-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫১. তারপর হে বিভ্ৰান্ত মিথ্যারোপকারীরা!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫১) অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যাজ্ঞানকারীরা!
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫২. তারা অবশ্যই আহার করবে যাক্কূম গাছ থেকে,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫২) তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাক্কুম বৃক্ষ হতে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৩. অতঃপর সেটা দ্বারা তারা পেট পূর্ণ করবে,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৩) এবং ওটা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে। [1]
[1] অর্থাৎ, দেখতে অতি বীভৎস খেতে অতি বিস্বাদ ও তিক্ত বৃক্ষের খাদ্য যদিও তোমাদের কাছে অতীব অপ্রীতিকর হবে, তবুও প্রচন্ড ক্ষুধার জ্বালায় তাই দিয়েই তোমাদেরকে উদর পূর্ণ করতে হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৪. তদুপরি তারা পান করবে তার উপর অতি উষ্ণ পানি—
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৪) তারপর তোমরা পান করবে ফুটন্ত পানি।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৫. অতঃপর পান করবে তৃষ্ণার্ত উটের ন্যায়।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৫) পান করবে পিপাসার্ত উটের ন্যায়। [1]
[1] هِيْمٌ হল أَهْيَمٌ এর বহুবচন। সেই পিপাসিত উটদেরকে বলা হয়, যারা বিশেষ এক রোগের কারণে পানির উপর পানি পান করেই যায়, কিন্তু তাদের পিপাসার নিবৃত্তি হয় না। অর্থাৎ, যাক্কুম খাওয়ার পর পানিও ঐভাবে পান করবে না, যেভাবে সাধারণতঃ পান করা হয়। বরং প্রথমতঃ শাস্তি স্বরূপ তোমরা ফুটন্ত পানিই পাবে। দ্বিতীয়তঃ তোমরা সে পানিকে পিপাসার্ত উটের মত পান করেই যাবে; কিন্তু তোমাদের পিপাসা নিবৃত্ত হবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৬. প্রতিদান দিবসে এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৬) কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আতিথ্য। [1]
[1] মহান আল্লাহ এ কথা ঠাট্টা ও বিদ্রূপ ছলে বলেছেন। অন্যথা আতিথ্য তো তাকেই বলা হয়, যা অতিথির সম্মানে প্রস্তুত ও পেশ করা হয়। এটা ঐ রকমই যেমন কোন কোন স্থানে বলেছেন {فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيْمٍ} ‘‘তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।’’ (সূরা আলে ইমরান ২১)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৭. আমরাই(১) তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন তোমরা বিশ্বাস করছ না?
(১) আলোচ্য আয়াতসমূহে এমন পথভ্রষ্ট মানুষকে হুশিয়ার করা হচ্ছে, যারা মূলত কেয়ামত সংঘটিত হওয়ায় এবং পুনরুজীবনেই বিশ্বাসী নয়। [ইবন কাসীর; কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৭) আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন তোমরা বিশ্বাস করছ না? [1]
[1] অর্থাৎ, তোমরা জান যে, তোমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই। তবুও তোমরা তাঁকে মানছ না কেন? অথবা মৃত্যুর পর পুনর্জীবনের উপর বিশ্বাস করছ না কেন?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৮. তোমরা ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৮) তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৯. সেটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমরা সৃষ্টি করি?(১)
(১) ছোট্ট এ বাক্যে মানুষের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। মানুষের জন্ম পদ্ধতি তো এছাড়া আর কিছুই নয় যে, পুরুষ তার শুক্র নারীর গর্ভাশয়ে পৌছে দেয় মাত্র। কিন্তু ঐ শুক্রের মধ্যে কি সন্তান সৃষ্টি করার এবং নিশ্চিত রূপে মানুষের সন্তান সৃষ্টি করার যোগ্যতা আপনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে? অথবা মানুষ নিজে সৃষ্টি করেছে? না আল্লাহ সৃষ্টি করেছে? এ যুক্তির সঙ্গত জওয়াব একটিই। তা হচ্ছে, মানুষ পুরোপুরি আল্লাহর সৃষ্টি। [তাবারী, আদওয়াউল-বায়ান]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৯) ওটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি? [1]
[1] অর্থাৎ, স্ত্রীদের সাথে সহবাসের ফলে তোমাদের বীর্যের যে ফোঁটাগুলো তাদের গর্ভে যায়, সেগুলো থেকে মানব আকৃতি আমি বানাই, না তোমরা?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬০. আমরা তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারিত করেছি(১) এবং আমাদেরকে অক্ষম করা যাবে না—
(১) অর্থাৎ তোমাদেরকে সৃষ্টি করা যেমন আমার ইখতিয়ারে তেমনি তোমাদের মৃত্যুও আমার ইখতিয়ারে। [কুরতুবী] কে মাতৃগর্ভে মারা যাবে, কে ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র মারা যাবে এবং কে কোন বয়সে উপনীত হয়ে মারা যাবে সে সিদ্ধান্ত আমিই নিয়ে থাকি। [ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬০) আমি তোমাদের জন্য মৃত্যু নির্ধারিত করেছি[1] এবং আমি অক্ষম নই--[2]
[1] অর্থাৎ, প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুকাল আমি নির্ধারিত করে দিয়েছি। তা কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। সুতরাং কেউ শৈশবে, কেউ যৌবনে এবং কেউ বার্ধক্যে মৃত্যুবরণ করে।
[2] অর্থাৎ, আমি অপারগ ও ব্যর্থ নই, বরং আমি সক্ষম।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান