পরিচ্ছেদঃ
৯৭৬। আমি ও এই (নারী) তা করি অতঃপর গোসল করি। অর্থাৎ সহবাস করি বীর্যপাত ছাড়াই।
হাদীছটি মারকু হিসাবে দুর্বল।
এটি ইমাম মুসলিম (১/১৮৭) ও বাইহাক্ট (১/১৬৪) ইবনু ওয়াহাব সূত্রে আয়ায ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি আবুয যুবায়ের হতে তিনি জাবের ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি উম্মু কুলছুম হতে তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অন্য এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করল যে সে তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হলো অতঃপর অলস হয়ে গেল (বীর্যপাত ঘটল না), তাদের উপর কি গোছল ওয়াজিব? তখন আয়েশা (রাঃ) বসেছিলেন। উত্তরে তিনি উক্ত কথাটি বলেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দুটি কারণে এ সনদটি দুর্বলঃ
১। আবুয যুবায়ের মুদাল্লিস। আন আন করে বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ সত্যবাদী কিন্তু তাদলীস করতেন। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবীর বক্তব্য (৯৭২) নং হাদীছে আলোচনা করা হয়েছে।
২। আয়ায ইবনু আবদিল্লাহ দুর্বল। তিনি হচ্ছেন ইবনু আবদির রহমান আল-ফিহরী আল-মাদানী। তার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। এ মন্তব্য প্রমাণ করছে যে, তিনি খুবই দুর্বল। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সাজী বলেনঃ ইবনু ওয়াহাব তার থেকে কতিপয় হাদীছ বর্ণনা করেছেন সেগুলোতে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বল। ইবনু শাহীন ও আবু সালেহ তাকে নির্ভরযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে আবু সালেহ বলেন, তার হাদীছে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে।
হাফিয যাহাবী "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেছেনঃ তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তিনি “আল-মীযান” গ্রন্থে যারা তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন তাদের বক্তব্যকে দুর্বল বলে ইঙ্গিত করেছেন।
মোটকথা তিনি দুর্বল। যখন তিনি এককভাবে বর্ণনা করেন তখন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। যদিও তার বিরোধিতা করা না হয়। তাহলে যখন তার বিরোধিতা করে বর্ণনা আসবে, তখন কিভাবে গ্রহণযোগ্য হবেন? এখানে তার বিরোধিতা করে বর্ণনা এসেছে।
হাদীছটি অন্য একটি সূত্রে আব্দুর রহমান ইবনুল কাসেম হতে তার পিতার মাধ্যমে আয়েশা (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি আবু ইয়ালা তার “মুসনাদ” (১/২৩৩) গ্রন্থে এবং ইবনুল জারূদ "আল-মুনতাকা" (নং ৯৩) গ্রন্থে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। তাতে রলা হয়েছে যে, আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন ব্যক্তি মিলিত হয়ে বীর্যপাত না ঘটলে তার হুকুম কী? তিনি উত্তরে বলেনঃ আমি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেছি অতঃপর আমরা তার জন্য এক সাথে গোছল করেছি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মওকুফ হওয়াটাই উপযোগী। মারফূ’ হিসাবে সহীহ নয়।
إني لأفعل ذلك أنا وهذه ثم نغتسل، يعني الجماع بدون إنزال
ضعيف مرفوعا
-
أخرجه مسلم (1 / 187) والبيهقي (1 / 164) من طريق ابن وهب: أخبرني عياض بن عبد الله عن أبي الزبير عن جابر بن عبد الله عن أم كلثوم عن عائشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت إن رجلا سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الرجل يجامع أهله ثم يكسل، هل عليهما الغسل؟ وعائشة جالسة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " فذكره. قلت وهذا إسناد ضعيف وله علتان: الأولى: عنعنة أبي الزبير فقد كان مدلسا، قال الحافظ في " التقريب ": " صدوق، إلا أنه يدلس ". وقال الذهبي في " الميزان ": " وفي صحيح مسلم عدة أحاديث مما لم يوضح فيها أبو الزبير السماع عن جابر، ولا هي من طريق الليث عنه، ففي القلب منها شيء ". قلت: ثم ذكر لذلك بعض الأمثلة، وهذا منها عندي. الثانية: ضعف عياض بن عبد الله وهو ابن عبد الرحمن الفهري المدني، وقد اختلفوا فيه فقال البخاري: " منكر الحديث
وهذا منه إشارة إلى أنه شديد الضعف كما هو معروف عنه، وقال أبو حاتم: ليس بالقوي، وذكره ابن حبان
في " الثقات ". وقال الساجي: " روى عنه ابن وهب أحاديث فيها نظر ". قلت: وهذا من روايته عنه كما ترى، وقال ابن معين: ضعيف الحديث، وقال ابن شاهين في " الثقات ": وقال أبو صالح: ثبت، له بالمدينة شأن كبير في حديثه شيء ". قلت: ولخص هذه النقول الحافظ في " التقريب " بقوله: " فيه لين "، وأشار الذهبي في " الميزان " إلى تضعيف قول من وثقه بقوله في ترجمته: " وثق! وقال أبو حاتم، ليس بالقوي
ولذلك أورده في " كتاب الضعفاء " وحكى فيه قول أبي حاتم المذكور، وبالجملة، فالرجل ضعيف لا يحتج به إذا انفرد ولو لم يخالف، فكيف وقد خالفه من مثله في الضعف فرواه موقوفا على عائشة، ألا وهو أشعث بن سوار فقال: عن أبي الزبير به عن عائشة قالت: " فعلناه مرة فاغتسلنا، يعني الذي يجامع ولا ينزل ". أخرجه أحمد (6 / 68 / 110) وأبو يعلى (223 / 2)
وأشعث هذا ضعيف كما في " التقريب ". وأخرج له مسلم متابعة، فروايته أرجح عندي من رواية عياض، لأن لها شاهدا من طريق أخرى عن عبد الرحمن بن القاسم عن أبيه عن عائشة رضي الله عنها أنها سئلت عن الرجل يجامع ولا ينزل؟ فقالت: فعلت أنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم فاغتسلنا منه جميعا ". أخرجه أبو يعلى في " مسنده " (233 / 1) وابن الجارود في " المنتقى " (رقم 93) وغيره بسند صحيح كما بينته في زوائده على " الصحيحين " برقم (54) الذي أنا في صدد تأليفه، أرجوالله أن يسهل لي إتمامه. قلت: فهذا هو اللائق بهذا الحديث أن يكون موقوفا، وأما رفعه فلا يصح، والله أعلم
ثم رأيت الحديث في " المدونة " (1 / 29 - 30) هكذا: ابن وهب عن عياض بن عبد الله القرشي وابن لهيعة عن
أبي الزبير عن جابر. فزال بذلك تفرد عياض به، وانحصرت العلة في عنعنة أبي الزبير مع المخالفة