-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ;
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) সুস্পষ্ট গ্রন্থের শপথ।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. নিশ্চয় আমরা এটাকে (অবতীর্ণ) করেছি আরবী (ভাষায়) কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) আমি এ অবতীর্ণ করেছি কুরআনরূপে আরবী ভাষায়, [1] যাতে তোমরা বুঝতে পার।
[1] যেহেতু তা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম ভাষা। দ্বিতীয়তঃ প্রাথমিক পর্যায়ে সম্বোধন আরবদেরকেই করা হয়েছে। তাই তাদের ভাষাতেই কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। যাতে তারা বুঝতে চাইলে যেন সহজে বুঝতে পারে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. আর নিশ্চয় তা আমাদের কাছে উম্মুল কিতাবে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, হিকমতপূর্ণ।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) নিশ্চয় এ আমার নিকট মূল গ্রন্থে (লাওহে মাহফূযে সুরক্ষিত) মহান, প্রজ্ঞাময়।[1]
[1] এখানে কুরআন কারীমের সেই মাহাত্ম্য ও মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে, যা ঊর্ধ্ব জগতে (মহান আল্লাহর) নিকট রয়েছে। যাতে নিম্ন জগদ্বাসীরাও এর মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের প্রতি খেয়াল রেখে প্রকৃতার্থে যেন তার প্রতি গুরুত্ব দেয় এবং তা থেকে হিদায়াতের সেই উদ্দেশ্য সাধন করে, যার জন্য তাকে দুনিয়াতে অবতীর্ণ করা হয়েছে। أُمُّ الْكِتَابِ বলতে ‘লাওহে মাহফূয’কে বুঝানো হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. আমরা কি তোমাদের থেকে এ উপদেশবাণী সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেব এ কারণে যে, তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় বলে কি আমি তোমাদের নিকট হতে উপদেশ-বাণী (কুরআন) প্রত্যাহার করে নেব? [1]
[1] এর বিভিন্ন অর্থ করা হয়েছে। যেমন,
(ক) তোমরা যেহেতু পাপসমূহে একেবারে মেতে আছ এবং অব্যাহতভাবে তা করেই যাচ্ছ বলে কি তোমরা ভেবে নিয়েছ যে, আমি তোমাদেরকে ওয়ায-নসীহত করা ছেড়ে দেব?
(খ) অথবা তোমাদের কুফরী ও সীমাতিক্রম করার জন্য আমি তোমাদেরকে কিছুই বলব না এবং আমি তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেব।
(গ) আমি তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেব এবং তোমাদেরকে না কোন জিনিসের নির্দেশ দেব, আর না কোন জিনিস থেকে নিষেধ করব।
(ঘ) তোমরা যেহেতু কুরআনের উপর ঈমান আনছ না, তাই আমি কুরআন অবতীর্ণ করার ধারাই বন্ধ করে দেব। প্রথম অর্থকে ইমাম ত্বাবারী এবং শেষোক্ত অর্থকে ইমাম ইবনে কাসীর পছন্দ করে বলেন যে, এটা আল্লাহর অপার অনুগ্রহ যে, তিনি কল্যাণ ও ‘যিকর হাকীম’ (কুরআন) এর প্রতি দাওয়াত দেওয়ার ধারাবাহিকতা বন্ধ করে দেননি, যদিও তারা বিমুখ হওয়া এবং অস্বীকার করার ব্যাপারে সীমাতিক্রম করছিল। যাতে যার ভাগ্যে হিদায়াত নির্ধারিত আছে, সে যেন তার মাধ্যমে হিদায়াত গ্রহণ করে নেয় এবং যাদের ভাগ্যে দুর্দশা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে, তাদের উপর হুজ্জত কায়েম হয়ে যায়।
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. আর পূর্ববর্তীদের কাছে আমরা বহু নবী প্রেরণ করেছিলাম।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) পূর্ববর্তীদের নিকট আমি বহু রসূল প্রেরণ করেছি।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. আর যখনই তাদের কাছে কোন নবী এসেছে তারা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) এবং যখনই ওদের নিকট কোন নবী এসেছে, তখন ওরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. ফলে যারা এদের চেয়ে শক্তিতে প্রবল ছিল তাদেরকে আমরা ধ্বংস করেছিলাম; আর গত হয়েছে পূর্ববর্তীদের অনুরূপ দৃষ্টান্ত।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) ওদের মধ্যে যারা এদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল ছিল[1] তাদেরকে আমি ধ্বংস করেছিলাম; আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত ঘটে গেছে। [2]
[1] অর্থাৎ, মক্কাবাসীদের থেকেও বেশী শক্তিশালী ছিল। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, {كَانُوْا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَأَشَدَّ قُوَّةً} ‘‘তারা এদের চেয়েও সংখ্যায় ও শক্তিতে অনেক বেশী ছিল।’’ (সূরা মু’মিন ৮২ আয়াত)
[2] অর্থাৎ, কুরআন মাজীদে সেই সম্প্রদায়দের কথা অথবা তাদের গুণাবলী একাধিকবার উল্লিখিত হয়েছে। এতে মক্কাবাসীদের জন্য এইভাবে ধমক দেওয়া হয়েছে যে, পূর্বের জাতিরা রসূলদেরকে মিথ্যাজ্ঞান করার কারণে বিনাশপ্রাপ্ত হয়েছে। এরাও যদি মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রিসালাতকে মিথ্যা মনে করাতে অটল থাকে, তবে তাদের ন্যায় এরাও ধ্বংস হয়ে যাবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো তো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) তুমি যদি ওদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘কে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? ওরা অবশ্যই বলবে, এগুলিকে সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)।’ [1]
[1] কিন্তু এই স্বীকারোক্তির পরেও ঐ সৃষ্ট ব্যক্তি-বস্তুরই মধ্য হতে অনেককেই এই মূর্খরা আল্লাহর অংশীদার বানিয়ে নিয়েছে। এতে তাদের অপরাধ যে বড়ই সাংঘাতিক ও জঘন্য ছিল সে কথা বর্ণিত হয়েছে এবং তাদের নির্বুদ্ধিতা ও মুর্খতার কথাও প্রকাশ হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বানিয়েছেন শয্যা(১) এবং তাতে বানিয়েছেন তোমাদের চলার পথ(২), যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার;
(১) উদ্দেশ্য এই যে, পৃথিবীর বাহ্যিক আকার শয্যা বা বিছানার মত এবং এতে বিছানার অনুরূপ আরাম পাওয়া যায়। সুতরাং এটা গোলাকার হওয়ার পরিপন্থী নয়। অন্যান্য স্থানেও পৃথিবীকে বিছানা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। [সূরা ত্বা-হা: ৫৩, সূরা আন নাবা: ৬] লক্ষণীয় যে, যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা হচ্ছে, مهد শব্দটির এক অর্থ হচ্ছে, সুস্থির বিছানা বা শয্যা। অপর অর্থ হচ্ছে, দোলনা। অর্থাৎ একটি শিশু যেভাবে তার দোলনার মধ্যে আরামে শুয়ে থাকে মহাশূন্যে ভাসমান এই বিশাল গ্রহকে তোমাদের জন্য তেমনি আরামের জায়গা বানিয়ে দিয়েছেন। [ইবনে কাসীর, জালালাইন, আয়সার আত-তাফসির]
(২) ভূ-পৃষ্ঠে পাহাড়ের মাঝে গিরিপথ এবং পাহাড়ী ও সমতল ভূমি অঞ্চলে নদী হচ্ছে সেই সব প্রাকৃতিক পথ যা আল্লাহ তৈরী করেছেন। [তাবারী, সা'দী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন শয্যাস্বরূপ[1] এবং ওতে করেছেন তোমাদের চলার পথ, যাতে তোমরা সঠিক পথ লাভ করতে পার। [2]
[1] এমন শয্যা বা বিছানা যা স্থির ও স্থিতিশীল। তোমরা এর উপর চলাফেরা কর, দন্ডায়মান হও, নিদ্রা যাও এবং যেখানে ইচ্ছা যাতায়াত কর। তিনি এটাকে পর্বতমালা দ্বারা সুদৃঢ় করে দিয়েছেন; যাতে তা নড়াচড়া না করে।
[2] অর্থাৎ, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের জন্য রাস্তা বানিয়ে দিয়েছেন। যাতে কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য তোমরা যাওয়া-আসা করতে পার।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান