-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১. সোয়াদ(১), শপথ উপদেশপূর্ণ কুরআনের!
(১) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, এই সূরার প্রাথমিক আয়াতগুলো কাফের-মুশরিক ও তাদের সেই মজলিসের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। অর্থাৎ আবু তালিব ও আবু জাহলসহ কুরাইশ কাফেরদের অন্যান্য নেতৃবর্গের প্রস্তাব সম্পর্কিত ঘটনা। যখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়েছিল [মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৪৩২] এ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পিতব্য আবু তালেব ইসলাম গ্ৰহণ না করা সত্বেও ভ্রাতুস্পপুত্রের পূর্ণ দেখা-শোনা ও হেফাযত করে যাচ্ছিলেন। তিনি যখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন কোরাইশ সরদাররা এক পরামর্শসভায় মিলিত হল।
এতে আবু জাহল, আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব, আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস ও অন্যান্য সরদার যোগদান করল। তারা পরামর্শ করল যে, আবু তালেব রোগাক্রান্ত। যদি তিনি মারা যান এবং তার অবর্তমানে আমরা মুহাম্মদ-এর বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি, তবে আরবের লোকেরা আমাদেরকে দোষারোপ করার সুযোগ পাবে। বলবে: আবু তালেবের জীবদ্দশায় তো তারা মুহাম্মদ-এর কেশগ্রও স্পর্শ করতে পারল না, এখন তার মৃত্যুর পর তাকে উৎপীড়নের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তাই আমরা আবু তালেব জীবিত থাকতেই তার সাথে মুহাম্মদ এর ব্যাপারে একটা মীমাংসায় উপনীত হতে চাই, যাতে সে আমাদের দেব-দেবীর নিন্দাবাদ পরিত্যাগ করে। সেমতে তারা আবু তালেবের কাছে গিয়ে বললঃ আপনার ভ্রাতুস্পপুত্র আমাদের উপাস্য দেব-দেবীর নিন্দা করে।
আবু তালেব রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মজলিসে ডেকে এনে বললেনঃ ভ্রাতুস্পপুত্র, এ কোরাইশ সরদাররা তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে, তুমি নাকি তাদের উপাস্য দেব-দেবীর নিন্দা কর। তাদেরকে তাদের ধর্মে ছেড়ে দাও এবং তুমি আল্লাহর ইবাদত করে যাও। অবশেষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ চাচাজন, “আমি কি তাদেরকে এমনি বিষয়ের প্রতি দাওয়াত দেবো না, যাতে তাদের মঙ্গল রয়েছে?” আবু তালেব বললেনঃ সে বিষয়টি কি? তিনি বললেনঃ আমি তাদেরকে এমন একটি কালেমা বলতে চাই, যার বদৌলতে সমগ্র আরব তাদের সামনে মাথা নত করবে এবং তারা সমগ্ৰ অনারবদের অধীশ্বর হয়ে যাবে। একথা শুনে আবু জাহল বলে উঠল: বল, সে কলেমা কি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ”। একথা শুনে সবাই পরিধেয় বস্ত্র ঝেড়ে উঠে দাঁড়াল এবং বললঃ আমরা কি সমস্ত দেব-দেবীকে পরিত্যাগ করে মাত্র একজনকে অবলম্বন করব? এ যে, বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার! এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে সূরা ছোয়াদের আলোচ্য আয়াতগুলো নাযিল হয়। [দেখুন: তিরমিযী: ৩২৩২. আত-তাফসীরুস সহীহ ৪/২১৭]
তাফসীরে জাকারিয়া(১) স্বা-দ, শপথ উপদেশপূর্ণ কুরআনের![1] (তুমি অবশ্যই সত্যবাদী)।
[1] যাতে তোমাদের জন্য সর্ব প্রকার নসীহত এবং এমন কথা আলোচনা হয়েছে, যার দ্বারা তোমাদের ইহকাল ও পরকাল উভয়ই শুধরে যাবে। অনেকে ذِي الذِّكر -এর অর্থঃ মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের অধিকারী করেছেন। ইমাম ইবনে কাসীর বলেন, দুটি অর্থই ঠিক। কারণ কুরআন মর্যাদারও অধিকারী এবং মু’মিন ও মুত্তাক্বীদের জন্য উপদেশ ও শিক্ষণীয় গ্রন্থও বটে। এখানে শপথের উত্তর ঊহ্য আছে, আর তা হল, আসল কথা তা নয় যা মক্কার কাফেররা বলে; তারা বলে মুহাম্মাদ জাদুকর, কবি বা মিথ্যুক। বরং তিনি আল্লাহর সত্য রসূল; যাঁর উপর এই মর্যাদাময় কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. বরং কাফিররা ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় নিপতিত আছে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) কিন্তু অবিশ্বাসীরা ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় ডুবে আছে। [1]
[1] অর্থাৎ, এই কুরআন অবশ্যই সন্দেহমুক্ত এবং এর দ্বারা যারা শিক্ষা অর্জন করতে চায় তাদের জন্য নসীহত। তবে এর দ্বারা কাফেরদের কোন উপকার হয় না। কারণ তাদের মনে অহংকার ও গর্ব আছে এবং অন্তরে আছে শত্রুতা ও বিরোধিতা। عِزَّة -শব্দটির অর্থ হয়ঃ সত্যের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. এদের আগে আমরা বহু জনগোষ্ঠী ধ্বংস করেছি; তখন তারা আর্ত চীৎকার করেছিল। কিন্তু তখন পরিত্রাণের কোনই সময় ছিল না।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) এদের পূর্বে আমি কত জনপদ ধ্বংস করেছি;[1] তখন ওরা সাহায্যের জন্য চীৎকার করেছিল। কিন্তু ওদের পরিত্রাণের কোনই উপায় ছিল না।[2]
[1] যারা এদের থেকে অনেক পরাক্রমশালী ও শক্তিশালী ছিল। কিন্তু অবিশ্বাস ও অস্বীকার করার জন্য তাদেরকে মন্দ ফল ভোগ করতে হয়।
[2] অর্থাৎ, তারা আল্লাহর শাস্তি প্রত্যক্ষ করার পর সাহায্যের জন্য ডেকেছিল এবং তওবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তখন না ছিল তওবা কবুল হওয়ার সময়, আর না ছিল পালানোর কোন পথ। ফলে না তাদের ঈমান উপকারে আসে, আর না পালিয়ে শাস্তি থেকে রক্ষা পায়। لات শব্দটি আসলে কেবল لا এখানে ت অক্ষরটি বাড়তি সংযুক্ত হয়েছে; যেমন ثَمَّ তে যুক্ত হয়ে ثَمَّةَ বলা হয়। مَنَاص - نَاصَ يَنُوْصُ এর ক্রিয়ামূল, যার অর্থ হল পলায়ন করা ও পিছে হটা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. আর তারা বিস্ময় বোধ করছে যে, এদের কাছে এদেরই মধ্য থেকে একজন সতর্ককারী আসল এবং কাফিররা বলে, এ তো এক জাদুকর(১), মিথ্যাবাদী৷
(১) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য জাদুকর শব্দটি তারা যে অর্থে ব্যবহার করতো তা হচ্ছে এই যে, তিনি মানুষকে এমন কিছু জাদু করতেন যার ফলে তারা পাগলের মতো তাঁর পেছনে লেগে থাকতো। কোন সম্পর্কচ্ছেদ করার বা কোন প্রকার ক্ষতির মুখোমুখি হবার কোন পরোয়াই তারা করতো না। পিতা পুত্ৰকে এবং পুত্র পিতাকে ত্যাগ করতো। স্ত্রী স্বামীকে ত্যাগ করতো এবং স্বামী স্ত্রী থেকে আলাদা হয়ে যেতো। হিজরাত করার প্রয়োজন দেখা দিলে একেবারে সবকিছু সম্পর্ক ত্যাগ করে স্বদেশভূমি থেকে বের হয়ে পড়তো। কারবার শিকেয় উঠুক এবং সমস্ত জ্ঞাতিভাইরা বয়কট করুক কোনদিকেই দৃষ্টিপাত করতো না। কঠিন থেকে কঠিনতর শারীরিক কষ্টও বরদাশত করে নিতো কিন্তু ঐ ব্যক্তির পেছনে চলা থেকে বিরত হতো না। [দেখুন: কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) এদের নিকট এদেরই মধ্য হতে একজন সতর্ককারী এল;[1] এতে এরা বিস্ময়বোধ করল এবং অবিশ্বাসীরা বলল, ‘এ তো এক যাদুকর, মিথ্যাবাদী!
[1] অর্থাৎ, তাদের মতই একজন মানুষ কিভাবে রসূল হয়ে গেলেন!
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. সে কি বহু ইলাহকে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? এটা তো এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে? এ তো এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার।’[1]
[1] অর্থাৎ, এক আল্লাহই সারা বিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী, তাঁর কোন অংশীদার নেই। অনুরূপ প্রার্থনা, কুরবানী, নযর-নিয়ায প্রভৃতি ইবাদতেরও অধিকারী একমাত্র তিনিই -এসব তাদের জন্য অতি আশ্চর্যের বিষয় ছিল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. আর তাদের নেতারা এ বলে সরে পড়ে যে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের দেবতাগুলোর পূজায় তোমরা অবিচলিত থাক। নিশ্চয় এ ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) ওদের প্রধানেরা এ বলে সরে পড়ল, ‘তোমরা চল এবং তোমাদের দেবতাগুলির পূজায় তোমরা অবিচলিত থাক।[1] নিশ্চয়ই এটি কোন উদ্দেশ্যমূলক। [2]
[1] অর্থাৎ, নিজের ধর্মের উপর অটল থাক এবং মূর্তিপূজা করতে থাক, মুহাম্মাদের কথায় কান দিয়ো না!
[2] অর্থাৎ, সে আসলে আমাদেরকে আমাদের উপাস্য থেকে দূরে সরিয়ে তাঁর অনুসারী বানাতে এবং নিজের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব মানাতে চাচ্ছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
* তাদের জন্য সর্বশেষ ধর্ম ছিল খৃস্টধর্ম। কারো কারো মতে তা ছিল কুরাইশদের ধর্ম।
৭. আমরা তো অন্য ধর্মাদর্শে(১) এরূপ কথা শুনিনি; এটা এক মনগড়া উক্তি মাত্র।
(১) অন্য ধর্মদর্শ বলে কি বুঝানো হয়েছে এ ব্যাপারে মতভেদ আছে। ইবনে আব্বাস থেকে এক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, এখানে সর্বশেষ মিল্লাত নাসারাদের দ্বীনকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। অপর বর্ণনা মতে এখানে কুরাইশদের পুর্বপুরুষদের দ্বান বুঝানো হয়েছে। [কুরতুবী, বাগভী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) আমরা শেষ ধর্মাদর্শে এরূপ কথা শুনিনি;[1] এটি এক মনগড়া উক্তি। [2]
[1] শেষ বা পূর্ব ধর্মাদর্শ বলতে তাদেরই কুরাইশী ধর্মাদর্শ অথবা খ্রিষ্টান ধর্মকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, মুহাম্মাদ যে তাওহীদের দাওয়াত দিচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে অন্য কোন ধর্মে শ্রবণ করিনি।
[2] অর্থাৎ, এই প্রকার তাওহীদ তাঁর নিজের মনগড়া, তাছাড়া খ্রিষ্টান ধর্মেও আল্লাহর সাথে অন্যকে উপাস্য হওয়াতে অংশীদার মানা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. আমাদের মধ্যে কি তারই উপর যিকর (বাণী) নাযিল হল? প্রকৃতপক্ষে তারা তো আমার বাণীতে (কুরআনে) সন্দিহান। বরং তারা এখনো আমার শাস্তি আস্বাদন করেনি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) আমরা এত লোক থাকতে কি তারই ওপর কুরআন অবতীর্ণ করা হল?’[1] ওরা তো প্রকৃতপক্ষে আমার কুরআনে সন্দিহান,[2] ওরা এখনও আমার শাস্তি আস্বাদন করেনি। [3]
[1] অর্থাৎ, মক্কাতে অনেক বড় বড় সর্দার ও নেতাগণ আছেন, যদি আল্লাহ কাউকে নবী বানাতে চাইতেন তবে তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নিয়ে বানাতেন। তাঁদেরকে বাদ দিয়ে অহী ও রিসালাতের জন্য মুহাম্মাদকে চয়ন করা আশ্চর্যের ব্যাপার! ঠিক যেন তারা আল্লাহর চয়নে ভুল বের করল। এটা সত্য যে, কাজের ইচ্ছা না থাকলে বিভিন্ন বাহানা দেওয়া হয়। অন্য স্থানেও এই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন দেখুনঃ সূরা যুখরুফের ৩১-৩২ আয়াত।
[2] অর্থাৎ, তাদের অস্বীকার এই জন্য নয় যে, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সত্যবাদিতার জ্ঞান তাদের নিকটে ছিল না অথবা তাঁর সুস্থ বিবেক-বুদ্ধির ব্যাপারে তারা সন্দিহান ছিল। বরং আসলে তারা সেই অহীর উপরে সন্দেহ পোষণ করত, যা তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল, যার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল তাওহীদের দাওয়াত।
[3] কারণ শাস্তি আস্বাদন করলে এমন স্পষ্ট বস্তুকে অস্বীকার ও মিথ্যা মনে করত না। আর যখন তারা সেই অস্বীকারের শাস্তি সত্যই আস্বাদন করবে, তখন এমন সময় হবে যে, না তাদের সবীকারোক্তি কাজে আসবে, আর না ঈমান কোন উপকারে আসবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. নাকি তাদের কাছে আছে আপনার রবের অনুগ্রহের ভাণ্ডার, যিনি পরাক্রমশালী, মহান দাতা?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) ওদের নিকট কি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের ভান্ডার আছে, যিনি পরাক্রমশালী, মহাদাতা?[1]
[1] অতএব তারা যাকে ইচ্ছা দেবে, আর যাকে ইচ্ছা দেবে না, আর সেই ভান্ডারের একটি সম্পদ নবুঅতও? পক্ষান্তরে যদি তা না হয়, বরং প্রভুর অনুগ্রহের ভান্ডারের মালিক সেই মহাদাতা হন; যিনি অতি দানশীল, তাহলে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবুঅতকে তারা অস্বীকার করে কেন? যা সেই মহাদাতা প্রভু তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে তাঁকে দান করেছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. নাকি তাদের কর্তৃত্ব আছে আসমানসমূহ ও যমীন এবং এ দুয়ের অন্তর্বতী সমস্ত কিছুর উপর? থাকলে, তারা কোন উপায় অবলম্বন করে আরোহণ করুক!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) ওদের কি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং ওদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর (উপর) সার্বভৌমত্ব আছে? থাকলে, ওরা মাধ্যমযোগে (আকাশে) আরোহণ করুক! [1]
[1] অর্থাৎ, আকাশে উঠে সেই অহী বন্ধ করে দিক, যা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর প্রতি অবতীর্ণ হয়। أسباب শব্দটি سَبَب এর বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ হলঃ ঐ সকল বস্তু যার মাধ্যমে নিজ অভীষ্ট পর্যন্ত পৌঁছনো যায়, তাতে সে যে কোন বস্তুই হোক। যার ফলে তার বিভিন্ন অর্থ করা হয়েছে। (এর ব্যাপক অর্থঃ মাধ্যম।) রশি ছাড়া আর একটি দ্বিতীয় অর্থ ‘দরজা’ও করা হয়েছে। যে দরজা দিয়ে ফিরিশতাগণ পৃথিবীতে অবতরণ করেন। অর্থাৎ সিঁড়ির সাহায্যে আকাশের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে যাও এবং অহী আসা বন্ধ করে দাও। (ফাতহুল ক্বাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান