পরিচ্ছেদঃ
৯৯১। যে ব্যক্তি ইমামের সাথে ফরয সালাত আদায় করবে সে সূরা ’ফাতিহা’ তার চুপ থাকার সময়গুলোতে পড়ে নিবে। যে ব্যক্তি উন্মুল কুরআন (ফাতিহা) শেষ করবে তাই তার জন্য যথেষ্ট হবে।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি দারাকুতনী তার "সুনান" (পৃঃ ১২০) গ্রন্থে, হাকিম (১/২৩৮) ও বাইহাকী "জুযউল কিরাআহ" (পৃঃ ৫৪) গ্রন্থে ফায়েয ইবনু ইসহাক আর-রাকী হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে ওবায়েদ ইবনে উমায়ের আল-লাইছী হতে তিনি আতা হতে তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এই মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে উমায়ের মাতরূক যেমনটি দারাকুতনী ও নাসাঈ বলেছেন।
ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। বাইহাকী হাদীছটির পরে বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আলোচ্য হাদীছটি আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর মাযহাব বিরোধী। কারণ এটি প্রমাণ করছে যে, ইমাম চুপ না থাকার সময়গুলোতে (প্রকাশ করে পড়ার সময়গুলোতে) পাঠ করা শারীয়াত সম্মত নয়। অথচ আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে সাব্যস্ত হয়েছে সর্বাবস্থায় সূরা ফাতিহা পাঠ করা শারীয়াত সম্মত। যেমনটি ইমাম মুসলিম ও অন্য বিদ্বানগণ তার থেকে মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেনঃ
من صلى صلاة لم يقرأ فيها بأم القرآن فهي خداج (ثلاثا) غير تمام فقيل لأبي هريرة: إنا نكون وراء الإمام؟ فقال: اقرأ بها في نفسك
যে ব্যক্তি সালাত আদায় করল অথচ তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করলো না তার সালাত অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ, পূর্ণ নয়। আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-কে বলা হলো আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? তিনি বললেনঃ তুমি তখন তোমার মনে মনে পাঠ করবে।
এটি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে ইমামের পিছনে উচ্চস্বরে পাঠকৃত সালাতগুলোতেও মুক্তাদী কর্তৃক সূরা ফাতিহা পাঠ করার সুস্পষ্ট দলীল। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে ইমামের চুপ থাকার সময়গুলোতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার নির্দেশ প্রদানও সাব্যস্ত হয়েছে। যেমনটি ৫৪৬ নং হাদীছে তা আলোচনা করা হয়েছে।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) যেহরী সালাতেও ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার মত গ্রহণ করেছেন। সাহাবাদের মধ্য হতে তার সাথে ঐকমত্য পোষণকারী ও দ্বিমত পোষণকারীও রয়েছেন।
বাইহাকী (২/১৬৭) ও অন্য বিদ্বানগণ ইয়াযীদ ইবনু শুরায়িক হতে বর্ণনা করেছেন তিনি উমার (রাঃ)-কে ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি উত্তরে বলেনঃ সূরা ফাতিহা পাঠ করো। আমি বললামঃ যদি আপনিও হন তবুও? তিনি বললেনঃ যদি আমি হই তবুও। আমি বললামঃ যদি আপনি উচ্চস্বরে পাঠ করেন তবুও? তিনি বললেনঃ যদি আমি উচ্চস্বরে পাঠ করি তবুও। এর সনদটি সহীহ। বাইহাকী উক্ত মতের সাথে ঐকমত্য পোষণকারী একদল সাহাবার নাম উল্লেখ করেন। সেগুলোতে সনদ ও অর্থের দিক দিয়ে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। আবু হুরাইরাহ ও উমার (রাঃ) হতে সাব্যস্ত হওয়াটা উল্লেখ করার পর সেগুলো বর্ণনা করার প্রয়োজন বোধ করছি না।
من صلى صلاة مكتوبة مع الإمام فليقرأ بفاتحة الكتاب في سكتاته، ومن انتهى إلى أم القرآن فقد أجزأه
ضعيف جدا
-
رواه الدارقطني في " سننه " (ص 120) والحاكم (1 / 238) والبيهقي في " جزء القراءة " (ص 54) عن فيض بن إسحاق الرقي: أخبرنا محمد بن عبد الله بن عبيد بن عمير الليثي عن عطاء عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا سند ضعيف جدا، ابن عمير هذا متروك كما قال الدارقطني والنسائي، وقال البخاري: " منكر الحديث ". وقال
البيهقي عقب الحديث: " لا يحتج به " وقال الدارقطني: " ضعيف
قلت: وهذا الحديث يخالف المعروف من مذهب أبي هريرة رضي الله عنه، وذلك أن مفهومه أن القراءة في غير سكتات الإمام - أعني حالة جهره - لا تشرع، والثابت عن أبي هريرة مشروعية القراءة إطلاقا، وهو ما أخرجه مسلم (2 / 9) وغيره عن أبي هريرة مرفوعا: " من صلى صلاة لم يقرأ فيها بأم القرآن فهي خداج (ثلاثا) غير
تمام ". فقيل لأبي هريرة: إنا نكون وراء الإمام؟ فقال: اقرأ بها في نفسك، فهذا كالنص عنه في أنه أمر المؤتم بالقرأة وراء الإمام ولوكان يجهر، لكن قد يقال: أن لا مخالفة، وذلك بحمل المطلق على القراءة في سكتات الإمام، فإنه ثبت عن أبي هريرة أمره بها كما تقدم تحت الحديث (546) وذلك من الأدلة على خطأ رفع حديث الترجمة. ثم إن ما ذهب إليه أبوهريرة من القراءة في الجهرية وراء الإمام، له في الصحابة موافقون ومخالفون، فمن الأول ما أخرجه البيهقي (2 / 167) وغيره عن يزيد بن شريك أنه سأل عمر عن القراءة خلف الإمام؟ فقال: اقرأ بفاتحة الكتاب. قلت: وإن كنت أنت؟ قال: وإن كنت أنا، قلت: وإن جهرت به؟ قال وإن جهرت، وسنده صحيح. ثم ذكر البيهقي في الموافقين جماعة من الصحابة وفي ذلك نظر من جهة السند والمعنى لا ضرورة بنا إلى استقصاء القول في ذلك بعد أن ذكرنا ثبوته عن أبي هريرة وعمر. وأما المخالفون فيأتي ذكر بعضهم في الحديث الآتي