৫০. গুনাহ্’র কারণে ফিরিশ্তারা গুনাহ্গার থেকে অনেক দূরে সরে যায় এবং শয়তান তার অতি নিকটে এসে যায়।
জনৈক বুযুর্গ বলেন: যখন কেউ ঘুম থেকে উঠে তখন শয়তান ও ফিরিশ্তা তার নিকটবর্তী হয়। যখন সে আল্লাহ্ তা‘আলার যিকির, তাঁর প্রশংসা, বড়ত্ব ও একত্ববাদ উচ্চারণ করে তখন ফিরিশ্তা শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়ে তার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। আর যখন সে এর বিপরীত করে তখন ফিরিশ্তা অনেক দূরে সরে যায় এবং তার দায়িত্ব শয়তানই গ্রহণ করে।
আর ফিরিশ্তা কারোর জীবন সাথী হলে সে তার জীবিতাবস্থায়, মৃত্যুর সময় ও তার পুনরুত্থানের সময় তার সহযোগিতা করে থাকে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْـمَلَآئِكَةُ أَلاَّ تَخَافُوْا، وَلَا تَحْزَنُوْا، وَأَبْشِرُوْ بِالْـجَنَّةِ الَّتِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ، نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِيْ الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِيْ الْآخِرَةِ، وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَشْتَهِيْ أَنْفُسُـكُمْ، وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَدَّعُوْنَ، نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِيْمٍ»
‘‘প্রকৃতপক্ষে যারা বলে: আমাদের প্রভু আল্লাহ্। অতঃপর (তাদের স্বীকারোক্তির উপর) তারা অবিচল থাকে তখন ফিরিশ্তারা তাদের নিকট (মৃত্যু ও পুনরুত্থানের সময়) নাযিল হয়ে বলবে: তোমরা ভয় পেয়ো না এবং চিন্তিতও হয়ো না। বরং তোমাদেরকে দুনিয়াতে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা তোমরা পাবে বলে আনন্দিত হতে পারো। আমরাই তোমাদের পরম বন্ধু ও একান্ত সহযোগী দুনিয়ার জীবনেও এবং আখিরাতের জীবনেও। জান্নাতে তোমাদের জন্য রয়েছে তখন যা কিছু তোমাদের মন চাবে তা এবং তাতে রয়েছে তা যার তোমরা ফরমায়েশ করবে। যা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু আল্লাহ্’র পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য বিশেষ আপ্যায়ন’’। (ফুস্সিলাত/ হা’ মীম আস্ সাজ্দাহ্ : ৩০-৩২)
ফিরিশ্তা কারোর বন্ধু হলে সে তার অন্তরে ভালোর উদ্রেক করবে এবং তার মুখ দিয়ে ভালো কথা উচ্চারণ করাবে। এমনকি তার পক্ষ হয়ে অন্যকে প্রতিরোধ করবে। সে কারোর জন্য তার অলক্ষ্যে দো‘আ করলে ফিরিশ্তারা বলবে: তোমার জন্যও হুবহু তাই হোক। সে নামাযে সূরাহ ফাতিহা পড়ে শেষ করলে ফিরিশ্তারা আমিন বলবে। সে গুনাহ্ করলে ফিরিশ্তারা ইস্তিগ্ফার করবে এবং সে ওযু করে শু’লে ফিরিশ্তা তার শরীরের সাথে লেগেই সেখানে অবস্থান করবে।