পরিচ্ছেদঃ
১২৫৯। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারীর দু’পা স্থানান্তরিত হবে না যে পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য জাহান্নামের আগুনকে অপরিহার্য করে না দিবেন।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি ইবনু মাজাহ (২৩৭৩), হাকিম (৪/৯৮) ও ওকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (পৃঃ ৩৫৪) মুহাম্মাদ ইবনুল ফুরাত সূত্রে মুহারিব ইবনু দিসার হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাকিম বলেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ। হাফিয যাহাবীও তার মতেই মত দিয়েছেন। আর মুনযেরী “আততারগীব” গ্রন্থে (২/১৬৬) তা সমর্থন করেছেন। এ সবই ঘটেছে গবেষণাকে পরিত্যাগ করার কারণে (অথবা ভুল বশত) এবং অন্ধ অনুসরণের কারণে। অন্যথায় গবেষকের ক্ষেত্রে এরূপ সনদের হাদীসকে কিভাবে সহীহ আখ্যা দেয়া সম্ভব! কারণ বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল ফুরাত সকলের ঐকমত্যে দুর্বল। বরং তিনি খুবই দুর্বল। তার সম্পর্কে আবু বাকর ইবনু আবী শাইবাহ এবং মুহাম্মাদ ইবনু আদিল্লাহ ইবনে আম্মার বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। ইমাম আহমাদ তাকে মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী করেছেন।
আবু দাউদ বলেনঃ তিনি মুহারিব হতে কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন, সেগুলোর মধ্যে ইবনু উমার (রাঃ) হতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারীর ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটিও রয়েছে। যেমনটি “আত-তাহযীব” গ্রন্থে এসেছে।
বুসয়রী "আয-যাওয়াইদ" গ্রন্থে (কাফ ২/১৪৬) বলেনঃ এ সনদটি দুর্বল। মুহাম্মাদ ইবনুল ফুরাত আবু আলী আল-কূফীর দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলে একমত। তাকে ইমাম আহমাদ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করে বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। হাদীসটিকে ইমাম ত্ববারানী "আল-আওসাত" গ্রন্থে, ইবনু আদী "আল-কামেল" গ্রন্থে তার থেকে বাইহাকী "আস-সুনানুল কুবরা" গ্রন্থে ও আবু ইয়ালা মুহাম্মাদ ইবনুল ফুরাত সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটিকে ইমাম সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে ইবনু মাজার বর্ণনায় উল্লেখ করে সহীহ্ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শাইখ মানসূর আলী নাসেফ ধোঁকায় পড়ে "আততাজুল জামে’ লিল উসূলুল খামসা" গ্রন্থে (৪/৬৭) বলেনঃ হাদীসটি ইবনু মাজাহ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।
মানবী হাদীসটি সম্পর্কে কোন কিছুই বলেননি। হাদীসটি ইমাম ত্ববারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে উক্ত বাক্যে বর্ণনা করেননি। বরং তার নিকট অন্য সূত্রে নিম্নের বাক্যে বর্ণিত হয়েছে। (দেখুন পরেরটি)
لن تزول قدما شاهد الزور حتى يوجب الله له النار
موضوع
-
أخرجه ابن ماجه (2373) والحاكم (4/98) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 354)
من طريق محمد بن الفرات عن محارب بن دثار عن ابن عمر مرفوعا. وقال الحاكم
" صحيح الإسناد "! ووافقه الذهبي! وأقره المنذري في " الترغيب " (3/166)
! وكل ذلك من إهمال التحقيق، والاستسلام للتقليد، وإلا فكيف يمكن للمحقق
أن يصحح مثل هذا الإسناد، ومحمد بن الفرات ضعيف بالاتفاق، بل هو واه جدا
قال أبو بكر بن أبي شيبة ومحمد بن عبد الله بن عمار:
" كذاب "
وقال البخاري
منكر الحديث، رماه أحمد بالكذب
وقال أبو داود
" روى عن محارب أحاديث موضوعة منها عن ابن عمر في شاهد الزور ". كما في
التهذيب
والذهبي نفسه أورده في " الميزان " من أجل هذه النصوص وساق له هذا الحديث
وقال البوصيري في " الزوائد " (ق 146/2)
" هذا إسناد ضعيف، محمد بن الفرات أبو علي الكوفي متفق على ضعفه، وكذبه
الإمام أحمد. ورواه الحاكم وقال: " صحيح الإسناد " والطبراني في " الأوسط " وابن عدي في " الكامل " وعنه البيهقي في " السنن الكبرى " وأبو يعلى
الموصلي من طريق محمد بن الفرات
والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية ابن ماجه وحده، ورمز
له بالصحة، واغتر به مؤلف " التاج الجامع للأصول الخمسة " الشيخ منصور علي
ناصف فقال (4/67)
" رواه ابن ماجه بسند صحيح
وأما المناوي فبيض له في " شرحيه "، ولم يتكلم عليه بشيء خلافا لعادته
فاقتضى ذلك كله هذا البحث والتحقيق.
ثم إن الحديث ليس عند الطبراني في " الأوسط " من هذه الطريق كما يوهمه كلام
البوصيري، ولا بهذا اللفظ، بل هو عنده من طريق أخرى وبلفظ آخر وهو
" إن الطير لتضرب بمناقيرها على الأرض، وتحرك أذنابها من هو ل يوم القيامة
وما يتكلم شاهد الزور، ولا تفارق قدماه على الأرض حتى يقذف به إلى النار