৩৯ সূরাঃ আয-যুমার | Az-Zumar | سورة الزمر - আয়াতঃ ৫৫
৩৯:৫৫ وَ اتَّبِعُوۡۤا اَحۡسَنَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً وَّ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
و اتبعوا احسن ما انزل الیکم من ربکم من قبل ان یاتیکم العذاب بغتۃ و انتم لا تشعرون ۙ۵۵

আর অনুসরণ কর উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বে। অথচ তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না। আল-বায়ান

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে যাকে উত্তম আখ্যায়িত করা হয়েছে তোমরা সেগুলোর অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অকস্মাৎ ‘আযাব এসে যাওয়ার পূর্বে যে বিষয়ে তোমরা টেরও পাবে না। তাইসিরুল

অনুসরণ কর তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের নিকট হতে উত্তম যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে তোমাদের অজ্ঞাতে শাস্তি আসার পূর্বে – মুজিবুর রহমান

And follow the best of what was revealed to you from your Lord before the punishment comes upon you suddenly while you do not perceive, Sahih International

৫৫. আর তোমরা তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের কাছ থেকে উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তার অনুসরণ কর(১), তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে শাস্তি আসার আগে, অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।

(১) এখানে ‘উত্তম অবতীর্ণ বিষয়’ বলে কুরআনকে বোঝানো হয়েছে। সমগ্র কুরআনই উত্তম। একে এদিক দিয়েও উত্তম বলা যায় যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর ইত্যাদি যত কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে, তন্মধ্যে উত্তম ও পূর্ণতম কিতাব হচ্ছে কুরআন। অথবা, আল্লাহর কিতাবের সর্বোত্তম দিকসমূহ অনুসরণ করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তা'আলা যেসব কাজের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষ তা পালন করবে। তিনি যেসব কাজ করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকবে এবং উপমা ও কিসসা-কাহিনীতে যা বলেছেন তা থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্ৰহণ করবে। অপরদিকে যে ব্যক্তি তাঁর নির্দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, নিষিদ্ধ কাজসমূহ করে এবং আল্লাহর উপদেশ বাণীর কানা কড়িও মূল্য দেয় না, সে আল্লাহর কিতাবের এমন দিক গ্ৰহণ করে যাকে আল্লাহর কিতাব নিকৃষ্টতম দিক বলে আখ্যায়িত করে। [মুয়াস্‌সার]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৫) তোমাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের ওপর অতর্কিতে শাস্তি আসার পূর্বে তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে যে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ অবতীর্ণ করা হয়েছে, তার অনুসরণ কর।[1]

[1] অর্থাৎ, আযাব আসার পূর্বে তওবা এবং নেক আমলের প্রতি যত্নবান হয়ে যাও। কেননা, যখন আযাব আসবে, তখন তার কোন খবর তোমাদের থাকবে না এবং তোমরা টেরও পাবে না। এ থেকে পার্থিব আযাব বুঝানো হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান