পরিচ্ছেদঃ
৪১৫। যে ব্যক্তি জুম’আর দিবসে সেই সূরা পাঠ করবে যাতে আলে ইমরানের উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগণ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার উপর দয়া ও মাগফিরাত করতে থাকবেন।
হাদীসটি জাল।
এটি তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১০৫/২) এবং “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (২/৮০/২/৬২৯৩) আহমাদ ইবনু মাহান ইবনে আবী হানীফা সূত্রে তার পিতা হতে, তার পিতা তালহা ইবনু যায়েদ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু সিনান হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু মাহান এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ বানোয়াট। ইবনু আবী হাতিম (১/১/৭৩) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ এ মুহাম্মাদ ইবনু মাহান মাজহুল। তালহা ইবনু যায়েদ জাল করার দোষে দোষী। ইয়াযীদ ইবনু সিনান হচ্ছেন আবু ফরওয়া রাহাবী, তিনি দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার “তাখরীজুল কাশশাফ” গ্রন্থে (৩/৭৩) বলেনঃ এটির সনদটি দুর্বল। সুয়ূতী এ ব্যাপারে “দুররুল মানসূর” গ্রন্থে (২/২) হাফিযের তাকলীদ করেছেন। অথচ হাফিয নিজেই “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এ তালহা সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাতরূক। ইমাম আহমাদ, আলী ও আবু দাউদ তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন।
হায়সামী “আল-মাজমা” গ্রন্থে (২/১৬৮) তালহাকে শুধু বলেছেনঃ তিনি দুর্বল। এটি তার ক্রটি। কিন্তু মানবী “শারহু জামেউস সাগীর” গ্রন্থে তার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি নিতান্তই দুর্বল। সম্ভবত কপিকারকদের থেকে “جدا” (নিতান্তই) শব্দটি মুছে গেছে।
অতঃপর মানবী ইবনু হাজারের উদ্ধৃতিতে বলেনঃ তিনি নিতান্তই দুর্বল। ইমাম আহমাদ এবং আবু দাউদ তাকে জাল করার সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। অতঃপর মানবী বলেছেনঃ সুয়ুতীর উচিত ছিল হাদীসটি উল্লেখ না করা।
من قرأ السورة التي يذكر فيها آل عمران يوم الجمعة صلى الله عليه وملائكته حتى تجب الشمس
موضوع
-
أخرجه الطبراني في " الكبير " (3 / 105 / 2) و" الأوسط " (2 / 80 / 2 / 6293) من طريق أحمد بن ماهان بن أبي حنيفة حدثنا أبي عن طلحة بن يزيد عن زيد ابن سنان عن يزيد بن خالد الدمشقي عن طاووس عن ابن عباس مرفوعا
وقال: تفرد به محمد بن ماهان قلت: وهذا إسناد موضوع، أحمد بن ماهان هو أحمد بن محمد بن ماهان يعرف والده بأبي حنيفة ترجمه ابن أبي حاتم (1 / 1 / 73) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا وذكر عن أبيه أنه قال في محمد بن ماهان: إنه مجهول، وطلحة بن زيد متهم بالوضع وقد تقدم ويزيد بن سنان وهو أبو فروة الرهاوي ضعيف
ومما تقدم تعلم أن قول الحافظ في " تخريج الكشاف " (3 / 73) : رواه الطبراني عن ابن عباس، وإسناده ضعيف فيه قصور ظاهر قلده عليه السيوطي في " الدر المنثور " (2 / 2) فقد قال الحافظ نفسه في ترجمة طلحة هذا من " التقريب ": متروك، قال أحمد وعلي وأبو داود: كان يضع الحديث، وكذلك قول الهيثمي في " المجمع " (2 / 168) : رواه الطبراني في " الأوسط " و" الكبير " وفيه طلحة بن زيد الرقي وهو ضعيف فيه قصور لا يخفى، لكن في نقل المناوي في شرح " الجامع الصغير " عنه أنه قال: وهو ضعيف جدا، فلعله سقط من الناسخ أو الطابع لفظة جدا
ثم ذكر المناوي نقلا عن ابن حجر أنه قال فيه: ضعيف جدا ونسبه أحمد وأبو داود إلى الوضع، ثم عقب عليه المناوي بقوله: فكان ينبغي للمصنف يعني السيوطي حذفه