কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২১ টি

পরিচ্ছেদঃ ৮২. কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী জাহান্নামী; সে কোন শাফায়াত পাবে না এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী বান্দার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কও তার উপকারে আসবে না

৪০০। আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ... কাবীসা ইবনু মুখারিক ও যুহায়র ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, যখন এই মর্মে আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) “তোমার নিকট- আত্নীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও” (২৬ঃ ২১৪)। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্বতের স্তরে স্তরে সাজানো বৃহদাকার পাথরের দিকে গেলেন এবং তার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ প্রস্তর খণ্ডে আরোহণ করলেন। এরপর তিনি আহবান জানালেন, ওহে আবদ মানাফের বংশধর! আমি (তোমাদের) সতর্ককারী। আমার ও তোমাদের উপমা হল এমন এক ব্যাক্তির মত, যে শত্রুকে দেখতে পেয়ে তার লোকদের রক্ষা করার জন্য অগ্রসর হল। পরে সে আশঙ্কা করল যে, শত্রু তার আগেই এসে যাবে। তখন সে ইয়া সাবাহ (হায় মন্দ প্রভাত!) বলে চিৎকার শুরু করল।

باب بَيَانِ أَنَّ مَنْ مَاتَ عَلَى الْكُفْرِ فَهُوَ فِي النَّارِ وَلاَ تَنَالُهُ شَفَاعَةٌ وَلاَ تَنْفَعُهُ قَرَابَةُ الْمُقَرَّبِينَ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ، وَزُهَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، قَالاَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏(‏ وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ‏)‏ قَالَ انْطَلَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَضْمَةٍ مِنْ جَبَلٍ فَعَلاَ أَعْلاَهَا حَجَرًا ثُمَّ نَادَى ‏"‏ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافَاهْ إِنِّي نَذِيرٌ إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُكُمْ كَمَثَلِ رَجُلٍ رَأَى الْعَدُوَّ فَانْطَلَقَ يَرْبَأُ أَهْلَهُ فَخَشِيَ أَنْ يَسْبِقُوهُ فَجَعَلَ يَهْتِفُ يَا صَبَاحَاهْ ‏"‏ ‏.‏


Qabisa b. al-Mukhariq and Zuhair b. 'Amr reported: When this verse was revealed:" And warn thy nearest kindred," the Messenger of Allah (ﷺ) set off towards a rock of the hill and ascended the highest of the rocks and then called: 0 sons of 'Abd Manaf! I am a warner; my similitude and your similitude is like a man who saw the enemy and went to guard his people, but, being afraid they might get there before him, he shouted: Be on your guard!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮২. কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী জাহান্নামী; সে কোন শাফায়াত পাবে না এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী বান্দার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কও তার উপকারে আসবে না

৪০১। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আলা (রহঃ) ... যুহায়র ইবনু আমর ও কাবীসা ইবনু মুখারিক (রাঃ) থেকে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب بَيَانِ أَنَّ مَنْ مَاتَ عَلَى الْكُفْرِ فَهُوَ فِي النَّارِ وَلاَ تَنَالُهُ شَفَاعَةٌ وَلاَ تَنْفَعُهُ قَرَابَةُ الْمُقَرَّبِينَ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، وَقَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ ‏.‏


This hadith is narrated from the Messenger of Allah (ﷺ) by another chain of narrators, Muhammad b. Abd al-A'la, Mu'tamir, Abu 'Uthman, Zuhair b. 'Amr, Qabisa b. Mukhariq.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যার জন্য সাওয়াল করা হালাল

২২৭৫। ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া ও কুতায়বা সাঈদ (রহঃ) ... কাবীসা ইবনু মুখারিক আল হিলালী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অন্যের দায়ভার বহন করতে গিয়ে ঋণী হয়ে পড়েছিলাম। তখন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু চাওযার জন্য তার কাছে এলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার নিকট সাদাকার সামগ্রী আসা পর্যন্ত তুমি এখানে অপেক্ষা কর, আমি তা থেকে তোমাকে কিছু দিতে বলে দিব। তারপর তিনি বললেন, হে কাবীসা! তিন ব্যাক্তি ছাড়া কারো সাওয়াল করা বৈধ নয়।

১. ঐ ব্যাক্তি, যে কারো দায়ভার বহন করে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে, তার ঝণ পরিশোধের পরিমাণ সাওয়াল করা, তারপর সে বিরত থাকবে।

২. ঐ ব্যাক্তি, বিপর্যয় যার ধন সম্পদ ধ্বংস করে দিয়েছে, তার জীবিকা নির্বাহের কোন উপায় না পাওয়া পর্যন্ত।

৩. আর যে ব্যাক্তি ক্ষুধাক্লিষ্ট এবং তার গোত্রের তিনজন লোক তার সম্পর্কে এ সাক্ষ্য দেয় যে, সে ব্যাক্তি অবশ্যই ক্ষুধাক্লিষ্ট; তার জীবিকা নির্বাহের কোন উপায় না পাওয়া পর্যন্ত সাওয়াল করা বৈধ। হে কাবীসা! এ তিনজন ছাড়া যে ভিক্ষা করে খায় সে হারাম খায়।

باب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ ‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ، حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيُّ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ، مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ ‏"‏ أَقِمْ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثَلاَثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ - وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُومَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ لَقَدْ أَصَابَتْ فُلاَنًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ - فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتًا يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا ‏"‏ ‏.‏


Qabisa b. Mukhariq al-Hilali said: I was under debt and I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and begged from him regarding it. He said: Wait till we receive Sadaqa, so that we order that to be given to you. He again said: Qabisa, begging is not permissible but for one of the three (classes) of persons: one who has incurred debt, for him begging is permissible till he pays that off, after which he must stop it; a man whose property has been destroyed by a calamity which has smitten him, for him begging is permissible till he gets what will support life, or will provide him reasonable subsistence; and a person who has been smitten by poverty. the genuineness of which is confirmed by three intelligent members of this peoples for him begging is permissible till he gets what will support him, or will provide him subsistence. Qabisa, besides these three (every other reason) for begging is forbidden, and one who engages in such consumes that what is forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৭: অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

১৫/৫৪১। আবূ বিশর ক্বাবীসাহ ইবনে মুখারেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একবার এক অর্থদন্ডের দায়িত্ব আমার ঘাড়ে থাকলে আমি সে ব্যাপারে সাহায্য নিতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেন, ’’সাদকার মাল আসা পর্যন্ত তুমি অবস্থান কর। এলে তোমাকে তা দেওয়ার আদেশ করব।’’ অতঃপর তিনি বললেন, ’’হে ক্বাবীসাহ! তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য চাওয়া বৈধ নয়;
(১) যে ব্যক্তি অর্থদন্ডে পড়বে (কারো দিয়াত বা জরিমানা দেওয়ার যামিন হবে), তার জন্য চাওয়া হালাল। অতঃপর তা পরিশোধ হয়ে গেলে সে চাওয়া বন্ধ করবে।
(২) যে ব্যক্তি দুর্যোগগ্রস্ত হবে এবং তার মাল ধ্বংস হয়ে যাবে, তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ তার সচ্ছল অবস্থা ফিরে না এসেছে।
(৩) যে ব্যক্তি অভাবী হয়ে পড়বে এবং তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী লোক এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, অমুক অভাবী, তখন তার জন্য চাওয়া বৈধ। আর এ ছাড়া হে ক্বাবীসাহ অন্য লোকের জন্য চেয়ে (মেগে) খাওয়া হারাম। সে মাল খেলে হারাম খাওয়া হবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْقَنَاعَةِ وَالْعَفَافِ وَالْاِقْتِصَادِفِي الْمَعِيْشَةِ إِنْفَاقِ وَذَمِّ السُّؤَالِ مِنْ غَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (57)

وَعَن أَبي بِشْرٍ قَبيصَةَ بنِ المُخَارِقِ رضي الله عنه، قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أسْأَلُهُ فِيهَا، فَقَالَ: أقِمْ حَتَّى تَأتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ: يَا قَبيصةُ، إنَّ المَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثلاثَةٍ: رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً، فَحَلَّتْ لَهُ المَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَها، ثُمَّ يُمْسِكُ، وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ، فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِنْ عَيش - أَوْ قَالَ: سِدَاداً مِنْ عَيْشٍ - وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ فَاقَةٌ، حَتَّى يَقُولَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الحِجَى مِنْ قَوْمِه: لَقَدْ أصَابَتْ فُلاناً فَاقَةٌ. فَحلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِن عَيش، أَوْ قَالَ: سِدَاداً مِن عَيشٍ، فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ المسألَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ، يَأكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتاً . رواه مسلم

(57) Chapter: Contentment and Self-esteem and avoidance of unnecessary begging of People


Qabisah bin Al-Mukhariq (May Allah be pleased with him) reported: I stood as surety for a debt and came to Messenger of Allah (ﷺ) to seek his help in discharging it. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Wait till we receive charity and I shall give you out of it." He (ﷺ) added, "O Qabisah, begging is not lawful except for three people. One who has incurred debt (for assuming guarantee), for him begging is permissible till the guarantee is discharged and he should then refrain; a person whose property has been destroyed by a calamity is allowed to beg till he attains self-sufficiency; a person who meets with dire necessity (due to hunger) provided that three men of understanding from his people affirm the genuineness (of his poverty), for him begging is lawful till he attains means of his subsistence. Other than these, O Qabisah, anything received through begging is unlawful, its recipient devours it unlawfully." [Muslim]. Commentary: This Hadith explicitly tells us about the three types of men who are allowed to beg of others. A detailed description has already been mentioned above.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০৩ : গণক, জ্যোতিষী ইত্যাদি ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন নিষেধ

৩/১৬৭৯। কাবীসাহ্ ইবনুল মুখারিক্ব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছিঃ ’ইয়াফাহ’ অর্থাৎ রেখা টেনে, ’তিয়ারাহ’ অর্থাৎ কোন কিছু দর্শন করে এবং ’তারক’ অর্থাৎ পাখি দিয়ে মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ণয় আল্লাহর সাথে বিদ্রোহিতামূলক কাজ।[1]

بَابُ النَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ الْكُهَّانِ وَالْمُنَجِّمِيْنَ وَالعَرَّافِ وَأَصْحَابِ الرَّمْلِ، وَالطَّوَارِقِ بِالْحَصٰى وَالشَّعِيْرِ وَنَحْوِ ذٰلِكَ

وعنْ قَبِيصَةَ بن المُخَارِقً رضي اللَّه عنْهُ قَالَ : سمِعْتُ رسُول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يقُولُ :الْعِيَافَةُ ، والطَّيرَةُ ، والطَّرْقُ ، مِنَ الجِبْتِ « .رواهُ أبو داود بإسناد حسن ، وقال : الطَّرْقُ : هُوَ الزَّجْرُ ، أيْ : زجْرُ الطَّيْرِ ، وهُوَ أنْ يَتَيمَّنَ أوْ يتَشاءَمَبِطَيرانِهِ ، فَإنْ طَار إلى جهةِ الْيمِينَ تَيَمَّنَ ، وَإنْ طَارَ إلى جهةِ الْيَسَارِ تَشَاءَم: قال أبو داود : » وَالْعِيافَةُ«:الخَطُّ . قال الجَوْهَريُّ في » الصِّحاح « : الجِبْتُ آَلِمةٌ تَقَع على الصَّنَم والكَاهِن والسَّاحِرِ ونَحْوِ ذلكَ .) ضعيف ( . ] فيه : حيان بن علاء ، وهو مجهول [ .

(303) Chapter: Prohibition of Consultation with Soothsayers


Qabisah bin Al-Mukhariq (May Allah be pleased with him) said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "The practice of 'Iyafah, the interpretation of omens from the flight of birds, the practice of divination by drawing lines on the ground and taking evil omens are all practices of Al-Jibt (the idol, the diviner, or sorcerer)." [Abu Dawud]. Commentary: Iyafah is an occult practice in which the practitioner rapidly draws lines on the soft ground in the presence of his client in such a manner that the lines cannot be counted then he effaces the lines in pairs. If at the end of the exercise two lines are left on the ground, it is taken as a good omen; if it is a single line, it is a bad omen. Some people have also described certain other forms of this occult formula. In any case, it was one of the formulas practised by the soothsayers of the Period of Ignorance. This practice, like others of this kind, was prohibited and Muslims were made to understand that such things could neither benefit nor harm anyone, and were mere tricks and frauds; and any reliance on them was absolute superstition and heresy. How sad it is that a large number of Muslims of the present age have faith in such occult practices and believe in superstitions. May Allah grant us guidance and save us from such evils. Al-Jibt covers a wide meanings. It means anything worshipped other than the true God (Allah), i.e., all false deities, be they an idol, Satan, graves, stars, angels, saints, Jesus the son of Mary, etc.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬. যে অবস্থায় যাঞ্ছা করা বৈধ।

১৬৪০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... কাবীসা ইব্‌ন মুখারিক আল্‌-হিলালী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (এক জনের) ঋনের জামিন হলাম। আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলে তিনি বলেনঃ হে কাবীসা! তুমি যাকাতের মাল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। আর আমি তা থেকে তোমাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দিব। অতঃপর তিনি বলেন, হে কাবীসা! তিন শ্রেনীর লোক ব্যতীত কারো জন্য যাচ্ঞা করা হালাল নয়। (১) যে ব্যক্তি যামিন হয়েছে তার জন্য তা পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত অন্যের সাহায্য চাওয়া হালাল, অতঃপর সে তা পরিত্যাগ করবে। (২) যদি কোন ব্যক্তির ধন-সম্পদ দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বিনষ্ট হয়, তবে সে ব্যক্তির জন্য এ বিপদ হতে নিষ্কৃতি লাভ না করা পর্যন্ত যাচ্ঞা করা হালাল। (৩) ঐ ব্যক্তি যে ধনী হওয়া সত্বেও দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে অভাবগ্রস্ত ও সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রমাণস্বরূপ যদি তার স্থানীয় তিনজন ব্যক্তি বলে যে, অমুক ব্যক্তিটি সর্বহারা হয়ে গিয়াছে তখন সেই ব্যক্তির জন্য চাওয়া (ভিক্ষা করা) ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ-যতক্ষণ না সে জীবন ধারণে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে কাবীসা! উপরোক্ত তিন শ্রেনীর লোক ব্যতীত অন্যদের জন্য ভিক্ষা করা হারাম। যদি কেউ করে, তবে সে হারাম খায়। (মুসলিম, নাসাঈ)।

باب مَا تَجُوزُ فِيهِ الْمَسْأَلَةُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيُّ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ، قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثَلاَثَةٍ رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏"‏ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ‏"‏ ‏.‏ ‏"‏ وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَتْ فُلاَنًا الْفَاقَةُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ - ثُمَّ يُمْسِكُ وَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا ‏"‏ ‏.‏


Qabisah b. Mukhiriq al-Hilali said : I became a guarantor for a payment, and I came to Messenger of Allah (May peace be upon him). He said: Wait till I receive the sadaqah and I shall order it to be given to you. He then said : Begging, Qabisah, is allowable only to one of three classes: a man who has become a guarantor for a payment to whom begging is allowed till he gets it, after which he must stop (begging); a man who has been stricken by a calamity and it destroys his property to whom begging is allowed till he gets what will support life (or he said, what will provide a reasonable subsistence); and a man who has been smitten by poverty, about whom three intelligent members of his people confirm by saying: So and so has been smitten by poverty, to such a person begging is allowed till be gets what will support life (or he said, what will provide a reasonable subsistence), after which he must stop (begging). Any other reason for begging, Qabisah, is forbidden, and one who engages in such consumes it as a thing which is forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬/ অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৮৯। ইবরাহীম ইবনু ইয়াকুব (রহঃ) ... কাবীসা ইবনু মুখারিক হিলালী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মদীনায় ছিলাম। তখন তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কাপড় সামলাতে সামলাতে বের হলেন। তারপর দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন এবং তা এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, তার সালাত সমাপ্তির সাথে সাথে সূর্যের আলো বিকশিত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন। তারপর বললেন যে, চন্দ্র-সূর্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। নিশ্চয়ই কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা যখন তার কোন চিহ্ন দেখতে পাও, তখন সালাত আদায় কর তোমাদের সালাত আদায়কৃত ফরয সালাতের ন্যায়।

باب نَوْعٌ آخَرُ

وَأَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، أَنَّ جَدَّهُ، عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْوَازِعِ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَنَحْنُ إِذْ ذَاكَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَطَالَهُمَا فَوَافَقَ انْصِرَافُهُ انْجِلاَءَ الشَّمْسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Qabisah bin Mukhariq Al-Hilali said: "There was an eclipse of the sun and at the time we were with the Messenger of Allah (ﷺ) in Al-Madinah. He rushed out dragging his garment and prayed two rak'ahs, which he made lengthy. The end of his prayer coincided with the end of the eclipse. He praised and glorified Allah (SWT), then he said: 'The sun and the moon are two of the signs of Allah (SWT), and they do not become eclipsed for the death or birth of anyone. If you see anything of that, then pray like the last obligatory prayer you did before that.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮০. পাওনা আদায়ের যামিনদার ব্যাক্তিকে দান করা

২৫৮১. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব (রহঃ) এবং আলী ইবন হুজার (রহঃ) ... কবীসা ইবন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি একজনের পাওনা আদায় করে দেয়ার যামিন হয়েছিলাম। তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলাম এবং এ ব্যাপারে তার সাহায্য চাইলাম। তিনি বললেন, তিন ব্যক্তি ব্যতীত সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। এক ব্যক্তি হল, যে সমাজের কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার যামিন হয়েছে এবং এ ব্যাপারে অন্য কারো সাহায্য চায়, এবং ঐ সাহায্য দ্বারা উহা আদায় করে দেয়। এরপর সে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকে ।

الصَّدَقَةُ لِمَنْ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ ح وَأَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ وَاللَّفْظُ لَهُ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ هَارُونَ عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُعَيْمٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ فِيهَا فَقَالَ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ بَيْنَ قَوْمٍ فَسَأَلَ فِيهَا حَتَّى يُؤَدِّيَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ


It was narrated that Qubaisah bin Mukhariq said: "I undertook a financial responsibility. [1] Then I came to the Prophet and asked him (for help) concerning that. He said: 'Asking (for money) is not permissible except for three: A man who undertakes a financial responsibility between people; he may ask for help with that until the matter is settled, then he should refrain (from asking)."'


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮০. পাওনা আদায়ের যামিনদার ব্যাক্তিকে দান করা

২৫৮২. মুহাম্মদ ইবন নাদর (রহঃ) ... কাবীসা ইবন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একজনের পাওনা আদায় করে যামিন হয়েছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম। তিনি বললেন যে, হে কবীসা! তুমি আমার কাছে সাদাকার কোন মাল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর; আসলেই আমি তােমাকে দিয়ে দেব। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে কবীসা! সাদাকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়; যে কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার যামিন হয়, তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে। যার উপর কোন বিপদ নিপতিত হয় এবং তার ধন-সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যায়। তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যাতে তার বিপদ দূর হয়ে যায়। অতঃপর সে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত হয়ে যায় এবং এমন অভাব্যগ্রস্থ ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, সে অভাবগ্ৰস্ত, তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ, যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে। হে কবীসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। অন্য কেউ যদি সাহায্য নিয়ে খায় তাহলে সে হারাম খায়।

الصَّدَقَةُ لِمَنْ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ مُسَاوِرٍ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ قَالَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَشْهَدَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ فَمَا سِوَى هَذَا مِنْ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا


It was narrated that Qubaisah bin Mukhariq said: "I undertook a financial responsibility, then I came to the Prophet and asked him (for help) concerning that. He said: 'Hold on, o Qubaisah! When we get some charity we will give you some.' Then the Messenger of Allah said: 'O Qubaisah, charity is not permissible except for one of three: A man who undertakes a financial responsibility, so it is permissible for him to be given charity until he finds means to make him independent and to suffice him; a man who was stricken by calamity and his wealth was destroyed, so it is permissible for him to ask for help until he has enough to keep him going, them he should refrain from asking; and a man who is stricken with poverty and three wise men from among his own people testily that so-and-so is in desperate need, then it is permissible for him to ask for help until he finds means to make him independent and to suffice him. Asking for help in cases other than these, O Qubaisah, is unlawful, and the one who takes it is consuming it unlawfully."'


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৬. কারো কাছে কোন কিছু ভিক্ষা না চাওয়ার ফযীলত

২৫৯৩. হিশাম ইন আম্মার (রহঃ) ... কাবীসা ইবন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারাে জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। যে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সে সাহায্য চেয়ে স্বীয় প্রয়ােজন মিটাতে পারবে, অতঃপর সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবে। যে কারাে পাওনার যামিন হয়েছে। সে সাহায্য চেয়ে সে পাওনা আদায় করে দেবে, পাওনা আদায় করে দেওয়ার পর আর সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর ঐ ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার সমাজের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি আল্লাহর নামে কসম করে বলে যে, অমুকের জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ হবে, তাহলে সে সাহায্য চেয়ে স্বীয় প্রয়ােজন মিটাবে। অতঃপর সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবে। এরা ছাড়া অন্য কেউ যদি সাহায্য চায় তাহলে তা তার জন্য হারাম হবে।

فَضْلُ مَنْ لَا يَسْأَلُ النَّاسَ شَيْئًا

أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى وَهُوَ ابْنُ حَمْزَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي بَكْرٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا تَصْلُحُ الْمَسْأَلَةُ إِلَّا لِثَلَاثَةٍ رَجُلٍ أَصَابَتْ مَالَهُ جَائِحَةٌ فَيَسْأَلُ حَتَّى يُصِيبَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَيَسْأَلُ حَتَّى يُؤَدِّيَ إِلَيْهِمْ حَمَالَتَهُمْ ثُمَّ يُمْسِكُ عَنْ الْمَسْأَلَةِ وَرَجُلٍ يَحْلِفُ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ ذَوِي الْحِجَا بِاللَّهِ لَقَدْ حَلَّتْ الْمَسْأَلَةُ لِفُلَانٍ فَيَسْأَلُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ مَعِيشَةٍ ثُمَّ يُمْسِكُ عَنْ الْمَسْأَلَةِ فَمَا سِوَى ذَلِكَ سُحْتٌ


It was narrated that Qabisah bin Mukhariq said: "I heard the Messenger of Allah says: 'It is not right to ask (for help) except in three cases: A man whose wealth has been destroyed by some calamity, so he asks until he gets enough to keep him going, then he refrains from asking: a man who undertakes a financial responsibility, and asks for help until he pays off whatever needs to be paid; and a man concerning whom three wise men from his own people swear by Allah that it is permissible for so-an-so to ask for help, so he asks until he has enough to be independent of means, then he refrains from asking. Apart from that. (asking) is unlawful."'


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. যার জন্য সাদাকা নেয়া হালাল (বৈধ)

১৭১৫. কাবীসা ইবনু মুখারিক আল হিলালী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একজনের পাওনা আদায় করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম এবং তাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম। তখন তিনি বললেন: “হে ক্বাবীসা! আমার নিকট সাদাকার কোন মাল আসা পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা কর; তবে (আসলেই) আমি তোমাকে দিয়ে দেয়ার আদেশ দেব।” এরপর বললেন, “হে ক্বাবীসা! সাদাকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়: যে কারো পাওনা আদায় করে দেয়ার যামিন হয় (দায়িত্ব নেয়), তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। এমতাবস্থায় তা (পাওনা) পরিশোধ হওয়ার মতো না পাওয়া পর্যন্ত সে চাইতে পারে। এরপর (পাওনা পরিশোধ পরিমাণ যোগাড় হলে) সে (চাওয়া হতে) বিরত থাকবে। এরপর সেই ব্যক্তি যার উপর কোন বিপদ নিপতিত হয় এবং তার ধন –সম্পত্তি সমূলে শেষ করে দেয়- তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ না তা তার জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট -কিংবা তিনি বলেছেন,- জীবন ধারণের উপযোগী হয়ে যায়। এরপর এমন (ধনাঢ্য) ব্যক্তি যার উপর দারিদ্র চেপে বসেছে, যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ’অমুকের উপর দারিদ্র চেপে বসেছে।’ তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ না তা তার জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট (প্রয়োজন পরিমাণ) -কিংবা তিনি বলেছেন,- জীবন ধারণের উপযোগী হয়ে যায়। এরপর (যথেষ্ট হয়ে গেলে) সে (চাওয়া হতে) বিরত হয়ে যাবে। হে কাবীসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম। যার আহরণকারী তা হারাম রূপে ভক্ষণ করে।”[1]

بَاب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِيِّ قَالَ تَحَمَّلْتُ بِحَمَالَةٍ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَى مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَ فُلَانًا الْفَاقَةُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ثُمَّ يُمْسِكَ وَمَا سِوَاهُنَّ مِنْ الْمَسْأَلَةِ سُحْتٌ يَا قَبِيصَةُ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৯. মহান আল্লাহর বাণী : “তোমার নিকটাত্বীয়দেরকে সতর্ক করে দাও” (সূরাহ আশ শুআরা ২৬ : ২১৪)।

৩৯৪-(৩৫৩/২০৭) আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ..... কাবীসাহ ইবনু মুখারিক ও যুহায়র ইবনু আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, যখন এ মর্মে আয়াত নাযিল হয়, "তোমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও”— (সূরাহ আশ শুআরা ২৬ঃ ২১৪)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্বতের বৃহদাকার পাথরের দিকে গেলেন এবং তার মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর প্রস্তর খণ্ডে আরোহণ করলেন। এরপর তিনি আহ্বান জানালেন, ওহে আবদ মানাফ এর বংশধর! আমি (তোমাদের) সতর্ককারী। আমার ও তোমাদের উপমা হলো, এমন এক ব্যক্তির ন্যায়, যে শত্রুকে দেখতে পেয়ে তার লোকদের রক্ষা করার জন্য অগ্রসর হল, পরে সে আশঙ্কা করল যে, শত্রু তার আগেই এসে যাবে। তখন সে ’ইয়া সাবাহ’ (হায় মন্দ প্রভাত) বলে চীৎকার শুরু করল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪১৩)

باب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ}

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ، وَزُهَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، قَالاَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏(‏ وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ‏)‏ قَالَ انْطَلَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَضْمَةٍ مِنْ جَبَلٍ فَعَلاَ أَعْلاَهَا حَجَرًا ثُمَّ نَادَى ‏"‏ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافَاهْ إِنِّي نَذِيرٌ إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُكُمْ كَمَثَلِ رَجُلٍ رَأَى الْعَدُوَّ فَانْطَلَقَ يَرْبَأُ أَهْلَهُ فَخَشِيَ أَنْ يَسْبِقُوهُ فَجَعَلَ يَهْتِفُ يَا صَبَاحَاهْ ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Regarding the saying of Allah, the most High: "And warn your tribe of near kindred."


Qabisa b. al-Mukhariq and Zuhair b. 'Amr reported: When this verse was revealed:" And warn thy nearest kindred," the Messenger of Allah (ﷺ) set off towards a rock of the hill and ascended the highest of the rocks and then called: 0 sons of 'Abd Manaf! I am a warner; my similitude and your similitude is like a man who saw the enemy and went to guard his people, but, being afraid they might get there before him, he shouted: Be on your guard!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৯. মহান আল্লাহর বাণী : “তোমার নিকটাত্বীয়দেরকে সতর্ক করে দাও” (সূরাহ আশ শুআরা ২৬ : ২১৪)।

৩৯৫-(৩৫৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ..... যুহায়র ইবনু আমর ও কাবীসাহ ইবনু মুখারিক (রাযিঃ) থেকে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০১, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪১৪)

باب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ}

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، وَقَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ ‏.‏

Chapter: Regarding the saying of Allah, the most High: "And warn your tribe of near kindred."


This hadith is narrated from the Messenger of Allah (ﷺ) by another chain of narrators, Muhammad b. Abd al-A'la, Mu'tamir, Abu 'Uthman, Zuhair b. 'Amr, Qabisa b. Mukhariq.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. ভিক্ষা করা যার জন্য জায়িয

২২৯৪-(১০৯/১০৪৪) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও কুতায়বাহ্ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... কবীসাহ ইবনু মুখারিক আল হিলালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি (দেনার জমিন হয়ে) বিরাট অঙ্কের ঋণী হয়ে পড়লাম। কাজেই আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে এজন্য তার নিকট চাইলাম। তিনি বললেন, “যাকাত বা সদাকার মাল আসা পর্যন্ত আমার কাছে অপেক্ষা কর। তা এসে গেলে আমি তোমাকে তা থেকে দিতে নির্দেশ দিবো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি বললেনঃ হে কবীসাহ! মনে রেখো, তিন ব্যক্তি ছাড়া কারো জন্য হাত পাতা বা সাহায্য প্রার্থনা করা হালাল নয়। (১) যে ব্যক্তি (কোন ভাল কাজ করতে গিয়ে বা দেনার জমিন হয়ে) ঋণী হয়ে পড়েছে। ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সাহায্য প্রার্থনা করা তার জন্য হালাল। যখন দেনা পরিশোধ হয়ে যাবে তখন সে এ থেকে বিরত থাকবে। (২) যে ব্যক্তি প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়েছে এবং এতে তার যাবতীয় সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে। তার জন্যও সাহায্য চাওয়া হালাল যতক্ষণ না তার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়। রাবীর সন্দেহ- তিনি কি ’কিওয়াম’ শব্দ বলেছেন না ’সিদাদ’ শব্দ বলেছেন? (উভয় শব্দের অর্থ একই)। (৩) যে ব্যক্তি এমন অভাবগ্রস্ত হয়েছে যে, তার গোত্রের তিনজন জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন লোক সাক্ষ্য দেয় যে, “সত্যিই অমুক অভাবে পড়েছে" তার জন্য জীবিকা নির্বাহের পরিমাণ সম্পদ লাভ করার পূর্ব পর্যন্ত সাহায্য প্রার্থনা করা হালাল। হে কবীসাহ! এ তিন প্রকার লোক ছাড়া আর সকলের জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম। অতএব এ তিন প্রকার লোক ছাড়া যে সব লোক সাহায্য চেয়ে বেড়ায় তারা হারাম খায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২২৭২, ইসলামীক সেন্টার ২২৭৩)

باب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ ‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ، حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيُّ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ، مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ ‏"‏ أَقِمْ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثَلاَثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ - وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُومَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ لَقَدْ أَصَابَتْ فُلاَنًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ - فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتًا يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا ‏"‏ ‏.‏


Qabisa b. Mukhariq al-Hilali said: I was under debt and I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and begged from him regarding it. He said: Wait till we receive Sadaqa, so that we order that to be given to you. He again said: Qabisa, begging is not permissible but for one of the three (classes) of persons: one who has incurred debt, for him begging is permissible till he pays that off, after which he must stop it; a man whose property has been destroyed by a calamity which has smitten him, for him begging is permissible till he gets what will support life, or will provide him reasonable subsistence; and a person who has been smitten by poverty. the genuineness of which is confirmed by three intelligent members of this peoples for him begging is permissible till he gets what will support him, or will provide him subsistence. Qabisa, besides these three (every other reason) for begging is forbidden, and one who engages in such consumes that what is forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭. যে অবস্থায় যাকাত চাওয়া জায়িয

১৬৪০। ক্বাবীসাহ ইবনু মুখারিক আল-হিলালী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি অন্যের ঋণের জামিনদার হলাম। পরে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলে তিনি বললেনঃ হে ক্বাবীসাহ! আমাদের কাছে যাকাতের মাল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। আমরা তা থেকে তোমাকে কিছু দেয়ার নির্দেশ দিবো। পরে তিনি বললেন, হে ক্বাবীসাহ! তিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো জন্য সওয়াল করা বৈধ নয়। (১) যে ব্যক্তি কোন ঋণের জামিনদার হয়েছে ঋণ পরিশোধ করা পর্যন্ত তার জন্য সওয়াল করা হালাল, পরিশোধ হয়ে গেলে সে বিরত থাকবে। (২) যে ব্যক্তির সমস্ত মাল আকস্মিক দুর্ঘটানায় ধ্বংস হয়ে গেছে, তার জীবন ধারণের পরিমাণ সম্পদ পাওয়া পর্যন্ত তার জন্য সওয়াল করা হালাল। (৩) যে ব্যক্তি দুর্ভিক্ষ কবলিত, এমনকি তার গোত্র-সমাজের তিনজন বিবেচক ও সুধী ব্যক্তি বলে যে, অমুক ব্যক্তি দুর্ভিক্ষ পীড়িত। তখন জীবন ধারণের পরিমাণ সম্পদ পাওয়া পর্যন্ত তার জন্য সওয়াল করা বৈধ, এরপর তা থেকে বিরত থাকবে। অতঃপর বলেন, হে ক্বাবীসাহ! এ তিন প্রকারের লোক ছাড়া অন্যদের জন্য সওয়াল করা হারাম এবং কেউ করলে সে হারাম ভক্ষণ করলো।[1]

সহীহ : মুসলিম।

باب مَا تَجُوزُ فِيهِ الْمَسْأَلَةُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيُّ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِيِّ، قَالَ : تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَا لأَحَدِ ثَلَاثَةٍ: رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ، وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏"‏ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ‏"‏ ‏.‏ ‏"‏ وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا الْفَاقَةُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ - ثُمَّ يُمْسِكُ وَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ! سُحْتٌ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا ‏"‏ ‏.‏

- صحيح : م


Qabisah b. Mukhiriq al-Hilali said : I became a guarantor for a payment, and I came to Messenger of Allah (May peace be upon him). He said: Wait till I receive the sadaqah and I shall order it to be given to you. He then said : Begging, Qabisah, is allowable only to one of three classes: a man who has become a guarantor for a payment to whom begging is allowed till he gets it, after which he must stop (begging); a man who has been stricken by a calamity and it destroys his property to whom begging is allowed till he gets what will support life (or he said, what will provide a reasonable subsistence); and a man who has been smitten by poverty, about whom three intelligent members of his people confirm by saying: So and so has been smitten by poverty, to such a person begging is allowed till be gets what will support life (or he said, what will provide a reasonable subsistence), after which he must stop (begging). Any other reason for begging, Qabisah, is forbidden, and one who engages in such consumes it as a thing which is forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১৪) আবূ বিশর ক্বাবীস্বাহ ইবনে মুখারেক (রাঃ) বলেন, একবার এক অর্থদণ্ডের দায়িত্ব আমার ঘাড়ে থাকলে আমি সে ব্যাপারে সাহায্য নিতে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেন, সাদকার মাল আসা পর্যন্ত তুমি অবস্থান কর। এলে তোমাকে তা দেওয়ার আদেশ করব। অতঃপর তিনি বললেন, হে ক্বাবীসবাহ! তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য চাওয়া বৈধ নয়; (১) যে ব্যক্তি অর্থদণ্ডে পড়বে (কারো দিয়াত বা জরিমানা দেওয়ার যামিন হবে), তার জন্য চাওয়া হালাল। অতঃপর তা পরিশোধ হয়ে গেলে সে চাওয়া বন্ধ করবে। (২) যে ব্যক্তি দুর্যোগগ্রস্ত হবে এবং তার মাল ধ্বংস হয়ে যাবে, তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ তার সচ্ছল অবস্থা ফিরে না এসেছে। (৩) যে ব্যক্তি অভাবী হয়ে পড়বে এবং তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী লোক এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, অমুক অভাবী, তখন তার জন্য চাওয়া বৈধ। আর এ ছাড়া হে ক্বাবীস্বাহ অন্য লোকের জন্য চেয়ে (মেগে) খাওয়া হারাম। সে মাল খেলে হারাম খাওয়া হবে।

وَعَنْ أَبيْ بِشْرٍ قَبيصَةَ بنِ المُخَارِقِ قَالَ : تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأتَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ أسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أقِمْ حَتَّى تَأتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ يَا قَبيصةُ إنَّ المَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثلاثَةٍ : رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ المَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَها ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِنْ عَيش - أَوْ قَالَ : سِدَاداً مِنْ عَيْشٍ - وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الحِجَى مِنْ قَوْمِه : لَقَدْ أصَابَتْ فُلاناً فَاقَةٌ فَحلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِن عَيش أَوْ قَالَ : سِدَاداً مِن عَيشٍ فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ المسألَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ يَأكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتاً رواه مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দূরে থাকা এবং অপরকে দান করার প্রতি উৎসাহ দেওয়া প্রসঙ্গে

(১০১৭) কাবীসাহ বিন মুখারিক হিলালী (রাঃ) বলেন, একবার এক অর্থদণ্ডর দায়িত্ব আমার ঘাড়ে থাকলে আমি সে ব্যাপারে সাহায্য নিতে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেন, তুমি আমাদের কাছে থাকো। সাদকার মাল এলে তোমাকে তা দিয়ে সাহায্য করব।

অতঃপর তিনি বললেন, হে কাবীসাহ! তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য চাওয়া বৈধ নয়;

(১) যে ব্যক্তি অর্থদণ্ড পড়বে (কারো দিয়াত বা জরিমানা দেওয়ার যামিন হবে), তার জন্য চাওয়া হালাল। অতঃপর তা পরিশোধ হয়ে গেলে সে চাওয়া বন্ধ করবে।

(২) যে ব্যক্তি দুর্যোগগ্রস্ত হবে এবং তার মাল ধ্বংস হয়ে যাবে, তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ তার সচ্ছল অবস্থা ফিরে না এসেছে।

(৩) যে ব্যক্তি অভাবী হয়ে পড়বে এবং তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী লোক এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, অমুক অভাবী, তখন তার জন্য চাওয়া বৈধ।

আর এ ছাড়া হে কাবীসাহ অন্য লোকের জন্য চেয়ে (মেগে) খাওয়া হারাম। সে মাল খেলে হারাম খাওয়া হবে।

عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلاَلِىِّ قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أَقِمْ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا قَالَ ثُمَّ قَالَ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثَلاَثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ - أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُومَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِى الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ لَقَدْ أَصَابَتْ فُلاَنًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ- أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ- فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتًا يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. সদাকাহ (যাকাত ও ‘উশর) বণ্টন পদ্ধতি - প্রয়োজনের সময় যাচ্ঞা করা বৈধ

৬৪৫. ক্বাবীসাহ বিন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন প্রকারের লোক ব্যতীত অন্য কারো যাঞ্চা করা হালাল বা বৈধ নয়। যে ব্যক্তি কারো (ঋণ) পরিশোধের যামীন হয় তার জন্য ঐ পরিমাণ যাঞ্চা করা বৈধ যে পরিমাণের জন্য সে যামীন হয়েছে। তার পর তা বন্ধ করে দেবে। যে ব্যক্তির সম্পদ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তার জীবন যাত্রাকে প্রতিষ্ঠিত করা পর্যন্ত যাঞ্চা করতে পারবে। আর ঐ অভাবী ব্যক্তি যার পক্ষে তার উক্ত গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি সাক্ষ্য দিবে। তার আর্থিক জীবন ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু যাঞ্চা করা তারপক্ষে বৈধ। হে ক্বাবীসাহ, জেনে রাখ। এছাড়া যে কোন প্রকার যাঞ্চা হারাম। যে অবৈধ যাঞ্চা করবে। সে হারাম ভক্ষণ করবে।[1]

وَعَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ: رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً, فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا, ثُمَّ يُمْسِكَ، وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ, اِجْتَاحَتْ مَالَهُ, فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ, وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُومَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَى مِنْ قَومِهِ: لَقَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ; فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ, فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ يَأْكُلُهَا [صَاحِبُهَا] سُحْتًا». رَوَاهُ مُسْلِمٌ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ خُزَيْمَةَ, وَابْنُ حِبَّانَ

-

صحيح. رواه مسلم (1044)، وأبو داود (1640)، وابن خزيمة (2361)، وابن حبان (5/ 168)، من طريق كنانة بن نعيم العدوي، عن قبيصة بن مخارق الهلالي، قال: تحملت حمالة، فأتيت النبي صلى الله عليه وسلم أسأله فيها. فقال: «أقم حتى تأتينا الصدقة. فنأمر لك بها «قال: ثم قال: «يا قبيصة! إن المسألة … فذكره. وتحمل حمالة: أي: المال الذي يتحمله الإنسان عن غيره


Qabisah bin Mukhariq Al-Hilali (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said: “Asking for (the money of) Zakah, is justified only for the following three: first, a man who is in debt: it is then permissible for him to receive [Zakah] until his difficulty is resolved; second, a man who was struck by calamity, which destroyed his holdings, which also makes it permissible for him to receive [Zakah] until he is in a position to earn his own living; and third, a man who has been reduced to poverty and three persons of caliber from among his people testify to his desperate circumstances. Such will receive until he finds a means of support for himself. Other than these cases, O Qabisah, it is considered as taking suht (unlawful or haram earnings), and the person receiving it (this Zakah) will be consuming forbidden (unlawful) holdings.” Related by Muslim, Abu Dawud, Ibn Khuzaimah and Ibn Hibban.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. দেউলিয়া ও সম্পত্তির কর্তৃত্ব বিলোপ - কোন ব্যক্তির ক্ষতিগ্ৰস্ত হওয়া তিনজন সাক্ষী ব্যতীত গ্ৰহীত হবে না

৮৭১. কাবীসাহ বিন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন শ্রেণীর লোক ব্যতীত কারও জন্য ভিক্ষা করা বৈধ নয়। ১. কোন ব্যক্তি কারও ঋণ পরিশোধের জিম্মাদারী নিয়েছে। তা আদায় দেয়া পর্যন্ত তার ভিক্ষা চাওয়া বৈধ- তারপর সে তা থেকে বিরত থাকবে। ২. কোন ব্যক্তির ধনসম্পদ কোন দুর্যোগহেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তার জন্য- তার জীবন ধারনের সামৰ্থ্য অর্জন পর্যন্ত ভিক্ষা করা বৈধ হবে। ৩. ঐ ব্যক্তি যাকে দুর্ভিক্ষে পেয়েছে, অতঃপর তার অনাহার থাকার পক্ষে তার কওমের মধ্যে থেকে তিনজন জ্ঞানী লোক সাক্ষী দেন যে অমুক ব্যক্তিকে দুর্ভিক্ষে পেয়েছে, তার জন্য ভিক্ষা করা বৈধ হবে।[1]

وَعَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ [الْهِلَالِيِّ]- رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ: رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ، وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ, فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ، وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَى مِنْ قَوْمِهِ: لَقَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ, فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

-

صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬: অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৮৬. ইব্রাহীম ইবনু ইয়াকূব (রহ.) ..... কবীসাহ ইবনু মুখারিক আল হিলালী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লাগল। তখন আমরা আল্লাহর রসূল (সা.) -এর সাথে মদীনায় ছিলাম। তখন তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কাপড় সামলাতে সামলাতে বের হলেন। তারপর দু' রাকআত সালাত আদায় করলেন এবং তা এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, তাঁর সালাতের সমাপ্তির সাথে সাথে সূর্যের আলো বিকশিত হয়ে গেল। এরপর তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণাগুন বর্ণনা করলেন। অতঃপর বললেন যে, চন্দ্র-সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের দু'টি নিদর্শন। নিশ্চয় কারও জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা যখন তার কোন কিছু দেখতে পাও, তখন সালাত আদায় কর তোমাদের সম্প্রতি আদায়কৃত ফরয সালাতের ন্যায়।

باب نَوْعٌ آخَرُ

وأَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، ‏‏‏‏‏‏أَنَّ جَدَّهُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْوَازِعِ حَدَّثَهُ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِيِّ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَنَحْنُ إِذْ ذَاكَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، ‏‏‏‏‏‏فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ، ‏‏‏‏‏‏فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَطَالَهُمَا فَوَافَقَ انْصِرَافُهُ انْجِلَاءَ الشَّمْسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ،‏‏‏‏ ثُمَّ قَالَ:‏‏‏‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا .

تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۲۶۲ (۱۱۸۵، ۱۱۸۶)، (تحفة الأشراف: ۱۱۰۶۵)، مسند احمد ۵/۶۰، ۶۱ (ضعیف) (یہاں ابو قلابة مدلس نے ’’نعمان‘‘ کے بجائے ’’قبیصہ‘‘ کانام لیا ہے، مذکورہ سبب سے یہ روایت بھی ضعیف ہے)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1487 - ضعيف

Another version


It was narrated that Qabisah bin Mukhariq Al-Hilali said: There was an eclipse of the sun and at the time we were with the Messenger of Allah (ﷺ) in Al-Madinah. He rushed out dragging his garment and prayed two rak'ahs, which he made lengthy. The end of his prayer coincided with the end of the eclipse. He praised and glorified Allah (SWT), then he said: 'The sun and the moon are two of the signs of Allah (SWT), and they do not become eclipsed for the death or birth of anyone. If you see anything of that, then pray like the last obligatory prayer you did before that.'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক আল হিলালী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »