কিয়ামত বিষয়ক আয়াতসমূহ ৩৮৯ টি
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:৬ یَسۡـَٔلُ اَیَّانَ یَوۡمُ الۡقِیٰمَۃِ ؕ﴿۶﴾

সে প্রশ্ন করে, ‘কবে কিয়ামতের দিন’? আল-বায়ান

সে জিজ্ঞেস করে, ‘ক্বিয়ামত দিবস কবে?’ তাইসিরুল

সে প্রশ্ন করেঃ কখন কিয়ামাত দিবস আসবে? মুজিবুর রহমান

He asks, "When is the Day of Resurrection?" Sahih International

৬. সে প্রশ্ন করে, কখন কিয়ামতের দিন আসবে?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৬) সে প্রশ্ন করে, কখন কিয়ামত দিবস আসবে? [1]

[1] তারা এ প্রশ্ন এই জন্য করে না যে, কৃতপাপ হতে তওবা করবে। বরং কিয়ামত সংঘটিত হওয়াকে তারা অসম্ভব মনে করে। আর এই কারণেই তারা অন্যায়-অনাচার থেকে ফিরে আসে না। পরের আয়াতে মহান আল্লাহ কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময় বর্ণনা করছেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:৬ یَسۡـَٔلُ اَیَّانَ یَوۡمُ الۡقِیٰمَۃِ ؕ﴿۶﴾

সে প্রশ্ন করে, ‘কবে কিয়ামতের দিন’? আল-বায়ান

সে জিজ্ঞেস করে, ‘ক্বিয়ামত দিবস কবে?’ তাইসিরুল

সে প্রশ্ন করেঃ কখন কিয়ামাত দিবস আসবে? মুজিবুর রহমান

He asks, "When is the Day of Resurrection?" Sahih International

৬. সে প্রশ্ন করে, কখন কিয়ামতের দিন আসবে?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৬) সে প্রশ্ন করে, কখন কিয়ামত দিবস আসবে? [1]

[1] তারা এ প্রশ্ন এই জন্য করে না যে, কৃতপাপ হতে তওবা করবে। বরং কিয়ামত সংঘটিত হওয়াকে তারা অসম্ভব মনে করে। আর এই কারণেই তারা অন্যায়-অনাচার থেকে ফিরে আসে না। পরের আয়াতে মহান আল্লাহ কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময় বর্ণনা করছেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:৭ فَاِذَا بَرِقَ الۡبَصَرُ ۙ﴿۷﴾

যখন চক্ষু হতচকিত হবে। আল-বায়ান

যখন চোখ ধাঁধিয়ে যাবে, তাইসিরুল

যখন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। মুজিবুর রহমান

So when vision is dazzled Sahih International

৭. যখন চোখ স্থির হয়ে যাবে(১),

(১) برق এর আভিধানিক অর্থ হলো বিদ্যুতের ঝলকে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রচলিত আরবী বাকরীতিতে কথাটি শুধু এ একটি অর্থ জ্ঞাপকই নয় বরং ভীতি-বিহবলতা, বিস্ময় অথবা কোন দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় যদি কেউ হতবুদ্ধি হয়ে যায় এবং সে ভীতিকর দৃশ্যের প্রতি তার চক্ষু স্থির-নিবদ্ধ হয়ে যায় যা সে দেখতে পাচ্ছে তাহলে এ অবস্থা বুঝাতেও একথাটি বলা হয়ে থাকে। [দেখুন: ইবন কাসীর] একথাটিই কুরআন মাজীদের আরেক জায়গায় এভাবে বলা হগয়েছে, “আল্লাহ্‌ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন সেদিন পর্যন্ত যেদিন চক্ষুসমূহ স্থির হয়ে যাবে।”

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭) সুতরাং যখন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে [1]

[1] ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে। بَرِقَ، تَحَيَّرَ وَانْدَهَشَ যা মৃত্যুর সময় সাধারণতঃ হয়ে থাকে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:৮ وَ خَسَفَ الۡقَمَرُ ۙ﴿۸﴾

আর চাঁদ কিরণহীন হবে, আল-বায়ান

চাঁদ হয়ে যাবে আলোকহীন তাইসিরুল

এবং চক্ষু হয়ে পড়বে জ্যোতিহীন। মুজিবুর রহমান

And the moon darkens Sahih International

৮. এবং চাঁদ হয়ে পড়বে কিরণহীন(১),

(১) এখানে কেয়ামতের পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন চক্ষুতে ধাঁধা লেগে গেল— কেয়ামতের দিন সবার দৃষ্টিতে ধাঁধা লেগে যাবে। ফলে চক্ষু স্থির কোন বস্তু দেখতে পারবে না এবং চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে। [ইবন কাসীর] তাছাড়া আরেকটি অনুবাদ হচ্ছে, চন্দ্র গায়েব হয়ে যাবে, চন্দ্র বলতে কিছু আর থাকবে না। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮) এবং চন্দ্র জ্যোতিবিহীন হয়ে পড়বে। [1]

[1] যখন চাঁদে গ্রহণ লাগে, তখনও সে (চাঁদ) জ্যোতিবিহীন হয়ে যায়। কিন্তু যে চাঁদ কিয়ামতের নিদর্শন স্বরূপ জ্যোতিবিহীন হবে তাতে পুনরায় আর জ্যোতি ফিরে আসবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:৯ وَ جُمِعَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ ۙ﴿۹﴾

আর চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করা হবে। আল-বায়ান

সুরুজ আর চাঁদকে একত্রে জুড়ে দেয়া হবে, তাইসিরুল

যখন সূর্য ও চাঁদকে একত্র করা হবে। মুজিবুর রহমান

And the sun and the moon are joined, Sahih International

৯. আর যখন সূর্য ও চাঁদকে একত্র করা হবে(১)—

(১) চাঁদের আলোহীন হয়ে যাওয়া এবং চাঁদ ও সূর্যের পরস্পর একাকার হয়ে যাওয়ার অর্থ, মুজাহিদ বলেন, দু'টিকে একত্রে পেচানো হবে। [আত-তাফসীরুস সহীহ]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৯) যখন সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে। [1]

[1] অর্থাৎ, জ্যোতিবিহীন হওয়াতে একরকম করা হবে। অর্থাৎ, চাঁদের মত সূর্যের জ্যোতিও শেষ হয়ে যাবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:১০ یَقُوۡلُ الۡاِنۡسَانُ یَوۡمَئِذٍ اَیۡنَ الۡمَفَرُّ ﴿ۚ۱۰﴾

সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’? আল-বায়ান

সেদিন মানুষ বলবে- ‘আজ পালানোর জায়গা কোথায়?’ তাইসিরুল

সেদিন মানুষ বলবেঃ আজ পালানোর স্থান কোথায়? মুজিবুর রহমান

Man will say on that Day, "Where is the [place of] escape?" Sahih International

১০. সে-দিন মানুষ বলবে, আজ পালাবার স্থান কোথায়?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১০) সেদিন মানুষ বলবে, আজ পালাবার স্থান কোথায়? [1]

[1] অর্থাৎ, যখন এ সব ঘটনাবলী ঘটবে, তখন মানুষ আল্লাহ অথবা জাহান্নামের আযাব থেকে পলায়নের পথ খুঁজবে, কিন্তু তখন পলায়নের পথ কোথায় পাবে?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:১১ كَلَّا لَا وَزَرَ ﴿ؕ۱۱﴾

না, কোন আশ্রয়স্থল নেই। আল-বায়ান

মোটেই না, আশ্রয়ের কোন জায়গা নেই। তাইসিরুল

না, কোন আশ্রয়স্থল নেই। মুজিবুর রহমান

No! There is no refuge. Sahih International

১১. কখনোই নয়, কোন আশ্রয়স্থল নেই।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১১) না, কোন আশ্রয়স্থল নেই। [1]

[1] وَزَرَ এমন পাহাড় বা দুর্গকে বলা হয়, যেখানে মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করে। তখন কিন্তু এ রকম কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:১২ اِلٰی رَبِّكَ یَوۡمَئِذِۣ الۡمُسۡتَقَرُّ ﴿ؕ۱۲﴾

ঠাঁই শুধু সেদিন তোমার রবের নিকট। আল-বায়ান

সেদিন ঠাঁই হবে (একমাত্র) তোমার প্রতিপালকেরই নিকট। তাইসিরুল

সেদিন ঠাঁই হবে তোমার রবের নিকট। মুজিবুর রহমান

To your Lord, that Day, is the [place of] permanence. Sahih International

১২. সেদিন ঠাঁই হবে আপনার রবেরই কাছে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২) সেদিন ঠাঁই হবে তোমার প্রতিপালকেরই নিকট। [1]

[1] যেখানে তিনি বান্দার মাঝে বিচার-ফায়সালা করবেন। এ সম্ভব হবে না যে, কেউ আল্লাহর এই আদালত থেকে নিজেকে গোপন করে নেবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:১৩ یُنَبَّؤُا الۡاِنۡسَانُ یَوۡمَئِذٍۭ بِمَا قَدَّمَ وَ اَخَّرَ ﴿ؕ۱۳﴾

সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে কী সে অগ্রে পাঠিয়েছিল এবং পশ্চাতে পাঠিয়েছিল। আল-বায়ান

সেদিন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হবে সে কী (‘আমাল) আগে পাঠিয়েছে আর কী পেছনে ছেড়ে এসেছে। তাইসিরুল

সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে কি অগ্রে পাঠিয়েছে এবং কি পশ্চাতে রেখে গেছে। মুজিবুর রহমান

Man will be informed that Day of what he sent ahead and kept back. Sahih International

১৩. সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে কী আগে পাঠিয়েছে ও কী পিছনে রেখে গেছে।(১)

(১) মূল বাক্যটি হলো (بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ) অর্থাৎ মানুষকে সেদিন অবহিত করা হবে যা সে অগ্রে প্রেরণ করেছে ও পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে। এটা একটা ব্যাপক অর্থব্যঞ্জক বাক্য। এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে এবং সম্ভবত সবগুলোই এখানে প্রযোজ্য। এর একটি অর্থ হলো, দুনিয়ার জীবনে মানুষ মৃত্যুর পূর্বে কি কি নেক কাজ বা বাদ কাজ করে আখেরাতের জন্য আগ্রিম পাঠিয়ে দিয়েছিল সেদিন তাকে তা জানিয়ে দেয়া হবে। আর দুনিয়াতে সে নিজের ভাল এবং মন্দ কাজের কি ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে এসেছিল যা তার দুনিয়া ছেড়ে চলে আসার পরও পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে দীর্ঘদিন পর্যন্ত চলেছিল সে হিসেবও তার সামনে পেশ করা হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম বলেন, মানুষ মৃত্যুর পূর্বে যে সৎকাজ করে নেয়, তা সে অগ্ৰে প্রেরণ করে এবং যে সৎ অথবা অসৎ উপকারী অথবা অপকারী কাজ ও প্রথা এমন ছেড়ে যায়, যা তার মৃত্যুর পর মানুষ বাস্তবায়িত করে, তা সে পশ্চাতে রেখে আসে। (এর সওয়াব অথবা শাস্তি সে পেতে থাকবে।) [দেখুন: বাগাভী; কুরতুবী]

দ্বিতীয় অর্থ হলো, যেসব কাজ সে আগে করেছে এবং যেসব কাজ সে পরে করেছে দিন তারিখ সহ তার পুরো হিসেব তার সামনে পেশ করা হবে। কাতাদা রাহেমাহুল্লাহ বলেন, قَدَّمَ বলে এমন সৎকাজ বোঝানো হয়েছে, যা মানুষ জীবদ্দশায় করে নেয় এবং أَخَّرَ বলে এমন সৎকাজ বোঝানো হয়েছে, যা সে করতে পারত, কিন্তু করেনি এবং সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৩) সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে যে, সে কী অগ্রে পাঠিয়েছে ও কী পশ্চাতে রেখে গেছে। [1]

[1] অর্থাৎ, তাকে তার সমস্ত আমল সম্পর্কে অবগত করানো হবে। সে আমলগুলো পুরাতন হোক বা নতুন, পূর্বে কৃত হোক বা পরে, ছোট হোক বা বড়।  وَوَجَدُوا مَا عَمِلُوا حَاضِرًا (কাহফঃ ৪৯)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:১৪ بَلِ الۡاِنۡسَانُ عَلٰی نَفۡسِهٖ بَصِیۡرَۃٌ ﴿ۙ۱۴﴾

বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান। আল-বায়ান

আসলে মানুষ নিজেই নিজের সম্পর্কে চাক্ষুসভাবে অবগত। তাইসিরুল

বস্তুতঃ মানুষ নিজের সম্বন্ধে সম্যক অবগত। মুজিবুর রহমান

Rather, man, against himself, will be a witness, Sahih International

১৪. বরং মানুষ নিজের সম্পর্কে সম্যক অবগত (১),

(১) আয়াতে بَصِيرَةٌ শব্দটির অর্থ যদি ‘চক্ষুম্মান’ ধরা হয়, তখন আয়াতের অর্থ এই যে, যদিও ন্যায়বিচারের বিধি অনুযায়ী মানুষকে তার প্রত্যেকটি কর্ম সম্পর্কে হাশরের মাঠে অবহিত করা হবে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর প্রয়োজন নেই। কেননা, মানুষ তার কর্ম সম্পর্কে খুব জ্ঞাত। সে কি করেছে, তা সে নিজেই জানে। তাই আখেরাতের আদালতে হাজির করার সময় প্রত্যেক কাফের, মুনাফিক, পাপী ও অপরাধী নিজেই বুঝতে পারবে যে, সে কি কাজ করে এসেছে এবং কোন অবস্থায় নিজ প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছে; সে যতই অস্বীকার করুক বা ওযর পেশ করুক। [ইবন কাসীর] এছাড়া হাশরের মাঠে প্ৰত্যেকে তার সৎ কর্ম স্বচক্ষে দেখতেও পাবে। অন্য আয়াতে আছে, (وَوَجَدُوا مَا عَمِلُوا حَاضِرًا) অর্থাৎ “দুনিয়াতে মানুষ যা করেছে, হাশরের মাঠে তাকে উপস্থিত পাবে” [সূরা আল-কাহাফ: ৪৯] সুতরাং তারা তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করবে। এখানে মানুষকে নিজের সম্পর্কে চক্ষুন্মান বলার অর্থ তাই।

পক্ষান্তরে যদি بَصِيرَةٌ শব্দের অর্থ ‘প্রমাণ’ হয় তখন আয়াতের অর্থ হবে এই যে, মানুষ নিজেই নিজের সম্পর্কে প্রমাণস্বরূপ হবে। সে অস্বীকার করলেও তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বীকার করবে। [দেখুন, কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৪) বস্তুতঃ মানুষ নিজের সম্বন্ধে সম্যক অবগত। [1]

[1] অর্থাৎ, তার হাত, পা, জিহ্বা ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাক্ষ্য দেবে। অথবা এর অর্থ হল, মানুষ নিজের দোষগুলো খোদ জানে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:১৫ وَّ لَوۡ اَلۡقٰی مَعَاذِیۡرَهٗ ﴿ؕ۱۵﴾

যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে। আল-বায়ান

যদিও সে নানান অজুহাত পেশ করে। তাইসিরুল

যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে। মুজিবুর রহমান

Even if he presents his excuses. Sahih International

১৫. যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৫) যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে। [1]

[1] অর্থাৎ লড়াই করুক, ঝগড়া করুক, আর যত অপব্যাখ্যা করবে করুক; এ রকম করে তার না কোন লাভ হবে, আর না সে নিজ বিবেককে সন্তুষ্ট করতে পারবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:২২ وُجُوۡهٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاضِرَۃٌ ﴿ۙ۲۲﴾

সেদিন কতক মুখমণ্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল। আল-বায়ান

কতক মুখ সেদিন উজ্জ্বল হবে। তাইসিরুল

সেদিন কোন কোন মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে। মুজিবুর রহমান

[Some] faces, that Day, will be radiant, Sahih International

২২. সেদিন কোন কোন মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২২) সেদিন বহু মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:২৩ اِلٰی رَبِّهَا نَاظِرَۃٌ ﴿ۚ۲۳﴾

তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী। আল-বায়ান

তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। তাইসিরুল

তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। মুজিবুর রহমান

Looking at their Lord. Sahih International

২৩. তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে।(১)

(১) অর্থাৎ সেদিন কিছু মুখমন্ডল হাসি-খুশী ও সজীব হবে এবং তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আখেরাতে জান্নাতীগণ স্বচক্ষে আল্লাহ তা'আলার দীদার (দর্শন) লাভ করবে। আহলে সুন্নাত-ওয়াল-জামা'আতের সকল আলেম ও ফেকাহবিদ এ বিষয়ে একমত। বহু সংখ্যক হাদীসে এর যে ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে তাহলো, আখেরাতে আল্লাহর নেককার বান্দাদের আল্লাহর সাক্ষাত লাভের সৌভাগ্য হবে। এক হাদীসে এসেছে, “তোমরা প্রকাশ্যে সুস্পষ্টভাবে তোমাদের রবকে দেখতে পাবে” [বুখারী: ৭৪৩৫, ৫৫৪, ৪৭৩, ৪৮৫১, ৭৪৩৪, ৭৪৩৬]

অন্য হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বেহশতবাসীরা বেহেশতে প্ৰবেশ করার পর আল্লাহ তা'আলা তাদের জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদের আরো কিছু দান করি? তারা আরয করবে, আপনি কি আমাদের চেহারা দীপ্তিময় করেননি? আপনি কি আমাদের জান্নাতে প্ৰবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেননি? তখন আল্লাহ তা’আলা পর্দা সরিয়ে দেবেন। ইতিপুর্বে তারা যেসব পুরস্কার লাভ করেছে তার কোনটিই তাদের কাছে তাদের রবের সাক্ষাতলাভের সম্মান ও সৌভাগ্য থেকে অধিক প্রিয় হবে না। এটিই হচ্ছে সে অতিরিক্ত পুরস্কার যার কথা কুরআনে এভাবে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “যারা নেক কাজ করেছে তাদের জন্য উত্তম পুরস্কার রয়েছে। আর এ ছাড়া অতিরিক্ত পুরস্কারও রয়েছে।” [সূরা ইউনুস: ২৬] [মুসলিম: ১৮১, তিরমিযী: ২৫৫২, মুসনাদে আহমাদ: ৪/৩৩৩]

অন্য হাদীসে এসেছে, সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল, আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাবো? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যখন মেঘের আড়াল থাকে না তখন সূর্য ও চাঁদকে দেখতে তোমাদের কি কোন কষ্ট হয়? সবাই বলল, না। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের রবকে এরকমই স্পষ্ট দেখতে পাবে। [বুখারী: ৭৪৩৭, মুসলিম: ১৮২] এ সমস্ত হাদীস এবং অন্য আরো বহু হাদীসের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ প্ৰায় সর্বসম্মতভাবেই এ আয়াতের যে অর্থ করেন তাহলো, জান্নাতবাসীগণ আখেরাতে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হবে। কুরআন মজীদের এ আয়াত থেকেও তার সমর্থন পাওয়া যায়। “কক্ষনো নয়, তারা (অর্থাৎ পাপীগণ)” সেদিন তাদের রবের সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হবে। [সূরা আল-মুতাফফিফীন: ১৫] এ থেকে স্বতই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, এ বঞ্চনা হবে পাপীদের জন্য নেককারদের জন্য নয়। [দেখুন: ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৩) তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। [1]

[1] এটা হবে ঈমানদারদের চেহারা। তারা নিজেদের শুভ পরিণামের কারণে বড়ই প্রশান্ত, প্রসন্ন ও দীপ্তিমান হবে। এ ছাড়া তারা আল্লাহর মুখমন্ডল দর্শন লাভেও ধন্য হবে। যা সহীহ হাদীসসমূহে সুসাব্যস্ত এবং আহলে-সুন্নাহর সর্বসম্মত আকীদাও এটাই।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:২৪ وَ وُجُوۡهٌ یَّوۡمَئِذٍۭ بَاسِرَۃٌ ﴿ۙ۲۴﴾

আর সেদিন অনেক মুখমণ্ডল হবে বিবর্ণ-বিষন্ন। আল-বায়ান

কতক মুখ সেদিন বিবর্ণ হবে। তাইসিরুল

কোন কোন মুখমণ্ডল হয়ে পড়বে বিবর্ণ। মুজিবুর রহমান

And [some] faces, that Day, will be contorted, Sahih International

২৪. আর কোন কোন মুখমণ্ডল হয়ে পড়বে বিবর্ণ,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৪) আর বহু মুখমন্ডল হয়ে পড়বে বিবর্ণ। [1]

[1] এ রকম হবে কাফেরদের চেহারা। بَاسِرَةٌ বিবর্ণ, ফ্যাকাসে এবং দুঃখ-দুশ্চিন্তায় কালো ও দীপ্তিহীন হবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ
৭৫:২৫ تَظُنُّ اَنۡ یُّفۡعَلَ بِهَا فَاقِرَۃٌ ﴿ؕ۲۵﴾

তারা ধারণা করবে যে, এক বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত করা হবে। আল-বায়ান

তারা ধারণা করবে যে, তাদের সঙ্গে কোমর-ভাঙ্গা আচরণ করা হবে। তাইসিরুল

এবং এই আশংকায় যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় আসন্ন। মুজিবুর রহমান

Expecting that there will be done to them [something] backbreaking. Sahih International

২৫. আশংকা করবে যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৫) এই ধারণা করবে যে, তাদের সাথে মেরুদন্ড-ভাঙ্গা আচরণ করা হবে। [1]

[1] আর তা এই যে, জাহান্নামে তাদেরকে নিক্ষেপ করা হবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৭ আল-মুরসালাত
৭৭:৭ اِنَّمَا تُوۡعَدُوۡنَ لَوَاقِعٌ ؕ﴿۷﴾

তোমাদেরকে যা কিছুর ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই ঘটবে। আল-বায়ান

তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সংঘটিত হবে। তাইসিরুল

নিশ্চয়ই তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অবশ্যম্ভাবী। মুজিবুর রহমান

Indeed, what you are promised is to occur. Sahih International

৭. নিশ্চয় তোমাদেরকে যে প্ৰতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অবশ্যম্ভাবী।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭) নিশ্চয়ই তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তা অবশ্যম্ভাবী। [1]

[1] শপথ গ্রহণ করার অর্থ হল যে কথার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয় সে কথার গুরুত্বকে শ্রোতাদের কাছে স্পষ্ট করা এবং তার সত্যতাকে প্রকাশ করা। এখানে যে কথার জন্য শপথ করা হয়েছে সে কথা (অথবা কসমের জওয়াব) হল, তোমাদের সাথে কিয়ামতের যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তা অবশ্যই সংঘটিত হবে। অর্থাৎ, এতে সন্দেহ করার কিছু নেই, বরং এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার প্রয়োজন আছে। এই কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে পরের আয়াতগুলোতে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৭ আল-মুরসালাত
৭৭:৮ فَاِذَا النُّجُوۡمُ طُمِسَتۡ ۙ﴿۸﴾

যখন তারকারাজি আলোহীন হবে, আল-বায়ান

যখন নক্ষত্ররাজির আলো বিলুপ্ত হবে, তাইসিরুল

যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত হবে, মুজিবুর রহমান

So when the stars are obliterated Sahih International

৮. যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত করা হবে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮) যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত হবে। [1]

[1] طَمْسٌ এর অর্থ, মিটে যাওয়া এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ, যখন তারকার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে; এমন কি তার কোন চিহ্ন পর্যন্ত থাকবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৭ আল-মুরসালাত
৭৭:৯ وَ اِذَا السَّمَآءُ فُرِجَتۡ ۙ﴿۹﴾

আর আকাশ বিদীর্ণ হবে, আল-বায়ান

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, তাইসিরুল

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, মুজিবুর রহমান

And when the heaven is opened Sahih International

৯. আর যখন আকাশ বিদীর্ণ করা হবে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৯) যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৭ আল-মুরসালাত
৭৭:১০ وَ اِذَا الۡجِبَالُ نُسِفَتۡ ﴿ۙ۱۰﴾

আর যখন পাহাড়গুলি চূর্ণবিচূর্ণ হবে, আল-বায়ান

যখন পবর্তমালা ধুনিত হবে। তাইসিরুল

এবং যখন পর্বতমালা উম্মুলিত ও বিক্ষিপ্ত হবে, মুজিবুর রহমান

And when the mountains are blown away Sahih International

১০. আর যখন পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১০) যখন পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে উড়িয়ে দেওয়া হবে। [1]

[1] অর্থাৎ, সেগুলোকে যমীন থেকে উপড়িয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে এবং তা একেবারে পরিষ্কার ও সমতল হয়ে যাবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৭৭ আল-মুরসালাত
৭৭:১২ لِاَیِّ یَوۡمٍ اُجِّلَتۡ ﴿ؕ۱۲﴾

কোন্ দিনের জন্য এসব স্থগিত করা হয়েছিল? আল-বায়ান

(এ সব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে? তাইসিরুল

এই সমূদয় স্থগিত রাখা হয়েছে কোন দিনের জন্য? মুজিবুর রহমান

For what Day was it postponed? Sahih International

১২. এ-সব স্থগিত রাখা হয়েছে কোন দিনের জন্য?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২) এই সমুদয় বিলম্বিত করা হয়েছে কোন্ দিবসের জন্য? [1]

[1] এখানে জিজ্ঞাসা মাহাত্ম্য ও বিস্ময় প্রকাশের জন্য। অর্থাৎ, কি মহান দিনের জন্য, ঐ নবীদেরকে একত্রিত হওয়ার সময় বিলম্বিত করা হয়েছে; যেদিনের কঠিনতা এবং ভয়াবহতা মানুষের জন্য বড়ই বিস্ময়কর হবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ২৪১ থেকে ২৬০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৮৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 10 11 12 13 14 · · · 17 18 19 20 পরের পাতা »