লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১০০২। তিনি কঙ্কর (পাথর) দ্বারা তাসবীহ পাঠ করতেন।
হাদীসটি জাল (বানোয়াট)।
এটি আবুল কাসিম আল-জুরজানী “তারীখু জুরজান” (৬৮) গ্রন্থে সালেহ ইবনু আলী নাওফালী সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে রাবীয়াহ আলকুদামী হতে, তিনি ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি সুফইয়ান সাওরী হতে, তিনি সুমাই হতে, তিনি আবু সালেহ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী আল-কুদামী। তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি একজন দুর্বল বর্ণনাকারী। মালেক হতে কতিপয় বিপদ নিয়ে এসেছেন (বর্ণনা করেছেন)। অতঃপর তিনি তার কতিপয় বিপদ উল্লেখ করেছেন।
“আল-লিসান” গ্রন্থে এসেছেঃ তাকে ইবনু আদী ও দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি হাদীসগুলোকে উল্টিয়ে ফেলতেন। সম্ভবত তিনি মালেকের উপর একশত পঞ্চাশটিরও বেশী হাদীস উল্টিয়ে ফেলেছেন। তিনি ইবরাহীম ইবনু সা’দ হতে একটি কপি বর্ণনা করেছেন। যার অধিকাংশই উলটপালটকৃত। হাকিম ও নাক্কাশ বলেনঃ তিনি মালেক হতে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবু নুয়াইম বলেনঃ তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সালেহ ইবনু আলী নাওফালীর জীবনী কে আলোচনা করেছেন পাচ্ছি না।
এ হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে সাব্যস্ত হওয়া হাদীস বিরোধী। তিনি তাতে বলেছেনঃ ’আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার ডান হাত দ্বারা মুষ্টি বেঁধে তাসবীহ পাঠ করতে দেখেছি।
এটি আবু দাউদ (১/২৩৫) সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম নাবাবী “আল-আযকার” (পৃঃ ২৩) গ্রন্থে এটিকে হাসান আখ্যা দিয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার "নাতায়েজুল আফকার" (কাফ ১/১৮) গ্রন্থে অনুরূপ কথাই বলেছেন। ইমাম নাসাঈ এ হাদীসটিকে (১/১৯৮) একটি হাদীসের সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে তিনি “আমলুল ইওয়াম অল লাইল” (৮১৯) গ্রন্থেও বর্ণনা করেছেন।
আবু দাউদ প্রমুখ মুহাদিসের নিকট আরো সাব্যস্ত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকে আংগুলের দ্বারা মুষ্টি বাধার নির্দেশ দিয়ে বলেছেনঃ "কারণ সেগুলো জিজ্ঞাসিত হবে এবং সেগুলোকে কথা বলিয়ে নেয়া হবে।" এটিকে হাকিম ও হাফিয যাহাবী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।
শুধুমাত্র ডান হাতের দ্বারা তাসবীহ গণনা করাই হচ্ছে সুন্নাত। বাম হাত বা একই সাথে দু’হাত কিংবা কঙ্কর (পাথর) দ্বারা তাসবীহ পাঠ করা সুন্নাত বিরোধী।
كان يسبح بالحصى موضوع - رواه أبو القاسم الجرجاني في " تاريخ جرجان " (68) من طريق صالح بن علي النوفلي: حدثنا عبد الله بن محمد بن ربيعة القدامي: حدثنا ابن المبارك عن سفيان الثوري عن سمي عن أبي صالح عن أبي هريرة مرفوعا قلت: وهذا موضوع، آفته القدامي - نسبة إلى قدامة بن مظعون - وهو متهم، قال الذهبي في " الميزان ": أحد الضعفاء، أتى عن مالك بمصائب. ثم ذكر بعض مصائبه وفي " اللسان ": ضعفه ابن عدي والدارقطني وقال ابن حبان: يقلب الأخبار، لعله قلب على مالك أكثر من مائة وخمسين حديثا، وروى عن إبراهيم بن سعد نسخة أكثرها مقلوب، وقال الحاكم والنقاش: روى عن مالك أحاديث موضوعة، وقال أبو نعيم: روى المناكير قلت: وصالح بن علي النوفلي لم أجد من ترجمه، وهذا الحديث يخالف ما ثبت عن عبد الله بن عمرو، قال " رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يعقد التسبيح بيمينه أخرجه أبو داود (1/235) بسند صحيح، وحسنه النووي في " الأذكار " (ص 23) ، وكذا الحافظ ابن حجر في " نتائج الأفكار " (ق 18/1) ، وعزاه الأول للنسائي، وهو عنده (1/198) ضمن حديث، وكذلك أخرجه في عمل اليوم والليلة (819) ، وثبت عند أبي داود أيضا وغيره، أن النبي صلى الله عليه وسلم أمر النساء أن يعقدن بالأنامل وقال: " فإنهن مسؤولات مستنطقات "، وصححه الحاكم والذهبي فهذا هو السنة في عد الذكر المشروع عده، إنما هو باليد، وباليمنى فقط، فالعد باليسرى أو باليدين معا، وبالحصى كل ذلك خلاف السنة، ولم يصح في العد بالحصى فضلا عن السبحة شيء، خلافا لما يفهم من " نيل الأوطار " و" السنن والمبتدعات " وغيرهما، وقد بسطت القول في ذلك في رسالتنا " الرد على التعقيب الحثيث "، فليرجع إليها من شاء التوسع في ذلك، واسترواح بعض المعاصرين إلى الاستدلال بعموم حديث " الأنامل " وغيره غفلة منه، لأنه عموم لم يجر العمل به، وتجاهل منه لحديث العقدة باليمين، لا يليق بمن كان من أهل العلم، فتنبه ولا تكن من الغافلين