-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১. হা-মীম।(১)
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক জেহাদের রাত্রিকালীন হেফাযতের জন্যে বলেছিলেন, রাত্রিতে তোমরা আক্রান্ত হলে حم لا يُنْصَرَوْنَ পড়ে নিও। অৰ্থাৎ হা-মীম শব্দ দ্বারা দোআ করতে হবে যে, শত্রুরা সফল না হোক। কোন কোন রেওয়ায়েতে حم لا يُنْصَرُ (নুন ব্যতিরেকে) বর্ণিত আছে। এর অর্থ এই যে, তোমরা হা-মীম-বললে শত্রুরা সফল হবে না। এ থেকে জানা গেল যে, হা-মীম শক্ৰ থেকে হেফাযতের দুর্গ। [তিরমিযী ১৬৮২, আবু দাউদ ২৫৭৯]
তাফসীরে জাকারিয়া(১) হা, মীম।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. এ কিতাব নাযিল হয়েছে আল্লাহর কাছ থেকে যিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ—
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) এ গ্রন্থ পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ[1] আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ হয়েছে--[2]
[1] তিনি পরাক্রমশালীঃ তাঁর শক্তি ও প্রতাপের সামনে কেউ লেজ হিলাতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞঃ তাঁর নিকটে অণুপরিমাণ কোন বস্তুও গুপ্ত নয়; যদিও তা অতি মোটা কোন পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকে।
[2] تَنْزِيْلٌ হল مُنَزِّلٌ এর অর্থে। অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে, যাতে মিথ্যার কোন অবকাশ নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. পাপ ক্ষমাকারী, তাওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তি প্রদানকারী, অনুগ্রহ বৰ্ষনকারী। তিনি ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই। ফিরে যাওয়া তারই কাছে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) যিনি পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী,[1] কঠোর শাস্তিদাতা,[2] অনুগ্রাহী।[3] তিনি ব্যতীত (সত্যিকার) কোন উপাস্য নেই। প্রত্যাবর্তন তাঁরই নিকট।
[1] বিগত পাপসমূহ ক্ষমাকারী এবং ভবিষ্যতে হতে পারে এমন ভুল-ত্রুটির জন্য তওবা কবুলকারী। অথবা তাঁর বন্ধুদের জন্য ক্ষমাকারী এবং মুশরিক ও কাফেররা যদি তওবা করে, তবে তাদের জন্য তা কবুলকারী।
[2] কঠোর শাস্তিদাতা তাদের জন্য, যারা আখেরাতের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দিয়েছে এবং আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ ও সীমালঙ্ঘনের পথ অবলম্বন করেছে। এটা আল্লাহর এই কথার মতই, ﴿نَبِّئْ عِبَادِي أَنِّي أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ، وَأَنَّ عَذَابِي هُوَ الْعَذَابُ الْأَلِيمُ﴾ ‘‘তুমি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দাও যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু, এবং এটাও যে, আমার শাস্তি কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’’ (সূরা হিজর ৪৯-৫০) কুরআন কারীমে বেশীরভাগ স্থানে এই উভয় গুণ পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে মানুষ ভয় ও আশার মধ্যে থাকে। কেননা, শুধু ভয় মানুষকে আল্লাহর রহমত ও তাঁর ক্ষমা লাভ হতে নিরাশ করে দিতে পারে। আর কেবল আশা মানুষকে পাপকাজে উৎসাহিত করতে পারে।
[3] طَوْلٌ এর অর্থ, সচ্ছলতা, ধনবত্তা। অর্থাৎ, তিনিই সচ্ছলতা ও ধনবত্তা দানকারী। কেউ কেউ বলেছেন, এর অর্থ, পুরস্কার ও অনুগ্রহ। অর্থাৎ, তিনি স্বীয় বান্দাদেরকে পুরস্কৃত ও তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. আল্লাহর আয়াতসমূহে বিতর্ক কেবল তারাই করে যারা কুফরী করেছে; কাজেই দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন আপনাকে ধোকায় না ফেলে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) কেবল অবিশ্বাসীরাই আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্বন্ধে বিতর্ক করে,[1] সুতরাং দেশে-দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে বিভ্রান্ত না করে।[2]
[1] এই বিতর্ক থেকে অবৈধ ও বাতিল বিতর্ক বুঝানো হয়েছে। যে বিতর্কের উদ্দেশ্য হয় সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করা এবং তা খন্ডন ও ভুল প্রমাণিত করতে চেষ্টা করা। নচেৎ, যে তর্ক-বিতর্কের উদ্দেশ্য হয় সত্য স্পষ্ট করা, বাতিল খন্ডন করা এবং অস্বীকারকারী ও অভিযোগ উপস্থাপনকারীদের সংশয়-সন্দেহ নিরসন করা, সে বিতর্ক নিন্দিত নয়, বরং তা প্রশংসনীয় ও বাঞ্ছনীয় কর্ম। এমন কি উলামাগণকে এর প্রতি তাকীদ করা হয়েছে। ﴿لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلا تَكْتُمُونَهُ﴾ ‘‘তোমরা তা মানুষের নিকট অবশ্যই বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না।’’ (সূরা আলে ইমরান ১৮৭ আয়াত) আল্লাহর নাযিল করা কিতাবের দলীলসমূহ ও প্রমাণাদিকে গোপন করা এত বড় অপরাধ যে, তার উপর বিশ্বজাহানের প্রতিটি জিনিস অভিসম্পাত করে। (সূরা বাক্বারাহ ১৫৯ আয়াত) তাদের সাথে সদ্ভাবে বিতর্ক কর। (সূরা নাহল ১২৫ আয়াত)
[2] অর্থাৎ, এই কাফের ও মুশরিকরা যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে, তার জন্য যে তারা বিভিন্ন শহরে যাতায়াত করে প্রচুর লাভ অর্জন করে, কিন্তু এরা নিজেদের কুফরীর কারণে অতি সত্বর আল্লাহর কাছে ধরা খাবে। এদেরকে অবকাশ অবশ্য দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এইভাবে বৃথা ছেড়ে দেওয়া হবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. তাদের আগে নূহের সম্প্রদায় এবং তাদের পরে অনেক দলও মিথ্যারোপ করেছিল। প্রত্যেক উম্মত নিজ নিজ রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং তারা অসার তর্কে লিপ্ত হয়েছিল, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে। দেয়ার জন্য। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কত কঠোর ছিল আমার শাস্তি!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) এদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও নবীগণকে মিথ্যাবাদী বলেছিল এবং তাদের পরে অন্যান্য দলও। প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ রসূলকে নিরস্ত করার অভিসন্ধি করেছিল[1] এবং ওরা সত্যকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য অসার যুক্তি-তর্কে লিপ্ত হয়েছিল,[2] ফলে আমি ওদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কত কঠোর ছিল আমার শাস্তি! [3]
[1] যাতে তাঁকে বন্দী অথবা হত্যা করে কিংবা শাস্তি দেয়।
[2] অর্থাৎ, তাদের রসূলদের সাথে তারা ঝগড়া করেছিল। যাতে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সত্য কথার দোষ বের করা এবং তাকে দুর্বল করে দেওয়া।
[3] সুতরাং আমি বাতিলের ঐ সমর্থকদেরকে আমার আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম। অতএব তোমরা দেখে নাও, তাদের উপর আমার আযাব কিভাবে এসেছিল এবং কিভাবে তাদেরকে ভুল অক্ষর মুছার মত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হল বা উপদেশের প্রতীক বানিয়ে দেওয়া হল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. আর যারা কুফরী করেছে, এভাবেই তাদের উপর সত্য হল আপনার রবের বাণী যে, এরা জাহান্নামী।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) এভাবে অবিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে তোমার প্রতিপালকের বাণী সত্য হল; নিশ্চয় এরা জাহান্নামী।[1]
[1] এ থেকে উদ্দেশ্য হল এ কথা জানিয়ে দেওয়া যে, যেভাবে বিগত জাতির প্রতি তোমার প্রতিপালকের আযাব সুসাব্যস্ত হয়েছে এবং তাদেরকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, মক্কার এই কাফেররাও যদি তোমাকে মিথ্যাজ্ঞান করা ও তোমার বিরোধিতা করা থেকে ফিরে না আসে এবং মিথ্যা তর্ক ত্যাগ না করে, তবে এরাও তাদের মত আল্লাহর আযাব দ্বারা পাকড়াও হবে এবং এদের রক্ষাকারী কেউ থাকবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চারপাশে আছে, তারা তাদের রাবের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্ৰশংসার সাথে এবং তার উপর ঈমান রাখে, আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের রব! আপনি দয়া ও জ্ঞান দ্বারা সবকিছুকে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অবলম্বন করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন। আর জাহান্নামের শাস্তি হতে আপনি তাদের রক্ষা করুন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চারিপাশ ঘিরে আছে তারা তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা প্রশংসার সাথে ঘোষণা করে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং বিশ্বাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী; অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর। [1]
[1] এখানে নিকটতম ফিরিশতাদের একটি বিশেষ দল এবং তাঁদের কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই দলটি সেই ফিরিশতাদের, যাঁরা আল্লাহর আরশ তুলে ধরে আছেন এবং তাঁদের, যাঁরা তার চারিপাশে আছেন। এদের একটি কাজ হল, এঁরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর প্রশংসা করেন। অর্থাৎ, তাঁকে সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন, তাঁর পরিপূর্ণতা ও গুণাবলীকে তাঁর জন্য সাব্যস্ত করেন এবং তাঁর সামনে অসহায়তা ও বিনয় (অর্থাৎ ঈমান) প্রকাশ করেন। এঁদের দ্বিতীয় কাজ হল, এঁরা ঈমানদারদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বলা হয় যে, আরশ বহনকারী ফিরিশতার সংখ্যা হল চার। কিন্তু কিয়ামতের দিন তাঁদের সংখ্যা হবে আট। (ইবনে কাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. হে আমাদের রবা! আর আপনি তাদেরকে প্রবেশ করান স্থায়ী জান্নাতে যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের পিতামাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও ৷ নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী, প্ৰজ্ঞাময়।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)।[1] নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
[1] অর্থাৎ, এদের সকলকে জান্নাতের একই জায়গায় স্থান দাও; যাতে একে অপরকে দেখে তাদের চক্ষু শীতল হয়। এই বিষয়কে অন্যত্র আল্লাহ পাক এইভাবে বর্ণনা করেছেন, وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ ‘‘যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তুান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করব না।’’ (সূরা ত্বূরঃ ২১) অর্থাৎ, সকলকে জান্নাতে এমনভাবে একত্রিত করে দেবেন যে, নিম্নমানের জান্নাতীকেও উচ্চ মান দান করবেন। এ রকম করবেন না যে, উচ্চ মান কম করে নিম্নমানে নিয়ে আসবেন। বরং নিম্নমানের জান্নাতীকে উচ্চ মান দান করবেন এবং তার আমলের ঘাটতিকেও স্বীয় অনুগ্রহ ও দয়া দ্বারা পূরণ করে দেবেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. আর আপনি তাদেরকে অপরাধের শাস্তি হতে রক্ষা করুন। সেদিন আপনি যাকে (অপরাধের) খারাপ পরিণতি হতে রক্ষা করবেন, তাকে অবশ্যই অনুগ্রহ করবেন; আর এটাই মহাসাফল্য!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) এবং তুমি তাদেরকে শাস্তি হতে রক্ষা কর।[1] সেদিন তুমি যাকে শাস্তি হতে রক্ষা করবে তাকে তো দয়াই করবে। আর এটিই তো মহাসাফল্য।’ [2]
[1] سَيِّئات (পাপরাশি) বলতে এখানে তার শাস্তি বুঝানো হয়েছে। অথবা جَزَاء শব্দ ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, তাদেরকে পাপরাশির (শাস্তি) থেকে, অর্থাৎ আখেরাতের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে নাও।
[2] অর্থাৎ, আখেরাতের আযাব থেকে পরিত্রাণ পেয়ে যাওয়া এবং জান্নাতে প্রবেশ লাভ করাই হল সবচেয়ে বড় সফলতা। কারণ, এর মত আর কোন সফলতা নেই এবং এর তুলনায় আর কোন মুক্তি নেই। এই আয়াতগুলোতে ঈমানদারদের জন্য রয়েছে দু’টি মহা সুসংবাদ। একটি হল, ফিরিশতাগণ তাদের জন্য তাদের অদৃশ্যে দু’আ করেন (যার বড় ফযীলতের কথা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।)। দ্বিতীয়টি হল, ঈমানদারদের পরিবারের লোকেরা জান্নাতে এক সাথে বাস করবে। جَعَلَنَا اللهُ مِنَ الَّذِيْنَ يُلْحِقُهُمُ اللهُ بِآبَائِهِمُ الصَّالِحِيْنَ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে তাদেরকে উচ্চ কণ্ঠে বলা হবে, তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের অসন্তোষের চেয়ে আল্লাহ্র অসন্তোষ ছিল অধিকতর— যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি ডাকা হয়েছিল কিন্তু তোমরা তার সাথে কুফরী করেছিলে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) অবিশ্বাসীদেরকে উচ্চকণ্ঠে বলা হবে, ‘তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লাহর ক্ষোভ ছিল অধিক; যখন তোমাদেরকে বিশ্বাস স্থাপন করতে বলা হয়েছিল এবং তোমরা তা অস্বীকার করেছিলে।’ [1]
[1] مَقْتٌ চরম অসন্তুষ্টিকে বলা হয়। কাফেররা যখন নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হতে দেখবে, তখন তারা নিজেদের উপর চরম অসন্তুষ্ট ও ক্ষোভিত হবে। তখন তাদেরকে বলা হবে যে, দুনিয়াতে যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি দাওয়াত দেওয়া হত এবং তোমরা তা অস্বীকার করতে, তখন মহান আল্লাহ এর থেকেও অনেক বেশী তোমাদের উপর অসন্তুষ্ট হতেন, যেমন আজ তোমরা নিজেদের উপর হচ্ছ। আর তোমাদের আজ জাহান্নামে যাওয়াও আল্লাহর সেই অসন্তুষ্টির ফল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান