-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
*মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।
১. তিনি ভ্ৰকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন(১),
(১) عبس শব্দের অর্থ রুষ্টতা অবলম্বন করা এবং চোখে মুখে বিরক্তি প্ৰকাশ করা। تولى শব্দের অর্থ মুখ ফিরিয়ে নেয়া। [জালালাইন]
তাফসীরে জাকারিয়া১। সে ভ্রূ কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
* আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূম
২. কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি আসল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া২। যেহেতু তার নিকট অন্ধ লোকটি আগমন করেছিল। [1]
[1] ইবনে উম্মে মাকতূমের আগমনে নবী (সাঃ) এর চেহারায় যে বিরক্তিভাব ফুটে উঠেছিল তাকে عبس শব্দ দ্বারা এবং তাঁর অমনোযোগী হওয়াকে تولى শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. আর কিসে আপনাকে জানাবে যে, —সে হয়ত পরিশুদ্ধ হত,
-
তাফসীরে জাকারিয়া৩। কিসে জানাবে তোমাকে, হয়তো বা সে পরিশুদ্ধ হত। [1]
[1] অর্থাৎ, সেই অন্ধ ব্যক্তি তোমার নিকট থেকে দ্বীনী পথনির্দেশ লাভ করে সৎকর্ম করত যার কারণে তার চরিত্র ও কর্ম সুন্দর হত, তার আভ্যন্তরীণ অবস্থাও শুদ্ধ হয়ে যেত এবং তোমার নসীহত শুনে সে উপকৃত হতে পারত।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. অথবা উপদেশ গ্ৰহণ করত, ফলে সে উপদেশ তার উপকারে আসত।(১)
(১) অর্থাৎ আপনি কি জানেন এই সাহাবী যা জিজ্ঞেস করেছিল তা তাকে শিক্ষা দিলে সে তা দ্বারা পরিশুদ্ধ হতে পারত কিংবা কমপক্ষে আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করে উপকার লাভ করতে পারত। [দেখুন: মুয়াস্সার; সাদী]
তাফসীরে জাকারিয়া৪। অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে তা তার উপকারে আসত।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. আর যে পরোয়া করে না,
-
তাফসীরে জাকারিয়া৫। পক্ষান্তরে যে লোক বেপরোয়া, [1]
[1] অর্থাৎ বেপরোয়া ঈমান থেকে এবং সেই জ্ঞান থেকে যা তোমার কাছে আল্লাহর তরফ হতে এসেছে। অথবা এ আয়াতের দ্বিতীয় অর্থ হল যে, যে অভাবশূন্য ও ধনী।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. আপনি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া৬। তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিলে। [1]
[1] এতে নবী (সাঃ)-কে অধিক সতর্ক করা হয়েছে যে, বিশুদ্ধচিত্তদেরকে ছেড়ে বৈমুখদের জন্য মনোযোগ ব্যয় করা ঠিক নয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. অথচ সে নিজে পরিশুদ্ধ না হলে আপনার কোন দায়িত্ব নেই,
-
তাফসীরে জাকারিয়া৭। অথচ সে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার কোন দোষ নেই। [1]
[1] কেননা, তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। সুতরাং এই শ্রেণীর কাফেরদের পিছনে পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. অপরদিকে যে আপনার কাছে ছুটে এলো,
-
তাফসীরে জাকারিয়া৮। পক্ষান্তরে যে তোমার নিকট ছুটে এল, [1]
[1] এই আশা করে যে, তুমি তাকে মঙ্গলের প্রতি পথ প্রদর্শন করবে এবং ওয়ায-নসীহত দ্বারা উপদেশ প্রদান করবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. আর সে সসঙ্কচিত্ত,
-
তাফসীরে জাকারিয়া৯। সভয় মনে, [1]
[1] অর্থাৎ, আল্লাহর ভয়ও তার হৃদয়ে আছে, যার কারণে আশা করা যায় যে, তোমার বাণী তার জন্য উপকারী হবে। আর সে তা গ্রহণ করবে এবং তার উপর আমল করবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. আপনি তার থেকে উদাসীন হলেন;
-
তাফসীরে জাকারিয়া১০। তুমি তার প্রতি বিমুখ হলে! [1]
[1] অর্থাৎ, এমন লোকের প্রতি কদর করা উচিত, বৈমুখ হওয়া উচিত নয়। এই সমস্ত আয়াত দ্বারা জানা যায় যে, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে ইতর-বিশেষ করা উচিত নয়। বরং মর্যাদাবান ব্যক্তি হোক চাই অমর্যাদাবান, রাজা হোক চাই ফকীর, সর্দার হোক কিংবা গোলাম, পুরুষ হোক অথবা নারী, ছোট হোক চাই বড় সকলকে একই মর্যাদা দান করা এবং সমষ্টিভাবে সম্বোধন করা উচিত। আল্লাহ তাআলা যাকে চাইবেন নিজের হিকমতানুযায়ী তাকে হিদায়াত দিবেন। (ইবনে কাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান