পরিচ্ছেদঃ ৪৫. জারয (যিনার) সন্তানের মীরাছ
৩১৫০. ’আমর ইবনে শু’আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর কোন শিশুকে তার সন্তানরূপে তার সাথে সম্পৃক্ত করা হলো যাকে তার মৃত্যুর পর মৃতের ওয়ারিসগণ দাবি করলো, (’সে আমাদের বংশীয়’), তার ক্ষেত্রে ফায়সালা এই যে, সে যদি এমন দাসীর গর্ভজাত হয়, যার সে মালিক হয় তার সাথে সহবাসের দিন হতে, তবে সেই সন্তান যার বলে দাবি করা হচ্ছে তার সাথে সম্পৃক্ত হবে। তবে ইতোপূর্বে (জাহিলী যুগে) যে ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টিত হয়েছে সে তার কিছুই পাবে না। আর যে ওয়ারিসী স্বত্ব এখনও বন্টিত হয়নি তা থেকে সে তার অংশ পাবে।
পক্ষান্তরে তাকে যে পিতার সাথে সম্পৃক্ত (বলে দাবী) করা হচ্ছে, সেই পিতা তাকে অস্বীকার করলে সে সন্তানকে তার সাথে সম্পৃক্ত করা হবে না। আর সেই সন্তান যদি তার মালিকানাহীন নয়-এমন কোন দাসীর গর্ভজাত হয়ে থাকে অথবা কোন স্বাধীন নারীর গর্ভজাত হয়, যার সাথে সে যেনা করেছে (তথা স্বাধীন নারীর সাথে যিনার ফলে গর্ভজাত), তাহলে উক্ত সন্তান তার সাথে সম্পৃক্ত হবে না এবং সে তার মীরাছ (পরিত্যাক্ত সম্পত্তি)ও পাবে না, যদিও সে ব্যক্তি তাকে তার সন্তান বলে দাবি করে। সে হবে জারজ (যিনার) সন্তান। সে তার মায়ের বংশের সাথে সম্পৃক্ত হবে, সে স্বাধীন নারী হোক বা ক্রীতদাসী।”[1]
باب فِي مِيرَاثِ وَلَدِ الزِّنَا
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى أَنَّ لِكُلِّ مُسْتَلْحَقٍ اسْتُلْحِقَ بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ بَعْدَهُ فَقَضَى إِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يَمْلِكُهَا يَوْمَ يَطَؤُهَا فَقَدْ لَحِقَ بِمَنْ اسْتَلْحَقَهُ وَلَيْسَ لَهُ مِمَّا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنْ الْمِيرَاثِ شَيْءٌ وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ وَلَا يَلْحَقُ إِذَا كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ لَا يَمْلِكُهَا أَوْ حُرَّةٍ عَاهَرَهَا فَإِنَّهُ لَا يَلْحَقُ وَلَا يَرِثُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ ادَّعَاهُ وَهُوَ وَلَدُ زِنَا لِأَهْلِ أُمِّهِ مَنْ كَانُوا حُرَّةً أَوْ أَمَةً
তাখরীজ : আবূ দাউদ, তালাক ২৬৬৫, ২৬৬৬; ইবনু মাজাহ, ফারাইয ২৭৪৬; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৬০; আরও দেখুন, ইবনু আবী শাইবা নং ১৯১৩৮।