হাদীস সম্ভার সর্বমোট হাদিসঃ ৩৯০২ টি

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর মহানুভবতা ও স্নেহশীলতা

(২৭৮১) আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, একদা এক যুবক আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ’হে আল্লাহ রসূল! আপনি আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন!’

এ কথা শুনে লোকেরা তাকে ধমক দিয়ে বলল, ’থামো, থামো! (এ কী বলছ তুমি?)’

কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’’আমার কাছে এসো।’’

সে তাঁর কাছে এসে বসলে তিনি তাঁকে বললেন, ’’তুমি কি নিজ মায়ের জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের মায়েদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার মেয়ের জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের মেয়েদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার বোনের জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের বোনেদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার ফুফুর জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের ফুফুদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার খালার জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের খালাদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি তার বুকে হাত রাখলেন এবং তার জন্য দু’আ ক’রে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি ওর গোনাহ মাফ করে দাও, ওর হৃদয়কে পবিত্র করে দাও এবং ওকে ব্যভিচার থেকে রক্ষা কর।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সেই যুবক আর ব্যভিচারের দিকে ভ্রূক্ষেপও করেনি।

عَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ قَالَ إِنَّ فَتًى شَابًّا أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ائْذَنْ لِي بِالزِّنَا فَأَقْبَلَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ فَزَجَرُوهُ قَالُوا مَهْ مَهْ فَقَالَ ادْنُهْ فَدَنَا مِنْهُ قَرِيبًا قَالَ فَجَلَسَ قَالَ أَتُحِبُّهُ لِأُمِّكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِأُمَّهَاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِابْنَتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِبَنَاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِأُخْتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِأَخَوَاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِعَمَّتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِعَمَّاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِخَالَتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِخَالَاتِهِمْ قَالَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ ذَنْبَهُ وَطَهِّرْ قَلْبَهُ وَحَصِّنْ فَرْجَهُ فَلَمْ يَكُنْ بَعْدُ ذٰلِكَ الْفَتَى يَلْتَفِتُ إِلٰـى شَيْءٍ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর মহানুভবতা ও স্নেহশীলতা

(২৭৮২) সালামাহ বিন স্বাখর বায়াযবী বলেন, আমি এমন পুরুষ ছিলাম, যে স্ত্রী-সহবাস বেশি করে। আমার মনে হয় না যে, আমি যতটা পারতাম ততটা অন্য কেউ পারত। সুতরাং রমযান প্রবেশ করলে আমি স্ত্রীর সাথে ’যিহার’ করলাম, যাতে রমযান পার হয়ে যায় (এবং দিনে সহবাসে লিপ্ত না হয়ে পড়ি)। একদা রাত্রে সে আমার সাথে কথা বলছিল, এমন সময় তার দেহের এমন কিছু অংশ আমার জন্য খুলে গেল, যার ফলে আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম এবং সঙ্গম করে ফেললাম। অতঃপর সকাল হলে আমি আমার গোত্রের লোকেদেরকে আমার খবর বললাম। আমি তাদেরকে বললাম, ’আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে (ফতোয়া) জিজ্ঞাসা কর।’

তারা বলল, ’আমরা তা পারব না। কারণ আল্লাহ আযযা অজাল্ল কুরআন অবতীর্ণ করবেন অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে কোন উক্তি করা হবে, অতঃপর তার লজ্জা আমাদের ঘাড়ে থেকে যাবে। বরং আমরা তোমার অপরাধ তোমাকেই সোপর্দ করছি। তুমিই গিয়ে তোমার নিজের ব্যাপার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উল্লেখ কর।’

সুতরাং আমি বের হলাম এবং তাঁর কাছে এসে আমার খবর খুলে বললাম।

তিনি বললেন, ’’তুমিই এ কাজ করেছ?’’

আমি বললাম, ’জী, আমিই এ কাজ করে ফেলেছি। আর এই যে আমিই আল্লাহর ফায়সালা মেনে নিতে ধৈর্যধারণ করব হে আল্লাহর রসূল!’

তিনি বললেন, ’’তাহলে একটি গর্দান (ক্রীতদাস) স্বাধীন কর।’’

আমি বললাম, ’সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য-সহ প্রেরণ করেছেন! এই সকালে আমি আমার নিজের এই গর্দান ছাড়া অন্য কিছুর মালিক নই।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে একটানা দুই মাস রোযা রাখো।’’

আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমার উপর যে মসীবত এল, তা কি রোযা ছাড়া অন্য কিছুর কারণে এল?’

তিনি বললেন, ’’তাহলে ষাটজন মিসকীনকে সাদকা কর অথবা অন্নদান কর।’’

আমি বললাম, ’সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য-সহ প্রেরণ করেছেন! গত রাত্রে আমাদের রাতের খাবারও ছিল না!’

তিনি বললেন, ’’তাহলে বানী যুরাইকের সাদকা-ওয়ালার কাছে যাও এবং তাকে বল, তোমাকে সাদকা দেবে। অতঃপর তুমি তা থেকে ষাটজন মিসকীন খাইয়ে দাও এবং অবশিষ্টাংশ দ্বারা তুমি উপকৃত হও।’’

সুতরাং আমি আমার গোত্রের লোকেদের কাছে ফিরে এলাম এবং বললাম, ’তোমাদের কাছে সংকীর্ণতা ও খারাপ রায় পেলাম। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পেলাম প্রশস্ততা ও ভালো রায়। তিনি তোমাদেরকে আমার জন্য সাদকা দিতে আদেশ করেছেন। সুতরাং আমাকে তা দাও।’

عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِىِّ قَالَ كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنَ النِّسَاءِ مَا لاَ يُصِيبُ غَيْرِى فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ مِنَ امْرَأَتِى شَيْئًا يُتَابَعُ بِى حَتّٰـى أُصْبِحَ فَظَاهَرْتُ مِنْهَا حَتّٰـى يَنْسَلِخَ شَهْرُ رَمَضَانَ فَبَيْنَمَا هِىَ تَخْدُمُنِى ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِـىْ مِنْهَا شَىْءٌ فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلٰـى قَوْمِى فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ وَقُلْتُ امْشُوا مَعِى إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالُوا لاَ وَاللهِ فَانْطَلَقْتُ إِلٰـى النَّبِىِّ ﷺ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَنْتَ بِذَاكَ يَا سَلَمَةُ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَرَّتَيْنِ وَأَنَا صَابِرٌ لأَمْرِ اللهِ فَاحْكُمْ فِىَّ مَا أَرَاكَ اللهُ قَالَ حَرِّرْ رَقَبَةً قُلْتُ وَالَّذِى بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا وَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِى قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ وَهَلْ أُصِبْتُ الَّذِى أُصِبْتُ إِلاَّ مِنَ الصِّيَامِ قَالَ فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا قُلْتُ وَالَّذِى بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا وَحْشَيْنِ مَا لَنَا طَعَامٌ قَالَ فَانْطَلِقْ إِلٰـى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِى زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ أَنْتَ وَعِيَالُكَ بَقِيَّتَهَا فَرَجَعْتُ إِلٰـى قَوْمِى فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ النَّبِىِّ ﷺ السَّعَةَ وَحُسْنَ الرَّأْىِ وَقَدْ أَمَرَنِى - أَوْ أَمَرَ لِـىْ – بِصَدَقَتِكُمْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ন্যায়পরায়ণতা

(২৭৮৩) ইবনে আবূ হাদরাদ আসলামীর কাছে এক ইয়াহুদীর চার দিরহাম পাওনা ছিল। সুতরাং সে তাঁর বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নালিশ জানিয়ে বলল, ’হে মুহাম্মাদ! এর কাছে আমার চার দিরহাম পাওনা আছে। তা আদায় করতে আমাকে হার মানিয়েছে।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, ’’ওকে ওর পাওনা দিয়ে দাও।’’

তিনি বললেন, ’সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য-সহ প্রেরণ করেছেন! আমি তা পরিশোধে অক্ষম।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় তাকীদ দিয়ে বললেন, ’’ওকে ওর পাওনা দিয়ে দাও।’’

তিনি বললেন, ’সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! আমি তা পরিশোধে অক্ষম। আমি ওকে বলেছি, আপনি আমাদেরকে খায়বার পাঠাবেন এবং আশা করি যে, আপনি কিছু যুদ্ধলব্ধ সম্পদ দেবেন। অতঃপর ফিরে এসে আমি তার পাওনা মিটিয়ে দেব।’

কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবারো জোর দিয়ে বললেন, ’’ওকে ওর পাওনা দিয়ে দাও।’’

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে রীতি এমন ছিল যে, তিনি কোন আদেশ তিনবার করলে আর তাঁর সাথে কেউ কথা বলতে পারতেন না। সে আদেশ প্রত্যাহার করার আর কোন আশা থাকত না।

সুতরাং ইবনে আবূ হাদরাদ বাদীকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে বের হয়ে গেলেন। তাঁর মাথায় পাগড়ি ছিল এবং পরনে ছিল একটি চাদর। মাথার পাগড়িটা খুলে নিয়ে কোমরে জড়ালেন এবং চাদরটা খুলে নিয়ে বললেন, ’তুমি এটা আমার কাছ থেকে কিনে নাও।’

সুতরাং সেটাকে তার কাছে চার দিরহামে বিক্রি করে দিয়ে তার দেনা পরিশোধ করলেন।

সেখানে এ বৃদ্ধা তাঁর এ দশা দেখে বলল, ’হে রাসূলুল্লাহর সাথী! কী ব্যাপার আপনার?’

তিনি ঘটনা খুলে বললে, সে তাঁর গায়ে একটি চাদর ছুঁড়ে দিল।

عَنِ ابْنِ أَبِي حَدْرَدٍ الْأَسْلَمِيِّ أَنَّهُ كَانَ لِيَهُودِيٍّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةُ دَرَاهِمَ فَاسْتَعْدَى عَلَيْهِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ لِي عَلٰى هٰذَا أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ وَقَدْ غَلَبَنِي عَلَيْهَا فَقَالَ أَعْطِهِ حَقَّهُ قَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَقْدِرُ عَلَيْهَا قَالَ أَعْطِهِ حَقَّهُ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أَقْدِرُ عَلَيْهَا قَدْ أَخْبَرْتُهُ أَنَّكَ تَبْعَثُنَا إِلٰـى خَيْبَرَ فَأَرْجُو أَنْ تُغْنِمَنَا شَيْئًا فَأَرْجِعُ فَأَقْضِيهِ قَالَ أَعْطِهِ حَقَّهُ قَالَ وَكَأَنَّ النَّبِـيَّ ﷺ إِذَا قَالَ ثَلَاثًا لَمْ يُرَاجَعْ فَخَرَجَ بِهِ ابْنُ أَبِـيْ حَدْرَدٍ إِلٰـى السُّوقِ وَعَلٰى رَأْسِهِ عِصَابَةٌ وَهُوَ مُتَّزِرٌ بِبُرْدٍ فَنَزَعَ الْعِمَامَةَ عَنْ رَأْسِهِ فَاتَّزَرَ بِهَا وَنَزَعَ الْبُرْدَةَ فَقَالَ اشْتَرِ مِنِّي هَذِهِ الْبُرْدَةَ فَبَاعَهَا مِنْهُ بِأَرْبَعَةِ الدَّرَاهِمِ فَمَرَّتْ عَجُوزٌ فَقَالَتْ مَا لَكَ يَا صَاحِبَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَأَخْبَرَهَا فَقَالَتْ هَا دُونَكَ هٰذَا بِبُرْدٍ عَلَيْهَا طَرَحَتْهُ عَلَيْهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ন্যায়পরায়ণতা

(২৭৮৪) আনাস (রাঃ) বলেন, একদা তিনি এক স্ত্রীর বাসায় ছিলেন। অন্য এক স্ত্রী দাসীর মাধ্যমে তাঁর কাছে এক পাত্র কোন খাবার পাঠালেন। যাঁর বাসায় তিনি ছিলেন, সেই স্ত্রী দাসীর হাতে আঘাত করলে পাত্রটি পড়ে ভেঙ্গে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাত্রের টুকরাগুলো জমা করে তার উপরে খাবারগুলো রাখতে লাগলেন এবং বললেন, (غَارَتْ أُمُّكُمْ) ’তোমাদের মা ঈর্ষান্তিতা হয়ে পড়েছে!’

অতঃপর দাসীকে যেতে দিলেন না, যতক্ষণ না তিনি যার বাসায় ছিলেন, তার বাসা থেকে একটি ভালো পাত্র আনা হল। অতঃপর তিনি ভালো পাত্রটি তাঁকে দিয়ে পাঠালেন, যাঁর পাত্র ভাঙ্গা হয়েছিল। আর ভাঙ্গা পাত্রটি তাঁর বাসায় রেখে নিলেন, যাঁর বাসায় তিনি ছিলেন।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَأَنَّ النَّبِـيَّ ﷺ عِنْدَ بَعْضِ نِسَائِهِ فَأَرْسَلَتْ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِصَحْفَةٍ فِيهَا طَعَامٌ فَضَرَبَتْ الَّتِي النَّبِيُّ ﷺ فِي بَيْتِهَا يَدَ الْخَادِمِ فَسَقَطَتْ الصَّحْفَةُ فَانْفَلَقَتْ فَجَمَعَ النَّبِيُّ ﷺ فِلَقَ الصَّحْفَةِ ثُمَّ جَعَلَ يَجْمَعُ فِيهَا الطَّعَامَ الَّذِي كَانَ فِي الصَّحْفَةِ وَيَقُوْلُ غَارَتْ أُمُّكُمْ ثُمَّ حَبَسَ الْخَادِمَ حَتّٰـى أُتِيَ بِصَحْفَةٍ مِنْ عِنْدِ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا فَدَفَعَ الصَّحْفَةَ الصَّحِيحَةَ إِلٰـى الَّتِي كُسِرَتْ صَحْفَتُهَا وَأَمْسَكَ الْمَكْسُورَةَ فِي بَيْتِ الَّتِي كَسَرَتْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৮৫) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, ’আপনার উপর কি উহুদের দিনের চেয়েও কঠিন দিন এসেছে?’ তিনি বললেন, ’আমি তোমার কওম থেকে বহু কষ্ট পেয়েছি এবং সবচেয়ে বেশি কষ্ট আক্বাবার দিন পেয়েছি, যেদিন আমি নিজেকে ইবনে আবদে ইয়ালীল ইবনে আব্দে কুলাল (ত্বায়েফের এক বড় সর্দার) এর উপর (ইসলামের দিকে আহবান করার জন্য) পেশ করেছিলাম। সে আমার দাওয়াত গ্রহণ করল না। সুতরাং আমি চিন্তিত হয়ে চলতে শুরু করলাম। তারপর ’ক্বারনুস সাআলিব’ (বর্তমানে সাইল কাবীর) নামক স্থানে পৌঁছলে সেখানে কিছু স্বস্তি অনুভব করলাম। আমি (আকাশের দিকে) মাথা উঠিয়ে দেখতে পেলাম যে, একটা মেঘখণ্ড আমার উপর ছায়া করে আছে। অতঃপর গভীর দৃষ্টিতে দেখলাম, তাতে জিবরীল (আঃ) রয়েছেন। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, ’আপনার কউম আপনাকে যে কথা বলেছে এবং তারা আপনাকে যে জবাব দিয়েছে, তা সবই মহান আল্লাহ শুনেছেন।

অতঃপর তিনি আপনার নিকট পর্বতমালার ফিরিশতাকে পাঠিয়েছেন, যেন আপনি তাঁকে তাদের (ত্বায়েফবাসীদের) ব্যাপারে যা ইচ্ছা আদেশ দেন।’ অতঃপর পর্বতমালার ফিরিশতা আমাকে আওয়াজ দিলেন এবং আমাকে সালাম দিয়ে বললেন, ’হে মুহাম্মাদ! আপনার কওম আপনাকে যা বলেছে, তা (সবই) মহান আল্লাহ শুনেছেন। আমি হচ্ছি পর্বতমালার ফিরিশতা। আমার প্রভু আমাকে আপনার নিকট পাঠিয়েছেন, যেন আপনি আমাকে তাদের ব্যাপারে (কোন) নির্দেশ দেন। সুতরাং আপনি কী চান? আপনি চাইলে, আমি (মক্কার) বড় বড় পাহাড় দু’টিকে তাদের উপর চাপিয়ে দেব।’ (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (এমন কাজ করবেন না) বরং আমি আশা করছি যে, মহান আল্লাহ তাদের পৃষ্ঠদেশ থেকে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটাবেন, যারা এক আল্লাহর উপাসনা করবে এবং তাঁর সাথে কোন জিনিসকে শরীক করবে না।

عن عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ فَقَالَ لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ وَكَانَ أَشَدَّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ الْعَقَبَةِ إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِى عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلاَلٍ فَلَمْ يُجِبْنِى إِلٰـى مَا أَرَدْتُ فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلٰى وَجْهِى فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلاَّ بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ فَرَفَعْتُ رَأْسِى فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِى فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ فَنَادَانِى فَقَالَ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الْجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ قَالَ فَنَادَانِى مَلَكُ الْجِبَالِ وَسَلَّمَ عَلَىَّ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَأَنَا مَلَكُ الْجِبَالِ وَقَدْ بَعَثَنِى رَبُّكَ إِلَيْكَ لِتَأْمُرَنِى بِأَمْرِكَ فَمَا شِئْتَ إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللهُ مِنْ أَصْلاَبِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللهَ وَحْدَهُ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৮৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তুফাইল বিন আমর দাওসী ইসলামে দীক্ষেত হলেন। অতঃপর তিনি ফিরে গিয়ে নিজ গোত্রের লোককে ইসলামের দিকে আহবান করলেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে তাঁর আববা ও স্ত্রী ইসলাম গ্রহণ করলেন। বাকী লোকেরা ঈমান আনতে অস্বীকার করল। তিনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! দাওস গোত্র অবাধ্য, তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। আপনি তাদের উপর বদ্দুআ করুন।’ এ কথার পর লোকেরা ভাবল যে, তিনি এবার তাদের উপর বদ্দুআ করবেন। কিন্তু তিনি দু’আ করে বললেন, ’হে আল্লাহ! তুমি দাওস গোত্রকে হেদায়াত কর এবং তাদেরকে (আমার নিকট) আনয়ন কর।’

عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَدِمَ الطُّفَيْلُ وَأَصْحَابُهُ فَقَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ دَوْسًا قَدْ كَفَرَتْ وَأَبَتْ فَادْعُ اللهَ عَلَيْهَا فَقِيلَ هَلَكَتْ دَوْسٌ فَقَالَ اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَائْتِ بِهِمْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৮৭) আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) বলেন, হুনাইন যুদ্ধের গনিমতের মাল বন্টনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু লোককে (তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য) প্রাধান্য দিলেন (অর্থাৎ, অন্য লোকের তুলনায় তাদেরকে বেশী মাল দিলেন)। সুতরাং তিনি আক্বরা’ বিন হাবেসকে একশত উট দিলেন এবং উয়াইনা বিন হিস্নকেও তারই মতো দিলেন। অনুরূপ আরবের আরো কিছু সম্ভান্ত মানুষকেও সেদিন (মাল) বন্টনে প্রাধান্য দিলেন। (এ দেখে) একটি লোক বলল, ’আল্লাহর কসম! এই বন্টনে ইনসাফ করা হয়নি এবং এতে আল্লাহর সন্তোষ লাভের ইচ্ছা রাখা হয়নি!’

আমি (ইবনে মাসউদ) বললাম, ’আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি এই সংবাদ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পৌঁছে দেব।’ অতএব আমি তাঁর কাছে এসে সেই সংবাদ দিলাম, যা সে বলল। ফলে তাঁর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে এমনকি লালবর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, ’যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূল ইনসাফ না করেন, তাহলে আর কে ইনসাফ করবে? আল্লাহ মূসাকে রহম করুন, তাঁকে এর চেয়ে বেশী কষ্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছিলেন।’ অবশেষে আমি (মনে মনে) বললাম যে, ’আমি এর পরে কোন কথা তাঁর কাছে পৌঁছাব না।’

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ آثَرَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ نَاسًا فِى الْقِسْمَةِ فَأَعْطَى الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ وَأَعْطَى عُيَيْنَةَ مِثْلَ ذٰلِكَ وَأَعْطَى أُنَاسًا مِنْ أَشْرَافِ الْعَرَبِ وَآثَرَهُمْ يَوْمَئِذٍ فِى الْقِسْمَةِ فَقَالَ رَجُلٌ وَاللهِ إِنَّ هَذِهِ لَقِسْمَةٌ مَا عُدِلَ فِيهَا وَمَا أُرِيدَ فِيهَا وَجْهُ اللهِ قَالَ فَقُلْتُ وَاللهِ لأُخْبِرَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ - قَالَ - فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا قَالَ قَالَ فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ حَتّٰـى كَانَ كَالصِّرْفِ ثُمَّ قَالَ فَمَنْ يَعْدِلُ إِنْ لَمْ يَعْدِلِ اللهُ وَرَسُوْلُهُ قَالَ ثُمَّ قَالَ يَرْحَمُ اللهُ مُوسَى قَدْ أُوذِىَ بِأَكْثَرَ مِنْ هٰذَا فَصَبَرَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৮৮) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনাইন থেকে ফেরার পথে জিইর্রানাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালের কাপড় থেকে নিয়ে চাঁদি বিতরণ করছিলেন। এক ব্যক্তি বলে উঠল, ’হে মুহাম্মাদ! আপনি ন্যায়ভাবে বন্টন করুন। ঐ বন্টন ন্যায্য হচ্ছে না!’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এ কথা শুনে বললেন, ’দূর হতভাগা! আমি ন্যায্য বন্টন না করলে আর কে করবে? ইনসাফ না করলে আমি ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ উমার (রাঃ) বললেন, ’আমাকে অনুমতি দিন। আমি ঐ মুনাফিকের গর্দানটি উড়িয়ে দিই।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’ওর কিছু সহচর আছে, যারা কুরআন পড়ে। কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালী পার হয় না। তারা ইসলাম থেকে ঐভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়।’

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ بِالْجِعْرَانَةِ مُنْصَرَفَهُ مِنْ حُنَيْنٍ وَفِى ثَوْبِ بِلاَلٍ فِضَّةٌ وَرَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَقْبِضُ مِنْهَا يُعْطِى النَّاسَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ اعْدِلْ قَالَ وَيْلَكَ وَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ لَقَدْ خِبْتَ وَخَسِرْتَ إِنْ لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه دَعْنِى يَا رَسُوْلَ اللهِ فَأَقْتُلَ هٰذَا الْمُنَافِقَ فَقَالَ مَعَاذَ اللهِ أَنْ يَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنِّى أَقْتُلُ أَصْحَابِى إِنَّ هٰذَا وَأَصْحَابَهُ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْهُ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৮৯) আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাশে ছিলাম তখন তিনি মক্কা-মদীনার মাঝে জিইর্রানাতে অবস্থান করছিলেন। তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল। ইতি মধ্যে এক বেদুঈন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ’হে মুহাম্মাদ! আপনি আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কি পালন করবেন না?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’’সুসংবাদ নাও।’’ বেদুঈন তাঁকে বলল, ’আপনি আমাকে সুসংবাদ বহুবার বলেছেন।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত অবস্থায় আবূ মূসা ও বিলালের দিকে ফিরে বললেন, ’’এ তো সুসংবাদ রদ্দ করে দিল, তোমরা তা গ্রহণ কর।’’

তাঁরা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা তা গ্রহণ করলাম।’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পাত্রে পানি আনতে বললেন। অতঃপর তিনি তাতে নিজ দুই হাত ও চেহারা ধুলেন এবং কুলি ক’রে (কুলির পানি) তাতে দিলেন। তারপর বললেন, ’এ থেকে পান কর এবং তোমাদের চেহারা ও বুকে ঢেলে নাও এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর।’

তাঁরা পাত্রটি নিয়ে তাই করলেন, যা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে আদেশ করেছিলেন। পর্দার আড়াল থেকে উম্মে সালামাহ ডাক দিয়ে বললেন, ’তোমাদের পাত্রে যা আছে, তার কিছু তোমাদের আম্মার জন্য বাঁচিয়ে রাখ।’ সুতরাং তাঁরা তাঁর জন্য কিছু অবশিষ্ট রাখলেন।

عَنْ أَبِى مُوسَى قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِىِّ ﷺ وَهُوَ نَازِلٌ بِالْجِعْرَانَةِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَتَى رَسُوْلَ اللهِ ﷺ رَجُلٌ أَعْرَابِىٌّ فَقَالَ أَلاَ تُنْجِزُ لِـىْ يَا مُحَمَّدُ مَا وَعَدْتَنِى فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَبْشِرْ فَقَالَ لَهُ الأَعْرَابِىُّ أَكْثَرْتَ عَلَىَّ مِنْ أَبْشِرْ فَأَقْبَلَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلَى أَبِى مُوسَى وَبِلاَلٍ كَهَيْئَةِ الْغَضْبَانِ فَقَالَ إِنَّ هٰذَا قَدْ رَدَّ الْبُشْرَى فَاقْبَلاَ أَنْتُمَا فَقَالاَ قَبِلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ ثُمَّ دَعَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ فِيهِ وَمَجَّ فِيهِ ثُمَّ قَالَ اشْرَبَا مِنْهُ وَأَفْرِغَا عَلَى وُجُوهِكُمَا وَنُحُورِكُمَا وَأَبْشِرَا فَأَخَذَا الْقَدَحَ فَفَعَلاَ مَا أَمَرَهُمَا بِهِ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَنَادَتْهُمَا أُمُّ سَلَمَةَ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ أَفْضِلاَ لأُمِّكُمَا مِمَّا فِى إِنَائِكُمَا فَأَفْضَلاَ لَهَا مِنْهُ طَائِفَةً


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৯০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির নিকট ঋণী ছিলেন। তার নিকট থেকে একটি উটের বাচ্চা ধার নিয়েছিলেন। লোকটি ঋণ আদায় করতে এসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কর্কশ ভাষায় কটু কথা শোনাতে শুরু করে দিল। তা দেখে সাহাবাগণ তাকে (ধমক দিয়ে) বাধা দিতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হকদারের কথা বলার অধিকার আছে। তোমরা ওর ঋণ শোধ করে দাও। ওর জন্য একটি উট ক্রয় কর।

সুতরাং তার জন্য উট কিনতে যাওয়া হল। অথবা তাঁর নিকট যখন সদকার উট এল তখন তিনি ঐ লোকটির উটের বাচ্চা পরিশোধ করতে সাহাবাকে আদেশ করলেন। বলা হল, ’উটগুলোর মধ্যে সবগুলোই বড় বড় উট রয়েছে, উটের কোন বাচ্চা ওদের মধ্যে নেই।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঐ বড় উটই দিয়ে দাও। কারণ, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে (ঋণ) পরিশোধের ব্যাপারে উত্তম।

عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ لِرَجُلٍ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ حَقٌّ فَأَغْلَظَ لَهُ فَهَمَّ بِهِ أَصْحَابُ النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ إِنَّ لِصَاحِبِ الْحَقِّ مَقَالاً فَقَالَ لَهُمُ اشْتَرُوا لَهُ سِنًّا فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ فَقَالُوا إِنَّا لاَ نَجِدُ إِلاَّ سِنًّا هُوَ خَيْرٌ مِنْ سِنِّهِ قَالَ فَاشْتَرُوهُ فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ فَإِنَّ مِنْ خَيْرِكُمْ أَوْ خَيْرَكُمْ أَحْسَنُكُمْ قَضَاءً


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৯১) আনাস (রাঃ) বলেন, (একদা) আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে পথ চলছিলাম। সে সময় তাঁর উপর মোটা পেড়ে একখানি নাজরানী চাদর ছিল। অতঃপর পথে এক বেদুঈনের সঙ্গে দেখা হল। সে তাঁর চাদর ধরে খুব জোরে টান দিল। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাঁধের এক পাশে দেখলাম যে, খুব জোরে টানার কারণে চাদরের পাড়ের দাগ পড়ে গেছে। পুনরায় সে বলল, ’ওহে মুহাম্মাদ! তোমার নিকট আল্লাহর যে মাল আছে, তা থেকে আমাকে দেওয়ার আদেশ কর।’ তিনি তার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসলেন। অতঃপর তাকে (কিছু মাল) দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كُنْتُ أَمْشِى مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَعَلَيْهِ رِدَاءٌ نَجْرَانِىٌّ غَلِيظُ الْحَاشِيَةِ فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِىٌّ فَجَبَذَهُ بِرِدَائِهِ جَبْذَةً شَدِيدَةً نَظَرْتُ إِلٰـى صَفْحَةِ عُنُقِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَقَدْ أَثَّرَتْ بِهَا حَاشِيَةُ الرِّدَاءِ مِنْ شِدَّةِ جَبْذَتِهِ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مُرْ لِـىْ مِنْ مَالِ اللهِ الَّذِى عِنْدَكَ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَضَحِكَ ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِعَطَاءٍ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৯২) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর করতল অপেক্ষা অধিকতর কোমল কোন রেশমবস্ত্র কখনো স্পর্শ করিনি এবং সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহের সুগন্ধি অপেক্ষা অধিকতর সুগন্ধ কখনো আঘ্রাণ করিনি। আমি দশ বছর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমত করেছি, কিন্তু কখনো তিনি আমার উপর ’উঃ’ বলেননি। যা আমি স্বেচ্ছায় করেছি তার উপর তিনি আমাকে বলেননি যে, ’তা কেন করলে?’ আর যা করিনি তার জন্যও বলেননি যে, ’কেন করলে না?

عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مَا مَسِسْتُ حَرِيرًا وَلَا دِيبَاجًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ النَّبِيِّ ﷺ وَلَا شَمِمْتُ رِيحًا قَطُّ أَوْ عَرْفًا قَطُّ أَطْيَبَ مِنْ رِيحِ أَوْ عَرْفِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ خَدَمْتُ النَّبِيَّ ﷺ عَشْرَ سِنِينَ فَمَا قَالَ لِي أُفٍّ وَلَا لِمَ صَنَعْتَ وَلَا أَلَّا صَنَعْتَ؟


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৯৩) আনাস (রাঃ) আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকেদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর চরিত্রের মানুষ ছিলেন। একদা তিনি কোন প্রয়োজনে আমাকে পাঠালেন। আমি বললাম, ’আল্লাহর কসম! আমি যাব না।’ অথচ আমার মনে ছিল আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজের আদেশ দিয়েছেন, তার জন্য আমি যাব। সুতরাং আমি বের হলাম। এক সময় কিছু শিশুদের পাশ দিয়ে পার হলাম। তারা বাজারে খেলা করছিল। (আমি সেখানে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে লাগলাম অথবা তাদের সাথে খেলতে লাগলাম।) ইতি মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিছন দিক থেকে এসে আমার ঘাড়ে ধরলেন। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি হাসছেন। তিনি বললেন, হে উনাইস! আমি তোমাকে যেখানে যেতে আদেশ করেছিলাম, সেখানে গিয়েছিলে? আমি বললাম, ’এখন যাচ্ছি হে আল্লাহর রসূল!

عَنْ أَنَسٍ قاَلَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا فَأَرْسَلَنِى يَوْمًا لِحَاجَةٍ فَقُلْتُ وَاللهِ لاَ أَذْهَبُ وَفِى نَفْسِى أَنْ أَذْهَبَ لِمَا أَمَرَنِى بِهِ نَبِىُّ اللهِ ﷺ فَخَرَجْتُ حَتّٰـى أَمُرَّ عَلَى صِبْيَانٍ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِى السُّوقِ فَإِذَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَدْ قَبَضَ بِقَفَاىَ مِنْ وَرَائِى قَالَ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقَالَ يَا أُنَيْسُ أَذَهَبْتَ حَيْثُ أَمَرْتُكَ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ أَنَا أَذْهَبُ يَا رَسُوْلَ اللهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৯৪)আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা চাকরকে কতবার ক্ষমা করব?’ উত্তর না দিয়ে তিনি চুপ থাকলেন। সে আবার জিজ্ঞাসা করলে তিনি আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বারে তিনি বললেন, তোমরা তাকে প্রত্যহ ৭০ বার ক্ষমা কর।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قال: جَاءَ رَجُلٌ إِلٰـى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَمْ نَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ فَصَمَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلاَمَ فَصَمَتَ فَلَمَّا كَانَ فِى الثَّالِثَةِ قَالَ اعْفُوا عَنْهُ فِى كُلِّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা

(২৭৯৫) সালমান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (হে আল্লাহ!) আমার উম্মতের যে ব্যক্তিকে রাগান্বিত হয়ে আমি কোন গালি দিয়েছি অথবা অভিশাপ করেছি, তুমি কিয়ামতে তার জন্য রহমত বা দু’আর রূপ দান করো। কারণ আমি একজন আদম-সন্তান, আমি রাগান্বিত হই, যেমন তারা রাগান্বিত হয়। (আর তুমি তো আমাকে বিশ্বজাহানের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছ।)

عَنْ سَلْمَانَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِى سَبَبْتُهُ سَبَّةً أَوْ لَعَنْتُهُ لَعْنَةً فِى غَضَبِى - فَإِنَّمَا أَنَا مِنْ وَلَدِ آدَمَ أَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُونَ وَإِنَّمَا بَعَثَنِى رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ - فَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ صَلاَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর কথাবার্তা

(২৭৯৬) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের মতো এইভাবে হড়বড় ক’রে কথা বলতেন না। বরং তিনি স্পষ্টভাবে গোটা গোটা কথা বলতেন। তাঁর কাছে যে বসত, সেই তা স্মৃতিস্থ করতে পারত।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا قَالَتْ : مَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْرِدُ كَسَرْدِكُمْ هَذَا وَلَكِنَّهُ كَانَ يَتَكَلَّمَ بِكَلَامٍ بَيْنَ فَصْلٍ يَحْفِظُهُ مَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর কথাবার্তা

(২৭৯৭) তিনি আরো বলেন, ’তিনি এমন ভঙ্গিমায় কথা বলতেন, যদি গণনাকারী চাইত, তাহলে তা গণনা করতে পারত।’

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِـيَّ ﷺ كَانَ يُحَدِّثُ حَدِيثًا لَوْ عَدَّهُ الْعَادُّ لَأَحْصَاهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর কথাবার্তা

(২৭৯৮) আনাস (রাঃ) বলেন, ’(গুরুত্বপূর্ণ) কথাকে তিনি তিন-তিনবার ফিরিয়ে ফিরিয়ে বলতেন। যাতে তা হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভব হয়।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعِيدُ الْكَلِمَةَ ثَلاَثًا لِتُعْقَلَ عَنْهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর কথাবার্তা

(২৭৯৯) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, যখন তিনি ভাষণ দিতেন, তখন তাঁর চোখ লাল হয়ে যেত, তাঁর কণ্ঠস্বর উঁচু হত এবং তাঁর ক্রোধ বেড়ে যেত; যেন তিনি লোকেদেরকে এমন এক (শত্রু) সেনা সম্পর্কে সতর্ক করছেন, যা আজই সন্ধ্যা অথবা সকালে তাদেরকে এসে আক্রমণ করবে।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلاَ صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتّٰـى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُوْلُ صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর কথাবার্তা

(২৮০০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বহুলার্থবোধক সংক্ষিপ্ত বাক্যাবলী দিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি এবং আতঙ্ক দ্বারা আমি সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছি। একদা আমি নিদ্রাবস্থায় পৃথিবীর ধনভান্ডারের চাবিগুচ্ছ আমাকে প্রদান করা হয়, আমি তা আমার হাতে নিয়ে রাখি।

عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِى يَدَىَّ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ২৭৮১ থেকে ২৮০০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৯০২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 137 138 139 140 141 · · · 193 194 195 196 পরের পাতা »