পরিচ্ছেদঃ

১২৬০। পাখি তার ঠোঁট দ্বারা যমীনে আঘাত করবে এবং কিয়ামতের দিনের বিভীষিকার কারণে তার লেজ নাড়াবে। আর মিথ্যা সাক্ষ্য দানকারী ব্যক্তি কথা বলা বন্ধ করবে না এবং তার দু’পা যমীন থেকে পৃথক হবে না যে পর্যন্ত তাকে আগুনে নিক্ষেপ না করা হবে।

হাদীসটি মুনকার।

হাদীসটি ত্ববারানী "আল-মুজামুল আওসাত" গ্রন্থে (৭৭৬৬) মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক হতে, তিনি সাঈদ ইবনুস সলত হতে, তিনি আবুল জাহাম আল-কুরাশী হতে, তিনি আব্দুল মালেক ইবনু ওমায়ের হতে, তিনি মুহারিব ইবনু দিসার হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইমাম ত্ববারানী বলেনঃ হাদীসটি আব্দুল মালেক হতে আবুল জাহাম ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। আর আবুল জাহাম হতে সাঈদ ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আমি সাঈদের জীবনী পাইনি এবং অনুরূপভাবে তার শাইখ আবুল জাহাম কুরাশীর জীবনীও পাইনি। হায়সামী তার নিম্নোক্ত (৪/২০০) কথার দ্বারা সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেনঃ হাদীসটি ইমাম ত্ববারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, এর মধ্যে এরূপ বর্ণনাকারী রয়েছেন যাকে আমি চিনি না।

অতঃপর আমি (আলবানী) দেখেছি ওকায়লী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (৪৫৩) এবং ইবনু আসাকির (২/১৩৫/১৬) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম সূত্রে শাযান হতে, তিনি সা’দ ইবনুস সলত হতে, তিনি হারূন ইবনুল জাহাম আবুল জাহাম কুরাশী হতে বর্ণনা করেছেন।

ওকায়লী বলেনঃ হারূন ইবনুল জাহাম ইবনে সুওয়ায়ের ইবনে আবী ফাতেখার হাদীসের বিরোধিতা করা হয়েছে এবং তিনি বর্ণনা করার দিক দিয়ে প্রসিদ্ধ নন। তিনি আরো বলেনঃ আব্দুল মালেক ইবনু ওমায়ের হতে বর্ণনাকৃত তার হাদীসের কোন ভিত্তি নেই। মুহাম্মাদ ইবনুল ফুরাত কূফী এটিকে মুহারিব ইবনু দিসার হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এ কারণে এ হাদীসটির ব্যাপারে হাফিয যাহাবী বলেনঃ এটি মুনকার হাদীস। আর হাফিয ইবনু হাজার তার কথাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।