যে আযাদ করবে। আর লাকিত এর উত্তরাধিকার। 'উমার (রাঃ) বলেন, লাকীত (কুড়িয়ে পাওয়া) ব্যক্তি আযাদ
  • ২৮০৯. সায়বার উত্তরাধিকার
  • ২৮১০. যে গোলাম তার মনিবদের ইচ্ছার খেলাফ কাজ করে তার গুনাহ
  • ২৮১১. কাফির কারো হাতে ইসলাম গ্রহণ করে, তবে হাসান (রাঃ) তার জন্য এতে ওয়ালার স্বীকৃতি দিতেন না। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ওয়ালা ঐ ব্যক্তির জন্য যে আযাদ করে। তামীম দারী (রাঃ) থেকে মারফু’ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, ওয়ালা তার আযাদকারীর কাছে অন্যান্য মানুষের তুলনায় তার মৃত্যু ও জীবন যাপনের দিক দিয়ে অধিকতর নিকটে। তবে এ খবরের সত্যতার ব্যাপারে অন্যেরা মতানৈক্য করেছেন।
  • ২৮১২. নারীগণ ওয়ালার উত্তরাধিকারী হতে পারে
  • ২৮১৩. কোন কওমের আযাদকৃত গোলাম তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। আর বোনের ছেলেও ঐ কাওমের অন্তর্ভূক্ত
  • ২৮১৪. বন্দীর উত্তরাধিকার। শুরায়হ শত্রুদের হাতে বন্দী মুসলিমদের উত্তরাধিকার প্রদান করতেন এবং বলতেন এ বন্দী লোক উত্তরাধিকারের প্রতি বেশী মুখাপেক্ষী। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) বলেন, বন্দী ব্যক্তির ওসিয়ত, তাকে আযাদ কর এবং তার মালের ব্যবহারকে জায়েয মনে কর, যতক্ষন না সে আপন ধর্ম থেকে ফিরে যায়। কেননা, এ হচ্ছে তারই মাল। সে এতে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে
  • ২৮১৫. মুসলিম কাফেরের এবং কাফির মুমুসলিমের উত্তরাধিকারী হয় না। কোন ব্যক্তি সম্পত্তি বন্টনের পূর্বে মুসলিম হয়ে গেলে সে মিরাস পাবে না
  • ২৮১৭. যে ব্যক্তি কাউকে ভাই বা ভ্রাতুষ্পুত্র হওয়ার দাবি করে
  • ২৮১৮. প্রকৃত পিতা ব্যতীত অন্যকে পিতা বলে দাবি করা
  • ২৮১৯. কোন মহিলা কাউকে পুত্র হিসাবে দাবি করলে তার বিধান
  • ২৮২০. চিহ্ন ধরে অনুসরণ
  • ৭৪/ শরীয়তের শাস্তি (كتاب الحدود) ৩১ টি | ৬৩১৫-৬৩৪৫ পর্যন্ত 74/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
  • ২৮২১. যিনা ও মদ্য পান। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, ব্যভিচারের কারণে ঈমানের নূর দূর হয়ে যায়
  • ২৮২২. শারাবপায়ীকে প্রহার করা
  • ২৮২৩. যে ব্যক্তি ঘরের ভিতর শরীয়াতের শাস্তি দেয়ার হুকুম দেয়
  • ২৮২৪. বেত্রাঘাত এবং জুতা মারার বর্ণনা
  • ২৮২৫. শারাব পানকারীকে লা'নত করা মাকরূহ এবং সে মুসলিম থেকে খারিজ নয়
  • ২৮২৬. চোর যখন চুরি করে
  • ২৮২৭. চোরের নাম না নিয়ে তার উপর লা'নত করা
  • ২৮২৮. হুদুদ (শরীয়াতের শাস্তি) (গুনাহর) কাফফারা হয়ে যায়
  • ২৮২৯. শরীয়তের কোন হদ্দ (শাস্তি) বা হক ব্যতীত মু'মিনের পিঠ সংরক্ষিত
  • ২৮৩০. শরীয়াতের হদসমূহ (শাস্তি) কায়িম করা এবং আল্লাহ তা’আলার নিষিদ্ধ কাজে প্রতিশোধ নেয়া
  • ২৮৩১. আশরাফ-আতরাফ (উঁচু-নীচ) সকলের ক্ষেত্রে শরীয়াতের শাস্তি কায়িম করা
  • ২৮৩২. বাদশাহর নিকট যখন মুকাদ্দামা পেশ করা হয় তখন শারী'আতের শাস্তির বেলায় সুপারিশ করা অসমীচীন
  • ২৮৩৩. আল্লাহর বাণীঃ পুরুষ কিংবা নারী চুরি করলে তাদের হস্তচ্ছেদন কর (৫ঃ ৩৮)। কি পরিমান মাল চুরি করলে হাত কাটা যাবে। আলী (রাঃ) কজি পর্যন্ত কর্তন করেছিলেন। আর কাতাদা (রাঃ) এক নারী সম্পর্কে বলেছেন যে চুরি করেছিল, এতে তার বাম হাত কর্তন করা হয়েছিল। (কাতাদা বলেন) এ ছাড়া আর অন্য কোন শাস্তি দেওয়া হয় নি
  • ২৮৩৪. চোরের তাওবা
  • ৭৫/ কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ (كتاب المحاربين من اهل الكفر والردة) ৫০ টি | ৬৩৪৬-৬৩৯৫ পর্যন্ত 75/ Punishment of Disbelievers at War with Allah and His Apostle
  • মহান আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের শাস্তি- আয়াতের শেষ পর্যন্ত
  • ২৮৩৫. নবী (সাঃ) ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের ক্ষতস্থানে লোহা পুড়ে দাগ দেননি। অবশেষে তারা মারা গেল।
  • ২৮৩৬. ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের পানি পান করানো হয়নি; অবশেষে তারা মারা গেল
  • ২৮৩৭. নবী (সাঃ) বিদ্রোহীদের চক্ষুগুলো লৌহশলাকা দ্বারা ফুঁড়ে দিলেন
  • ২৮৩৮. অশ্লীলতা বর্জনকারীর ফযীলত
  • ২৮৩৯. ব্যভিচারীদের পাপ। আল্লাহর বাণীঃ আর তারা ব্যাভিচার করে না (২৫ঃ ৬৮) এবং তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ (১৭ঃ ৩২)
  • ২৮৪০. বিবাহিতকে রজম করা। হাসান (রহঃ) বলেন, যে স্বীয় বোনের সহিত যিনা করে তার উপর যিনার হদ প্রয়োগ হবে
  • ২৮৪১. পাগল ও পাগলিনীকে রজম করা যাবে না। আলী (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, আপনি কি জানেন না যে, পাগল থেকে জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত, বালক থেকে সাবালেগ না হওয়া পর্যন্ত, ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে?
  • ২৮৪২. ব্যভিচারীর জন্য পাথর
  • ২৮৪৩. সমতল স্থানে রজম করা
  • ২৮৪৪. ঈদগাহ্‌ ও জানাযা আদায়ের স্থানে রজম করা
  • ২৮৪৫. যে ব্যক্তি এমন অপরাধ করল যা হদ এর আওতাভুক্ত নয় এবং সে ইমামকে অবগত করল। তবে তওবার পর তার উপর কোন শাস্তি প্রয়োগ হবে না, যখন সে ফতোয়া জানার জন্য আসে। আতা (রহঃ) বলেন, নবী (সাঃ) এমন ব্যক্তিকে শাস্তি দেননি। ইবন জুরায়জ (রহঃ) বলেন, শাস্তি দেননি ঐ ব্যক্তিকে, যে রমযানে স্ত্রী সঙ্গম করেছে এবং উমর (রাঃ) শাস্তি দেননি হরিণ শিকারীকে। এ ব্যাপারে আবু উসমান (রহঃ) ইবন মাসউদ (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা রয়েছে।
  • ২৮৪৬. কেউ শাস্তির স্বীকারোক্তি করল অথচ বিস্তারিত বলেনি, তখন ইমামের জন্য তা গোপন রাখা বৈধ কি?
  • ২৮৪৭. স্বীকারোক্তিকারীকে ইমাম কি এ কথা বলতে পারে যে, সম্ভবত তুমি স্পর্শ করেছ অথবা ইশারা করেছ?
  • ২৮৪৮. স্বীকারোক্তিকারীকে ইমামের প্রশ্ন ‘তুমি কি বিবাহিত’?
  • ২৮৪৯. যিনার স্বীকারোক্তি
  • ২৮৫০. যিনার কারণে বিবাহিতা গর্ভবতী মহিলাকে রজম করা
  • ২৮৫১. অবিবাহিত যুবক, যুবতী উভয়কে কশাঘাত করা হবে এবং নির্বাসিত করা হবে। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী ওদের প্রত্যেককে একশ’ কশাঘাত করবে ... বিশ্বাসীদের জন্য এদেরকে বিবাহ করা অবৈধ পর্যন্ত (২৪ঃ ২-৩) ইবন উয়াইনাহ (রহঃ) বলেন, رافة হদ প্রয়োগ (সহানুভূতি প্রদর্শন) করা
  • ২৮৫২. গুনাহগার ও হিজড়াদের নির্বাসিত করা
  • ২৮৫৩. ইমাম অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় অন্য কাউকে হদ প্রয়োগের নির্দেশ প্রদান করা
  • ২৮৫৫. দাসী যখন যিনা করে
  • ২৮৫৬. দাসী যিনা করে বসলে তাকে তিরস্কার ও নির্বাসন দেওয়া যাবে না
  • ২৮৫৭. যিম্মিরা যিনা করলে এবং ইমামের নিকট তাদের মোকাদ্দামা পেশ করা হলে এবং তাদের ইহসান (বিবাহিত হওয়া) সম্পর্কিত বিধান
  • ২৮৫৮. বিচারক ও লোকদের কাছে আপন স্ত্রী বা অন্যের স্ত্রীর উপর যখন যিনার অভিযোগ করা হয় তখন বিচারকের জন্য কি জরুরী নয় যে, তার কাছে পাঠিয়ে তাকে ঐ বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, যে বিষয়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
  • ২৮৫৯. প্রশাসক ছাড়া অন্য কেউ যদি নিজ পরিবার কিংবা অন্য কাউকে শাসন করে। আবু সাঈদ (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, কেউ নামায আদায় করে, আর কোন ব্যক্তি তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার ইচ্ছা করে, তাহলে সে যেন তাকে বাধা দেয়। যদি সে বাধা না মানে তাহলে যেন তার সাথে লড়াই করে। আবু সাঈদ (রাঃ) এরূপ করেছেন
  • ২৮৬০. যদি কেউ তার স্ত্রীর সহিত পরপুরুষকে দেখে এবং তাকে হত্যা করে ফেলে
  • ২৮৬১. কোন বিষয়ে অস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করা
  • ২৮৬২. শাস্তি ও শাসনের পরিমান কতটুকু
  • ২৮৬৩. যে ব্যক্তি প্রমান ব্যতীত অশ্লীলতা ও অন্যের কলংকিত হওয়াকে প্রকাশ করে এবং অপবাদ রটায়
  • ২৮৬৪. সাধ্বী রমণীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করা। আর যারা সাধ্বী রমণীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং স্বপক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে কশাঘাত কর ... ক্ষমাশীল দয়ালু পর্যন্ত (২৪ঃ ৪-৫) যারা সাধ্বী, সরলমনা ও বিশ্বাসী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (২৪ঃ ২৩)
  • ২৮৬৫. ক্রীতদাসদের প্রতি অপবাদ আরোপ করা
  • ২৮৬৬. ইমাম থেকে অনুপস্থিত ব্যক্তির ওপর হদ প্রয়োগ করার জন্য তিনি কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারেন নি? উমর (রাঃ) এমনটা করেছেন
  • ৭৬/ রক্তপন (كتاب الديات) ৫৪ টি | ৬৩৯৬-৬৪৪৯ পর্যন্ত 76/ Blood Money (Ad-Diyat)
  • আল্লাহর বাণীঃ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তার শাস্তি হল জাহান্নাম (৪ঃ ৯৩)
  • ২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে (৫ঃ ৩২)। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে প্রাণ সংহার নিষিদ্ধ মনে করে তার থেকে গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা পেল।
  • ২৮৬৯. (ইমাম কর্তৃক) হত্যাকারীকে স্বীকারোক্তি পর্যন্ত প্রশ্ন করা। আর শরীয়াতের শাস্তির ব্যাপারে স্বীকারোক্তি
  • ২৮৭০. পাথর বা লাঠি দ্বারা হত্যা করা
  • ২৮৭১. আল্লাহর বাণীঃ প্রাণের বদলে প্রাণ ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৫ঃ ৪৫)
  • ২৮৭২. যে ব্যক্তি পাথর দ্বারা কিসাস নিল
  • ২৮৭৩. কাউকে হত্যা করা হলে তার উত্তরাধিকারীগণ দু’রকমের শাস্তির যে কোন একটি প্রয়োগের ইখতিয়ার লাভ করে
  • ২৮৭৪. যথার্থ কারণ ছাড়া রক্তপাত দাবি করা
  • ২৮৭৫. ভুলক্রমে হত্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুর পর ক্ষমা প্রদর্শন করা
  • ২৮৭৭. একবার হত্যার স্বীকারোক্তি করলে তাকে হত্যা করা হবে
  • ২৮৭৮. মহিলার বদলে পুরুষকে হত্যা করা
  • ২৮৭৯. আহত হওয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষদের মধ্যে কিসাস। আলিমগণ বলেন, নারীর বদলে পুরুষকে হত্যা করা হবে। আর উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করা হয় যে, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রত্যেক হত্যা বা আহত কারার ক্ষেত্রে নারীর বদলে পুরুষকে কিসাসের বিধানানুসারে শাস্তি দেওয়া হবে। ইহাই উমর ইবনু আবদুল আযীয (র), ইবরাহীম (র) এবং আবূয যিনাদ (র)-এর অভিমত তাদের আসহাব থেকে। রুবায়-এর বোন কোন এক ব্যক্তিকে আহত করলে নবী (সাঃ) বলেন, এ ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান হল ‘কিসাস’
  • ২৮৮০. হাকিমের কাছে মোকাদ্দামা দায়ের করা ব্যতীত আপন অধিকার আদায় করে নেয়া বা কিসাস গ্রহণ করা
  • ২৮৮১. (জনতার) ভিড়ে মারা গেলে বা হত্যা করা হলে
  • ২৮৮২. যখন কেউ ভুলবশত নিজেকে হত্যা করে ফেলে তখন তার কোন রক্তপণ নেই
  • ২৮৮৩. কাউকে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়ার ফলে তার দাঁত উপড়ে গেলে
  • ২৮৮৪. দাঁতের বদলে দাঁত
  • ২৮৮৫. আঙ্গুলের রক্তপণ
  • ২৮৮৬. যখন একটি দল কোন এক ব্যক্তিকে বিপন্ন করে তোলে, তখন তাদের সকলকে শাস্তি প্রদান করা হবে কি? অথবা সকলের নিকট থেকে কিসাস গ্রহন করা হবে কি? মুতাররিফ (রহঃ) শাবী (রহঃ) থেকে এমন দু জন ব্যক্তির ব্যাপারে বর্ণনা করেন যারা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিল যে, সে চুরি করেছে। তখন আলী (রাঃ) তার হাত কেটে ফেললেন। তারপর তারা অপর একজনকে নিয়ে এসে বলল, আমরা ভুল করে বসেছি। তখন তিনি তাদের সাক্ষ্য বাতিল করে দিলেন এবং প্রথম ব্যক্তির দীয়ত (রক্তপণ) গ্রহণ করলেন। আর বললেন, যদি আমি জানতাম যে তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছে, তাহলে তোমাদের উভয়ের হাত কেটে ফেলতাম। আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, আমাকে ইবনু বাশশার (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একটি বালককে গোপনে হত্যা করা হয়। তখন উমর (রাঃ) বললেন, যদি গোটা সান’আবাসী এতে অংশ নিত তাহলে আমি তাদেরকে হত্যা করতাম। মুগীরা ইবনু হাকীম (রহঃ) আপন পিতা হাকীম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চারজন লোক একটি বালককে হত্যা করেছিল। তখন উমর (রাঃ) অনুরূপ কথা বলেছিলেন। আবূ বকর ও ইবনু যুবায়র, আলী ও সুওয়ায়দ ইবনু মুকাররিন (রাঃ) থাপ্পড়ের ক্ষেত্রে কিসাসের নির্দেশ দেন। উমর (রাঃ) ছড়ি দিয়ে প্রহারের ব্যাপারে কিসাসের নির্দেশ দেন। আর আলী (রাঃ) তিনটি বেত্রাঘাতের জন্য কিসাসের নির্দেশ দেন এবং শুরায়হ (রহঃ) একটি বেত্রাঘাত ও নখের আঁচড়ের জন্য কিসাস কার্যকর করেন।
  • ২৮৮৭. ‘কাসামাহ’ (শপথ)। আশআছ ইবনু কায়স (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে বলেছেন, তুমি দু’জন সাক্ষী পেশ করবে, নতুবা তার কসম! ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) বলেন, মু’আবিয়া (রাঃ) কাসামা অনুযায়ী কিসাস গ্রহণ করতেন না। উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) তাঁর তরফ থেকে নিযুক্ত বসরার গভর্নর আদী ইবনু আরতাত (রহঃ) এর কাছে একজন নিহত ব্যক্তির ব্যাপারে পত্র লিখেন, যাকে তেল ব্যবসায়ীদের বাড়ীর কাছে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, যদি তার আত্মীয়-স্বজনরা প্রমান পেশ করতে পারে তবে দন্ড প্রদান করবে নতুবা লোকদের ওপর জুলম করবে না। কেননা, তা এমন ব্যাপার, যার কিয়ামত পর্যন্ত ফায়সালা করা যায় না।
  • ২৮৮৮. যে ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিদের ঘরে উঁকি মারল। আর তারা তার চক্ষু ফুঁড়ে দিল, এতে ঐ ব্যক্তির জন্য দিয়াত নেই
  • ২৮৮৯. আকিলা (রক্তপণ) প্রসঙ্গে
  • ২৮৯০. মহিলার ভ্রুন
  • ২৮৯১. মহিলার ভ্রুন এবং দিয়াত পিতা ও পিতার নিকটাত্নীয়ের উপর বর্তায় সন্তানের উপর নয়
  • ২৮৯২. যে কেউ গোলাম অথবা বালক থেকে সাহায্য চায়। বর্ণিত আছে যে, উম্মু সালামাহ (রাঃ) একটি পাঠশালার শিক্ষকেকর কাছে বার্তা পাঠালেন যে, আমার কাছে কতিপয় বালক পাঠিয়ে দিন, যারা পশমের জট ছাড়াবে। তবে কোন আযাদ (বালক) পাঠাবেন না।
  • ২৮৯৩. খনি দন্ডমুক্ত এবং কূপ দন্ডমুক্ত
  • ২৮৯৪. পশু আহত করলে তাতে কোন ক্ষতিপূরন নেই। ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেন, তাদের সময়ে পশুর লাথির আঘাতের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরন প্রদানের ফায়সালা দিতেন না এবং লাগাম টানার দরুন কোন ক্ষতি সাধিত হলে ক্ষতিপূরনের ফায়সালা দিতেন। হাম্মাদ (র) বলেন, লাথির আঘাতের দরুন দায়ী করা যাবে না। তবে যদি কোন ব্যক্তি পশুটিকে খোঁচা মারে। শুরায়হ (রহঃ) বলেন, প্রতিশোধমূলক আঘাতের দরুন পশুকে দায়ী করা যাবে না। যেমন কেউ কোন পশুকে আঘাত করল, তখন পশুটিও তাকে পা দিয়ে আঘাত করল। হাকাম (র) ও হাম্মাদ (র) বলেন যদি ভাড়াটিয়া ব্যক্তি গাধাকে হাঁকিয়ে নেয়, যে গাধার উপর কোন মহিলা বসা থাকে আর মহিলাটি গাধা থেকে পড়ে যায়, তাহলে তার উপর কিছু বর্তিবে না। শা’বী (র) বলেন, যদি কেউ কোন পশু চালায় এবং তাকে ক্লান্ত করে ফেলে, তাহলে তার উপর ক্ষতিপূরণ বর্তিবে। আর যদি ধীরে ধীরে চালায় তাহলে বর্তিবে না।
  • ২৮৯৫. যে ব্যক্তি যিম্মিকে বিনা দোষে হত্যা করে তার পাপ
  • ২৮৯৬. কাফেরের বদলে মুসলিমকে হত্যা করা হবে না
  • ২৮৯৭. যখন কোন মুসলিম কোন ইয়াহুদীকে ক্রোধের সময় থাপ্পড় লাগাল। এ প্রসঙ্গে আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • ৭৭/ আল্লাহদ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তওবার প্রতি আহবান ও তাদের সাথে যুদ্ধ (كتاب استتابة المرتدين والمعاندين وقتالهم) ২১ টি | ৬৪৫০-৬৪৭০ পর্যন্ত 77/ Apostates
  • ২৮৯৮. যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে শিরক করে তার গুনাহ এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তার শাস্তি। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন, নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলম। (৩১ঃ ১৩) তুমি আল্লাহ্‌র শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত (৩৯ঃ ৬৫)
  • ২৮৯৯. ধর্মত্যাগী পুরুষ ও নারীর হুকুম।
  • ২৯০০. যারা ফরযসমূহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং যাদেরকে ধর্মত্যাগের অপরাধে অপরাধী করা হয়েছে তাদেরকে হত্যা করা
  • ২৯০১. যখন কোন যিম্মী বা অন্য কেউ নবী (সাঃ) কে বাকচাতুরীর মাধ্যমে গালি দেয় এবং স্পষ্ট করে না, যেমন তার কথা ‘আসসামু আলাইকা’ (তোমার মৃত্যু হোক)
  • ২৯০২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৯০৩. খারিজী সম্প্রদায় ও মুলহিদদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর তাদেরকে হত্যা করা এবং আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ এমন নন যে, তিনি কোন সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করার পর তাদেরকে বিভ্রান্ত করবেন- তাদেরকে কী বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত না করা পর্যন্ত। (৯ঃ ১১৫) ইবন উমর (রা) তাদেরকে আল্লাহ্‌র সৃষ্টির নিকৃষ্টতম সৃষ্টি হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং তিনি বলেছেন, তারা এমন কিছু আয়াতকে মুমিনদের ওপর প্রয়োগ করেছে যা কাফেরদের সম্পর্কে অবতীর্ণ
  • ২৯০৪. যারা মনোরঞ্জনের নিমিত্ত খারিজীদের সাথে যুদ্ধ ত্যাগ করে এবং এজন্য যে যাতে করে লোকেরা তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ না করে
  • ২৯০৫. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ কস্মিনকালেও কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না দু’টি দল পরস্পর লড়াই করবে, অথচ তাদের দাবি হবে অভিন্ন
  • ২৯০৬. ব্যাখ্যা প্রদানকারীদের সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়েছে
  • ৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) ১২ টি | ৬৪৭১-৬৪৮২ পর্যন্ত 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
  • আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তবে তার জন্য নয় (যাকে সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়। কিন্তু তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচলিত। আর যে সত্য প্রত্যাখ্যানে হৃদয় উন্মুক্ত রাখল তার উপর আপতিত হবে আল্লাহ্‌র গযব... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (১৬ঃ ১০৬)। আল্লাহ্‌ বলেনঃ তবে যদি তোমরা তাদের নিকট হতে কোন ভয়ের আশংকা কর আর تقية ... একই অর্থ (৩ঃ ২৮)। আল্লাহ্‌ তা’আলা আরো বলেন, যারা নিজেদের উপর জুলম করে, তাদের প্রাণ হরণের সময় ফেরেশ্তাগণ বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে। তারা বলে, দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। তারা বলে, তোমরা নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাস করতে পারতে আল্লাহ্‌র দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না? ... আল্লাহ্‌ পাপ মোচনকারী ও ক্ষমাশীল পর্যন্ত (৪ঃ ৯৭-৯৯)। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন এবং অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য? যারা বলে ... সহায় পর্যন্ত। (৪ঃ ৭৫) আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্‌ অসহায়দেরকে ক্ষমার্হ বলে চিহ্নিত করেছেন। যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশসমূহ পরিত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে পারে না। আর বল প্রয়োগকৃত ব্যক্তি এমনই অসহায় হয় যে, সে ঐ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না, যার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয়েছে। হাসান (রহঃ) বলেন, তকিয়া কিয়ামত পর্যন্ত অবধারিত। ইবন আব্বাস (রাঃ) ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, যাকে জালিমরা বাধ্য করার দরুন সে তালাক প্রদান করে ফেলে তা কিছুই নয়। ইবন উমর (রাঃ), ইবন যুবায়র (রাঃ) শা’বী (রহঃ) এবং হাসান (রহঃ) ও এ মত পোষণ করেন। আর নবী (সাঃ) বলেছেন, সকল কাজই নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত
  • ২৯০৭. যে ব্যক্তি কুফরি কবূল করার পরিবর্তে দৈহিক নির্যাতন, নিহত ও লাঞ্ছিত হওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়
  • ২৯০৮. জোরপূর্বক কাউকে দিয়ে তার নিজের সম্পদ বা অপরের সম্পদ বিক্রয় করানো
  • ২৯০৯. বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তির বিয়ে জায়েয হয় না। আল্লাহ্‌ বলেন, তোমরা দাসীগণকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (২৪ঃ ৩৩)
  • ২৯১০. কাউকে যদি বাধ্য করা হয়, যার ফলে সে গোলাম দান করে ফেলে অথবা বিক্রি করে দেয় তবে তা কার্যকর হবে না। কেউ কেউ অনুরূপ রায় পোষণ করেন। অপর দিকে তার মতে ক্রেতা যদি এতে কিছু মানত করে তাহলে তা কার্যকর হবে। অনুরূপ তাকে যদি মুদাব্বর বানিয়ে নেয় তাহলে তা কার্যকর হবে
  • ২৯১১. ‘ইকরাহ’ (বাধ্যকরণ) শব্দ থেকে কারহান ও কুরহান নির্গত, উভয়টির অর্থ অভিন্ন
  • ২৯১২. যখন কোন মহিলাকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয় তখন তার উপর কোন ‘হদ’ আসে না। কেননা, আল্লাহ বলেন, তবে কেউ যদি তাদেরকে বাধ্য করে সে ক্ষেত্রে জবরদস্তির উপর আল্লাহতো তাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (২৪ঃ ৩৩)
  • ২৯১৩. যখন কোন ব্যক্তি তার সঙ্গীর ব্যাপারে নিহত হওয়া বা অনুরূপ কিছুর আশঙ্কা করে তখন (তার কল্যাণার্থে) কসম করা যে, সে তার ভাই। অনুরূপভাবে যে কোন বল প্রয়োগকৃতব্যক্তির ব্যাপারে যখন কোন প্রকার আশঙ্কা দেখা দেয়। কেননা, এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করবে। তার জন্য লড়াই করবে, তাকে লাঞ্ছিত করবে না। যদি সে মজলুমের জন্যে লাড়াই করে তাহলে তার উপর কোন ‘হদ’ বা কিসাস নেই। যদি কাউকে বলা হয় তোমাকে অবশ্যই মদ পান করতে হবে, অথবা মৃতের গোশত খেতে হবে, অথবা তোমাকে দাসকে বিক্রি করতে হবে অথবা তোমাকে ঋণ স্বীকার করতে হবে অথবা কিছু দান করতে হবে অথবা কিছু দান করতে হবে বা অনুরূপভাবে যে কোন চুক্তির কথা বলা হয়। অন্যথায় আমরা তোমার পিতাকে অথবা মুসলিম ভাইকে হত্যা করে ফেলব। তখন তার জন্য ঐসব কাজ করার অনুমতি আছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। কেউ কেউ বলেন, যদি বলা হয়, তোমাকে অবশ্যই মদ পান করতে হবে, অথবা মৃতের গোশত খেতে হবে, অন্যথায় আমরা তোমার পুত্রকে বা তোমার পিতাকে বা তোমার কোন নিকট আত্মীয়কে হত্যা করে ফেলব, তখন তার জন্য এসব কাজ করার অনুমতি নেই। কেননা, সে নিরুপায় নয়। কেউ কেউ এর বিপরীত রায় ব্যক্ত করে বলেন, যদি তাকে বলা হয়, আমরা অবশ্যই তোমার পিতাকে বা তোমার পুত্রকে হত্যা করে ফেলব, না হয় তোমাকে ঔ গোলামটি বিক্রি করতে হবে, অথবা তোমাকে ঋণ স্বীকার করতে হবে, অথবা হেবা স্বীকার করতে হবে, তাহলে কিয়াসের দৃষ্টিতে তার জন্য তা জরুরী হয়ে যায়। তবে ইস্তিহসানের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলি যে এ ক্ষেত্রে বিক্রি, দান বা যে কোন চুক্তি বাতিল গণ্য হবে। অতএব তারা কিতাব (কুরআন), সুন্নাহ ব্যাতিরেকেই নিকটাত্মীয় ও আত্মীয়দের মধ্যে প্রভেদ করে নিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ ইবরাহীম (আঃ) তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে বলেছেন, ইনি আমার বোন। আর ওটি ছিল আল্লাহর ব্যাপারে (দীনের ভিত্তিতে)। নাখাঈ (র) বলেন, যে ব্যক্তি হলফ করায়, সে যদি অত্যাচারী হয় তা হলে হলফকারীর নিয়তই গ্রহণীয় হবে। আর যিদ সে মজলুম হয় তাহলে তার নিয়তই কার্যকর হবে।
  • ৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) ২৮ টি | ৬৪৮৩-৬৫১০ পর্যন্ত 79/ Tricks
  • ২৯১৪. কূটকৌশল পরিত্যাগ করা। এবং কসম ইত্যাদিতে যে যা নিয়ত করবে তা-ই তার ব্যাপারে প্রযোজ্য হবে
  • ২৯১৫. নামায
  • ২৯১৬. যাকাত এবং সদাকা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়
  • ২৯১৭. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৯১৮. ক্রয়-বিক্রয়ে যে কূটকৌশল অপছন্দনীয়। প্রয়োজনাতিরিক্ত ঘাস উৎপাদনে বাধা প্রদানের নিমিত্ত প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি সরবরাহে বাধা দেওয়া যাবে না
  • ২৯১৯. দালালী করা অশোভনীয় হওয়া প্রসঙ্গে
  • ২৯২০. ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকাবাজি নিষেধ হওয়া প্রসঙ্গে। আইয়ুব (রহঃ) বলেন, লোকেরা আল্লাহকে ধোঁকা দিতে চায়, যেন তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়। তারা যদি প্রকাশ্যে কাজটি করত তবে তা আমার নিকট অধিক সহজ মনে হত।
  • ২৯২১. অভিভাবকের পক্ষে বাঞ্ছিতা ইয়াতীম বালিকার পুরা মোহর না দেয়ার ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন করা হওয়া প্রসঙ্গে
  • ২৯২২. যদি কেউ কোন বাঁদী অপহরণ করার পর বলে, সে মারা গেছে এবং বিচারকও মৃত বাঁদীর মূল্যের ফয়সালা করে দেন। এরপর যদি সে বাঁদী মালিকের হস্তগত হয়ে যায়, তখন সে মালিকেরই হবে। তবে মালিক মূল্য ফেরত দেবে। এ মূল্য (বাঁদীর) দাম বলে গণ্য হবে না। কোন কোন মনিষী বলেন, বাঁদীটি অপহরণকারীরই থাকবে, কারণ মালিক মূল্য গ্রহণ করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে ঐ লোকের জন্য একটা কূটকৌশল অবলম্বনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেওয়া হল। যে লোকের কারো দাসী পছন্দ হয়, কিন্তু মালিক তা বিক্রয় করে না, তখন সে তা অপহরণ করে বাহানা করে বলল যে সে মরে গেছে, যাতে করে মালিক মূল্য গ্রহণ করে নেয়। আর অন্যের দাসী অপহরণকারীর জন্য হালাল হয়ে যায়।অথচ নবী (সাঃ) বলেনঃ একে অন্যের মাল হরণ করা তোমাদের জন্য হারাম। প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য ক্বিয়ামতের দিন একটা পতাকা থাকবে।
  • ২৯২৩. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৯২৪. বিয়ে
  • ২৯২৫. কোন মহিলার জন্য স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে কৌশল করা অপছন্দনীয় এবং এ ক্ষেত্রে নবী (সাঃ) এর ওপর যা নাযিল হয়েছে
  • ২৯২৬. প্লেগ মহামারী আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশল গ্রহণ করা নিষিদ্ধ
  • ২৯২৭. হেবা ও শুফ’আর ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন। কোন কোন মনিষী বলেন, কেউ কেউ কৌশল করে এক হাজার বা ততোধিক দিরহাম হেবা করে এবং তা কয়েক বছর গ্রহীতার কাছে থেকে যায় এবং এতে কৌশল করে। এরপর হেবাকারী যদি আবার তা ফেরত নিয়ে আসে, তাহলে তাদের উভয়ের কারো উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না। আবু আবদুল্লাহ(বুখারী) বলেনঃ তাহলে সে হেবার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিরুদ্ধাচরণ করল এবং যাকাত ফাঁকি দিল
  • ২৯২৮. বখশীশ পাওয়ার নিমিত্ত কর্মচারীর কৌশল অবলম্বন
  • ৮০/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান (كتاب التعبير) ৬১ টি | ৬৫১১-৬৫৭১ পর্যন্ত 80/ Interpretation of Dreams
  • ২৯২৯. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ওয়াহ্‌য়ীর সূচনা হয় ভালো স্বপ্নের মাধ্যমে
  • ২৯৩০. নেককার লোকদের স্বপ্ন এবং আল্লাহ্‌র বাণীঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর রাসুলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছেন ... এক সদ্য বিজয় পর্যন্ত (৪৮ঃ ২৭)
  • ২৯৩১. (রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বাণীঃ) ভাল স্বপ্ন আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে হয়
  • ২৯৩২. ভালো স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ
  • ২৯৩৩. সুসংবাদবাহী বিষয়াদি
  • ২৯৩৬. একাধিক লোকের অভিন্ন স্বপ্ন দেখা
  • ২৯৩৭. বন্দী, বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী ও মুশরিকদের স্বপ্ন। আল্লাহ বলেন, তাঁর সাথে দু'জন যুবক কারাগারে প্রবেশ করল ... যখন দূত তার কাছে উপস্থিত হলো, তখন সে বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে ফিরে যাও (১২ঃ ৩৬-৫০) পর্যন্ত। ادَّكَرَ এর আসল রূপ ذَكَرَ শব্দ থেকে ইয়াতাকারা। أُمَّةٍ অর্থ যুগ। أَمَهٍ ও পড়া যায়, অর্থ ভুলে যাওয়া। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, يَعْصِرُونَ আঙ্গুল ও তেল নিংড়িয়ে রস বের করবে। تَحْصِنُونَ তোমরা সংরক্ষন করবে।
  • ২৯৩৮. যে ব্যক্তি নবী (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখে
  • ২৯৩৯. রাত্রিকালীন স্বপ্ন। সামুরা (রাঃ) এ সম্পর্কে হাদিস বর্ণনা করেছেন
  • ২৯৪০. দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখা। ইবন আউন (রহঃ) ইবন সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, দিনের স্বপ্ন রাতের সপ্নের মত।
  • ২৯৪১. মহিলাদের স্বপ্ন
  • ২৯৪২. খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। যখন কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখে তখন যেন তার বাম দিকে থু থু নিক্ষেপ করে এবং আল্লাহ্‌র আশ্রয় চায়
  • ২৯৪৩. স্বপ্নে দুধ দেখা
  • ২৯৪৪. যখন স্বপ্নে নিজের চতুর্দিকে বা নখে দুধ প্রবাহিত হতে দেখা যায়
  • ২৯৪৫. স্বপ্নে জামা দেখা
  • ২৯৪৬. স্বপ্নে জামা হেঁচড়িয়ে চলা
  • ২৯৪৭. স্বপ্নের মধ্যে সবুজ রং ও সবুজ বাগিচা দেখা
  • ২৯৪৮. স্বপ্নে মহিলার নিকাব উন্মোচন
  • ২৯৪৯. স্বপ্নে রেশমি কাপড় দেখা
  • ২৯৫০. স্বপ্নে হাতে চাবি দেখা
  • ২৯৫১. স্বপ্নে হাতল অথবা আংটায় ঝুলা
  • ২৯৫৩. স্বপ্নে মোটা রেশমী কাপড় দেখা ও জান্নাতে প্রবেশ করতে দেখা
  • ২৯৫৪. স্বপ্নে বন্ধন দেখা
  • ২৯৫৫. স্বপ্নে প্রবাহিত ঝর্ণা দেখা
  • ২৯৫৬. স্বপ্নযোগে কূপ থেকে এমনভাবে পানি তুলতে দেখা যে লোকদের তৃষ্ণা নিবারণ হয়ে যায়। নবী (সাঃ) থেকে এ সম্পর্কীয় হাদীস আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন
  • ২৯৫৭. স্বপ্নে দুর্বলতার সাথে কূপ থেকে এক বা দু'বালতি পানি তুলতে দেখা
  • ২৯৫৮. স্বপ্নে বিশ্রাম করতে দেখা
  • ২৯৫৯. স্বপ্নে প্রাসাদ দেখা
  • ২৯৬০. স্বপ্নে ওযূ করতে দেখা
  • ২৯৬১. স্বপ্নে কা'বা গৃহ তাওয়াফ করা
  • ২৯৬২. স্বপ্নে নিজের বাকী পানীয় থেকে অন্যকে দেয়া
  • ২৯৬৪. স্বপ্নে ডান দিক গ্রহণ করতে দেখা
  • ২৯৬৫. স্বপ্নে পেয়ালা দেখা
  • ২৯৬৬. স্বপ্নে কোন কিছু উড়তে দেখা
  • ২৯৬৭. স্বপ্নে গরু যবেহ হতে দেখা
  • ২৯৬৮. স্বপ্নে ফুঁ দেওয়া
  • ২৯৬৯. কেউ স্বপ্নে দেখল যে, সে একদিক থেকে একটা জিনিস বের করে অন্যত্র রেখেছে
  • ২৯৭০. স্বপ্নে কালো মহিলা দেখা
  • ২৯৭১. স্বপ্নে এলোমেলো চুলবিশিষ্ট মহিলা দেখা
  • ২৯৭২. স্বপ্নে নিজেকে তরবারী নাড়াচাড়া করতে দেখা
  • ২৯৭৩. যে ব্যক্তি স্বীয় স্বপ্ন বর্ণনায় মিথ্যার আশ্রয় নিল
  • ২৯৭৪. স্বপ্নে স্পছন্দনীয় কোন কিছু দেখলে তা কারো কাছে না বলা এবং সে সম্পর্কে কোন আলোচনা না করা
  • ২৯৭৫. ভুল ব্যাখ্যাকারীর ব্যাখ্যাকে প্রথমেই চুড়ান্ত বলে মনে না করা
  • ২৯৭৬. ফজরের নামাযের পরে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয়া
  • ৮১/ ফিতনা (كتاب الفتن) ৮০ টি | ৬৫৭২-৬৬৫১ পর্যন্ত 81/ Afflictions And The End Of The Warld
  • ২৯৭৭. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তোমরা সেই ফিতনা সম্পর্কে সতর্ক হও যা তোমাদের কেবল জালিমদের উপরই আপতিত হবে না। এবং যা নবী (সাঃ) ফিতনা সম্পর্কে সতর্ক করতেন।
  • ২৯৭৮. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার পরে তোমরা এমন কিছু দেখতে পাবে, যা তোমরা পছন্দ করবে না। আবদুল্লাহ ইবন যায়িদ (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা ধৈর্য ধারণ কর যতক্ষণ না হাউযের পাড়ে আমার সঙ্গে মিলিত হও
  • ২৯৭৯. নবী (সা) এর বাণীঃ কতিপয় নির্বোধ বালকের হাতে আমার উম্মত ধ্বংস হবে।
  • ২৯৮০. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আরবরা অত্যাসন্ন এক দূর্যোগে হালাক হয়ে যাবে।
  • ২৯৮১. ফিতনার প্রকাশ
  • ২৯৮২. প্রতিটি যুগের চেয়ে পরবর্তী যুগ আরও নিকৃষ্টতর হবে।
  • ২৯৮৩. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ যে ব্যক্তি আমাদের উপর অস্ত্র উত্তোলন করবে সে আমাদের দলভূক্ত নয়
  • ২৯৮৪. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না
  • ২৯৮৫. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ ফিতনা ব্যাপক হারে হবে, তাতে দাঁড়ানো ব্যক্তির চাইতে উপবিষ্ট ব্যক্তি উত্তম হবে
  • ২৯৮৬. দু’জন মুসলিম তরবারী নিয়ে পরস্পরে মারমুখী হলে
  • ২৯৮৭. যথন জমাআত (মুসলিমরা সংঘবদ্ধ) থাকবে না তখন কি করতে হবে
  • ২৯৮৮. যে ফিত্‌নাবাজ ও জালিমদের দল ভারী করাকে অপছন্দনীয় মনে করে
  • ২৯৮৯. যখন মানুষের আবর্জনা (নিকৃষ্ট) অবশিষ্ট থাকবে
  • ২৯৯০. ফিতনার সময়ে বেদুঈন সুলভ জীবনযাপন করা বাঞ্ছনীয়
  • ২৯৯১. ফিত্‌না থেকে আশ্রয় প্রার্থনা
  • ২৯৯২. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ ফিতনা পূর্ব দিক থেকে শুরু হবে
  • ২৯৯৩. সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় ফিত্‌না তরঙ্গায়িত। ইব্‌ন উয়ায়না (রহঃ) খালফ্‌ ইব্‌ন হাওশাব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, পূর্ববর্তী লোকেরা নিম্নোক্ত কবিতার দ্বারা ফিত্‌নার উপমা পেশ করতে পছন্দ করতেন। যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থা যুবতীর মত, যে তার রূপ-লাবণ্য দিয়ে অপরিণামদর্শীর উদ্দেশ্যে ছুটাছুটি করে। কিন্তু যখন যুদ্ধের দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে এবং তার ফুল্‌কিগুলো হয় পূর্ব যৌবনা, তখন সে বৃদ্ধা বিধবার ন্যায় পালিয়ে যায়, যার চুল অধিকাংশই সাদা হয়ে গেঠে, রঙ হয়ে গেছে ফিকে ও পরিবর্তিত, যার ঘ্রাণ নিতে ও চুমু খেতে ঘৃণা লাগে
  • ২৯৯৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৯৯৫. যখন আল্লাহ্ কোন সম্প্রদায় এর উপর আযাব নাযিল করেন
  • ২৯৯৬. হাসান ইবন আলী (রাঃ) সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর উক্তিঃ অবশ্যই আমার এই পৌত্র সরদার। আর সম্ভবত মহান আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের (বিবাদমান) দু’টি দলের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করবেন
  • ২৯৯৭. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে পরে বেরিয়ে এসে বিপরীত বলে
  • ২৯৯৮. কবরবাসীদের প্রতি ঈর্ষা না জাগা পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না
  • ২৯৯৯. যামানার এমন পরিবর্তন হবে যে, পূনরায় মূর্তিপূজা শুরু হবে
  • ৩০০০. আগুন বের হওয়া। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত হবে আগুন, যা মানুষকে পূর্ব থেকে তাড়িয়ে নিয়ে পশ্চিমে সমবেত করবে
  • ৩০০১. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৩০০২. দাজ্জাল সংক্রান্ত আলোচনা
  • ৩০০৩. দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না
  • ৩০০৪. ইয়াজূজ ও মা'জূজ
  • ৮২/ আহকাম (كتاب الأحكام) ৮০ টি | ৬৬৫২-৬৭৩১ পর্যন্ত 82/ Judgements (Ahkaam)
  • ৩০০৫. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর, আনুগত্য করো রাসূলের এবং তাদের যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী (৪ঃ ৫৯)
  • ৩০০৬. আমীর কুরাইশদের থেকে হবে
  • ৩০০৭. হিকমাত (সঠিক জ্ঞান) এর সাথে বিচার ফায়সালাকারীর প্রতিদান। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ্ যা অবতীর্ন করেছেন, তদনুসারে যারা বিধান দেয়না তারা সত্যত্যাগী (৫ঃ ৪৭)
  • ৩০০৮. ইমামের আনুগত্য ও মান্যতা, যতক্ষন তা নাফরমানীর কাজ না হয়
  • ৩০০৯. যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না, তাকে মহান আল্লাহ্ তা’আলা সাহায্য করেন
  • ৩০১০. যে ব্যক্তি নেতৃত্ব চায়, তা তার উপরই ন্যস্ত করা হয়
  • ৩০১১. নেতৃত্বের লোভ অপছন্দনীয়
  • ৩০১২. জনগনের নেতৃত্ব লাভের পর তাদের কল্যান কামনা না করা
  • ৩০১৩. যে কঠোর ব্যাবহার করবে মহান আল্লাহ্ তা’আলাও তার প্রতি কঠোর ব্যাবহার করবেন
  • ৩০১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিচার করা, কিংবা ফাতওয়া দেওয়া। ইয়াহইয়া ইবন ইয়ামার (রহঃ) রাস্তায় বিচার কার্য করেছেন। শাবী (রঃ) তাঁর ঘরের দরজায় বিচার কার্য করেছেন
  • ৩০১৫. উল্লেখ আছে যে, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর কোন দারোয়ান ছিল না
  • ৩০১৬. বিচারক উপরস্থ শাসনকর্তার বিনা অনুমতিতেই হত্যাযোগ্য আসামীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে পারেন
  • ৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি
  • ৩০১৮. যে ব্যক্তি মনে করে যে, বিচারকের তার জ্ঞানের ভিত্তিতে লোকদের ব্যাপারে বিচার ফায়সালা করার অধিকার রয়েছে। যদি জনগনের কুধারনা ও অপবাদের ভয় তার না থাকে। যেমন রাসূলূল্লাহ (সাঃ) হিন্দা বিনত উতবাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার স্বামীর (আবু সুফিয়ানের) সম্পদ থেকে এতটুকু পরিমান গ্রহন কর, যতটুকু তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য যথেষ্ট হবে ন্যায় সঙ্গতভাবে। আর এটা হবে তখন, যখন বিষয়টি খুবই প্রসিদ্ধ
  • ৩০১৯. মোহরকৃত চিঠির ব্যাপারে সাক্ষ্য, এতে যা বৈধ ও সীমিত করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালকের চিঠি প্রশাসকদের কাছে এবং বিচারপতির চিঠি বিচারপতির কাছে। কোন কোন লোক বলেছেন, ‘হদ’ (শরীয়তের নির্ধারিত শাস্তি) ব্যতীত অন্যান্য ব্যাপারে রাষ্ট্র পরিচালককে চিঠি দেওয়া বৈধ। এরপর তিনি বলেছেন, হত্যা যদি ভুলবশত হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালকের চিঠি বৈধ। কেননা, তাঁর মতে এটি মাল সংক্রান্ত বিষয়। অথচ এটি মাল সংক্রান্ত বিষয় বলে ঐ সময় প্রতীয়মান হবে, যখন হত্যা প্রমানিত হবে। ভুলবশত হত্যা ও ইচ্ছাকৃত হত্যা একই। উমর (রাঃ) তাঁর কর্মকর্তার নিকট জারুদের উথ্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি লিখেছিলেন। উমর ইবন আবদুল আজিজ (রঃ) ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন। ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, লেখা ও মোহর যদি চিনতে পারেন, তাহলে বিচারপতির কাছে অন্য বিচারপতির চিঠি লেখা বৈধ। শাবী, বিচারপতির পক্ষ থেকে মোহরকৃত চিঠি বৈধ মনে করতেন। ইবন উমর (রাঃ) থেকেও অনুরুপ বর্নিত। মুয়াবিয়া ইবন আবদুল কারীম সাকাফী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আনাস, বিলাল ইবন আবু বুরদা, আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা, আসলামী, আমের ইবন আবীদা ও আব্বাদ ইবন মানসুরকে প্রত্যক্ষ করেছি, তাঁরা সকলেই সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে বিচারপতিদের চিঠি বৈধ মনে করতেন। চিঠিতে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতো সে যদি একে মিথ্যা বা জাল বলে দাবি করত, তাহলে তাকে বলা হতো যাও, এ অভিযোগ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষন কর। সর্বপ্রথম যারা বিচারপতির চিঠির ব্যাপারে প্রমান দাবি করেছেন তারা হলেন, ইবন আবু লায়লা এবং সাওয়ার ইবন আবদুল্লাহ্। আবু নু’আয়ম (রঃ) আমাদের বলেছেন, ‍উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহরেয আমাদের কাছে বর্ননা করেছেন যে, “আমি বসরার বিচারপতি মূসা ইবন আনাসের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে আসলাম। সেখানে আমি তাঁর নিকট এ মর্মে প্রমান পেশ করলাম যে, অমুকের নিকট আমার এতো এতো পাওনা আছে, আর সে কুফায় অবস্থানরত। এ চিঠি নিয়ে আমি কাসেম ইবন আবদুর রহমানের কাছে আসলাম, তিনি তা কার্যকর করলেন। হাসান ও আবু কেলাবা অসিয়্যতনামায় কি লেখা আছে তা না জেনে তার সাক্ষী হওয়াকে মাকরুহ মনে করতেন। কেননা, সে জানেনা, হয়তো এতে কারো প্রতি অবিচার করা হয়েছে। রাসূলূল্লাহ (সাঃ) খায়বারবাসীদের প্রতি চিঠি লিখেছিলেন যে, হয় তোমরা তোমাদের সাথীর ‘দিয়ত’ (রক্তপণ) আদায় কর, না হয় যুদ্ধের ঘোষনা গ্রহন কর। পর্দার অন্তরাল থেকে মহিলাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া সম্পর্কে ইমাম ‍যুহরী বলেন, যদি তুমি তাকে চিনতে পার তাহলে তার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে, তা না হলে সাক্ষ্য দেবে না।
  • ৩০২১. প্রশাসক ও প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভাতা। বিচারপতি শুরায়হ্ (রঃ) বিচার কার্যের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহন করতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, (ইয়াতীমের) তত্ত্বাবধানকারী সম্পদ থেকে তার পারিশ্রমিকের সমপরিমান খেতে পারবেন। আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) (রাষ্ট্রীয় ভাতা) ভোগ করেছেন।
  • ৩০২২. যে ব্যক্তি মসজিদে বসে বিচার করে ও লি’আন করে। উমর (রাঃ) রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর মিম্বরের সন্নিকটে লি’আন করিয়েছেন। মারওয়ান যায়িদ ইবন সাবিত (রাঃ) এর ‍উপর রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর মিম্বরের কাছে কসম করার রায় দিয়েছিলেন। শুরায়হ্, শাবী, ইয়াহইয়া ইবন ইয়ামার মসজিদে বিচার করেছেন। হাসান ও যুরারাহ্ ইবন আওফা (রঃ) মসজিদের বাইরের চত্বরে বিচার করতেন।
  • ৩০২৩. যে ব্যক্তি মসজিদে বিচার করে। পরিশেষে যখন ‘হদ’ কার্যকর করার সময় হয়, তখন দন্ডপ্রাপ্তকে মসজিদ থেকে বের করে হদ্ কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। উমর (রাঃ) বলেন, তোমরা দু’জন একে মসজিদ থেকে বাইরে নিয়ে যাও। আলী (রাঃ) থেকেও এরুপ বর্ননা পাওয়া যায়।
  • ৩০২৪. বিচারকের বিবাদমান পক্ষকে উপদেশ দেয়া
  • ৩০২৫. বিচারক নিজে বিবাদের সাক্ষী হলে, চাই তা বিচারকের পদে সমাসীন থাকাকালেই হোক কিংবা তার পূর্বে। বিচারক শুরায়হকে এক ব্যক্তি তার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করলে তিনি বললেন, তুমি শাসকের কাছে যাও, সেখানে আমি তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দিব। ইকরামা (রহঃ) বলেন যে, উমর (রাঃ) আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ) কে বললেন, যদি তুমি শাসক হও, আর তুমি নিজে কোন ব্যক্তিকে হদের কাজ ‍যিনা বা চুরিতে লিপ্ত দেখ (তাহলে তুমি কি করবে?) উত্তরে তিনি বললেন (আপনি শাসক হওয়া সত্ত্বেও) আপনার সাক্ষ্য একজন সাধারন মুসলিমের সাক্ষ্যের মতোই। তিনি [উমর (রাঃ)] বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ। উমর (রাঃ) বলেন, যদি মানুষ এরূপ বলবে বলে আশংকা না হতো যে, উমর আল্লাহর কিতাবে নিজের পক্ষ থেকে বৃদ্ধি করেছে, তাহলে আমি নিজ হাতে রজমের আয়াত লিখে দিতাম। মায়েয রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর কাছে চারবার যিনার কথা স্বীকার করেছিলেন, তখন তাকে রজম করার নির্দেশ দেন। আর এরূপ বর্ননা পাওয়া যায়না যে, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) উপস্থিত ব্যক্তিদের থেকে সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন। হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, বিচারকের নিকট কেউ একবার স্বীকার করলে তাকে রজম করা হবে। আর হাকাম (রহঃ) বলেন, চারবার স্বীকার করতে হবে
  • ৩০২৬. দু’জন আমীরের প্রতি শাসনকর্তার নির্দেশ, যখন তাদের কোন স্থানের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়, যেন তারা পরস্পরকে মেনে চলে, বিরোধিতা না করে
  • ৩০২৭. প্রশাসকের দাওয়াত কবুল করা। উসমান (রাঃ), মুগীরা ইবন শুবা (রাঃ) এর গোলামের দাওয়াত কবুল করেছিলেন।
  • ৩০২৮. কর্মকর্তাদের হাদিয়া গ্রহন করা
  • ৩০২৯. আযাদকৃত ক্রীতদাসকে বিচারক কিংবা প্রশাসক নিযুক্ত করা
  • ৩০৩০. লোকের জন্য প্রতিনিধি থাকা
  • ৩০৩১. শাসকের প্রশংসা করা এবং তার নিকট থেকে বেরিয়ে এলে তার বিপরীত কিছু বলা নিন্দনীয়
  • ৩০৩২. অনুপস্থিত ব্যক্তির বিচার
  • ৩০৩৩. যার জন্য বিচারক, তার ভাই এর হক (প্রাপ্য) প্রদান করে, সে যেন তা গ্রহন না করে। কেননা, বিচারকের ফায়সালা হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করতে পারেনা
  • ৩০৩৪. কুয়া ইত্যাদি সংক্রান্ত বিচার
  • ৩০৩৫. মাল অল্প হোক আর অধিক, এর বিচার একই। ইবন উয়ায়না ইবন শুবরুমা এর সূত্রে বলেন যে, অল্প সম্পদ ও অধিক সম্পদের বিচারের বিধান একই
  • ৩০৩৬. ইমাম কর্তৃক লোকের মাল ও ভূসম্পদ বিক্রি করা। রাসূলূল্লাহ (সাঃ) নুআয়ম ইবন নাহহামের পক্ষে বিক্রি করেছেন
  • ৩০৩৭. না জেনে যে ব্যক্তি আমীরের সমালোচনা করে, তার সমালোচনা গ্রহনযোগ্য নয়
  • ৩০৩৮. অত্যন্ত ঝগড়াটে সে, যে সর্বক্ষন ঝগড়ায় লিপ্ত থাকে। لُدًّا عُوجًا অর্থাৎ বক্রতা।
  • ৩০৩৯. বিচারক যদি রায় প্রদানের ক্ষেত্রে অবিচার করেন কিংবা আহলে ইলমের মতামতের উল্টো ফায়সালা প্রদান করেন তাহলে তা গ্রহনযোগ্য নয়
  • ৩০৪০. ইমামের কোন গোত্রের কাছে গিয়ে তাদের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দেওয়া
  • ৩০৪১. লিপিবদ্ধকারীকে আমানতদার ও বুদ্ধিমান হওয়া বাঞ্ছনীয়
  • ৩০৪২. শাসকের পত্র কর্মকর্তাদের প্রতি এবং বিচারকের পত্র সচিবদের প্রতি
  • ৩০৪৩. কোন বিষয়ের তদন্ত করার জন্য প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন মাত্র লোককে পাঠানো বৈধ কিনা?
  • ৩০৪৪. প্রশাসকদের দোভাষী নিয়োগ করা এবং একজন মাত্র দোভাষী নিয়োগ বৈধ কিনা? খারিজা ইবন যায়িদ ইবন সাবিত (রঃ) ..... যায়িদ ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) তাকে ইহুদীদের লিখন পদ্ধতি শিক্ষা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যার ফলে আমি রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর পক্ষ থেকে তাঁর চিঠিপত্র লিখতাম এবং তারা কোন চিঠিপত্র লিখলে তা তাকে পাঠ করে শোনাতাম্। উমর (রাঃ) বললেন, তখন তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন আলী, আবদুর রহমান ও উসমান (রাঃ)। এই স্ত্রীলোকটি কি বলছে? আবদুর রহমান ইবন হাতিব বলেন, আমি বললাম, স্ত্রীলোকটি তার এক সঙ্গী সম্পর্কে আপনার নিকট অভিযোগ করছে যে, সে তার সাথে অপকর্ম করেছে। আবু জামরা বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) ও লোকদের মধ্যে দোভাষীর কাজ করতাম। আর কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক প্রশাসকের জন্য দু’জন করে দোভাষী থাকা অত্যাবশ্যকীয়
  • ৩০৪৫. শাসনকর্তা (কর্তৃক) কর্মচারীদের জবাবদিহি নেওয়া
  • ৩০৪৬. রাষ্ট্রপ্রধানের একান্ত ব্যক্তি ও পরামর্শদাতা। بِطَانَةُ শব্দটি دخلاء এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে (অর্থাৎ, ‍যিনি একান্তে বসে রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে কথোপকথন করেন এবং তাঁর অজ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে তাঁকে অবগত করেন এবং তিনিও গোপন কথা তাকে বলেন ও বিশ্বাস করেন)
  • ৩০৪৭. রাষ্ট্রপ্রধান কিভাবে জনগনের কাছ থেকে বায়’আত গ্রহন করবেন
  • ৩০৪৮. যে ব্যক্তি দু’বার বায়আত গ্রহন করে
  • ৩০৪৯. বেদুঈনদের বায়আত গ্রহন
  • ৩০৫০. বালকদের বায়আত গ্রহন
  • ৩০৫১. কারো হাতে বায়আত গ্রহন করার পর অত:পর তা প্রত্যাহার করা
  • ৩০৫২. কেবলমাত্র দুনিয়ার স্বার্থে কারো বায়’আত গ্রহন করা
  • ৩০৫৩. স্ত্রীলোকদের বায়’আত গ্রহন। এ বিষয়টি ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে
  • ৩০৫৪. যে ব্যক্তি বায়’আত ভঙ্গ করে। মহান আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যারা তোমার বায়’আত গ্রহন করে তারাও মহান আল্লাহরই বায়’আত গ্রহন করে....... (৪৮ঃ ১০)
  • ৩০৫৫. খলীফা বানানো
  • ৩০৫৬. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৩০৫৭. বিবাদমান সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে জ্ঞান লাভ করার পর তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া। আবু বকর (রাঃ) এর বোনকে মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপ করার কারনে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন
  • ৩০৫৮. শাসক আসামী ও অপরাধীদেরকে তার সাথে কথা বলা, দেখা-সাক্ষাৎ ইত্যাদি থেকে বারন করতে পারবেন কিনা?
  • ৮৩/ আকাঙ্ক্ষা (كتاب التمنى) ২০ টি | ৬৭৩২-৬৭৫১ পর্যন্ত 83/ Wishes
  • ৩০৫৯. আকাঙ্ক্ষা করা এবং ‍যিনি শাহাদাত প্রত্যাশা করেন
  • ৩০৬০. কল্যানের প্রত্যাশা করা। রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর বাণীঃ যদি ওহুদ পাহাড় আমার জন্য স্বর্নে পরিনত হতো
  • ৩০৬১. রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর বাণীঃ কোন কাজ সম্পর্কে যা পরে জানতে পেরেছি, তা যদি আগে জানতে পারতাম
  • ৩০৬২. রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর বাণীঃ যদি এরূপ এরূপ হতো
  • ৩০৬৩. কুরআন (অধ্যয়ন) ও ইলম (জ্ঞানার্জনের) আকাঙ্ক্ষা করা
  • ৩০৬৪. যে বিষয়ে আকাঙ্ক্ষা করা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ যা দ্বারা মহান আল্লাহ্ তোমাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লালসা করোনা....... (৪ঃ ৩২)
  • ৩০৬৫. কারোর উক্তি: যদি মহান আল্লাহ্ তা’আলা না করতেন, তাহলে আমরা কেউ হেদায়েত লাভ করতাম না
  • ৩০৬৬. শত্রুর মুখোমুখী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা নিষিদ্ধ। এ মর্মে আরাজ (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসূলূল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
  • ৩০৬৭. لَوْ ‘যদি’ শব্দটা বলা কতখানি বৈধ। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকত (১১ঃ ৮০)
  • ৮৪/ খবরে ওয়াহিদ (كتاب أخبار الآحاد) ২০ টি | ৬৭৫২-৬৭৭১ পর্যন্ত 84/ Accepting Information Given By A Truthful Person
  • ৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা, ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয় গ্রহণযোগ্য। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ বহির্গত হয় না কেন? যাতে তারা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞানানুশীলন করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে, যখন তারা তাদের নিকট ফিরে আসবে, যাতে তারা সতর্ক হয় (৯ঃ ১২২)। طَائِفَة শব্দটি এক ব্যক্তিকেও বলা যায়। কেননা আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ মু’মিনদের দুই দল দ্বন্দে লিপ্ত হলে ... (৪৯ঃ ৯) অতএব যদি দুই ব্যক্তি দ্বন্দে লিপ্ত হয় তবে তা এ আয়াতের অর্থের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যদি কোন পাপাচারী তোমাদের কাছে কোন বার্তা আনয়ন করে তোমরা তা পরিক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না করে ... (৪৯ঃ ৬)। নবী (সাঃ) কিরূপে তার আমীরদের পর্যায়ক্রমে একজনের পর একজনকে পাঠাতেন – যেন তাদের কেউ ভুল করলে তাকে সুন্নাতের দিকে ফিরিয়ে আনা হয়।
  • ৩০৬৯. নবী (সাঃ) একা যুবায়র (রা.)-কে শত্রুপক্ষের সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রেরণ করেছিলেন।
  • ৩০৭০. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর গৃহে প্রবেশ করো না, যদি না তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়। ...... (২৪ঃ ২৭) যদি একজন তাকে অনুমতি দেয় তাহলে প্রবেশ করা বৈধ
  • ৩০৭১. নবী (সাঃ) আমীর ও দূতদেরকে পর্যায়ক্রমে একজনের পর একজন করে পাঠাতেন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) দাহইয়া কালবী (রাঃ) কে তাঁর চিঠি দিয়ে বসরার গভর্নরের নিকট পাঠিয়েছিলেন, যেন সে তা (রোম সম্রাট) কায়সারের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়
  • ৩০৭২. আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলের প্রতি নবী (সাঃ) এর ওসিয়ত ছিল, যেন তারা (তাঁর কথাগুলো) তাদের পরবর্তী লোকদের পৌঁছিয়ে দেয়। এ বিষয়টি মালিক ইবন হুওয়ারিস থেকে বর্ণিত
  • ৩০৭৩. একজন মাত্র মহিলা প্রদত্ত খবর
  • ৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) ৯৬ টি | ৬৭৭২-৬৮৬৭ পর্যন্ত 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah
  • ৩০৭৪. কিতাব (কুরআন) ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা
  • ৩০৭৫. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমি ‘জাওয়ামিউল কালিম’ (ব্যাপক মর্মজ্ঞাপক সংক্ষিপ্ত বাক্য) সহ প্রেরিত হয়েছি
  • ৩০৭৬. নবী (সাঃ) এর সুন্নাতের অনুসরণ বাঞ্জনীয়। আর আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য আদর্শস্বরূপ কর (২৫ঃ ৭৪)। জনৈক বর্ণনাকারী বলেছেন, এরূপ ইমাম যে আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করব, আর আমাদের পরবর্তীরা আমাদের অনুসরণ করবে। ইবন আউন বলেন, তিনটি জিনিস আমি আমার নিজের জন্য ও আমার ভাইদের জন্য পছন্দ করি। (তার একটি হল) এই সুন্নাত, যা শিখবে এবং জানবার জন্য এর সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। (দ্বিতীয়টি হল) কুরআন যা তারা ভালভাবে বুঝতে চেষ্টা করবে এবং জানবার জন্য এর সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। এবং কল্যাণ ব্যতীত লোকদের থেকে পৃথব থাকবে (অর্থাৎ কল্যাণের প্রতি আহবান করবে)
  • ৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয় এবং আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)
  • ৩০৭৮. নবী (সাঃ) এর কাজকর্মের অনুসরণ
  • ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।
  • ৩০৮০. বিদআত এর প্রবর্তকদের আশ্রয়দানকারীর অপরাধ। আলী (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন
  • ৩০৮১. মনগড়া মত ও ভিত্তিহীন কিয়াস নিন্দনীয়। আর আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার অনুসরণ করো না....... (১৭ঃ ৩৬)
  • ৩০৮২. ওহী অবতীর্ণ হয়নি এমন কোন বিষয়ে নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতেনঃ আমি জানি না কিংবা সে ব্যাপারে ওহী অবতীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন জবাব দিতেন না এবং তিনি ব্যক্তিগত মতের উপর ভিত্তি করে কিংবা অনুমান করে কিছু বলতেন না। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ্‌ আপনাকে যা কিছু জানিয়ে দিয়েছেন তার দ্বারা (ফয়সালা করুন)। ইব্ন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) কে রূহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ওহী অবতীর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ ছিলেন
  • ৩০৮৩. নবী (সাঃ) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাঁর উম্মতদেরকে সে বিষয়েরই শিক্ষা দিতেন, যা আল্লাহ্‌ তাঁকে শিখিয়ে দিতেন, ব্যক্তিগত মত বা দৃষ্টান্তের উপর ভিত্তি করে নয়
  • ৩০৮৪. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার উম্মতের মাঝে এক জামাআত সর্বদাই হকের উপর বিজয়ী থাকবেন। আর তারা হলেন আহলে ইল্ম (দীনি ইল্মে বিশেষজ্ঞ)
  • ৩০৮৫. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করতে ......... (৬ঃ ৬৫)
  • ৩০৮৬. কোন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্নকারীকে সুষ্পষ্টরূপে বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে (আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে) সুষ্পষ্ট হুকুম বর্ণিত আছে এরূপ কোন বিষয়ের সাথে অন্য আর একটি বিষয়ের নিয়ম মোতাবেক তুলনা করা
  • ৩০৮৭. আল্লাহ্‌ তা’আলা যা অবতীর্ণ করেছেন, তার আলোকে ফায়সালার মধ্যে ইজতিহাদ করা। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ্‌ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই যালিম ...... (৫ঃ ৪৫)। যারা হিকমতের সাথে বিচার করে ও হেকমতের তালীম দেন এবং মনগড়া কোন ফায়সালা করেন না, (এরূপ হিকমতের অধিকারী ব্যক্তির) নবী (সাঃ) প্রশংসা করেছেন। খলীফাদের সাথে পরামর্শ করা এবং বিচারকদের আহলে ইলমদের কাছে জিজ্ঞাসা করা
  • ৩০৮৮. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণের অনুকরণ করতে থাকবে
  • ৩০৮৯. গোমরাহীর দিকে আহবান করা অথবা কোন খারাপ তরীকা প্রবর্তনের অপরাধ। কারণ আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ এবং পাপভার তাদেরও যাদের তারা অজ্ঞতাহেতু বিভ্রান্ত করেছে...... (১৬ঃ ২৫)
  • ৩০৯০. নবী (সাঃ) যা বলেছেন এবং আলেমদেরকে ঐক্যের প্রতি যে উৎসাহ প্রদান করেছেন। আর যেসব বিষয়ে হারামাঈন মক্কা ও মদীনার আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। মদীনায় নবী করীম (সাঃ) মুহাজির ও আনসারদের স্মৃতিচিহ্ন এবং নবী (সাঃ) এর নামাযের স্থান, মিন্বর ও কবর সম্পর্কে
  • ৩০৯১. মহান আল্লাহর বাণীঃ (হে আমার হাবীব!) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের দায়িত্ব আপনার নয়
  • ৩০৯২. মহান আল্লাহর বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় (১৮ঃ ৫৪)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না.......... (২৯ঃ ৪৬)
  • ৩০৯৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবে। (২ঃ ১৪৩) নবী (সাঃ) জামায়াতকে আঁকড়ে ধরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আর জামাআত বলতে আলেমদের জামাআতকেই বলা হয়েছে
  • ৩০৯৪. কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা বিচারক অজ্ঞতাবশত ইজ্তিহাদে ভূল করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মতের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিলে তা অগ্রাহ্য হবে। কেননা, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন কাজ করে, যার আমি নির্দেশ করিনি তা অগ্রাহ্য
  • ৩০৯৫. বিচারক ইজতিহাদে সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও তার প্রতিদান রয়েছে।
  • ৩০৯৬. প্রমান তাদের উক্তির বিরুদ্ধে, যারা বলে নবী (সাঃ) এর সব কাজই সুষ্পষ্ট ছিল। কোন কোন সাহাবী নবী (সাঃ) এর দরবার থেকে অনুপস্থিত থাকা যে স্বাভাবিক ছিল যদ্দরুন তাঁদের জন্য ইসলামের বিধিবিধান থেকে লাওয়াকিফ থাকাও স্বাভাবিক ছিল এর প্রমান
  • ৩০৯৭. কোন বিষয় নবী (সাঃ) কর্তৃক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন না করাই তা বৈধ হওয়ার প্রমাণ। অন্য কারো অস্বীকৃতি বৈধতার প্রমান নয়
  • ৩০৯৮. দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। দলীল প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়? নবী (সাঃ) ঘোড়া ইত্যাদির হুকুম বলে দিয়েছেন। এরপর তাঁকে গাধার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর দিকে ইশারা করেনঃ কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে (৯৯ঃ ৭)। নবী (সাঃ) কে ‘দব্ব’ (গুঁইসাপ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ আমি এটি খাই না, তবে হারামও বলি না। নবী (সাঃ) এর দস্তরখানে ('দব্ব’ খাওয়া হয়েছে। এর দ্বারা ইবন আব্বাস (রাঃ) প্রমাণ করেছেন যে, ‘দব্ব’ হারাম নয়
  • ৩০৯৯. রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর বাণীঃ আহলে কিতাবদের কাছে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করো না। আবুল ইয়ামান (রহঃ) বলেন, শুয়াইব (রহঃ), ইমাম যুহরী (রহঃ) হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মু’আবিয়া (রাঃ) কে মদীনায় বসবাসরত কুরায়শ বংশীয় কতিপয় লোককে আলাপ-আলোচনা করতে শুনেছেন। তখন কা’ব আহযাবের কথা এসে যায়। মু’আবিয়া (রাঃ) বললেন, যারা পূর্ববর্তী কিতাব সম্পর্কে আলোচনা করেন, তাদের মধ্যে তিনি অধিকতর সত্যবাদী, যদিও বর্ণিত বিষয়সমূহ ভিত্তিহীন
  • ৩১০০. নবী (সাঃ) এর নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীলের দ্বারা যা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত তা ব্যতীত। অনুরূপ তাঁর নির্দেশ দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীল দ্বারা তা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা। যেমন নবী (সাঃ) এর বাণীঃ যখন তোমরা হালাল (ইহরাম থেকে) হয়ে যাও, নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে। জাবির (রাঃ) বলেন, এ কাজ তাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়নি। বরং তাদের জন্য (স্ত্রী ব্যবহার) হালাল করা হয়েছে। উম্মে আতীয়্যা (রাঃ) বলেছেন, আমাদেরকে (মহিলাদের) জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আমাদের উপর বাধ্যতামূলক নয়
  • ৩১০১. মতবিরোধ অপছন্দীয়
  • ৩১০২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে। (৪০ঃ ৩৮) এবং পরামর্শ করো তাঁদের সাথে (দীনী) কর্মের ব্যাপারে। পরামর্শ হলো স্থির সিদ্ধান্ত ও লক্ষ্য নির্ধারণের পূর্বে। যেমন, মহান আল্লাহর বাণীঃ এরপর যখন তুমি দৃঢ়সংকল্প হও, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন কোন বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প হন, তখন আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের মতের পরিপন্থী অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন অধিকার থাকে না। ওহুদের যুদ্ধের দিনে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের সাথে এ পরামর্শ করেন যে, যুদ্ধ কি মদীনায় অবস্থান করেই চালাবেন, না বাইরে গিয়ে? সাহাবাগণ মদীনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করাকে রায় দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যুদ্ধের পোশাক পরিধান করলেন এবং যখন যুদ্ধের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন, তখন সাহাবাগণ আরয করলেন, মদীনায়ই অবস্থান করুন। কিন্তু তিনি দৃঢ়সংকল্প হওয়ার পর তাঁদের এই মতামতের প্রতি ভ্রক্ষেপ করলেন না। তিনি মন্তব্য করলেনঃ কোন নবীর সামরিক পোশাক পরিধান করার পর আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তা খুলে ফেলা সমীচীন নয়। তিনি আলী (রাঃ) ও উসামা (রাঃ) এর সাথে আয়েশার উপর যিনার মিথ্যা অপবাদ লাগানোর ব্যাপারে পরামর্শ করেন। তাদের কথা তিনি শোনেন। এরপর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়। মিথ্যা অপবাদকারীদেরকে তিনি বেত্রাঘাত করেন। তাঁদের পরস্পর মতান্তরের দিকে লক্ষ্য না করে আল্লাহর নির্দেশানুসারেই সিদ্ধান্ত নেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর পরে ইমামগণ মুবাহ্ বিষয়াদিতে বিশ্বস্ত আলেমদের কাছে পরামর্শ চাইতেন, যেন তুলনামূলক সহজ পথ তারা গ্রহন করতে পারেন। হ্যাঁ, যদি কিতাব কিংবা সুন্নাহতে আলোচ্য বিষয়ে কোন পরিষ্কার ব্যাখ্যা পাওয়া যেত, তখন তারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কথারই অনুসরণ করতেন, অন্য কারো কথার প্রতি ভ্রক্ষেপ করতেন না। (নবী (সাঃ) এর অনুসরণেই) যাকাত যারা বন্ধ করে দিয়েছিল, আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলেন। উমর (রাঃ) তখন বললেন, আপনি কিভাবে লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ আমি এতক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা বলবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’। তারা যখন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলবে তখন তারা আমার কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা লাভ করবে। তবে ইসলামের হকের ব্যাপার ভিন্নতর। আর সে ব্যাপারে তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর উপর। আবু বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবশ্যই করব, যারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর সুসংহত বিষয়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে। পরিশেষে উমর (রাঃ) তাঁর সিদ্ধান্তই মেনে নিলেন। আবু বকর (রাঃ) এ ব্যাপারে (কারো সাথে) পরামর্শ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। কেননা, যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে এবং ইসলাম এর নির্দেশাবলী পরিবর্তন ও বিকৃতি সাধনের অপচেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সিদ্ধান্ত তাঁর সামনে বিদ্যমান ছিল। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের দীনকে পরিবর্তন করে তাকে হত্যা কর। উমর (রাঃ) এর পরামর্শ পরিষদের সদস্যগণ কুরআন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। চাই তারা বয়োবৃদ্ধ হোক কিংবা যুবক। আল্লাহর কিতাবের (সিদ্ধান্তের) প্রতি উমর (রাঃ) ছিলেন অধিক অবহিত
  • ৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) ১৮৬ টি | ৬৮৬৮-৭০৫৩ পর্যন্ত 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)
  • ৩১০৩. মহান আল্লাহ্‌ তা’আলার তাওহীদের প্রতি উম্মতকে নবী (সাঃ) এর দাওয়াত
  • ৩১০৪. আপনি বলে দিন, তোমরা আল্লাহ্‌ নামে আহবান কর বা রাহমান নামে আহবান কর। তোমরা যেই নামেই আহবান কর সকল সুন্দর নামই তাঁর (১৭ঃ ১১০)
  • ৩১০৫. আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তো রিযিক দান করেন এবং তিনি প্রবল, পরাক্রান্ত। (৫১ঃ ৫৮)
  • ৩১০৬. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না। (৭২ঃ ২৬)। (মহান আল্লাহর বাণী) কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে (৩১ঃ ৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে অবতীর্ণ করেছেন (৪ঃ ১৬৬)। কোন নারী তার গর্ভে কি ধারণ করবে এবং কখন তা প্রসব করবে তা তাঁর জানা আছে। কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র হাতেই ন্যস্ত। আবূ আবদুল্লাহ্ [(বুখারী (রহঃ)] বলেন, ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেছেন, মহান আল্লাহ্‌ জ্ঞানের আলোকে সমস্ত সৃষ্টির উপর প্রকাশমান, আবার তিনি জ্ঞানের আলোকে সবকিছুতেই পরিলুপ্ত
  • ৩১০৭. আল্লাহর বাণীঃ তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক
  • ৩১০৮. আল্লাহ্‌র বাণীঃ মানুষের অধিপতি (১১৪ঃ ২) এ বিষয়ে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
  • ৩১০৯. আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫৯ঃ ২৪)। (তারা যা আরোপ করে তা থেকে) পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইজ্জতের অধিকারী প্রতিপালক। ইজ্জত তো আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূলেরই। (৬৩ঃ ৮) কেউ যদি আল্লাহ্‌র ইজ্জত ও সিফাতের হলফ করে (তার হুকুম কি হবে)? আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সা) বলেছেনঃ জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ্‌! তোমার ইজ্জতের কসম, যথেষ্ট হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিটি অবস্থান করবে জাহান্নাম ও জান্নাতের মধ্যখানে। তখন সে (আর্তনাদ করে) বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমার চেহারাখানি জাহান্নাম থেকে ফিরে (একটু জান্নাতের দিকে করে) দিন। আপনার ইজ্জতের কসম। আপনার কাছে এ ছাড়া আমি আর কিছুই চাইব না। আবূ সাঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা (ঐ ব্যক্তিকে) বলবেন, তোমাকে তা প্রদান করা হল এবং এর সাথে আরো দশগুণ অধিক দেওয়া হল। নবী আইউব (আঃ) দোয়া করেছেনঃ হে আল্লাহ্‌! আপনার ইজ্জতের কসম! আমি আপনার বরকতের সুষমা থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী মনে করি না
  • ৩১১০. আল্লাহ্‌র বাণীঃ এবং তিনিই সে সত্তা, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাবিধি
  • ৩১১১. আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা (৫৮ঃ ১), আমাশ তামীম, উরওয়া (রহঃ), আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ্‌র, যার শ্রবনশক্তি শব্দরাজিকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। এরই পরে আল্লাহ্‌ তা’আলা নবী (সাঃ) এর উপর নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন। হে রাসূল! আল্লাহ্‌ শুনেছেন সেই নারীর কথা, তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে। (৫৮ঃ ১)
  • ৩১১২. আল্লাহ্‌র বাণীঃ আপনি বলে দিন, তিনিই প্রকৃত শক্তিশালী
  • ৩১১৩. আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমিও তাদের অন্তরসমূহ ও নয়নগুলোতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করব
  • ৩১১৪. আল্লাহ্‌ তা’আলার একশত থেকে এক কম (নিরানব্বইটি) নাম রয়েছে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ ذُو الْجَلاَلِ এর অর্থ মহানত্বের অধিকারী, الْبَرُّ এর অর্থ দয়ালু
  • ৩১১৫. আল্লাহ্‌ তা‘আলার নামসমূহের মাধ্যমে প্রার্থনা করা ও পানাহ চাওয়া
  • ৩১১৬. আল্লাহ্‌ তা‘আলার মূল সত্তা, গুনাবলি ও নামসমূহের বর্ণনা। খুবায়ব (রাঃ) বলেছিলেন, وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ (এবং ওটি আল্লাহ্‌র সত্তার স্বার্থে) আর তিনি মূল সত্তাকে তাঁর নামের সাথে সংযোজন করে বলেছিলেন
  • ৩১১৭. আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন (৩ঃ ২৮)। আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমার অন্তরের কথা তো আপনি অবগত আছেন, কিন্তু আপনার অন্তরের কথা আমি অবগত নই ( ৫ঃ ১১৬)
  • ৩১১৮. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌র সত্তা ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল (২৮ঃ ৮৮)
  • ৩১১৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাতে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হও (২০ঃ ৩৯)। মহান আল্লাহর বাণীঃ যা চলত আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে (৫৪ঃ ১৪)
  • ৩১২০. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনিই আল্লাহ্‌ সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা (৫৯ঃ ২৪)
  • ৩১২১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি
  • ৩১২২. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আল্লাহ্‌ অপেক্ষা বেশি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কেউই নয়
  • ৩১২৩. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ বল, সাক্ষ্য প্রদানে সর্বশ্রেষ্ঠ কে? বল, আল্লাহ্‌। এখানে আল্লাহ্‌ তা‘আলা নিজেকে ‘শাইউন’ (বস্তু) বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার নবী (সাঃ) কুরআনকে বস্তু আখ্যায়িত করেছেন। অথচ এটি আল্লাহ্‌র গুণাবলির মধ্যে একটি গুন। মহান আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংসশীল
  • ৩১২৪. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ এর মমার্থ হচ্ছে আসমানকে উড্ডীন করেছেন। فَسَوَّاهُنَّ এর মর্মার্থ হচ্ছে, তিনি আসমানরাজিকে সৃষ্টি করেছেন। মুজাহিদ (র) বলেছেন, اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ এর মর্মাথ হল, আরশের উপর অধিষ্ঠিত হলেন। আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, مَجِيد অর্থ সম্মানতি, الوَدُود অর্থ প্রিয়। বলা হয়ে থাকে, حَمِيدٌ مَجِيدٌ মূলত প্রশংসনীয় ও পবিত্র। বস্তুত এটি مَاجِدٍ থেকে فَعِيلٌ এর ওযনে এসেছে। আর مَحْمُودٌ (প্রশংসনীয়) এসেছে حمد থেকে
  • ৩১২৫. আল্লাহ্‌র বাণীঃ ফেরেশতা এবং রূহ্ আল্লাহ্‌র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়। (৭০ঃ ৪)। এবং আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাঁরই দিকে পবিত্র বাণীসমূহ আরোহণ করে (৩৫ঃ ১০)। আবূ জামরা (রহঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, নবী (সাঃ) এর নবুয়ত প্রাপ্তির খবর শুনে আবূ যর (রাঃ) তাঁর ভাইকে বললেন, আমার জন্য ঐ ব্যক্তির অবস্থাটি অবহিত হয়ে নাও, যিনি ধারণা করেছেন যে, আসমান থেকে তাঁর কাছে খবর আসে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, নেক কাজ পবিত্র কথাকে ঊর্ধ্বগামী করে। ذِي الْمَعَارِجِ এর ব্যাপারে বলা হয়- ঐ সকল ফেরেশতা যারা আল্লাহ্‌র দিকে উর্ধ্বগামী হয়
  • ৩১২৬. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ সেদিন কোন কোন মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে; তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে
  • ৩১২৭. আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়নদের নিকটবর্তী (৭ঃ ৫৬)
  • ৩১২৮. আল্লাহ্‌র বাণীঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ আকাশসমূহ ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করেন, যাতে এরা স্থানচ্যুত না হয়
  • ৩১২৯. আসমান, যমীন ইত্যাদির সৃষ্টি সম্পর্কে; এটি প্রতিপালকের কাজ ও নির্দেশ। অতএব প্রতিপালক তাঁর গুনাবলি, কাজ, নির্দেশ ও কালামসহ তিনি স্রষ্টা ও অস্তিত্বদানকারী। তিনি অসৃষ্ট। তার কাজ, নির্দেশ ও সৃষ্টি এবং অস্তিত্ব দানে যা সম্পাদিত হয়, তাই হলো কর্ম, সৃষ্টও অস্তিত্ব লাভকারী বস্তু
  • ৩১৩০. আল্লাহ্‌ তা‘আলার বাণীঃ আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে। (৩৭ঃ ১৭১)
  • ৩১৩১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমার বাণী কোন বিষয়ে...... (২৭ঃ ৪০)
  • ৩১৩২. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ বল, আমার প্রতিপালকের কথা লিপিবদ্ধ করার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়..... শেষ পর্যন্ত (১৮ঃ ১০৯)। মহান আল্লাহর বাণীঃ পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় এবং এই যে সমুদ্র এর সাথে যদি আরও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও আল্লাহ্‌র বাণী নিঃশেষ হবে না। আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৩১ঃ ২৭)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌, যিনি আকাশ সমূহ ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন..... মহিমাময় প্রতিপালক আল্লাহ্‌, জগতসমূহের প্রতিপালক। (৭ঃ ৫৪) سخر অর্থ ذلل অধীন করা
  • ৩১৩৩. আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ও চাওয়া। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)। আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, ‘আমি তা আগামী কাল করব, আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে,’ এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ্‌ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইব্নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)
  • ৩১৩৪. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাকে অনুমতি দেয়া হয়, সে ব্যতীত আল্লাহ্‌র কাছে কারো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। পরে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে, তখন পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন। তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন। তিনি সমুচ্চ মহান (৪৩ঃ ২৩)। আর এখানে এ কথা বলা হয়নি, তোমাদের প্রতিপালক কি সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ কে সে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? (২ঃ ২৫৫)। বর্ণনাকারী মাসরুক (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ্‌ যখন ওহীর দ্বারা বলেন, তখন আসমানের অধিবাসিগণ কিছু শুনতে পায়। তাদের অন্তর থেকে যখন ভয় দূর করে দেয়া হয়। আর ধ্বনি স্তিমিত হয়ে যায়। তখন তারা উপলদ্ধি করে যে, যা ঘটেছে তা অবশ্যই একটা বাস্তব সত্য। তারা পরস্পরকে এ কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? তারা বলে ‘হক’ বলেছেন জাবির (রাঃ) আবদুল্লাহ্ ইব্ন উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) থেকে শুনেছি, আল্লাহ্‌ সমস্ত বান্দাকে হাশরে একত্রিত করে এমন আওয়াযে ডাকবেন যে, নিকটবর্তীদের মত দূরবর্তীরাও শুনতে পাবে। আল্লাহ্‌র ভাষ্য থাকবে আমি মহা সম্রাট আমি প্রতিদানকারী
  • ৩১৩৫. জিবরীলের সাথে প্রতিপালকের কথাবার্তা, ফেরেশতাদের প্রতি আল্লাহ্‌র আহবান। মা’মার (রহঃ) বলেন, إِنَّكَ لَتُلَقَّى الْقُرْآنَ এর অর্থ হচ্ছে তোমার উপর কুরআন নাযিল করা হয়। تَلَقَّاهُ أَنْتَ এর অর্থ তুমি কুরআন তাদের কাছ থেকে গ্রহণ কর। যেমন বলা হয়েছে فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ আদম (আঃ) তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কয়েকটি বাণী গ্রহণ করলেন
  • ৩১৩৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তা তিনি জেনেশুনে অবতীর্ণ করেছেন। আর ফেরেশতারা এর সাক্ষী (৪ঃ ১৬৬)। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, ‘ওদের মধ্যে নেমে আসে তাঁর নির্দেশ’ (৬৫ঃ ১২) (এর অর্থ) সপ্তম আকাশ ও সপ্তম যমীনের মধ্যখানে
  • ৩১৩৭. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তারা আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করতে চায় (৪৮ঃ ১৫) لَقَوْلٌ فَصْلٌ অর্থাৎ চিরসত্য। وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ এর অর্থ কুরআন খেল-তামাশার বস্তু নয়
  • ৩১৩৮. কিয়ামতের দিনে নবী ও অপরাপরের সাথে মহান আল্লাহ্‌র কথাবার্তা
  • ৩১৩৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ এবং মূসা (আঃ) এর সাথে আল্লাহ্‌ সাক্ষাৎ বাক্যালাপ করেছিলেন (৪ঃ ১৬৪)
  • ৩১৪০. জান্নাতবাসীদের সাথে প্রতিপালকের বাক্যালাপ
  • ৩১৪২. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ সুতরাং জেনেশুনে কাউকেও আল্লাহ্‌র সমকক্ষ দাঁড় করো না (২ঃ ২২)। এবং তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করতে চাও? তিনি তো জগতসমূহের প্রতিপালক (২ঃ ৯)। এবং তারা আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন ইলাহ্কে ডাকে না (২৫ঃ ৬৮)। তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই ওহী হয়েছে। তুমি আল্লাহ্‌র শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত। অতএব, তুমি আল্লাহ্‌রই ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞ হও। (৩৯ঃ ৬৫, ৬৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইকরিমা (রহঃ) বলেন, তাদের অধিকাংশ আল্লাহতে বিশ্বাস করে, কিন্তু তাঁর শরীক করে (১২ঃ ১০৬)। যদি তাদেরকে তুমি জিজ্ঞাসা কর, আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে কে? তারা বলবে আল্লাহ্‌! এটিই তাদের বিশ্বাস। অথচ তারা আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্যের ইবাদত করছে। বান্দার কর্ম ও অর্জন সবই সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত। কারণ আল্লাহ্‌ ইরশাদ করছেন وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ فَقَدَّرَهُ تَقْدِيرًا তিনি সমস্ত কিছু পরিমিত সৃষ্টি করেছেন যথাযথ অনুপাতে (২৫ঃ ২)। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, আমি ফেরেশতাগণকে প্রেরণ করি না হক ব্যতীত ....... (১৫ঃ ৮)। এখানে ‘হক’ শব্দের অর্থ রিসালাত ও আযাব। সত্যবাদীদের তাদের সত্যবাদিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার জন্য (৩৩ঃ ৮)। এখানে صادِقِينَ শব্দের অর্থ মানুষের কাছে যেসব রাসূল আল্লাহ্‌র বাণী পৌঁছান। এবং আমিই এর সংরক্ষক (১৫ঃ ৯)। আমাদের কাছে রয়েছে এর সংরক্ষণকারিগণ। وَالَّذِي جَاءَ بِالصِّدْقِ যারা সত্য এনেছে (৩৯ঃ ৩৩)। এখানে صدق এর অর্থ কুরআন, صَدَّقَ بِهِ এর অর্থ ঈমানদার। কিয়ামতের দিন ঈমানদার বলবে, আপনি আমাকে যা দিয়েছিলেন, আমি সে অনুযায়ি আমল করেছি
  • ৩১৪৩. আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা কিছু গোপন করতে না এ বিশ্বাসে যে, তোমাদের কান, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না। উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্‌ জানেন না (৪১ঃ ২২)
  • ৩১৪৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনি প্রত্যহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে রত (৫৫ঃ ২৯)। যখনই তাদের কাছে দয়াময়ের নিকট হতে কোন নতুন উপদেশ আসে (২৬ঃ ৫)। হয়ত আল্লাহ্‌ এরপর কোন উপায় করে দেবেন (৬৫ঃ ১)। তিনি যদি কিছু বলেন, সৃষ্টির কথার মত হয় না। কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নেই। তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন (৪২ঃ ১১)। ইবন মাসউদ (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা নতুন কিছু আদেশের ইচ্ছা করলে তা করেন। তন্মধ্যে নতুন নির্দেশের মধ্যে এটিও যে, তোমরা নামাযের মধ্যে কথা বলো না
  • ৩১৪৫. আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিহবা এর সাথে সঞ্চালন করো না (৭৫ঃ ১৬)। ওহী অবর্তীণ হওয়ার সময় নবী (সাঃ) এমনটি করেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ্‌ বলেন, আমি আমার বান্দার সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত থাকি, যতক্ষণ সে আমাকে স্মরণ করে এবং আমার জন্য তার ঠোঁট দু’টো নাড়াচাড়া করে
  • ৩১৪৬. আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা আমাদের কথা গোপনই বল অথবা প্রকাশ্যেই বল তিনি তো অন্তর্যামী (৬৭ঃ ১৩)। (আল্লাহ্‌র বাণী) যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত (৬৭ঃ ১৪)। يَتَخَافَتُونَ এর অর্থ يَتَسَارُّونَ (চুপে চুপে পড়ে)
  • ৩১৪৭. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ এক ব্যক্তিকে আল্লাহ্‌ কুরআন দান করেছেন। সে রাতদিন তা পাঠ করছে। আরেক ব্যক্তি বলে, এ ব্যক্তিকে যা দেওয়া হয়েছে, আমাকে যদি তা দেওয়া হতো, আমিও সেরূপ করতাম যেরূপ সে করছে। এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ্‌ স্পষ্ট করে বলেন, ব্যক্তিটির কুরআনের সাথে কায়েম থাকার অর্থ তার কুরআন তিলাওয়াত করা। এবং তিনি বললেন, তাঁর নির্দেশনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র (৩০ঃ ২২) নবী (সাঃ) তিলাওয়াত করলেন, وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ সৎকর্ম কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার (২২ঃ ৭৭)
  • ৩১৪৮. আল্লাহ্‌র বাণীঃ হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিটক হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি বার্তা প্রচার করলে না (৫ঃ৬৭)। যুহরী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে হচ্ছে বার্তা প্রেরণ আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর দায়িত্ব হলো পৌঁছানো, আর আমাদের কর্তব্য হলো মেনে নেয়া। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ রাসূলগণ তাঁদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কিনা তা জানার জন্য (৭২ঃ ২৮)। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্‌র বার্তাসমূহ পৌঁছে দিচ্ছি। কা’ব ইবন মালিক (রাঃ) যখন নবী (সাঃ) এর সঙ্গে (তাবুক যুদ্ধে শরীক হওয়া) থেকে পিছনে রয়ে গেলেন, তখন আল্লাহ্‌ বলেনঃ আল্লাহ্‌ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন এবং তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণও (৯ঃ ১০৫)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, কারো ভালো কাজে তোমাকে আনন্দিত করলে বলো, আমল কর, তোমার এ আমল আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌র রাসূল, সমস্ত মু’মিন দেখবেন। আর তোমাকে কেউ যেন বিচলিত করতে না পারে। মা’মার (র) বলেন, ذَلِكَ الْكِتَابُ এর অর্থ হচ্ছে এ কুরআন, هُدًى لِلْمُتَّقِينَ এর অর্থ বর্ণনা ও পথ প্রদর্শন। আল্লাহ্‌র এ বাণীর মত ذَلِكُمْ حُكْمُ اللَّهِ এর অর্থ এটি আল্লাহ্‌র হুকুম। لاَ رَيْبَ এর অর্থ এতে কোন সন্দেহ নেই। تِلْكَ آيَاتُ অর্থাৎ এগুলো কুরআনের নিদর্শন। এর উদাহরণ আল্লাহ্‌রই বাণীঃ যখন তোমরা নৌকায় অবস্থান করো আর চলতে থাকে সেগুলো তাদের নিয়ে। এখানে بِهِمْ এর অর্থ بِكُمْ অর্থাৎ তোমাদের নিয়ে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) তাঁর মামা হারমকে তাঁর গোত্রের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর কি? আমি আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ) এর বার্তা পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তাদের সাথে আলাপ করতে লাগলেন
  • ৩১৪৯. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (৩ঃ ৯৩)। নবী (সাঃ) এর বাণীঃ তাওরাতের ধারকদেরকে তাওরাত দেওয়া হলে তারা সে অনুযায়ী আমল করল। ইনজীলের ধারকদেরকে ইনজীল দেওয়া হলে তারাও সে আনুযায়ি আমল করল। তোমাদেরকে দেওয়া হলো কুরআন, সুতরাং তোমরা এ অনুযায়ী আমল কর আবূ রাযীন (র) বলেন, يَتْلُونَهُ এর অর্থ তাঁর নির্দেশকে যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে অনুসরণ করা। আবূ আবদুল্লাহ্ (রহঃ) বলেন, يُتْلَى অর্থ يُقْرَأُ পাঠ করা হয়। حَسَنُ التِّلاَوَةِ অর্থ কুরআন সুন্দরভাবে পাঠ করা। لاَ يَمَسُّهُ এর অর্থ কুরআনের স্বাদ ও উপকারিতা কুরআনের প্রতি বিশ্বাসীদের ব্যতীত না পাওয়া। কুরআনের উপর সঠিক আস্থা স্থাপনকারী ছাড়া কেউই তা যথাযথভাবে বহন করতে সক্ষমম হবে না। কেননা, মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ যাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছিল এরা তা বহন করেনি। তাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গর্দভ। কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত! যারা আল্লাহ্‌র আয়াতকে মিথ্যা বলে। আল্লাহ্‌ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না (৬২ঃ ৫)
  • ৩১৫০. নবী (সাঃ) নামাযকে আমল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা নামাযে পাঠ করল না, তার নামায আদায় হল না
  • ৩১৫১. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মানুষ তো সৃজিত হয়েছে অতিশয় অস্থির চিত্তরূপে। যখন বিপদ তাকে স্পর্শ করে সে হয় হা-হুতাশকারী আর যখন কল্যাণ স্পর্শ করে, সে হয় অতি কৃপণ (৭০ঃ ১৯, ২০, ২১)
  • ৩১৫২. নবী (সাঃ) কর্তৃক তাঁর প্রতিপালক থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
  • ৩১৫৩. তাওরাত ও অপরাপর আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদি ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ। কেননা, আল্লাহ্‌র বাণীঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (৩ঃ ৯৩) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবূ সুফিয়ান ইবন হারব (রাঃ) আমাকে এ খবর দিয়েছেন, হিরাক্লিয়াস তাঁর দোভাষীকে ডাকলেন। তারপর তিনি নবী (সাঃ) এর পত্রখানা আনার জন্য হুকুম করলেন এবং তা পড়লেন। (তাতে লিপিবদ্ধ ছিল) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম- আল্লাহ্‌র বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর পক্ষ থেকে হিরাক্লিয়াসের প্রতি এ পত্র প্রেরিত। তাতে আরও লেখা ছিল يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ (হে কিতাবীগণ এস সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই)
  • ৩১৫৪. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ কুরআন বিষয়ক পারদর্শী ব্যক্তি জান্নাতে সম্মানিত পূত-পবিত্র কাতিব ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে। অতএব, তোমাদের কণ্ঠ দ্বারা কুরআনকে সৌন্দর্যমন্ডিত কর
  • ৩১৫৫. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ কাজেই কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর (৭৩ঃ ২০)
  • ৩১৫৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ আমি কুরআন সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি? (৪৫ঃ ৩২)। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তি যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে কাজ সহজ করে দেয়া হয়। مُيَسَّرٌ অর্থ প্রস্তুতকৃত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ بِلِسَانِكَ এর অর্থ আমি কুরআন তিলাওয়াত আপনার জন্য সহজ করে দিয়েছি
  • ৩১৫৭. আল্লাহ্‌র বাণীঃ বস্তুত এটি সম্মানিত কুরআন, সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ (৮৫ঃ ২১, ২২) শপথ তূর পর্বতের। শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে। (৫২ঃ ১, ২) কাতাদা (র) বলেন, مَسْطُورٍ অর্থ লিপিবদ্ধ يَسْطُرُونَ অর্থ তারা লিখেছ أُمِّ الْكِتَابِ অর্থাৎ কিতাবের স্তর ও মূল مَا يَلْفِظُ অর্থ যা কিছু বলা হয়, তা লিপিবদ্ধ হয়। এর ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, ভালমন্দ সব লিপিবদ্ধ করা হয়। يُحَرِّفُونَ এর অর্থ পবির্তন করা। এমন কেই নেই, যে আল্লাহ্‌র কোন কিতাবের শব্দ পরিবর্তন করতে পারে। তবে তারা তাহরীফ তথা অপব্যাখ্যা করতে পারে। دِرَاسَتُهُمْ অর্থ তাদের তিলাওয়াত وَاعِيَةٌ অর্থ সংরক্ষণকারী تَعِيَهَا অর্থ তা সংরক্ষণ করে। এবং এই কুরআন আমার নিকট প্রেরিত হয়েছে, যেন তোমাদেরকে এর দ্বারা আমি সতর্ক করি (৬ঃ ১৯)। অর্থাৎ মক্কাবাষী এবং যাদের কাছে এ কুরআন প্রচারিত হবে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাদের জন্য সতর্ককারী। আমার কাছে খলীফা (রহঃ) বলেছেন, মুতামির (র) ..... আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ যখন তাঁর মাখলুকাত সৃষ্টি করলেন, তাঁর কাছে একটি কিতাব লিপিবদ্ধ রাখলেন। ‘‘আমার গযবের উপর আমার রহমত প্রবল হয়েছে’’ এটি তাঁর কাছে আরশের ওপর সংরক্ষিত রয়েছে
  • ৩১৫৮. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্‌ই সৃষ্টি করেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও (৩৭ঃ ৯৬)। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে (৫৪ঃ ৪৯)। ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন। তিনিই দিনতে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যেন এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি যা তাঁর আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। মহিমাময় জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্‌ (৭ঃ ৫৪) ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্‌ খালক্কে আমর থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ জেনে রাখ সৃজন ও আদেশ তাঁরই। নবী (সাঃ) ঈমানকেও আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলীট সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনা, তাঁরা রাস্তায় জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন, যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনা, রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, নামায কায়েম করা এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এসবকেই তিনি আমলরূপে উল্লেখ করেছেন
  • ৩১৫৯. গুনাহ্গার ও মুনাফিকের কিরাআত, তাদের স্বর ও তাদের কিরাআত কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না
  • ৩১৬০. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করব ন্যায়বিচারের মানদন্ড (২১ঃ ৪৭)। আদম সন্তানদের আমল ও কথা পরিমাপ করা হবে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, রুমীদের (ইটালীয়দের) ভাষায় الْقُسْطَاسُ অর্থ ন্যায় ও ইনসাফ। الْمُقْسِطِ শব্দমূল হল الْقِسْطُ ُ الْمُقْسِطِ অর্থ ন্যায়পরায়ণ। অপর পক্ষে الْقَاسِطُ এর অর্থ (কিন্তু) জালিম