লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৭৩৮। তোমাদের কেউ যখন কিতাব লিখবে তখন সে যেন তাতে মাটি লাগিয়ে নেয়, কারণ তা প্রয়োজন মিটাতে সর্বাপেক্ষা সফলকারী। [আর মাটির মধ্যে বরকত রয়েছে]।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী (২/১১৯), ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (১০৪), ও আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/২৩৮) হামযাহ ইবনু আবী হামযাহ সূত্রে আবুয যুবায়ের হতে, তিনি জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।
তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি মুনকার। আমরা হাদীসটিকে একমাত্র আবুয যুবায়ের সূত্রেই চিনি। আর হামযা হচ্ছেন নাসীবী-তিনি য’ঈফুল হাদীস।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি মাতরুক, জাল করার দোষে দোষী যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।
ওকাইলী বলেনঃ ভালো সনদে এ হাদীসটি সংরক্ষিত হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী যে বলেছেনঃ আমরা এটিকে চিনি না ...। তার এ কথা এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, তিনি যতটুকু জানতে সক্ষম হয়েছেন। কারণ আবুয যুবায়ের হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে উমার ইবনু আবী উমার এবং আবু আহমাদ তার (আবু হামযার) মুতাবায়াত করেছেন। আর তিনি হচ্ছেন দুর্বল যেমনটি হাফিয যাহাবী ও আসকালানী বলেছেন।
হাদীসটির সনদে আরেকটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হচ্ছে আবুয যুবায়ের কর্তৃক আন্আন করে বর্ণনা করা। আর তিনি হচ্ছেন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী। আমি হাদীসটির আরেকটি শাহেদ পেয়েছি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু’ হিসেবে।
এটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১০/২) বাকিয়্যাহ সূত্রে ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আমর হতে, তিনি আবূ সালামাহ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এটিকে ইবনু আইয়্যাশের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন আর তিনি হচ্ছেন ইসমাঈল, তিনি তার জীবনীর শেষপ্রান্তে বলেছেনঃ এ হাদীসগুলো হিজাজীদের হাদীসের অন্তর্ভুক্ত যেমন ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনু আমর ...... এবং ইরাকীদের হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। আর হাদীসটিকে ইবনু আইয়্যাশ তাদের থেকেই বর্ণনা করেছেন। এ কারণে হাদীসটি ভুল হওয়া থেকে মুক্ত নয়। কারণ শামীদের থেকে বর্ণনাকৃত তার (ইবনু আইয়্যাশের) হাদীস, যখন তার (ইবনু আইয়্যাশ) থেকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করবে তখন সঠিক, অন্যদের থেকে সঠিক নয়। মোটকথা ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে শামীরা বর্ণনা করলে তার হাদীস লিখা যাবে এবং তার থেকে শামীদের বর্ণনাকৃত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে।
আমি (আলবানী) বলছি এ হাদীসটি হিজাজীদের থেকে তার বর্ণনাকৃত হাদীস। অতএব এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়াও তার থেকে এর বর্ণনাকারী বাকিয়্যাহ (দুর্বল) হওয়ার কারণে (গ্রহণ করা যাবে না), যিনি আনআন করে বর্ণনা করেছেন। এ বাকিয়্যার আরেকটি সনদ রয়েছে এবং ভিন্ন ভাষা রয়েছে। সেটি হচ্ছেঃ (দেখুন পরেরটি)
إذا كتب أحدكم كتابا، فليتربه، فإنه أنجح للحاجة، [وفي التراب بركة] ضعيف - أخرجه الترمذي (2 / 119) والعقيلي في " الضعفاء " (104) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 238) من طريق حمزة بن أبي حمزة عن أبي الزبير عن جابر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. وقال الترمذي " حديث منكر، لا نعرفه عن أبي الزبير إلا من هذا الوجه، وحمزة - وهو النصيبي - ضعيف الحديث ". قلت: بل هو متروك متهم بالوضع كما في " التقريب ". وقال العقيلي: " لا يحفظ هذا الحديث بإسناد جيد ". قلت: وقول الترمذي : لا نعرفه ... إنما هو بالنظر لما وصل إليه علمه. وإلا، فقد تابعه عمر بن أبي عمر وأبو أحمد عن أبي الزبير به نحوه، وهو ضعيف كما قال الذهبي والعسقلاني، ويأتي لفظه في الذي بعده. ثم إن في الإسناد علة أخرى، وهي عنعنة أبي الزبير. وقد وجدت له شاهدا من حديث أبي هريرة مرفوعا به أخرجه ابن عدي في " الكامل " (10 / 2) من طريق بقية عن ابن عياش عن محمد بن عمرو عن أبي سلمة عنه. أورده في ترجمة ابن عياش هذا، وهو إسماعيل وقال في آخرها: " وهذه الأحاديث من أحاديث الحجازيين كيحيى بن سعيد ومحمد بن عمرو.. و.. و.. ومن حديث العراقيين إذا رواه ابن عياش عنهم، فلا يخلومن غلط ... وحديثه عن الشاميين إذا روى عنه ثقة، فهو مستقيم، وفي الجملة، إسماعيل بن عياش ممن يكتب حديثه، ويحتج به في حديث الشاميين خاصة ". قلت: وهذا من حديثه عن الحجازيين، فلا يحتج به، لاسيما والراوي له عنه، إنما هو بقية، وقد عنعنه. ولبقية فيه إسناد آخر، ولفظ آخر، وهو: " تربوا صحفكم، أنجح لها، إن التراب مبارك