লগইন করুন
২৯ সূরাঃ আল-আনকাবূত | Al-Ankabut | سورة العنكبوت - আয়াত নং -৬৪ - মাক্কী
আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত। আল-বায়ান
পার্থিব এ জীবন ক্রীড়া-কৌতুক ছাড়া কিছু নয়, আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন- তারা যদি জানত! তাইসিরুল
এই পার্থিব জীবনতো ক্রীড়া-কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পারলৌকিক জীবনই প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানতো। মুজিবুর রহমান
And this worldly life is not but diversion and amusement. And indeed, the home of the Hereafter - that is the [eternal] life, if only they knew. Sahih International
৬৪. আর এ দুনিয়ার জীবন তো খেলতামাশা ছাড়া কিছুই নয়।(১) আর আখেরাতের জীবনই তো প্রকৃত জীবন(২), যদি তারা জানত!
(১) এ আয়াতে পার্থিবজীবন ক্রীড়া কৌতুক বলা হয়েছে। উদ্দেশ্য এই যে, ক্রীড়া কৌতুকের যেমন কোন স্থিতি নেই এবং এর দ্বারা কোন বড় সমস্যার সমাধান হয় না, অল্পক্ষণ পরেই সব তামাশা খতম হয়ে যায়, পার্থিব জীবনের অবস্থাও তদ্রুপ। পার্থিব জীবনের বাস্তবতা শুধুমাত্র এতটুকুই যেমন ছোট ছেলেরা কিছুক্ষণের জন্য নেচে গেয়ে আমোদ করে এবং তারপর যার যার ঘরে চলে যায়। জীবনের কোন একটি আকৃতিও এখানে স্থায়ী ও চিরন্তন নয়। যে যে অবস্থায়ই আছে সাময়িকভাবে একটি সীমিত সময়কালের জন্যই আছে। [দেখুন: ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
(২) অর্থাৎ যদি তারা একথা জানতো, এ দুনিয়ার জীবন একটি পরীক্ষার অবকাশ মাত্র এবং মানুষের জন্য আসল জীবন, যা চিরকাল স্থায়ী হবে, তা হচ্ছে আখেরাতের জীবন, তাহলে তারা এখানে পরীক্ষার সময়-কালকে খেলা-তামাশায় নষ্ট না করে এর প্রতিটি মুহুর্তএমন সবকাজে ব্যবহার করতো যা সেই চিরন্তন জীবনের জন্য উৎকৃষ্ট ফলদায়ক হতো। দুনিয়ার জীবনের উপর আখেরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিত। [দেখুন: ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬৪) এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।[1] আর পারলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন;[2] যদি ওরা জানত। [3]
[1] অর্থাৎ যে পার্থিব জীবন তাদেরকে পরকালের জীবন সম্বন্ধে অন্ধ এবং তার জন্য সম্বল সঞ্চয় করার ব্যাপারে উদাসীন করে রেখেছে, তা আসলে এক ধরনের খেলাধূলা অপেক্ষা বেশি মর্যাদা রাখে না। কাফেররা পার্থিব জীবন নিয়ে ব্যাপৃত থাকে, তাতে সুখ অর্জনের জন্য দিবারাত্রি মেহনত করে, কিন্তু যখন মারা যায়, তখন শূন্য হাত হয়ে পরকালের পথে পাড়ি দেয়। যেমন শিশুরা সারা দিন ধুলো-বালির ঘর বানিয়ে খেলা করে এবং পরে বাড়ী ফিরে যাওয়ার সময় খালি হাতে ফিরে যায়, ক্লান্তি ছাড়া তাদের আর কিছুই অর্জন হয় না।
[2] সুতরাং এমন নেক আমল করা প্রয়োজন, যাতে পারলৌকিক জীবন সুন্দর হতে পারে।
[3] কারণ, যদি তারা এ কথা জানত, তাহলে পারলৌকিক জীবন সম্বন্ধে অমনোযোগী হয়ে ইহলৌকিক জীবন নিয়ে মগ্ন হত না। বলা বাহুল্য, এর ঔষধ হচ্ছে জানা ও শেখা, শরীয়তের জ্ঞান শিক্ষা করা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান