কিরামান কাতেবীন বিষয়ক আয়াতসমূহ ৩ টি
৮২ আল-ইনফিতার
৮২:১০ وَ اِنَّ عَلَیۡکُمۡ لَحٰفِظِیۡنَ ﴿ۙ۱۰﴾

আর নিশ্চয় তোমাদের উপর সংরক্ষকগণ রয়েছে। আল-বায়ান

অবশ্যই তোমাদের উপর নিযুক্ত আছে তত্ত্বাবধায়কগণ; তাইসিরুল

অবশ্যই রয়েছে তোমাদের উপর সংরক্ষকগণ; মুজিবুর রহমান

And indeed, [appointed] over you are keepers, Sahih International

১০. আর নিশ্চয় নিয়োজিত আছেন তোমাদের উপর সংরক্ষকদল;

-

তাফসীরে জাকারিয়া

১০। অবশ্যই তোমাদের উপর (নিযুক্ত আছে) সংরক্ষকগণ;

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮২ আল-ইনফিতার
৮২:১১ کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾

সম্মানিত লেখকবৃন্দ। আল-বায়ান

সম্মানিত লেখকগণ (যারা লিপিবদ্ধ করছে তোমাদের কার্যকলাপ), তাইসিরুল

সম্মানিত লেখকবর্গ; মুজিবুর রহমান

Noble and recording; Sahih International

১১. সম্মানিত লেখকবৃন্দ;

-

তাফসীরে জাকারিয়া

১১। সম্মানিত (আমল) লেখকবর্গ (ফিরিশতা);

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮২ আল-ইনফিতার
৮২:১২ یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ ﴿۱۲﴾

তারা জানে, যা তোমরা কর। আল-বায়ান

তারা জানে তোমরা যা কর। তাইসিরুল

তারা অবগত হয় যা তোমরা কর। মুজিবুর রহমান

They know whatever you do. Sahih International

১২. তারা জানে তোমরা যা কর।(১)

(১) অর্থাৎ ফেরেশতারা প্রত্যেক ব্যক্তির প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। সব জায়গায় সব অবস্থায় সকল ব্যক্তির সাথে তারা এমনভাবে লেগে আছে যে, তারা জানতেই পারছে না যে, কেউ তাদের কাজ পরিদর্শন করছে। কোন ব্যক্তি কোন নিয়তে কি কাজ করেছে তাও তারা জানতে পারে। তাই তাদের তৈরি করা রেকর্ড একটি পুর্ণাঙ্গ রেকর্ড। এই রেকর্ডের বাইরে কোন কথা নেই। এ সম্পর্কেই সূরা কাহাফের ৪৯ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ “কিয়ামতের দিন অপরাধীরা অবাক হয়ে দেখবে তাদের সামনে যে আমলনামা পেশ করা হচ্ছে তার মধ্যে তাদের ছোট বড় কোন একটি কাজও অলিখিত থেকে যায়নি। যা কিছু তারা করেছিল সব হুবহু ঠিক তেমনিভাবেই তাদের সামনে আনা হয়েছে।” [করতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

১২। তারা জানে, যা তোমরা করে থাক। [1]

[1] অর্থাৎ, তোমরা তো প্রতিদান ও শাস্তিকে অস্বীকার কর। কিন্তু তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, তোমাদের প্রতিটি কথা ও কর্মকে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। আল্লাহর তরফ হতে তোমাদের জন্য ফিরিশতা প্রহরী হিসাবে নিযুক্ত আছে; যারা তোমাদের প্রতিটি কথাকে জানে, যা তোমরা করছ। এটা হল মানুষের জন্য সতর্কবার্তা যে, প্রত্যেক কর্ম করা ও প্রত্যেক কথা বলার পূর্বে চিন্তা-ভাবনা করে দেখ, এটা ভুল নয় তো। আর এটি হল সেই কথা, যা পূর্বে উল্লেখ হয়েছে, (عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْد، مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلاَّ لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْد) অর্থাৎ, এক ফিরিশতা (মানুষের) ডাইনে ও অন্য এক ফিরিশতা (তার) বামে বসে আছে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, (তাই লিপিবদ্ধ করার জন্য) তার কাছে তৎপর প্রহরী প্রস্তুত রয়েছে। (সূরা ক্বাফ ১৭-১৮ নং) অর্থাৎ, লিখার জন্য বলা হয়, একজন ফিরিশতা নেকী ও অন্য একজন ফিরিশতা বদী লিখে থাকেন। আর হাদীস ও আসার দ্বারা বোঝা যায় যে, দিনে তার জন্য দুই ফিরিশতা এবং রাত্রে দুই ফিরিশতা পৃথক পৃথক নির্দিষ্ট থাকেন। পরবর্তীতে নেকী এবং বদী উভয়ের উল্লেখ করা হচ্ছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে