পরিচ্ছেদঃ (১) বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও অসুস্থতায় ধৈর্যধারণ ও তার প্রতিদান সম্পর্কিত বর্ণনা - মানুষের জন্য ওয়াজিব হলো ভাগ্যের ফায়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা
২৮৮১. খাওলা বিনতু কাইস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার আমাদের কাছে আসেন, তখন আমি তাঁর কাছে খাদ্য পেশ করি। তিনি সেখানে হাত রাখেন। অতঃপর তিনি সেটাকে গরম অনুভব করেন। তখন তিনি ‘ওয়াও’ বলেন। অতঃপর তিনি বলেন, “আদম সন্তানকে ঠান্ডা পেয়ে বসলে, সে ‘ওয়াও’ বলে আবার গরম পেয়ে বসলেও ‘ওয়াও’ বলে। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দুনিয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “দুনিয়া সবুজ-শ্যামল, সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা ন্যায় সঙ্গতভাবে গ্রহণ করবে, তাকে তাতে বারাকাহ দেওয়া হবে। অনেক ব্যক্তি আছে এমন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্পদ স্বেচ্ছাচারিতার সাথে আচরণ করে, কিয়ামতের দিন তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম।”[1]
1 - بَابُ مَا جَاءَ فِي الصَّبْرِ وَثَوَابِ الْأَمْرَاضِ والأعراض - ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ الرِّضَا بِالْقَضَاءِ
2881 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ عُبَيْدٍ سَنُوطَا عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ قَيْسٍ قَالَتْ: أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ طَعَامًا فَوَضَعَ يَدَهُ فِيهِ فَوَجَدَهُ حَارًّا فَقَالَ: (حَسٍّ) وَقَالَ: (ابْنُ آدَمَ إِنَّ أَصَابَهُ بردٌ قَالَ: حَسٍّ وَإِنَّ أَصَابَهُ حرٌّ قَالَ: حَسٍّ) ثُمَّ تَذَاكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الدُّنْيَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (الدُّنْيَا خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَخَذَهَا بِحَقِّهَا بُورِكَ لَهُ فِيهَا ورُبَّ مُتَخَوِّضٍ فِيمَا شَاءَتْ نَفْسُهُ فِي مَالِ اللَّهِ وَمَالِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ النار يوم القيامة)
الراوي : خَوْلَة بِنْت قَيْسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2881 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح ـ ((الصحيحة)) (1592).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ১৫৯২)
পরিচ্ছেদঃ যখন কোন ব্যক্তির জীবনে উদ্দেশ্য পরিপন্থী বিষয় আসবে, তখন তার জন্য ওয়াজিব হলো তাতে অসন্তুষ্ট না হওয়া
২৮৮২. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশ বছর খেদমত করেছি। তিনি আমাকে কখনো বলেননি, “তুমি এমনটা কেন করলে?” এবং এটাও বলেননি, “তুমি কেন এমনটা করোনি?”[1]
ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ تَرْكِ التَّسَخُطِّ عِنْدِ وُرُودِ ضِدِ الْمُرَادِ فِي الْحَالِ عليه
2882 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ بْنِ عَمْرِو بْنِ آدَمَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْخَزَّازِ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: خَدَمْتُ رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ فَمَا قَالَ لِي: لِمَ فَعَلْتَ كَذَا ولم تَفْعَلْ كذا.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2882 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((مختصر الشمائل)) (296): م، وسيأتي بلفظ آخر (7135).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুখতাসারুশ শামাইল: ২৯৬)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যেদিকে ইশারা করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৮৮৩. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশ বছর খেদমত করেছি। তিনি আমাকে কখনো ‘উফ্’ শব্দটি বলেননি। তিনি আমাকে বলেননি, “তুমি এটা এটা কেন করনি?” এবং এটাও বলেননি, “তুমি কেন এটা এটা করোনি?”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ مَا أومأنا إليه
2883 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخٍ أَخْبَرَنَا سَلَّامُ بْنُ مِسْكِينٍ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ:
خَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَ سِنِينَ فَمَا قَالَ لِي: أُفٍّ قَطُّ وَلَا قَالَ لِي: أَلَا صَنَعْتَ كَذَا وَكَذَا ولِمَ تصنعُ كَذَا وَكَذَا؟
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2883 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((مختصر الشمائل)) (296): م، وسيأتي بلفظ آخر (7135).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুখতাসারুশ শামাইল: ২৯৬)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি দুনিয়ায় বিপদগ্রস্থ হলে তার প্রতি ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ প্রসঙ্গে বর্ণনা
২৮৮৪. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার কবরের পাশে ক্রন্দনরত এক মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন। তিনি তাকে বলেন, “ওহে মহিলা, ধৈর্যধারণ করো।” তখন সেই মহিলা বললো, “আপনি জানেন না, আমার কী বিপদ!” তারপর সেই মহিলাকে বলা হলো, “ইনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” অতঃপর সেই মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলেন, “আমি আপনাকে চিনতে পারি নাই!”[1]
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِالصَّبْرِ لِمَنْ أُصِيبَ بِمُصِيبَةٍ فِي الدنيا
2884 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ سَجَّادَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مرَّ بِامْرَأَةٍ عِنْدَ قبرٍ تَبْكِي فَقَالَ: (يَا هَذِهِ اصْبِرِي) فَقَالَتْ: إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا مُصَابِي فَقِيلَ لَهَا بَعْدَ ذَلِكَ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَتْهُ فقالت: لم أعرفك.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2884 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الجنائز)) (22)، ق أتم منه.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আল জানাইয: ২২)
পরিচ্ছেদঃ সুখে শুকরিয়া আদায়কারী আর বিপদে ধৈর্য ধারণকারী মুসলিমের জন্য কল্যাণ সাব্যস্তকরণ
২৮৮৫. সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুমিন ব্যক্তির ব্যাপারটি বড়ই বিস্ময়কর। তার সমস্ত বিষয়ই কল্যাণকর। যদি তাকে সুখ-স্বচ্ছলতা পেয়ে বসে, তবে সে শুকরিয়া করে, আর যদি তাকে দুঃখ-কষ্ট পেয়ে বসে, তবে সে ধৈর্য ধারণ করে। আর এটা তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়। এই ব্যাপারটি মুমিন ছাড়া আর কারো ক্ষেত্রে ঘটে না।”[1]
ذِكْرُ إِثْبَاتِ الْخَيْرِ لِلْمُسْلِمِ الصَّابِرِ عِنْدِ الضَّرَّاء وَالشَّاكِرِ عِنْدَ السَّرَّاء
2885 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ إنَّ أمرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ إِنْ أَصَابَتْهُ سرَّاء شَكَرَ وَإِنَّ أصابتهُ ضَرَّاء صَبَرَ وَكَانَ خَيْرًا لَهُ وليس ذلك لأحد إلا للمؤمن)
الراوي : صُهَيْب | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2885 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (147): م.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ১৪৭)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য জরুরী হলো প্রতিটি পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণ করা, যদিও সেই পরীক্ষা ছোট হয়
২৮৮৬. খাব্বাব বিন আরাত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবার ছায়ায় চাদর মাথায় দিয়ে শুয়ে ছিলেন এমন সময় আমরা তাঁর কাছে আসলাম। এসময় আমরা মুশরিকদের থেকে কঠিন আচরণের শিকার হচ্ছিলাম। ফলে তখন আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করবেন না?” তখন রাসূল ক্রোধান্বিত, মুখমন্ডল লাল অবস্থায় বসলেন, অতঃপর তিনি বললেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী যুগের লোকদের কাছে ঈমানের বাক্য ছেড়ে দেওয়ার দাবী করা হতো, কিন্তু তারা সেই দাবীতে সাড়া দিতেন না। ফলে তার উপর করাত রাখা হতো, অতঃপর তাকে দ্বিখন্ডিত করা হতো। তবুও এটি তাকে দ্বীন থেকে সরাতে পারতো না।
তাদের কাউকে লোহার চিরুনী দিয়ে হাড় থেকে মাংস বা শিরা ছিন্ন করা হতো, তবুও এটি তাকে দ্বীন থেকে সরাতে পারতো না। কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করছো! অবশ্যই আল্লাহ এই দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। এমনকি আরোহী ব্যক্তি সুন‘আ থেকে হাযরামাউত পর্যন্ত সফর করবে, সে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করবে না এবং তার মেষপালের জন্যও বাঘের ভয় করবে না।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ عَلَى الْمَرْءِ التَّصَبُّر عِنْدَ كُلِّ مِحْنَةٍ يُمْتَحَنُ بِهَا وَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمِحْنَةُ شَيْئًا يَسِيرًا
2886 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ بَيَانَ بْنِ بِشْرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ قَالَ: أَتَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْدَةً فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ ـ وَقَدْ لَقِينَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ شِدَّةً فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَدْعُو اللَّهَ لَنَا فَجَلَسَ مُغْضَبًا مُحْمَرًّا وَجْهُهُ فَقَالَ: (إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ ليُسْأَلُ الْكَلِمَةَ فَمَا يُعطيها فيُوضعُ عَلَيْهِ الْمِنْشَار فيُشقُّ بِاثْنَيْنِ مَا يصرفُهُ ذَاكَ عَنْ دِينِهِ وَإِنْ كَانَ أَحَدُهُمْ ليُمْشَطُ مَا دُونَ عِظَامِهِ مِنْ لَحْمٍ أَوْ عَصَبٍ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ وَمَا يَصْرِفُهُ ذَاكَ عَنْ دِينِهِ وَلَكِنَّكُمْ تَعْجَلُونَ ولَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنْ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ لَا يَخَافُ إِلَّا اللَّهَ وَالذِّئْبَ على غنمه)
الراوي : خَبَّاب بْن الْأَرَتِّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2886 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (2380).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ২৩৮০)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তিকে দুনিয়ায় কোন পরীক্ষা দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে ব্যক্তি ধৈর্য ও শুকরিয়া আদায় করার মাধ্যমে তার মুকাবিলা করবে, তবে তার জন্য দুনিয়াতে তা অপসারিত হওয়া এবং পরকালে তার জন্য সঞ্চিত বদলা প্রাপ্তির আশা করা যায়
২৮৮৭. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর নাবী আইয়ূব আলাইহিস সালাম ১৮ বছর বিপদে ছিলেন। তাঁর অন্তরঙ্গ দুই ভাই ব্যতীত নিকটের ও দূরের সব আত্নীয় তাঁকে পরিত্যাগ করে। সেই দুই ব্যক্তি তাঁকে সকাল-বিকাল দেখতে আসতেন।
একবার তাদের একজন অপরজনকে বললো, “আল্লাহর কসম, তুমি এটা জানো যে, আইয়ূব আলাইহিস সালাম এমন একটি পাপ করেছেন, যা পৃথিবীবাসীর কেউ করেনি।” তার সঙ্গী জবাবে বলেন, “সেটা কী?” সে বললো, “১৮ বছর ধরে আল্লাহ তাঁর উপর রহম করেননি যে, তিনি তাঁর বিপদ দূর করে দিবেন।”
তারপর সন্ধায় সে ব্যক্তি যখন আইয়ূব আলাইহিস সালামের কাছে যান, তখন তিনি নিজেকে সংবরণ করতে পারেনি। ফলে সে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলে আইয়ূব আলাইহিস সালাম জবাবে বলেন, “তুমি যা বলছো, এরকম কিছু আমার জানা নেই। তবে একটি ব্যাপার আছে, যা আল্লাহ জানেন। সেটা হলো, একবার আমি দুইজন ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম। এসময় তারা নিজেদের মাঝে ঝগড়া করছিল আবার আল্লাহর যিকিরও করছিল। তারপর আমি বাড়িতে ফিরে আসি অতঃপর তাদের দুইজনের পক্ষ থেকে আমি কাফ্ফারা আদায় করি। এজন্য যে, তারা অন্যায্যভাবে আল্লাহর যিকির করেছে।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আইয়ূব আলাইহিস সালাম হাজত সারার জন্য বাইরে যেতেন। যখন তিনি বাইরে যেতেন, তখন তাঁর স্ত্রী হাত ধরে তাকে নিয়ে আসতেন। এভাবে একদিন তিনি দেরি করেন। সেখানে আল্লাহ তাঁর প্রতি অহী করেন: ارْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ (আপনি আপনার পা দ্বারা আঘাত করুন। এটি পানযোগ্য ও গোসলের শীতল পানি।–সূরা সোয়াদ: ৪২)।
হাজত পূরণ করতে গিয়ে আইয়ূব আলাইহিস সালাম দেরি করলে তিনি তাঁর কাছে যান। অতঃপর তিনি দেখতে পান যে, মহান আল্লাহ তার বিপদ দূর করেছেন। তিনি উত্তম আকৃতিতে রয়েছেন। তিনি তাঁকে দেখে বলেন, “ওহে, আল্লাহ আপনাকে বারাকাহ দান করুন। আপনি কি বিপদগ্রস্থ আল্লাহর নাবী আলাইহিস সালামকে দেখেছেন?” আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে তাঁর সাথে সবচেয়ে সাদৃশ্যশীল দেখতে পাচ্ছি, যখন তিনি সুস্থ ছিলেন।”
তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি সেই নাবী।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আইয়ূব আলাইহিস সালামের দুটি গোলাঘর ছিল; একটি গমের গোলাঘর আরেকটি যবের গোলাঘর। তারপর আল্লাহ দুটি মেঘ পাঠান। একটি মেঘ গমের গোলাঘরের উপর আসে এবং তাতে স্বর্ণ ঢেলে দেন, এমনকি তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আরেকটি মেঘ যবের গোলাঘরের আসে এবং তাতে রুপা ঢেলে দেন, এমনকি তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى مَنِ امتُحن بِمِحْنَةٍ في الدنيا فتلقَّاها بِالصَّبِرِ وَالشُّكْرِ يُرجى لَهُ زَوَالُهَا عَنْهُ فِي الدُّنْيَا مَعَ مَا يُدَّخَرُ لَهُ مِنَ الثَّوَابِ في العقبى
2887 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ عَقِيلٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قال: (إن أيوب نبي الله لَبِثَ فِي بَلَائِهِ ثَمَانَ عَشْرَةَ سَنَةً , فرَفَضَهُ الْقَرِيبُ وَالْبَعِيدُ إِلَّا رَجُلَيْنِ مِنْ إِخْوَانِهِ ـ كَانَا مِنْ أَخَصِّ إِخْوَانِهِ ـ كَانَا يَغْدُوَانِ إِلَيْهِ وَيَرُوحَانِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: تَعْلَمُ ـ وَاللَّهِ ـ لَقَدْ أَذْنَبَ أَيُّوبُ ذَنْبًا مَا أَذْنَبَهُ أَحَدٌ مِنَ الْعَالَمِينَ قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: مُنْذُ ثَمَانَ عَشْرَةَ سَنَةً لَمْ يَرْحَمْهُ اللَّهُ فَيَكْشِفُ مَا بِهِ فَلَمَّا رَاحَ إِلَيْهِ لَمْ يَصْبِرِ الرَّجُلُ حَتَّى ذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ أَيُّوبُ: لَا أَدْرِي مَا تَقُولُ غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ أَمُرُّ عَلَى الرَّجُلَيْنِ يَتَنَازَعَانِ فَيَذْكُرَانِ اللَّهَ فَأَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فأُكَفِّرَ عَنْهُمَا كَرَاهِيَةَ أَنْ يُذْكَرَ اللَّهُ إِلَّا فِي حَقٍّ قَالَ: وَكَانَ يَخْرُجُ إِلَى حَاجَتِهِ فَإِذَا قَضَى حَاجَتَهُ أَمْسَكَتِ امْرَأَتُهُ بِيَدِهِ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَبْطَأَ عَلَيْهَا فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَيُّوبَ فِي مَكَانِهِ {ارْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ} فاستَبْطأْتْهُ فَبَلَغَتْهُ فَأَقْبَلَ عَلَيْهَا قَدْ أَذْهِبِ اللَّهُ مَا بِهِ مِنَ الْبَلَاءِ ـ فَهُوَ أَحْسَنُ مَا كَانَ ـ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ: أَيْ ـ بَارِكَ اللَّهُ فِيكَ ـ هَلْ رَأَيْتَ نَبِيَّ اللَّهِ ـ هَذَا الْمُبْتَلَى ـ وَاللَّهِ ـ عَلَى ذَلِكَ ـ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشْبَهَ بِهِ مِنْكَ إِذْ كَانَ صَحِيحًا قَالَ: فَإِنِّي أَنَا هُوَ وَكَانَ لَهُ أندَرانِ: أَنْدَرِ الْقَمْحِ وَأَنْدَرُ الشَّعِيرِ فَبَعَثَ اللَّهُ سَحَابَتَيْنِ فَلَمَّا كَانَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى أَنْدَرِ الْقَمْحِ أَفْرَغَتْ فِيهِ الذَّهَبَ حَتَّى فَاضَتْ وَأَفْرَغَتِ الْأُخْرَى على أندر الشعير الوَرِقَ حتى فاضت)
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2887 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (17).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ১৭)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো বিভিন্ন বিপদাপদ ও পরীক্ষায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া
২৮৮৮. মুআবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “বালা-মুসীবত আর পরীক্ষার বস্তু ছাড়া দুনিয়ার আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يجبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ تَوْطِينِ النَّفْسِ عَلَى تحمُّل الْمِحَنِ وَالْبَلَايَا
2888 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ زُهَيْرٍ قَالَ: حدثنا محمد بن مسكين اليماني قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ عَنْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ قَالَ: حدثني أَبُو عَبْدِ رَبٍّ عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم: (ما بقي من الدنيا إلا بلاءٌ وفتنةٌ)
الراوي : مُعَاوِيَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2888 | خلاصة حكم المحدث: صحيح
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীক ‘আলা ইবনে মাজাহ।)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো অনাগত বিভিন্ন বিপদাপদ ও পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তত রাখা
২৮৮৯. সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মানুষের মাঝে কারা সবচেয়ে বেশি বালা-মুসীবতে নিপতিত হন?” জবাবে তিনি বলেন, “নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম। তারপর যিনি উত্তম ব্যক্তি। তারপর যিনি উত্তম ব্যক্তি। বান্দাকে তার দ্বীন অনুপাতে পরীক্ষা করা হয়। আল্লাহর বান্দাদের বিপদাপদ লেগেই থাকে, এভাবে এক পর্যায়ে বিপদাপদ তাকে এমন অবস্থায় ছেড়ে যায় যে, সে জমিনে হাঁটে, তার উপর আর কোন পাপ অবশিষ্ট থাকে না।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ تَوْطِينِ النَّفْسِ عَلَى تحمُّل مَا يَسْتَقْبِلُهَا مِنَ المحن والمصائب
2889 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ بهدَلَةَ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أشدُّ النَّاسِ بَلَاءً؟ قَالَ: (الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ يُبتلى الْعَبْدُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَمَا يَبْرَحُ الْبَلَاءُ بِالْعَبْدِ حَتَّى يَدَعَهُ يَمْشِي عَلَى الْأَرْضِ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ)
الراوي : سَعْد | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2889 | خلاصة حكم المحدث: صحيح
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুল হিসান: ২৮৮৯।)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৮৯০. সা‘দ বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মানুষের মাঝে কারা সবচেয়ে বেশি বালা-মুসীবতে নিপতিত হন?” জবাবে তিনি বলেন, “নাবীগণ আলাইহিস সালাম। তারপর যিনি উত্তম ব্যক্তি। তারপর যিনি উত্তম ব্যক্তি। বান্দাকে তার দ্বীন অনুপাতে পরীক্ষা করা হয়। যদি তার দ্বীনদারিতা মজবূত হয়, তবে তার বিপদাপদও কঠিন হয়। আর যদি তার দ্বীনদারিতা হালকা হয়, তবে তাকে তার দ্বীনদারিতা অনুপাতে পরীক্ষা করা হয়। আল্লাহর বান্দাদের বিপদাপদ লেগেই থাকে, এভাবে এক পর্যায়ে বিপদাপদ তাকে এমন অবস্থায় ছেড়ে যায় যে, সে জমিনে হাঁটে, তার উপর আর কোন পাপ অবশিষ্ট থাকে না।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
2890 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجُنَيْدِ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلَاءً؟ قَالَ: (الأنبياء ثم الأمثل فالأمثل يبتلى الرجل حَسَبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ دِينُهُ صُلْبًا اشْتَدَّ بَلَاؤُهُ وَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ رقَّةٌ ابتُلي عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَمَا يَبْرَحُ الْبَلَاءُ بِالْعَبْدِ حَتَّى يَتْرُكَهُ يَمْشِي عَلَى الْأَرْضِ وَمَا عَلَيْهِ خطيئة)
الراوي : سَعْد | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2890 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح ـ ((الصحيحة)) (143).
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ১৪৩)
পরিচ্ছেদঃ মানুষকে যখন বিপদাপদ দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, তখন তার জন্য জরুরী হলো নিজের মনকে এমন ক্রিয়া-কলাপের দিকে গমন করা থেকে বিরত রাখা, যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে না; চোখের পানি আর অন্তরের দুঃখ ভারাক্রান্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা জরুরী নয়
২৮৯১. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আজ রাতে আমার এক সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে। আমি আমার পিতা ইবরাহিম আলাইহিসের নামে তার নাম রেখেছি। তারপর তিনি তাকে মদীনার একজন কামারের স্ত্রীর কাছে দেন (দুধ পান করানোর জন্য)। অতঃপর তিনি আবূ সাইফ অর্থাৎ সেই ব্যক্তির বাড়িতে যান এমন অবস্থায় যে, সে ব্যক্তি তখন তার হাপরে বাতাস দিচ্ছিলেন। বাড়িটি ধুয়ায় পূর্ণ ছিল।
রাবী বলেন, “আমি দ্রুত হেঁটে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগে সেখানে যাই। আমি গিয়ে বলি, “হে আবূ সাইফ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।” অতঃপর সে ব্যক্তি নিজের কাজ ছেড়ে দিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছেলেকে আনতে বললেন। অতঃপর তিনি ছেলেকে জড়িয়ে নিলেন। আল্লাহ যা চান, তা বললেন।
রাবী বলেন, “বাচ্চাটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। এসময় তাঁর দুই চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “চক্ষু অশ্রু বিসর্জন দেয়। অন্তর দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়। তবে আমরা কেবল তা-ই বলি, যা আমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করে। হে ইবরাহিম, নিশ্চয়ই আমরা তোমার কারণে দুঃখিত!”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ بِأَنَّ الْمَرْءَ عِنْدَمَا امْتُحِنَ بِالْمَصَائِبِ عَلَيْهِ زَجْرُ النَّفْسِ عَنِ الْخُرُوجِ إِلَى مَا لَا يُرْضِي اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا دُونَ دَمْعِ الْعَيْنِ وَحُزْنِ الْقَلْبِ
2891 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ الْقَيْسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: (وُلِدَ لِيَ اللَّيْلَةَ غلامٌ فسَمَّيْتُهُ بِأَبِي إِبْرَاهِيمَ) ثُمَّ دَفَعَهُ إِلَى امْرَأَةِ قَيْنٍ بِالْمَدِينَةِ فاتَّبعه فَانْتَهَى إِلَى أَبَى سيفٍ وَهُوَ يَنْفُخُ في كيره والبيت ممتلىء دُخَانًا فَأَسْرَعْتُ الْمَشْيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا أَبَا سَيْفٍ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ فَأَمْسَكَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ بِالصَّبِيِّ فضَمَّهُ إِلَيْهِ وَقَالَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ وَهُوَ يَكِيدُ بِنَفْسِهِ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَيْنَاهُ تَدْمَعُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تدمعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلَا نَقُولُ إِلَّا مَا يُرضي رَبَّنَا وَإِنَّا بِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونون)
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2891 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (2493): م.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ২৪৯৩)
পরিচ্ছেদঃ উপর্যপুরি বালা-মুসীবতের সময় দ্বীনের উপর অটল থাকা জরুরী
২৮৯২. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে রাতে নৈশভ্রমন করানো হয়, সে রাতে তিনি একটি সুঘ্রাণের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন। তখন তিনি জিবরীল আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞেস করেন, “ হে জিবরীল আলাইহিস সালাম, এই ঘ্রাণটা কিসের?” জবাবে তিনি বলেন, “এটা ফেরআউনের মেয়ের চুল বিন্যাসকারিনী ও তাঁর মেয়ের সুগন্ধি। একবার তিনি ফেরআউনের মেয়ের চুল বিন্যাস করছিলেন, এমন সময় তার হাত থেকে চিরুনী পড়ে যায়। তখন সে (চিরুনী উঠানোর সময়) বিসমিল্লাহ বলে। তখন ফেরআউনের মেয়ে বলে, “আমার বাবা (তোমার আল্লাহ)?” সে জবাবে বলে, “আমার ও তোমার প্রতিপালক হলেন আল্লাহ।” সে আবারো জিজ্ঞেস করে, “আমার বাবা ছাড়া তোমার প্রতিপালক আছে?” সে জবাবে বলে, “হ্যাঁ। তিনি হলেন আল্লাহ।” সে পুনরায় বলে, “এটা আমার বাবাকে বলে দিবো?” সে জবাবে বলে, “হ্যাঁ।”
অতঃপর সে তার বাবাকে ব্যাপারটি জানিয়ে দেয়। অতঃপর ফেরআউন তাকে ডেকে পাঠায়। ফেরআউন তাকে জিজ্ঞেস করে, “আমি ছাড়াও কি তোমার প্রভু আছে?” সে বলে, “হ্যাঁ। আমার এবং আপনার প্রভু আল্লাহ।” অতঃপর ফেরআউন সীসার গর্ত উত্যপ্ত করার নির্দেশ দেয়, ফলে তা উত্যপ্ত করা হলো।
অতঃপর সেই মহিলা ফেরআউনকে বললো, “আপনার কাছে আমার কি কোন প্রয়োজন আছে।” সে বললো, “ঠিক আছে।” তারপর ফেরআউন তার সন্তানদেরকে এক এক করে গর্তে নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এভাবে তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের পালা আসে। তখন সেই শিশু বলে, “হে আমার মা, আপনি অটল থাকুন। নিশ্চয়ই আপনি হকের উপর আছেন।”[1]
ذِكْرُ مَا يجبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ الثَّبَاتِ عَلَى الدِّينِ عِنْدَ تَوَاتُرِ الْبَلَايَا عَلَيْهِ
2892 - أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ صُلَيْحٍ بِوَاسِطَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانَ السُّكَّرِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ لَيْلَةَ أُسريَ بِهِ ـ مَرَّ بِرِيحٍ طَيْبَةٍ فَقَالَ: (يَا جِبْرِيلُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ؟ ) قَالَ: هَذِهِ رِيحُ مَاشِطَةِ بِنْتِ فِرْعَوْنَ وَأَوْلَادِهَا بَيْنَمَا هِيَ تَمْشُطُ بِنْتَ فِرْعَوْنَ إِذْ سَقَطَ الْمِدْرَى مِنْ يَدَهَا فَقَالَتْ: بِسْمِ اللَّهِ فَقَالَتْ بِنْتُ فِرْعَوْنَ: أَبِي؟ قَالَتْ: بَلْ رَبِّي وَرَبُّكِ اللَّهُ قَالَتْ: وَإِنَّ لَكَ رَبًا غَيْرَ أَبِي؟ قَالَتْ: نَعَمْ اللَّهُ قَالَتْ: فأُخْبِرُ بِذَلِكَ أَبِي؟ قَالَتْ: نَعَمْ فأخبرتْهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَالَ: أَلَكَ ربٌّ غَيْرِي؟ قَالَتْ: نَعَمْ رَبِّي وربُّكَ اللَّهُ فَأَمَرَ بنُقْرَةٍ مِنْ نُحَاسٍ فأُحميت فَقَالَتْ لَهُ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً قَالَ: نَعَمْ قَالَ: فَجَعَلَ يُلقي وَلَدَهَا وَاحِدًا وَاحِدًا حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى ولدٍ لَهَا رَضِيعٍ فَقَالَ: يا أُمَّتَاه اثبتي فإنك على الحق.
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2892 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف ـ ((الضعيفة)) (880) .
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। (যঈফাহ: ৮৮০)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৮৯৩. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে রাতে আমাকে নৈশভ্রমন করানো হয়, সে রাতে আমি একটি সুঘ্রাণের পাশ দিয়ে অতিক্রম করি। তখন আমি জিবরীল আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞেস করি, “হে জিবরীল আলাইহিস সালাম, এই ঘ্রাণটা কিসের?” জবাবে তিনি বলেন, “এটা ফেরআউনের মেয়ের চুল বিন্যাসকারিনীর সুগন্ধি। তিনি ফেরআউনের মেয়ের চুল বিন্যাস করে দিতেন। একদিন তার হাত থেকে চিরুনী পড়ে যায়। তখন সে (চিরুনী উঠানোর সময়) বিসমিল্লাহ বলে। তখন ফেরআউনের মেয়ে বলে, “আমার বাবা (তোমার আল্লাহ)?” সে জবাবে বলে, “আমার প্রতিপালক, তোমার প্রতিপালক এবং তোমার বাবার প্রতিপালন হলেন আল্লাহ।” সে আবারো জিজ্ঞেস করে, “আমার বাবা ছাড়া তোমার প্রতিপালক আছে?” সে জবাবে বলে, “হ্যাঁ। তিনি হলেন আল্লাহ।” সে বললো, “এটা আমার বাবাকে বলে দিবো?” সে জবাবে বলে, “বলো।”
অতঃপর সে তার বাবাকে ব্যাপারটি জানিয়ে দেয়। অতঃপর ফেরআউন জিজ্ঞেস করে, “আমি ছাড়াও কি তোমার কোন প্রভু আছে?” সে জবাবে বলে, “আমার ও আপনার প্রভু, যিনি আসমানে রয়েছেন।” অতঃপর ফেরআউন সীসার গর্ত উত্যপ্ত করে।
অতঃপর সেই মহিলা ফেরআউনকে বললো, “আপনার কাছে আমার প্রয়োজন আছে। সে বললো, “কী তোমার প্রয়োজন?” সেই মহিলা বললো, “আমার চাওয়া হলো আপনি আমার হাড় ও আমার সন্তানের হাড়গুলোকে একত্রে রাখবেন।” ফেরআউন বললো, “ঠিক আছে। নিশ্চয়ই আমাদের উপর তোমার হক রয়েছে। তারপর ফেরআউন তার সন্তানদেরকে এক এক করে গর্তে নিক্ষেপ করতে শুরু করে। সব শেষে ছিল দুগ্ধপোষ্য শিশু। তখন সেই শিশু বললো, “হে আমার মা, নিশ্চয়ই আপনি হকের উপর আছেন।”[1]
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, “চারজন ব্যক্তি শৈশবেই কথা বলেছেন। তারা হলেন: (১) ফেরআউনের মেয়ের চুল বিন্যাসকারিনীর মেয়ে, (২) জুরাইযের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট শিশু, (৩) ঈসা বিন মারইয়াম আর চতুর্থ জনের নাম আমার মুখস্ত নেই।”
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
2893 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مررتُ ـ لَيْلَةَ أُسري ـ بِي بِرَائِحَةٍ طَيْبَةٍ فَقُلْتُ: مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ؟ ) فَقَالَ: هَذِهِ مَاشِطَةُ بِنْتِ فِرْعَوْنَ كَانَتْ تمشُطُها فَوَقَعَ المشطُ مِنْ يَدَهَا فَقَالَتْ: بِسْمِ اللَّهِ فقالت بنت فرعون: أبي؟ قالت: ربي وَرَبُّ أَبِيكِ قَالَتْ: أَقُولُ لَهُ؟ قَالَتْ: قُولِي فَقَالَتْ فَقَالَ لَهَا: أَلَكِ مِنْ رَبٍّ غَيْرِي؟ قَالَتْ: رَبِّي وربُّكَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ قَالَتْ: فَأَحْمَى لَهَا نُقْرةً مِنْ نُحَاسٍ وَقَالَتْ لَهُ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً قَالَ: وَمَا حَاجَتُكِ؟ قَالَتْ: حَاجَتِي أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ عِظَامِي وَبَيْنَ عِظَامِ وَلَدِي قَالَ: ذَلِكَ لَكِ لَمَّا لَكِ علينا من الحق فألقى ولدها في النَّقب وَاحِدًا فَوَاحِدًا ـ وَكَانَ آخِرَهُمْ صبيٌّ ـ فَقَالَ: يَا أُمَّتَاهُ فَإِنَّكِ عَلَى الْحَقِّ)
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَرْبَعَةٌ تكلَّموا وَهُمْ صِغَارٌ: ابْنُ مَاشِطَةِ ابْنَةِ فرعون وصبي جريج وعيسى بن مريم والرابع لا أحفظه.
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2893 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف ـ ((الضعيفة)) (880) .
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। (যঈফাহ: ৮৮০)
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ মুসলিম ব্যক্তির জীবনে দুঃখ-কষ্ট ও দুশ্চিন্তার কারণে অনুগ্রহ করে তার পাপসমূহ মোচন করে দেন
২৮৯৪. আবূ হুরাইরা ও আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন কোন মুসলিম ব্যক্তির জীবনে ক্লান্তি, রোগ, দুঃখ, কষ্ট, আঘাত, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, বা কষ্ট আপতিত হয়, এমনকি শরীরে একটি কাঁটা বিদ্ধ হলেও, মহান আল্লাহ এর বদৌলতে তার পাপসমূহ মোচন করে দেন।”[1]
ذِكْرُ تَكْفِيرِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا بِالْهُمُومِ وَالْأَحْزَانِ ذُنُوبَ الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ تفضُّلاً مِنْهُ جَلَّ وَعَلَا عليه
2894 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (لَا يُصِيبُ الْمَرْءَ الْمُؤْمِنَ مِنْ نَصَبٍ وَلَا وَصَبٍ وَلَا هَمٍّ وَلَا حُزنٍ وَلَا غَمٍّ وَلَا أَذًى حَتَّى الشَّوْكَةُ يُشَاكُهَا إِلَّا كفَّر اللَّهُ عَنْهُ بها خطاياه)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2894 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (2503): ق.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ২৫০৩)
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ মুসলিম ব্যক্তির জীবনে দুঃখ-কষ্ট ও দুশ্চিন্তা এমনকি কাঁটা বিদ্ধ হওয়া বা তার চেয়ে বড়/ছোট কোন কষ্টের কারণে অনুগ্রহ করে তার পাপসমূহ মোচন করে দেন এবং তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন
২৮৯৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যে কোন মুসলিম শরীরে কাঁটা বিদ্ধ হলে বা তারচেয়ে ছোট/বড় কোন কষ্ট পেলে, মহান আল্লাহ এর বদৌলতে তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং তার একটি পাপ মোচন করে দেন।”[1]
ذِكْرُ تفضُّل اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا عَلَى الْمُسْلِمِ بحطِّ الْخَطَايَا وَرَفْعِ الدَّرَجَاتِ بِالْأَحْزَانِ وَإِنْ كَانَتْ شَوْكَةً فَمَا فَوْقَهَا
2895 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُشَاكُ شَوْكَةً فَمَا فَوْقَهَا إِلَّا رُفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وحط بها عنه خطيئة)
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2895 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الروض)) (819): م.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আর রওয: ৮১৯)
পরিচ্ছেদঃ যার উপর একের পর এক বিপদাপদ ও দুঃখ-কষ্ট আপতিত হয়, মহান আল্লাহ তার কল্যাণ চান
২৮৯৬. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে তিনি (বিভিন্ন বালা-মুসিবতে) আক্রান্ত করেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হাদীসের রাবী ইবনু আবী সো‘সো‘আহ হলেন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান বিন আবী সো‘সো‘আহ । তিনি মদীনার নেতৃস্থানীয় একজন ব্যক্তিত্ব।”
ذِكْرُ إِرَادَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا الْخَيْرَ بِمَنْ تَوَاتَرَتْ عَلَيْهِ الْمَصَائِبُ وَالْأَحْزَانُ
2896 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُصِبْ مِنْهُ)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2896 | خلاصة حكم المحدث: صحيح: خ.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: ابْنُ أَبِي صَعْصَعَةَ هَذَا: هُوَ مُحَمَّدُ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ مِنْ سَادَاتِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারীর শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ২৮৯৬)
পরিচ্ছেদঃ এমন হয় যে, কোন বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতে অনেক মর্যাদা থাকে, কিন্তু সে দুনিয়াতে বিভিন্ন বালা-মুসিবত ও বিপদাপদ ছাড়া সেই পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না
২৮৯৭. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় কোন ব্যক্তির আল্লাহর নিকট বিশেষ অবস্থান থাকে, কিন্তু সে ব্যক্তি আমলের মাধ্যমে সে পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে মহান আল্লাহ তাকে অপ্রীতিকর বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করতেই থাকেন, এভাবে তিনি তাকে সে অবস্থানে পৌঁছিয়ে দেন।”[1]
আবূ যুর‘আহর নাম ও উপনাম একই। অবশ্য এটাও বলা হয় যে, তার নাম হারিম।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْعَبْدَ قَدْ يَكُونُ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ الْمَنَازِلُ فِي الْجِنَّانِ فَلَا يَبْلُغُهَا إِلَّا بِالْمِحَنِ وَالْبَلَايَا فِي الدُّنْيَا
2897 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ كُرَيْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ - هُوَ الْبَجَلِيُّ - قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو زُرعة قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم: (أن الرَّجُلَ لِتَكُونَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ الْمَنْزِلَةُ فَمَا يَبْلُغُهَا بِعَمَلٍ فَلَا يَزَالُ اللَّهُ يَبْتَلِيهِ بِمَا يكره حتى يُبَلِّغَهُ إياها)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2897 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (2599).
اسْمُ أَبِي زُرْعَةَ: كُنْيَتُهُ
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ২৫৯৯)
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ যাকে দুনিয়াতে মৃগী রোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সেই ব্যক্তি তাতে ধৈর্য ধারণ করে, তবে আল্লাহ অনুগ্রহ করে পরকালে তার থেকে হিসাব উঠিয়ে নেন
২৮৯৮. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক মহিলা মৃগী রোগী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আপনি আমার জন্য দু‘আ করুন, যেন তিনি আমাকে নিরাময় দান করেন। ”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য দু‘আ করবো, অতঃপর তিনি তোমাকে নিরাময় দান করবেন আর চাইলে ধৈর্য ধারণ করবে, তাহলে তোমার কোন হিসাব হবে না!”[1]
তখন সেই মহিলা বললেন, “তবে আমি ধৈর্য ধারণ করবো। তাহলে আমার কোন হিসাব হবে না!”
ذِكْرُ تَفْضُلِ اللَّهِ عَلَى مَنِ امْتَحَنَهُ بِاللَّمَمِ فِي الدُّنْيَا بِرَفْعِ الْحِسَابِ عَنْهُ فِي الْعَقْبَى إِذَا صَبَرَ عَلَى ذَلِكَ
2898 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَا: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِهَا لَمَمٌ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَشْفِيَنِي قَالَ: (إِنْ شئتِ دَعَوْتُ اللَّهَ لَكِ فَشَفَاك وَإِنْ شِئْتِ فَاصْبِرِي وَلَا حِسَابَ عَلَيْكِ) فَقَالَتْ: بَلْ أَصْبِرُ ولا حساب علي .
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2898 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح ـ ((الصحيحة)) (2502)، ((التعليق الرغيب)) (4/ 149).
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ২৫০২)
পরিচ্ছেদঃ কখনো কখনো মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে দুনিয়াতে পাপের প্রতিদান দেন, যাতে এটা তার জন্য পাপ থেকে পবিত্রতার কারণ হয়ে যায়
২৮৯৯. আবূ বাকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মহান আল্লাহ কুর‘আনে বলেছেন, لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَا أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ (এটা তোমাদের কামনা কিংবা আহলে কিতাবদের কামনা অনুসারে হবে না। যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে। তাকে তার প্রতিদান দেওয়া হবে।–সূরা নিসা: ১২৩), এই আয়াতের পর কল্যাণ কিভাবে হবে, অথচ আমাদের প্রতিটি আমলের প্রতিদান দেওয়া হবে?” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “হে আবূ বাকর, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন। আপনি কি অসুস্থ হন না? আপনি কি দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হন না? আপনাকে কি কোন উদ্বেগ উৎকন্ঠা পায় না?” জবাবে তিনি বলেন, “জ্বী, হ্যাঁ।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এসবের মাধ্যমে (মন্দ কর্মের) প্রতিদান দেওয়া হয়।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ قَدْ يُجازي مَنْ شَاءَ مِنْ عِبَادِهِ عَلَى سَيِّئَاتِهِ فِي الدُّنْيَا لِيَكُونَ ذَلِكَ تَطْهِيرًا عَنْهَا
2899 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ الثَّقَفِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ: أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ الصَّلَاحُ بَعْدَ هَذِهِ الْآيَةِ: {لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَا أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ} [النساء: 123] وكلَّ شَيْءٍ عَمِلْنا جُزِينا بِهِ؟ فَقَالَ:
(غَفَرَ اللَّهُ لَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ أَلَسْتَ تَمْرَضُ أَلَسْتَ تَحْزَنُ؟ أَلَسْتَ تُصيبك اللَّأْوَاءُ؟ ) قَالَ: قُلْتُ: بَلَى قَالَ:(هو ما تُجْزَوْنَ به)
الراوي : أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2899 | خلاصة حكم المحدث: حسن ـ ((الروض)) (819).
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (আর রওয: ৮১৯)
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ দুনিয়াতে দ্রুত শাস্তি দিয়ে বান্দার কল্যাণ সাধন করতে চান মর্মে বর্ণনা
২৯০০. আব্দুল্লাহ বিন মুগাফ্ফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি এক মহিলার সাথে সাক্ষাত করেন, যে মহিলা জাহেলী যুগে বেশ্যা ছিল। সেই ব্যক্তি ঐ মহিলার সাথে খেলছিল, অতঃপর সে ব্যক্তি ঐ মহিলার দিকে হাত বাড়ায়। তখন সেই মহিলা বলে, “থামো। নিশ্চয়ই আল্লাহ শিরকের অপসারণ করেছেন এবং ইসলাম নিয়ে এসেছেন।” অতঃপর সেই ব্যক্তি তাকে ছেড়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে আসে। সে ব্যক্তি পিছনে সেই মহিলার দিকে তাকিয়ে দেখছিল (এবং পথ চলছিল), এভাবে এক পর্যায়ে তার চেহারা দেয়ালে ধাক্কা লাগে। তার মুখের উপর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল, এমন অবস্থায় সে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসে এবং তার সব বৃত্তান্ত বর্ণনা করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তুমি এমন বান্দা, মহান আল্লাহ তোমার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেছেন।” তারপর তিনি বলেন, “যখন আল্লাহ কোন বান্দার কল্যাণ করতে চান, তখন তিনি তার পাপের শাস্তি তাড়াতাড়ি প্রদান করেন। আর যখন তিনি কোন বান্দার মন্দ চান, তখন তিনি তার পাপকে রেখে দেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি পূর্ণ মাত্রায় তার পাপের প্রতিদান দিবেন, (সেসময় সেটা এতো বিশাল দেখা যাবে) যেন সেটা মদীনার আইর পাহাড়।”[1]
ذِكْرُ الِاسْتِدْلَالِ عَلَى إِرَادَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا خَيْرًا بِالْمُسْلِمِ بِتَعْجِيلِ عُقُوبته فِي الدُّنْيَا
2900 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغَفَّلِ: أَنَّ رَجُلًا لَقِيَ امْرَأَةَ كَانَتْ بَغِيًّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَجَعَلَ يُلَاعِبُهَا حَتَّى بَسَطَ يَدَهُ إِلَيْهَا فَقَالَتْ: مَهْ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ بِالشِّرْكِ وَجَاءَ بِالْإِسْلَامِ فَتَرَكَهَا وَوَلَّى فَجَعَلَ يَلْتَفِتُ خَلْفَهُ وَيَنْظُرُ إِلَيْهَا حَتَّى أَصَابَ وجهُهُ حَائِطًا ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ وَالدَّمُ يَسِيلُ عَلَى وَجْهِهِ ـ فَأَخْبَرَهُ بِالْأَمْرِ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَنْتَ عَبْدٌ أَرَادَ اللَّهُ بِكَ خَيْرًا) ثُمَّ قَالَ: (إِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا إِذَا أَرَادَ بِعَبْدٍ خَيْرًا عجَّل عُقُوبَةَ ذَنْبِهِ وَإِذَا أَرَادَ بِعَبْدٍ شَرًّا أَمْسَكَ عَلَيْهِ ذَنْبَهُ حَتَّى يُوَافِيَ يَوْمَ القيامة كأنه عائر)
الراوي : عَبْد اللَّهِ بْن الْمُغَفَّلِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2900 | خلاصة حكم المحدث: صحيح المرفوع منه، دون قوله: ((أنت عبد ... خيراً))، ودون القصة ـ ((الصحيحة)) (1220).
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সমার্থক বর্ণনা থাকার কারণে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিতে মহিলার ঘটনা এবং “তুমি এমন বান্দা, মহান আল্লাহ তোমার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেছেন” অংশটুকু বাদে বাকী মারফূ‘ অংশকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১২২০)