-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) এগুলি সুস্পষ্ট গ্রন্থের আয়াত।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. তারা মুমিন হচ্ছে না বলে আপনি হয়ত মনোকষ্টে আত্মঘাতী হয়ে পড়বেন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) ওরা বিশ্বাস করে না বলে তুমি হয়তো মনঃকষ্টে আত্মঘাতী হয়ে পড়বে। [1]
[1] নবী (সাঃ)-এর অন্তরে মানুষের প্রতি যে মমতা এবং তাদের হিদায়াতের জন্য তাঁর অন্তরে যে ব্যাকুলতা অনুভব করতেন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এখানে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. আমরা ইচ্ছে করলে আসমান থেকে তাদের কাছে এক নিদর্শন নাযিল করতাম, ফলে সেটার প্রতি তাদের ঘাড় অবনত হয়ে পড়ত।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) আমি ইচ্ছা করলে আকাশ হতে ওদের নিকট এক নিদর্শন প্রেরণ করতে পারি, ফলে তার প্রতি তাদের ঘাড় নত হয়ে পড়বে।[1]
[1] অর্থাৎ, যাকে মান্য না করে ও যার উপর ঈমান না এনে কোন উপায় থাকবে না। কিন্তু এরূপ করলে বাধ্য করার প্রশ্ন উঠত। যেহেতু আমি মানুষকে ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতা দান করেছি; যাতে তাদের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সেই কারণে আমি এ ধরনের নিদর্শন অবতীর্ণ করা হতেও বিরত থেকেছি; যাতে আমার নিয়ম প্রভাবিত না হয়। আর শুধুমাত্র নবী-রসূল প্রেরণ ও কিতাসমূহ অবতীর্ণ করাই যথেষ্ট হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. আর যখনই তাদের কাছে দয়াময়ের কাছ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) যখনই ওদের নিকট পরম দয়াময়ের কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই ওরা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছে। কাজেই তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তার প্রকৃত বার্তা তাদের কাছে শীঘ্রই এসে পড়বে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) ওরা অবশ্যই মিথ্যাজ্ঞান করেছে। সুতরাং ওরা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত, তার বার্তা শীঘ্রই এসে পড়বে। [1]
[1] অর্থাৎ, মিথ্যাজ্ঞান করার পরিণামস্বরূপ আমার শাস্তি অবশ্যই তাদেরকে পাকড়াও করবে, যাকে তারা অসম্ভব মনে করে ঠাট্টা ও উপহাস করছে। এ শাস্তি পৃথিবীতেও সম্ভব, যেমন বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে। অন্যথা আখেরাতে তা থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। ঠাট্টা-বিদ্রূপের বার্তা আসার কথা বলা হয়েছে, মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। কারণ প্রথমতঃ ঠাট্টা-বিদ্রূপে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ও মিথ্যা ভাবা দুই শামিল। আর দ্বিতীয়তঃ ঠাট্টা-বিদ্রূপ মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ও মিথ্যাজ্ঞান করার চাইতে বড় অপরাধ। (ফাতহুল কাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. তারা কি যমীনের দিকে লক্ষ্য করে না? আমরা তাতে প্ৰত্যেক প্রকারের অনেক উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদগত করেছি!(১)
(১) زَوْجٍ এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে যুগল। এ কারণেই পুরুষ ও স্ত্রী, নর ও নারীকে زَوْجٍ বলা হয়। অনেক বৃক্ষের মধ্যেও নর ও নারী থাকে, সেগুলোকে এদিক দিয়ে زَوْجٍ বলা যায়। কোন সময় এ শব্দটি বিশেষ প্রকার ও শ্রেণীর অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এ হিসাবে বৃক্ষের প্রত্যেক প্রকারকে زَوْجٍ যায়। كريم শব্দের অর্থ উৎকৃষ্ট ও পছন্দনীয় বস্তু। [দেখুন: আদওয়াউল বায়ান, কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) ওরা কি পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি ওতে সর্বপ্রকার উৎকৃষ্ট কত উদ্ভিদ উদ্গত করেছি! [1]
[1] زَوج এর দ্বিতীয় অর্থ এখানে প্রকার বা শ্রেণী করা হয়েছে। অর্থাৎ, নানান প্রকার জিনিস উৎপন্ন করেছি যা উৎকৃষ্ট; অর্থাৎ মানুষের জন্য কল্যাণকর ও উপকারী। যেমন শস্য, ফলমূল ও জীবজন্তু ইত্যাদি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. নিশ্চয় এতে আছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) নিশ্চয় ওতে আছে নিদর্শন, [1] কিন্তু ওদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [2]
[1] অর্থাৎ, যখন মহান আল্লাহ মৃত মাটি হতে এ সমস্ত জিনিস উৎপন্ন করতে পারেন, তখন তিনি কি মানুষকে পুনর্বার সৃষ্টি করতে পারবেন না?
[2] অর্থাৎ, তাঁর এ মহাশক্তি দেখার পরও বেশীর ভাগ লোক আল্লাহ তথা রসূলকে মিথ্যাজ্ঞান করে ঈমান আনে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. আর নিশ্চয় আপনার রব, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) এবং নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালকই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [1]
[1] অর্থাৎ, প্রত্যেক বস্তুর উপর তাঁর প্রভুতত্ত্ব ও কর্তৃতত্ত্ব রয়েছে তথা প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি সর্বতোভাবে সক্ষম; কিন্তু যেহেতু তিনি দয়াবান, সেহেতু তিনি হঠাৎ ধরে বসেন না। বরং পূর্ণ অবকাশ দেন ও তারপর পাকড়াও করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব মূসাকে ডেকে বললেন, আপনি যালিম সম্প্রদায়ের কাছে যান,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মূসাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়ের নিকট যাও; [1]
[1] এটা প্রভুর ঐ সময়কার আহবান যখন মূসা (আঃ) মাদয়্যান হতে নিজ পরিবারসহ ফিরছিলেন। রাস্তায় তাপ গ্রহণের জন্য আগুনের প্রয়োজন বোধ হলে আগুনের খোঁজে তূর পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে এক অদৃশ্য আহবান তাঁকে অভ্যর্থনা জানায় এবং নবুঅত দানে ধন্য করা হয়। আর অত্যাচারীদের প্রতি আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান