-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১. কাফ-হা-ইয়া-আঈন-সোয়াদ;(১)
(১) এ শব্দগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা সূরা আল-বাকারার শুরুতে করা হয়েছে।
তাফসীরে জাকারিয়া(১) কা-ফ হা ইয়া আ’ইন স্বা-দ।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. এটা আপনার রব-এর অনুগ্রহের বিবরণ তার বান্দা যাকারিয়্যার(১) প্রতি,
(১) হাদীসে এসেছে, যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম কাঠ-মিস্ত্রির কাজ করতেন। [মুসলিম: ২৩৭৯] এতে বুঝা গেল যে, নবী-রাসূলগণ জীবিকা অর্জনের জন্য বিভিন্ন কারিগরি পেশা অবলম্বন করতেন। তারা কখনো অপরের উপর বোঝা হতেন না।
তাফসীরে জাকারিয়া(২) এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর দাস যাকারিয়ার[1] প্রতি।
[1] যাকারিয়া (আঃ) বানী ইস্রাঈলের একজন নবী ছিলেন। তিনি ছিলেন ছুতোর এবং এই পেশাই ছিল তাঁর জীবিকার একমাত্র উপায়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. যখন তিনি তার রবকে ডেকেছিলেন নিভৃতে,(১)
(১) এতে জানা গেল যে, দোআ অনুচ্চস্বরে ও গোপনে করাই উত্তম। কাতাদা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্ৰ মন জানেন এবং গোপন শব্দ শুনেন। [তাবারী] তিনি যে দোআ করেছিলেন তা-ই পরবর্তী আয়াতে বর্ণিত হচ্ছে। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করেছিল গোপনে। [1]
[1] গোপনে আহবান বা দু’আ এই জন্যই করেছিলেন যে, প্রথমতঃ এইভাবে দু’আ আল্লাহর নিকট বেশী পছন্দনীয়। কারণ এর মধ্যে কাকুতি-মিনতি বেশী প্রকাশ পায়। দ্বিতীয়তঃ লোকে যাতে তাকে বোকা না ভাবে যে, এই বৃদ্ধ বয়সে সন্তান চাচ্ছে; যখন সন্তান হওয়ার সকল প্রকার বাহ্যিক সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. তিনি বলেছিলেন, হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে(১), বার্ধক্যে আমার মাথা শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে(২); হে আমার রব! আপনাকে ডেকে আমি কখনো ব্যৰ্থকাম হইনি।(৩)
(১) অস্থির দুর্বলতা উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, অস্থিই দেহের খুঁটি। অস্থির দুর্বলতা সমস্ত দেহের দুর্বলতার নামান্তর। [ফাতহুল কাদীর]
(২) اشتعل এর শাব্দিক অর্থ, প্রজ্জ্বলিত হওয়া, এখানে চুলের শুভ্রতাকে আগুনের আলোর সাথে তুলনা করে তা সমস্ত মস্তকে ছড়িয়ে পড়া বোঝানো হয়েছে। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]
(৩) এখানে দো'আর পূর্বে যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম তার দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেছেন। এর একটি কারণ এই যে, এমতাবস্থায় সন্তান না আসাই স্বাভাবিক। এখানে দ্বিতীয় কারণ এটাও যে, দোআ করার সময় নিজের দুর্বলতা, দুর্দশা ও অভাবগ্রস্থতা উল্লেখ করা দো'আ কবুল হওয়ার পক্ষে সহায়ক। [কুরতুবী] তারপর বলছেন যে, আপনাকে ডেকে আমি কখনও ব্যৰ্থকাম হইনি। আপনি সবসময় আমার দোআ কবুল করেছেন। [কুরতুবী; ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয় আমার অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে, আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে;[1] হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে আহবান করে আমি কখনো ব্যর্থকাম হইনি।[2]
[1] যেভাবে জ্বালানী আগুনে জলে উঠে সেইভাবে আমার মাথা সাদা চুলে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এর অর্থঃ বার্ধক্য ও দুর্বলতার প্রকাশ।
[2] সেই জন্যই বাহ্যিক সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও আমি তোমার নিকট সন্তান চাচ্ছি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. আর আমি আশংকা করি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে; আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। কাজেই আপনি আপনার কাছ থেকে আমাকে দান করুন উত্তরাধিকারী,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) নিশ্চয় আমি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের ব্যাপারে আশংকা করি।[1] আর আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, সুতরাং তুমি তোমার নিকট হতে[2] আমাকে দান কর একজন উত্তরাধিকারী।
[1] এই আশংকার অর্থ এই যে, যদি আমার কোন উত্তরাধিকারী আমার ওয়ায ও উপদেশের দায়িত্ব গ্রহণ না করে, তাহলে আমার স্বগোত্রীয় আত্মীয়দের মধ্যে তো কেউ এর যোগ্য নেই। আর এর ফলস্বরূপ হয়তো আমার আত্মীয়রা তোমার রাস্তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
[2] ‘তোমার নিকট হতে’ এর অর্থ যদিও আমার বাহ্যিক সন্তান-সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে, তবুও তুমি তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে একটি সন্তান দান কর। (যে আমার ওয়ারেস ও উত্তরাধিকারী হবে।)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. যে আমার উত্তরাধিকারিত্ব করবে(১) এবং উত্তরাধিকারিত্ব করবে ইয়াকুবের বংশের(২) এবং হে আমার রব! তাকে করবেন সন্তোষভাজন।
(১) আলেমদের মতে, এখানে উত্তরাধিকারিত্বের অর্থ নবুওয়াত-রিসালত তথা ইলমের উত্তরাধিকার। আর্থিক উত্তরাধিকারিত্ব নয়। কেননা, প্রথমতঃ যাকারিয়্যার কাছে এমন কোন অর্থ সম্পদ ছিল বলেই প্রমাণ নেই, যে কারণে চিন্তিত হবেন যে, এর উত্তরাধিকারী কে হবে। একজন পয়গম্বরের পক্ষে এরূপ চিন্তা করাও অবান্তর। এছাড়া যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম নিজে কাঠ-মিস্ত্রি ছিলেন। নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কাঠ-মিস্ত্রির কাজের মাধ্যমে এমন সম্পদ আহরণ করা সম্ভব হয় না যার জন্য চিন্তা করতে হয়। দ্বিতীয়ত: সাহবায়ে কেরামের ইজমা তথা ঐকমত্য সম্বলিত এক হাদীসে বলা হয়েছেঃ “নিশ্চিতই আলেমগণ পয়গম্বরগণের ওয়ারিশ। পয়গম্বরগণ কোন দীনার ও দিরহাম রেখে যান না; বরং তারা ইলম ও জ্ঞান ছেড়ে যান। যে ব্যক্তি ইলম হাসিল করে, সে বিরাট সম্পদ হাসিল করে।”- [আবু দাউদ: ৩৬৪১, ইবনে মাজহ: ২২৩, তিরমিযী: ২৬৮২]
তৃতীয়ত: স্বয়ং আলোচ্য আয়াতে এর (يَرِثُنِي وَيَرِثُ مِنْ آلِ يَعْقُوبَ) বাক্যের যোগ এরই প্রমাণ যে, এখানে আর্থিক উত্তরাধিকারিত্ব বোঝানো হয়নি। কেননা, যে পুত্রের জন্মলাভের জন্যে দোআ করা হচ্ছে, তার পক্ষে ইয়াকুব আলাইহিস সালামের উত্তরাধিকার হওয়াই যুক্তিযুক্ত কিন্তু তাদের নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনরা যাদের উল্লেখ আয়াতে করা হয়েছে, তারা নিঃসন্দেহে আত্মীয়তায় ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম থেকে অধিক নিকটবর্তী। নিকটবর্তী আত্মীয় রেখে দূরবর্তীর উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করা উত্তরাধিকার আইনের পরিপন্থী। [ইবন কাসীর]
(২) অর্থাৎ আমি কেবলমাত্র নিজের উত্তরাধিকারী চাই না বরং ইয়াকুব বংশের যাবতীয় কল্যাণের উত্তরাধিকারী চাই। সে নবী হবে যেমন তার পিতৃপুরুষরা যেভাবে নবী হয়েছে। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) যে উত্তরাধিকারী হবে আমার এবং উত্তরাধিকারী হবে ইয়াকূবের বংশের। আর হে আমার প্রতিপালক! তাকে তুমি সন্তোষভাজন কর।’
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. তিনি বললেন, হে যাকারিয়্যা! আমরা আপনাকে এক পুত্ৰ সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া; এ নামে আগে আমরা কারো নামকরণ(১) করিনি।
(১) سَمِيًّا শব্দের অর্থ সমনামও হয় এবং সমতুল্যও হয়। এখানে প্রথম অর্থ নেয়া হলে আয়াতের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট যে, তার পূর্বে ইয়াহইয়া নামে কারও নামকরণ করা হয়নি। [তাবারী] নামের এই অনন্যতা ও অভূতপূর্বতাও কতক বিশেষ গুণে তাঁর অনন্যতার ইঙ্গিতবহ ছিল। কাতাদা রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ ইয়াহইয়া অর্থ জীবিতকরণ, তিনি এমন এক বান্দা যাকে আল্লাহ ঈমানের মাধ্যমে জীবন্ত রেখেছিলেন। [তাবারী]
পক্ষান্তরে যদি দ্বিতীয় অর্থ নেয়া হয় তখন উদ্দেশ্য হবে, তার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল যা তার পূর্ববর্তী নবীগণের কারও মধ্যে ছিল না। সেসব বিশেষ গুণে তিনি তুলনাহীন ছিলেন। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] এতে জরুরী নয় যে, ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম পূর্ববর্তী নবীদের চাইতে সর্বাবস্থায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন। কেননা, তাদের মধ্যে ইবরাহীম খলীলুল্লাহ ও মূসা কলীমুল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকৃত ও সুবিদিত।
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) তিনি বললেন, ‘হে যাকারিয়া! অবশ্যই আমি তোমাকে একজন পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি; তার নাম হবে য়্যাহয়্যা; এই নামে আমি পূর্বে কারো নামকরণ করিনি।’ [1]
[1] আল্লাহ তাআলা শুধু তাঁর দু’আই কবুল করলেন না; বরং সন্তানের নামও ঠিক করে দিলেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. তিনি বললেন, হে আমার রব! কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ সীমায় উপনীত!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি।’ [1]
[1] عاقِر ঐ মহিলাকে বলা হয় যে বার্ধক্যের কারণে সন্তান জন্মাতে সক্ষম নয়, আর ঐ মহিলাকেও বলা যায়, যে প্রথম হতেই বন্ধ্যা। এখানে দ্বিতীয় অর্থে ব্যবহার হয়েছে। যে কাঠ শুকিয়ে যায় তাকে عِتي বলা হয়। এখানে অর্থ বার্ধক্যের শেষ পর্যায়, যখন শরীরের গোশত শুকিয়ে যায়। বলার উদ্দেশ্য হল, আমার স্ত্রী তো যৌবন কাল হতেই বন্ধ্যা, আর আমিও বৃদ্ধ ব্যক্তি। এখন আমাদের সন্তান হবে কিভাবে? কথিত আছে যাকারিয়া (আঃ)-এর স্ত্রীর নাম ছিল আশা’ বিনতে ফাক্বূদ বিন মীল। ইনি ছিলেন মারয়্যামের মা হান্নার বোন। কিন্তু সঠিক কথা হল আশা’ও মারয়্যামের পিতা ইমরানেরই কন্যা ছিলেন। অতএব (মারয়্যাম ও আশা’ দুই বোন এবং) য়্যাহয়্যা (আঃ) ও ঈসা (আঃ) আপোসে খালাতো ভাই। যেমন সহীহ হাদীসেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। (ফাতহুল কাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. তিনি বললেন, এরূপই হবে। আপনার রব বললেন, এটা আমার জন্য সহজ; আমি তো আগে আপনাকে সৃষ্টি করেছি। যখন আপনি কিছুই ছিলেন না।(১)
(১) অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে অস্তিত্ব প্ৰদান করা এটা তো মহান আল্লাহরই কাজ। তিনি ব্যতীত কেউ কি সেটা করতে পারে? তিনি যখন চাইলেন তখন বন্ধ্যা যুগলের ঘরে এমন অনন্য নাম ও গুণসম্পন্ন সন্তান প্রদান করলেন। এভাবে আল্লাহ্ তা'আলা সবকিছুকেই অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে অস্তিত্বে নিয়ে আসেন। এর জন্য শুধু তাঁর ইচ্ছাই যথেষ্ট। মহান আল্লাহ বলেনঃ “মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমরা তাকে আগে সৃষ্টি করেছি। যখন সে কিছুই ছিল না?” [সূরা মারইয়াম: ৬৭] আরও বলেনঃ “কালপ্রবাহে মানুষের উপর তো এমন এক সময় এসেছিল যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না।” [সূরা আল-ইনসান: ১] [দেখুন, ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) তিনি বললেন, ‘এই রূপই হবে; তোমার প্রতিপালক বললেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য; আমি তো পূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।’ [1]
[1] ফিরিশতাগণ যাকারিয়া (আঃ)-এর বিস্ময় এই বলে দূর করলেন যে, আল্লাহ তোমাকে পুত্র সন্তান দেওয়ার ব্যাপারে ফায়সালা করে ফেলেছেন এবং তা তিনি অবশ্যই তোমাকে দান করবেন। আর আল্লাহর পক্ষে এটা মোটেই অসম্ভব নয়; কারণ যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন যখন তুমি কিছুই ছিলে না, তিনি তোমাকে বাহ্যিক কারণ না থাকা সত্ত্বেও সন্তান দিতে সক্ষম।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. যাকারিয়্যা বললেন, হে আমার রব! আমাকে একটি নিদর্শন দিন। তিনি বললেন, আপনার নিদর্শন এ যে, আপনি সুস্থ(১) থাকা সত্বেও কারো সাথে তিন দিন কথাবার্তা বলবেন না।
(১) سَوِيًّا শব্দের অর্থ সুস্থ। শব্দটি একথা বোঝানোর জন্য যুক্ত করা হয়েছে যে, যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম এর কোন মানুষের সাথে কথা না বলার এ অবস্থাটি কোন রোগবশতঃ ছিল না। এ কারণেই আল্লাহর যিকর ও ইবাদতে তার জিহবা তিন দিনই পূর্ববৎ খোলা ছিল; বরং এ অবস্থা মু'জেযা ও গর্ভসঞ্চারের নিদর্শন স্বরূপই প্রকাশ পেয়েছিল। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) যাকারিয়া বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি নিদর্শন দাও!’ তিনি বললেন, ‘তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কারো সাথে ক্রমাগত তিন রাত্রি (দিন) বাক্যালাপ করবে না।’ [1]
[1] রাত্রি বলতে দিন-রাত্রি উভয়কেই বোঝানো হয়েছে। سَوِيَّا অর্থ বিলকুল নীরোগ, সুস্থ। অর্থাৎ তোমার এমন কোন ব্যাধি হবে না, যার ফলে তুমি কথা বলতে পারবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমার মুখ দিয়ে কথা না বের হলে তুমি জেনে নিও যে, সুসংবাদের সময় নিকটবর্তী।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান