যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত, সুতরাং তারা যা বলে, আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পবিত্র। আল-বায়ান
আসমান ও যমীনে যদি আল্লাহ ছাড়া আরো অনেক ইলাহ থাকত তবে (আসমান ও যমীন) উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। কাজেই আরশের অধিপতি আল্লাহ মহান ও পবিত্র সে সব থেকে যা তারা তাঁর প্রতি আরোপ করে। তাইসিরুল
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যদি আল্লাহ ছাড়া বহু মা‘বূদ থাকত তাহলে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে তা হতে আরশের রাব্ব (অধিপতি) আল্লাহ পবিত্র, মহান। মুজিবুর রহমান
Had there been within the heavens and earth gods besides Allah, they both would have been ruined. So exalted is Allah, Lord of the Throne, above what they describe. Sahih International
২২. যদি এতদুভয়ের (আসমান ও যমীনের) মধ্যে আল্লাহ ব্যতীত আরো অনেক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়ই বিশৃংখল হত।(১) অতএব, তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ কতই না পবিত্ৰ।
(১) এটা তাওহীদের প্রমাণ, যা সাধারণ অভ্যাসের উপর ভিত্তিশীল এবং যুক্তিসঙ্গত প্রমাণের দিকেও ইঙ্গিতবহ। অভ্যাসগত প্রমাণের ভিত্তি এই যে, পৃথিবী ও আকাশে দুই ইলাহ থাকলে উভয়ই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হবে। এমতাবস্থায় উভয়ের নির্দেশাবলী পৃথিবী ও আকাশে পূর্ণরূপে কার্যকরী হওয়া উচিত। অভ্যাসগতভাবে এটা অসম্ভব যে, একজন যে নির্দেশ দেবে, অন্যজনও সেই নির্দেশ দেবে, একজন যা পছন্দ করবে, অন্যজনও তাই পছন্দ করবে। তাই উভয়ের মধ্যে মাঝে মাঝে মতবিরোধ ও নির্দেশ বিরোধ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। যখন দুই ইলাহর নির্দেশাবলী পৃথিবী ও আকাশে বিভিন্নরূপ হবে, তখন এর ফলশ্রুতি পৃথিবী ও আকাশের ধ্বংস ছাড়া আর কি হবে। এক ইলাহ চাইবে যে এখন দিন হোক, অপর ইলাহ চাইবে এখন রাত্রি হোক। একজন চাইবে বৃষ্টি হোক, অপরজন চাইবে বৃষ্টি না হোক।
এমতাবস্থায় উভয়ের পরস্পর বিরোধী নির্দেশ কিরূপে প্রযোজ্য হবে? যদি একজন পরাভূত হয়ে যায়, তবে সে সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী ও ইলাহ্ থাকতে পারবে না। যদি প্রশ্ন করা হয় যে, উভয় ইলাহ পরস্পরে পরামর্শ করে নির্দেশ জারি করলে তাতে অসুবিধা কি? তার উত্তর হলো এই যে, যদি উভয়ই পরামর্শের অধীন হয় এবং একজন অন্যজনের পরামর্শ ছাড়া কোন কাজ করতে না পারে, তবে এতে জরুরী হয়ে যায় যে, তাদের কেউ সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী নয় এবং কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বলাবাহুল্য, স্বয়ংসম্পূর্ণ না হয়ে ইলাহ হওয়া যায় না। সম্ভবতঃ পরবর্তী আয়াতেও এদিকে ইশারা পাওয়া যায় যে, যে ব্যক্তি কোন আইনের অধীন, যার ক্রিয়াকর্ম ধরপাকড় যোগ্য, সে ইলাহ হতে পারে না। ইলাহ তিনিই হবেন, যিনি কারও অধীন নয়, যাকে জিজ্ঞাসা করার অধিকার কারও নেই। পরামর্শের অধীন দুই ইলাহ থাকলে প্ৰত্যেকেই অপরিহার্যরূপে অপরকে জিজ্ঞাসা করার ও পরামর্শ বর্জনের কারণে ধরপাকড় করার অধিকারী হবে। এটা ইলাহ হওয়ার পদমৰ্যদার নিশ্চিত পরিপন্থী। [দেখুন, সা’দী]
এটি একটি সরল ও সোজা যুক্তি আবার গভীর তাৎপর্যপূর্ণও। এটি এত সহজ সরল কথা যে, একজন মরুচারী বেদুঈন, সরল গ্রামবাসী এবং মোটা বুদ্ধির অধিকারী সাধারণ মানুষও একথা বুঝতে পারে। এ আয়াতটি অন্য আয়াতের মত, যেখানে বলা হয়েছে, “আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই; যদি থাকত তবে প্রত্যেক ইলাহ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত। তারা যে গুণে তাকে গুণান্বিত করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র- মহান!” [সূরা আল-মুমিনুন: ৯১] [ইবন কাসীর]
তবে লক্ষণীয় যে, আয়াতে এটা বলা হয়নি যে, যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ব্যতীত আরো অনেক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। বরং বলা হয়েছে যে, ‘বিশৃংখল হত' বা ফাসাদ হয়ে যেত। আর সেটাই প্রমাণ করে যে, এখানে তাওহীদুল উলুহিয়্যাহর ব্যত্যয় ঘটলে কিভাবে দুনিয়াতে ফাসাদ হয় সেটাই বোঝানো উদ্দেশ্য। কারণ, আল্লাহ ছাড়া অন্য মাবুদের ইবাদত করলে সেখানেই ফাসাদ অনিবাৰ্য। কিন্তু যদি দুই ইলাহ থাকত, তবে দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যেত। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে, আয়াতটি যেভাবে তাওহীদুর রবুবিয়্যাহ বা প্রভুত্বে একত্ববাদের প্রমাণ, সাথে সাথে সেটি তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ বা ইবাদাতের ক্ষেত্রে একত্ববাদেরও প্রমাণ। তবে এর দ্বারা তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ বা ইবাদাতে একত্ববাদের প্রয়োজনীয়তাই বেশী প্রমাণিত হচ্ছে। [বিস্তারিত দেখুন, ইবন তাইমিয়্যাহ, ইকতিদায়ুস সিরাতিল মুস্তাকীম ২/৩৮৭: আন-নুবুওয়াত: ১/৩৭৬; ইবনুল কাইয়্যেম, মিফতাহু দারিস সা’আদাহ: ১/২০৬, ২/১১, ১২২; তরীকুল হিজরাতাইন ৫৭, ১২৫; আল-জাওয়াবুল কাফী ২০৩]
তাফসীরে জাকারিয়া(২২) যদি আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে বহু উপাস্য থাকত তাহলে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। [1] সুতরাং ওরা যে বর্ণনা দেয় তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র, মহান।
[1] সত্য সত্যই যদি পৃথিবী ও আকাশে একের অধিক উপাস্য থাকত তাহলে বিশ্ব পরিচালনা দুই সত্তার হাতেই থাকত। দুজনের ইচ্ছা, বিবেক ও মর্জি কার্যকর হত। আর যখন দুই সত্তার ইচ্ছা ও ফায়সালা চলত তখন এ বিশ্ব-ব্যবস্থা এভাবে চলতেই পারত না, যেভাবে আদি হতে অবিরাম গতিতে চলে আসছে। কারণ দুজনের ইচ্ছায় সংঘর্ষ বাধত, উভয়ের সিদ্ধান্ত ও সংকল্প, এখতিয়ার ও বিবেক এক অপরের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হত, যার পরিণাম হত ধ্বংস ও বিপর্যয়। কিন্তু এমন আজ পর্যন্ত হয়নি। যার পরিষ্কার অর্থ হল, পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই সত্তা আছে, যার ইচ্ছা ও সংকল্প বাস্তবায়িত হয়। যা কিছুই হয় শুধু এবং শুধু তাঁরই আদেশে হয়। তিনি যা প্রদান করেন তাতে বাধা দেওয়ার কেউ নেই এবং তিনি যা বারণ করেন তা দেওয়ার মত কেউই নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তারা বলে, ‘পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র। বরং তারা* সম্মানিত বান্দা। আল-বায়ান
তারা বলে, ‘দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন’, তিনি এসব থেকে মহা পবিত্র। তারা হল তাঁর বান্দাহ যাদেরকে সম্মানে উন্নীত করা হয়েছে। তাইসিরুল
তারা বলেঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান! তারাতো তাঁর সম্মানিত বান্দা। মুজিবুর রহমান
And they say, "The Most Merciful has taken a son." Exalted is He! Rather, they are [but] honored servants. Sahih International
* বনূ খুযা‘আ দাবী করত, ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা। এ ভুল ধারণা দূর করতে আল্লাহ বলেন, ফেরেশতারা আল্লাহর সন্তান নয়; বরং তারা সম্মানিত বান্দা। আল-কাশ্শাফ
২৬. আর তারা বলে, দয়াময় (আল্লাহ) সন্তান গ্ৰহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান! তারা তো তার সম্মানিত বান্দা।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২৬) ওরা বলে, ‘পরম দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র মহান! বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত দাস।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয় আল্লাহ তো সমুচ্চ, সুমহান। আল-বায়ান
এজন্য যে, আল্লাহ- তিনিই সত্য, আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা অন্য যাকে ডাকে তা অলীক, অসত্য, আর আল্লাহ, তিনি তো সর্বোচ্চ, সুমহান। তাইসিরুল
এ জন্যও যে, আল্লাহ সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে ওটাতো অসত্য এবং আল্লাহ তো সমুচ্চ, মহান। মুজিবুর রহমান
That is because Allah is the Truth, and that which they call upon other than Him is falsehood, and because Allah is the Most High, the Grand. Sahih International
৬২. এজন্যেও যে, নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে তা তো অসত্য।(১) আর নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই সমুচ্চ, সুমহান।(২)
(১) অর্থাৎ তিনিই সত্যিকার ক্ষমতার অধিকারী ও যথার্থ রব। একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করা যাবে। কারণ, তিনিই মহান শক্তিধর, তিনি যা চাইবেন তা হবে, আর যাচাইবেন না তা হবে না। সবকিছু তাঁরই মুখাপেক্ষী। সবাই তাঁর কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য। [ইবন কাসীর] সুতরাং তাঁর বন্দেগীকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। আর অন্যান্য সকল মাবুদই আসলে পুরোপুরি অসত্য ও অর্থহীন। তাদেরকে যেসব গুণাবলী ও ক্ষমতার মালিক মনে করা হয়েছে সেগুলোর মূলত কোন ভিত্তি নেই। তারা লাভ বা ক্ষতি কিছুরই মালিক নয়। [ইবন কাসীর] সুতরাং আল্লাহর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তাদের ভরসায় যারা বেঁচে থাকে তারা কখনো সফলতা লাভ করতে পারে না।
(২) আয়াতের শেষে বলা হয়েছে, এবং আল্লাহ, তিনিই তো সমুচ্চ, মহান। অনুরূপ অন্যত্র বলা হয়েছে, “আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [সূরা আল-বাকারাহ: ২৫৫] আরও এসেছে, “তিনি গায়েব ও প্রকাশ্যের জ্ঞানী, মহান, সর্বোচ্চ।” [সূরা আর-রাদ: ৯] সুতরাং সবকিছুই তাঁর ক্ষমতা, প্রতাপ ও মাহাত্যের অধীন। তিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি ব্যতীত আর কোন রব নেই। তিনিই মহান, তাঁর চেয়ে মহৎ কেউ নেই। তিনিই সর্বোচ্চ সত্তা, তাঁর উপরে কেউ নেই, তিনিই বড় তাঁর থেকে বড় কেউ নেই। যালেমরা তাঁর সম্পর্কে যা বলে তা থেকে তিনি কতই না পবিত্র ও মহান! [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬২) এ জন্যও যে, আল্লাহ; তিনিই সত্য[1] এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে আহবান করে, তা নিঃসন্দেহে অসত্য। আর আল্লাহ; তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।
[1] এই কারণে তাঁর দ্বীন সত্য, তাঁর ইবাদত সত্য, তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর নিজ বন্ধুদেরকে তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য করাও সত্য। সেই আল্লাহ নিজের অস্তিত্ব, গুণাবলী ও কার্যাবলীতেও সত্য।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র! আল-বায়ান
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, আর তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহ নেই, (থাকলে) প্রত্যেক ইলাহ আপন সৃষ্টি নিয়ে অবশ্যই চলে যেত, আর অবশ্যই একে অপরের উপর চড়াও হত, তারা তাঁর প্রতি যা আরোপ করে তাত্থেকে তিনি কত মহান ও পবিত্র! তাইসিরুল
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অপর কোন মা‘বূদ নেই; যদি থাকত তাহলে প্রত্যেক মা‘বূদ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত। তারা যা বলে তা হতে আল্লাহ অতি পবিত্র! মুজিবুর রহমান
Allah has not taken any son, nor has there ever been with Him any deity. [If there had been], then each deity would have taken what it created, and some of them would have sought to overcome others. Exalted is Allah above what they describe [concerning Him]. Sahih International
৯১. আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই; যদি থাকত তবে প্রত্যেক ইলাহ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত।(১) তারা যে গুণে তাকে গুণান্বিত করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্ৰ-মহান!
(১) অর্থাৎ বিশ্ব-জাহানের বিভিন্ন শক্তির ও বিভিন্ন অংশের স্রষ্টা ও প্ৰভু যদি আলাদা আলাদা ইলাহ হতো তাহলে তাদের মধ্যে পূর্ণ সহযোগিতা বজায় থাকতো না। বিশ্ব-জাহানের নিয়ম শৃংখলা ও তার বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক একাত্মতা প্রমাণ করছে যে, এর ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব একজন একক আল্লাহর হাতে কেন্দ্রীভূত। যদি কর্তৃত্ব বিভক্ত হতো তাহলে কর্তৃত্বশীলদের মধ্যে অনিবাৰ্যভাবে মতবিরোধ সৃষ্টি হতো। আর এ মতবিরোধ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও যুদ্ধ পর্যন্ত না পৌছে ছাড়তো না। অন্যত্র বলা হয়েছেঃ যদি পৃথিবী ও আকাশে আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ থাকতো তাহলে এ উভয়ের ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতো। [সূরা আল-আম্বিয়ঃ ২২] আরও বলা হয়েছেঃ “যদি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহও থাকতো, যেমন লোকেরা বলে,তাহলে নিশ্চয়ই তারা আরশের মালিকের নৈকট্যলাভের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকত।” [সূরা আল-ইসরাঃ ৪২]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯১) আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অপর কোন উপাস্য নেই; যদি থাকত, তাহলে প্রত্যেক উপাস্য স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত। তারা যা বলে, তা হতে আল্লাহ কত পবিত্র!
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, তারা যা শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে। আল-বায়ান
তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তারা যা তাঁর শরীক বানায়, তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে। তাইসিরুল
তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে। মুজিবুর রহমান
[He is] Knower of the unseen and the witnessed, so high is He above what they associate [with Him]. Sahih International
৯২. তিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞাণী, সুতরাং তারা যা কিছু শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯২) তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তারা যাকে শরীক করে, তিনি তার ঊর্ধ্বে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানসুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব। আল-বায়ান
সুউচ্চ মহান আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সম্মানিত আরশের অধিপতি। তাইসিরুল
মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই; সম্মানিত আরশের তিনিই রাব্ব। মুজিবুর রহমান
So exalted is Allah, the Sovereign, the Truth; there is no deity except Him, Lord of the Noble Throne. Sahih International
১১৬. সুতরাং আল্লাহ মহিমান্বিত, প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া কোন হক্ক ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত আরশের রব।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১১৬) মহিমার্নিত আল্লাহ; যিনি প্রকৃত মালিক,[1] তিনি ব্যতীত কোন (সত্য) উপাস্য নেই; সম্মানিত আরশের অধিপতি তিনি।’ [2]
[1] অর্থাৎ, তিনি এর থেকে অনেক ঊর্ধ্বে যে, তিনি তোমাদেরকে বিনা কোন উদ্দেশ্যে, খেলার ছলে বেকার সৃষ্টি করেছেন। আর তোমরা যা ইচ্ছা তাই করবে, সে ব্যাপারে কোন জবাবদিহি করতে হবে না। বরং তিনি বিশেষ এক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর তা হল, একমাত্র তাঁরই ইবাদত করা। সেই জন্য পরবর্তীতে বলেছেন যে, তিনিই একমাত্র উপাস্য; তিনি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই।
[2] এখানে আরশের বিশেষণ (গুণ) স্বরূপ ‘কারীম’ বলা হয়েছে। যার অর্থ সম্মানিত। যেহেতু তার অধিপতি সম্মানিত। অথবা তার অর্থঃ মহানুভব; কারণ, সেখান হতেই রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হয়। অবশ্য মতান্তরে এটি অধিপতি (রবে)র বিশেষণ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ নেই; তার হিসাব কেবল তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না। আল-বায়ান
যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহকেও ডাকে, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন দলীল প্রমাণ নেই, একমাত্র তার প্রতিপালকের কাছেই তার হিসাব হবে, কাফিরগণ অবশ্যই সফলকাম হবে না। তাইসিরুল
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে ডাকে অন্য ইলাহকে যার নিকট কোন সনদ নেই, তার হিসাব রয়েছে তার রবের নিকট, নিশ্চয়ই কাফিরেরা সফলকাম হবেনা। মুজিবুর রহমান
And whoever invokes besides Allah another deity for which he has no proof - then his account is only with his Lord. Indeed, the disbelievers will not succeed. Sahih International
১১৭. আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, এ বিষয়ে তার নিকট কোন প্রমাণ নেই; তার হিসাব তো তার রব-এর নিকটই আছে; নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১১৭) যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করে, (অথচ) ঐ বিষয়ে তার নিকট কোন প্রমাণ নেই; তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকট আছে, নিশ্চয়ই অবিশ্বাসীরা সফলকাম হবে না।[1]
[1] এখান হতে বুঝা যায় যে, প্রকৃত সফলতা ও কৃতকার্যতা হল আখেরাতে আল্লাহর আযাব হতে বেঁচে যাওয়া। শুধুমাত্র পৃথিবীর ধন-দৌলত ও বিলাসসামগ্রীর পর্যাপ্তিই সফলতা নয়। এ সব তো পৃথিবীতে কাফেররাও অর্জন করে থাকে। কিন্তু মহান আল্লাহ তাদের সফলতার কথা নাকচ করেছেন। যার পরিষ্কার অর্থ হল, আসল সফলতা পরকালের সফলতা; যা একমাত্র ঈমানদাররাই লাভ করবে। পৃথিবীর ধন-সম্পদের আধিক্য নয়; যা বিনা কোন পার্থক্যে মুসলমান ও কাফেরদল সকলেই পেয়ে থাকে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানযার অধিকারে রয়েছে আসমান ও যমীনের মালিকানা; আর তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তা নিপুণভাবে নিরূপণ করেছেন। আল-বায়ান
যিনি যমীন ও আসমানের রাজত্বের মালিক, তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, আর সেগুলোকে যথাযথ করেছেন পরিমিত অনুপাতে। তাইসিরুল
যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি; সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে পরিমিত করেছেন যথাযথ অনুপাতে। মুজিবুর রহমান
He to whom belongs the dominion of the heavens and the earth and who has not taken a son and has not had a partner in dominion and has created each thing and determined it with [precise] determination. Sahih International
২. যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি; সার্বভৌমত্ত্বে তার কোন শরীক নেই। তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তা নির্ধারণ করেছেন যথাযথ অনুপাতে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই।[1] তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি;[2] সার্বভৌম ক্ষমতায় তাঁর কোন অংশী নেই।[3] তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে যথোচিত আকৃতি দান করেছেন।[4]
[1] এটি তাঁর প্রথম গুণ। অর্থাৎ সৃষ্টি জগতে একমাত্র আধিপত্য তাঁর, অন্য কারো নয়।
[2] এখানে খ্রিষ্টান ও ইয়াহুদীদের এবং আরবের সেই লোকদের বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে, যারা ফিরিশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত।
[3] এখানে মূর্তিপূজক মুশরিক ও (ভাল-মন্দ, আলো-অন্ধকারের স্রষ্টাস্বরূপ) দুই আল্লাহতে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে।
[4] প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা একমাত্র তিনিই এবং তিনি নিজ জ্ঞান ও ইচ্ছানুসারে নিজের সৃষ্টিকে প্রত্যেক সেই জিনিস দান করেছেন যা তার অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অথবা প্রত্যেকের জীবিকা ও মৃত্যু আগে থেকেই নির্ধারিত করে রেখেছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তারা আল্লাহ ছাড়া অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে; তারা নিজদের কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ করার ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থান করতেও সক্ষম হয় না। আল-বায়ান
আর তারা তাঁকে বাদ দিয়ে ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে অন্য কিছুকে যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে। তারা ক্ষমতা রাখে না নিজেদের ক্ষতি বা উপকার করার আর ক্ষমতা রাখে না মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থানের উপর। তাইসিরুল
আর তারা তাঁর পরিবর্তে মা‘বূদ রূপে গ্রহণ করেছে অপরকে যারা কিছুই সৃষ্টি করেনা, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং তারা নিজেদের অপকার অথবা উপকার করার ক্ষমতা রাখেনা এবং জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখেনা। মুজিবুর রহমান
But they have taken besides Him gods which create nothing, while they are created, and possess not for themselves any harm or benefit and possess not [power to cause] death or life or resurrection. Sahih International
৩. আর তারা তাঁর পরিবর্তে ইলাহরূপে গ্ৰহণ করেছে অন্যদেরকে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং তারা নিজেদের অপকার কিংবা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না। আর মৃত্যু, জীবন ও উত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) তবুও কি তারা তাঁর পরিবর্তে উপাস্যরূপে অপরকে গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃষ্ট এবং ওরা নিজেদের ইষ্টানিষ্টেরও মালিক নয় এবং জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না। [1]
[1] কিন্তু অনাচারীরা এমন গুণের অধিকারী প্রতিপালককে বাদ দিয়ে এমন কিছুকে প্রতিপালক বানিয়ে নিয়েছে, যারা নিজেদের ব্যাপারেও কোন এখতিয়ার ও ক্ষমতার অধিকারী নয়। তাহলে তারা অপরের জন্য কিছু করার এখতিয়ার ও ক্ষমতা কোথায় পাবে? এরপর নবুঅত অস্বীকারকারীদের কিছু সন্দেহ নিরসন করা হচ্ছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানঅতএব, তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তাহলে তুমি আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আল-বায়ান
কাজেই তুমি অন্য কোন ইলাহ্কে আল্লাহর সঙ্গে ডেক না। ডাকলে তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তাইসিরুল
অতএব তুমি অন্য কোন মা‘বূদকে আল্লাহর সাথে ডেকোনা, তাহলে তুমি শাস্তি প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মুজিবুর রহমান
So do not invoke with Allah another deity and [thus] be among the punished. Sahih International
২১৩. অতএব আপনি অন্য কোন ইলাহকে আল্লাহর সাথে ডাকবেন না, ডাকলে আপনি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২১৩) অতএব তুমি অন্য কোন উপাস্যকে আল্লাহর অংশী করো না; করলে তুমি শাস্তিযোগ্যদের দলভুক্ত হবে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানবরং তিনি, যিনি তোমাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রের অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? তারা যা কিছু শরীক করে আল্লাহ তা থেকে ঊর্ধ্বে। আল-বায়ান
নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি জল স্থলের গভীর অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি তাঁর (বৃষ্টিরূপী) অনুগ্রহের পূর্বক্ষণে শুভবার্তাবাহী বাতাস প্রেরণ করেন? আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? তারা যাকে (আল্লাহর) শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। তাইসিরুল
কে তোমাদেরকে স্থলের ও পানির অন্ধকারে পথ প্রদর্শন করেন এবং কে স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা‘বূদ আছে কি? তারা যাকে শরীক করে আল্লাহ তা হতে বহু উর্ধ্বে। মুজিবুর রহমান
Is He [not best] who guides you through the darknesses of the land and sea and who sends the winds as good tidings before His mercy? Is there a deity with Allah? High is Allah above whatever they associate with Him. Sahih International
৬৩. নাকি তিনি, যিনি তোমাদেরকে স্থলভূমি ও সমুদ্রের অন্ধকারে পথ দেখান(১) এবং যিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ আছে কি? তারা যাকে শরীক করে আল্লাহ তা থেকে বহু ঊর্ধ্বে।
(১) যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, “আর তিনিই তোমাদের জন্য তারকামণ্ডল সৃষ্টি করেছেন যেন তা দ্বারা তোমরা স্থলের ও সাগরের অন্ধকারে পথ খুঁজে পাও।” [সূরা আল-আনআমঃ ৯৭] অর্থাৎ যিনি তারকার সাহায্যে এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যার ফলে তোমরা রাতের অন্ধকারেও নিজেদের পথের সন্ধান করতে পারো। মানুষ জলে-স্থলে যেসব সফর করে, সেখানে তাকে পথ দেখাবার জন্য আল্লাহ এমন সব উপায়-উপকরণ সৃষ্টি করেছেন যাতে সে সহজেই পথ চিনে নিতে পারে। [দেখুন: ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] এ সবই আল্লাহর জ্ঞানগর্ভ ব্যবস্থাপনারই একটি অংশ। অন্যত্র এসবগুলোকে আল্লাহর অনুগ্রহের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। [দেখুন: সূরা আন-নাহল: ১৫–১৬]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬৩) কিংবা তিনি, যিনি তোমাদেরকে জলে ও স্থলের অন্ধকারে পথ প্রদর্শন করেন[1] এবং যিনি স্বীয় করুণার প্রাক্কালে (বৃষ্টির পূর্বে) সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। [2] আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? ওরা যাকে অংশী করে, আল্লাহ তা থেকে বহু ঊর্ধ্বে ।
[1] অর্থাৎ, আকাশে তারকারাজিতে উজ্জ্বলতা সৃষ্টিকারী কে, যার দ্বারা তোমরা সমুদ্র ও স্থল-সফরে অন্ধকারে পথের দিশা পাও? পাহাড় ও উপত্যকার সৃষ্টিকর্তা কে, যা পাশাপাশি দেশের মধ্যে সীমারেখার কাজ দেয় এবং পথের দিশাও।
[2] বৃষ্টির পূর্বে ঠান্ডা হাওয়া যা শুধু বৃষ্টির সুসংবাদই নয়; বরং তা অনাবৃষ্টি কবলিত মানুষের মনে-প্রাণে আনন্দের জোয়ার এনে দেয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তোমার রব যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং মনোনীত করেন, তাদের কোন এখতিয়ার নাই। আল্লাহ পবিত্র মহান এবং তারা যা শরীক করে তিনি তা থেকে ঊর্ধ্বে। আল-বায়ান
তোমার প্রতিপালক যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন আর যাকে ইচ্ছে মনোনীত করেন। এতে তাদের কোন এখতিয়ার নেই, আল্লাহ পবিত্র, মহান। তারা যাকে শরীক করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে। তাইসিরুল
তোমার রাব্ব যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন, এতে তাদের কোন ক্ষমতা নেই, আল্লাহ পবিত্র মহান এবং তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি উর্ধ্বে। মুজিবুর রহমান
And your Lord creates what He wills and chooses; not for them was the choice. Exalted is Allah and high above what they associate with Him. Sahih International
৬৮. আর আপনার রব যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন এবং যা ইচ্ছে মনোনীত করেন(১), এতে ওদের কোন হাত নেই। আল্লাহ্ পবিত্ৰ, মহান এবং তারা যা শরীক করে তা থেকে তিনি ঊর্ধ্বে!
(১) আয়াতটির তাফসীরে সঠিক মত হচ্ছে, যা ইমাম বাগাভী তার তাফসীরে এবং ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম তার যাদুল মাআদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তা এই যে, আল্লাহ তা'আলা মানবজাতির মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা সম্মান দানের জন্য মনোনীত করেন। বগভীর উক্তি অনুযায়ী এটা মুশরিকদের এই কথার জওয়াব (وَقَالُوا لَوْلَا نُزِّلَ هَٰذَا الْقُرْآنُ عَلَىٰ رَجُلٍ مِنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ) “আর তারা বলেঃ এ কুরআন কেন নাযিল করা হল না দুই জনপদের কোন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির উপর?” [সূরা আয-যুখরুফঃ ৩১] অর্থাৎ কাফেররা এটা বলে যে, এ কুরআন আরবের দু'টি বড় শহর মক্কা ও তায়েফের মধ্য থেকে কোন প্রধান ব্যক্তির প্রতি নাযিল করা হল না কেন? এরূপ করলে এর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হত।
একজন পিতৃহীন দরিদ্র লোকের প্রতি নাযিল করার রহস্য কি? এর জওয়াবে বলা হয়েছে যে, যে প্ৰভু সমগ্র সৃষ্টিজগতকে কোন অংশীদারের সাহায্য ব্যাতিরেকে সৃষ্টি করেছেন, কোন বান্দাকে বিশেষ সম্মান দানের জন্য মনোনিত করার ক্ষমতাও তাঁরই। এ ব্যাপারে তিনি তোমাদের এই প্রস্তাবের অনুসারী হবেন কেন যে, অমুক যোগ্য, অমুক যোগ্য নয়?
ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রাহেমাহুল্লাহ এ আয়াত থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান উদ্ভাবন করেছেন। তা এই যে, দুনিয়াতে এক স্থানকে অন্য স্থানের উপর অথবা এক বস্তুকে অন্য বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। এই শেষ্ঠত্ব দান সংশ্লিষ্ট বস্তুর উপার্জন ও কর্মের ফল নয়; বরং এটা প্ৰত্যক্ষভাবে স্রষ্টার মনোনয়ন ও ইচ্ছার ফলশ্রুতি। তিনি সপ্ত-আকাশ সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে উর্ধ্ব আকাশকে অন্যগুলোর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তিনি জান্নাতুল ফেরদাউসকে অন্য সব জান্নাতের উপর, জিবরীল, মীকাঈল, ইসরাফীল প্রমুখ বিশেষ ফেরেশতাগণকে অন্য ফেরেশতাদের উপর, নবী-রাসূলগণকে সমগ্র আদম সন্তানের উপর, তাদের মধ্যে দৃঢ়চেতা নবী-রাসূলগণকে অন্য নবী-রাসূলদের উপর, ইবরাহীম ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিমা ওয়াসাল্লামকে অন্য দৃঢ়চেতা নবী-রাসূলগণের উপর, ইসমাঈল আলাইহিস সালামের বংশধরদের সমগ্ৰ মানবজাতির উপর, কুরাইশদেরকে আরবদের উপরে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বনী হাশেমের উপর এবং এমনিভাবে সাহাবায়ে কেরাম ও অন্যান্য মনীষীকে অন্য মুসলিমদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
এগুলো সব আল্লাহ্ তা'আলার মনোনয়ন ও ইচ্ছার ফলশ্রুতি। এমনিভাবে পৃথিবীর অনেক স্থানকে অন্য স্থানের উপর, অনেক দিন ও রাতকে অন্য দিন ও রাতের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করাও আল্লাহ তা'আলার মনোনয়ন ও ইচ্ছার প্রভাব। মোটকথাঃ শ্রেষ্ঠত্ব ও অশ্রেষ্ঠত্বের আসল মাপকাঠি এই মনোনয়ন ইচ্ছাই। এখানে অন্য কিছুর হাত নেই।
তাফসীরে জাকারিয়া(৬৮) তোমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন, এতে ওদের কোন এখতিয়ার নেই।[1] আল্লাহ পবিত্র, মহান এবং ওরা যাকে অংশী করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।
[1] অর্থাৎ, সমস্ত এখতিয়ার আল্লাহ তাআলার হাতে। তাঁর এখতিয়ারের প্রতিকূলে কারো কোন এখতিয়ারই নেই; সকল এখতিয়ারের মালিক হওয়া তো বহু দূরের কথা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তাঁর চেহারা (সত্ত্বা)* ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল, সিদ্ধান্ত তাঁরই এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। আল-বায়ান
আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর (সত্তা) ছাড়া সকল কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই, আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে। তাইসিরুল
তুমি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডেকনা, তিনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। মুজিবুর রহমান
And do not invoke with Allah another deity. There is no deity except Him. Everything will be destroyed except His Face. His is the judgement, and to Him you will be returned. Sahih International
* আয়াতে উল্লিখিত وجه শব্দের অর্থ চেহারা। আল্লাহর চেহারা আছে। আর তাঁর চেহারা যেমন ধ্বংসশীল নয় তেমনি তাঁর সত্ত্বাও ধ্বংসশীল নয়।
৮৮. আর আপনি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকবেন না, তিনি ছাড়া অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহর সত্তা ছাড়া সমস্ত কিছুই ধ্বংসশীল।(১) বিধান তারই এবং তারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
(১) এখানে وجهه বলে আল্লাহ তা'আলার পুরো সত্তাকে বোঝানো হলেও অন্য দিক থেকে এটা সাব্যস্ত হচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার চেহারা’ রয়েছে। কারণ; যার চেহারা নেই তার সম্পর্কে এ শব্দ ব্যবহার করা যায় না। মূল উদ্দেশ্য এই যে, আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংসশীল। কোন কোন তাফসীরকার বলেন, وجهه বলে এমন আমল বোঝানো হয়েছে, যা একান্তভাবে আল্লাহর জন্য করা হয়। তখন আয়াতের উদ্দেশ্য হবে এই যে, যে আমল আল্লাহর জন্য খাঁটিভাবে করা হয়, তাই অবশিষ্ট থাকবে এছাড়া সব ধ্বংসশীল। উভয় তাফসীরই বিশুদ্ধ। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৮৮) তুমি আল্লাহর সঙ্গে অন্য উপাস্যকে ডেকো না,[1] তিনি ব্যতীত অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই। তাঁর মুখমন্ডল[2] ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই [3] এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [4]
[1] অর্থাৎ, অন্য কারো ইবাদত করো না। না দু’আর মাধ্যমে, না নযর-মানতের মাধ্যমে আর না কুরবানীর মাধ্যমে। কারণ, এগুলি ইবাদত বলে গণ্য, যা কেবলমাত্র এক আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করাকে কুরআনের ভাষায় ‘আহবান করা’ বলা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হল এ কথা স্পষ্ট করা যে, আল্লাহ ছাড়া অন্যকে --যা করার তার ক্ষমতা নেই তার জন্য-- ডাকা, সাহায্য প্রার্থনা করা, তার নিকট দু’আ করা, বিনয়-নম্র হওয়া --এ সব করাই হল তার ইবাদত করা। যার কারণে মানুষ মুশরিকে পরিণত হয়।
[2] وَجهَه (তাঁর মুখমন্ডল) বলতে স্বয়ং আল্লাহকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া প্রত্যেক বস্তুই নশ্বর।{كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ، وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ} অর্থাৎ, ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সমস্তই নশ্বর। অবিনশ্বর শুধু তোমার মহিমময়, মহানুভব প্রতিপালকের মুখমন্ডল (সত্তা)। (সূরা রাহমান ২৬-২৭ আয়াত)
[3] অর্থাৎ, তিনি যা চান সেই ফায়সালাই মান্য হয় এবং তাঁর ইচ্ছানুসারে তাঁর আদেশ বলবৎ হয়।
[4] যাতে তিনি সৎকর্মশীলদের সৎকর্মের ও অসৎ কর্মশীলদের অসৎ কর্মের প্রতিদান দেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআল্লাহ সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাদেরকে রিয্ক দিয়েছেন। এরপর তিনি তোমাদের মৃত্যু দেবেন, পরে আবার তোমাদের জীবন দেবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এ থেকে কোন কিছু করতে পারবে? তিনি পবিত্র এবং তারা যাদের শরীক করে তা থেকে তিনি ঊর্ধ্বে। আল-বায়ান
আল্লাহ্ই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে রিযক দিয়েছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমরা যাদেরকে (আল্লাহর) অংশীদার মান্য কর তাদের মধ্যে কেউ আছে কি এ সবের কোন কিছু করতে পারে? তারা যাদেরকে অংশীদার গণ্য করে আল্লাহ তাদের থেকে পবিত্র, বহু ঊর্ধ্বে। তাইসিরুল
আল্লাহই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে রিয্ক দিয়েছেন; তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং পরে তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমাদের দেব-দেবীগুলোর এমন কেহ আছে কি, যে এ সবের কোন একটিও করতে পারে? তারা যাদেরকে শরীক করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান। মুজিবুর রহমান
Allah is the one who created you, then provided for you, then will cause you to die, and then will give you life. Are there any of your "partners" who does anything of that? Exalted is He and high above what they associate with Him. Sahih International
৪০. আল্লাহ্(১) যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাদেরকে রিয্ক দিয়েছেন, তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন অবশেষে তিনি তোমাদেরকে জীবিত করবেন। (আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্তকৃত) তোমাদের মা’বুদগুলোর এমন কেউ আছে কি, যে এসবের কোন কিছু করতে পারে?(২) তারা যাদেরকে শরীক করে, তিনি (আল্লাহ) সে সব (শরীক) থেকে মহিমাময়-পবিত্র ও অতি ঊর্ধ্বে।
(১) এখান থেকে আবার মুশরিকদেরকে বুঝাবার জন্য বক্তব্যের ধারা তাওহীদ ও আখেরাতের বিষয়বস্তুর দিকে ফিরে এসেছে। [আইসারুতি-তাফসীর]
(২) অর্থাৎ তোমাদের তৈরী করা উপাস্যদের মধ্যে কেউ কি সৃষ্টিকর্তা ও রিযিকদাতা? জীবন ও মৃত্যু দান করা কি কারো ক্ষমতার আওতাভুক্ত আছে? অথবা মরার পর সে আবার কাউকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষমতা রাখে? তাহলে তাদের কাজ কি? তোমরা তাদেরকে উপাস্য বানিয়ে রেখেছো কেন? [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪০) আল্লাহই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে রুযী দিয়েছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং পরে তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের এমন কেউ আছে কি, যে এ সমস্তের কোন একটি করতে পারে? ওরা যাদেরকে শরীক স্থাপন করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানজেনে রাখ, তারা অবশ্যই তাদের মনগড়া কথা বলে যে, আল-বায়ান
দেখ, তারা অবশ্যই তাদের মন-গড়া কথা বলে যে, তাইসিরুল
দেখ তারা মনগড়া কথা বলে যে – মুজিবুর রহমান
Unquestionably, it is out of their [invented] falsehood that they say, Sahih International
১৫১. সাবধান! তারা তো মনগড়া কথা বলে যে,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫১) দেখ, ওরা মনগড়া কথা বলে থাকে; যখন বলে,
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান‘আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন’ আর তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আল-বায়ান
আল্লাহ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তারা অবশ্যই মিথ্যেবাদী। তাইসিরুল
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী। মুজিবুর রহমান
" Allah has begotten," and indeed, they are liars. Sahih International
১৫২. আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর তারা নিশ্চয় মিথ্যাবাদী।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫২) ‘আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।’ নিশ্চয় ওরা মিথ্যাবাদী।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতিনি কি পুত্রসন্তানদের উপর কন্যা সন্তানদের বেছে নিয়েছেন? আল-বায়ান
তিনি কি পুত্রদের চেয়ে কন্যাদেরকেই বেশি পছন্দ করেছেন? তাইসিরুল
তিনি কি পুত্র সন্তানের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পছন্দ করতেন? মুজিবুর রহমান
Has He chosen daughters over sons? Sahih International
১৫৩. তিনি কি পুত্ৰ সন্তানের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পছন্দ করেছেন?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫৩) তিনি কি পুত্রসন্তানের পরিবর্তে কন্যাসন্তান পছন্দ করেছেন? [1]
[1] অথচ তারা নিজেদের জন্য কন্যাসন্তান নয়; বরং পুত্রসন্তান পছন্দ করে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতোমাদের কী হল? তোমরা কেমন ফয়সালা করছ! আল-বায়ান
তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কেমন ফয়সালা করছ? তাইসিরুল
তোমাদের কি হয়েছে, তোমরা কি রূপ বিচার কর? মুজিবুর রহমান
What is [wrong] with you? How do you make judgement? Sahih International
১৫৪. তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কিরূপ বিচার কর?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫৪) তোমাদের কি হয়েছে, তোমাদের এ কেমন সিদ্ধান্ত?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? আল-বায়ান
তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? তাইসিরুল
তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবেনা? মুজিবুর রহমান
Then will you not be reminded? Sahih International
১৫৫. তবে কি তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ করবে না?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫৫) তবে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? [1]
[1] যে, যদি আল্লাহর সন্তান হত তবে পুত্রসন্তান হত, যা তোমরাও পছন্দ কর এবং উত্তম মনে কর। কন্যাসন্তান নয়, যা তোমাদের চোখেও নগণ্য ও তুচ্ছ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করতে চাইতেন, তাহলে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতেন; কিন্তু তিনি পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, তিনি এক, প্রবল পরাক্রান্ত। আল-বায়ান
আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছে করলে তিনি তার সৃষ্টিকুল থেকে নিজ পছন্দ মত বেছে নিতেন। এসব থেকে তিনি পবিত্র। অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী তিনি এক ও একক আল্লাহ। তাইসিরুল
আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করতে ইচ্ছা করলে তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করতে পারতেন। পবিত্র ও মহান তিনি। তিনিই আল্লাহ এক, প্রবল পরাক্রমশালী। মুজিবুর রহমান
If Allah had intended to take a son, He could have chosen from what He creates whatever He willed. Exalted is He; He is Allah, the One, the Prevailing. Sahih International
৪. আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করতে চাইলে তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছে বেছে নিতেন। পবিত্র ও মহান তিনি! তিনি আল্লাহ, এক, প্রবল প্রতাপশালী।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করতে ইচ্ছা করলে তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করতে পারতেন। পবিত্র ও মহান তিনি![1] তিনিই আল্লাহ, এক, পরাক্রমশালী।
[1] অর্থাৎ, মুশরিকদের বিশ্বাস মত, তাঁর সন্তান হওয়ার প্রয়োজনই বা কি? বরং তিনি আপন সৃষ্টির মধ্য থেকে যাকে পছন্দ করতেন, তাকেই সন্তানরূপে গ্রহণ করতে পারতেন। তাদেরকে নয় যাদেরকে তারা তাঁর সন্তান বলে আখ্যায়িত করে থাকে। কিন্তু আসলে আল্লাহ তো এই ত্রুটি থেকে পবিত্র। (ইবনে কাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান