মুসলিম আলেমগণের বিভিন্ন যুগে শিয়া (রাফেযী) সম্প্রদায় সম্পর্কে করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নিচে উল্লেখ করা হলো, যেখানে তারা শিয়া রাফেযীদের ক্ষতিকর দিকসমূহ বর্ণনা করেছেন এবং ইহুদি-নাসারাদের চেয়েও তাদের বিপদজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন:
১. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহিমাহুল্লাহ) — “আর্-রদ্দু ‘আলা যানাদিকা ওয়াল জাহমিয়্যাহ” গ্রন্থে উদ্ধৃত:
“আমি এমন কোনো জাতি দেখিনি যারা ইসলাম সম্পর্কে রাফেযীদের মতো এতটা বিদ্বেষ পোষণ করে। তারা প্রতিটি যুগে ও স্থানে ইহুদি ও নাসারাদের সহায়ক হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।”
২. ইমাম আল-আজুরী (রহিমাহুল্লাহ) — “আশ-শরী‘আহ” গ্রন্থে বলেন:
“যে ব্যক্তি রাফেযী মতবাদ প্রকাশ করে, সে নিজেকে উম্মতের জন্য একটি মারাত্মক বিপদে পরিণত করে। তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক ফিরকা; কারণ তারা বাহ্যত ইসলাম প্রদর্শন করে, কিন্তু অন্তরে ইসলামকে শত্রুতা করে।”
৩. ইমাম ইবনু হাযম আল-আন্দালুসি (রহিমাহুল্লাহ) — “আল-ফাসল ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল” গ্রন্থে বলেন:
“আমরা এমন কোনো বিদআতী সম্প্রদায়কে জানি না, যারা ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য তাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর, কিংবা যারা শরীয়ত ও এর বিধান ধ্বংসে এতটা অগ্রগামী।”
৪. ক্বাযী আবু বকর আল-বাকিলানি (রহিমাহুল্লাহ) — “আত্-তামহীদ” গ্রন্থে বলেন:
“রাফেযীরা ধর্মের মধ্যে এমনভাবে ধ্বংস ও ফিতনা সৃষ্টিকারী, যা ইহুদি-নাসারার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর; কারণ তারা নিজেদের ইসলাম-অনুগামী দাবী করে, অথচ ইসলামি আকীদা ও বিধানসমূহকে বিকৃত করে।”
৫. ইমাম ইবনুল জাওযি (রহিমাহুল্লাহ) — “তালবিসু ইবলীস” গ্রন্থে বলেন:
“রাফেযীরা হলো সবচেয়ে বিভ্রান্ত সম্প্রদায়। তারা ইহুদি-নাসারাদের চেয়েও অধিক সত্য থেকে বিচ্যুত, কারণ তারা ইসলাম দাবী করে অথচ নিজের খেয়াল-খুশি অনুযায়ী মুসলিমদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে।”
৬. ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহিমাহুল্লাহ) — “মিনহাজুস সুন্নাহ” গ্রন্থে বলেন:
“রাফেযীরা অনেক বিষয়ে ইহুদি ও নাসারাদের চেয়েও বেশি খারাপ… তারা সাহাবীদের প্রতি শত্রুতা প্রকাশ করে এবং তাঁদেরকে অপবাদ দেয়। এটি ইসলামের ভিত্তি ধ্বংস করার দিকে নিয়ে যায়।”
৭. হাফিয ইমাম যাহাবি (রহিমাহুল্লাহ) — “মীযানুল ই‘তিদাল” গ্রন্থে বলেন:
“যদি রাফেযীরা মুসলিম না হয়ে অন্য কোনো ধর্মের হতো, তাহলে তাদের ক্ষতি হালকা হতো; কারণ তারা বাহ্যত ইসলাম প্রদর্শন করে কিন্তু অন্তরে তার বিপরীত লালন করে। তারা উম্মতের ভেতর থেকেই ফিতনা সৃষ্টি করে।”
৮. ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ) — “আস্-স্বাওইকুল মুরসালাহ” গ্রন্থে বলেন:
“রাফেযীরা ইসলাম ও মুসলিমদের উপর ইহুদি-নাসারাদের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর; তারা মুসলিমদের মাঝে ফিতনা, বিদ্বেষ ছড়ায় এবং শরীয়তের ভিত্তিমূল ধ্বংস করে।”
৯. ইমাম শওকানী (রহিমাহুল্লাহ) — “নাইলুল আওতার” গ্রন্থে বলেন:
“রাফেযীরা প্রতিটি যুগে ইসলামের শত্রু। তারা উম্মতের জন্য ইহুদি ও নাসারাদের চেয়েও বেশি বিপদজনক, কারণ তারা আল্লাহর কিতাব, রাসূলের সুন্নাহ ও তাঁর সাহাবীদের প্রতি আক্রমণ করে।”
উপসংহার:
এসব বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, মুসলিম আলেমগণ বিভিন্ন যুগে রাফেযীদের (শিয়া সম্প্রদায়কে) ইসলামের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তারা বাহ্যত ইসলাম দাবি করলেও ভেতরে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত—এ কারণে তাদের ক্ষতি বাহ্যিক শত্রুদের চেয়েও মারাত্মক।
আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন এবং ইসলামকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।