ইসলামী জ্ঞান: নিত্যদিনের প্রয়োজনে শিয়া বিষয়ক ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ১ টি
হত্যাকারীদের বংশধরদের কথা বলার অধিকার নেই

যারা আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে হত্যা করেছে, ইমাম হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে হত্যা করেছে, তাঁর ভাই ইমাম হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে আহত করেছে, এবং তাঁর (হুসাইনের) দুধের শিশু পুত্র আব্দুল্লাহকে হত্যা করেছে—তারা হলো:

১. আবদুর রহমান ইবনু মুলজিম – আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।
২. সিনান ইবনু উকাইসার আল-আসাদী (উপনাম: আল-জাররাহ) – ইমাম হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আঘাতকারী ও হত্যাকারী।
৩. হারমালা ইবনু কাহিন আল-আসাদী – দুধের শিশু (আবদুল্লাহ ইবনু হুসাইন)-এর হত্যাকারী।
৪. শিমর ইবনু যিল-জাওশন আল-কিলাবী – ইমাম হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।
৫. ইবনু হাউজা আল-কূফী – হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।
৬. ইসহাক ইবনু হাইওয়াহ আল-খুদরামী – হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।
৭. হাকীম ইবনু আত-তুফাইল – হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।
৮. রাবঈ ইবনু শাবস আত-তামীমী – হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।
৯. সিনান ইবনু আনাস – হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হত্যাকারী।

  • এই সকল হত্যাকারীদের অনেকেই ছিল খলীফা আলী ইবনু আবি তালিব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর সেনাবাহিনীর সদস্য, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি।
  • আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর শাহাদাতের পর এরা তাঁর বড় ছেলে ইমাম হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আনুগত্য করেছিল।
  • হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর শাহাদাতের পর এরা তাঁর ভাই ইমাম হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আনুগত্য করেছিল।
  • পরে তারা হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে বিশ্বাসঘাতকতা করে হত্যা করে।

উল্লেখ্য, এই হত্যাকারীরা কূফার বাসিন্দা ছিল এবং এখনো তারা কূফার কাছাকাছি এলাকায় বসবাস করে, যেখানে শহীদ হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর কবরও অবস্থিত। আরও কি কিছু বলার বাকি আছে?

- আসর আব্বাস আল-হায়দারী (শিয়া গবেষক)

বিশেষ তথ্য

দীর্ঘ অনুসন্ধান ও শিয়া উৎসের গবেষণার পর প্রথমবারের মতো ইমাম হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর উপর বিষ মাখানো ছুরি দিয়ে আঘাতকারী ও হত্যাকারীর নাম প্রকাশ পেয়েছে: সে পাপিষ্ঠ হলো: সিনান ইবনু উকাইসার আল-আসাদী (উপনাম: আল-জাররাহ)।

আলহামদুলিল্লাহ, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের কেউ নবী পরিবারের কারো হত‍্যার সাথে জড়িত নন। সাহাবীগণের কেউ তো কোনোভাবেই নন। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রখ‍্যাত কোনো তাবেঈ এর সাথে সংশ্লিষ্ট নন। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের ইমামদের কেউ এতে যুক্ত নন। যারা এসব অপকর্ম করেছে তারা হয় শিয়া, না হয় নাসেবী।

তারপরও শিয়ারা সাহাবায়ে কেরামকে কেন কাফির বলে?
তারপরও শিয়ারা আহলুস সুন্নাতের বিরুদ্ধে কেন বিষোদগার করে?

https://www.facebook.com/abubakar.m.zakaria/posts/pfbid02UPqgoTgr6fKZsLFiYifwoGS8teiZVsh5TuQa9LRHYPunuNjZeiwpxbVijwfa7hJ5l