পরিচ্ছেদঃ
১১৯। ধনীদের মোরগ গ্রহণ করার সময় আল্লাহ গ্রামগুলোকে ধ্বংসের ঘোষণা দেন।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি ইবনু মাজাহ (২/৪৮) ও আবু সাঈদ ইবনুল আ’রাবী তার “আল-মুজাম" গ্রন্থে (১৭৬/১/২) বর্ণনা করেছেন এবং তার থেকে ইবনু আসাকির (১২/২৩৮/১) উসমান ইবনু আবদির রহমান সূত্রে ’আলী ইবনু উরওয়া হতে ... বর্ণনা করেছেন। সিন্দী ইবনু মাজার হাশিয়াতে বলেনঃ “আয-যাওয়াইদ” গ্রন্থে এসেছে এটির সনদে আলী ইবনু উরওয়া রয়েছেন। যাকে মুহাদ্দিসগণ মিথ্যার দোষে দোষী হওয়ার কারণে পরিত্যাগ করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ يضع الحديث তিনি হাদীস জাল করতেন। আর উসমান ইবনু আবদির রহমান মাজহুল। ইবনুল জাওযী হাদীসটির ভাষা “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তাকে (উসমান ইবনু আদির রহমানকে) সালেহ যাযারা ও অন্যরা মিথ্যুক বলেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ উসমান মাজহুল নন। তিনি হচ্ছেন পরিচিত হাররানী। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেনঃ তিনি সত্যবাদী, কিন্তু তার বেশীরভাগ বর্ণনা দুর্বল এবং মাজহুল বর্ণনাকারীদের থেকে হওয়ায় তাকে দুর্বল বলা হয়েছে। এমনকি ইবনু নুমায়ের তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। অথচ তাকে ইবনু মাঈন নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
ইবনুল জাওযী (২/৩০৪) হাদীসটি ইবনু আদীর সূত্রে (৫/১৮৫১) আলী ইবনু উরওয়ার বর্ণনা ছাড়াও উকায়লীর সূত্রে গিয়াস ইবনু ইবরাহীম হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ
হাদীসটি সহীহ নয়। কারণ আলী ইবনু উরওয়া এবং গিয়াস ইবনু ইবরাহীম তারা উভয়েই হাদীস জাল করতেন।
সুয়ূতী যে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২২৭) অন্য সূত্র আছে বলে তার সমালোচনা করেছেন, ইবনু আররাক এ সমালোচনাকে অমূলক বলেছেন, এ মিথ্যুক ’আলী ইবনু উরওয়া সনদে থাকার কারণে।
উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৩৫১) বলেছেনঃ এ গিয়াস সম্পর্কে ইবনু মা’ঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক; তিনি নির্ভরযোগ্য নন এবং নিরাপদও নন।
ইমাম বুখারী বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ (মিথ্যার দোষে দোষী হওয়ার কারণে) তাকে পরিত্যাগ করেছেন।
عند اتخاذ الأغنياء الدجاج يأذن الله بهلاك القرى
موضوع
-
رواه ابن ماجه (2 / 48) وأبو سعيد بن الأعرابي في " معجمه " (176 / 1 / 2) وعنه ابن عساكر (12 / 238 / 1) من طريق عثمان بن عبد الرحمن زاد ابن الأعرابي: الحراني، حدثنا علي بن عروة عن المقبري عن أبي هريرة قال: أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم الأغنياء باتخاذ الغنم، وأمر الفقراء باتخاذ الدجاج وقال: فذكره، قال السندي في " حاشيته على ابن ماجه ": وفي " الزوائد ": في إسناده علي بن عروة تركوه، وقال ابن حبان: يضع الحديث وعثمان بن عبد الرحمن مجهول، والمتن ذكره ابن الجوزي في " الموضوعات " وقال الذهبي في " الميزان ": وكذبه صالح جزرة وغيره لأنه روى هذا الحديث
قلت: وقول البوصيري في " الزوائد ": إن عثمان بن عبد الرحمن مجهول، ليس كذلك، بل هو معروف وهو الحراني كما صرح به ابن الأعرابي في روايته، وقد قال الحافظ في ترجمته من " التقريب ": صدوق أكثر الرواية عن الضعفاء والمجاهيل، وضعف بسبب ذلك حتى نسبه ابن نمير إلى الكذب، وقد وثقه ابن معين
قلت: وابن الجوزي أورده (2 / 304) من طريق ابن عدي (5 / 1851) بسنده إلى علي بن عروة عن ابن جريج عن عطاء عن ابن عباس مرفوعا به دون قوله " عند اتخاذ ... " ثم رواه ابن الجوزي من طريق العقيلي بسنده إلى غياث بن إبراهيم عن طلحة بن عمرو عن عطاء عن ابن عباس به، ثم قال: لا يصح، علي بن عروة وغياث يضعان الحديث! وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (2 / 227) بقوله، قلت: له طريق آخر، ثم ساق طريق ابن ماجه المذكور الذي فيه علي بن عروة الوضاع! ، ولذلك صرح ابن عراق (325 / 1) بضعف هذا التعقب
والحديث في " الضعفاء " للعقيلى (351) مثل رواية ابن عدي وقال: غياث قال ابن معين: كذاب ليس بثقة
ولا مأمون وقال البخاري: تركوه، وقد تابعه من هو دونه أو مثله