-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১. সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১) সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। [1]
[1] الحَاقَّةُ কিয়ামতের নামসমূহের অন্যতম নাম। এই দিনে আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে এবং এ দিনও বাস্তবে সংঘটিত হবে। এই জন্য এটাকে الحَاقَّةُ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. কী সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) কী সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা? [1]
[1] এটি শাব্দিক প্রশ্নবাচক হলেও উদ্দেশ্য হল, কিয়ামতের দিনের ভয়ঙ্করতা ও ভয়াবহতার কথা বর্ণনা করা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. আর কিসে আপনাকে জানাবে সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) কিসে তোমাকে জানাল সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী? [1]
[1] অর্থাৎ, কিসের মাধ্যমে তুমি এর পূর্ণ বাস্তবতা সম্পর্কে অবহিত হতে পার? উদ্দেশ্য এ জ্ঞানের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন। অর্থাৎ, তোমার এ ব্যাপারে জ্ঞান নেই। কেননা, তুমি এখন তা না দেখেছ, আর না তার ভয়াবহতা পরিদর্শন করেছ। এ হল সৃষ্টিকুলের জ্ঞানের আওতা-বহির্ভূত। (ফাতহুল ক্বাদীর) কোন কোন আলেম বলেন, কুরআনে যে ব্যাপারেই অতীতকালের ক্রিয়াপদ وَمَآ أَدْرَاكَ ব্যবহার করে প্রশ্ন করা হয়েছে, তার উত্তর দিয়ে ব্যাখ্যা বর্ণনা করে দেওয়া হয়েছে। আর যে ব্যাপারে ভবিষ্যৎকালের ক্রিয়াপদ وَمَا يُدْريْكَ ব্যবহার করে প্রশ্ন করা হয়েছে, উত্তরের মাধ্যমে তার জ্ঞান বা ব্যাখ্যা মানুষকে জানানো হয়নি। (ফাতহুল ক্বাদীর, আয়সারুত্ তাফাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. সামূদ ও আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল ভীতিপ্ৰদ মহাবিপদ সম্পর্কে।(১)
(১) الْقَارِعَة শব্দটি قرع শব্দ থেকে উৎপন্ন। قرع শব্দের অর্থ আরবী ভাষায় খট্খট শব্দ করা, হাতুড়ি পিটিয়ে শব্দ করা, কড়া নেড়ে শব্দ করা এবং একটি জিনিসকে আরেকটি জিনিস দিয়ে আঘাত করা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কেয়ামত যেহেতু সব মানুষকে অস্থির ও ব্যাকুল করে দেবে এবং সমগ্র আকাশ ও পৃথিবীকে ছিন্ন-বিছিন্ন করে দেবে, তাই একে قَارِعَة বলা হয়েছে। তাছাড়া কিয়ামতের পূর্বাহ্নে যে মহাশব্দের মধ্যে তার সুত্রপাত হবে এখানে সেদিকেও ইঙ্গিত রয়েছে। [দেখুন: কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) সামূদ ও আ’দ সম্প্রদায় মিথ্যাজ্ঞান করেছিল মহাপ্রলয়কে।[1]
[1] এখানে কিয়ামতকে القَارِعة (ঠকঠক্কারী) বলা হয়েছে। যেহেতু মহাপ্রলয় কিয়ামত নিজ ভয়াবহতায় মানুষের হৃদয়কে জাগ্রত করে তুলবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. অতঃপর সামূদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্ৰলয়ংকর বিপর্যয়কারী প্ৰচণ্ড চীৎকার দ্বারা।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) সুতরাং সামূদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ঙ্কর গর্জন দ্বারা। [1]
[1] طَاغِيَةٌ হল সীমাহীন বিকট শব্দ। অর্থাৎ, নেহাতই ভয়ঙ্কর মহাগর্জন দ্বারা সামুদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করা হয়েছিল। যেমন পূর্বেও বহু স্থানে এ কথা আলোচিত হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. আর আদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা(১),
(১) رِيحٍ صَرْصَرٍ এর অর্থ অত্যধিক শৈত্যসম্পন্ন প্রচন্ড বাতাস। [মুয়াসাসার]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) আর আ’দ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচন্ড ঝড়ো-হাওয়া দ্বারা। [1]
[1] صَرْصَرٍ এর অর্থ হল অত্যধিক হিমশীতল প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া। عَاتِيَةٍ দুর্দান্ত উগ্র, যা দমন করা যায় না। অর্থাৎ, প্রচন্ড বেগবান ঝড়, আয়ত্তে আনা যায় না এমন হিমশীতল হাওয়া দ্বারা হূদ (আঃ)-এর জাতি আ’দকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. যা তিনি তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন সাতরাত ও আটদিন বিরামহীনভাবে; তখন আপনি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখতেন—তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে সারশূন্য খেজুর কাণ্ডের ন্যায়।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) যা তিনি তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন সাত রাত আট দিন অবিরামভাবে,[1] তখন (দেখলে) তুমি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখতে, তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে সারশূন্য খেজুর কান্ডের ন্যায়। [2]
[1] حَسْمٌ অর্থ হল কাটা এবং পৃথক পৃথক করে দেওয়া। কেউ কেউ حُسُومًا অর্থ করেছেন, লাগাতার, অবিরামভাবে।
[2] এ থেকে তাদের সুদীর্ঘ দেহের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। خَاوِيَةٌ শব্দের অর্থ হল শূন্য/খালি। প্রাণহীন দেহকে সারশূন্য খেজুর গাছের গুঁড়ির সাথে তুলনা করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. অতঃপর তাদের কাউকেও আপনি বিদ্যমান দেখতে পান কি?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) অতঃপর তাদের কাউকেও তুমি বিদ্যমান দেখতে পাও কি?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. আর ফিরআউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টিয়ে দেয়া জনপদ পাপাচারে লিপ্ত ছিল।(১)
(১) مُؤْتَفِكَات এর এক অর্থ উল্টে দেয়া, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। অন্য অর্থ পরস্পরের মিশ্রিত ও মিলিত। লুত আলাইহিস সালাম এর সম্প্রদায়ের বস্তিসমূহকে مُؤْتَفِكَات বলা হয়েছে। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) আর ফিরআউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টে যাওয়া বস্তিবাসীরা (লূত সম্প্রদায়) [1] পাপ করেছিল।
[1] উল্টে যাওয়া বস্তিবাসীরা বলতে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. অতঃপর তারা তাদের রবের রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে তিনি তাদেরকে পাকড়াও করলেন—কঠোর পাকড়াও।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) তারা তাদের প্রতিপালকের রসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে তিনি তাদেরকে অতি কঠোরভাবে পাকড়াও করলেন। [1]
[1] رَابِيَةٌ শব্দটি رَبَا يَرْبُو থেকে গঠিত। যার অর্থ হলঃ অতিরিক্ত। অর্থাৎ, তাদেরকে এমনভাবে পাকড়াও করেছিলেন যে, তা অন্য সম্প্রদায়ের পাকড়াও অপেক্ষা অতিরিক্ত কঠোর ছিল। অর্থাৎ, এদেরকে সর্বাধিক কঠোরভাবে পাকড়াও করা হয়েছিল। এ থেকে أَخْذَةً رَّابِيَةً এর অর্থ দাঁড়ালঃ অতীব কঠিন পাকড়াও।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান