যঈফ (Dai'f) হাদিস পাওয়া গেছে 7343 টি

পরিচ্ছেদঃ

১৭২৭। যখন ফাইকে (যুদ্ধ ছাড়াই অর্জিত শত্রু সম্পদকে) অন্যদেরকে বঞ্চিত করে কোন সম্প্রদায়ের জন্য গ্রহণ করা হবে, আমানাতকে গানীমাত আর যাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে, দ্বীনহীন শিক্ষা গ্রহণ করা হবে, ব্যক্তি তার মাতার অবাধ্য হয়ে তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে, তার বন্ধুর নিকটবর্তী হবে আর তার পিতা থেকে দূরে সরে যাবে, মসজিদগুলোতে উঁচু আওয়াজ প্রকাশিত হবে, গোত্রের নেতৃত্ব দিবে তাদের ফাসেক ব্যক্তি, সম্প্রদায়ের নেতা হবে তাদের নিকৃষ্ট ব্যক্তি, ব্যক্তির অনিষ্টতার ভয়ে তাকে সম্মান করা হবে, গায়িকা ও নর্তকী এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যাপকতা লাভ করবে, মদ পান করা হবে এবং এ উম্মাতের শেষাংশ প্রথমাংশকে অভিশাপ দিবে, সে সময়ে তারা যেন লাল হাওয়া, ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস, রূপপরিবর্তন, অপবাদ এবং বিভিন্ন নিদর্শনের অপেক্ষা করে। যা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে যেমনিভাবে মতি গাথা সূতা কেটে দিলে ধারাবাহিকভাবে মতিগুলো পড়তে থাকে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে তিরমিযী (২/৩৩) রুমাইহ জুযামী সূত্রে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করে নিম্নের ভাষায় দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেনঃ হাদীসটি গারীব, এটিকে একমাত্র এ সূত্রেই চিনি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ রুমাইহু মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। এরূপই একটি হাদীস ভিন্ন ভাষায় পরবর্তীতে আসবে।

إذا اتخذ الفيء دولا والأمانة مغنما والزكاة مغرما وتعلم لغير الدين وأطاع الرجل امرأته وعق أمه وأدنى صديقه وأقصى أباه وظهرت الأصوات في المساجد، وساد القبيلة فاسقهم، وكان زعيم القوم أرذلهم وأكرم الرجل مخافة شره وظهرت القينات والمعازف وشربت الخمور ولعن آخر هذه الأمة أولها، فليرتقبوا عند ذلك ريحا حمراء، وزلزلة وخسفا ومسخا وقذف، وآيات تتابع، كنظام بال قطع سلكه فتتابع

ضعيف

-

رواه الترمذي (2 / 33) من طريق رميح الجذامي عن أبي هريرة مرفوعا، وقال مضعفا: حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه
قلت: ورميح هذا مجهول، كما في " التقريب ". ونحو هذا الحديث ما سيأتي بلفظ: " إذا فعلت أمتي خمس عشر خصلة


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৩০। আমাকে দুনিয়ার চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে (অন্য বর্ণনায় এসেছে দুনিয়ার খাযানাসমূহের চাবিগুলো দেয়া হয়েছে) একটি সাদা কালো রঙের ঘোড়ার উপর, [জিবরীল (আঃ)] তা নিয়ে এসেছিলেন) যার উপর রেশমের একটি চাদর ছিল।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ (৩/৩২৭-৩২৮), ইবনু হিব্বান (২১৩৮), আবুশ শাইখ "আখলাকুন নবী" গ্রন্থে (২৯০) ও আবু হামেদ হুযারী তার “হাদীস” গ্রন্থে (১/১৫৯) হুসাইন ইবনু অকেদ হতে, তিনি আবূয যুবায়ের হতে, তিনি জাবের (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আবুয যুবায়ের মুদাল্লিস আর তিনি আন্আন করে বর্ণনা করেছেন। আর এ কারণেই হাদীসটি দুর্বল।

أتيت بمقاليد الدنيا (وفي رواية: بمفاتيح خزائن الدنيا) على فرس أبلق [جاءني به جبريل عليه السلام] عليه قطيفة من سندس
ضعيف

-

رواه أحمد (3 / 327 - 328) وابن حبان (2138) وأبو الشيخ في " أخلاق النبي صلى الله عليه وسلم " (290) والرواية الأخرى مع الزيادة له، وأبو حامد الحضرمي في " حديثه " (159 / 1) عن حسين بن واقد عن أبي الزبير عن جابر مرفوعا

قلت: وهذا إسناد على شرط مسلم، لكن أبا الزبير مدلس، وقد عنعنه، فهو من أجلها ضعيف


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৩১। তোমরা তোমাদের মাসজিদগুলোকে উঁচু না করে নির্মাণ করো আর তোমাদের শহরগুলোকে উঁচু করে নির্মাণ কর।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে ইবনু আবী শাইবার বর্ণনায় আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমি হাদিসটিকে "আলমুসান্নাফ" গ্রন্থে দেখেছি "মাসজিদকে চাকচিক্য করা এবং এ সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে" এ অধ্যায়ে (১/২০৯) খালাফ ইবনু খালীফা হতে, তিনি মূসা হতে, তিনি এক ব্যক্তি হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সমতল করে মাসজিদগুলো আর শহরগুলোকে উচু করে নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ নাম না নেয়া ব্যক্তি মাজহুল (অপরিচিত)। আর তার থেকে বর্ণনাকারী মূসাকে আমি চিনি না।

ابنوا مساجدكم جما، وابنوا مدائنكم مشرفة
ضعيف

-

أورده هكذا السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية ابن أبي شيبة عن ابن عباس مرفوعا. والذي رأيته في " المصنف " في باب " في زينة المساجد وما جاء فيها " (1 / 209) : خلف بن خليفة عن موسى عن رجل عن ابن عباس قال: " أمرنا أن نبني المساجد جما، والمدائن شرفا
قلت: وهذا إسناد ضعيف، لجهالة الرجل الذي لم يسم، وموسى الراوي عنه لم أعرفه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৩২। সর্বাপেক্ষা সত্য স্বপ্ন হচ্ছে সাহরীর সময়ের স্বপ্ন।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী (২/৪৪-৪৫), দারেমী (২/১২৫), আবূ ইয়ালা তার "মুসনাদ" গ্রন্থে (২/৫০৯/৩৮৩), ইবনু হিব্বান (১৭৯৯), ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (কাফ ১৩১/১-২), হাকিম (৪/৩৯২) ও খাতীব বাগদাদী “আততারীখ” গ্রন্থে (৮/২৬, ১১/৩৪২) দারাজ আবু সামহু সূত্রে আবুল হাইসাম হতে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ। আর মানবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অতঃপর গুমারীও। আর তাদের দু’জনের পূর্বে হাফিয যাহাবীও! অথচ তিনিই এ দারাজকে তার “আযযুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তাকে আবু হাতিম দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন আর ইমাম আহমাদ বলেনঃ তার হাদীসগুলো মুনকার। আর এ কারণেই ইবনু আদী এ হাদীসটিকে সেই হাদীসগুলোর অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ করেছেন যেগুলোকে দারাজের মুনকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু ইমাম তিরমিযী তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন।

أصدق الرؤيا بالأسحار
ضعيف

-

أخرجه الترمذي (2 / 44 - 45) والدارمي (2 / 125) وأبو يعلى في " مسنده " (2 / 509 / 383) وابن حبان (1799) وابن عدي في " الكامل " (ق 131 / 1 - 2) والحاكم (4 / 392) والخطيب في " التاريخ " (8 / 26 و11 / 342) من طريق دراج أبي السمح عن أبي الهيثم عن أبي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم به، وقال الحاكم: " صحيح الإسناد "! ووافقه المناوي، ثم الغماري، ومن قبلهما الذهبي! مع أنه أورد دراجا هذا في " الضعفاء " وقال: " ضعفه أبو حاتم، وقال أحمد: أحاديثه مناكير ". ولهذا ذكر ابن عدي أن هذا الحديث مما أنكر من أحاديث دراج هذا. وأما الترمذي فسكت عنه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৩৭। তুমি যখন লিখবে তখন বিসমিল্লাহির রহমানির রহীমের মধ্যের সীনকে স্পষ্ট করে লিখ।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদিসটিকে আবুল গানায়েম দাজাজী "হাদীসু ইবনু শাহ" গ্রন্থে (২/১২৯) ফাযল ইবনু সাহল যির রিয়াসাতাইন হতে, তিনি জা’ফার ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু খালেদ বারমাকী হতে, তিনি আবূ ইয়াহইয়া ইবনু খালেদ হতে, তিনি আবূ খালেদ ইবনু বারমাক হতে, তিনি আব্দুল হামীদ ইবনু ইয়াহইয়া কাতেবু বানী উমাইয়্যাহ হতে, তিনি সালেম ইবনু হিশাম হতে, তিনি আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ান হতে, তিনি যায়েদ ইবনু সাবেত (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ সূত্রেই হাদীসটিকে কাযরুনী “আলমুসালসালাত” গ্রন্থে (২/১২০), অনুরূপভাবে খাতীব বাগদাদী “আততারীখ” গ্রন্থে (১২/৩৪০), দাইলামী (১/১/১৪৬), ইবনু আসাকির (৯/৪০৪/১) বর্ণনা করেছেন এবং (ইবনু আসাকির) এ আব্দুল হামীদের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন আর খাতীব বাগদাদী হাদীসটিকে যির রিয়াসাতাইনের জীবনীতে উল্লেখ করে তারা দু’জন তাদের দু’জন সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি।

আর জা’ফার ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু খালেদ বারমাকী এবং অষীর ইবনু অযীর, তারা দু’জন হারুনুর রাশীদের মন্ত্রী সভার প্রসিদ্ধ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের দু’জনকে বর্ণনার ক্ষেত্রে চেনা যায় না।

মোটকথাঃ হাদীসটির সনদ অন্ধকারাচ্ছন্ন।

মানবী “আলফাইয” গ্রন্থে সাদা স্থান ছেড়ে দিয়ে হাদীসটির ব্যাপারে কোন কিছুই বলেননি। আর "আততাইসীর" গ্রন্থে দৃঢ়তার সাথে হাদিসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

إذا كتبت فبين (السين) في بسم الله الرحمن الرحيم
ضعيف

-

رواه أبو الغنائم الدجاجي في " حديث ابن شاه " (129 / 2) عن الفضل بن سهل ذي الرياستين: سمعت جعفر بن يحيى بن خالد البرمكي يقول: سمعت أبي يحيى ابن خالد يقول: سمعت أبي خالد بن برمك يقول: سمعت عبد الحميد بن يحيى كاتب بني أمية يقول: سمعت سالم بن هشام يقول: سمعت عبد الملك بن مروان يقول: سمعت زيد بن ثابت يقول مرفوعا. ومن هذا الوجه رواه الكازروني في " المسلسلات " (120 / 2) وكذا الخطيب في التاريخ (12 / 340) والديلمي (1 / 1 / 146) وابن عساكر (9 / 404 / 1) وأورده في ترجمة عبد الحميد هذا، وأما الخطيب فأورده في ترجمة ذي الرياستين ولم يذكرا فيهما جرحا ولا تعديلا. وجعفر بن يحيى بن خالد البرمكي، الوزير بن الوزير، وهما على شهرتهما في الوزارة لهارون الرشيد، فلا يعرفان في الرواية. وبالجملة، فالإسناد ضعيف مظلم. وبيض له المناوي فلم يتكلم عليه بشيء. هذا في " الفيض "، وأما في " التيسير " فجزم بأنه ضعيف


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৩৮। তোমাদের কেউ যখন কিতাব লিখবে তখন সে যেন তাতে মাটি লাগিয়ে নেয়, কারণ তা প্রয়োজন মিটাতে সর্বাপেক্ষা সফলকারী। [আর মাটির মধ্যে বরকত রয়েছে]।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী (২/১১৯), ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (১০৪), ও আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/২৩৮) হামযাহ ইবনু আবী হামযাহ সূত্রে আবুয যুবায়ের হতে, তিনি জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।

তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি মুনকার। আমরা হাদীসটিকে একমাত্র আবুয যুবায়ের সূত্রেই চিনি। আর হামযা হচ্ছেন নাসীবী-তিনি য’ঈফুল হাদীস।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি মাতরুক, জাল করার দোষে দোষী যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।

ওকাইলী বলেনঃ ভালো সনদে এ হাদীসটি সংরক্ষিত হয়নি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী যে বলেছেনঃ আমরা এটিকে চিনি না ...। তার এ কথা এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, তিনি যতটুকু জানতে সক্ষম হয়েছেন। কারণ আবুয যুবায়ের হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে উমার ইবনু আবী উমার এবং আবু আহমাদ তার (আবু হামযার) মুতাবায়াত করেছেন। আর তিনি হচ্ছেন দুর্বল যেমনটি হাফিয যাহাবী ও আসকালানী বলেছেন।

হাদীসটির সনদে আরেকটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হচ্ছে আবুয যুবায়ের কর্তৃক আন্আন করে বর্ণনা করা। আর তিনি হচ্ছেন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী। আমি হাদীসটির আরেকটি শাহেদ পেয়েছি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু’ হিসেবে।

এটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১০/২) বাকিয়্যাহ সূত্রে ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আমর হতে, তিনি আবূ সালামাহ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এটিকে ইবনু আইয়্যাশের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন আর তিনি হচ্ছেন ইসমাঈল, তিনি তার জীবনীর শেষপ্রান্তে বলেছেনঃ এ হাদীসগুলো হিজাজীদের হাদীসের অন্তর্ভুক্ত যেমন ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনু আমর ...... এবং ইরাকীদের হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। আর হাদীসটিকে ইবনু আইয়্যাশ তাদের থেকেই বর্ণনা করেছেন। এ কারণে হাদীসটি ভুল হওয়া থেকে মুক্ত নয়। কারণ শামীদের থেকে বর্ণনাকৃত তার (ইবনু আইয়্যাশের) হাদীস, যখন তার (ইবনু আইয়্যাশ) থেকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করবে তখন সঠিক, অন্যদের থেকে সঠিক নয়। মোটকথা ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে শামীরা বর্ণনা করলে তার হাদীস লিখা যাবে এবং তার থেকে শামীদের বর্ণনাকৃত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে।

আমি (আলবানী) বলছি এ হাদীসটি হিজাজীদের থেকে তার বর্ণনাকৃত হাদীস। অতএব এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়াও তার থেকে এর বর্ণনাকারী বাকিয়্যাহ (দুর্বল) হওয়ার কারণে (গ্রহণ করা যাবে না), যিনি আনআন করে বর্ণনা করেছেন। এ বাকিয়্যার আরেকটি সনদ রয়েছে এবং ভিন্ন ভাষা রয়েছে। সেটি হচ্ছেঃ (দেখুন পরেরটি)

إذا كتب أحدكم كتابا، فليتربه، فإنه أنجح للحاجة، [وفي التراب بركة]
ضعيف

-

أخرجه الترمذي (2 / 119) والعقيلي في " الضعفاء " (104) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 238) من طريق حمزة بن أبي حمزة عن أبي الزبير عن جابر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. وقال الترمذي
" حديث منكر، لا نعرفه عن أبي الزبير إلا من هذا الوجه، وحمزة - وهو النصيبي - ضعيف الحديث ". قلت: بل هو متروك متهم بالوضع كما في " التقريب ". وقال العقيلي: " لا يحفظ هذا الحديث بإسناد جيد ". قلت: وقول الترمذي
: لا نعرفه ... إنما هو بالنظر لما وصل إليه علمه. وإلا، فقد تابعه عمر بن أبي عمر وأبو أحمد عن أبي الزبير به نحوه، وهو ضعيف كما قال الذهبي والعسقلاني، ويأتي لفظه في الذي بعده. ثم إن في الإسناد علة أخرى، وهي عنعنة أبي الزبير. وقد وجدت له شاهدا من حديث أبي هريرة مرفوعا به

أخرجه ابن عدي في " الكامل " (10 / 2) من طريق بقية عن ابن عياش عن محمد بن عمرو عن أبي سلمة عنه. أورده في ترجمة ابن عياش هذا، وهو إسماعيل وقال في آخرها: " وهذه الأحاديث من أحاديث الحجازيين كيحيى بن سعيد ومحمد بن عمرو.. و.. و.. ومن حديث العراقيين إذا رواه ابن عياش عنهم، فلا يخلومن غلط ... وحديثه عن الشاميين إذا روى عنه ثقة، فهو مستقيم، وفي الجملة، إسماعيل بن عياش ممن يكتب حديثه، ويحتج به في حديث الشاميين خاصة ". قلت: وهذا من حديثه عن الحجازيين، فلا يحتج به، لاسيما والراوي له عنه، إنما هو بقية، وقد عنعنه. ولبقية فيه إسناد آخر، ولفظ آخر، وهو: " تربوا صحفكم، أنجح لها، إن التراب مبارك


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪০। তোমাদের কেউ যখন কারো উদ্দেশ্যে লিখবে তখন সে যেন তার নিজেকে দিয়ে শুরু করে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদিসটিকে ত্ববারানী আর তার থেকে ইবনু আসাকির "তারীখু দেমাস্ক" গ্রন্থে (১০/১৪২-১৪৩) মুহাম্মাদ ইবনু হারূন ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু বাক্কার ইবনু বিলাল দেমাস্কী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আবূ মুহাম্মাদ বাশীর ইবনু আবান ইবনু বাশীর ইবনুন নু’মান ইবনু বাশীর ইবনু সা’দ আনসারী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ মারওয়ান ইবনুল হাকাম নু’মান ইবনু বাশীরের নিকট লিখলেন তিনি তার ছেলে আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ানের বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন নু’মানের মেয়ে উম্মু আবানের সাথে। তার নিকট তার লিখার প্রথমে ছিলঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। মারওয়ান ইবনুল হাকাম হতে নু’মান ইবনু বাশীরের নিকট, আস সালামু আলাইকুম ....।

নুমান চিঠি পাঠ করে তার উদ্দেশ্যে উত্তরে লিখলেনঃবিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। নুমান ইবনু বাশীর হতে মারওয়ান ইবনুল হাকামের নিকট। আমি আমার নাম দিয়ে শুরু করলাম রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের উপর আমল করার স্বার্থে। কারণ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এটিকে ইবনু আসাকির বাশীর ইবনু আবানের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন এবং তার সম্পর্কে ভালমন্দ কিছুই বলেননি। তাকে তার দাদার উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পিতার নাম হচ্ছে নুমান ইবনু আবান ইবনু বাশীর ইবনুন নুমান ইবনু বাশীর ... আনসারী, আর তার জীবনী পাচ্ছি না।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে ত্ববারানীর “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী বলেছেনঃ এর মধ্যে মাজহুল (অপরিচিত) এবং দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছি বাশীর ইবনু আবান অথবা তার পিতা মাজহুল (অপরিচিত)। আর দুর্বল। আমি জানি না সে কে? কারণ মুহাম্মাদ ইবনু হারুণকে “আলমীযান” এবং “আললিসান” গ্রন্থে পাচ্ছি না। অন্য গ্রন্থেও তার জীবনী দেখছি না।

আর তার পিতা হারূণ ইবনু মুহাম্মাদ সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি সত্যবাদী। নাসাঈ বলেনঃ তার ব্যাপারে সমস্যা নেই। হাদীসটির একটি শাহেদ রয়েছে। তবে তার সনদে ধ্বংসপ্রাপ্ত বর্ণনাকারী রয়েছেন। সেটি (২৭০৩) নম্বরে আসবে।

إذا كتب أحدكم إلى أحد فليبدأ بنفسه
ضعيف

-

أخرجه الطبراني، وعنه ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (10 / 142 - 143 طبع المجمع العلمي) : حدثنا محمد بن هارون بن محمد بن بكار بن بلال الدمشقي أخبرنا أبي أخبرنا أبو محمد بشير بن أبان بن بشير بن النعمان بن بشير بن سعد الأنصاري عن أبيه عن جده قال: " كتب مروان بن الحكم إلى النعمان بن بشير يخطب على ابنه عبد الملك بن مروان أم أبان بنت النعمان، وكان كتابه إليه: بسم الله الرحمن الرحيم، من مروان بن الحكم إلى النعمان بن بشير سلام عليكم ... فلما قرأ النعمان الكتاب كتب إليه: بسم الله الرحمن الرحيم، من النعمان بن بشير إلى مروان بن الحكم، بدأت باسمي سنة من رسول الله صلى الله عليه وسلم، وذلك لأني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره ". قلت: وهذا إسناد ضعيف، أورده ابن عساكر في ترجمة بشير بن أبان هذا، ولم يذكر فيه جرحا
ولا تعديلا. وقد وقع منسوبا لجده، واسم أبيه النعمان بن أبان ابن بشير بن النعمان بن بشير ... الأنصاري، ولم أجد له ترجمة. والحديث عزاه في " الجامع الصغير " للطبراني في " المعجم الكبير "، وقال المناوي: " وفيه مجهول، وضعيف ". قلت: أما المجهول، فهو بشير بن أبان هذا أوأبو هـ. وأما الضعيف فلم أعرف من هو الذي يعنيه، فإن محمد بن هارون لم أجده في " الميزان ". و" اللسان "، ولا رأيت له ترجمة في غيرهما. وأما أبو هـ هارون بن محمد فقال أبو حاتم: " صدوق ". والنسائي: " لا بأس به ". والله أعلم
وللحديث شاهد ولكن إسناده هالك فانظر الحديث الآتي (2702)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪১। বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম প্রতিটি গ্রন্থের চাবি।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে খাতীব বাগদাদী “আলজামে” গ্রন্থে যেমনটি “আলমুনতাকা মিনহু” গ্রন্থে (১/১৯) এসেছে ’আলী ইবনুল আব্বাস হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু ইয়াকুব হতে, তিনি উমার ইবনুল মুসায়াব হতে, তিনি ফুরাত ইবনু আহনাফ হতে, তিনি আবূ জা’ফার মুহাম্মাদ ইবনু আলী হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি খুবই দুর্বল। ধারাবাহিকভাবে দুর্বল এবং সমস্যা জর্জরিত বর্ণনাকারী থাকার কারণে। এটি মুরসাল অথবা মু’যাল হওয়া সত্ত্বেও এর সনদ হতে কমপক্ষে সাহাবী এবং তাবোঈকে ফেলে দেয়া হয়েছে। আর আবু জা’ফার বাকেরের নিচের বর্ণনাকারীগণ সমালোচিতঃ

১। ফুরাত ইবনু আহনাফকে হাফিয যাহাবী "আযযুয়াফা অলমাতরূকীন" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তাকে নাসাঈ প্রমুখ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

২। উমার ইবনু মুস’য়াবকে ওকাইলী অতঃপর যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

৩। আব্বাদ ইবনু ইয়াকূব হচ্ছেন রুওয়াযেনী, হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি চরমপন্থী শিয়া এবং বিদ’আতের প্রধান, তবে তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে সত্যবাদী। ইমাম বুখারী তার থেকে তার “সহীহ” গ্রন্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন তবে অন্যের সাথে মিলিয়ে।

তিনি (যাহাবী) “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেনঃ ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি রাফেযী দা’ঈ।

৪। আলী ইবনু আব্বাসকে আমি চিনি না।

بسم الله الرحمن الرحيم مفتاح كل كتاب
ضعيف جدا

-

رواه الخطيب في " الجامع " كما في " المنتقى منه " (19 / 1) عن علي بن العباس: حدثنا عباد بن يعقوب أخبرنا عمر بن مصعب عن فرات بن أحنف عن أبي جعفر محمد بن علي مرفوعا. وهذا إسناد ضعيف جدا مسلسل بالضعفاء والعلل، فإنه مع كونه مرسلا أومعضلا سقط من إسناده الصحابي والتابعي على الأقل، فإن كل من دون أبي جعفر وهو الباقر متكلم فيهم
1 - فرات بن أحنف، أورده الذهبي في " الضعفاء والمتروكين "، وقال: " ضعفه النسائي وغيره
2 - عمر بن مصعب، أورده العقيلي ثم الذهبي في " الضعفاء
3 - عباد بن يعقوب، وهو الرواجني، قال الذهبي في " الميزان ": " من غلاة الشيعة. ورؤوس البدع، لكنه صدوق في الحديث، وعنه البخاري في " الصحيح " مقرونا بآخر ". وقال في " الضعفاء ": " قال ابن حبان: رافضي داعية
4 - علي بن عباس، لم أعرفه. والحديث بيض له المناوي فلم يتكلم على إسناده بشيء، ولعله اكتفى بإعلاله بالإرسال أوالإعضال، وبالتالي أعله السيوطي في " الجامع


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪৩। আবু সুফইয়ান ইবনুল হারেস জান্নাতী যুবকদের সরদার।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইবনু সা’দ “আতত্ববাকাত” গ্রন্থে (৪/৫৩) ও হাকিম (৩/২৫৫) হাম্মাদ ইবনু সালামাহ সূত্রে হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী। কিন্তু সনদটি মুরসাল। আর বাহ্যিকভাবে হাদিসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিম্নোক্ত বাণীর বিরোধীঃ

“হাসান এবং হুসাইন জান্নাতী যুবকদের সরদার।”

এটি “সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে (৭৯৬) বর্ণিত হয়েছে।

أبو سفيان بن الحارث سيد فتيان أهل الجنة
ضعيف

-

أخرجه ابن سعد في " الطبقات " (4 / 53) والحاكم (3 / 255) من طريق حماد بن سلمة عن هشام بن عروة عن أبيه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
قلت: وهذا إسناد رجاله ثقات رجال مسلم، ولكنه مرسل. وهو بظاهره مخالف لقوله صلى الله عليه وسلم: " الحسن والحسين سيدا شباب ... ". وهو مخرج في " الصحيحة " (796)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪৪। আবু হুরাইরাহ্ হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে হাকিম (৩/৫০৯) যায়েদ আলআম্মী হতে, তিনি আবূস সিদ্দীক নাজী হতে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাকিম ও হাফিয যাহাবী এ হাদীসটির ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। সম্ভবত দুর্বলতা স্পষ্ট হওয়ার কারণে। কারণ এ যায়েদ হচ্ছেন ইবনুল হাঅরি। হাফিয যাহাবী তাকে "আযযুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি শক্তিশালী নন।

আর হাফিয ইবনু হাজার “আততাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল।

أبو هريرة وعاء العلم
ضعيف

-
أخرجه الحاكم (3 / 509) عن زيد العمي عن أبي الصديق الناجي عن أبي سعيد الخدري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وسكت عليه هو والذهبي، وكأنه لظهو ر ضعفه، فإن زيدا هذا وهو ابن الحواري أبو
الحواري، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " ليس بالقوي ". وقال الحافظ في " التقريب ": " ضعيف ". والحديث في " الفتح الكبير " معزوا لـ " (ن) عن كذا لم يذكر اسم الصحابي، وكأنه كان ممحوا في الأصل الذي نقل عنه السيوطي، ثم أشار إلى ذلك بقوله: " عن كذا ". وقوله: (ن) يعني النسائي، أخشى أن يكون محرفا من (ك) أي الحاكم، فليس الحديث عند النسائي، ثم تأكدت من التحريف بالرجوع إلى مخطوطة " الزيادة على الجامع ". والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪৫। আমার নিকট জীবরল (আঃ) এসে আমার হাত ধরলেন। অতঃপর আমাকে জান্নাতের সেই দরজা দেখালেন যে দরজা দিয়ে আমার উম্মাত প্রবেশ করবে। তখন আবু বকর বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি চাচ্ছি আমি আপনার সাথে থেকে তা দেখব। তিনি বললেনঃ হে আবু বাকর তুমি আমার উম্মাতের মধ্য হতে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আবু দাউদ (২/২৬৫), ইবনু শাহীন "আসসুন্নাহ" গ্রন্থে (নং ২১) ও হাকিম (৩/৭৩) আবূ খালেদ দালানী সূত্রে আবু জা’দার দাস আবূ খালেদ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

হাকিম বলেনঃ শাইখাইনের শর্তানুযায়ী এটি সহীহ। আর হাফিয যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন!

তাদের দু’জনের এটি ধারণার উপর নির্ভরশীল কথা। কারণ বর্ণনাকারী এ দালানী ও তার শাইখ হতে বুখারী এবং মুসলিম কিছুই বর্ণনা করেননি। এ ছাড়াও প্রথমজন দুর্বল। তাকে হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইমাম আহমাদ বলেনঃ তার ব্যাপারে সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান বলেনঃ জঘন্য ধরনের সন্দেহ পোষণকারী। তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা না-জায়েয।

হাফিয ইবনু হাজার "আততাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী বহুভুলকারী এবং তিনি তাদলীস করতেন।

আর তাদের দু’জনের দ্বিতীয়জন মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। বরং হাফিয যাহাবী নিজেই বলেছেনঃ তাকে চেনা যায় না

أتاني جبريل، فأخذ بيدي، فأراني باب الجنة الذي تدخل منه أمتي، فقال أبو بكر: يا رسول الله! وددت أني كنت معك حتى أنظر إليه، فقال: أما إنك يا أبا بكر! أول من يدخل الجنة من أمتي
ضعيف

-

أخرجه أبو داود (2 / 265) وابن شاهين في " السنة " (رقم 21 - نسختي) والحاكم (3 / 73) من طريق أبي خالد الدالاني عن أبي خالد مولى آل جعدة عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره، وقال: " صحيح على شرط الشيخين "! ووافقه الذهبي! كذا قالا، وذلك من أوهامهما، فإن الدالاني هذا وشيخه لم يخرج لهما الشيخان شيئا، ثم الأول منهما ضعيف، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " قال أحمد: لا بأس به. وقال ابن حبان: فاحش الوهم، لا يجوز الاحتجاج به ".
وقال الحافظ في " التقريب ": " صدوق يخطيء كثيرا، وكان يدلس ". والآخر منهما مجهول، كما قال الحافظ، بل قال الذهبي نفسه: " لا يعرف ". لكن وقع في " المستدرك ": " عن أبي حازم "، فلا أدري أهكذا وقعت الرواية للحاكم، فكان ذلك من دواعي ذلك الخطأ، أم هو تصحيف من الناسخ أوالطابع؟! والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪৬। আমার নিকট জীবরীল আসলেন। অতঃপর বললেনঃ আমার প্রতিপালক এবং আপনার প্রতিপালক আপনাকে বলছেনঃ তুমি কি জানো কিভাবে তোমার স্মরণকে উঁচু করেছি? আমি বললাম আল্লাহই বেশী জানেন। তিনি বললেনঃ আমাকে যখনই উল্লেখ (স্মরণ) করা হয়েছে তখনই আপনাকে আমার সাথে উল্লেখ (স্মরণ) করা হয়েছে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি আবু ইয়ালা তার "মুসনাদ" গ্রন্থে, ইবনু হিব্বান (১৭৭২), ইবনু জারীর তার “তাফসীর” গ্রন্থে (৩০/২৩৫), আবু বাকর নাজ্জাদ ফাকীহ “আর রাদ্দু ’আলা মাই ইয়াকুলু আলকুরআনু মাখলুকুন” গ্রন্থে (কাফ /৯৬) ও ইবনুন নাজ্জার “যাইলুত তারীখ” গ্রন্থে (১০/২৯/২) আবুস সামহ হতে, তিনি আবুল হাইসাম হতে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আবুস সামহের কারণে এ সনদটি দুর্বল। তার নাম হচ্ছে দাররাজ। কারণ তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। যেমনটি বারবার পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী। আবুল হাইসাম হতে তার হাদীসে দুর্বলতা রয়েছে।

أتاني جبريل، فقال: إن ربي وربك يقول لك: تدري كيف رفعت لك ذكرك؟ قلت: الله أعلم، قال: لا أذكر، إلا ذكرت معي
ضعيف

-

أخرجه أبو يعلى في " مسنده " وابن حبان (1772) وابن جرير في " تفسيره " (30 / 235) وأبو بكر النجاد الفقيه في " الرد على من يقول: القرآن مخلوق " (ق 96 / 1) وابن النجار في " ذيل التاريخ " (10 / 29 / 2) عن أبي السمح عن أبي الهيثم عن أبي سعيد الخدري مرفوعا به. قلت: وهذا إسناد ضعيف، من أجل أبي السمح، واسمه دراج، فإن فيه ضعفا، كما تقدم مرارا، وأما الحافظ يقول فيه: " صدوق، في حديثه عن أبي الهيثم ضع


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪৮। তোমরা মেসওয়াক কর, আমার নিকট ময়লাযুক্ত লাল বর্ণ দাত নিয়ে আসবে না। আমি যদি আমার উম্মাতের উপর মুশকিল মনে না করতাম তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে প্রতিটি সালাতের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ প্রদান করতাম।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে খাতীব বাগদাদী “আল-জামে” গ্রন্থে (কাফ ২/১৯) ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হতে, তিনি কাইস ইবনুর রাবী হতে, তিনি ’ঈসা যাররাদ হতে, তিনি তাম্মাম ইবনু মা’বাদ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হচ্ছেন হুমানী, তিনি এবং কাইস ইবনুর রাবী’ তারা উভয়েই তাদের হেফযের দিক থেকে দুর্বল। আর ঈসা যাররাদ এবং তাম্মাম ইবনু মা’বাদের জীবনী আমি পাচ্ছি না।

হাদিসটিকে সুফিয়ান আবূ আলী যাররাদ হতে, তিনি জা’ফার ইবনু তাম্মাম ইবনু আব্বাস হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে আসলে তিনি তাদেরকে বললেনঃ আমি তোমাদেরকে এমতাবস্থায় কেন দেখছি যে, তোমরা আমার নিকট ময়লাযুক্ত লাল বর্ণ দাত নিয়ে এসেছে? তোমরা মেসওয়াক কর, ...।

এটিকে ইমাম আহমাদ (১/২১৪) বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি মুরসাল। তাম্মাম ইবনুল আব্বাসকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য তাবেঈনদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার "আত-তা’জীল" গ্রন্থে আবূ আলী যাররাদের জীবনী উল্লেখ করে বলেছেনঃ আবু আলী ইবনুস সাকান বলেনঃ তিনি মাজহুল।

হাদীসটিকে আহমাদ শাকের সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু আমি (আলবানী) তার সহীহ আখ্যা প্রদানকে গ্রহণ করছি না। কারণ সকলের ঐক্যমত্যে হাদীসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। আর শাইখ আহমাদ শাকের এমন কোন প্রমাণ উল্লেখ করেননি যে, তার দ্বারা বিভিন্নভাবে সংঘটিত ইযতিরাবের কোন একটিকে প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দেয়া সম্ভব।

হ্যাঁ, আমি একটি শাহেদ পেয়েছি, যেটিকে আবূ নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/১৪৮) ’আলী ইবনু আবুল আলা হতে, তিনি মারদাস হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ আলাকে আমি চিনি না। আর মারদাস সম্ভবত তিনিই যাকে “আলমীযান এবং “আললিসান” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছেঃ মারদাস ইবনু আদইয়াহ আবু বিলাল। তিনি তাবেঈ, তাকে বড় খারেজীদের মধ্যে গণ্য করা হয়।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউল কাবীর” গ্রন্থে (১/৯৬/১) দারাকুতনীর "আলআফরাদ" গ্রন্থের বর্ণনায় আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন। আর "আলফাতহুল কাবীর" গ্রন্থে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্ভবত বিকৃত করা হয়েছে। আর হাকীমের বর্ণনায় তাম্মাম ইবনুল আব্বাস হতে হয়েছে। আর "আলফাতহ" গ্রন্থে হাকীম ও ইবনু আসাকির কর্তৃক তাম্মামের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বেশী ভাল জানেন।

এতোসব কথা ও আলোচনা শুধুমাত্র হাদীসটির প্রথম অংশ নিয়েঃ (তোমরা মেসওয়াক কর, আমার নিকট ময়লাযুক্ত লাল বর্ণ দাত নিয়ে আসবে না।) কারণ দ্বিতীয় অংশ সহীহ। বরং দ্বিতীয় অংশ মুতাওয়াতির সূত্রে বুখারী ও মুসলিম প্রমুখ গ্রন্থে একদল সাহাবী হতে বর্ণিত হয়েছে। যার কিছুকে আমি "আলইরওয়া" গ্রন্থে (৭০) এবং “সহীহ আবী দাউদ” গ্রন্থে (৩৬, ৩৭) তাখরীজ করেছি।

استاكوا، لا تأتوني قلحا، لولا أن أشق على أمتي لأمرتهم بالسواك عند كل صلاة
ضعيف

-

أخرجه الخطيب في " الجامع " (ق 19 / 2 من المنتقى منه) عن يحيى بن عبد الحميد: حدثنا قيس بن الربيع عن عيسى الزراد عن تمام بن معبد عن ابن عباس. قلت: وهذا إسناد ضعيف، يحيى بن عبد الحميد وهو الحماني، وقيس بن
الربيع ضعيفان من قبل حفظهما. وعيسى الزراد وتمام بن معبد لم أجد لهما ترجمة. والحديث رواه سفيان عن أبي علي الزراد قال: حدثني جعفر بن تمام بن عباس عن أبيه قال: أتوا النبي صلى الله عليه وسلم، أوأتي، فقال: " ما لي أراكم تأتوني قلحا؟! استاكوا، لولا أن أشق.... ". أخرجه أحمد (1 / 214)
قلت: وهذا إسناد ضعيف مرسل، تمام بن العباس ذكره ابن حبان في " التابعين " من " الثقات ". وأبو علي الزراد ترجمه الحافظ في " التعجيل " وقال: " قال أبو علي بن السكن: مجهول ". قلت: وقد اختلف الرواة عليه في إسناده اختلافا
كثيرا، كما بينه الحافظ في ترجمة تمام بن العباس من " التعجيل "، وزاده بيانا الشيخ أحمد شاكر في تعليقه على المسند (3 / 246 - 248) ، وانتهى إلى القول: " ومجموع هذه الروايات عندي يدل على صحة هذا الحديث
قلت: ومدارها كلها على الزراد هذا، وقد علمت قول ابن السكن فيه، لكن الشيخ شاكر رحمه الله تعالى قال عقبه: " وينبغي أن يحكم بتوثيقه، فقد نقل في " التهذيب " (10 / 313) في ترجمة منصور بن المعتمر عن الآجري عن أبي داود: " كان منصور لا يروي إلا عن ثقة ". ورواية منصور عنه ثابتة في أسانيد سنذكرها
ومن وجوه الاختلاف المشار إليها ما رواه أحمد (3 / 442) : حدثنا معاوية بن هشام قال: حدثنا سفيان عن أبي علي الصيقل عن قثم بن تمام أوتمام بن قثم عن أبيه قال: " أتينا النبي صلى الله عليه وسلم فقال: ما بالكم تأتوني قلحا لا تسوكون؟! لولا ... ". قال الهيثمي في " المجمع " (1 / 221) : " رواه أحمد، وفيه أبو علي الصيقل، قيل فيه: إنه مجهول ". وذكر الحافظ أن هذه الرواية شاذة، وأن المحفوظ الرواية المتقدمة عن سفيان ... عن جعفر بن تمام بن عباس عن أبيه مرسلا. قلت: ولست أميل إلى الأخذ بما ذهب إليه الشيخ أحمد من صحة الحديث، لأن الحديث مضطرب اتفاقا، ولم يذكر الشيخ دليلا يمكن به ترجيح وجه من وجوه الاضطراب ثم تصحيحه بخصوصه! نعم وجدت له شاهدا، أخرجه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 148) من طريق العلاء بن أبي العلاء: حدثني مرداس عن أنس مرفوعا به نحوه. لكن العلاء هذا لم أعرفه، ومرداس لعله الذي في " الميزان " و" اللسان ": " مرداس بن أدية أبو بلال، تابعي يعد من كبار الخوارج
والحديث أورده في " الجامع الكبير " (1 / 96 / 1) من رواية الدارقطني في " الأفراد " عن العباس بن عبد المطلب. ووقع في " الفتح الكبير " عن ابن عباس، وكأنه تحريف. ومن رواية الحكيم عن تمام بن عباس. ووقع في " الفتح " الحكيم وابن عساكر عن تمام. فالله أعلم. وهذا كله في الشطر الأول من الحديث
وأما الشطر الآخر، فهو صحيح، بل متواتر، جاء عن جمع من الصحابة في " الصحيحين " وغيرهما، وقد خرجت بعضها في " الإرواء " (70) و" صحيح أبي داود " (36 و37)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৪৯। কাঁচা খেজুর থাকলে কাঁচা খেজুর দিয়ে আর কাঁচা খেজুর না থাকলে খেজুর দিয়ে ইফতার করা তাকে আশ্চর্যাম্বিত করত এবং ইফতার শেষ করতেন খেজুর দ্বারাই এবং তিনি বিজোড় হিসেবে তিনটি অথবা পাঁচটি অথবা সাতটি খেজুর গ্রহণ করতেন।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদিসটিকে আবূ বকর শাফে’ঈ "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (১/১০৫) এবং তার সূত্রে খাতীব বাগদাদী “আততারীখ” গ্রন্থে (৩/৩৫৪) আবূ বকর মুহাম্মাদ ইবনু হারূন ইবনু ঈসা আযদী হতে, তিনি হাকাম ইবনু মূসা হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ হাররানী হতে, তিনি ফাযারী হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে, তিনি জাবের ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এর সমস্যা হচ্ছে এ ফাযারী। তার নাম মুহাম্মাদ ইবনু ওবাইদুল্লাহ আরযামী। তিনি মাতরূক যেমনটি হাফিয ইবনু হাজারের “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।

আর আবু বাকর শাফেঈর শাইখের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। খাতীব বাগদাদী বলেনঃ তিনি কতিপয় সঠিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর দারাকুতনী বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি যে শক্তিশালী নন তাই বুঝা যায় “আলমীযান” “আযযাইলু আলাইহি” এবং “আললিসান” গ্রন্থ হতে কারণ তারা তাকে উল্লেখ করেননি।

হাদীসটিকে ইবনু আদী (২/২৮১) মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ সূত্রে বর্ণনা করে বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ হাররানী- মুহাম্মাদ ইবনু ওবাইদুল্লাহ আরযামী হতে তার অধিকাংশ বর্ণনার ক্ষেত্রে বলেছেনঃ ’ফাযারী হতে’। তিনি দুর্বল হওয়ার কারণে তার নাম (মুহাম্মাদ ইবনু ওবাইদুল্লাহ) উল্লেখ করেননি। আবার কখনও কখনও তার নাম উল্লেখ করে বংশ পরিচয় দিয়েছেন। ইবনু আদী বলেনঃ হাদীসটি নিরাপদ নয়। আর আরযামীর অধিকাংশ বর্ণনা নিরাপদ নয়।

كان يعجبه أن يفطر على الرطب ما دام الرطب، وعلى التمر إذا لم يكن رطب، ويختم بهن، ويجعلهن وترا ثلاثا أوخمسا أوسبعا
ضعيف جدا

-

رواه أبو بكر الشافعي في " الفوائد " (105 / 1) ومن طريقه الخطيب في تاريخه (3 / 354) : حدثنا أبو بكر محمد بن هارون بن عيسى الأزدي - سنة ست وسبعين (وفي التاريخ: وتسعين) ومائتين -: حدثني الحكم بن موسى
حدثنا محمد بن سلمة الحراني عن الفزاري عن محمد بن المنكدر عن جابر بن عبد الله مرفوعا
قلت: وهذا سند ضعيف جدا، وعلته الفزاري هذا، واسمه محمد بن عبيد الله العرزمي، وهو متروك، كما في " التقريب ". وشيخ أبي بكر الشافعي فيه ضعف، قال الخطيب: " حدث أحاديث مستقيمة، وقال الدارقطني: ليس بالقوي ". قلت: ويستدرك هذا على: " الميزان "، و" الذيل عليه "، و" لسانه "، فإنهم لم يوردوه. والحديث أخرجه ابن عدي (281 / 2) من طريق محمد بن سلمة به، وقال: " ومحمد بن سلمة الحراني في عامة ما يروي عن محمد بن عبيد الله العرزمي يقول: " عن الفزاري "، فيكني عنه ولا يسميه لضعفه، وأحيانا يسميه وينسبه ". وقال: حديث غير محفوظ، والعرزمي عامة رواياته غير محفوظة


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৫০। তিনি প্রত্যেক মাসে নিম্নের চুল দূর করার নাওরাহ ব্যবহার করতেন। আর তার নখ কাটতেন প্রত্যেক পনেরো দিনে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে খাতীব "আলজামে"-র "আসসাদেস" এর মধ্যে যেমনটি “আলমুনতাকা মিনহু” গ্রন্থে (২/১৯), আর তার থেকে ইবনু আসাকির (১৫/৩৩৮/১-২) হিলাল ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার আলহাফফার হতে, তিনি ইসমাইল ইবনু মুহাম্মাদ সফফার হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সালেহ আনমাতী হতে, তিনি আব্বাস ইবনু উসমান মুয়াল্লিম হতে, তিনি অলীদ হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু আবূ রাওয়াদ হতে, তিনি নাফে হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ খাতীব “আততারীখ” গ্রন্থে (১৩/৭৫) এ হিলালের জীবনী উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার থেকে লিখেছি, তিনি সত্যবাদী ছিলেন। আর ইসমাঈল সফফার নির্ভরযোগ্য যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে। অনুরূপভাবে মুহাম্মাদ ইবনু সালেহ আনমাতী এবং আব্বাস ইবনু উসমান আলমুয়াল্লিম এরা সকলেই নির্ভরযোগ্য। তবে শেষোক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে সামান্য সমালোচনা রয়েছে।

আর অলীদ ইবনু মুসলিম বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত নির্ভরযোগ্য। কিন্তু তিনি তাদলীসুত তাসবিয়্যাহ করতেন। যদি এরূপ না হতো তাহলে এ হাদীসটির সনদকে ভালো বলে হুকুম প্রদান করতাম। কারণ আব্দুল আযীয ইবনু আবু রাওয়াদ সত্যবাদী, কখনও কখনও সন্দেহ করতেন। তার দ্বারা ইমাম মুসলিম দলীল গ্রহণ করেছেন। হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে শুধুমাত্র ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। মানবী কোন হুকুম না লাগিয়ে খালী জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। আর সুয়ূতী "আলহাবী" গ্রন্থে (১/৩৪১) দৃঢ়তার সাথে এর সনদকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

كان يتنور في كل شهر، ويقلم أظفاره في كل خمس عشرة
ضعيف

-

رواه الخطيب في " السادس " من " الجامع " كما في " المنتقى منه " (19 / 2) وعنه ابن عساكر (15 / 338 / 1 - 2) : أخبرنا هلال بن محمد بن جعفر الحفار أنبأنا إسماعيل بن محمد الصفار حدثنا محمد بن صالح الأنماطي حدثنا العباس بن عثمان المعلم: حدثني الوليد عن عبد العزيز بن أبي رواد عن نافع عن ابن عمر مرفوعا. قلت: وهلال هذا ترجمه الخطيب في " التاريخ " (13 / 75) وقال: " كتبنا عنه، وكان صدوقا ". وإسماعيل الصفار ثقة كما في " الميزان ". وكذا محمد بن صالح الأنماطي وكذا العباس بن عثمان المعلم ثقات كلهم، وفي الأخير كلام يسير. والوليد هو ابن مسلم وهو ثقة من رجال الشيخين ولكنه يدلس تدليس التسوية. ولولا ذلك لحكمت على هذا الإسناد بالجودة فإن عبد العزيز بن أبي رواد صدوق ربما وهم، واحتج به مسلم. ونافع أشهر من أن يذكر
والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية ابن عساكر وحده. وبيض له المناوي، وجزم السيوطي في " الحاوي " (1 / 341 - طبع الدمشقي) بضعف إسناده


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৫১। প্রথমে সালাম প্রদানকারী সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে নিরাপদে থাকবে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আবু নুয়াইম "আলহিলয়্যাহ" গ্রন্থে (৭/১৩৪, ৯/২৫) আব্দুর রহমান ইবনু উমার রাসতাহ হতে, তিনি ইবনু মাহদী হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি আবু ইসহাক হতে, তিনি আবুল আহওয়াস হতে, তিনি আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

তিনি এটিকে রাস্তাহ হতে দুটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আব্বাস ইবনুল ফাযল আসফাতী সে দুটি সূত্রের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ রাস্তাহ আসবাহানী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনিয়েছেন। তবে তিনি “আসসারম” শব্দের স্থলে "আলকিবর” শব্দ বলেছেন। এটিকে খাতীব বাগদাদী “আলজামে” গ্রন্থের “জুযউস সাবে”-এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলমুনতাকা মিনহু” গ্রন্থে (২/১৯) উল্লেখ করা হয়েছে।

এ আসফাতীকে আমি চিনি না। তিনি “আলমুজামুস সাগীর” ও “আলমুজামুল আওসাত” গ্রন্থে ত্ববারানীর শাইখদের অন্তর্ভুক্ত। তার এতে চব্বিশটি হাদীস রয়েছে। ইবনুল আসীর তাকে “আললুবাব” গ্রন্থে (১/৫৪) উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই উল্লেখ করেননি। তার এ ভাষা শায অথবা মুনকার, দুটি সূত্রের বিরোধী হওয়ার কারণে। অতঃপর আবু নুয়াইম বলেনঃ এটি গারীব। আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী সাওরী হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি অন্যত্র বলেনঃ আবু ইসহাক হতে সাওরীর এ হাদীস গারীব। যেন এটি নিরাপদ নয়। প্রসিদ্ধি লাভ করে সেটি যেটিকে হাবীব ইবনুল হাসান বর্ণনা করেছেন ইউসুফ কাযী হতে, তিনি ইবনু আবূ বকর হতে, তিনি ইবনু মাহদী অতে, তিনি সুফিয়ান হতে, তিনি আবূ কায়েস হতে, তিনি আমর ইবনু মাইমূন হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তার মত করে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ প্রথম সনদটি আমার নিকট বেশী শক্তিশালী। যদি দু’টি সমস্যা না থাকতঃ

(১) তারা রাস্তার জীবনীতে বলেছেন যে, তার অনেক হাদীস গারীব।

(২) আবূ ইসহাক সুবায়’ঈ মুদাল্লিস। তিনি আন আন করে বর্ণনা করেছেন।

মানবী হাদীসটির এক আজব সমস্যা বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর সনদে আবুল আহওয়াস রয়েছেন। ইবনু মাঈন তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি কিছুই না। আর হাফিয যাহাবী তাকে “আযযুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

আর তিনি “আততাইসীর” গ্রন্থে সার সংক্ষেপ উল্লেখ করে বলেছেনঃ এর সনদে আবুল আহওয়াস রয়েছেন। তিনি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটা মারাত্মক ভুল। কারণ এ হাদীসের মধ্যে এ আবুল আহওয়াস তিনি নন যাকে হাফিয যাহাবী দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেছেন এর নাম এবং ন্যায়পরায়ণতার বিষয়টি অজ্ঞাত। হাফিয যাহাবীর পূর্ণাঙ্গ কথা হচ্ছে এই যে, "তার থেকে যুহরী ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি"।

আপনি দেখছেন যে, এ হাদীসটি তার থেকে আবু ইসহাকের বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে। আর আবুল আহওয়াস তিনিই যার থেকে আবু ইসহাক বর্ণনা করেন। তিনি হচ্ছেন আউফ ইবনু মালেক জাশমী। তিনি নির্ভরযোগ্য ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী। আবু ইসহাক যদি আবুল আহওয়াস থেকে শ্রবণ করাকে স্পষ্ট করতেন তাহলে এ হাদীসটির অবস্থা ভালই হতো।

البادىء بالسلام بريء من الصرم
ضعيف

-

أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (7 / 134 و9 / 25) من طريق عبد الرحمن بن عمر - رستة -: حدثنا ابن مهدي حدثنا سفيان عن أبي إسحاق عن أبي الأحوص عن عبد الله قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
أخرجه من طريقين عن رستة. وخالفهما العباس بن الفضل الأسفاطي: حدثنا رستة الأصبهاني به، إلا أنه قال: " الكبر " مكان: " الصرم ". أخرجه الخطيب في " الجزء السابع " من " الجامع " كما في " المنتقى منه " (19 / 2) والأسفاطي
هذا لم أعرفه، وهو من شيوخ الطبراني في " المعجم الصغير " (رقم 7 - " الروض ") ، و" المعجم الأوسط "، وله فيه أربعة وعشرون حديثا، وقد ذكره ابن الأثير في " اللباب " (1 / 54) ولم يورد فيه جرحا ولا تعديلا. فلفظه هذا
شاذ أومنكر لمخالفته الطريقين فيه. ثم قال أبو نعيم: " غريب، تفرد به عن الثوري عبد الرحمن بن مهدي ". وقال في الموضع الآخر: " غريب من حديث الثوري عن أبي إسحاق، كأنه غير محفوظ، والمشهور ما حدثناه حبيب بن الحسن: حدثنا يوسف القاضي حدثنا ابن أبي بكر حدثنا ابن مهدي حدثنا سفيان عن أبي قيس عن عمروبن ميمون عن [ابن] مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله
قلت: الإسناد الأول عندي أقوى، لولا أمران اثنان: الأول: أنهم قالوا في ترجمة رستة هذا: " وغرائب حديثه تكثر ". والآخر: أن أبا إسحاق، وهو السبيعي، مدلس، وقد عنعنه. والحديث أعله المناوي بعلة غريبة، فقال: " وفيه أبو الأحوص، قال ابن معين: ليس بشيء، وأورده الذهبي في (الضعفاء)

ولخص ذلك في " التيسير "، فقال: " وفيه أبو الأحوص، وهو ضعيف ". قلت: وهذا خطأ فاحش، فأبو الأحوص في الحديث ليس هو الذي ضعفه الذهبي، هذا مجهول الاسم والعدالة، وتمام كلام الذهبي: " ما روى عنه غير الزهري وأنت ترى الحديث من رواية أبي إسحاق عنه، وأبو الأحوص الذي يروي عنه أبو إسحاق إنما هو عوف بن مالك الجشمي، وهو ثقة من رجال مسلم، فلوأن أبا إسحاق صرح بسماعه منه لهذا الحديث لكان حديثا جيدا. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৫২। বধিরকে শুনানো হচ্ছে সাদাকাহ।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

এটিকে মাক্কী মুয়াযযিন তার “হাদীস” গ্রন্থে (১/২৩৮) ও মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহাব মাকদেসী “আলমুনতাকা মিন হাদীসে আবী আলী আউকী” গ্রন্থে (১/২) আহমাদ ইবনু হাবীব নাহারওয়ানী হতে, তিনি আবূ আইউব আহমাদ ইবনু আব্দুস সামাদ হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু কায়েস ইবনু সা’দ হতে, তিনি আবু হযেম হতে, তিনি সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ সূত্রেই খতীব "আলজামে" গ্রন্থে যেমনটি "আল মুনতাকা মিনহু" গ্রন্থে (১/২০) এসেছে।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এর মধ্যে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ

(১) বর্ণনাকারী ইসমাঈল ইবনু কায়েস ইবনু সা’দ রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। ইবনু আদী তার কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশই মুনকার।

(২) বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু আব্দুস সামাদের একটি হাদীস হাফিয যাহাবী উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ তাকে চেনা যায় না, আর হাদীসটি মুনকার।

(৩) আর আরেক বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু হাবীব নাহারওয়ানীর জীবনী আমি পাচ্ছি না।

إسماع الأصم صدقة
ضعيف جدا

-

رواه مكي المؤذن في " حديثه " (238 / 1) ومحمد بن عبد الواحد المقدسي في " المنتقى من حديث أبي علي الأوقي " (1 - 2) : حدثنا أحمد بن حبيب النهرواني حدثنا أبو أيوب أحمد بن عبد الصمد حدثنا إسماعيل بن قيس بن سعد عن
أبي حازم عن سهل بن سعد مرفوعا. ومن هذا الوجه رواه الخطيب في " الجامع " كما في المنتقى منه " (20 / 1) . قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، وفيه ثلاث علل:
1 - إسماعيل بن قيس بن سعد، قال البخاري والدارقطني: " منكر الحديث ". وساق له ابن عدي عدة أحاديث، ثم قال: " وعامة ما يرويه منكر
2 - أحمد بن عبد الصمد، ساق له الذهبي حديثا، ثم قال: " لا يعرف، والخبر منكر
3 - أحمد بن حبيب النهرواني لم أجد له ترجمة


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৫৩। জিবরীল (আঃ) আমার নিকট আসলেন। অতঃপর আমাকে নির্দেশ দিলেন আমি যেন এ আয়াতটিকে এ সূরার অমুক স্থানে রেখে দিইঃ "আল্লাহ ন্যায়-বিচার, সদাচরণ ও আত্মীয়দেরকে দেয়ার হুকুম দিচ্ছেন, আর তিনি নিষেধ করছেন অশ্লীলতা, অপকর্ম আর বিদ্রোহ থেকে। তিনি তোমাদেরকে নাসীহাত করছেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর" (সূরা নাহল: ৯০)।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ (৪/২১৮) লাইস সূত্রে শাহর ইবনু হাওশাব হতে, তিনি উসমান ইবনু আবুল আস হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসে ছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি তার চোখকে উপরের দিকে উঠালেন, অতঃপর সোজা করে নিয়ে তিনি যেন দৃষ্টিকে যমীনের সাথে নিবদ্ধ করলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর তিনি পুনরায় তার দৃষ্টিকে উপরে উঠিয়ে বললেন ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দু’টি কারণে দুর্বলঃ

(১) বর্ণনাকারী শাহর ইবনু হাওশাব তার হেফযের দিক থেকে দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, শেষ বয়সে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।

(২) তিনি তার হাদীসকে পৃথক করতে পারতেন না। ফলে তাকে ত্যাগ করা হয়।

আমি (আলবানী) বলছি তার সনদের বিরোধিতা করা হয়েছে। আব্দুল হামীদ বর্ণনা করেন শাহর হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি বলেনঃ "রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় তার ঘরের আঙ্গিনায় ছিলেন এমতাবস্থায় উসমান ইবনু মায’উন তাকে অতিক্রম করছিলেন ... আলহাদীস।” এর মধ্যে ইবনু মায’উনের ঈমান আনার ঘটনা রয়েছে এবং তাতে রয়েছেঃ “আমার নিকট এখনই আল্লাহর রসূল (জিবরীল) এসেছিলেন এমতাবস্থায় যে, তুমি বসেছিলে। (ইবনু মাযউন জিজ্ঞেস করল) আল্লাহর রসূল (জীবরল)? (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হা। সে (ইবনু মাযউন) বললঃ আপনাকে তিনি কি বললেন? তিনি বললেনঃ ... ৷

আব্দুল হামীদ হচ্ছেন ইবনু বাহরাম, তিনি সত্যবাদী যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। তিনি লাইসের চেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য। তার বর্ণনা লাইসের বর্ণনার চেয়ে বেশী অগ্রাধিকারযোগ্য। তবে তার বর্ণনার ব্যাপারে ইবনু কাসীরের মন্তব্য (২/৫৮৩) আজব ধরনেরঃ সনদটি ভালো, মুত্তাসিল ও হাসান।

আর লাইসের বর্ণনার ক্ষেত্রে তার মন্তব্য হচ্ছেঃ এ সনদের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। সম্ভবত শাহরের নিকট দু’সূত্র হতেই বর্ণিত হয়েছে। হাইসামীর মন্তব্যও (৭/৪৯) তার মতইঃ হাদীসটি ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন আর তার সনদটি হাসান।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাসান হয় কিভাবে যার মধ্যে শাহর রয়েছে? আর তার থেকে লাইস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি ভাষার মধ্যে বেশী করে বর্ণনা করেছেন যা আব্দুল হামীদ তার বর্ণনায় শাহর হতে উল্লেখ করেননি!

أتاني جبريل عليه السلام فأمرني أن أضع هذه الآية بهذا الموضع من هذه السورة: " إن الله يأمر بالعدل والإحسان وإيتاء ذي القربى، وينهى عن الفحشاء والمنكر والبغي، يعظكم لعلكم تذكرون
ضعيف

-

أخرجه أحمد (4 / 218) من طريق ليث عن شهر بن حوشب عن عثمان بن أبي العاص قال: " كنت عند رسول الله صلى الله عليه وسلم جالسا، إذ شخص ببصره، ثم صوبه حتى كاد أن يلزقه بالأرض، قال: ثم شخص ببصره، فقال: فذكره
قلت: وهذا إسناد ضعيف، فيه علتان: الأولى: شهر بن حوشب، ضعيف من قبل حفظه، قال الحافظ: " صدوق، كثير الإرسال، والأوهام ". والأخرى: ليث، وهو ابن أبي سليم، مثله في الضعف. قال الحافظ: " صدوق اختلط أخيرا، ولم يتميز حديثه فترك
قلت: وقد خولف في إسناده، فقال عبد الحميد: حدثنا شهر حدثنا عبد الله بن عباس قال: " بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم بفناء بيته بمكة إذ مر به عثمان بن مظعون ... " الحديث، وفيه قصة إيمان ابن مظعون، وفيه: " أتاني رسول الله آنفا، وأنت جالس، قال: رسول الله؟ قال: نعم، قال: فما قال لك؟ قال: " إن الله يأمر بالعدل ... " ". وعبد الحميد هو ابن بهرام، وهو صدوق، كما قال الحافظ، فهو أوثق من ليث، فروايته أرجح من رواية ليث، فمن الغريب قول الحافظ ابن كثير في روايته (2 / 583) : " إسناد جيد متصل حسن "! وقوله في رواية ليث: " وهذا إسناد لا بأس به، ولعله عند شهر من الوجهين ". ونحوه قول الهيثمي (7 / 49) : " رواه أحمد، وإسناده حسن
فأقول: أنى له الحسن، وفيه شهر؟! وعنه ليث، وقد زاد في متنه ما لم يذكره عبد الحميد في روايته عن شهر. (تنبيه) : وقع في " المجمع ": " عن عمرو بن أبي العاص " وهو خطأ مطبعي، والصواب: " عثمان بن أبي العاص


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৫৪। জিবরাল (আঃ) আমার নিকট এসে বললেনঃ আপনি যখন হাঁচি দিবেন তখন বলুনঃ "আলহামদুলিল্লাহি কা কারামিহি, আলহামদুলিল্লাহি কা ইযযি জালালিহি"। কারণ তাহলে আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দা সত্য বলেছে। অতএব তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

এটিকে ইবনুস সুন্নী (২৫৪) মা’মার ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ওবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফে’ সূত্রে তার পিতা মুহাম্মাদ হতে, তিনি তার পিতা ওবাইদুল্লাহ হতে, তিনি আবু রাফে হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তার ঘর হতে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলাম, এ সময় তিনি আমার হাত ধরে ছিলেন। আমরা বাকী’ পর্যন্ত পৌছলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁচি দিলেন, অতঃপর তিনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন। এরপর তিনি বিচলিত হয়ে দাঁড়ালেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমার পিতা এবং আমার মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক! আপনি কিছু বললেন, কিন্তু আমি তা বুঝিনি। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসেছিলেন ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। কারণ মা’মার ইবনু মুহাম্মাদ এবং তার পিতা মুহাম্মাদ উভয়েই মুনকারুল হাদীস। যেমনটি ইমাম বুখারী বলেছেন।

أتاني جبريل عليه السلام فقال: إذا أنت عطست فقل: الحمد لله ككرمه، والحمد لله كعز جلاله، فإن الله عز وجل يقول: صدق عبدي، صدق عبدي، صدق عبدي، مغفورا له
ضعيف جدا

-

أخرجه ابن السني (254) من طريق معمر بن محمد بن عبيد الله بن أبي رافع: حدثنا أبي محمد عن أبيه عبيد الله عن أبي رافع رضي الله عنه قال: " خرجت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من بيته يريد المسجد، وهو آخذ بيدي
، فانتهينا إلى البقيع، فعطس رسول الله صلى الله عليه وسلم، فخلى يدي، ثم قام كالمتحير، فقلت: يا نبي الله! بأبي وأمي، قلت شيئا لم أفهمه، قال: نعم، أتاني جبريل ...
قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، معمر بن محمد بن عبيد الله وأبو هـ، كلاهما منكر الحديث، كما قال البخاري


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭৫৫। আমার নিকট জিবরল এসে বললেনঃ তুমি যখন অযু করবে তখন তোমার দাড়ি খেলাল করবে।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

এটিকে ইবনু আবী শাইবাহ (১/১১) হাইসাম ইবনু জামায হতে, তিনি য়াযীদ ইবনু আবান হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...। "আলমুসান্নাফ" গ্রন্থের ছাপাতে এরূপই এসেছে “ইয়াযীদ ইবনু আবান হতে”। সাহাবীকে উল্লেখ করা হয়নি। “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে এসেছেঃ ইবনু আবী শাইবাহ আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। জানি না ছাপা হতে আনাস (রাঃ)-এর নাম ছুটে গেছে, নাকি "আলমুসান্নাফ" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে “আলজামে” গ্রন্থে ধারণার বশবর্তী হয়ে সাহাবীকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর পরেও সনদটি খুবই দুর্বল। তা আনাস (রাঃ) হতে মুসনাদ হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাক অথবা ইয়াযীদ ইবনু আবান হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাক। কারণ এ ইয়াযীদ এবং হাইসাম ইবনু জামায এরা উভয়েই মাতরূক।

এ (খুবই দুর্বল) হাদীস হতে আমাদেরকে নিরাপদে রাখতে পারে সে হাদীস যেটিকে অলীদ ইবনু যাওরান আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অযু করতেন তখন তিনি এক তালু পরিমাণ পানি নিয়ে তার চিবুকের নিম্নাংশে ঢুকাতেন। তিনি এর দ্বারা তার দাড়িকে খেলাল করতেন এবং বলতেনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে এরূপই নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এ ভাষার হাদীসটি সহীহ, যেমনটি “সহীহ আবী দাউদ” গ্রন্থে (১৩৩) এর ব্যাখ্যা প্রদান করেছি।

أتاني جبريل، فقال: إذا توضأت فخلل لحيتك
ضعيف جدا

-

أخرجه ابن أبي شيبة (1 / 11) عن الهيثم بن جماز عن يزيد بن أبان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. كذا وقع في المطبوعة من " المصنف ": " عن يزيد بن أبان " لم يذكر صحابيه، وفي " الجامع الصغير ": " ابن أبي شيبة عن أنس "، فلا أدري إذا كان سقط من المطبوعة ذكر أنس، أو في نقل " الجامع " عن " المصنف " وهم. ثم إن الإسناد ضعيف جدا، سواء كان مسندا عن أنس، أومرسلا عن يزيد بن أبان، فإن هذا والهيثم بن جماز كليهما متروك
ويغني عن الحديث ما رواه الوليد بن زوران عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا توضأ أخذ كفا من ماء فأدخله تحت حنكه، فخلل به لحيته، وقال: هكذا أمرني ربي عز وجل ". وهو حديث صحيح، كما حققته في " صحيح أبي داود " (133)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
দেখানো হচ্ছেঃ ১৯৮১ থেকে ২০০০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭৩৪৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 97 98 99 100 101 · · · 365 366 367 368 পরের পাতা »