بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
সূরাঃ ৫৬/ আল-ওয়াকিয়া | Al-Waqi'a | سورة الواقعة আয়াতঃ ৯৬ মাক্কী
৫৬ : ৫১ ثُمَّ اِنَّكُمۡ اَیُّهَا الضَّآلُّوۡنَ الۡمُكَذِّبُوۡنَ ﴿ۙ۵۱﴾
ثم انكم ایها الضآلون المكذبون ﴿۵۱﴾
• তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা,

-আল-বায়ান

• তখন হে গুমরাহ (সত্য) প্রত্যাখ্যানকারীরা!

-তাইসিরুল

• অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যা আরোপকারীরা!

-মুজিবুর রহমান

• Then indeed you, O those astray [who are] deniers,

-Sahih International

৫১. তারপর হে বিভ্ৰান্ত মিথ্যারোপকারীরা!

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫১) অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যাজ্ঞানকারীরা!

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫২ لَاٰكِلُوۡنَ مِنۡ شَجَرٍ مِّنۡ زَقُّوۡمٍ ﴿ۙ۵۲﴾
لاكلون من شجر من زقوم ﴿۵۲﴾
• তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে,

-আল-বায়ান

• তোমরা অবশ্যই জাক্কুম গাছ থেকে আহার করবে,

-তাইসিরুল

• তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাক্কুম বৃক্ষ হতে,

-মুজিবুর রহমান

• Will be eating from trees of zaqqum

-Sahih International

৫২. তারা অবশ্যই আহার করবে যাক্কূম গাছ থেকে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫২) তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাক্কুম বৃক্ষ হতে।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৩ فَمَالِـُٔوۡنَ مِنۡهَا الۡبُطُوۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾
فمالـٔون منها البطون ﴿۵۳﴾
• অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।

-আল-বায়ান

• তা দিয়ে তোমরা তোমাদের পেট ভর্তি করবে,

-তাইসিরুল

• এবং ওটা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে,

-মুজিবুর রহমান

• And filling with it your bellies

-Sahih International

৫৩. অতঃপর সেটা দ্বারা তারা পেট পূর্ণ করবে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৩) এবং ওটা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে। [1]

[1] অর্থাৎ, দেখতে অতি বীভৎস খেতে অতি বিস্বাদ ও তিক্ত বৃক্ষের খাদ্য যদিও তোমাদের কাছে অতীব অপ্রীতিকর হবে, তবুও প্রচন্ড ক্ষুধার জ্বালায় তাই দিয়েই তোমাদেরকে উদর পূর্ণ করতে হবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৪ فَشٰرِبُوۡنَ عَلَیۡهِ مِنَ الۡحَمِیۡمِ ﴿ۚ۵۴﴾
فشربون علیه من الحمیم ﴿۵۴﴾
• তদুপরি পান করবে প্রচন্ড উত্তপ্ত পানি।

-আল-বায়ান

• আর তার উপর পান করবে ফুটন্ত পানি,

-তাইসিরুল

• তারপর তোমরা পান করবে অত্যুষ্ণ পানি –

-মুজিবুর রহমান

• And drinking on top of it from scalding water

-Sahih International

৫৪. তদুপরি তারা পান করবে তার উপর অতি উষ্ণ পানি—

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৪) তারপর তোমরা পান করবে ফুটন্ত পানি।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৫ فَشٰرِبُوۡنَ شُرۡبَ الۡهِیۡمِ ﴿ؕ۵۵﴾
فشربون شرب الهیم ﴿۵۵﴾
• অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়।

-আল-বায়ান

• আর তা পান করবে পিপাসা-কাতর উটের মত

-তাইসিরুল

• পান করবে তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়।

-মুজিবুর রহমান

• And will drink as the drinking of thirsty camels.

-Sahih International

৫৫. অতঃপর পান করবে তৃষ্ণার্ত উটের ন্যায়।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৫) পান করবে পিপাসার্ত উটের ন্যায়। [1]

[1] هِيْمٌ হল أَهْيَمٌ এর বহুবচন। সেই পিপাসিত উটদেরকে বলা হয়, যারা বিশেষ এক রোগের কারণে পানির উপর পানি পান করেই যায়, কিন্তু তাদের পিপাসার নিবৃত্তি হয় না। অর্থাৎ, যাক্কুম খাওয়ার পর পানিও ঐভাবে পান করবে না, যেভাবে সাধারণতঃ পান করা হয়। বরং প্রথমতঃ শাস্তি স্বরূপ তোমরা ফুটন্ত পানিই পাবে। দ্বিতীয়তঃ তোমরা সে পানিকে পিপাসার্ত উটের মত পান করেই যাবে; কিন্তু তোমাদের পিপাসা নিবৃত্ত হবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৬ هٰذَا نُزُلُهُمۡ یَوۡمَ الدِّیۡنِ ﴿ؕ۵۶﴾
هذا نزلهم یوم الدین ﴿۵۶﴾
• প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী,

-আল-বায়ান

• প্রতিফল দেয়ার দিনে এই হবে তাদের আপ্যায়ন

-তাইসিরুল

• কিয়ামাত দিবসে ওটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।

-মুজিবুর রহমান

• That is their accommodation on the Day of Recompense.

-Sahih International

৫৬. প্রতিদান দিবসে এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৬) কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আতিথ্য। [1]

[1] মহান আল্লাহ এ কথা ঠাট্টা ও বিদ্রূপ ছলে বলেছেন। অন্যথা আতিথ্য তো তাকেই বলা হয়, যা অতিথির সম্মানে প্রস্তুত ও পেশ করা হয়। এটা ঐ রকমই যেমন কোন কোন স্থানে বলেছেন {فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيْمٍ} ‘‘তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।’’ (সূরা আলে ইমরান ২১)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৭ نَحۡنُ خَلَقۡنٰكُمۡ فَلَوۡ لَا تُصَدِّقُوۡنَ ﴿۵۷﴾
نحن خلقنكم فلو لا تصدقون ﴿۵۷﴾
• আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?

-আল-বায়ান

• আমিই তো তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাহলে তোমরা সত্যকে বিশ্বাস করবে না কেন?

-তাইসিরুল

• আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাহলে কেন তোমরা বিশ্বাস করছনা?

-মুজিবুর রহমান

• We have created you, so why do you not believe?

-Sahih International

৫৭. আমরাই(১) তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন তোমরা বিশ্বাস করছ না?

(১) আলোচ্য আয়াতসমূহে এমন পথভ্রষ্ট মানুষকে হুশিয়ার করা হচ্ছে, যারা মূলত কেয়ামত সংঘটিত হওয়ায় এবং পুনরুজীবনেই বিশ্বাসী নয়। [ইবন কাসীর; কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৭) আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন তোমরা বিশ্বাস করছ না? [1]

[1] অর্থাৎ, তোমরা জান যে, তোমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই। তবুও তোমরা তাঁকে মানছ না কেন? অথবা মৃত্যুর পর পুনর্জীবনের উপর বিশ্বাস করছ না কেন?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৮ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تُمۡنُوۡنَ ﴿ؕ۵۸﴾
افرءیتم ما تمنون ﴿۵۸﴾
• তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীর্যপাত করছ সে সম্পর্কে?

-আল-বায়ান

• তোমরা কি ভেবে দেখেছ- তোমরা যে বীর্য নিক্ষেপ কর,

-তাইসিরুল

• তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?

-মুজিবুর রহমান

• Have you seen that which you emit?

-Sahih International

৫৮. তোমরা ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৮) তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৫৯ ءَاَنۡتُمۡ تَخۡلُقُوۡنَهٗۤ اَمۡ نَحۡنُ الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿۵۹﴾
ءانتم تخلقونهٗ ام نحن الخلقون ﴿۵۹﴾
• তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?

-আল-বায়ান

• তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না তার সৃষ্টিকর্তা আমিই।

-তাইসিরুল

• ওটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?

-মুজিবুর রহমান

• Is it you who creates it, or are We the Creator?

-Sahih International

৫৯. সেটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমরা সৃষ্টি করি?(১)

(১) ছোট্ট এ বাক্যে মানুষের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। মানুষের জন্ম পদ্ধতি তো এছাড়া আর কিছুই নয় যে, পুরুষ তার শুক্র নারীর গর্ভাশয়ে পৌছে দেয় মাত্র। কিন্তু ঐ শুক্রের মধ্যে কি সন্তান সৃষ্টি করার এবং নিশ্চিত রূপে মানুষের সন্তান সৃষ্টি করার যোগ্যতা আপনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে? অথবা মানুষ নিজে সৃষ্টি করেছে? না আল্লাহ সৃষ্টি করেছে? এ যুক্তির সঙ্গত জওয়াব একটিই। তা হচ্ছে, মানুষ পুরোপুরি আল্লাহর সৃষ্টি। [তাবারী, আদওয়াউল-বায়ান]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৯) ওটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি? [1]

[1] অর্থাৎ, স্ত্রীদের সাথে সহবাসের ফলে তোমাদের বীর্যের যে ফোঁটাগুলো তাদের গর্ভে যায়, সেগুলো থেকে মানব আকৃতি আমি বানাই, না তোমরা?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৬ : ৬০ نَحۡنُ قَدَّرۡنَا بَیۡنَكُمُ الۡمَوۡتَ وَ مَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوۡقِیۡنَ ﴿ۙ۶۰﴾
نحن قدرنا بینكم الموت و ما نحن بمسبوقین ﴿۶۰﴾
• আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,

-আল-বায়ান

• তোমাদের মধ্যে মৃত্যু আমিই নির্ধারণ করি, আর আমি কিছুমাত্র অক্ষম নই

-তাইসিরুল

• আমি তোমাদের জন্য মৃত্যু নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই –

-মুজিবুর রহমান

• We have decreed death among you, and We are not to be outdone

-Sahih International

৬০. আমরা তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারিত করেছি(১) এবং আমাদেরকে অক্ষম করা যাবে না—

(১) অর্থাৎ তোমাদেরকে সৃষ্টি করা যেমন আমার ইখতিয়ারে তেমনি তোমাদের মৃত্যুও আমার ইখতিয়ারে। [কুরতুবী] কে মাতৃগর্ভে মারা যাবে, কে ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র মারা যাবে এবং কে কোন বয়সে উপনীত হয়ে মারা যাবে সে সিদ্ধান্ত আমিই নিয়ে থাকি। [ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৬০) আমি তোমাদের জন্য মৃত্যু নির্ধারিত করেছি[1] এবং আমি অক্ষম নই--[2]

[1] অর্থাৎ, প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুকাল আমি নির্ধারিত করে দিয়েছি। তা কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। সুতরাং কেউ শৈশবে, কেউ যৌবনে এবং কেউ বার্ধক্যে মৃত্যুবরণ করে।

[2] অর্থাৎ, আমি অপারগ ও ব্যর্থ নই, বরং আমি সক্ষম।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ৫১ থেকে ৬০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 পরের পাতা »